ক্যাপসুলে মানুষের মাংসের গুঁড়ো

মানুষের মাংস গুঁড়ো করে তৈরি করা হয়েছে ক্যাপসুল। বলা
হয়েছে, এই ট্যাবলেট সর্ব রোগের মহৌষধ। এমনই মহৌষধের একটি বিশাল চালান আটক
করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার কাস্টমস কর্মকর্তারা। ওই চালানে রয়েছে ১৭ হাজারের
বেশি ক্যাপসুল। তবে ক্যাপসুলগুলোর নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে
অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, ওই চালানটি দক্ষিণ কোরিয়ায় গেছে চীন
থেকে। চীনের যখন গর্ভপাত করা হয় তখন সেই নবজাতককের দেহ কিনে নেয়া হয়। এ
ব্যবসায় যারা জড়িত তারা ওই দেহ নিয়ে রাখে তাদের বাসাবাড়ির রেফ্রিজারেটরে।
এরপর সেখান থেকে বের করে তাদের সঙ্গে জড়িত ক্লিনিকে নিয়ে ওই দেহ
মাইক্রোওয়েভে শুকানো হয়। শুকিয়ে গুঁড়ো করা হয়। সেই গুঁড়োর সঙ্গে হার্বাল
উপাদান মিশিয়ে বানানো হয় এই ক্যাপসুল। এ ঘটনা ধরা পড়ে গত আগস্টে। কিন্তু
অনেকটা বিলম্বে তা প্রকাশ পায় সোমবার। অনলাইন মেইলের ওই রিপোর্টে আরও বলা
হয়, এই ব্যবসা সম্পর্কে চীনের কর্মকর্তারা ওয়াকিবহাল। তারা এই ক্যাপসুল
তৈরি ও তা রপ্তানি বন্ধের চেষ্টা করেছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওই ক্যাপসুলের
হাজার হাজার প্যাকেট পাচার হয়ে চলে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। বিভিন্ন দেশে
চীনা বিকল্প ওষুধের চাহিদা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে গণ্ডারের শিং দিয়ে
বানানো ওষুধ। এসব কারণে চীনে অনেক প্রজাতি বিলুপ্ত হতে চলেছে। চীনে যেসব
বিকল্প ওষুধ বা রেমেডিস চালু আছে তার অনেকগুলো ২ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো।
দাবি করা হয়, এসব ওষুধ সেবন করলে সহজে রোগ সারে। বলা হয়, ওই ওষুধ সেবন করলে
হাড় ভাঙা থেকে শুরু করে মাথাব্যথা পর্যন্ত ভাল হয়। তবে এতে যে সত্যিকার
অর্থে রোগ সারে- তেমন কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি বললেই চলে। অস্ট্রেলিয়ার একদল
বিজ্ঞানী গবেষণা করে দেখেছেন, এই ওষুধগুলোতে রয়েছে ভাল্লুক ও হরিণের
উপাদানের উপস্থিতি। মারডক ইউনিভার্সিটির ওই গবেষক দল ডিএনএ’র সিকুয়েন্স
পরীক্ষা করে দেখতে পান এসব উপাদান। এশিয়ার স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্তৃপক্ষগুলো
উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যে, যদি গর্ভপাত করা শিশু অথবা মানবভ্রুণ গুঁড়ো করে
ওষুধ বানানোর অনুমতি দেয়া হয়, ইন্টারনেটে তার প্রচার অনুমোদন করা হয় এবং
বিক্রি করতে অনুমতি দেয়া হয় তাহলে বাকি বিশ্বের মানুষের মানসিকতাকে তা
আক্রান্ত করবে।
No comments:
Post a Comment