সুন্দরী হওয়ার খেসারত

তিনি খুব সুন্দরী। সেই রূপে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে চাকরি
থেকে বরখাস্ত করেছেন তারই বস। এ অভিযোগে ওই বসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানের ২৯ বছর বয়সী এক যুবতী। তবে তার ও তার বসের নাম
জানা যায়নি। গতকাল বার্তা সংস্থা এএনআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের
একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক। এতে বলা হয়েছে, ম্যানহাটানের ৫ম এভিনিউয়ে
নারীদের অন্তর্বাসের একটি পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিসে গত
২৪শে এপ্রিল চাকরি নিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেখানে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়
ক্রেতার কাছে স্যাম্পলের শিপমেন্ট পাঠানোর সমন্বয়ের কাজ এবং এর
ব্যবস্থাপনা। কিন্তু কাজে যোগ দেয়ার দিনেই তার শারীরিক গঠনের দিকে চোখ পড়ে
তার বসের। তিনি আকারে ইঙ্গিতে নানা কথা বলতে থাকেন তাকে। ওই অফিসের কোন
নির্ধারিত ড্রেস কোড ছিল না। ফলে কোন কোন কর্মচারী ট্যাংক-টপ পরে যান।
কেউবা সাধারণ পোশাক পরেন। চাকরির দ্বিতীয় দিনে ওই যুবতী একটি শর্ট স্লিভ
পরেন। এতে আপত্তি তোলেন তার বস। তিনি তাকে বলেন, এটা পড়লে অধিক মনোযোগ
আকর্ষণ হয় এবং কর্মক্ষেত্রে তিনি নিরাপদ না-ও থাকতে পারেন। তাই তার এ পোশাক
পরা উচিত নয়। এর পরের দিন তিনি একটি মাথায় কাপড় দেয়া যায় এমন একটি পোশাক
পরে অফিসে যান। কিন্তু এদিনও তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পঞ্চম দিনে
তিনি হাঁটু অবধি লম্বা কালো একটি পোশাক পরেন। তার ওপরে ব্যবহার করেন একটি
শাল। তার আশা ছিল এতে তার বস খুশি হবেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাকে তার বস
লাল একটি লাল পোশাক পরতে বলা হয়, যা রাখা ছিল বাথরুমে। বসের কথামতো ওই
যুবতী মহিলাদের বাথরুমে গিয়ে পোশাকটি পরেন। বেরিয়ে আসার পর তাকে বিব্রতকর
অবস্থায় পড়তে হয়। তাকে দেখে অফিসের সবাই হাসাহাসি করতে থাকে। এতে তার
শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে তার বস তাকে অন্তর্বাস পরে
তা নিবৃত করতে বলেন। এ অবস্থায় ওই যুবতী তার বসকে জিজ্ঞেস করেন- আপনি কি
আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন? এরপর তিনি ওই পোশাকটি খুলে ফেলেন। আরেকটি পোশাক
পরেন। ভাবেন, এটা তার বসের পছন্দ হবে। কিন্তু ততক্ষণে বস তাকে ফোন করে
জানান দেন, তোমার চাকরি নেই। তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে তিনি মনে করেন,
তার শরীরের গঠনে আকৃষ্ঠ হয়ে তার বস এমন কাজ করেছেন। এর জন্য তিনি ইকুয়াল
এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশনে মামলা করে দিয়েছেন।
No comments:
Post a Comment