Tuesday, May 8, 2012

বাবরি মসজিদ ধ্বংস আদভানীর বিচারের সুপারিশ



বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য ভারতের প্রধান বিরোধী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)’র নেতা এল কে আদভানীকে বিচারের মুখোমুখি করার সুপারিশ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে দেয়া এক প্রতিবেদনে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন-সিবিআই) বলেছে, বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য এল কে আদভানীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রত্যাহারের বিপক্ষে তারা। তারা মনে করেন, এই ঘটনায় আদভানীসহ অন্য নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা উচিত। এ খবর দিয়েছে বিডিনিউজ। এতে বলা হয়েছে, ১৯৯২ সালের ৬ই ডিসেম্বর উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা ভারতের উত্তর প্রদেশের ফাইজাবাদ জেলার অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ ধ্বংস করে। এই ঘটনার পর ভারতের প্রধান শহরগুলোতে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দুই হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়। তার প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলায় বিজেপি নেতা আদভানী, মুরলি মনোহর যোশী, উমা ভারতী, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অশোক সিঘাল, গিরিরাজ কিশোরসহ কয়েকজন নেতাকে আসামি করা হয়। ২০১০ সালে হাইকোর্টের এক রায়ে এ ঘটনায় আদভানীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ প্রত্যাহারের আদেশ দেয়া হয়। হাইকোর্টের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেছে সিবিআই’র এই তদন্ত প্রতিবেদন। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের জন্য আদভানীর ভূমিকা নিয়ে সিবিআই বলেছে, মসজিদে হামলার আগে এবং ধ্বংস করার সময় আদভানীসহ অন্য নেতারা ঘটনাস্থল থেকে মাত্র ১৭৫ মিটার দূরে স্থাপিত সভামঞ্চ থেকে উস্কানিমূলক স্লোগান ও বক্তব্য দেন। এর ফলে উগ্র হিন্দু মৌলবাদীরা ওই স্থাপনা ধ্বংস করে। এতে বলা হয়, মসজিদের মিনার ধসে পড়ার সময় নেতারা হাততালি দিয়ে, একে অন্যকে আলিঙ্গন করে ও মিষ্টি বিতরণ করে তা উদযাপন করেন। উস্কানিমূলক স্লোগানের ফলে দুই সমপ্রদায়ের মধ্যে শত্রুতা সৃষ্টি ও জাতীয় সংহতি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ওই স্থাপনা ধ্বংস হয়। এ সময় ঘটনার কোন প্রমাণ যাতে না থাকে সেজন্য সংবাদকর্মীদের ওপর হামলাও একই কারণে ঘটে এবং এসব অপরাধের কোনটিই অন্যটি থেকে আলাদা নয়।

No comments:

Post a Comment