Wednesday, August 29, 2012

Daily Press Briefing- August 28, 2012

Daily Press Briefing- August 28, 2012

Sunday, August 26, 2012

টোগোতে যৌন ধর্মঘটের আহ্বান


















পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মহিলাদের প্রতি অভিনব এক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এক বিরোধী রাজনৈতিক নেত্রী ইসাবেল আমেগানভি। আটক বিরোধী নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আজ থেকে এক সপ্তাহের জন্য স্বামীর সাথে সহবাসে রাজি না হওয়ার জন্য দেশের মহিলাদের অনুরোধ করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, টোগোর মহিলাদের প্রতি মিস আমেগানভির আহ্বানের ভাষা ছিল এরকমÑ সব পুরুষের জন্য মাতৃভূমির দরজা এক সপ্তাহের জন্য তালাবদ্ধ রাখুন। ইয়াদেমা পরিবার চার দশক ধরে টোগোর ক্ষমতায়। মিস আমেগানভির দল এই পরিবারতন্ত্রের অবসান চাইছেন। অক্টোবরে টোগোতে নির্বাচন। মিস আমেগানভির দাবি নির্বাচনী পদ্ধতিতে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচন স্থগিত করতে হবে। তার আন্দোলনে জনসমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে বিরোধী এই নেত্রীর যৌন ধর্মঘটের অভিনব এই আহ্বান। এর আগে আফ্রিকার আরেকটি দেশ লাইবেরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় সে দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ মহিলাদের প্রতি স্বামী সহবাস বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রাচীন এক গ্রিক নাটকের নায়িকা লিসিসত্রাতা শান্তি স্থাপনে পুরুষদের বাধ্য করতে গ্রিসের মহিলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রাচীন সেই কাল্পনিক চরিত্রই হয়ত আফ্রিকার এই মহিলা নেত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেছে।

Neil Armstrong, first man on moon, dies at 82 - Indian Express

Neil Armstrong, first man on moon, dies at 82 - Indian Express

বিয়ের জন্য বিচিত্র প্রতিযোগিতা

চীনের অবিবাহিত তরুণীরা এবার সম্পদশালী স্বামী পাওয়ার আশায় বিচিত্র এক প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছেন। বিশ্বের যে কোন ধরনের সুন্দরী প্রতিযোগিতার জন্য যেমন তরুণীরা নিজেদেরকে তৈরি করে ঠিক তেমনি নিজেদেরকে ‘ম্যারিজ টু এ মাল্টিমিলিয়নিয়ার’ প্রতিযোগিতার জন্য তৈরি করতে চীনের তরুণীরা উঠেপড়ে লেগেছে। ৫০ জনের দ্বিতীয় পর্বে উত্তীর্ণ হতে ১০০০-এর বেশি তরুণী ইতিমধ্যেই এতে নাম লিখিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রাথমিক নির্বাচনের ক্ষেত্রেই শারীরিক সৌন্দর্য থেকে শুরু করে শিক্ষা, পারিবারিক অবস্থা এবং রাশির বিষয়টিকে বেশ গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দ্বিতীয়পর্বে উন্নীত ৫০ জন সৌভাগ্যবান তরুণীই চীনের কমপক্ষে ১৬ মিলিয়ন ডলারের অধিকারী এমন ৩২ তরুণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার সুযোগ পাবেন। যোগ্য পাত্রের সন্ধানে এ প্রতিযোগিতাকে অনেকে বাড়াবাড়ি মনে করলেও চীনের ম্যাচমেকাররা আধুনিক চীনে বিয়ের ক্ষেত্রে বেশ ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চীনে সম্পদের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সেখানকার তরুণ-তরুণীদের মধ্যে বিয়ের চাহিদা বেশ বেড়ে গেছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া এক প্রতিযোগী বেশ অকপটেই স্বীকার করেছেন যে, বাইসাইকেলে চড়ে হাসিখুশি থাকার চেয়ে বিএমডব্লিউতে চড়ে তিনি কাঁদতেও রাজি আছেন। কোন কোন প্রতিযোগী আবার একজন ধনবান পাত্রের সন্ধান পেতে ৩১০০০ ডলার পর্যন্ত দিতে তৈরি বলে জানিয়েছেন। এ প্রতিযোগিতার আয়োজক চায়না এন্টারপ্রেনার ক্লাব অবিবাহিত তরুণদের সম্পদ যাচাইয়ের মাধ্যমে এতে অংশ নেয়ার জন্য ৩১০০০ ডলার ফি ধার্য করেছে। তবে তরুণীদের জন্য এতে অংশ নেয়ার যোগ্যতা বেশ চমকপ্রদ। এতে অংশ নেয়ার জন্য তাদের বয়স অবশ্যই ২০ থেকে ২৮ বছরের মধ্যে হতে হবে। উচ্চতা পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি বা তার চেয়ে বেশি, সুন্দরী, ভদ্র এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা জুনিয়র কলেজ সম্পন্ন করা। প্রতিযোগিতার উদ্যোক্তা চেং ইয়ংশেং বলেছেন, নারীদের চরিত্রের বিষয়টিও তারা পরীক্ষা করেন। এছাড়া দুই মাস ধরে প্রতিযোগীদেরকে তারা গভীরভাবে পরীক্ষা করার পাশাপাশি তাদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। তিনি বলেছেন, এতে অংশ নেয়া প্রতিযোগীদেরকে খুব গরিব বা লোভী হলে চলবে না। খুব সম্পদশালী কোন তরুণীও এতে অংশ নেয়ার যোগ্য নন বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।
Source The daily Manabzamin
26-08-12

বাংলাদেশী শামীমাকে নিয়ে লন্ডনে নানা গুঞ্জন

বাংলাদেশী বংশোদভূত যুবতী শামীমা আক্তারের প্রেমকাহিনী নিয়ে লন্ডনে তোলপাড় চলছে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রেমিকের সঙ্গে তার যুগল ছবি প্রকাশ হওয়ায় তা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে বাংলাদেশী সমপ্রদায়ের মধ্যে চলছে নানা গুঞ্জন। ১৮তম জন্মদিনে প্রেমিক গ্যারি পেইনকে তিনি চুমু খেয়েছিলেন। এ কারণে তার ভাই-বোন তাকে মারপিট করেছেন। রাগে ক্ষোভে শামীমা পরিবারের সদস্যদের ছেড়ে চলে গেছেন প্রেমিক গ্যারির কাছে। গতকাল অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। তাতে প্রেমিকের সঙ্গে শামীমার বেশ কয়েকটি ছবি প্রকাশিত হয়েছে। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, পরিবারের ৬ সদস্যের সঙ্গে শামীমা লন্ডনে থাকে। ১৮তম জন্মদিনে তার সহকর্মী প্রেমিককে চুমু খান তিনি। তা দেখেই শামীমার ওপর চড়াও হয়েছিল তার দু’বোন নাজিরা (২৯), নাদিয়া (২৫) ও ভাই মোহাম্মদ আবদুল (২৪)। তারা শামীমার চুলের মুঠি ধরে চড়-থাপ্পড় মারতে শুরু করে। ওই ঘটনার পর শামীমা তার রক্ষণশীল মুসলিম পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে এখন গ্যারি পেইনের সঙ্গেই থাকছেন। শামীমা বলেছেন, এত ঘটনার পর গ্যারিকেই আমি একজন চমৎকার মানুষ হিসেবে পেয়েছি। আমি এখন সুখী। তবে একই সঙ্গে আমি আমার পরিবারের সবাইকে হারিয়েছি। এ বিষয়টি খুব কষ্টের। আমি আর কখনও তাদের কাছে ফিরে যেতে পারবো না। বাংলাদেশ থেকে বৃটেনে অভিবাসী হিসেবে যাওয়া শামীমার পরিবারে ছয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। গত বছর মার্চ মাসে ১৮তম জন্মদিন পালন করতে শামীমা সহকর্মীদের সঙ্গে বাইরে গিয়েছিলেন। তখন এক পর্যায়ে তার সঙ্গে গ্যারিকে চুম্বনরত অবস্থায় দেখতে পায় তার ভাইবোন। এতে তারা তার ওপর চড়াও হয়। ওই ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে শামীমা বলেছেন, আমার ভাই গ্যারির গলা টিপে ধরেছিল আর আমার বোনরা আমাকে টেনে-হিঁচড়ে গাড়িতে তুলে নিয়েছিল। গাড়িতে ওঠার পরপরই নাজিয়া আমার মাথায় ঘুষি মারে। এরপরই তারা গাড়ির তালা বন্ধ করে দেয়ার আমি বেরুতে পারিনি। ওই ঘটনার পর শামীমা কোনক্রমে গ্যারিকে মোবাইল বার্তার মাধ্যমে পুলিশের সহযোগিতা নেয়ার অনুরোধ করেন। এরপর শামীমার ভাইবোনরা আটক হন। শামীমা স্বীকার করেন, তিনি আশা করেছিলেন তার ভাইবোনদের কারাদণ্ড হোক। কিন্তু বিচারে জুরি তাদেরকে শর্তসাপেক্ষে জামিন ও জরিমানা করেছে। শামীমা বলেন, আমি পুলিশের কাছ থেকে এর থেকে বেশি কিছু আশা করতে পারিনি। নিজেকে বরং এক্ষেত্রে কিছুটা বোকা মনে হয়েছে। আমি চাইছিলাম বিচারক আমার মতো পরিবারগুলোকে এক ধরনের বার্তা পাঠাক। আমি চাই না লোকজন আমার দুর্দশার জন্য দুঃখপ্রকাশ করুক। আমি কেবল চাই বিভিন্ন বাড়িতে বন্ধ দরজার ওপারে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে সেটা সবাই জানুক। এক্ষেত্রে আমি অনেকটাই সৌভাগ্যবান। আমি গ্যারিকে পেয়েছি। আমার মতো শ’ শ’ মেয়ে রয়েছে যারা এ ধরনের নির্যাতন সহ্য করছেন অথচ তাদের যাওয়ার কোন জায়গা নেই।  
Taken from The daily Manabzamin
26-08-12

Saturday, August 25, 2012

দি সানের প্রথম পাতায় হ্যারির নগ্ন ছবি

Taken from: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTkxNzI=&ty=MA==&s=MjE=&c=MQ==
বৃটেনের রাজ পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করে দি ডেইলি সান রাজ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকার প্রিন্স হ্যারির লাসভেগাসের স্ট্রিপ পার্টির নগ্ন ছবি প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছে। এর কারণ হিসেবে সান এ বিষয়টি ‘সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা’র বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। প্রিন্স হ্যারির প্রাইভেসির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রেস কমপ্লেইনস কমিশনের মাধ্যমে সেন্ট জেমস’স প্যালেস বৃটেনের পত্রপত্রিকাতে হ্যারির ওই ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিক সেলিব্রেটি গসিপ ওয়েবসাইট টিএমজেড হ্যারির ওই ছবি প্রথম প্রকাশ করার পর বৃটেনের বাইরের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ফলাও করে তা প্রকাশ করেছে। দি সান বলেছে, তাদের যে লাখ লাখ পাঠক রয়েছে এবং যাদের ইন্টারনেট সুবিধা নেই তাদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই এ ছবি প্রকাশ করছেন। সানের ওয়েবসাইটে এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ডেভিড ডিনসমোর এক ভিডিও ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যায় দিয়ে বলেছেন, এ ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্তের বিষয়টি মোটেও হালকাভাবে গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বলেন, সান একটি দায়িত্বশীল পত্রিকা। এটা রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। আমরা রাজপরিবারের ইচ্ছেকে গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করি। তিনি বলেছেন, আমরাও প্রিন্স হ্যারি ভীষণ ভক্ত। তিনি দেশ এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য অনেক মহৎ কাজ করছেন।  আমরা ক্ষণিকের জন্যও তার উত্তরাধিকারকে নিচু করতে চাই না। আমাদের কাছে ছবি প্রকাশের বিষয়টি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত হাস্যকর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যেখানে ছবিটি দেখতে পাচ্ছে তখন দেশের জনপ্রিয় একটি পত্রিকার পাঠকরা সেটা দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হ্যারির দুটো ছবির একটি সানের প্রথম পাতায় প্রকাশ করে শিরোনাম দেয়া হয়েছে- ‘ঐবরৎ রঃ রং’ এবং সম্পাদকীয়তে এটা প্রকাশের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। শুক্রবারের আগে বৃটেনের জনগণ পত্রিকাতে হ্যারির লাসভেগাস হোটেলের ঘটনা পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ছবি দেখতে হলে তাদেরকে ইন্টারনেটের আশ্রয় নিতে হয়েছে।  সেন্ট জেমস’ প্যালেসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হ্যারির প্রাইভেসির প্রশ্নে আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। পত্রিকাগুলো স্বায়ত্বশাসিত। তাই এ ধরনের ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্ত সর্বোপরি সম্পাদকের ওপরই বর্তায়।    

মিশিগানের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি হারলেন কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক


Source: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTkxODA=&ty=MA==&s=Mjc=&c=MQ==
মার্কিন কংগ্রেসে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ১৩তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে ২০১০ সালে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন হাশেম ক্লার্ক আগামী ৬ই নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের নবগঠিত নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষে পুনরায় প্রার্থী হয়ে নিজ দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক প্রাইমারিতে ফ্রেশম্যান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক ডেমোক্রেটিক দলীয় অপরপ্রার্থী ও মিশিগানের ৯ম ডিস্ট্রিক্ট থেকে পরপর
দু’বারের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্সের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচনী ফলাফলে গ্যারি পিটার্স মোট ভোটের ৪৭% লাভ করেন, যেখানে হাশেম ক্লার্ক পান ৩৫% ভোট। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের আরও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফক্স নিউজ এবং ডেট্রয়েট টাইমসের মতো জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়াগুলো ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির এ নির্বাচনে হাশেম ক্লার্কের পরাজয়ের পেছনে নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী শিবির কর্তৃক অনুসৃত প্রবল বর্ণবাদী প্রচারণা কৌশলকে দায়ী করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আদমশুমারিতে মিশিগান স্টেটের জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোটিং রাইটস অ্যাক্টের ৫ম ধারা মোতাবেক কংগ্রেসে মিশিগান স্টেটের জন্য বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা ১টি কমিয়ে দেয়া হয় এবং প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। বর্তমান কংগ্রেসে মিশিগান স্টেট থেকে নির্বাচিত ১৫ জন কংগ্রেসম্যান রয়েছেন, যার ৬ জন ডেমোক্রেট এবং ৯ জন রিপাবলিকান দলের। সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য বর্তমানে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ মিশিগান স্টেট হাউস এমনভাবে প্রস্তাব দিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে পাঠায় যাতে করে আসন কমানোর বিপদটা ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিকগুলো থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যানদের উপর দিয়েই যায়। একপর্যায়ে বিপদ টের পেয়ে মিশিগান ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দেয়া হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত পুনর্বিন্যাসে বিচার বিভাগ অনুমোদন দেয় এবং কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ৮, ৯ ও ১৩ এর বেশ কিছু অংশ নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ১৪ গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ই নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে পুনর্বিন্যাসকৃত কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন লাভের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যাদের দু’জন ডেমোক্রেটিক দলের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান তারা হলেন ডিস্ট্রিক্ট ১৩ থেকে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত বর্তমান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট ৯ এর পরপর দু’বারের নির্বাচিত বর্তমান কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্স। প্রথমদিকে গ্যারি পিটার্স অবশ্য কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১২তে ডেমোক্রেটিক দলের বিগত ৩০ বছরের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান লেভিন স্যান্ডারের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু ওখানে সুবিধা করতে পারবেন না ভেবে পরে ফ্রেশম্যান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্কের বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক্ট ১৪তে নির্বাচনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেন এবং সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রাইমারিতে তিনি বিজয়ী হন। 
বিপুলভাবে ডেমোক্রেটিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের এ আসনে আগামী ৬ই নভেম্বরের নির্বাচনে গ্যারি পিটার্স রিপাবলিকান দলীয় একমাত্র প্রার্থী জন হাউলারের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যাতে ডেমোক্রেট গ্যারি পিটার্সের জয়ের সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। আর নির্বাচনে জিতলে গ্যারি পিটার্স হবেন মার্কিন কংগ্রেসে দ্বিতীয় ‘হোয়াইট’ কংগ্রেসম্যান যার নির্বাচনী আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটার ‘ব্ল্যাক নাগরিক’। বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ কালো ভোটার এলাকার  একমাত্র সাদা কংগ্রেসম্যান হলেন টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক দলীয় স্টিভ কোহেন।
নির্বাচনে হ্যানসেন হাশেম ক্লার্কের হেরে যাওয়ার পেছনে পুনর্বিন্যাসকৃত নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্টের সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অভিজ্ঞতা ও নির্বাচনী তহবিলের ঘাটতি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল কৌশল, সর্বোপরি নির্বাচনী প্রচারণায় তুমুল বর্ণবাদী প্রচার কৌশলকে দায়ী করা হয়েছে। নতুন কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ এর বৈশিষ্ট্য হলো এর ভোটারদের বেশিরভাগই নারী, এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে এখানকার ভোটারদের অবস্থান ধনী-দরিদ্র কর্পোরেট মিলিয়ে বিপুল বৈচিত্র্যময়। এদের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কর্মসূচির কথা ক্লার্কের প্রচারণায় ছিল না। এছাড়া নির্বাচনে বিরোধী শিবির কর্তৃক ক্রমাগত বর্ণবাদী আক্রমণের প্রতিবাদে এক পর্যায়ে ক্লার্ক ঘোষণা করেন যে  তিনি আর কোন নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেবেন না। আবার শেষের দিকে আয়োজকদের না জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে এক নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য মঞ্চে হাজির হন, কিন্তু সম্মতিপত্র পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে আর বিতর্কে অংশ নিতে দেয়া হয়নি, পরে তিনি মঞ্চে দর্শক সারিতে বসেই বিতর্ক শুনেন। একপর্যায়ে ক্লার্কের ক্যাম্পেইন সাংবাদিকদের সামনে গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে ক্লার্কের  মুখোমুখি বিতর্কের প্রস্তাব দিলেও পিটার্সের ক্যাম্পেইন থেকে তা সরাসরি নাকচ করা হয়। এছাড়া ক্লার্কের তুলনায় পিটার্সের নির্বাচনী তহবিলের পরিমাণও ছিল তিন গুণ বেশি।
প্রচারণায় বর্ণবাদী আক্রমণের কৌশল তুঙ্গে ওঠে গত জুনে যখন একটি বিরোধী নির্বাচনী ক্যাম্পেইন থেকে বলা হয় যে, তারা ক্লার্কের মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট গবেষণা করে দেখেছেন- তার মা আফ্রিকান আমেরিকান নন, তিনি একজন হোয়াইট আমেরিকান। এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ম্যারি উয়াটার্স বলেন, ক্লার্ক একদিকে এশিয়ান আমেরিকান ও তার মুসলিম আমেরিকান উত্তরাধিকারের সুযোগ নিচ্ছেন, আবার মায়ের পরিচয়ে আফ্রিকান আমেরিকান উত্তরাধিকারের দাবি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্ল্যাক ভোটারদের প্রতারিত করছেন, কিন্তু তা আর হচ্ছে না। আজ এটা প্রমাণিত, তার মা আফ্রিকান আমেরিকান ছিলেন না, তিনি একজন সাদা আমেরিকান।  এর প্রতিক্রিয়ায় ক্লার্কের মিডিয়া মুখপাত্র রন স্কট বলেন, ‘ক্লার্কের মা একজন ব্ল্যাক মহিলা ছিলেন, তিনি অনেক কষ্ট করে, অনেক নিচু বেতনের কাজ করে ক্লার্ককে মানুষ করেছেন, আজ এতদিন পর তার জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা আর তার কবরে লাথি মারা সমান কথা। প্রতিক্রিয়ায় আবেগতাড়িত কণ্ঠে হ্যানসেন হাশেম ক্লার্ক বলেন, ‘আমার মা একজন ব্ল্যাক ছিলেন, তবে তার গায়ের রং কিছুটা শ্যামলা ছিল, হ্যাঁ, তিনি সাদা হওয়ার পরীক্ষায় পাস করতে চেয়েছিলেন, তিনি সাদা হতে চেয়েছিলেন, কারণ তিনি আমাকে, তার একমাত্র পুত্রকে একটি উন্নততর জীবন দিতে চেয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন হাশেম ক্লার্কের পিতা মোজাফ্‌ফর আলী বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার শ্রীধর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৩৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। হাশেম ক্লার্কের মায়ের নাম থ্যালমা ক্লার্ক যিনি একজন আফ্রিকান আমেরিকান। ক্লার্কের ৮ বছর বয়সে তার পিতা মারা গেলে তার মা তাকে অনেক কষ্টে বড় করে তুলেন এবং এক পর্যায়ে হাশেম ক্লার্ক উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় এবং জর্জ টাউন বিশ্বিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হ্যানসেন ক্লার্ক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে মিশিগানের ১৩তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে মিশিগান হাউসে একাধারে হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ ও স্টেট সিনেটর হিসেবে দুই যুগ ধরে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১০ সালে কংগ্রেসম্যান পদে নির্বাচনের সময় মিশিগান ও নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী আমেরিকান ভোটারদের পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী ফান্ড ও ক্যাম্পেইনে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেয়া হয়েছে। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার এবং বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এনআরবি সম্মেলনে অংশ নিতে দ্বিতীয়বার তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক মার্কিন কংগ্রেসে সর্বপ্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কংগ্রেসম্যান হলেও সামগ্রিক কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে তার সরকারি বায়োগ্রাফিতে তাকে ভারতীয় আমেরিকান বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কেননা যে সময়ে তার পিতা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তখন  বাংলাদেশও বৃটিশ ভারতের অংশ ছিল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতায় এ পর্যন্ত ৫ জন ডেমোক্রেট দলীয় ও ৩ জন রিপাবলিকান দলীয় ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত প্রাইমারিতে মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে মিশিগানের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির নির্বাচনী ফলাফলের পরপরই কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক দলের নেতা ও প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কংগ্রেসম্যান ক্লার্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। হাউসের সকল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যানের পক্ষ থেকে প্রদত্ত এক বাণীতে পেলোসি বলেন, মিশিগানসহ সমগ্র আমেরিকার মানুষের জন্য বিশেষ করে শ্রমিক, বাড়ির মালিক, শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিবারের স্বার্থে কাজ করার জন্য হ্যানসেন ক্লার্ক প্রথম দিন থেকেই একজন পুরোধা এবং শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি, জতীয় নিরাপত্তা নীতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তার গঠনমূলক ভূমিকার কথা আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।

আরব নিউজে খালেদা-গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায়



Source: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTkxNTc=&ty=MA==&s=MTk=&c=MQ==
25-08-12
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং দুই মেয়াদে নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে আরব নিউজে স্মৃতিচারণ করেছেন সে দেশের সিনিয়র সাংবাদিক ফারুক লোকমান। গতকাল প্রকাশিত ‘খালেদা জিয়া : ফর্ম এ হাউস ওয়াইফ টু দ্য করিডর অব পাওয়ার’ শীর্ষক শিরোনামে তিনি লিখেছেন- বাংলাদেশের খালেদা জিয়া আমাকে ভীষণভাবে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট কোরাজন একুইনোর কথা মনে করিয়ে দেন। কারণ তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহবধূ। এক মর্মান্তিক ঘটনার পর তিনি দেশের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। দু’জনের স্বামী ঘাতকদের গুলিতে নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। একুইনোর স্বামী নিহত হয়েছিলেন দোষী সাব্যস্ত এক অপরাধীর হাতে। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছিলেন এক সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে। খালেদা জিয়া হলেন তারই বিধবা পত্নী। তিনি পরে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন। দেশের ইতিহাসে প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্তও প্রধানমন্ত্রিত্বের দায়িত্ব পালন করেছেন। খালেদা জিয়া ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি তিনি ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়েছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিন যখন বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাসীন নারীর মধ্যে ২০০৫ সালে তাকে ২৯তম এবং ২০০৬ সালে ৩৩তম বলে ঘোষণা দিয়েছিল তখন তিনি ১৪৭ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার এলাকার ১৫০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর দেশের নেতৃত্বে ছিলেন। তার উল্লেখযোগ্য শাসনামল এবং বাংলাদেশের আরেক সাহসী নারী হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় বাংলাদেশে তেমন যাওয়ার সুযোগ না হলেও আমার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। মক্কা রোডে আমার বাড়ির কাছেই তিনি তখন অবস্থান করেছিলেন। সৌদিতে বাংলাদেশের দূতাবাস তখন মক্কা রোডেই ছিল। আমি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য দূতাবাস থেকে ফোন পাওয়ার পরপরই রাজি হয়েছিলাম। তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ে আমি দূতাবাসে হাজির হলাম। সেখানেই আমি সব ধরনের বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া চমৎকার সেই নারীর সাক্ষাৎ পেলাম। স্বামীর উত্তরসূরি হিসেবে তিনি নানা সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। অত্যন্ত দরিদ্র দেশে তখন মাথাপিছু আয় ৮০০ ডলারের বেশি ছিল না। কিন্তু মোট তিন মেয়াদে তার ১০ বছরের শাসনামলে নিজেকে তিনি যোগ্য এবং জয়ী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ভবনের ভেতরে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় আমি বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের চিত্র দেখতে পাচ্ছিলাম। একই সঙ্গে আমি সেই দেশকে শাসন করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করায় সেই গৃহবধূর উদ্যম এবং সাহসের প্রশংসা করছিলাম। দ্বিতীয় তলায় ছোট ছিমছাম একটি বসার ঘরে আমাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া বসেছিলেন একটি সোফায় আর আমি তার মুখোমুখি একটি চেয়ারে বসে ছিলাম। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম। আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম যে একটি হ্যান্ডগান রাখার অপরাধে সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছে। অভ্যুত্থানের পরপরই তার বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের সময় সেই হ্যান্ডগানটি পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আমার দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন আমি এতে অবাক হয়েছি? আমি তাকে বলেছিলাম একজন ব্যক্তি জোর করে একটি দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল তাই একটি হ্যান্ডগানের বিষয়টি এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন? তার শাসনামলে তিনি তো ইচ্ছে করলে ভারী অস্ত্রশস্ত্র দখল করতে পারতেন এবং বিমানবাহিনীকে দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে পারতেন। এ কথা শুনে তিনি (খালেদা জিয়া) বেশ উদারভাবে হাসছিলেন যেন তিনি আমার সঙ্গে একমত পোষণ করছেন। তবে এরশাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগে পাশাপাশি হ্যান্ডগান রাখার দায়েও অভিযোগ আনা হয়েছিল। সৌদি আরব এবং অন্যান্য উপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আমি তাকে যে পরামর্শ দিয়েছিলাম তিনি তা শুনেছিলেন। আমার সেই পরামর্শকে তিনি বেশ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছিলেন। আর তাই এখন সৌদি আরবে পাঁচ লাখ বাংলাদেশীর পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও হাজার হাজার বাংলাদেশী কাজ করছেন। গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে ভারতীয় এবং পাকিস্তানিরা যেভাবে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন ঠিক একইভাবে এখানে কর্মরত বাংলাদেশীরাও তাদের দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছেন। তিন মেয়াদে তার শাসনামলে শিক্ষা ক্ষেত্রে বিনাবেতনে বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রবর্তন, দশম শ্রেণী পর্যন্ত ছাত্রীদের উপবৃত্তি এবং শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালু করেছিলেন এবং যমুনা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছিলেন।

Saturday, August 18, 2012

Census Figures Nix Illegal Migration Theory | Uttam Sengupta

Census Figures Nix Illegal Migration Theory | Uttam Sengupta

স্মৃতিকথা লিখছেন সাবেক আরব ফার্স্ট লেডিরা


 আরব বসন্ত ওই অঞ্চলে অনেক ঘটনার সঙ্গে নতুন একটি ঘটনার সূচনা করেছে। সেখানকার সাবেক ফার্স্ট লেডিরা এখন নিজেদের অতীত জীবন-যাপন নিয়ে স্মৃতিকথা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের এ উদ্যোগে অবশ্য মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তিউনিশিয়ার মতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বিন আলির স্ত্রী লাইলা তারাবৌলসি দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি তার স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। মিশরের কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের স্ত্রী সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বলে গুজব শোনা গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এ ব্যাপারে কাজ করার মতো সময় তার হাতে নেই। কারণ বিভিন্ন অভিযোগে তার স্বামী এবং সন্তানরা এখন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। মিশরের বর্ষীয়ান মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ফারুক আবু জেইদ সাবেক ফার্স্ট লেডিদের স্মৃতিকথার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাদের স্মৃতিকথা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এক্ষেত্রে বিশেষ করে লাইলা তারাবৌলসির স্মৃতি কথার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, লাইলার স্মৃতিকথা তিউনিশিয়ার ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া জনগণ দীর্ঘদিন মিশরে ক্ষমতাসীন ফার্স্ট লেডির স্মৃতিকথা পড়তেও অনেক আগ্রহ বোধ করবেন। আবু জেইদ গাল্ফ নিউজকে বলেছেন, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরেই মিশরীয়দের জীবনে সুজান মুবারকের বেশ সক্রিয় প্রভাব ছিল। তিনি যদি স্মৃতিকথা লিখেন সেটা বস্তুনিষ্ঠ হোক আর না হোক অবশ্যই যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করবে। গত বছর অনলাইনের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সুজান মুবারক ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তার স্মৃতিকথা প্রকাশের জন্য বৃটিশ প্রকাশক ক্যাননগেটের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। মিশরের রোজ আল ইউসুফ ম্যাগাজিনের আর্টিকেলের ভিত্তিতে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সুজান মুবারকের স্মৃতিকথার নাম হচ্ছে ‘ইজিপ্টশিয়ান ফার্স্ট লেডি: ৩০ ইয়ার্স অন ইজিপ্ট’স ক্রাউন’। লন্ডনের একজন প্রবীণ অনুবাদক এটি অনুবাদ করবেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গাল্ফ নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ক্যাননগেট এ ধরনের গুজব অস্বীকার করে বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। আবু-জেইদ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বা লিখতে ইচ্ছুক বলে আমরা কোন কথা শুনিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এ ধরনের স্মৃতিকথা লেখার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে, তার পারিবারিক সমস্যাগুলো একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে এলে তার স্মৃতিকথা লেখার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সুজান মুবারকের স্মৃতিকথা লেখা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও লাইলা গত জুনে ফ্রান্সে ‘মাই ট্রুথ’ নামের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী সাবেক অজনপ্রিয় ফার্স্ট লেডি স্কাইপিতে ফরাসি সাংবাদিক ইয়েভিস দেরাইকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেটার ওপর ভিত্তি করেই এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। এ স্মৃতিকথাতে তিনি বর্তমানে কারাবন্দি থাকা তার স্বামীর নিরাপত্তা প্রধান আলি সেরাইতির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছেন।  

আসাম দাঙ্গায় বাংলাদেশ জড়িত নয়: এনসিএম

আসাম সহিংসতায় সেখানে বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীরা দায়ী নয়। স্থানীয় বোরো উপজাতি ও মুসলমানদের মধ্যকার দ্বন্দ্বের ফলে সেখানে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছে। এ কথা বলেছে, ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটিস (এনসিএম)। ওই দাঙ্গায় যখন বাংলাদেশকে জড়িত করে বিজেপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের রাজনীতিকে উত্তাল করার চেষ্টা করছে, তারা দাঙ্গাকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে তখনই এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে এনসিএম। শুধু তারাই নয়, শুরু থেকেই আসাম দাঙ্গায় বাংলাদেশ জড়িত নয় বলে জোর দিয়ে বলে আসছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এনসিএম চেয়ারম্যান ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, তারা এ বিষয়ক রিপোর্ট পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরপর তিনি পিটিআই’কে বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন- তিনি রিপোর্ট পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, আসামে যে দাঙ্গা চলছে তাতে বাংলাদেশী অভিবাসীরা জড়িত নয়। এ দাঙ্গা হলো আসামের খ্রীস্টান বোরো উপজাতি ও মুসলমানদেও মধ্যে। তবে রিপোর্টে স্বীকার করা হয়, কোন কোন সীমান্তের ফাঁকফোকড় দিয়ে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ কওে থাকে মাঝেমধ্যে। কিন্তু এই দাঙ্গায় বাংলাদেশীদের জড়িত থাকার কোন তথ্য মেলেনি। তিনি বলেন, মুসলমানরা দাঙ্গার সময় যখন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন তখনই সেখানে লুটপাট করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য এনসিএম একটি প্যানেল গঠন করে। তারা তাদেও বক্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে দিয়েছেন।

বিচারকের রায়ে ভেঙে গেল বাংলাদেশী যুবতীর বিয়ে

বৃটেনে বিচারকে রায়ে ভেঙে গেল বাংলাদেশী এক যুবতীর বিয়ে। যাকে নিয়ে তিনি এতদিন ঘরসংসার করেছেন সেই স্বামী এখন তার কাছে অচেনা। তার সঙ্গে তিনি আর সংসার করতে পারবেন না। পারিবারিকভাবে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক যুবতীকে। তার নাম, ঠিকানা জানা যায়নি। কিন্তু আদালত সেই বিয়েকে বাতিল বলে রায় দিয়েছেন। ওই যুবতী বিকলাঙ্গ ও তার রয়েছে শিক্ষায় অনেক সমস্যা। তার পিতা-মাতা তাকে নিয়ে বাংলাদেশে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়, যাতে সে তার স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারে। জানা গেছে, তার স্বামী তারই এক কাজিন। এ বিষয়টি আদালতে ওঠার পর শুনানি হয়। অবশেষে বিচারপরিত পার্কার রায় দেন, যেহেতু ওই যুবতীর মধ্যে বিয়ে কি জিনিস এমন কোন ধারণা নেই, তাই তার বিয়েকে ইংল্যান্ডে বাতিল বলে গণ্য হবে। এ সময় ওই যুবতীর পরিবার আদালতে আর্জি তোলে। তারা বলে, তার মতেই বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গালফ টুডে। এতে বলা হয়, ২০০৩ সালে ওই যুবতীকে বিয়ে করাতে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তাকে তার এক কাজিনের সঙ্গে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়। বরকে ইংল্যান্ডে গিয়ে বসবাসের শর্ত বরপক্ষ মেনে নেয়। এরপরই তাদের বিয়ে হয়। বর-কনে বিয়ে শেষে ফিরে যায় ইংল্যান্ডে। কিন্তু সে খবর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চলে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ গিয়ে তাতে তদন্ত করে। তারা বিষয়টি আদালতের নজরে নেয়। তখন ওই যুবতীর পিতামাতা বলেন, তাদের মেয়ে বিকলাঙ্গ। তার চলাফেরায় নিরাপত্তা নেই। তাই তারা তাকে একটি নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাকে বিয়ে দিয়ে তার স্বামীকে ইংল্যান্ড নিয়ে গিয়েছেন। তবে কোন যুক্তিই শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। বিচারক ওই বিয়েকে বাতিল ঘোষণা করেন।

দুবাইয়ে ১০ বাংলাদেশীর চোখে নতুন স্বপ্ন

 নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন এখন দ্বুাইয়ে অসহায় অবস্থায় পড়া ১০ বাংলাদেশীর। তাদেরকে নিয়োগকারী কোম্পানি ফেলে যায়। ফলে তাদেও অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। তারা একটি নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠানের বাইরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে! তাদের জন্য সহায় জুটে গেল। তারা নতুন কাজ পেলেন। ভিসা পেলেন। আর তাই আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন ওই ১০ বাংলাদেশী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন খালিজ টাইমস। তবে ওই ১০ বাংলাদেশীর নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্টে বলা হয়েছে, তাদের শোচনীয় অবস্থা দেখে কাজে নিয়োগ করেছে কেলে কনট্রাক্টিং নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই ১০ জনের মধ্যে ৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে হেলপার বা সহায়তাকারী, একজনকে ওয়েল্ডার, দু’জনকে স্টিলের কাজে, দু’জনকে কাঠমিস্ত্রি, একজনকে রাজমিস্ত্রি এবং একজনকে সহকারী স্টোর কিপার হিসেবে নিয়োগ দেংয়া হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, এর আগে তাদেরকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অনেক মাস ধরে বেতন দেয়নি। তাদেরকে সে অবস্থায় তারা পরিত্যক্ত করেছে। কারণ, ওই কোম্পানিকে ঋণ শোধ না করার কারণে আদালত দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। ওই ১০ বাংলাদেশীর একজন বলেন, আমরা শুরুতে দলে ৩০ জন ছিলাম। কিন্তু আমাদের অনেক বন্ধুকে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব তাদের আশ্রয়স্থলে ঠাঁই দিয়েছে। তারা চলে যাওয়ার পর আমরা ১০ জন মিলে দুবাই ইনভেস্টমেন্ট পার্কেও কাছে প্রচণ্ড গরমে, বিদ্যুত ও পানিবিহীন দিনরাত কাটাচ্ছিলাম। এভাবে কাটছিল আমাদের মাসের পর মাস। কিন্তু আমাদের ভাগ্যে কোন পরিবর্তন হচ্ছিল না। অবশেষে আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কেলে কনট্রাক্টিং-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যানড্রু ইলিয়াস বলেন, এ সব অসহায় বাংলাদেশীদেও সহায়তা করতে পেওে আমরা আনন্দিত বোধ করছি। তাদেরকে আমরা নিয়োগ করায় তারা ফের নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাবে। এতে তারা নিজেদের ও দেশে রেখে আসা পরিবারকে সহায়তা করতে পারবে। তারা তাদের এই পরিণতির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তাদেরকে যে প্রতিষ্ঠান চাকরিতে নিয়োজিত করেছিল তাদেরকে বলা হয়েছিল প্রতিজন শ্রমিককে ২ হাজার দিরহাম ও একটি করে বিমান টিকেট দিতে, যাতে তারা দেশে ফিরতে পারে। কিন্তু তাদের সামান্য দু’একজন তা হাতে পেয়েছেন। এসব মানুষের অনেকেরই পরিবার আছে দেশে। তারা এদের ওপর নির্ভরশীল। ওই সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের কি হয়! তাই আমরা এগিয়ে গিয়েছি তাদের সহায়তা করতে।

Friday, August 17, 2012

একজন সালমাকে নিয়ে এক বাংলাদেশীর কাণ্ড

কুয়েতে এবার যৌন বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে এক বাংলাদেশী ও এক ভারতীয় নাগরিকের বিরুদ্ধে। ভারতীয় ওই নাগরিক ফিলিপাইনের এক গৃহপরিচারিকাকে ২০০ দিনারে বিক্রি করে দেয় বাংলাদেশী এক দালালের কাছে। সে তাকে কিনে নিয়েই বাধ্য করে দেহ ব্যবসায় নামতে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আরব টাইমস। এতে বলা হয়, ফিলিপাইনের ২৯ বছর বয়সী যুবতী গৃহপরিচারিকা সালমা (পরিবর্তিত নাম)। ২০১১ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি কুয়েতে যান কাজ নিয়ে। কাজ করছেন কুয়েতে এক বাসায়। কিন্তু সেখানে অতিরিক্ত কাজ করানো হতো তাকে দিয়ে। পর্যাপ্ত ঘুমানোর সময় পেতেন না। এ কারণে তিনি ১৭ই জুলাই সাবাহিয়া এলাকায় তার মালিকের বাসা থেকে পালান। এরপরই পড়েন ভারতীয় এক দালালের খপ্পরে। এ সম্পর্কে সালমা বলেন, আমি আর কাজের ভার সইতে পারছিলাম না। তাই আমি মালিকের বাসা থেকে পালাই। ওই বাসায় প্রতিদিন আমাকে সকাল ৬টায় ঘুম থেকে উঠতে হতো। বিরতিহীন কাজ করতে হতো দুপুর ১টা পর্যন্ত। আমি ঠিকমতো ঘুমাতে পারতাম না। ঠিক এমন অবস্থায় আমাকে একজন ফোন করে। সে নিজেকে ভারতীয় বলে পরিচয় দেয়। আস্তে আস্তে সে আমার বন্ধু হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে সে আমাকে অন্যত্র ভাল চাকরি দেয়ার লোভ দেখায়। ওই সময় আমি খুব বিরক্ত ছিলাম। আমি সিদ্ধান্ত নিতে পারছিলাম না। এরই মধ্যে আমাকে মালিকের এক ভাই ধর্ষণের চেষ্টা করে। তাই পালিয়ে যাই। ওইদিন আমার মালিকের বাসার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল ওই ভারতীয়। আমি বাসা থেকে বের হওয়ামাত্র সে আমাকে একটি গাড়িতে ওঠায়। কিন্তু আমার মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধে। আমি তাকে বলি, আমার কাজ দেয়া এজেন্সির কাছে পৌঁছে দিতে। কিন্তু সে আমাকে নিয়ে যায় জিজিব আল শুইয়খ এলাকায়। সেখানে এক বাংলাদেশীর কাছে আমাকে বিক্রি করে দেয়। আমি সেখান থেকে পালিয়ে আসার চেষ্টা করি। কিন্তু তারা আমাকে একটি রুমের ভিতর আটকে রাখে। তারপর ওই বাংলাদেশী আমাকে ধর্ষণ করে। আমি তখন সাহায্যের জন্য চিৎকার করি। কিন্তু সে আমাকে হুমকি দেয়। বলে, চিৎকার করলে আমাকে হত্যা করবে। আমার ঠোঁট কেটে ফেলবে। এর দু’দিন পর সে আমাকে একটি যৌনপল্লীতে নিয়ে যায়। আমি মুক্তি পাওয়ার জন্য আর্তনাদ করি। কিন্তু আমার সব কান্না বিফলে গেল। আমাকে সেখানে একটি জীর্ণ রুমে আটকে রাখা হয়। সেখানে শুধু কিছু মাদুর ছিল। বিভিন্ন দেশের পুরুষ আমার রুমে আসা শুরু করলো। তারা সবাই আমার শরীর ভোগ করলো। প্রতিদিন কতজন খদ্দেরের মনোরঞ্জন করতে হয়েছে আমার তা ঠিকমতো মনে নেই। এসব বলতে বলতে কান্নায় ভেঙে পড়েন সালমা। তিনি বলেন, একেক দিন আমাকে এক এক জায়গায় নিয়ে রাখা হতো। প্রতিজন খদ্দেরের কাছ থেকে ওই বাংলাদেশী ৫ দিনার করে আদায় করতো। এর ভিতর থেকে ওই বাংলাদেশী আমাকে দিতো মাত্র ১ দিনার। আমি ফের মুক্তি চাইলাম। কিন্তু সে আমাকে হত্যার হুমকি দেয়। সালমা বলেন, এ অবস্থায় ওই পতিতালয়ে আমি ফিলিপাইনের ৩ জন মেয়েকে দেখতে পাই। এছাড়া, সেখানে ইন্দোনেশিয়ার মেয়েও ছিল। কিন্তু আমাদেরকে একের সঙ্গে অন্যকে কথা বলতে দেয়া হতো না। আমি মুক্তির পথ খুঁজতে থাকি। গত ১০ই আগস্ট ওই বাংলাদেশী ও তার সহযোগীরা সকাল ৭টায় যখন গভীর ঘুমে তখন আমি পালাই। কারণ, তখন আমার রুম তালা দেয়া ছিল না। তাই আমি চুপিসারে রান্নাঘরে যাই। সেখানে ছোট্ট একটি জানালা। সেটাতে তোয়ালে, তার সঙ্গে বাঁধি একটি বেডশিট। তা বেয়ে নেমে যাই একতলায়। সেখান থেকে লাফিয়ে নিচে পড়ি। তারপরই একটি ট্যাক্সি ধরে এর চালককে ফিলিপাইনের দূতাবাসে যেতে বললাম। সেখানে গিয়ে সালমা কান্নায় ফেটে পড়েন। তিনি গালফ টাইমসের কাছে আকুতি জানান, ওই বাংলাদেশীকে ও তার সহযোগীদের যেন উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হয়। সালমা তার দেশের দূতাবাসে যাওয়ার পর  সেখানকার অ্যাসিস্ট্যান্স টু ন্যাশনালস ইউনিট হেড দালিডিগ ইব্রাহিম তানান্দাতো দূতাবাসকে নির্দেশ দেন- ওই পতিতালয়ে আটক অন্য তিন ফিলিপাইনের মেয়েকে উদ্ধারের পদক্ষেপ নিতে। তদন্তের স্বার্থে ওই বাংলাদেশী ও তার সহযোগীদের নাম প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্টে।

Monday, August 13, 2012

প্রতিদিন একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষের ইফতার

পবিত্র রমজানে প্রতিদিন ২০ হাজার মানুষকে ইফতার খাওয়ানো হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের শেখ যায়েদ গ্রান্ড মসজিদে। আর তাই দলে দলে মানুষ সূর্য ডোবার আগেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে বড় মসজিদটিতে যেতে শুরু করেন। সবাই গিয়ে ইফতারের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন মসজিদের সঙ্গে লাগোয়া গণতাঁবুতে। তারপর আযানের সঙ্গে সঙ্গে আবির্ভাব হয় এক অভূতপূর্ব দৃশ্যের। বিভিন্ন রং ও বর্ণের হাজার হাজার মানুষ একসঙ্গে এক কাতারে বসে ইফতার করেন। ২০ হাজার মানুষের এক সঙ্গে ইফতার করার অন্যরকম অনুভূতির এই দৃশ্য রমজানের প্রতিদিনের চিত্র স্বনামধন্য মসজিদটির। গালফ নিউজকে মসজিদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এ বছর ৬ লাখের বেশি মানুষ ইফতার করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। রোজাদার আল্লাহর বান্দাদেরকে ইফতার করানোর জন্য মসজিদ সংলগ্ন বাগানে ১০টি এসি তাঁবু বসানো হয়েছে। প্রতিটি তাঁবুতে নারী ও শিশুদের জন্য পুরুষের থেকে আলাদা স্থান বরাদ্দ করা আছে। প্রতিটি তাঁবুতে মোট ১৫শ’ জন একসঙ্গে ইফতার করতে পারেন। ২০০৪ সালে আরব আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা শেখ যায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের মৃত্যুর পর থেকে প্রত্যেক বছর সাধারণ মানুষের জন্য এই ইফতার সেবা দেয়া হচ্ছে। শেখ যায়েদের অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা ও আবুধাবি সরকারের গরিবদের প্রতি সহায়তার অঙ্গীকার পূরণের পদক্ষেপ হিসেবে এই আয়োজন বলে জানিয়েছেন মসজিদটির পরিচালক ইউসুফ আল ওবাইদি। প্রতি বছর এই ইফতারে অংশ নেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। ২০১১ সালে ৫ লাখের মতো মানুষ সেখানে ইফতারে অংশ নিয়েছে। এই বছর তার থেকে ১ লাখ মানুষ বেশি অংশ নেবে বলে আশা করছে কর্তৃপক্ষ। এত বিপুলসংখ্যক মানুষের জন্য খাবার তৈরির জন্য দৈনিক ভিত্তিতে শ্রমিক দ্বারা করানো হয়। ৬ ঘণ্টার বেশি সময় নিয়ে রাজধানীর আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ক্লাবে রান্না করা হয় খাবার। যাতে হাজার হাজার কেজি বিভিন্ন ধরনের সবজির সঙ্গে ১০ হাজার কেজির বেশি মুরগি রান্না করা হয় প্রতিদিন। অন্যদিনের তুলনায় শুক্রবার বেশি মানুষ (৩০ হাজার) আসেন ইফতার করার জন্য। মসজিদ কর্তৃপক্ষের নিজস্ব লোকবলের সঙ্গে আবুধাবি পুলিশ ও সিভিল ডিফেন্সের ১শ’ স্বেচ্ছাসেবী ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে সফলভাবে আয়োজন সম্পন্ন করার জন্য। এছাড়াও মসজিদটিতে প্রায় ১০ হাজার মুসল্লির নির্বিঘ্ন তারাবির নামাজ সম্পন্ন করার জন্য এসি ও আউটডোর এয়ারকুলারসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে কর্তৃপক্ষ।
Source: The daily Manabzamin, 13-08-12

ওমানে এক বাংলাদেশীর ভৌতিক বিল

বাংলাদেশ প্রবাসী মোহাম্মদ কোকাম। ওমানের মাসকাটে এক রুমের বাসায় বসবাস তার। সোহার এলাকার ওই এক রুমে তার এক মাসের বৈদ্যুতিক বিল এসেছে ১২৭৮.৩২৫ ওমানি রিয়াল। তার ঘরে একটি এয়ারকন্ডিশনার আছে- এই যা। তাও তিনি চালান শুধু রাতের বেলায়। তিনি একটি ফার্মে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি বলেছেন, কাজের জন্য সারাদিন আমাকে বাইরে থাকতে হয়। কিভাবে আমাকে এই বিপুল পরিমাণের বিল দেয়া হলো তা ভেবে আমি বিস্মিত। আমাকে বিদ্যুতের যে বিল দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যায়, ১২ই জুন থেকে ১১ই জুলাই পর্যন্ত আমি ব্যবহার করেছি ৬৯৬৩ ইউনিট বিদ্যুৎ। মোহাম্মদ কোকাম বলেন, এই ভৌতিক বিল পাওয়ার পর আমি আমার বাড়ির মালিকের কাছে গিয়েছি। তার সঙ্গে আমি বিদ্যুতের মিটার চেক করে দেখেছি। তাতে সব কিছু ঠিকঠাক আছে। এ নিয়ে বিদ্যুৎ কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা আমাকে একটি অভিযোগ দিতে বলেন। আমি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। তারা আমাকে আশ্বস্ত করেছেন, এ নিয়ে তদন্ত হবে। কিন্তু এরই মধ্যে তারা আমার বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে। বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আমাকে যেন নির্যাতন করা হচ্ছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ওমান।

ফেসবুকে স্বপ্নযুবকের সঙ্গে প্রেম স্বামী-সন্তান ফেলে পালিয়েছেন অঞ্জু

সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক যেমন নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ে দিচ্ছে তেমনই ভেঙে দিচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কও। ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক ভাঙাগড়ার এক ঘটনা তুলে ধরেছে গালফ নিউজ। নিজের স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে ফেসবুকে চ্যাটের মাধ্যমে বন্ধুত্ব হওয়া নতুন বয়ফ্রেন্ডের কাছে পালিয়ে গেছেন বিহারের অঞ্জু দেবী। শ্বশুরবাড়ি ও বাপের বাড়ির কারও সঙ্গে কোন যোগাযোগ না করে লুকিয়ে লিভ টুগেদার করে আসছিলেন তারা। অঞ্জু পালানের পর কোন খোঁজ না পেয়ে তার পিতা তার শ্বশুরপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। তার সন্দেহ ছিল বিহারের সাধারণ চিত্রের মতোই তারা হয়তো যৌতুকের দাবিতে অঞ্জুকে হত্যা করে থাকবে। কিন্তু পুলিশ যখন দেখেছে পালিয়ে যাওয়া অঞ্জুর শিক্ষক স্বামীর এটিএম কার্ড ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে তখনই সন্দেহ হয় তাদের। তারপর মোবাইল কলের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ তাকে ও তার বয়ফ্রেন্ড কৃষ্ণ রামরাওকে বৃহস্পতিবার হায়দারাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। তারপরেই এ ঘটনা আলোচনায় আসে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে অঞ্জু জানিয়েছেন, তিনি গ্রামের একজন শিক্ষককে বিয়ে করেছেন। তবে গ্রাম্য জীবন তার পছন্দ নয়। শহরের আধুনিক জীবন ভালবাসেন তিনি। ফলে আধুনিক লাইফস্টাইল উপভোগ করার জন্য ও শহরে বসবাস করার জন্য তিনি পালিয়েছেন। অঞ্জু নিজেও একজন শিক্ষক এবং ২০০২ সালে তাদের বিয়ে হয়। শহরে থাকার জন্য নিজের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরই হায়দারাবাদের ডিভোর্সি যুবক কৃষ্ণের সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। অঞ্জু তাকে তার ‘স্বপ্নযুবক’ হিসেবে বেছে নেন, যে একটি বড় শহরে বাস করে। যার মাধ্যমে মেগাসিটিতে বাস করার তার স্বপ্ন পূরণ হবে বলে ধরে নেন তিনি। তারপর যখন তাদের বন্ধুত্ব পূর্ণ ভালবাসায় রূপ নেয় তখনই স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এ বছরের ১লা জানুয়ারি বিহারের পাটনা জংশন থেকে তাকে নিয়ে যান কৃষ্ণ। তারপর থেকেই স্বপ্নের বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে  বাস করে আসছেন অঞ্জু।
তারপর গোপনে পুলিশ এসে ধরে জেলে দেয়ার আগ পর্যন্ত তারা আধুনিক লাইফ স্টাইলে জীবনযাপন করে আসছিলেন। পুলিশের হেফাজতে অঞ্জু তার সাবেক স্বামী সন্তানের কাছে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছেন। ফলে তার স্বামী মনোজও তাকে নিয়ে ঘর না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সে মুক্ত মনের নারী, যে গ্রামকে ঘৃণা করে। ফলে তার সঙ্গে থাকার চিন্তা করা যায় না। ডিভোর্সই হবে সবচেয়ে ভাল উপায়। মনোজ বলেছেন, স্ত্রীর শহরে থাকার ইচ্ছাকে সম্মান করে তিনি পাটনা শহরে প্লট কিনেছেন। কিন্তু সব আশা এখন শেষ।
এই দুর্ভাগ্যজনক স্মৃতি কখনও ভুলবেন না তিনি। তবে পুলিশ ভাবছে এখন তার সাত ও চার বছর বয়সী দু’সন্তানের দেখাশোনা কে করবে।
Source: The daily Manabzamin,   13-08-12

Sunday, August 12, 2012

অন্ধ্রপ্রদেশে প্রতিদিন ২২ নারী গুম

মানবপাচারের বৃহৎ নেটওয়ার্কের উপস্থিতির কারণে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশে এ বছর প্রতিদিন গড়ে ২২ জন নারী গুম  হয়েছেন। পুলিশের এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এই তথ্য। গত চার বছরে রাজ্যে মোট গুম হওয়া নারী ও শিশুর সংখ্যা ২৩ হাজার ৭৬০ জন। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। রাজ্যের পুলিশ ও মহিলা ও শিশু কল্যাণ বিভাগের যৌথ প্রতিবেদনে উদ্বেগজনক হারে নারী ও শিশু পাচার বেড়ে যাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২০০৯ সাল থেকে রাজ্যে মোট গুম হওয়া মানুষের সংখ্যা ৪৭ হাজার ১৮১। যার মধ্যে ১৬ হাজার ৭৮৭ জন শিশু ও ১২ হাজার ৮৮২ জন নারী। রাজ্যে গুম হওয়া মোট শিশুর মধ্যে ৬৬ ভাগই মেয়ে শিশু। এ সংখ্যা ১০ হাজার ৯৩৮। ২০১২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত মোট গুম হওয়া শিশুদের (২৭৮৬) মধ্যে মেয়ে শিশুর সংখ্যা ১৯৫৫ জন। যার অর্থ প্রতিদিন গড়ে ১০ মেয়ে শিশু গুমের শিকার। আর এ সময়ের মধ্যে গুম হওয়া নারীর সংখ্যা ২৫১৯। যার দৈনিক গড় হচ্ছে ১২ জন। সরকারি হিসেবে গত চার বছরে গুম হওয়া এসব নারী ও শিশুর কোন সন্ধানই পাওয়া যায়নি। এর অর্থ হচ্ছে এরা সবাই পাচারের শিকার হয়েছেন। হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তিদের সন্ধান লাভের জন্য তাদের মামলার বিবরণ দিয়ে একটি ওয়েবসাইট খুলেছে রাজ্য পুলিশ।
Source: The Daily Manabzamin

৪৬ লাখ টাকার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের আরেফিন


এবার আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরান প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন আইন আল আরেফিন। সমপ্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরান অ্যাওয়ার্ড (ডিআইএইচকিউএ) প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। ঢাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তান আরেফিন এ জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। পুরস্কৃত হয়েই তিনি বলেন, এ পুরস্কার পাইয়ে দেয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার অনুগ্রহ কামনা করছি। দ্বিতীয় হিসেবে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ দিরহাম, যা বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ৪৬ লাখ। এখানেই তার মিশন শেষ নয়। তিনি আগামী বছর কুয়েতে অনুষ্ঠেয় একই রকম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান। আরেফিনের লক্ষ্য মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা। আরেফিন বলেছেন, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর। তিনি আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এ জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। আমি প্রতিযোগিতায় প্রথম না হলেও আমি ফল নিয়ে খুশি। এই পুরস্কারের অর্থ আমি আমার পিতার হাতে তুলে দেবো। কারণ তিনি খুব কষ্টে আমাদের সংসার চালান। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন কুয়েতের শেখ খালিদ জসিম। তিনি পেয়েছেন ২ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন আমি বা আপনি পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করি তখন যদি আমরা বুঝতে পারি আমরা কি তেলাওয়াত করছি তাহলে বাকি বিশ্বের কথা আমাদের কল্পনা থেকে সরে যাবে। এমন আনন্দ এমন প্রশান্তি কেউ জীবনে পেতে পারে না। তৃতীয় হয়েছেন চাদের ইয়াকুব আদম হাসান। পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম। এসব হাফেজের অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ড (ডিআইএইচকিউএ) জিতবেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই বসে থাকেননি কুয়েতি তরুণ শেখ খালিদ জসিম (২০) চেষ্টা চালিয়ে গেছেন অবিরাম। পাঁচবার অংশ নিয়েছেন প্রতিযোগিতায়। কিন্তু সফল হননি। হাল ছেড়েও দেননি খালিদ। অবশেষে কাঙিক্ষত প্রতিযোগিতায় এবার বিজয়ী হয়েছেন তিনি। খালিদ বলেন, বিজয়ী হিসেবে নিজের নাম শোনার পর বিস্ময় ধরে রাখতে পারিনি। খালিদের পরিবারের অনেক সদস্যই হাফেজ। তাই তিনি সব সময় স্বপ্ন দেখতেন ডিআইএইচকিউএ জয় করার। তিনি বলেন, পুরস্কার জিতে আমি অনেক খুশি। মহান আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মেহনতী ও মেধাবী ছাত্র খালিদ মাত্র ১০ বছর বয়সে হিফজুল কোরআন (পবিত্র কোরআন মুখস্থ করা) শুরু করেন ও ১৩ বছর বয়সে পবিত্র কোরআন সম্পূর্ণ মুখস্থ করেন।

দুই ওবামা’র দুই ভুবন

 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ওভাল অফিসে বসে দেশ শাসনের সঙ্গে সঙ্গে এয়ারফোর্স ওয়ানে করে বিশ্ব ভ্রমণের স্বাদ নিচ্ছেন। কিন্তু তারই সৎভাই জর্জ ওবামা আফ্রিকার সবচেয়ে জঘন্য বস্তিতে জীবন ধারণ করছেন। বারাক ওবামা যখন ক্ষমতার সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছেন ঠিক তখনই তার সৎভাই জর্জ লড়াই করছেন মাদকাসক্তির সঙ্গে। এক সময়ে তিনি হেরোইনেও আসক্ত ছিলেন। ৩০ বছর বয়সী জর্জ বলেছেন, নিজের নামের উপাধি এখন তার কাছে প্রায়ই বোঝা বলে মনে হয়। ডেইলি মেইল জানিয়েছে, এই দুই ওবামার পিতা একজন হলেও বারাক ওবামা হলেন আমেরিকান মায়ের সন্তান। হাওয়াইতে তার জন্ম। আর জর্জ ওবামা জন্মেছেন কেনিয়াতে ওবামা সিনিয়রের চতুর্থ স্ত্রীর গর্ভে। আজ বারাক ওবামা হোয়াইট হাউসে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। এয়ারফোর্স ওয়ানে করে সারা বিশ্বে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। বিশ্বব্যাপী তার আজ বন্ধুর অভাব নেই। আর জর্জ ওবামার অবস্থান আফ্রিকার বস্তিতে। দারিদ্র্যের কষাঘাতের সঙ্গে তিনি যেন লোহার শেকলের মতো বাঁধা পড়ে আছেন। বারাক ওবামার কট্টর সমালোচক বলে পরিচিত এক ব্যক্তি একটি প্রমাণ্যচিত্র নির্মাণের প্রয়োজনে জর্জকে অংশ নিতে রাজি করায় তার জীবন-যাপনের বিস্তারিত সংবাদ শিরোনামে চলে আসে। ‘২০১৬’ শিরোনামের প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করছেন ‘শিন্ডলার’স লিস্ট’ এর সঙ্গে জড়িত নেপথ্যের নির্মাতারা। এ প্রামাণ্যচিত্রে মূলত ওবামা আবার নির্বাচিত হলে পরিস্থিতি কেমন হতে পারে- সেটাই তুলে ধরা হয়েছে। অবশ্য প্রামাণ্য চিত্রে জর্জ সরাসরি বারাক ওবামার কোন সমালোচনা করেননি। এর মূল পরিকল্পনা করেছেন মার্কিন লেখক ডিনেশ ডি’সুজা। তার ‘দি রুট অব ওবামা’র রেজ’ এ ওবামাকে তিনি একজন আত্মকেন্দ্রিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে তুলে ধরেছেন। জর্জ নিজে ‘হোমল্যান্ড’ নামের একটি স্মৃতিকথা লিখেছেন। ২০১২ সালে প্রকাশিত এ স্মৃতিকথায় তিনি কেনিয়াতে একজন মধ্যবিত্ত ব্যক্তির বেড়ে ওঠার স্বরূপ তুলে ধরেছেন। এর মুখবন্ধে বলা হয়েছে, জর্জ ওবামা নাইরোবির বস্তিতে থাকতেই পছন্দ করেন। সেখানে তিনি বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে বস্তিবাসীদের বিশেষ করে শিশুদের সহযোগিতার লক্ষ্যে কাজ করতে চান। স্মৃতিকথাতে জর্জ বলেছেন, আমার ভাই বেড়ে উঠেছেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান দেশের নেতৃত্ব দেবার জন্য। কেনিয়াতে আমার উদ্দেশ্য হচ্ছে এখানকার বস্তিতে বসবাসকারী বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র জনগণের নেতা হওয়া। শুনতে অনেকটা হলিউডের সিনেমার চিত্রনাট্যের মতো হলেও জর্জ নিজেকে বস্তির একটি ফুটবল দলের মূল চালিকা শক্তি হিসেবে দাবি করেন। ‘ওবামা’স চ্যাম্পস’ নামের এ ফুটবল দলটিকে তিনি কেনিয়ার একটি শ্রেষ্ঠ দল হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এ ধরনের ভাল কাজ করায় কেনিয়ার অনেকেই চাইছেন জর্জ যেন কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা মনে করেন, একই পদবির অধিকারী তার ভাই বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী রাজনীতিবিদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাই তার প্রভাবও জর্জের জীবনে পড়বে সেটাই তারা স্বাভাবিক মনে করছেন। জর্জ অবশ্য হেরোইন বা কোকেইন ব্যবহারের কথা অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি এখন স্থানীয়ভাবে চাঙ্গা নামে পরিচিত বিশেষ এক ধরনের চোলাই মদ পান করেন। ইথানল এবং ব্যাটারির এসিডের সমন্বয়ে এ চোলাই মদকে আরও কড়া বানানোর চেষ্টা করা হয়। এ পানীয় পান করে অনেকেই অন্ধ হয়ে গেছেন বা মৃত্যুবরণ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

তাইওয়ানে প্রথম দুই নারীর বিয়ে

তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো গতকাল দুই নারী বৌদ্ধ ধর্মমতে একে ওপরকে বিয়ে করেছেন। এর মাধ্যমে এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র তাইওয়ানে সমলিঙ্গে বিয়ের বৈধতার পথ সুগম হলো বলে অনেকে মনে করছেন। ফিস হুয়াং এবং তার সঙ্গী ইউ ইয়া-টিং দু’জনেই ঐতিহ্যবাহী বিয়ের সাদা গাউন পরে বুদ্ধমূর্তির সামনে একে ওপরকে গ্রহণ করার মন্ত্র পাঠ করেন। ৩০ বছর বয়সী নবদম্পতি যুগলের আশীর্বাদের জন্য প্রায় ৩০০ বৌদ্ধ ভিক্ষু প্রার্থনা করেন। এ বিয়ে পরিচালনাকারী নারী বৌদ্ধ ভিক্ষু শিন ছাও-হুই এ বিয়েকে ঐতিহাসিক ঘটনা বলে উল্লেখ করেন। সামাজিক ন্যায়বিচারের পক্ষে কাজ করা শিন ছাও-হুই বলেছেন, আমরা ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে রইলাম। সামাজিক বৈষম্য প্রতিহত করে এ দুই নারী একে ওপরের জন্য লড়াই করতে প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। দু’জনের পরিবারের পক্ষে কেউই তাদের বিয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন না। এতেই প্রতীয়মান হয় সমকামীরা আসলে পরিবার এবং সমাজের কাছ থেকে কি ধরনের চাপের মুখে রয়েছেন। বিয়ের ঠিক আগ মুহূর্তে হুয়াং বলেছিলেন, আমাদের বাবা-মা আসলে আমাদের বিয়েতে পাশে থাকার কথা জানিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তারা উপস্থিত থাকতে না পেরে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, মিডিয়াকে মানুষ নানাভাবে গ্রহণ করেন। আমরা এ ব্যাপারে তাদের আরও সময় দিতে চাই। আমরা আশা করি বৌদ্ধ ভিক্ষুর এ স্বীকৃতির মাধ্যমে অনেকেরই দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটবে। আমরা আশা করছি সরকার খুব শিগিগিরই সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেবেন। পূর্ব এশিয়ার দেশ তাইওয়ানকে সবচেয়ে উদার সংস্কৃতির দেশ হিসেবে গণ্য করা হয়। তাইওয়ানের সমকামী বিভিন্ন সংগঠন গত কয়েক বছর ধরেই সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে জনসচেতনা বাড়াতে গত বছর একই সঙ্গে ৮০ জন নারী সমকামী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। সেখানে তাদের আত্মীয়স্বজন বন্ধবান্ধব এবং উৎসাহী জনতাসহ প্রায় ১০০০ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। তাইওয়ানে মন্ত্রিসভা ২০০৩ সালে সমলিঙ্গের বিয়েকে বৈধতা দিয়ে এবং সমকামীদেরকে সন্তান দত্তক নেয়ার অনুমতি দিয়ে একটি বিতর্কিত বিলের খসড়া উত্থাপন করেছে। তবে প্রেসিডেন্ট মা ইং-জেউ বলেছেন এ ধরনের কোন আইন নিয়ে অগ্রসর হওয়ার আগে সরকারকে জনমত যাচাই করতে হবে।
Source: The daily Manabzamin
12-08-12

Friday, August 10, 2012

মরুভূমিতে প্রতারণা

মরুভূমির উত্তপ্ত গরমের মধ্যে ৩৬ ঘণ্টা ও ১৬শ’ কিঃমিঃ পথ কোন এসি ছাড়া বাস ভ্রমণে বাধ্য করা হয়েছে ৫০ জন রোজাদার ওমরাহ যাত্রীকে। তাদের বেশির ভাগই এশিয়ান। তাদের সঙ্গে এসি বাসের চুক্তি ছিল। প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। দুবাই’র শারজাহ থেকে পবিত্র মক্কার উদ্দেশ্যে সোমবার ওমরাহ পালনে রওয়ানা হন তারা। শারজাহ’র কিং ফয়সাল মসজিদ থেকে রওয়ানা হওয়া এসব আল্লাহর ঘরের মেহমান মাথাপিছু ১৮শ’ থেকে ২০ হাজার দিরহাম দিয়েছেন তাদের ট্রাভেল অপারেটর আজমান ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস ও আল শামসি ট্যুরসকে। কথা ছিল এসি বাসে ভ্রমণের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু যাত্রা শুরু হওয়ার পর এসি চালু না হওয়ায় কর্তৃপক্ষ বলেছে একটু পরে ঠিক হবে। কিন্তু উল্টো এসির ভেতর থেকে গরম হাওয়া ও মরুভূমির উত্তপ্ত গরমে রোজা অবস্থায় দীর্ঘ ৩৬ ঘণ্টা ভোগান্তিতে কাটাতে হয় তাদের। একজন ওমরাহ যাত্রী ভারতের ইমতিয়াজ বলেছেন, আমরা প্রতারণার শিকার। তারা যেন আমাদের ফুটন্ত ওভেনের মধ্যে ফেলে রেখেছে আমি প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ। আমাদের সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করা হয়েছে আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সীমান্ত থেকে অনলাইন এক্সপ্রেসকে বলেছেন ইমতিয়াজ। নাজিব নামের আরেকজন যাত্রী বলেছেন, আমরা তাদের কাছে পাঁচতারকা মানের সেবা চাইনি। তবে মরুভূমিতে এসি বাসের ন্যূনতম মৌলিক অধিকার থেকে আমাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। আহমদ নামের একজন কম্পিউটার ব্যবসায়ী বলেছেন, এটা একটা উদ্বেগজনক অভিজ্ঞতা। আমরা ট্রাভেল অপারেটরকে কয়েকবার বলেছি। কিন্তু আমাদের ট্যুর গাইড কেবল বাস পরিবর্তন করে এসি বাস দেয়ার সান্ত্বনাই দিয়েছেন। উল্টো বাসের নষ্ট এসি থেকে গরম বাতাস মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে। বলেছেন আরেকজন পবিত্র ঘরের মেহমান। আমীর আলী নামের একজন ব্যাংকার জানিয়েছেন, তিনি আগেরকার বিমানে গিয়েছিলেন পবিত্র ওমরাহ পালন করার জন্য। তবে এবার বন্ধুদের নিয়ে ভিন্ন অভিজ্ঞতার জন্য সড়কপথে এসেছেন। তিনি জানান, এসি ছাড়া বাসে সত্যিকারই তার ভিন্ন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আরব উপদ্বীপের ট্যুরস এজেন্সিগুলোর দায়িত্ব ওমরাহ ও হজযাত্রীদের নিরাপদ ও আরামদায়কভাবে পবিত্র ভূমি মক্কা শরীফে পৌঁছে দেয়া। তবে বেশির ভাগ বাস অপারেটরই নিয়ম-নীতি মানে না। তারা খারাপ গাড়ি ও দীর্ঘ ভ্রমণের জন্য মাত্র একজন ড্রাইভার পাঠায়। আর এতে করে হুমকির মুখে পড়ে পবিত্র হজ ও ওমরাহ যাত্রীদের নিরাপত্তা।

বাংলাদেশের জুটিন জিতলো ৫০০০০ ডলারের পুরস্কার

বাংলাদেশে পাট থেকে তৈরি নির্মাণ সামগ্রী ‘জুটিন’ জিতে নিয়েছে ৫০ হাজার ডলারের শীর্ষ পুরস্কার। এ সম্মান অর্জন করেছে বাংলাদেশের গ্রিনোভেশন টেকনোলজির মুহাম্মদ সাইমুম হোসেইন। গ্লোবাল ইনোভেশন থ্রু সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (জিআইএসটি) আয়োজিত বার্ষিক প্রতিযোগিতায় এ সম্মান অর্জন করেছে বাংলাদেশ। দুবাইতে এ বছরের ২৮শে জুন এ পুরস্কারের ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বিজয়ী প্রযুক্তিবিষয়ক বাংলাদেশ, মালয়েশিয়া ও পাকিস্তানের উদ্যোক্তারা পুরস্কার জেতেন। বিজয়ীরা আগামী অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রে জিআইএসটি উদ্যোক্তাবিষয়ক একটি কর্মসূচিতে অংশ নিতে যাবেন। অনলাইন সায়েন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নেটওয়ার্কের এক খবরে একথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে পাট থেকে তৈরি জুটিন ওজনে হালকা। তাপ কুপরিবাহী। এতে মরিচা ধরে না। এর সঙ্গে রেসিন মিশিয়ে একে টেকসই ও সামর্থ্যের মধ্যকার একটি নির্মাণ সামগ্রীতে পরিণত করা যায়। এটি দামে সস্তা। ফলে গরিব দেশগুলোতে এবং দুর্যোগপ্রবণ এলাকায় এটি হতে পারে একটি আদর্শ নির্মাণ পণ্য। যে পাট থেকে বাংলাদেশে কাপড় তৈরি করা হয় সেই পাট থেকেই তৈরি করা হচ্ছে জুটিন। গ্রিনোভেশন টেকনোলজিসের পরিচালক অপারেশন মুহাম্মদ সাইমুম হোসেন বলেছেন, ব্যাপক আকারে এ প্রযুুক্তি বাস্তবায়নের জন্য সবকিছু প্রস্তুত। আমরা এখন পরীক্ষামূলকভাবে জুটিন উৎপাদন করছি। এর মধ্য দিয়েই নির্ধারণ করা হবে কোন উপায়ে তৈরি জুটিন দীর্ঘস্থায়ী হয়। বর্তমানে তিনটি ভিন্ন ভিন্ন উৎপাদন প্রক্রিয়া নিয়ে আমরা তিন ধরনের মেশিনারিজের ওপর পরীক্ষা করছি। এ প্রযুক্তি বাস্তবায়ন হলে বিশ্বের কোটি কোটি গৃহহারা মানুষ সস্তায় তাদের বাড়ি বানাতে পারবেন। যেসব এলাকায় দুর্যোগ ঘন ঘন আঘাত হানে সেখানে নির্মাণকাজে এটি ব্যবহার করা যেতে পারে। আমাদের এ কাজে অর্থ সহায়তা পেয়েছি। এগিয়ে এসেছে অংশীদার। তিনি আরও বলেন, উৎপাদন প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হয়ে গেলে আমরা নিশ্চিত জুটিন ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বময়। ওই প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ার আলী রাজা। তিনি পেয়েছেন ২৫ হাজার ডলার পুরস্কার। তিনি আবিষ্কার করেছেন প্রাকৃতিক গ্যাস ডাইজেস্টার। এতে  তৈরি হবে বায়োগ্যাস। তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছেন মালয়েশিয়ার খাইরুল ইদওয়ান বাহারিন। তিনি আলসার, পুড়ে যাওয়া ও ত্বকের অন্যান্য ক্ষতের চিকিৎসায় উদ্ভাবন করেছেন কৃত্রিম ত্বক। এ জন্য তাকে দেয়া হয়েছে ১০ হাজার ডলারের পুরস্কার। সেরা নারী উদ্যোক্তার পুরস্কার পেয়েছেন পাকিস্তানের রুমাইসা মোহানি। তিনি পেয়েছেন ১৫ হাজার ডলার পুরস্কার। তার দল ই-এইড বিশ্বের হাই স্কুল ও কলেজ পড়ুয়াদের শিক্ষা দিয়ে থাকে। ৪৮টি দেশ থেকে ৩৮৫ জন প্রতিযোগী এতে অংশ নিয়েছিলেন। এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির এন্টারপ্রাইজ ফোরাম অব দ্য প্যান আরব রিজিয়নের উদ্যোগে।

Wednesday, August 8, 2012

দুবাই’র সবচেয়ে বড় মসজিদ

বর্তমানে বিশ্বের রাজধানী হিসেবে বিবেচিত শহর দুবাইতে রয়েছে ছোট বড় মোট ১ হাজার ৪১৮টি মসজিদ। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ও জাঁকজমকপূর্ণ মসজিদ হিসেবে ২৯শে জুলাই আল সাফা এলাকায় উদ্বোধন করা হয়েছে আল ফারুক ওমর ইবনুল খাত্তাব মসজিদ। ‘ব্লু মস্ক’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া এ মসজিদটি শেখ যায়েদ রোডের আমিরাত পেট্রোল স্টেশনের পেছনে অবস্থিত। আরব আমিরাতের উচ্চাকাঙক্ষার প্রতীক হিসেবে বানানো স্থাপত্যের অন্যতম নিদর্শন, মসজিদটিতে একসঙ্গে ২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়াও এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে একটি ইসলামিক সেন্টার। মসজিদ ও ইসলামী সেন্টার মিলিয়ে মোট ৮ হাজার ৭শ’ বর্গমিটার জায়গা। তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সপ্তদশ শতাব্দীর সুলতান আহমাদ মসজিদের (এটিও ব্লু মস্ক হিসেবে পরিচিত) অনুপ্রেরণায় এটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে কেবল নামাজের স্থানই হলো-৪ হাজার ২শ’ বর্গমিটার। মসজিদের সঙ্গে ইসলামিক সেন্টার রাখার কারণ হলো-তুরস্কের ‘ব্লু মস্ক’র সঙ্গে মিল রাখা বলে জানিয়েছেন দুবাই’র ইসলামিক অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড চ্যারিটেবল অ্যাক্টিভিটিসের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান মোহাম্মাদ জসিম আল মনসুরি। যদিও তুরস্কে যেমন মসজিদের সঙ্গে হাসপাতাল, কমিউনিটি সেন্টার, পাবলিক কিচেন ও বাজার রয়েছে। কিন্তু আল ফারুক মসজিদে এগুলো রাখা হয়নি। তবে এতে রয়েছে কোরআন শিক্ষার স্কুল, বিভিন্ন ধর্মের বইসহ ৪ হাজার বই ও আন্তঃধর্মীয় সংলাপের জন্য লেকচার হল। ইসলামিক সেন্টারটির ম্যানেজার আবদুল মালেক বলেছেন, আমাদের এই আইডিয়া হলো- হযরত মুহাম্মাদ (সা.)-এর প্রিয় সাহাবী ও ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা.)-এর শাসক হিসেবে সব ধর্মমতের মানুষের প্রতি উদারতা ও সহনশীলতার বিষয়টি তুলে ধরা। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেছেন, জেরুজালেম জয়ের পর ওমর (রা.) ইহুদি ও খ্রিষ্টানদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় মুক্ত করে দিয়েছিলেন। ওমর (রা.) শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের লক্ষ্যকে সামনে রেখে মসজিদে নিয়মিত আন্তঃধর্মীয় সংলাপের আয়োজন করা হবে। দুবাই ভিত্তিক ব্যবসায়ী খালাফ আল হাবতুরের অর্থায়নে তৈরি মসজিদটিকে উসমানীয় সাম্রাজ্য ও আন্দুলসীয় স্থাপত্য স্টাইলের মিশ্রণে বানানো হয়েছে। এর ভেতরের সাজ ও ডিজাইন করা হয়েছে মুসলিম স্পেনের মুরিশ স্থাপত্যকলার অনুসরণে। একে মনোরমভাবে গম্বুজ দিয়ে আকর্ষণীয় করা হয়েছে। ২১টি অর্ধ ও পূর্ণ গম্বুজের সমন্বয়ে ৩০ মিটার উপরে বড় একটি গম্বুজ রাখা হয়েছে। এছাড়াও ৭০ মিটার উচ্চতায় চারটি মিনার রাখা হয়েছে। যা উসমানীয় সাম্রাজ্যের স্থাপত্য রীতিকে মনে করিয়ে দেয়। এটি বিভিন্ন ধরনের ক্যালিগ্রাফি, গ্লাসের নান্দনিক ব্যবহার ও সেরা স্থপতিদের তত্ত্বাবধানে তৈরি, যা একইসঙ্গে মোগল, উসমানীয় ও মুরিশ স্থাপত্যশৈলীর কথা মনে করিয়ে দেবে দর্শককে। ফলে এর নাম আল ফারুক (পার্থক্য নির্ণয়কারী) যথাযথ হয়েছে বলেছেন আল মনসুরি। 

আসামের দাঙ্গায় বাইরের হাত!-সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করলেন তরুণ গগৈ

আসামের দাঙ্গায় বিদেশীদের হাত রয়েছে বলে ইঙ্গিত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এজন্য তিনি ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেছেন। ওদিকে এ দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩। ওদিকে আসামের মূল বিরোধী দল অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের এমপি বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন, আসাম দাঙ্গায় যারা নিহত হয়েছেন তাদের শতকরা ৯০ ভাগই মুসলমান। তিনি বলেন, আমি যদি এ ঘটনার গভীরে প্রবেশ করি তাহলে আমি এর জন্য প্ররোচণামূলক বিবৃতি ও স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসা প্রতিরোধ করাকে দায়ী করবো। আমার দল এ বিষয়ে যেসব তথ্য সংগ্রহ করেছে তা আমি জনসমক্ষে প্রকাশ করতে চাই না। কিন্তু আমি মুখ বন্ধ রাখতে পারি না। কারণ, নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে বলা হয়, তরুণ গগৈ মনে করেন বোরোল্যান্ড টেরিটোরিয়াল এরিয়াস ডিস্ট্রিক্ট (বিটিএডি) ও ধুবরি জেলায় যে দাঙ্গা চলছে তাতে আভ্যন্তরীণ ও বহির্শক্তির হাত রয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়টি উদঘাটনের জন্য আমি সিবিআইয়ের তদন্ত চেয়েছি। এখন কেন্দ্রীয় সরকার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে বাংলাদেশী অভিবাসীরা আশ্রয় নেয়ার অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমার কাছে রিপোর্ট আছে যে- অন্য দেশের ও বিটিএডি’র কাছের অবৈধ অভিবাসীরা আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিচ্ছে। তারা কোথা থেকে এসেছে বা তাদের পূর্ব পরিচয় কি তা যাচাই করা হবে। তবে কোন বহির্দেশীয় ব্যক্তিকে পুনর্বাসন করা হবে না। শুধু খাঁটি ভারতীয় নাগরিকদের পুনর্বাসন করা হবে। তিনি আরও বলেন, অবৈধ অস্ত্র কেড়ে নেয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, গতকাল পর্যন্ত সরকারি হিসাবে এ দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৩। তবে বেসরকারি হিসেবে এ সংখ্যা আরও বেশি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, এ পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে ৭টি শিশুসহ মারা গেছে ১৬ জন। দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে আক্রান্ত এলাকাগুলোতে ৬৫ কোম্পানি আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ওদিকে লোয়ার আসাম জেলায় দাঙ্গা এখনও অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয় জনতা ন্যাশনাল হাইওয়ে-৩১’তে কোকরাঝাড়-ধুবরি এলাকার বেলতলিতে অবরোধ সৃষ্টি করে গতকাল। সোমবার রাতে রানিবুলি গ্রামে একদল দাঙ্গাকারী কিছু লোকের আশ্রয়স্থলে গুলি করে। এতে সেখানেই ৩ জন নিহত হয়। মারাত্মক আহত হয় দু’জন। তাদেরকে গোয়াহাটি মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসামের আইজিপি (ল অ্যান্ড অর্ডার) এল আর বিষ্ণোই বলেছেন, নিহতরা হলেন লক্ষ্মীগঞ্জের। ওদিকে সোমবার রাতে ওই ৩ ব্যক্তিকে হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বেলতলিতে জাতীয় মহাসড়কে বিপুল সংখ্যক মানুষ অবরোধ সৃষ্টি করে। এ অবস্থায় কোকরাঝাড় জেলায় ফের অনির্দিষ্টকালের কারফিউ জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে চিরাং জেলায় গতকাল সকালে উদ্ধার করা হয়েছে একটি মৃতদেহ। রাজাপাড়া এলাকার একটি ক্ষেত থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ওই মৃতদেহটি। এরপর থেকে সেখানে ২৪ ঘণ্টাই কারফিউ বলবৎ করা হয়েছে। সোমবার রাতে চিরাং জেলায় কয়েকটি বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে একজনকে। আসাম পুলিশের আইজিপি (বিটিএডি) এসএন সিং গতকাল বলেছেন, দাঙ্গা যাতে আরও ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সব রকম নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। গতকাল সকালেও সেনাবাহিনীকে ফ্লাগ মার্চ করতে দেখা গেছে তিনটি জেলায়- কোকরাঝাড়, চিরাং ও ধুবরিতে। এ তিনটি জেলায় বোরো উপজাতি ও স্থানীয় মুসলমানদের মধ্যে বেশ কয়েকদিন ধরে চলছে মারাত্মক দাঙ্গা। ওদিকে ছাতিপুর এলপি স্কুলের আশ্রয়কেন্দ্রে উপযুক্ত চিকিৎসা সহায়তা না পাওয়ায় মারা গেছে ৫ বছর বয়সী এক শিশু। এর আগে ৫দিন ধরে শিশুটি অসুস্থতায় ভুগছিল। এ পর্যন্ত বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪। আসাম দাঙ্গা, বিদ্যুতের ঘাটতিসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে ঘায়েল করার জন্য প্রস্তুত বিরোধী দল। আজ পার্লামেন্টের বর্ষাকালীন অধিবেশন বসছে। এতে ইউপিএ সরকার দুর্নীতি বিরোধী বিল ও অন্যান্য আইনি এজেন্ডা সামনে নিয়ে আসবে। ওদিকে আউটলুক ইন্ডিয়াকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আসামের ধুবরি জেলার বিরোধীদলীয় এমপি বদরুদ্দিন আজমল বলেছেন, প্রশাসনের আশীর্বাদপুষ্ট হয়ে প্রত্যন্ত এলাকাগুলোকে সুপরিকল্পিতভাবে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয়েছে। সেখানে শ’ শ’ মৃতদেহ পড়ে আছে। তাতে পচন ধরেছে। কোন পরিবারের কে মারা গেছে বা নিখোঁজের সংখ্যা কত তা নির্ধারণ করতে অনেক সময় লাগবে। অভিযোগ আছে, মুসলমানদের হত্যার বিষয়ে রাষ্ট্র অন্ধের ভূমিকা নিয়েছে। এর জবাবে বদরুদ্দিন আজমল বলেন, সাংবিধানিকভাবে যেসব মানুষকে নিরাপত্তা দিতে বাধ্য মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তারা সেই সব মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন। তাই তার কোন ক্ষমা নেই। এখন এটা দিনের আলোর মতো পরিষ্কার যে, মুসলমানদের হত্যার প্রস্তুতির বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অগ্রিম তথ্য ছিল। কিন্তু তাদেরকে রক্ষা করতে তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। এখন তিনি ডিসি, এসপি, এসডিও, এসডিপিও এবং ওসিদেরকে বদলি করছেন। দোষী কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে এফআইআর হওয়া উচিত এবং অবশ্যই তাদের বিচার হওয়া উচিত। মুখ্যমন্ত্রীর যদি বোধ থাকে তাহলে তার উচিত পদত্যাগ করা। এর জন্য তিনি একাই দায়ী। এখানে উল্লেখ্য, বোরোরা হলো একটি উপজাতি। তারা ব্রহ্মপুত্র উপত্যকায় বসবাসকারী অধিবাসীদের উত্তরসূরি। তারা ১৯৮০’র দশক থেকে আলাদা বোরোল্যান্ড প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলন করছে। ২০০৩ সালে বোরোল্যান্ড একর্ড বা বোরোল্যান্ড চুক্তির মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়। এর মাধ্যমে গঠন করা হয় বোরো টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল। তাদেরকে দেয়া হয় চারটি জেলা শাসনের দায়িত্ব। তাদের সঙ্গে যোগ হয় বোরো ট্রাইবাল এরিয়া ডিস্ট্রিক্ট। সমপ্রতি অবৈধ অস্ত্র বহনের দায়ে সাবেক এক বোরো জঙ্গিকে ধরিয়ে দেয়ায় এক মুসলিম কনস্টেবল ও তার এক আত্মীয়কে গুলি করে হত্যা করে বোরোরা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয় দাঙ্গা।

গরিবদের ১৩৬ কোটি রিয়াল সহায়তা সৌদি বাদশার

যেসব গরিব মানুষ সামাজিক বীমা খাতে অন্তর্ভুক্ত আছেন রমজান মাসের প্রয়োজন মেটানোর জন্য তাদেরকে ১৩৬ কোটি সৌদি রিয়াল (প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা) সহায়তা দেয়ার জন্য আদেশ দিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশা আবদুল্লাহ বিন আবদুল আজিজ। সোশ্যাল অ্যাফেয়ার্স বিষয়ক মন্ত্রী ইউসুফ আল উসাইমিন বলেছেন, সামাজিক নিরাপত্তা একাউন্টে জমা হওয়ার পর শিগগিরই উপকারভোগীদের কাছে সহায়তার অর্থ পৌঁছে দেয়া হবে। মন্ত্রী বলেছেন, বাদশার মানবিক সহায়তা ও রাজকীয় সহায়তা পেয়ে থাকেন বৃদ্ধ, বিধবা, এতিম, ডিভোর্সপ্রাপ্ত ও ছিন্নমূল মানুষেরা। দিকে গালফ অঞ্চলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রম ও বাস্তুচ্যুত সিরিয়ানদের বিশেষ সহায়তা করায় সৌদি বাদশার প্রশংসা করেছে ইউনেস্কো। ইউনেস্কোর গালফ অঞ্চলের প্রতিনিধি ইবরাহিম আল জেইক এক বিবৃতিতে বলেছেন, ইউনিসেফ ও সৌদির পরস্পর সহায়তা অনেক ক্ষেত্রেই শিশুদের রক্ষার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

অনুরাধা: হত্যা না আত্মহত্যা!

ভারতের হরিয়ানা রাজ্যের সাবেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী চন্দর মোহনের সাবেক স্ত্রী ফিজা মোহাম্মদ ওরফে অনুরাধা বালির মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বাঁধছে। তাকে মোহালিতে অবস্থিত ফ্লাটে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তখন তার মৃতদেহ মেঝেতে পড়া ছিল। পচন ধরেছিল তাতে। বিছানার ওপর জড়ো হয়েছিল বেশ কিছু কীটপতঙ্গ। এ অবস্থায় তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে- তা নিশ্চিত করে বলতে পারছে না পুলিশ। ৩৯ বছর বয়সী অনুরাধা বালি ছিলেন হরিয়ানার সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট এডভোকেট জেনারেল। সোমবার পুলিশ তার পচন ধরা লাশ উদ্ধার করে। পুলিশের এক সিনিয়র কর্মকর্তা বলেছেন, ওই সময় অনুরাধার দেহ এমনভাবে পচে গিয়েছিল যে তা থেকে কোন তথ্য উদ্ধার করা সম্ভব ছিল না। তবে প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে যে, তিনি চার বা পাঁচদিন আগে মারা গিয়ে থাকতে পারেন। এ অবস্থায় পরিষ্কার করে বলা যাচ্ছে না, তিনি আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে। তাছাড়া তার ফ্লাট থেকে কোন চিরকুটও উদ্ধার করা যায়নি। প্রতিবেশীরা দুর্গন্ধ পাওয়ার অভিযোগ করলে পুলিশ তার ফ্লাটে অভিযান চালায়। চন্দর মোহন যখন হরিয়ানার উপ-মুখ্যমন্ত্রী তখন তার সঙ্গে বিয়ে হয় অনুরাধার। ওই বিয়ের পরই অনুরাধা লাইমলাইটে চলে আসেন। তাদের বিয়ে নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। এমনকি চন্দর মোহনের পিতা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ভজন লাল তা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। এ অবস্থায় তারা কয়েকদিন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকেন। পরে তারা ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করার পর লোকসম্মুখে বেরিয়ে আসেন। অনুরাধা নাম পাল্টে নাম রাখে ফিজা। চন্দর মোহন তার নাম পাল্টে হয়ে যান চাঁদ মোহাম্মদ। এরপর ফিজা যখন একটি রাজনৈতিক দল গঠন করে রাজনীতিতে নামেন তখন তাদের দাম্পত্যে তিক্ততা দেখা দেয়। সূত্র জানায়, তখন ফিজা বহুজন সমাজ পার্টিতে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। চন্দর মোহন সমপ্রতি তার ছোট ভাই কুলদীপ বিষ্ণোইয়ের সঙ্গে মতপার্থক্য ঘুচাতে সম্পর্ক মাটিচাপা দেন। যোগ দেন হরিয়ানা জনহিত কংগ্রেসে। ২০০৯ সালের হরিয়ানা রাজ্যসভার নির্বাচনে ফিজা তার শ্বশুর ভজন লাল পরিবারের বিরুদ্ধে তীব্র প্রচারণায় নামেন। এ সময় তিনি আদামপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন।

Tuesday, August 7, 2012

হুমায়ূনের ডেথ রিপোর্ট


Source: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTcwMzc=&ty=MA==&s=MTg=&c=MQ==
নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিউ ইয়র্ক থেকে: কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট কিছুটা খুলেছে। নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার অনুসন্ধানী এক রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে অনেক অজানা তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়, কোলন অপারেশনের সংযোগস্থলের জোড়ায় ছিদ্র, সেখান থেকে বর্জ্য কণিকা নিঃসরণ এবং সংক্রমণই হুমায়ূন আহমেদের শোকাবহ মৃত্যুর কারণ। তবে এই ছিদ্র হওয়ার কারণ সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। নিউ ইয়র্কের বেলভ্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩রা আগস্ট শুক্রবার রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকডেল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মুজিব উর রহমান মজুমদারের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলভ্যু হাসপাতালে অপারেশন সফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেখানে ১০ দিন অবস্থান করেছেন ড. হুমায়ূন আহমেদ। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন নিজেই হেঁটে। কিন্তু বাড়িতে আসার একদিনের মাথায় এত জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো কেন সেটা আমাদের জানা নেই। এটা হুমায়ূন আহমেদের সহচর বা পরিজনরাই বলতে পারবেন। ১০ দিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে কোন সমস্যা হলো না। কিন্তু বাড়িতে আসার পর তার ইনফেকশন বা সংক্রমণ কিছুটা অস্বাভাবিক। হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে হুমায়ূন আহমেদ ধীরে ধীরে কিভাবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে রিপোর্টে। ডেথ রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট অনকোলজিস্ট ডা. জি লরেন বাউরেল জর্জ মিলার।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল হুমায়ূন আহমেদের। তার ওপর কোলন ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছিল লিভারে।
বেলভ্যু হাসপাতালে ১২ই জুন কোলন অপারেশনের পর ১৯শে জুন সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়। ২১শে জুন আবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কোলনের অপারেশন স্থলের কাছে ফুটো হয়ে যাওয়া (এনাস্টমিক লিক) সংক্রান্ত জটিলতাই ছিল এর কারণ। এর ফলে ছিদ্রস্থান দিয়ে নিঃসরণ হচ্ছিল মল। এজন্য এটা বন্ধের চেষ্টায় তার অপারেশন স্থল খুলে আরেকটি অস্ত্রোপচার করতে হয়।
এই অস্ত্রোপচারের সময় তাকে এনেসথেশিয়া সহ সবকিছুই দেয়া হয়। কিন্তু পেটের সেলাই খোলার পরই সেখান দিয়ে বেরিয়ে আসে মলসহ বিভিন্ন বর্জ্য। যা নিঃসরণ হচ্ছিল অপারেশনের জোড়ার পাশ দিয়ে। এ সময় তার সেলাইয়ের জায়গায় একটি বড় আকারের গর্তও ধরা পড়ে, যার দুই পাশ দিয়েই বেরিয়ে আসছিল ময়লা।
অপারেশনের পর পর রোগীর রক্তচাপ ও হৃৎকম্পন বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিকভাবে। এই অবস্থায় তাকে স্থানাস্তর করা হয় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। এ সময় তাকে সংযুক্ত করা হয় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস যন্ত্রের সঙ্গে।
জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও রক্তের শ্বেত কণিকা কমতে থাকে। অল্প হলেও যন্ত্র ছাড়াই তিনি কিছুটা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বমি শুরু হয় হুমায়ূন আহমেদের। এটা ছিল পিত্তবমি। বমির প্রচণ্ডতায় এর কিছুটা চলে যায় তার ফুসফুসে। এ অবস্থায় অবনতি শুরু হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের।
সংক্রমণ ও শারীরিক অবস্থাকে গতিশীল রাখতে এই অবস্থায়ও তাকে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন এন্টিবায়েটিক সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছিল। ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে ও প্রস্রাব বৃদ্ধির বিশেষ ওষুধ দেয়ার সিদ্বান্ত নেয়া হয়। 
৩রা জুলাই। হুমায়ূন আহমেদের হৃদকম্পনের মাত্রা আবারও অস্বাভাবিক হতে থাকে। এ অবস্থায় আশঙ্কার কারণে তার শ্বাসনালীতে দেয়া হয় অক্সিজেন টিউব। এর আগে ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ার কারণে পিজটেইল ক্যাথেটার দিয়ে বুকের ডানদিক থেকে বের করে আনা হয় ফুসফুসের পানি।
৪ জুলাই হুমায়ূন আহমেদের শরীরে নতুন উপসর্গ দেখা দেয়। এ সময় তার প্রস্রাবের মাত্রা একেবারেই কমতে থাকে। প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ সিসির জায়গায় তখন এর মাত্রা ছিল মাত্র ১.৭ ফোঁটা মাত্র। এছাড়া মলদ্বারের পেছনেও এক ধরনের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায়। এ অবস্থায় কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয় তার।
৬ই জুলাই। অবস্থার আরও অবনতি হয়। এদিন কলোনের সেলাই খুলে যায়। এ স্থান দিয়ে বেরিয়ে আসে বর্জ্য। এ অবস্থায় এটাকে ধুয়ে পরিছন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ৯ই জুলাই তার আহত অপারেশনস্থল জোড়া লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৩ই জুলাই মুখের পাইপ খুলে গলা দিয়ে অক্সিজেন নল ঢুকানো হয়। হাসপাতালে অবস্থানকালে হুমায়ূন আহমেদকে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন, ক্যাথেটার্স করতে হয়। এ সময় রক্তচাপ ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহকে সচল রাখতে সর্বোচ্চ মাত্রায় একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন- ভ্যানকোমাইচিন, ফ্লাজিল, পিপ্রোফ্লোক্সাসিন, পলিমিক্সিনবি, ইমিপিনেম, ক্যাপসোফিউজিন, ফ্লোকোনাজল ধরনের ওষুধ দেয়া হয়। ১৯শে জুলাই। দুপুল ১টা ১৫ মিনিটের দিকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হন হুমায়ূন আহমেদ। ১.২২ মিনিটে তিনি প্রকৃতই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ সময় তার শরীরের কোন অংশই আর কাজ করছিল না। হৃদযন্ত্র, ব্লাডপ্রেসার সচল রাখতে সর্বোচ্চ মাত্রার ওষুধের সঙ্গে ১০০% অক্সিজেন দেয়ার পরও সেটা নিতে সক্ষম ছিলেন না তিনি। এ অবস্থায় শেষ হয়ে যায় প্রচেষ্টা। ঘোষণা করা হয়, তিনি আর নেই। ডেথ রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- সেপসিস ব্যাকটেরিয়া, যা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছিল।
রিপোর্টে বলা হয়, দ্বিতীয় অপারেশনের আগে রোগীকে সব ধরনের ঝুঁকির কথা অবহিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছিল, অপারেশনের কারণে রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, মৃত্যু, এমনকি স্থায়ী নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হতে পারে। এসব জেনেও তখন হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসায় সম্মতি দান করেন।
রিপোর্টে এর আগে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ২১শে জুন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী জানান, পায়খানা বন্ধ, অনিদ্রা এবং ১০০ ডিগ্রির উপর জ্বরের কারণে হুমায়ূন আহমেদ সারারাত ঘুমুতে পারেননি। এর কারণ জানতেই ইমার্জেন্সিতে এসেছেন তারা।

বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে শঙ্কা

বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের মধ্যে স্বাস্থ্যবর্ধক স্টেরয়েড ওরাডেক্সন ব্যবহারের ফলে তারা মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। শরীরের জন্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিকর এ স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে যৌনকর্মীরা ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ত্বকে ফুস্কুরি ওঠা, মাথা ব্যথা এবং কিডনি বিকলের মতো ভয়াবহ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে পারে। এছাড়া অতিমাত্রায় এটি ব্যবহারে তারা এর প্রতি আসক্তও হয়ে পড়ে। গত সপ্তাহে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করা বিপুল সংখ্যক স্টেরয়েড বহনকারী চার অস্ট্রেলিয়ানকে গ্রেপ্তারের পরপরই বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের এ স্টেরয়েড ব্যবহারে বাধ্য করার বিষয় নিয়ে নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা অ্যাকশন এইড বলেছে, গবাদি পশু গরু মোটাতাজা করণের জন্য ব্যবহৃত স্টেরয়েড ওরাডেক্সন বাংলাদেশের যৌনকর্মীদের মাঝে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়। অ্যাকশন এইড অস্ট্রেলিয়ার নির্বাহী পরিচালক আর্চি ল রেডিও অস্ট্রেলিয়ার কানেক্ট এশিয়া প্রোগ্রামকে বলেছেন, পতিতালয়ের মালিকরা অনেক সময় যৌনকর্মীদের এ ধরনের স্টেরয়েড ব্যবহার করতে বাধ্য করে। এর ফলে নারীদের ওজন বেড়ে যায়। তাদেরকে স্বাস্থ্যবান দেখায়। এ ধরনের হৃষ্টপুষ্ট যৌনকর্মীদেরকেই পুরুষরা বেশি পছন্দ করে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এ স্টেরয়েড ব্যবহারের ফলে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কিশোরীদেরকেও বেশি বয়সী মনে হয়। তিনি বলেছেন, এ স্টেরয়েড ব্যবহারের কারণে ১২ বছরের কিশোরীকেও ১৫-১৬ বছরের তরুণী বলে মনে হয়। এর ফলে তারা পুরুষ খদ্দেরদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে। ২০১০ সালে অ্যাকশন এইড বাংলাদেশ এ ওষুধ ব্যবহারের ভয়াবহতা সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টি এবং এতে আসক্ত নারীদের সহযোগিতা করতে একটি বিশেষ প্রচার অভিযান শুরু করেছিল। আর্চি ল’ বলেছেন, এ ধরনের ওষুধ নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকেও তারা তাগিদ দিচ্ছেন। আর্চি ল’ আশা করছেন, গত সপ্তাহে চার অস্ট্রেলিয়ান আটকের ঘটনা এ সমস্যাটিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে সহায়ক হবে এবং কর্তৃপক্ষ এর বিরুদ্ধে তৎপর হতে উদ্বুদ্ধ হবেন। তিনি বলেছেন, এ গ্রেপ্তার ঘটনা স্টেরয়েড কোথা থেকে আসে সে বিষয়ে প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

Friday, August 3, 2012

ইউটিউবে ভিডিও মন্ত্রী বরখাস্ত

ইউটিউবে নিজের স্বল্প বসনের একটি ভিডিও পোস্ট করার কারণে কোস্টারিকার এক নারী মন্ত্রীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি হলেন কারিনা বোলানোস। ছিলেন যুব বিষয়ক উপমন্ত্রী। তিনি ইউটিউবে যে ডিভিও পোস্ট করেছেন তা বেশ আপত্তিকর। এতে দেখা যায় তিনি তার সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য কাউকে আহ্বান করছেন। তবে সিএনএন টেলিভিশনকে বোলানোস বলেছেন, ওই ভিডিওটি কয়েক বছর আগে ধারণ করা হয়েছিল। তা এক কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার চুরি করে ইন্টারনেটে পোস্ট করে দিয়েছে। এর মাধ্যমে ওই ব্যক্তি তার কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছিল। ওই ভিডিওটি ইন্টারনেটে পোস্ট করার পরই তা লুফে নেয় ব্যবহারকারীরা। ফলে মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে ঘটনা। মঙ্গলবার কোস্টারিকার সংস্কৃতি ও যুব বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ওই ভিডিওটি তার মন্ত্রিত্বে থাকার পক্ষে অনুকূলে নয়। উদভূত পরিস্থিতিতে বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন প্রেসিডেন্ট লরা ছিনছিলা। তিনি দু’বছর আগে ক্ষমতায় এসেছেন। এরই মধ্যে তার মন্ত্রিপরিষদ এ পদত্যাগের চেষ্টা করে। তা নিয়ে তিনি যেমন চাপে রয়েছেন তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হয়েছেন বোলানোস।