Wednesday, May 9, 2012

ভারতীয় কূটনীতিকের কন্যার ১৫ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা

অকারণে একদিন জেল দেয়ার কারণে নিউ ইয়র্ক সিটি, এর শিক্ষা বিভাগ, কিছু কর্মকর্তা, স্কুলের অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন ভারতীয় এক কূটনীতিকের কন্যা। তাতে তিনি ১৫ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। গতকাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর দিয়ে জানায়, নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল দেবাশীষ বিশ্বাসের কন্যা ক্রিত্তিকা বিশ্বাস (১৮) ওই মামলা করেছেন। এতে বলা হয়, ক্রিত্তিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ও যৌন উসকানিমুলক ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন কুইন্সের জন ব্রাউন হাই স্কুলের শিক্ষকদের। এ অভিযোগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একদিন রাখা হয় জেলে। এ সময় তাকে তার পিতা-মাতার সঙ্গেও দেখা করতে দেয়া হয়নি। সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি ভারতীয় কোন কূটনীতিকের সঙ্গেও। ক্রিত্তিকার দাবি, ওই অভিযোগ মিথ্যা। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জেল দেয়া হয়েছে। এতে তার সম্মানহানি হয়েছে। এসব দাবি করে তার আইনজীবী রবি বাত্রা ১১৮ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ দিয়ে ওই মামলা করেছেন। এতে রয়েছে ১০টি ফেডারেল অভিযোগ, ১৬টি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের আইনের আওতায় অভিযোগ। আর মামলাটি করা হয়েছে গত সোমবার নিউ ইয়র্কের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট-এ। এ মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে ৫ লাখ ডলার। ১০ লাখ ডলার চাওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের শাস্তিস্বরূপ। ক্রিত্তিকার আইনজীবী বাত্রা বলেছেন, আমরা আশা করছি- এই মামলার মাধ্যমে নিউ ইয়র্কের ১১ লাখ শিক্ষার্থী সচেতন হয়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক সিটির শিক্ষা বিভাগ কোন মিথ্যা অপরাধবিষয়ক অভিযোগ বা অবৈধভাবে বরখাস্ত করলে তারা সে বিষয়ে প্রতিকার নিতে পারবে। গত বছর যখন ক্রিত্তিকাকে আটক করা হয়েছিল তখন বিষয়টি মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। ভারত এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তখনকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মীরা শঙ্কর বলেছিলেন, তারা ওই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে মার্কিন সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন। ওদিকে ক্রিত্তিকাকে তার স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি চলে আসেন ভারতে। এখানে শুরু করেন কলেজে পড়াশোনা। এবার মামলায় বলা হয়েছে, ক্রিত্তিকা নন। যৌন উত্তেজক ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছিল অন্য এক শিক্ষার্থী। কিন্তু ক্রিত্তিকার মতো তাকে আটক করা হয়নি। তবে মামলায় আরও বলা হয়েছে, ক্রিত্তিকা ওই ই-মেইল না পাঠালেও তাকে এক পুলিশ অফিসার দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল। তাকে ওই পুলিশ অফিসার হুমকি দিয়েছিল- যদি তুমি দোষ স্বীকার না করো তাহলে তোমাকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে এবং এইডস রোগীদের সঙ্গে একত্রে জেলে থাকতে হবে।

No comments:

Post a Comment