Tuesday, June 26, 2012

সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হতে চান তারা

 কুলকার্নি দম্পতি যেখানেই যান তাদের বিলম্ব হয়ে যায়। আর হবে না কেন! তারা যে ভারতের সবচেয়ে লম্বা দম্পতি। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হওয়ার রেকর্ডের অপেক্ষায় আছেন শারদ কুলকার্নি (৫২) ও স্যাঞ্জোত (৪৬)। স্বামী শারদের উচ্চতা ৭ ফুট দেড় ইঞ্চি। আর স্ত্রী স্যাঞ্জোতের উচ্চতা ৬ ফুট ২.৬ ইঞ্চি। তাদের দুই মেয়ে ম্রুগা (২২) ও সানিয়ার (১৬) উচ্চতা ও যথাক্রমে ৬ ফুট ১ ইঞ্চি ও ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। পরিবারের মোট উচ্চতা ২৬ ফুট। ১৯৮৯ সালে বিয়ের পরই ভারতের সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হিসেবে লিমকা বুক অব রেকর্ডে স্থান করে নেন শারদ-স্যাঞ্জোত। তারা আশা করছেন, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিবেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হিসেবে। বর্তমানে গিনেস বুকের লম্বা পরিবার ক্যাটিগরির কোন বিভাগ নেই। তবে গিনেস কর্তৃপক্ষ এই বিভাগ খোলার বিষয়টি মনিটরিং করছে বলে জানান গিনেসের মুখপাত্র অ্যান লাইজ রাউজ। তারপরই এমন রেকর্ডধারী পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে এই দম্পতিকে রেকর্ডে স্থান পেতে হলে ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েনি-লরি দম্পতিকে পেছনে ফেলতে হবে। অবশ্য তাদের মোট উচ্চতা ১৩ ফুট ৪ ইঞ্চি থেকে এগিয়েই আছেন কুলকার্নি দম্পতি। তাদের উচ্চতা ১৩ ফুট ৪.১ ইঞ্চি। বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে শারদ ও স্যাঞ্জোত দু’জনেই অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ সহ্য করেছেন। হতে হয়েছে অনেকের উপহাসের পাত্র। শারদ যখন টিনেজ বয়সেই সাত ফুট উচ্চতায় পৌঁছেন তখন দেশের হয়ে বাস্কেট বল খেলা ছেড়ে দিতে হয় তাকে। কিন্তু স্যাঞ্জোত গ্রামে বেড়ে উঠেছেন। সেখানে বেশি লম্বা হওয়ায় তাকে অসুস্থ মনে করা হতো। টিনেজ বয়সে তাদের উভয়ের মনে হতো বিয়ে করাটা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। বিশেষ করে স্যাঞ্জোতের ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, পুরুষকে অনেক কর্তৃত্বমূলক কাজ করতে হয়। ফলে নিজের চেয়ে খাটো পুরুষকে কখনও বিয়ে করবেন না- এমনই ছিল তার চাওয়া। কেননা এতে উপহাসের শিকার হওয়ারও আশঙ্কা ছিল। তবে ১৯৮৮ সালে তার দাদি মুম্বই’র রাস্তায় শারদকে দেখেন এবং তাকে প্রস্তাব করেন। এক সপ্তাহ পরে শারদের বাবা-মা ফোন করেন এবং তাদের দেখার ব্যবস্থা করেন। আর এখন দুই মেয়েসহ পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পরিবার হওয়ার অপেক্ষায়। তার মেয়ে ম্রুগা বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত। লম্বাকে ভালবাসি আমরা। দু’মেয়ে মডেল হতে চায়। উচ্চতা তাদেরকে সুবিধা দেবে বলে মনে করেন তারা। কুলকার্নি পরিবার ঐতিহ্যবাহী জীবন যাপন করে। নিজের ঐতিহ্য অনুযায়ী পোশাক পরেন তারা। তবে জুতার সাইজ বড় হওয়ায় অনলাইনে ইউরোপ থেকে সেটা কিনতে হয়।
তারা ঘরের সব কিছুই নিজেদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি করেছেন। বাথরুমের দরজাসহ তাদের সবগুলো দরজাই ৬ থেকে ৮ ফুট। পাবলিক সার্ভিসে তেমন ওঠা হয় না তাদের। স্কুটারেই চড়েন সব সময়। তবে জরুরি ভিত্তিতে বিমানে চড়তে হলে তারা সামনের সিট বা ইমারজেন্সি এক্সিট সারিতে বসেন।

No comments:

Post a Comment