শনিবার অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে বিকিনি পরিহিত ডেনমার্কের রাজবধূ ম্যারিকে। সঙ্গে দেখা গেছে তার স্বামী ও ডেনিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডেরিক। তাদের তিন সন্তান ক্রিস্টিয়ান, ইসাবেলা ও জোসেফাইনও ছিল এ প্রমোদক্ষণে। সার্ফিং করে বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছেন তারা। রাজবধূ ম্যারি মূলত অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। ম্যারির মা-বাবার বাড়িতেই ছুটি কাটাতে এসেছেন সবাই। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরিহিত রাজবধূ ম্যারিকে দেখা গেছে সার্ফ নিয়ে নিজের স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে মজা করতে। ইচ্ছেমতো সাতরিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকবার তীব্র স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাদের। তবুও বিপজ্জনক কায়দায় সার্ফিং করেছেন তারা। এক পর্যায়ে রাজপুত্র ক্রিস্টিয়ান স্রোতে আটকেও যায়। লাইফগার্ড নিক ম্যালকম তাকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, ক্রিস্টিয়ান আসলেই খুব ভালো সাতার কাটে। এ কারণেই তীব্র স্রোতের কবলে পড়লেও আতঙ্কিত হয়নি। তাকে আর দশ জনের মতোই উদ্ধার করেছি। সে কি রাজপুত্র কিনা, তা বড় বিষয় নয়। পরে তাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান প্রিন্স ফ্রেডেরিক। তবে অনেকে বলছেন নিক ম্যালকম না থাকলে ডেনমার্কের ভবিষ্যত রাজা ক্রিস্টিয়ানের জীবনের হয়তো সেদিনই ইতি ঘটতো। ম্যালকম জানান, তিনি আসলে জানতেন না, কাকে তিনি বাঁচাচ্ছেন। পরে পাশের একজন লোক তাকে জানান ক্রিস্টিয়ান হলেন ডেনিশ রাজপরিবারের সদস্য। তবে রাজপরিবার থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি অস্বীকার করেছে। এমনকি প্রিন্স ক্রিস্টিয়ান বিপদে পড়েছিল, তা-ও স্বীকার করা হয়নি। তবে উদ্ধারের পরও বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন রাজপরিবারের বাকি সদস্যরা। ডেনিশ রাজবধূ হলেও ম্যারিকে মোটেই অস্বস্তি কিংবা আড়ষ্টতা বোধ করতে দেখা যায়নি সৈকতে। তার উচ্ছলতা দেখে মনে হয়েছিল, সত্যিই নিজের মাতৃভূমিকে তিনি উপভোগ করছেন। চিরাচরিত আর দশটি তাসমানিয়ান মেয়ের মতোই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সাগরে। ৪৩ বছর বয়সী এ রাজবধূর পরনে ছিল বিকিনি আর ফুল হাতা গেঞ্জি। গত ৬ই ডিসেম্বর এ দ¤পতি পার্থে যান ম্যারির ভাই জন ডোনাল্ডসনের বাড়িতে বেড়াতে। ২০১১ সালের পর এ প্রথম ডেনিশ রাজপরিবার অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে গেছে। পুরো বড়দিনের ছুটি অস্ট্রেলিয়ায় কাটালেও নতুন বছরের আগে আগেই ডেনমার্কে গিয়ে পৌছবেন তারা।
Monday, December 28, 2015
বিকিনিতে রাজবধূ
শনিবার অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে বিকিনি পরিহিত ডেনমার্কের রাজবধূ ম্যারিকে। সঙ্গে দেখা গেছে তার স্বামী ও ডেনিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডেরিক। তাদের তিন সন্তান ক্রিস্টিয়ান, ইসাবেলা ও জোসেফাইনও ছিল এ প্রমোদক্ষণে। সার্ফিং করে বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছেন তারা। রাজবধূ ম্যারি মূলত অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। ম্যারির মা-বাবার বাড়িতেই ছুটি কাটাতে এসেছেন সবাই। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরিহিত রাজবধূ ম্যারিকে দেখা গেছে সার্ফ নিয়ে নিজের স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে মজা করতে। ইচ্ছেমতো সাতরিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকবার তীব্র স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাদের। তবুও বিপজ্জনক কায়দায় সার্ফিং করেছেন তারা। এক পর্যায়ে রাজপুত্র ক্রিস্টিয়ান স্রোতে আটকেও যায়। লাইফগার্ড নিক ম্যালকম তাকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, ক্রিস্টিয়ান আসলেই খুব ভালো সাতার কাটে। এ কারণেই তীব্র স্রোতের কবলে পড়লেও আতঙ্কিত হয়নি। তাকে আর দশ জনের মতোই উদ্ধার করেছি। সে কি রাজপুত্র কিনা, তা বড় বিষয় নয়। পরে তাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান প্রিন্স ফ্রেডেরিক। তবে অনেকে বলছেন নিক ম্যালকম না থাকলে ডেনমার্কের ভবিষ্যত রাজা ক্রিস্টিয়ানের জীবনের হয়তো সেদিনই ইতি ঘটতো। ম্যালকম জানান, তিনি আসলে জানতেন না, কাকে তিনি বাঁচাচ্ছেন। পরে পাশের একজন লোক তাকে জানান ক্রিস্টিয়ান হলেন ডেনিশ রাজপরিবারের সদস্য। তবে রাজপরিবার থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি অস্বীকার করেছে। এমনকি প্রিন্স ক্রিস্টিয়ান বিপদে পড়েছিল, তা-ও স্বীকার করা হয়নি। তবে উদ্ধারের পরও বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন রাজপরিবারের বাকি সদস্যরা। ডেনিশ রাজবধূ হলেও ম্যারিকে মোটেই অস্বস্তি কিংবা আড়ষ্টতা বোধ করতে দেখা যায়নি সৈকতে। তার উচ্ছলতা দেখে মনে হয়েছিল, সত্যিই নিজের মাতৃভূমিকে তিনি উপভোগ করছেন। চিরাচরিত আর দশটি তাসমানিয়ান মেয়ের মতোই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সাগরে। ৪৩ বছর বয়সী এ রাজবধূর পরনে ছিল বিকিনি আর ফুল হাতা গেঞ্জি। গত ৬ই ডিসেম্বর এ দ¤পতি পার্থে যান ম্যারির ভাই জন ডোনাল্ডসনের বাড়িতে বেড়াতে। ২০১১ সালের পর এ প্রথম ডেনিশ রাজপরিবার অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে গেছে। পুরো বড়দিনের ছুটি অস্ট্রেলিয়ায় কাটালেও নতুন বছরের আগে আগেই ডেনমার্কে গিয়ে পৌছবেন তারা।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment