Tuesday, July 10, 2012

সাবধান! ডিএনএস চেঞ্জার!!

সারাবিশ্বে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা আতঙ্কে। সক্রিয় হতে পারে ভয়াবহ একটি ভাইরাস ‘ডিএনএস চেঞ্জার’। এর আক্রমণে নষ্ট হয়ে যেতে পারে লাখ লাখ কম্পিউটার। এর ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেট সংযোগ হারাতে পারেন। ফলে তারা তাদের কম্পিউটারকে আজ এই ভয়াবহ হামলার মুখ থেকে বাঁচাতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের কাছে আজকের দিনটিকে ‘কম্পিউটারের কিয়ামত’ দিবস হিসেবে দেখা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের পরামর্শ দিয়েছে তাদের নিরাপত্তা বিষয়ক সাইট যঃঃঢ়://িি.িফপমি.ড়ৎম ব্রাউজ করতে। এই সাইটে গিয়ে জানা যাবে, কারও কোন কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে কিনা এবং এ সমস্যা সমাধানের পথ কি। এতে বলা হয়েছে, যেসব কম্পিউটার আক্রান্ত হবে তাতে আজকের পর থেকে কোন ইন্টারনেট সংযোগ কাজ করবে না। তবে গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কোন কম্পিউটার আক্রান্ত হয়েছে কিনা তা জানা যায়নি। এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের হাফিংটন পোস্ট রিপোর্ট করেছিল, এরই মধ্যে সমস্যা শুরু হয়ে গেছে। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ের কম্পিউটার হ্যাকাররা অনলাইনে তখনই বিজ্ঞাপন দিয়েছিল আক্রান্ত কম্পিউটার তাদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার। ওই বিজ্ঞাপনের পর এফবিআই একটি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেয়। তারা দেখতে পান হ্যাকাররা যে ভাইরাস দিয়ে কম্পিউটারে এই হামলা চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তা একবার যথাযথভাবেও বন্ধ করা হলে পরে তাতে আর ইন্টারনেট সংযোগ কাজ করবে না। আজ এই ঝুঁকির মুখে রয়েছেন বিশ্বের প্রায় ৩ লাখ ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। ‘ডিএনএস চেঞ্জার’ নামে একটি ভাইরাস সক্রিয় হতে পারে আজ। এরই মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ হাজার ইন্টারনেট ব্যবহারকারী ঝুঁকিতে রয়েছেন। ২০০৭ সালে প্রথম এ ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয় বেশ কিছু কম্পিউটার। প্রথম পর্যায়ে এটি কম্পিউটারের ডিএনএস সেটিংসকে পরিবর্তন করে দেয়। ফলে ব্যবহারকারীরা নিজেদের অজান্তেই ঢুকে পড়েন ক্ষতিকর ওয়েবসাইটগুলোতে। কারণ, ম্যালওয়্যারটি কম্পিউটার নিয়ন্ত্রণ করে ও ব্যবহারকারীকে ভুল নির্দেশনা দেয়। এমনকি অ্যান্টিভাইরাস বা অপারেটিং সিস্টেমের সিকিউরিটি আপডেটের ওয়েবসাইটগুলোতে ঢুকতে বাধা দেয় ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়্যারটি। একটি চক্র এ ম্যালওয়্যারকে নিজেদের অসাধু উদ্দেশ্যে কাজে লাগিয়ে হাতিয়ে নেয় বহু টাকা। ২০১১ সালে এ চক্রের ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের কম্পিউটারে এখনও ম্যালওয়্যারটি রয়ে গেছে, আজই তা ফের সক্রিয় হবে। এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ওয়েবসাইটে ডিএনএস চেঞ্জার ম্যালওয়্যার শনাক্ত ও তা অপসারণের পথ বাতলে দেয়া হয়েছে। গুগল-ও গত মে মাস থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের সতর্ক করছে। জুনে ফেসবুকও একই পথ অনুসরণ করে।

No comments:

Post a Comment