সমকামিতাকে বৈধতা দিল গ্রিসের পার্লামেন্ট। এর ফলে এখন থেকে সমকামী নারী বা পুরুষরা একে অন্যের সঙ্গে বৈধভাবে বসবাস করতে পারবেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যের জন্য দু বছর আগে গ্রিসের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয় মানবাধিকার বিষয়ক আদালত। ওদিকে এমন বৈধতার আইনের বিরুদ্ধে জোর অবস্থান নিয়েছেন গ্রিসের শক্তিধর অর্থোডক্স চার্চের রক্ষণশীল বিশপরা। পার্লামেন্টের সদস্যরা এ নিয়ে একটি বিলের ওপর ভোট দিয়েছেন। তাতে সমকামিতা বৈধতার পক্ষে ভোট পড়ে ১৯৩টি। বিপক্ষে পড়ে ৫৬টি ভোট। তবে বিশপরা বলছেন, এ আইন পাস হওয়ায় পারিবারিক যে মূল্যবোধ বিদ্যমান রয়েছে তা খর্ব হবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর কালাব্রিতার বিশপ আমভ্রোসিওস বলেন, প্রকৃতির যে নিয়ম আছে তার ব্যত্যয় হলো সমকামিতা। এটা একটা সামাজিক অপরাধ। একটি পাপ। যারা সমকামী বা যারা তাদেরকে সমর্থন করেন তারা স্বাভাবিক মানুষ নন। মঙ্গলবার যখন পার্লামেন্টে এ বিষয়ক বিলের ওপর ভোটাভুটি হয় ঠিক তখন এর বিরোধিতা করে চার্চের বেল বাজানো হয়। ২০১৩ সালে কাউন্সিল অব ইউরোপের মানবাধিকার বিষয়ক আদালত দেখতে পায় যে, গ্রিসে আইনে বৈষম্য রয়েছে। একই সঙ্গে সমকামীদের ক্ষতির বিষয়ে মনোযোগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। ২০০৮ সালে গ্রিসে সমকামিতা চালু হয়। এ ধারাকে সমর্থন করেন বা অনুসরণ করেন সেইসব লোক যারা বিয়ে ছাড়াই বসবাস করতে চান, অথবা দীর্ঘ বিচ্ছেদে রয়েছেন তারা। তারা একে বৈধতা দেয়ার দাবি জানান। কিন্তু জনসমক্ষে সমকামীরা বৈধ ছিলেন না। মঙ্গলবার এ বিলের পক্ষে অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীন বামপন্থি সিরিজা পার্টি। যখন বিলটি পাস হয় তখন তারা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। তবে প্রধান বিরোধী দল রক্ষণশীল দলের সদস্যরা এ বিলের বিষয়ে ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত।
No comments:
Post a Comment