Wednesday, May 9, 2012

প্রেম নিয়ে উভয় সঙ্কটে ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্ট

ফ্রান্সের ফার্স্ট লেডি হচ্ছেন ভালেরি ট্রায়ারওয়েলার। কিন্তু তিনি অবিবাহিতা। কারণ ফ্রান্সে নতুন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে। তারই সঙ্গে ভালেরির চলছে মন দেয়া-নেয়া। ভালেরিকে তিনি ‘ডমিস্টিক পার্টনার’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। দু’বার বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটানো ভালেরি এবার ওলাঁদের হাত ধরে প্রবেশ করতে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের জন্য নির্ধারিত এলিসি প্রাসাদে। কিন্তু তার আগেই কি তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন? এমন জিজ্ঞাসা এখন জনে জনে। আগামী ১৫ই মে দায়িত্ব গ্রহণ করে ওই প্রাসাদে উঠছেন নতুন প্রেসিডেন্ট ওলাঁদে। এর আগেই যদি তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ না হন তাহলে সেই ‘ডমিস্টিক পার্টনার’ ভালেরির হাতই বগলদাবা করে তাকে প্রবেশ করতে হবে ওই প্রাসাদে। তখন ভালেরির পরিচয় হবে অবিবাহিতা ফার্স্টলেডি। এতে ওলাঁদে পড়তে পারেন উভয় সঙ্কটে। যেমনটা পড়েছিলেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। তিনি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরও চুটিয়ে প্রেম করছিলেন ইতালির সাবেক সুপার মডেল, সংগীতশিল্পী কার্লা ব্রুনির সঙ্গে। নানা ঘটনার পর তিনি তাকে বিয়ে করতে বাধ্য হন। কিন্তু নতুন প্রেসিডেন্ট প্রেম করছেন ৪৭ বছর বয়সী ভালেরির সঙ্গে। ভালেরি পেশায় সাংবাদিক। তিনি তিন সন্তানের জননী। এর আগে তার দু’টি বিয়ে হয়েছিল। কিন্তু একটিও টেকেনি। অবশেষে তিনি প্রেমে মজেছেন ওলাঁদের। এখন ওলাঁদে যদি তাকে বিয়ে না করেই রাজপ্রাসাদে তোলেন তাহলে রক্ষণশীল দেশগুলো মনোক্ষুণ্ন হতে পারে। মনোক্ষুণ্ন হতে পারে ভ্যাটিক্যান। আরব উপসাগরীয় দেশগুলোতে কূটনৈতিক স্ট্যাটাসে তার প্রভাব পড়তে পারে। ভারতবর্ষেও তার প্রভাব পড়বে। প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি যখন প্রথম ২০০৮ সালের জানুয়ারিতে উপসাগরীয় দেশগুলো সফরে গিয়েছিলেন শুধু এই কারণে তিনি তখনকার তার লাইফ পার্টনার কার্লা ব্রুনিকে সঙ্গে নেননি। তার ভারত সফর নিয়েও বেশ রসালো আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে। কূটনৈতিক অঙ্গনে চলতে থাকে নানা জল্পনা কল্পনা। কারণ, নিকোলাস সারকোজি ভারত সফরের সময় কার্লা ব্রুনিকে সঙ্গে আনবেন কিনা তা নিয়ে শুরু হয় কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ। তখনও তারা বিয়ে করেননি। ফলে কার্লা ব্রুনির সঙ্গে কি ধরনের আচরণ করতে হবে, তাকে কি ধরনের সম্মান দেখানো হবে এ নিয়ে এক রকম অনিশ্চয়তা সৃষ্টি হয়। এমনকি তারা হোটেলে একই স্যুটে থাকবেন কিনা বা তাদের থাকতে দেয়া হবে কিনা এ সব নিয়ে শুরু হয়েছিল নানা বিতর্ক। এমন এক অনিশ্চয়তার মুখে বাধ্য হয়ে শেষ পর্যন্ত নিকোলাস সারকোজি তার পার্টনার কার্লা ব্রুনিকে ছাড়াই ভারত সফরে আসেন। তবে তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার পর ফের ভারত সফর করেন। সে সময় তারা ভালবাসার অমর নিদর্শন তাজমহল পরিদর্শন করেন। ওদিকে ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে প্রেমে পড়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটান। সম্পর্কছেদের আগে ওলাঁদের রয়েছে ৪ সন্তান। এখন কথা হলো- ওলাঁদে ও ভালেরি রাজপ্রাসাদে প্রবেশের আগে যদি বিয়ে না করেন তাহলে তাদেরও সারকোজি-ব্রুনির মতো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হতে পারে।

No comments:

Post a Comment