
পাকিস্তানের নির্বাচনে অংশ নেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন
প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী একিউ খান। তিনি বলেছেন, রাজনীতিবিদরা সুশাসন
প্রতিষ্ঠিত করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাই তিনি প্রযুক্তিবিদদের সমন্বয়ে একটি
সরকার গঠন করতে চান। পাঞ্জাব ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দেয়া এক
বক্তব্যে বুধবার ৭৬ বছর বয়সী একিউ খান পিএমএল-এন প্রধান নওয়াজ শরীফকে
রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে নিজের ব্যবসায় মনোনিবেশ করে ছোট ভাই শাহবাজ শরীফকে দলের
দায়িত্ব দেয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন। একিউ খানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে অংশ নেয়ার
এ মন্তব্যকে বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। কারণ সমপ্রতি
গণমাধ্যমের রিপোর্টে বলা হয়েছে সাবেক ক্রিকেট তারকা এবং তেহরিক-ই-ইনসাফের
প্রধান ইমরান খান তাকে রাজনীতিতে অংশ নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন। পাকিস্তানের
রাজনীতিতে জড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করে একিউ খান বলেছেন, তিনি পাকিস্তানের
অগ্রগতির জন্য কাজ করতে চান। তিনি বলেছেন, আমি আশা করি আগামী নির্বাচনে
প্রাদেশিক এবং জাতীয় পরিষদে কেবল শিক্ষিত জনগণই নির্বাচিত প্রতিনিধি হয়ে
আসবেন। বিজ্ঞানী এবং প্রকৌশলীদের মতো প্রযুক্তিবিদদেরকে দেশ চালানোর সুযোগ
দেয়া না হলে পাকিস্তান অগ্রগতি করতে পারবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন। তবে
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদরা প্রযুক্তিবিদদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে
কথা বলছেন। খান বলেন, তিনি সবসময়ই রাজনীতিবিদদেরকে একনিষ্ঠ পরামর্শ দিয়ে
এসেছেন। কিন্তু কোন রাজনীতিবিদই তার কথা শোনেনি। একিউ খান বলেন, বিশ্বের সব
দেশই প্রযুক্তিবিদদের সহযোগিতায় অগ্রগতি করেছে। কিন্তু পাকিস্তান রাজনৈতিক
নেতৃত্বের মাধ্যমে অগ্রগতি করতে চাচ্ছে। তিনি নওয়াজ শরীফের সমালোচনা করে
বলেছেন, আমি মনে করি শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বের গুণাবলী রয়েছে। তাই তাকেই
রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব দিয়ে নওয়াজ শরীফের উচিত রাজনীতি ছেড়ে দিয়ে নিজের
ব্যবসায় মনোনিবেশ করা। উল্লেখ্য, নওয়াজ শরীফের শাসনামলেই ১৯৯৮ সালে একিউ
খানের অধীনে পাকিস্তানে বেশ কয়েক দফা পরমাণু পরীক্ষা চালানো হয়েছিল।
পাঞ্জাবে পিএমএল-এন সরকারের সমাজের সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীর জন্য ট্যাক্সির
ব্যবস্থার সমালোচনা করে একিউ খান বলেন ৮০০ মিলিয়ন রুপি দিয়ে যখন এসব হলুদ
টেক্সি কেনা হয়েছিল তখন আমি স্থানীয়ভাবে সেগুলো তৈরির জন্য নওয়াজ শরীফের
কাছে ২০০ মিলিয়ন রুপি চেয়েছিলাম। কিন্তু তিনি তা দেননি।
স্থানীয় ভাবে
এসব ট্যাক্সি তৈরি করতে পারলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হতো। তিনি বলেন,
পাকিস্তান মোবাইল ফোন কেনার জন্য ২৫০ মিলিয়ন রুপি খরচ করে। আমরা যদি আণবিক
বোমা বানাতে পারি তাহলে গাড়ি এবং মোবাইলের মতো ছোট জিনিস কেন বানাতে পারছি
না।
No comments:
Post a Comment