
পবিত্র রমজানে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষকে ইফতার খাওয়ানো
হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ যায়েদ গ্রান্ড মসজিদে। আর তাই দলে দলে মানুষ
সূর্য ডোবার আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদটিতে যেতে শুরু
করেন। সবাই গিয়ে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া
গণতাঁবুতে। তারপর আযানের সঙ্গে সঙ্গে আবির্ভাব হয় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের।
বিভিন্ন রং ও বর্ণের হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে এক কাতারে বসে ইফতার করেন।
২০ হাজার মানুষের এক সঙ্গে ইফতার করার অন্যরকম অনুভূতির এই দৃশ্য রমজানের
প্রতিদিনের চিত্র স্বনামধন্য মসজিদটির। গালফ নিউজকে মসজিদের পক্ষ থেকে
জানানো হয়েছে, এ বছর ৬ লাখের বেশি মানুষ ইফতার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
রোজাদার আল্লাহর বান্দাদেরকে ইফতার করানোর জন্য মসজিদ সংলগ্ন বাগানে ১০টি
এসি তাঁবু বসানো হয়েছে। প্রতিটি তাঁবুতে নারী ও শিশুদের জন্য পুরুষের থেকে
আলাদা স্থান বরাদ্দ করা আছে। প্রতিটি তাঁবুতে মোট ১৫শ’ জন একসঙ্গে ইফতার
করতে পারেন। ২০০৪ সালে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল
নাহিয়ানের মৃত্যুর পর থেকে প্রত্যেক বছর সাধারণ মানুষের জন্য এই ইফতার সেবা
দেয়া হচ্ছে। শেখ যায়েদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা ও আবুধাবি সরকারের গরিবদের
প্রতি সহায়তার অঙ্গীকার পূরণের পদক্ষেপ হিসেবে এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন
মসজিদটির পরিচালক ইউসুফ আল ওবাইদি। প্রতি বছর এই ইফতারে অংশ নেয়া মানুষের
সংখ্যা বাড়ছে। ২০১১ সালে ৫ লাখের মতো মানুষ সেখানে ইফতারে অংশ নিয়েছে। এই
বছর তার থেকে ১ লাখ মানুষ বেশি অংশ নেবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এত
বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য খাবার তৈরির জন্য দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক দ্বারা
করানো হয়। ৬ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে রাজধানীর আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ক্লাবে
রান্না করা হয় খাবার। যাতে হাজার হাজার কেজি বিভিন্ন ধরনের সবজির সঙ্গে ১০
হাজার কেজির বেশি মুরগি রান্না করা হয় প্রতিদিন। অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবার
বেশি মানুষ (৩০ হাজার) আসেন ইফতার করার জন্য। মসজিদ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব
লোকবলের সঙ্গে আবুধাবি পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের ১শ’ স্বেচ্ছাসেবী
ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য। এছাড়াও মসজিদটিতে
প্রায় ১০ হাজার মুসল্লির নির্বিঘ্ন তারাবির নামাজ সম্পন্ন করার জন্য এসি ও
আউটডোর এয়ারকুলারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ।
Source: The daily Manabzamin, 13-08-12
No comments:
Post a Comment