Wednesday, December 30, 2015

পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২১

পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশে শক্তিশালী ‘আত্মঘাতী বোমা’ হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৬ জন। গতকাল এ ঘটনা ঘটে মারদান এলাকায় নিসাত্তা সড়কে ন্যাশনাল ডাটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি (নাদ্রা) অফিসের কাছে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) থেকে বেরিয়ে আসা গ্রুপ জামা’আতুল আহরার। এ সংগঠনটি গত বছর ওয়াগা সীমান্তে ভয়াবহ হামলার নেপথ্যেও ছিল। টিটিপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি এক বিবৃতিতে মারদান হামলা থেকে তার গ্রুপের দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত স্থানে বোমা হামলা করার কোন কারণ নেই আমাদের। উদ্ধারকারী দল রেসকু ১১২২-এর মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফাইজি বলেছেন, ঘটনার পর পরই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, ২১ জন নিহত হয়েছেন। যখন নাদ্রা অফিস লোকে ছিল ভরপুর, জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখনই ওই হামলা চালানো হয়। ওদিকে মারদান অঞ্চলের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সাঈদ ওয়াজির বলেছেন, এটা ছিল একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা। তিনি আরও বলেন, ওই অফিসের গেটে হামলাকারীকে থামান নিরাপত্তা রক্ষীরা। এরপরই সে আত্মঘাতী হামলা চালায়। সে ছিল একটি মোটর সাইকেলে। দ্রুতগতিতে সে ওই অফিসের গেটের ভিথর প্রবেশ করে। আবার কোন কোন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ওই বিস্ফোরক নাদ্রা অফিসের কাছে থামিয়ে রাখা একটি মোটর সাইকেলে বাঁধা ছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট বলেছে, এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ৮ থেকে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নাদ্রা অফিসের গেটের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ওই ভবনের দরজা, জানালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে ছিল নিহতদের শরীরের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ । রক্তে সয়লাব হয়ে যায় চারদিক। আহতদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। লোকজন এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। নিরাপত্তা রক্ষীরা সেখানে গিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। জীবিতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় মারদান মেডিকেল কমপ্লেক্সে। সেখানে সব চিকিৎসা শাখায় ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

No comments:

Post a Comment