Saturday, March 31, 2012

আইএসআইয়ের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের রাজনীতিবিদদের অর্থ দেয়ার অভিযোগ



পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই পাকিস্তানের ভিতরেই রাজনীতিবিদদের ১৯৯০-এর দশকে অর্থ দিয়েছে। বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট দিতে দুটি কমিশন করা হয়েছিল। কমিশন তার রিপোর্ট জমা দিয়েছে। কিন্তু সেই তদন্ত রিপোর্ট কোথায় রয়েছে সে সম্পর্কে কর্তৃপক্ষ কিছুই বলতে পারছে না। শুক্রবার পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্টকে সব কথা অবহিত করেন এটর্নি জেনারেল আনওয়ারুল হক। খবর দিয়েছে অনলাইন জি নিউজ। বিষয়ক রিপোর্ট ১লা এপ্রিলে ছাপা হয় দৈনিক মানবজমিনে। এতে বলা হয়, তিন বিচারকের সমন্বয়ে গঠিত একটি বেঞ্চের প্রধান করা হয়েছে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীকে। তার সভাপতিত্বে শুক্রবার রাজনীতিবিদদের অর্থ সহায়তা দেয়ার বিষয়টির শুনানি শুরু হয়। বিষয়ে বিমান বাহিনীর সাবেক প্রধান আসগার খান আদালতে অভিযোগ করেছিলেন। সেই মামলার শুনানিতে এটর্নি জেনারেল আনওয়ারুল হক বলেন, আইএসআইয়ের অর্থ বিতরণের তদন্তে যে দুটি কমিশন গঠন করা হয়েছিল তাদের দেয়া রিপোর্ট ইন মন্ত্রণালয়ে পাওয়া যাচ্ছে না। সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, ওই রিপোর্ট দুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আগামী ২৩শে এপ্রিল মামলার পরবর্তী শুনানি। প্রধান বিচারপতি ওইদিন ওই রিপোর্ট দুটি আদালতে জমা দেয়ার নির্দেশ দেন। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় খবর ছাপা হয়েছে যে, ২০০৯ সালে পাঞ্জাবে সরকার পরিবর্তনে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই গোপনে ২৭ কোটি রুপি দিয়েছিল রাজনীতিবিদদের। ১৯৯০ সালের সাধারণ নির্বাচনে যাতে পাকিস্তান পিপলস পার্টিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখা যায় সেজহন্য আইএসআই রাজনীতিবিদদের মধ্যে ৪০ কোটি রুপি বিতরণ করেছিল। এর মধ্যে ছিল ইসলামী জামুরি ইত্তেহাদ। আদালতে শুনানির সময় ব্যক্তিগতভাবে সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান আফতাব সুলতান। বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য অনুসন্ধানের জন্য তিনি আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন। তিনি আদালতকে বলেন, যে গোপন তহবিল থেকে ওই অর্থ দেয়া হয়েছিল তা রেজিস্ট্রারে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল তা আদালতে হাজির করা যাচ্ছে না। এছাড়া তিনি আরও বলেন, কোথায় কোন কোন খাতে অর্থ খরচ করা হয়েছে তা রেজিস্ট্রারে রেকর্ড করা হয়নি। সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আইএসআইকে যে তহবিল দেয়া হয় তা জাতির স্বার্থে ব্যবহারের জন্য। গণতন্ত্রকে দুর্বল করতে নয়। তিনি গোয়েন্দা সংস্থার প্রধানকে ২০০৯ সালের হিসাব ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে আদালতকে জানাতে বলেছেন যে, আসলেই মিডিয়ায় যে রিপোর্ট ছাপা হয়েছে তা ঠিক কিনা।

গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র সহ ৩০ নদীর গতিপথ পরিবর্তনে ভারতের পরিকল্পনা নিয়ে প্রতিবেশীদের উদ্বেগ


সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ৩০টিরও বেশি নদীর আন্তঃসংযোগ তার পানির প্রবাহকে পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে সরকারকে। এতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ, নেপাল ভুটানে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ বলেছে, এমনটা করা হলে তার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়বে বাংলাদেশে। যেসব নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে তার মধ্যে উল্লেখ করার মতো দুটি হলো- গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র। দুটি প্রধান নদীর নিম্ন অববাহিকায় বাংলাদেশের অবস্থান। প্রকল্প নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন যোগাযোগও করা হয়নি। শুক্রবার (৩০শে মার্চ) অনলাইন বিবিসি খবর দিয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এর শিরোনাম- ‘কনসার্ন ওভার ইন্ডিয়া রিভারস অর্ডার এতে বলা হয়, বহু কোটি ডলারের এই প্রকল্পটি ভারত সরকার ২০০২ সালে ঘোষণা করে। কিন্তু তার পর থেকে তা ছিল কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ। নেপালের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালে এখন রাজনৈতিক অবস্থা স্থিতিশীল নয়। ফলে এই সুযোগকে ব্যবহার করে ভারত বাঁধ নির্মান নেপাল সীমান্তে জলাধার নির্মাণ করার পথ উন্মুক্ত করতে পারে। এটি হবে আন্তসম্পর্কযুক্ত প্রকল্প। ইংরেজিতে যাকে বলা হবে- ইন্টার লিঙ্কিং প্রজেক্ট (আইএলআর) পানি বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভারতের প্রকল্পের জন্য অবকাঠামো নির্মাণের জন্য নেপাল হলো আদর্শ স্থান। ভুটানেও আছে একই ধরনের লোকেশন বা স্থান। এর কতগুলো নদী পতিত হয়েছে ব্রহ্মপুত্রে। এটি ভারতীয় নদী-আন্তঃসম্পর্কীয় প্রকল্পের বড় নদ। 
দীর্ঘ দিনের আপত্তি
প্রকল্পের মূল ধারণা হলো- কর্তৃপক্ষ যেখানে মনে করবে পর্যাপ্ত পানি আছে সেই পানির গতি পরিবর্তন করে যে এলাকায় সেচ, বিদ্যুত মানুষের নিত্যদিনের কাছে পানির ঘাটতি রয়েছে সেখানে প্রবাহিত করা। ভারতের সরকারি তথ্যমতে, সেখানে রয়েছে ১২০ কোটির মতো জনসংখ্যা। সেখানে পানির চাহিদা বাড়ছে। কিন্তু সরকার যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আইএলআর উপস্থাপনের চেষ্টা করছে ততই তা নিয়ে বিতর্ক জোরালো হয়ে উঠছে। সমালোচকরা বলছেন, এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে এর ফলে পরিবেশের ওপর মারাত্বক প্রভাব পড়বে। তারা আরও বলছেন, যেসব দেশের ভিতর দিয়ে নদীগুলো প্রবাহিত হয়েছে তাদের সম্মতি ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন টেকনিক্যাল কারণে যায় না। আদালত এই প্রকল্প নিয়ে গত মাসের প্রথম দিকে নির্দেশ দেন। তাতে বিচারকরা বলেন, প্রকল্পটির কাজ দীর্ঘদিন বিলম্বিত করা হয়েছে। এতে খরচ বাড়ছে। প্রায় ১০ বছর আগে উচ্চাকা্খংী এই প্রকল্পটির ব্যায় ধরা হয়েছিল ১২ হাজার কোটি ডলার। তখন ধরা হয়েছিল এটি শেষ হতে সময় লাগতে পারে ১৬ বছর। আদালত প্রকল্পটির পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য একটি কমিটি নিয়োগ দিয়েছেন। তাদেরকে বলা হয়েছে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য পরিকল্পনা করতে। কিন্তু এর কোন কাজ শুরু হওয়ার আগেই প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা শুরু করেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন বিবিসিকে বলেছেন, প্রকল্পে আমরা কখনও রাজি হতে পারি না। সব নদীর ওপর আমাদের কৃষি, অর্থনীতি এবং জীবন নির্ভরশীল। এসব নদীর পানির গতিপথ পরিবর্তনের কথা আমরা কল্পনাই করতে পারি না।

 
ভাটি অববাহিকায় যেসব প্রভাব পড়বে
এশিয়ার বড় দুটি নদী হলো গঙ্গা ব্রহ্মপুত্র। দুটি নদীই ভাটিতে বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। ভারত যেসব নদীর গতিপথ পাল্টে দিতে চায় তার মধ্যে দুটি নদী রয়েছে। ভারত চাইছে এর পানির প্রবাহের গতিপথ পাল্টে তা ভারতের০ উত্তরাঞ্চল দক্ষিণাঞ্চলে প্রবাহিত করতে। বিষয়ে বাংলাদেশের পানি সম্পদ মন্ত্রীর চেয়ে বেশি সমালোচনা করেছেন বাংলাদেশের পানি সম্পদ বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত। তিনি বলেছেন, দেখে মনে হয় ভারত মনে করছে নদীগুলো সীমান্তে এসে থেমে গেছে। ফলে ভাটিতে বাংলাদেশে পানি যেতে পারবে না। পানিসম্পদ নিয়ে তারা যদি কোনো কিছু করে তবে তাতে যেনো ভাটিতে বাংলাদেশে এর কোনো প্রভাব পড়বে না!’তিনি আরও বলেন, ভারত সবসময়ই মনে করে যে, ব্রহ্মপুত্রে বুঝি বাড়তি অনেক পানি আছে। কিন্তু তাদের দেখে এটা কখনোই মনে হয় না-  তারা বিষয়টা মাথায় রাখছে যে, ভাটিতে বাংলাদেশ নামে একটা সার্বভৌম দেশ আছে। এদেশটিরও পানির দরকার আছে। মন্ত্রী রমেশ চন্দ্র সেন জানিয়েছেন, ভারতের তরফে প্রকল্পের বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে কোন আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ করা হয়নি। প্রকল্পটি নিয়ে নেপাল এবং ভুটানকেও অবহিত করা হয়নি। বিষয়ে নেপালের জ্বালানিমন্ত্রী পোস্তা বাহাদুর বোগাতি বলেছেন, তিনি ভারতের কাছ থেকে প্রকল্প নিয়ে আনুষ্ঠানিক কোন তথ্যই পাননি। নেপালের পানিসম্পদ বিষয়ক সিনিয়র বিশেষজ্ঞ সান্তা বাহাদুর পুন বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, নেপালের ভিতরে বাঁধ জলাধার নির্মাণ করতে ভারতকে অনুমোদন দেয়া রাজনীতিবিদদের উচিত হবে না। ভুটান প্রকল্প নিয়ে মোটেও খুশি নয়। ভুটানের কৃষি বন মন্ত্রী পেমা গিমতসো বিবিসি কাছে বলেছেন, আমরা মনে করি নদীগুলোর চলার পথ বহুদেশের ভিতর দিয়ে। তবে প্রকল্পের জন্য কোন অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে সরাসরি কোন কথা হয় নি।
প্রাথমিক পর্যায়ে
পত্রিকার রিপোর্ট বা একাডেমিক গবেষণা ছাড়া আইএলআর প্রকল্পের বিষয়ে সরকারিভাবে খুব সামান্যই প্রকাশ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রীকে পার্লামেন্টে প্রশ্ন করা হয়েছিল- প্রকল্প নিয়ে কোন শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে কিনা। তিনি এর একটি সংক্ষিপ্ত জবাব দিয়েছিলেন। বলেছিলেন- আইএলআর প্রকল্পটি এখনও মাত্র ধারণার পর্যায়ে রয়েছে। প্রকল্পটি নিয়ে বিস্তারিত বিশ্লেষণের পরে এর প্রভাব সম্পর্কে বলা যাবে। ফলে পর্যায়ে আইএলআর প্রকল্প নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশের কোন প্রয়োজন নেই। তবে আইএলআর প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সম্প্রতি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট যে আদেশ দিয়েছেন তাতে প্রতিবেশী দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া কি শুক্রবার বিষয়ে ভারতের পানি সম্পদমন্ত্রণালয়ের কোন কর্মকর্তা কোন মন্তব্য করেননি। অতীতে পানি নিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল এবং পাকিস্তানের সঙ্গে ভারত অনেকগুলো চুক্তি করেছে। এগুলো নিয়ে রয়েছে তীব্র বিরোধিতা। এখন চীন তার দক্ষিণের নদীগুলোর গতিপথ পরিবর্তন করে উত্তরের দিকে পানি প্রবাহিত করতে চায়। নিয়ে নয়া দিল্লির মাথাব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। চীন তিব্বতে ইয়ারলাং-তামপো নদীতে পানিবিদ্যুত ৎপাদনের জন্য একটি প্রকল্প প্রস্তাব করেছে। চীন বলেছে, তারা কোনভাবেই ওই নদূর পানির গতিপথ পরিবর্তন করবে না। এই নদীটি ভারতে এসে ব্রহ্মপুত্র নাম ধারণ করেছে। এই নদীতে চীনের ওই প্রকল্পের বিষয়ে ভারতের প্রধান উদ্বেগের কারণ। অনেক গবেষণায় দেখা গেছে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যার কারণে পানির বিষয়ে সবার দৃষ্টি থাকবে দক্ষিণ এশিয়ার দিকে। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- ২০২২ সালের পরে দক্ষিণ এশিয়া হবে বিশ্বের মধ্যে এমন একটি অঞ্চল যেখানে পানিকে যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অথবা সন্ত্রাসবাদের অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হবে।

তেজিন্দর সিং ঘুষ প্রস্তাব করেছিলেন ভারতের সেনাপ্রধানকে!



ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল ভিকে সিংকে ১৪ কোটি রুপি ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। সম্প্রতি তিনি অভিযোগ করার পর ভারতের রাজনীতিতে চলছে গরম হাওয়া। তার পদত্যাগ দাবি করা হয়েছে। সরকার পড়েছে বেকায়দায়। তিনি তখন অবশ্য বলেননি তাকে কে ঘুষ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তবে গতকাল তা প্রকাশ করে দিলেন। তিনি বললেন, একটি কোম্পানির প্রায় ৬০০ ট্রাকের ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার জন্য তাকে ওই পরিমাণ অংকের ঘুষ প্রস্তাব করেছিলেন আরেক সেনা কর্মকর্তা। তিনি হলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল তেজিন্দার সিং। গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই সূত্র বলেছে, ভিকে সিং তাদেরকে বলেছেন, তিনি বিষয়ে খুব শিগগিরই আরও প্রমাণ তুলে দেবেন। খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, গোয়েন্দারা এরই মধ্যে বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। তারা ঘটনায় নাম উঠে আসায় তেজিন্দার সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেন। সূত্র আরও বলেছেন, বিষয়ে সংসদীয় তদন্ত বা নিয়মিত এফআইআর করার হবে কিনা তা খুব শিগগিরই সিদ্দান্ত নেয়া হবে। ওদিকে তেজিন্দর সিং দুর্নীতিতে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। এরই মধ্যে তিনি সেনাপ্রধান অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মানহানী মামলা করেছেন।

ছাত্রলীগ নেতার রাজকীয় বিয়ে

















১৫ হাজার লোকের ভুরিভোজ। বাহারি আয়োজন। বাবুর্চি আনা হয়েছে ঢাকা থেকে। ২শ’ খাশি। ৭ হাজার মুরগি। মেনুতে আছে বাশমতি চালের কাচ্চি বিরিয়ানি। মুরগির রোস্ট। টিকিয়া। ইলিশ, রুই আর চিংড়ি। সবশেষে জর্দা ও দই। খাদেমদারিতে ৩শ’ স্বেচ্ছাসেবকের ছুটোছুটি। শাহজাদার বেশে বর এসেছে হেলিকপ্টারে। একটি নয়, কপ্টার ছিল দু’টি। কন্যা চড়েছে প্রাডোতে। বরকে বরণ করতে সাজসজ্জা শহরজুড়ে। ২০টি তোরণ। অর্ধটন তাজা ফুল। বর-কনের ছবি সংবলিত বিশেষ টি-শার্ট বিলি করা হয়েছে সবার মাঝে। কনের জন্য অর্ধকোটি টাকার গহনা। রাজকীয় বিয়ের এ অনুষ্ঠান হলো গতকাল ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার কদমতলী গ্রামে। বর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সংসদ উপনেতার সাবেক এপিএস জামাল হোসেন মিয়া। কনে রাজধানী শহরের কল্যাণপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর কন্যা। ছাত্রলীগ নেতার ওই রাজকীয় বিয়ে নিয়ে আলোচনার ঝড় বইছে ফরিদপুরে। ফরিদপুরে নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামে নিজ বাড়িতে গতকাল শুক্রবার দু’টি হেলিকপ্টার নিয়ে রাজকীয় বিয়ের অনুষ্ঠান করলেন জামাল হোসেন মিয়া।
দুপুর ১টায় রাজকীয় সাজে সজ্জিত হয়ে নববধূকে নিয়ে ঢাকা থেকে নিজ বাড়ীর পাশে কদমতলী প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টার থেকে নেমে আসেন বর ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। হেলিকপ্টার থেকে নেমে ফুলে ফুলে সাজানো প্রাডো ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িতে নববধূকে নিয়ে উপস্থিত হাজার হাজার উৎসুক মানুষকে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান তিনি। এ সময় গ্রামবাসী ফুলের পাঁপড়ি ছিটিয়ে নব দম্পতিকে স্বাগত জানান। নবদম্পতির সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খ্যাতিমান চিত্রনায়ক রিয়াজ, সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জুয়েল, সংসদ উপনেতার বর্তমান এপিএসসহ নগরকান্দা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানবৃন্দ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। ফরিদপুরের ইতিহাসে হেলিকপ্টার নিয়ে প্রথম রাজকীয় এ বিয়ে নিয়ে চলছে সর্বত্র আলোচনা। বিয়েতে নববধূকে শতাধিক ভরি স্বর্ণসহ নানা ধরনের অলঙ্কার ও পোশাকে সাজানো হয়।
(এই রিপোর্টটি আজ প্রকাশিত দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা থেকে নেয়া। এর লিংক নিচে দেয়া হল)
http://mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=39208:2012-03-30-15-36-41&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82

Thursday, March 29, 2012

ইয়েশির শেষ বার্তা- বিশ্ববাসী তিব্বতের পাশে দাঁড়াও


গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করার আগে নিজের মনের কথাগুলো বিশ্ববাসীর কাছে বলে গেছেন জামফেল ইয়েশি (২৭) তিনি সবার উদ্দেশ্যে একটি চিঠি লিখে গেছেন। তাতে তিনি তিব্বতের স্বাধীকার আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ওদিকে ইয়েশির মৃত্যুতে ভারতে বসবাসরত তিব্বতীরা শোকে মুষড়ে পড়েছেন। গতকাল বার্তা সংস্থা এপি জানায়, বুধবার ভারত সফরে এসেছেন চীনের প্রধানমন্ত্রী হু জিনতাও। আজ তার সফর শেষ হবে। তার সফরের প্রতিবাদে সোমবার আয়োজিত বিক্ষোভে নিজের গায়ে আগুন লাগান ইয়েশি। ভারতের পার্লামেন্টের বাইরে সময় তিনি পাগলের মতো তিব্বতের স্বাধীনতার স্লোগান দিয়ে দৌড়াতে থাকেন। তার গায়ে দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকে আগুন। 

তিনি মাত্র মিনিট নিজেকে সামলে ধরে দৌড়াতে পেরেছিলেন। তারপর রাস্তায় পড়ে যান। উপস্থিতজনরা পুলিশ এগিয়ে গিয়ে তার আগুন নিভিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করে তাকে। চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও বুধবার ভারতে আসার কয়েক ঘন্টা আগে ইয়েশি মারা যান। ঘটনার খবর সারা বিশ্বের মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করে। মারা যাওয়ার আগে ইয়েশি তিব্বতবাসীকে অধিকার আদায়ের লড়াই চালানোর আহ্বান জানান। তিনি লিখেছেন, আমরা যখন আমাদের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, তখন আপনার যদি অর্থ থাকে তাহলে এটাই সেই অর্থ খরচের সবচেয়ে উত্তম সময়। আপনি যদি শিক্ষিত হন তাহলে তার ফল বয়ে আনা উচিত। আপনি যদি আপনার জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে আমার মনে হয় আপনার জীবনকে ৎসর্গ করার সময় এসে গেছে।  

তিব্বতের আন্দোলনকারীদের ওয়েবসাইট বার্নিং তিব্বত এই চিঠিটি ইংরেজিতে রূপান্তর করে তা প্রচার করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ইয়েশি ওই চিঠিটি মারা যাওয়ার ১০ দিন আগে লিখেছেন। লিখে তার এপার্টমেন্টে রেখে দিয়েছিলেন। আত্মাহূতি দেয়ার পর বন্ধুরা তার ঘরে ওই চিঠি খুঁজে পান।