Friday, June 8, 2012

মসজিদে গোয়েন্দাগিরি বন্ধে নিউ ইয়র্ক পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

মসজিদ ও মুসলিম কমিউনিটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দাগিরি বন্ধে নিউ ইয়র্ক সিটির পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে আটজন মুসলিমের একটি দল।  এতে ৯/১১ পরবর্তী শুরু হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারি ও গোয়েন্দাগিরি বন্ধের জন্য আবেদন জানানো হয়। গতকাল এ খবর দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, নিউ জার্সির ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা এই মামলা নিউ ইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দাগিরির বিরুদ্ধে প্রথম কোন বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জ। মামলার আরজিতে বাদীগণ উল্লেখ করেন, বছরের পর বছর ধরে মসজিদ ও মুসলিম সমপ্রদায়ের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  অতিরিক্ত নজরদারির ফলে অসংখ্য মার্কিন-মুসলিমের সম্মানহানি ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। একই সঙ্গে প্রকৃতিগতভাবেই এটা একটা বৈষম্যে পরিণত হয়েছে। এডভোকেসি গ্রুপ মুসলিম এডভোকেটস কর্তৃক দায়ের করা মামলাটিতে ‘ডিক্লারেটরি জাজমেন্ট’ চাওয়া হয়েছে। যাতে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মুসলিমদের উপর নজরদারিকে অসাংবিধানিক ও ভবিষ্যতে এমন নজরদারি বন্ধের জন্য পুলিশকে আদেশ দেয়ার আবেদন জানানো হয়। একই সঙ্গে নিউ ইয়র্ক পুলিশের করা গোয়েন্দাগিরির রেকর্ড বইগুলো নষ্ট করে ফেলার দাবি জানানো হয় মামলার আরজিতে। মুসলিম এডভোকেটস-এর একজন পরিচালক ফারহানা খেরা বলেন, আমেরিকাকে মহান করেছে যে বিষয়টি তা হলো- আইনের চোখে সবাইকে সমান বিবেচনা করা। অথচ মামলার বাদীগণ ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই মামলা সম্ভবত মুসলিমদের নেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এ থেকে একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা হতে যাচ্ছে বলে জানান খেরা। মামলার বাদীরা সবাই নিউ জার্সির বাসিন্দা। যাদের মধ্যে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়া সেনা ও ইমাম রয়েছেন। মুসলিম এডভোকেটসের লিগ্যাল ডিরেক্টর গ্লেন কেটন বলেন, যখন নিউ ইয়র্ক পুলিশ বলে সব মুসলিম সন্দেহের তালিকায় রয়েছে, তখন আমরা বুঝতে পারি সরকারের ধর্ম অবমাননার বিষয়টি। নিউ ইয়র্কে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে তারা কোথায় যান, কোথায় খান, কোথায় সাক্ষাৎ করে ও নামাজ পড়েন। এছাড়াও পুলিশ মুসলিমদের মসজিদ ও ছাত্রদের ওপর গোপন নজরদারি করে আসছে।

No comments:

Post a Comment