Wednesday, May 30, 2012

নিউটনের ধাঁধা ৩৫০ বছর পর সমাধান করলো ১৬ বছরের শৌর্য

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ১৬ বছরের এক বিস্ময়-কিশোর শৌর্য রায়। জার্মানির ড্রেসডেনে বসবাস। দীর্ঘ সাড়ে ৩শ’ বছরেরও বেশি সময় যে সমস্যার সমাধান কেউ করতে পারেননি, তা পেরেছে ১৬ বছরের ওই কিশোর। বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের জটিল এক গাণিতিক সমস্যার সমাধান বের করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। ৩৫০ বছরেরও বেশি আগে নিউটন বস্তুর গতি সংক্রান্ত দু’টি মৌলিক প্রশ্ন রেখেছিলেন বিশ্ববাসীর সামনে। পৃথিবীর ওপর থেকে কঠিন কোন বস্তুকে যদি সামনের দিকে পৃথিবীর সমান্তরালে ছোড়া হয়, কিছুক্ষণ পর ওই বস্তুটি অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মাটিতে নেমে আসে। তবে কঠিন বস্তুটির ওপর প্রয়োগ করা বল ও অভিকর্ষের টান, দু’টো মিলিয়ে একটি মিশ্র-বল তৈরি হয়। এর প্রভাবে কঠিন বস্তুটি খানিকটা বাঁকা বা তীর্যক পথে মাটিতে এসে পড়ে। আরও জোরে বস্তুটিকে ছোড়া হলে, বস্তুটি মাটিতে আরও দূরে ও আরও বাঁকা পথে পড়ে। এখানেই ধাঁধাটি রেখেছিলেন নিউটন। নিউটনের প্রশ্ন ছিল, ঠিক কোন গতিতে বস্তুটি ছোড়া হলে, সেটি পৃথিবীতে গোল হয়ে ঘুরতে ঘুরতে মাটিতে ঠিক ছোড়ার স্থান বরাবর পড়বে? আর মাটিতে আঘাত করার পর বস্তুটি কোন দিকে ছিটকে যাবে? বছর কয়েক আগে বেশ উন্নত কম্পিটারের সাহায্যে এ প্রশ্ন দুটির সমাধান করতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তাও ছিল বেশ জটিল। কিন্তু কিশোর শৌর্য খুব সহজেই অঙ্ক কষে গাণিতিক সমস্যা দুটির সমাধান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাঘা-বাঘা বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়। শৌর্যের বাতলে দেয়া পদ্ধতিতে সহজেই হিসেব করে বের করা যাবে বস্তুটির গতিপথ। শৌর্যের পিতা একজন প্রকৌশলী। কাজের সূত্রে চার বছর আগে কলকাতা থেকে জার্মানিতে পাড়ি দেয় শৌর্যের পরিবার। জার্মান ভাষা জানতো না শৌর্য। আর এখন জার্মান ভাষায় পটু সে। একদিন স্কুল থেকে  ড্রেসডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শৌর্য ও তার সহপাঠীদের। সেখানে এক অধ্যাপক তাদের কাছে দাবি করলেন, কোন মানুষের পক্ষে নিউটনের এই জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু অধ্যাপকের সে দাবি শৌর্য মেনে নিতে পারেনি। তার ভাষায়, ‘আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন নয়? সব কিছুরই উত্তর সম্ভব। এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এমনটা আমি বিশ্বাসই করলাম না।’ মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে জটিল সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার চর্চা শুরু করলো সে। তবে শৌর্যের দাবি, সে কোন ‘জিনিয়াস’ নয়। স্কুলে শৌর্যের অসাধারণ প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তা ও মেধা দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে দুটি শ্রেণী ডিঙিয়ে আরও ওপরের ক্লাসে পড়ার অনুমতি দেন।

No comments:

Post a Comment