Wednesday, August 29, 2012
Sunday, August 26, 2012
টোগোতে যৌন ধর্মঘটের আহ্বান
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ টোগোতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে মহিলাদের প্রতি অভিনব এক পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এক বিরোধী রাজনৈতিক নেত্রী ইসাবেল আমেগানভি। আটক বিরোধী নেতা কর্মীদের মুক্তির দাবিতে আজ থেকে এক সপ্তাহের জন্য স্বামীর সাথে সহবাসে রাজি না হওয়ার জন্য দেশের মহিলাদের অনুরোধ করেছেন তিনি। এ খবর দিয়েছে বিবিসি। এতে আরও বলা হয়, টোগোর মহিলাদের প্রতি মিস আমেগানভির আহ্বানের ভাষা ছিল এরকমÑ সব পুরুষের জন্য মাতৃভূমির দরজা এক সপ্তাহের জন্য তালাবদ্ধ রাখুন। ইয়াদেমা পরিবার চার দশক ধরে টোগোর ক্ষমতায়। মিস আমেগানভির দল এই পরিবারতন্ত্রের অবসান চাইছেন। অক্টোবরে টোগোতে নির্বাচন। মিস আমেগানভির দাবি নির্বাচনী পদ্ধতিতে সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত আসন্ন নির্বাচন স্থগিত করতে হবে। তার আন্দোলনে জনসমর্থন আদায়ের লক্ষ্যে বিরোধী এই নেত্রীর যৌন ধর্মঘটের অভিনব এই আহ্বান। এর আগে আফ্রিকার আরেকটি দেশ লাইবেরিয়ায় গৃহযুদ্ধের সময় সে দেশের বর্তমান প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন সারলিফ মহিলাদের প্রতি স্বামী সহবাস বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রাচীন এক গ্রিক নাটকের নায়িকা লিসিসত্রাতা শান্তি স্থাপনে পুরুষদের বাধ্য করতে গ্রিসের মহিলাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন। প্রাচীন সেই কাল্পনিক চরিত্রই হয়ত আফ্রিকার এই মহিলা নেত্রীদের উদ্বুদ্ধ করেছে।
বিয়ের জন্য বিচিত্র প্রতিযোগিতা
Source The daily Manabzamin
26-08-12
বাংলাদেশী শামীমাকে নিয়ে লন্ডনে নানা গুঞ্জন
Taken from The daily Manabzamin
26-08-12
Saturday, August 25, 2012
দি সানের প্রথম পাতায় হ্যারির নগ্ন ছবি
বৃটেনের রাজ পরিবারের আপত্তি উপেক্ষা করে দি ডেইলি সান রাজ সিংহাসনের তৃতীয় উত্তরাধিকার প্রিন্স হ্যারির লাসভেগাসের স্ট্রিপ পার্টির নগ্ন ছবি প্রথম পাতায় প্রকাশ করেছে। এর কারণ হিসেবে সান এ বিষয়টি ‘সংবাদ পত্রের স্বাধীনতা’র বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে। প্রিন্স হ্যারির প্রাইভেসির প্রতি সম্মান জানিয়ে প্রেস কমপ্লেইনস কমিশনের মাধ্যমে সেন্ট জেমস’স প্যালেস বৃটেনের পত্রপত্রিকাতে হ্যারির ওই ছবি প্রকাশ না করার অনুরোধ জানিয়েছিল। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিত্তিক সেলিব্রেটি গসিপ ওয়েবসাইট টিএমজেড হ্যারির ওই ছবি প্রথম প্রকাশ করার পর বৃটেনের বাইরের বিভিন্ন সংবাদ সংস্থা ফলাও করে তা প্রকাশ করেছে। দি সান বলেছে, তাদের যে লাখ লাখ পাঠক রয়েছে এবং যাদের ইন্টারনেট সুবিধা নেই তাদের প্রতি লক্ষ্য রেখেই এ ছবি প্রকাশ করছেন। সানের ওয়েবসাইটে এর ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ডেভিড ডিনসমোর এক ভিডিও ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে ব্যাখ্যায় দিয়ে বলেছেন, এ ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্তের বিষয়টি মোটেও হালকাভাবে গ্রহণ করা হয়নি। তিনি বলেন, সান একটি দায়িত্বশীল পত্রিকা। এটা রাজপরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। আমরা রাজপরিবারের ইচ্ছেকে গুরুত্বের সঙ্গেই বিবেচনা করি। তিনি বলেছেন, আমরাও প্রিন্স হ্যারি ভীষণ ভক্ত। তিনি দেশ এবং সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তির জন্য অনেক মহৎ কাজ করছেন। আমরা ক্ষণিকের জন্যও তার উত্তরাধিকারকে নিচু করতে চাই না। আমাদের কাছে ছবি প্রকাশের বিষয়টি সংবাদপত্রের স্বাধীনতার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত হাস্যকর অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছে। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ যেখানে ছবিটি দেখতে পাচ্ছে তখন দেশের জনপ্রিয় একটি পত্রিকার পাঠকরা সেটা দেখা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। হ্যারির দুটো ছবির একটি সানের প্রথম পাতায় প্রকাশ করে শিরোনাম দেয়া হয়েছে- ‘ঐবরৎ রঃ রং’ এবং সম্পাদকীয়তে এটা প্রকাশের ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। শুক্রবারের আগে বৃটেনের জনগণ পত্রিকাতে হ্যারির লাসভেগাস হোটেলের ঘটনা পড়ার সুযোগ পেয়েছেন। কিন্তু ছবি দেখতে হলে তাদেরকে ইন্টারনেটের আশ্রয় নিতে হয়েছে। সেন্ট জেমস’ প্যালেসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, হ্যারির প্রাইভেসির প্রশ্নে আমরা আমাদের বক্তব্য দিয়েছি। পত্রিকাগুলো স্বায়ত্বশাসিত। তাই এ ধরনের ছবি প্রকাশের সিদ্ধান্ত সর্বোপরি সম্পাদকের ওপরই বর্তায়।
মিশিগানের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারি হারলেন কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক
Source: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTkxODA=&ty=MA==&s=Mjc=&c=MQ==
মার্কিন
কংগ্রেসে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের ১৩তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে ২০১০ সালে নির্বাচিত
ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন হাশেম ক্লার্ক আগামী ৬ই নভেম্বরে অনুষ্ঠেয়
মার্কিন প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে মিশিগান অঙ্গরাজ্যের নবগঠিত
নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ডেমোক্রেটিক দলের পক্ষে পুনরায় প্রার্থী হয়ে
নিজ দলের মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক
প্রাইমারিতে ফ্রেশম্যান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক ডেমোক্রেটিক দলীয়
অপরপ্রার্থী ও মিশিগানের ৯ম ডিস্ট্রিক্ট থেকে পরপর
দু’বারের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্সের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচনী ফলাফলে গ্যারি পিটার্স মোট ভোটের ৪৭% লাভ করেন, যেখানে হাশেম ক্লার্ক পান ৩৫% ভোট। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের আরও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফক্স নিউজ এবং ডেট্রয়েট টাইমসের মতো জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়াগুলো ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির এ নির্বাচনে হাশেম ক্লার্কের পরাজয়ের পেছনে নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী শিবির কর্তৃক অনুসৃত প্রবল বর্ণবাদী প্রচারণা কৌশলকে দায়ী করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আদমশুমারিতে মিশিগান স্টেটের জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোটিং রাইটস অ্যাক্টের ৫ম ধারা মোতাবেক কংগ্রেসে মিশিগান স্টেটের জন্য বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা ১টি কমিয়ে দেয়া হয় এবং প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। বর্তমান কংগ্রেসে মিশিগান স্টেট থেকে নির্বাচিত ১৫ জন কংগ্রেসম্যান রয়েছেন, যার ৬ জন ডেমোক্রেট এবং ৯ জন রিপাবলিকান দলের। সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য বর্তমানে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ মিশিগান স্টেট হাউস এমনভাবে প্রস্তাব দিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে পাঠায় যাতে করে আসন কমানোর বিপদটা ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিকগুলো থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যানদের উপর দিয়েই যায়। একপর্যায়ে বিপদ টের পেয়ে মিশিগান ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দেয়া হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত পুনর্বিন্যাসে বিচার বিভাগ অনুমোদন দেয় এবং কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ৮, ৯ ও ১৩ এর বেশ কিছু অংশ নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ১৪ গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ই নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে পুনর্বিন্যাসকৃত কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন লাভের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যাদের দু’জন ডেমোক্রেটিক দলের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান তারা হলেন ডিস্ট্রিক্ট ১৩ থেকে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত বর্তমান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট ৯ এর পরপর দু’বারের নির্বাচিত বর্তমান কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্স। প্রথমদিকে গ্যারি পিটার্স অবশ্য কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১২তে ডেমোক্রেটিক দলের বিগত ৩০ বছরের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান লেভিন স্যান্ডারের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু ওখানে সুবিধা করতে পারবেন না ভেবে পরে ফ্রেশম্যান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্কের বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক্ট ১৪তে নির্বাচনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেন এবং সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রাইমারিতে তিনি বিজয়ী হন।
দু’বারের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্সের কাছে পরাজিত হন। নির্বাচনী ফলাফলে গ্যারি পিটার্স মোট ভোটের ৪৭% লাভ করেন, যেখানে হাশেম ক্লার্ক পান ৩৫% ভোট। নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক দলের আরও তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ফক্স নিউজ এবং ডেট্রয়েট টাইমসের মতো জাতীয় ও আঞ্চলিক মিডিয়াগুলো ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির এ নির্বাচনে হাশেম ক্লার্কের পরাজয়ের পেছনে নির্বাচনী প্রচারণায় বিরোধী শিবির কর্তৃক অনুসৃত প্রবল বর্ণবাদী প্রচারণা কৌশলকে দায়ী করেছে।
উল্লেখ্য, ২০১০ সালের আদমশুমারিতে মিশিগান স্টেটের জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ভোটিং রাইটস অ্যাক্টের ৫ম ধারা মোতাবেক কংগ্রেসে মিশিগান স্টেটের জন্য বরাদ্দকৃত আসন সংখ্যা ১টি কমিয়ে দেয়া হয় এবং প্রতিটি কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্টের সীমানা পুনঃনির্ধারণ করা হয়। বর্তমান কংগ্রেসে মিশিগান স্টেট থেকে নির্বাচিত ১৫ জন কংগ্রেসম্যান রয়েছেন, যার ৬ জন ডেমোক্রেট এবং ৯ জন রিপাবলিকান দলের। সীমানা পুনঃনির্ধারণের জন্য বর্তমানে রিপাবলিকান সংখ্যাগরিষ্ঠ মিশিগান স্টেট হাউস এমনভাবে প্রস্তাব দিয়ে ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিসে পাঠায় যাতে করে আসন কমানোর বিপদটা ডেমোক্রেটিক ডিস্ট্রিকগুলো থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসম্যানদের উপর দিয়েই যায়। একপর্যায়ে বিপদ টের পেয়ে মিশিগান ডেমোক্রেটিক পার্টির পক্ষ থেকে সীমানা পুনঃনির্ধারণের বিরুদ্ধে মামলাও ঠুকে দেয়া হয় কিন্তু শেষ পর্যন্ত প্রস্তাবিত পুনর্বিন্যাসে বিচার বিভাগ অনুমোদন দেয় এবং কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ৮, ৯ ও ১৩ এর বেশ কিছু অংশ নিয়ে ডিস্ট্রিক্ট ১৪ গঠন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আগামী ৬ই নভেম্বর অনুষ্ঠেয় প্রতিনিধি পরিষদের নির্বাচনে পুনর্বিন্যাসকৃত কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ থেকে ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন লাভের জন্য ডেমোক্রেটিক পার্টির পাঁচজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন, যাদের দু’জন ডেমোক্রেটিক দলের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান তারা হলেন ডিস্ট্রিক্ট ১৩ থেকে ২০১০ সালে প্রথমবারের মতো নির্বাচিত বর্তমান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক এবং ডিস্ট্রিক্ট ৯ এর পরপর দু’বারের নির্বাচিত বর্তমান কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্স। প্রথমদিকে গ্যারি পিটার্স অবশ্য কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১২তে ডেমোক্রেটিক দলের বিগত ৩০ বছরের নির্বাচিত কংগ্রেসম্যান লেভিন স্যান্ডারের বিরুদ্ধে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু ওখানে সুবিধা করতে পারবেন না ভেবে পরে ফ্রেশম্যান কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্কের বিরুদ্ধে ডিস্ট্রিক্ট ১৪তে নির্বাচনী লড়াইয়ের ঘোষণা দেন এবং সমপ্রতি অনুষ্ঠিত ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রাইমারিতে তিনি বিজয়ী হন।
বিপুলভাবে ডেমোক্রেটিক সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটারের এ আসনে আগামী ৬ই নভেম্বরের
নির্বাচনে গ্যারি পিটার্স রিপাবলিকান দলীয় একমাত্র প্রার্থী জন হাউলারের
সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যাতে ডেমোক্রেট গ্যারি পিটার্সের জয়ের
সম্ভাবনা প্রায় নিশ্চিত। আর নির্বাচনে জিতলে গ্যারি পিটার্স হবেন মার্কিন
কংগ্রেসে দ্বিতীয় ‘হোয়াইট’ কংগ্রেসম্যান যার নির্বাচনী আসনে সংখ্যাগরিষ্ঠ
ভোটার ‘ব্ল্যাক নাগরিক’। বর্তমানে সংখ্যাগরিষ্ঠ কালো ভোটার এলাকার একমাত্র
সাদা কংগ্রেসম্যান হলেন টেনেসি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্রেটিক দলীয় স্টিভ কোহেন।
নির্বাচনে হ্যানসেন হাশেম ক্লার্কের হেরে যাওয়ার পেছনে পুনর্বিন্যাসকৃত নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্টের সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অভিজ্ঞতা ও নির্বাচনী তহবিলের ঘাটতি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল কৌশল, সর্বোপরি নির্বাচনী প্রচারণায় তুমুল বর্ণবাদী প্রচার কৌশলকে দায়ী করা হয়েছে। নতুন কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ এর বৈশিষ্ট্য হলো এর ভোটারদের বেশিরভাগই নারী, এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে এখানকার ভোটারদের অবস্থান ধনী-দরিদ্র কর্পোরেট মিলিয়ে বিপুল বৈচিত্র্যময়। এদের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কর্মসূচির কথা ক্লার্কের প্রচারণায় ছিল না। এছাড়া নির্বাচনে বিরোধী শিবির কর্তৃক ক্রমাগত বর্ণবাদী আক্রমণের প্রতিবাদে এক পর্যায়ে ক্লার্ক ঘোষণা করেন যে তিনি আর কোন নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেবেন না। আবার শেষের দিকে আয়োজকদের না জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে এক নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য মঞ্চে হাজির হন, কিন্তু সম্মতিপত্র পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে আর বিতর্কে অংশ নিতে দেয়া হয়নি, পরে তিনি মঞ্চে দর্শক সারিতে বসেই বিতর্ক শুনেন। একপর্যায়ে ক্লার্কের ক্যাম্পেইন সাংবাদিকদের সামনে গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে ক্লার্কের মুখোমুখি বিতর্কের প্রস্তাব দিলেও পিটার্সের ক্যাম্পেইন থেকে তা সরাসরি নাকচ করা হয়। এছাড়া ক্লার্কের তুলনায় পিটার্সের নির্বাচনী তহবিলের পরিমাণও ছিল তিন গুণ বেশি।
প্রচারণায় বর্ণবাদী আক্রমণের কৌশল তুঙ্গে ওঠে গত জুনে যখন একটি বিরোধী নির্বাচনী ক্যাম্পেইন থেকে বলা হয় যে, তারা ক্লার্কের মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট গবেষণা করে দেখেছেন- তার মা আফ্রিকান আমেরিকান নন, তিনি একজন হোয়াইট আমেরিকান। এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ম্যারি উয়াটার্স বলেন, ক্লার্ক একদিকে এশিয়ান আমেরিকান ও তার মুসলিম আমেরিকান উত্তরাধিকারের সুযোগ নিচ্ছেন, আবার মায়ের পরিচয়ে আফ্রিকান আমেরিকান উত্তরাধিকারের দাবি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্ল্যাক ভোটারদের প্রতারিত করছেন, কিন্তু তা আর হচ্ছে না। আজ এটা প্রমাণিত, তার মা আফ্রিকান আমেরিকান ছিলেন না, তিনি একজন সাদা আমেরিকান। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্লার্কের মিডিয়া মুখপাত্র রন স্কট বলেন, ‘ক্লার্কের মা একজন ব্ল্যাক মহিলা ছিলেন, তিনি অনেক কষ্ট করে, অনেক নিচু বেতনের কাজ করে ক্লার্ককে মানুষ করেছেন, আজ এতদিন পর তার জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা আর তার কবরে লাথি মারা সমান কথা। প্রতিক্রিয়ায় আবেগতাড়িত কণ্ঠে হ্যানসেন হাশেম ক্লার্ক বলেন, ‘আমার মা একজন ব্ল্যাক ছিলেন, তবে তার গায়ের রং কিছুটা শ্যামলা ছিল, হ্যাঁ, তিনি সাদা হওয়ার পরীক্ষায় পাস করতে চেয়েছিলেন, তিনি সাদা হতে চেয়েছিলেন, কারণ তিনি আমাকে, তার একমাত্র পুত্রকে একটি উন্নততর জীবন দিতে চেয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন হাশেম ক্লার্কের পিতা মোজাফ্ফর আলী বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার শ্রীধর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৩৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। হাশেম ক্লার্কের মায়ের নাম থ্যালমা ক্লার্ক যিনি একজন আফ্রিকান আমেরিকান। ক্লার্কের ৮ বছর বয়সে তার পিতা মারা গেলে তার মা তাকে অনেক কষ্টে বড় করে তুলেন এবং এক পর্যায়ে হাশেম ক্লার্ক উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় এবং জর্জ টাউন বিশ্বিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হ্যানসেন ক্লার্ক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে মিশিগানের ১৩তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে মিশিগান হাউসে একাধারে হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ ও স্টেট সিনেটর হিসেবে দুই যুগ ধরে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১০ সালে কংগ্রেসম্যান পদে নির্বাচনের সময় মিশিগান ও নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী আমেরিকান ভোটারদের পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী ফান্ড ও ক্যাম্পেইনে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেয়া হয়েছে। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার এবং বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এনআরবি সম্মেলনে অংশ নিতে দ্বিতীয়বার তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক মার্কিন কংগ্রেসে সর্বপ্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কংগ্রেসম্যান হলেও সামগ্রিক কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে তার সরকারি বায়োগ্রাফিতে তাকে ভারতীয় আমেরিকান বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কেননা যে সময়ে তার পিতা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তখন বাংলাদেশও বৃটিশ ভারতের অংশ ছিল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতায় এ পর্যন্ত ৫ জন ডেমোক্রেট দলীয় ও ৩ জন রিপাবলিকান দলীয় ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত প্রাইমারিতে মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে মিশিগানের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির নির্বাচনী ফলাফলের পরপরই কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক দলের নেতা ও প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কংগ্রেসম্যান ক্লার্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। হাউসের সকল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যানের পক্ষ থেকে প্রদত্ত এক বাণীতে পেলোসি বলেন, মিশিগানসহ সমগ্র আমেরিকার মানুষের জন্য বিশেষ করে শ্রমিক, বাড়ির মালিক, শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিবারের স্বার্থে কাজ করার জন্য হ্যানসেন ক্লার্ক প্রথম দিন থেকেই একজন পুরোধা এবং শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি, জতীয় নিরাপত্তা নীতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তার গঠনমূলক ভূমিকার কথা আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।
নির্বাচনে হ্যানসেন হাশেম ক্লার্কের হেরে যাওয়ার পেছনে পুনর্বিন্যাসকৃত নির্বাচনী ডিস্ট্রিক্টের সীমানা নির্ধারণ, নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় অভিজ্ঞতা ও নির্বাচনী তহবিলের ঘাটতি এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে ভুল কৌশল, সর্বোপরি নির্বাচনী প্রচারণায় তুমুল বর্ণবাদী প্রচার কৌশলকে দায়ী করা হয়েছে। নতুন কংগ্রেসনাল ডিস্ট্রিক্ট ১৪ এর বৈশিষ্ট্য হলো এর ভোটারদের বেশিরভাগই নারী, এবং অর্থনৈতিক সক্ষমতার বিচারে এখানকার ভোটারদের অবস্থান ধনী-দরিদ্র কর্পোরেট মিলিয়ে বিপুল বৈচিত্র্যময়। এদের সবার কাছে গ্রহণযোগ্য কর্মসূচির কথা ক্লার্কের প্রচারণায় ছিল না। এছাড়া নির্বাচনে বিরোধী শিবির কর্তৃক ক্রমাগত বর্ণবাদী আক্রমণের প্রতিবাদে এক পর্যায়ে ক্লার্ক ঘোষণা করেন যে তিনি আর কোন নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেবেন না। আবার শেষের দিকে আয়োজকদের না জানিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসম্যান গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে এক নির্বাচনী বিতর্কে অংশ নেয়ার জন্য মঞ্চে হাজির হন, কিন্তু সম্মতিপত্র পাঠানোর সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় তাকে আর বিতর্কে অংশ নিতে দেয়া হয়নি, পরে তিনি মঞ্চে দর্শক সারিতে বসেই বিতর্ক শুনেন। একপর্যায়ে ক্লার্কের ক্যাম্পেইন সাংবাদিকদের সামনে গ্যারি পিটার্সের সঙ্গে ক্লার্কের মুখোমুখি বিতর্কের প্রস্তাব দিলেও পিটার্সের ক্যাম্পেইন থেকে তা সরাসরি নাকচ করা হয়। এছাড়া ক্লার্কের তুলনায় পিটার্সের নির্বাচনী তহবিলের পরিমাণও ছিল তিন গুণ বেশি।
প্রচারণায় বর্ণবাদী আক্রমণের কৌশল তুঙ্গে ওঠে গত জুনে যখন একটি বিরোধী নির্বাচনী ক্যাম্পেইন থেকে বলা হয় যে, তারা ক্লার্কের মায়ের ডেথ সার্টিফিকেট গবেষণা করে দেখেছেন- তার মা আফ্রিকান আমেরিকান নন, তিনি একজন হোয়াইট আমেরিকান। এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ম্যারি উয়াটার্স বলেন, ক্লার্ক একদিকে এশিয়ান আমেরিকান ও তার মুসলিম আমেরিকান উত্তরাধিকারের সুযোগ নিচ্ছেন, আবার মায়ের পরিচয়ে আফ্রিকান আমেরিকান উত্তরাধিকারের দাবি করে সংখ্যাগরিষ্ঠ ব্ল্যাক ভোটারদের প্রতারিত করছেন, কিন্তু তা আর হচ্ছে না। আজ এটা প্রমাণিত, তার মা আফ্রিকান আমেরিকান ছিলেন না, তিনি একজন সাদা আমেরিকান। এর প্রতিক্রিয়ায় ক্লার্কের মিডিয়া মুখপাত্র রন স্কট বলেন, ‘ক্লার্কের মা একজন ব্ল্যাক মহিলা ছিলেন, তিনি অনেক কষ্ট করে, অনেক নিচু বেতনের কাজ করে ক্লার্ককে মানুষ করেছেন, আজ এতদিন পর তার জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলা আর তার কবরে লাথি মারা সমান কথা। প্রতিক্রিয়ায় আবেগতাড়িত কণ্ঠে হ্যানসেন হাশেম ক্লার্ক বলেন, ‘আমার মা একজন ব্ল্যাক ছিলেন, তবে তার গায়ের রং কিছুটা শ্যামলা ছিল, হ্যাঁ, তিনি সাদা হওয়ার পরীক্ষায় পাস করতে চেয়েছিলেন, তিনি সাদা হতে চেয়েছিলেন, কারণ তিনি আমাকে, তার একমাত্র পুত্রকে একটি উন্নততর জীবন দিতে চেয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, কংগ্রেসম্যান হ্যানসেন হাশেম ক্লার্কের পিতা মোজাফ্ফর আলী বাংলাদেশের সিলেট জেলার বিয়ানীবাজার থানার শ্রীধর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৩৪ সালে বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান। হাশেম ক্লার্কের মায়ের নাম থ্যালমা ক্লার্ক যিনি একজন আফ্রিকান আমেরিকান। ক্লার্কের ৮ বছর বয়সে তার পিতা মারা গেলে তার মা তাকে অনেক কষ্টে বড় করে তুলেন এবং এক পর্যায়ে হাশেম ক্লার্ক উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান। কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চারুকলায় এবং জর্জ টাউন বিশ্বিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক হ্যানসেন ক্লার্ক ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতি সচেতন ছিলেন। তিনি ২০১০ সালে মিশিগানের ১৩তম ডিস্ট্রিক্ট থেকে কংগ্রেসম্যান নির্বাচিত হওয়ার আগে মিশিগান হাউসে একাধারে হাউস রিপ্রেজেন্টেটিভ ও স্টেট সিনেটর হিসেবে দুই যুগ ধরে নির্বাচিত হয়েছেন। ২০১০ সালে কংগ্রেসম্যান পদে নির্বাচনের সময় মিশিগান ও নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী বাংলাদেশী আমেরিকান ভোটারদের পক্ষ থেকে তার নির্বাচনী ফান্ড ও ক্যাম্পেইনে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে অংশ নেয়া হয়েছে। এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রথমবার এবং বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় এনআরবি সম্মেলনে অংশ নিতে দ্বিতীয়বার তিনি বাংলাদেশ সফর করেন। কংগ্রেসম্যান হাশেম ক্লার্ক মার্কিন কংগ্রেসে সর্বপ্রথম বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কংগ্রেসম্যান হলেও সামগ্রিক কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে তার সরকারি বায়োগ্রাফিতে তাকে ভারতীয় আমেরিকান বলে উল্লেখ করা হয়েছে, কেননা যে সময়ে তার পিতা বাংলাদেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান তখন বাংলাদেশও বৃটিশ ভারতের অংশ ছিল।
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নির্বাচনী সীমানা পুনঃনির্ধারণ সংক্রান্ত জটিলতায় এ পর্যন্ত ৫ জন ডেমোক্রেট দলীয় ও ৩ জন রিপাবলিকান দলীয় ক্ষমতাসীন কংগ্রেসম্যান নিজ নিজ দলের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠিত প্রাইমারিতে মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ হয়েছেন। অন্যদিকে মিশিগানের ডেমোক্রেটিক প্রাইমারির নির্বাচনী ফলাফলের পরপরই কংগ্রেসে ডেমোক্রেটিক দলের নেতা ও প্রাক্তন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি কংগ্রেসম্যান ক্লার্কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। হাউসের সকল ডেমোক্রেটিক কংগ্রেসম্যানের পক্ষ থেকে প্রদত্ত এক বাণীতে পেলোসি বলেন, মিশিগানসহ সমগ্র আমেরিকার মানুষের জন্য বিশেষ করে শ্রমিক, বাড়ির মালিক, শিক্ষার্থী ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পরিবারের স্বার্থে কাজ করার জন্য হ্যানসেন ক্লার্ক প্রথম দিন থেকেই একজন পুরোধা এবং শক্তিশালী কণ্ঠস্বর। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে পেরে সম্মানিতবোধ করছি এবং আমেরিকার পররাষ্ট্রনীতি, জতীয় নিরাপত্তা নীতি এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারে তার গঠনমূলক ভূমিকার কথা আমি অত্যন্ত কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করছি।
আরব নিউজে খালেদা-গৃহবধূ থেকে রাষ্ট্র ক্ষমতায়
Source: http://www.mzamin.com/details.php?nid=MTkxNTc=&ty=MA==&s=MTk=&c=MQ==
25-08-12
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল
(বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং দুই মেয়াদে নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম
খালেদা জিয়াকে নিয়ে আরব নিউজে স্মৃতিচারণ করেছেন সে দেশের সিনিয়র সাংবাদিক
ফারুক লোকমান। গতকাল প্রকাশিত ‘খালেদা জিয়া : ফর্ম এ হাউস ওয়াইফ টু দ্য
করিডর অব পাওয়ার’ শীর্ষক শিরোনামে তিনি লিখেছেন- বাংলাদেশের খালেদা জিয়া
আমাকে ভীষণভাবে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট কোরাজন একুইনোর কথা মনে করিয়ে
দেন। কারণ তিনি ছিলেন একজন সাধারণ গৃহবধূ। এক মর্মান্তিক ঘটনার পর তিনি
দেশের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। দু’জনের স্বামী ঘাতকদের গুলিতে
নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন। একুইনোর স্বামী নিহত হয়েছিলেন দোষী সাব্যস্ত
এক অপরাধীর হাতে। বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান নিহত হয়েছিলেন এক
সামরিক ক্যু’র মাধ্যমে। খালেদা জিয়া হলেন তারই বিধবা পত্নী। তিনি পরে
বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছেন।
দেশের ইতিহাসে প্রথম এবং মুসলিম বিশ্বে গণতান্ত্রিক দেশের দ্বিতীয় নারী
প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি ১৯৯১ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত
ক্ষমতায় ছিলেন। এরপর তিনি ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্তও প্রধানমন্ত্রিত্বের
দায়িত্ব পালন করেছেন। খালেদা জিয়া ১০ বছর ক্ষমতায় থাকার পাশাপাশি তিনি
১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালে পাঁচটি নির্বাচনী এলাকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত
হয়েছেন। ফোর্বস ম্যাগাজিন যখন বিশ্বের ১০০ ক্ষমতাসীন নারীর মধ্যে ২০০৫ সালে
তাকে ২৯তম এবং ২০০৬ সালে ৩৩তম বলে ঘোষণা দিয়েছিল তখন তিনি ১৪৭ মিলিয়ন
বর্গকিলোমিটার এলাকার ১৫০ মিলিয়ন জনগোষ্ঠীর দেশের নেতৃত্বে ছিলেন। তার
উল্লেখযোগ্য শাসনামল এবং বাংলাদেশের আরেক সাহসী নারী হাসিনা ওয়াজেদের সঙ্গে
প্রতিদ্বন্দ্বিতার সময় বাংলাদেশে তেমন যাওয়ার সুযোগ না হলেও আমার তার
সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং কথা বলার সুযোগ হয়েছিল। মক্কা রোডে আমার বাড়ির কাছেই
তিনি তখন অবস্থান করেছিলেন। সৌদিতে বাংলাদেশের দূতাবাস তখন মক্কা রোডেই
ছিল। আমি খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার জন্য দূতাবাস থেকে ফোন পাওয়ার
পরপরই রাজি হয়েছিলাম। তৎক্ষণাৎ গাড়ি নিয়ে আমি দূতাবাসে হাজির হলাম। সেখানেই
আমি সব ধরনের বাধা বিপত্তি অতিক্রম করে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া
চমৎকার সেই নারীর সাক্ষাৎ পেলাম। স্বামীর উত্তরসূরি হিসেবে তিনি নানা
সমস্যায় জর্জরিত একটি দেশের সর্বোচ্চ পদে আসীন হয়েছেন। অত্যন্ত দরিদ্র দেশে
তখন মাথাপিছু আয় ৮০০ ডলারের বেশি ছিল না। কিন্তু মোট তিন মেয়াদে তার ১০
বছরের শাসনামলে নিজেকে তিনি যোগ্য এবং জয়ী হিসেবে প্রমাণ করেছেন। ভবনের
ভেতরে ঢুকে সিঁড়ি দিয়ে উপরে ওঠার সময় আমি বাংলাদেশের সংগ্রামী মানুষের
চিত্র দেখতে পাচ্ছিলাম। একই সঙ্গে আমি সেই দেশকে শাসন করার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ
করায় সেই গৃহবধূর উদ্যম এবং সাহসের প্রশংসা করছিলাম। দ্বিতীয় তলায় ছোট
ছিমছাম একটি বসার ঘরে আমাদের বসার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। খালেদা জিয়া
বসেছিলেন একটি সোফায় আর আমি তার মুখোমুখি একটি চেয়ারে বসে ছিলাম।
বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট এরশাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা
কথা বলেছিলাম। আমি বেশ অবাক হয়েছিলাম যে একটি হ্যান্ডগান রাখার অপরাধে
সরকার তার বিরুদ্ধে মামলা করার পরিকল্পনা করছে। অভ্যুত্থানের পরপরই তার
বাড়িতে তল্লাশি অভিযানের সময় সেই হ্যান্ডগানটি পাওয়া গিয়েছিল। তিনি আমার
দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলেন কেন আমি এতে অবাক হয়েছি? আমি তাকে বলেছিলাম
একজন ব্যক্তি জোর করে একটি দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল তাই একটি হ্যান্ডগানের
বিষয়টি এতো গুরুত্বপূর্ণ কেন? তার শাসনামলে তিনি তো ইচ্ছে করলে ভারী
অস্ত্রশস্ত্র দখল করতে পারতেন এবং বিমানবাহিনীকে দিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতে
পারতেন। এ কথা শুনে তিনি (খালেদা জিয়া) বেশ উদারভাবে হাসছিলেন যেন তিনি
আমার সঙ্গে একমত পোষণ করছেন। তবে এরশাদের বিরুদ্ধে অন্যান্য অভিযোগে
পাশাপাশি হ্যান্ডগান রাখার দায়েও অভিযোগ আনা হয়েছিল। সৌদি আরব এবং অন্যান্য
উপসাগরীয় অঞ্চলে বাংলাদেশীদের কর্মসংস্থানের ব্যাপারে আমি তাকে যে পরামর্শ
দিয়েছিলাম তিনি তা শুনেছিলেন। আমার সেই পরামর্শকে তিনি বেশ গুরুত্বের
সঙ্গে বিবেচনা করেছিলেন। আর তাই এখন সৌদি আরবে পাঁচ লাখ বাংলাদেশীর
পাশাপাশি উপসাগরীয় অঞ্চলের অন্যান্য দেশেও হাজার হাজার বাংলাদেশী কাজ
করছেন। গত ২০ থেকে ৩০ বছর ধরে ভারতীয় এবং পাকিস্তানিরা যেভাবে দেশের
অর্থনীতিতে অবদান রাখছেন ঠিক একইভাবে এখানে কর্মরত বাংলাদেশীরাও তাদের
দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রাখছেন। তিন মেয়াদে তার শাসনামলে শিক্ষা
ক্ষেত্রে বিনাবেতনে বাধ্যতামূলক শিক্ষার প্রবর্তন, দশম শ্রেণী পর্যন্ত
ছাত্রীদের উপবৃত্তি এবং শিক্ষার জন্য খাদ্য কর্মসূচি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি চালু করেছিলেন এবং যমুনা সেতুর নির্মাণকাজ শুরু
করেছিলেন।
Saturday, August 18, 2012
স্মৃতিকথা লিখছেন সাবেক আরব ফার্স্ট লেডিরা
আরব বসন্ত ওই অঞ্চলে অনেক ঘটনার সঙ্গে নতুন একটি ঘটনার সূচনা করেছে। সেখানকার সাবেক ফার্স্ট লেডিরা এখন নিজেদের অতীত জীবন-যাপন নিয়ে স্মৃতিকথা প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাদের এ উদ্যোগে অবশ্য মানুষের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে। তিউনিশিয়ার মতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট জিনে আল আবিদিন বিন আলির স্ত্রী লাইলা তারাবৌলসি দীর্ঘদিনের নীরবতা ভেঙে সম্প্রতি তার স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। মিশরের কারাবন্দি সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের স্ত্রী সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বলে গুজব শোনা গেলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন এ ব্যাপারে কাজ করার মতো সময় তার হাতে নেই। কারণ বিভিন্ন অভিযোগে তার স্বামী এবং সন্তানরা এখন কারাদণ্ড ভোগ করছেন। মিশরের বর্ষীয়ান মিডিয়া বিশেষজ্ঞ ফারুক আবু জেইদ সাবেক ফার্স্ট লেডিদের স্মৃতিকথার প্রসঙ্গে বলেছেন, তাদের স্মৃতিকথা আসলেই খুব গুরুত্বপূর্ণ। তিনি এক্ষেত্রে বিশেষ করে লাইলা তারাবৌলসির স্মৃতি কথার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, লাইলার স্মৃতিকথা তিউনিশিয়ার ইতিহাসের অংশ হিসেবে বিবেচিত হবে। এছাড়া জনগণ দীর্ঘদিন মিশরে ক্ষমতাসীন ফার্স্ট লেডির স্মৃতিকথা পড়তেও অনেক আগ্রহ বোধ করবেন। আবু জেইদ গাল্ফ নিউজকে বলেছেন, দীর্ঘ প্রায় ৩০ বছর ধরেই মিশরীয়দের জীবনে সুজান মুবারকের বেশ সক্রিয় প্রভাব ছিল। তিনি যদি স্মৃতিকথা লিখেন সেটা বস্তুনিষ্ঠ হোক আর না হোক অবশ্যই যথেষ্ট গুরুত্ব বহন করবে। গত বছর অনলাইনের এক রিপোর্টে জানা গিয়েছিল, সুজান মুবারক ১০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে তার স্মৃতিকথা প্রকাশের জন্য বৃটিশ প্রকাশক ক্যাননগেটের প্রস্তাবে সম্মত হয়েছেন। মিশরের রোজ আল ইউসুফ ম্যাগাজিনের আর্টিকেলের ভিত্তিতে ওই রিপোর্টে বলা হয়েছিল, সুজান মুবারকের স্মৃতিকথার নাম হচ্ছে ‘ইজিপ্টশিয়ান ফার্স্ট লেডি: ৩০ ইয়ার্স অন ইজিপ্ট’স ক্রাউন’। লন্ডনের একজন প্রবীণ অনুবাদক এটি অনুবাদ করবেন বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গাল্ফ নিউজের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলে ক্যাননগেট এ ধরনের গুজব অস্বীকার করে বলেছেন, তারা এ ব্যাপারে কিছু জানেন না। আবু-জেইদ ব্যাখ্যা করে বলেছেন, সুজান মুবারক স্মৃতিকথা লিখবেন বা লিখতে ইচ্ছুক বলে আমরা কোন কথা শুনিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি এ ধরনের স্মৃতিকথা লেখার কথা চিন্তাও করতে পারেন না। তবে পরিস্থিতি পরিবর্তন হলে, তার পারিবারিক সমস্যাগুলো একটা স্থিতিশীল পর্যায়ে এলে তার স্মৃতিকথা লেখার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সুজান মুবারকের স্মৃতিকথা লেখা নিয়ে বিতর্ক থাকলেও লাইলা গত জুনে ফ্রান্সে ‘মাই ট্রুথ’ নামের একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেছেন। ৫৫ বছর বয়সী সাবেক অজনপ্রিয় ফার্স্ট লেডি স্কাইপিতে ফরাসি সাংবাদিক ইয়েভিস দেরাইকে যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন সেটার ওপর ভিত্তি করেই এ স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। এ স্মৃতিকথাতে তিনি বর্তমানে কারাবন্দি থাকা তার স্বামীর নিরাপত্তা প্রধান আলি সেরাইতির বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ এনেছেন।
আসাম দাঙ্গায় বাংলাদেশ জড়িত নয়: এনসিএম
আসাম সহিংসতায় সেখানে
বসবাসকারী বাংলাদেশী অভিবাসীরা দায়ী নয়। স্থানীয় বোরো উপজাতি ও মুসলমানদের
মধ্যকার দ্বন্দ্বের ফলে সেখানে দাঙ্গার সৃষ্টি হয়েছে। এ কথা বলেছে,
ন্যাশনাল কমিশন ফর মাইনোরিটিস (এনসিএম)। ওই দাঙ্গায় যখন বাংলাদেশকে জড়িত
করে বিজেপিসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো ভারতের রাজনীতিকে উত্তাল করার চেষ্টা
করছে, তারা দাঙ্গাকে উসকে দেয়ার চেষ্টা করছে তখনই এ বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ
করেছে এনসিএম। শুধু তারাই নয়, শুরু থেকেই আসাম দাঙ্গায় বাংলাদেশ জড়িত নয়
বলে জোর দিয়ে বলে আসছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। এনসিএম চেয়ারম্যান
ওয়াজাহাত হাবিবুল্লাহ বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেছেন, তারা এ বিষয়ক রিপোর্ট
পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে। এছাড়া তিনি ব্যক্তিগতভাবে
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। এরপর তিনি পিটিআই’কে
বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে বলেছেন- তিনি রিপোর্ট পেয়েছেন। তিনি বলেছেন,
আসামে যে দাঙ্গা চলছে তাতে বাংলাদেশী অভিবাসীরা জড়িত নয়। এ দাঙ্গা হলো
আসামের খ্রীস্টান বোরো উপজাতি ও মুসলমানদেও মধ্যে। তবে রিপোর্টে স্বীকার
করা হয়, কোন কোন সীমান্তের ফাঁকফোকড় দিয়ে বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী প্রবেশ
কওে থাকে মাঝেমধ্যে। কিন্তু এই দাঙ্গায় বাংলাদেশীদের জড়িত থাকার কোন তথ্য
মেলেনি। তিনি বলেন, মুসলমানরা দাঙ্গার সময় যখন বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছেন তখনই
সেখানে লুটপাট করা হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য এনসিএম একটি প্যানেল গঠন
করে। তারা তাদেও বক্তব্য আসামের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তুলে দিয়েছেন।
বিচারকের রায়ে ভেঙে গেল বাংলাদেশী যুবতীর বিয়ে
বৃটেনে বিচারকে রায়ে
ভেঙে গেল বাংলাদেশী এক যুবতীর বিয়ে। যাকে নিয়ে তিনি এতদিন ঘরসংসার করেছেন
সেই স্বামী এখন তার কাছে অচেনা। তার সঙ্গে তিনি আর সংসার করতে পারবেন না।
পারিবারিকভাবে জোর করে বিয়ে দেয়া হয়েছিল বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত এক যুবতীকে।
তার নাম, ঠিকানা জানা যায়নি। কিন্তু আদালত সেই বিয়েকে বাতিল বলে রায়
দিয়েছেন। ওই যুবতী বিকলাঙ্গ ও তার রয়েছে শিক্ষায় অনেক সমস্যা। তার
পিতা-মাতা তাকে নিয়ে বাংলাদেশে এক যুবকের সঙ্গে বিয়ে দেয়, যাতে সে তার
স্বামীকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে বসবাস করতে পারে। জানা গেছে, তার স্বামী তারই এক
কাজিন। এ বিষয়টি আদালতে ওঠার পর শুনানি হয়। অবশেষে বিচারপরিত পার্কার রায়
দেন, যেহেতু ওই যুবতীর মধ্যে বিয়ে কি জিনিস এমন কোন ধারণা নেই, তাই তার
বিয়েকে ইংল্যান্ডে বাতিল বলে গণ্য হবে। এ সময় ওই যুবতীর পরিবার আদালতে
আর্জি তোলে। তারা বলে, তার মতেই বিয়ে হয়েছে। কিন্তু আদালত তা প্রত্যাখ্যান
করেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য গালফ টুডে। এতে বলা হয়, ২০০৩ সালে ওই
যুবতীকে বিয়ে করাতে বাংলাদেশে নিয়ে যাওয়া হয়। সে সময় তাকে তার এক কাজিনের
সঙ্গে বিয়ের বন্দোবস্ত করা হয়। বরকে ইংল্যান্ডে গিয়ে বসবাসের শর্ত বরপক্ষ
মেনে নেয়। এরপরই তাদের বিয়ে হয়। বর-কনে বিয়ে শেষে ফিরে যায় ইংল্যান্ডে।
কিন্তু সে খবর স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চলে যায় পুলিশের কাছে। পুলিশ
গিয়ে তাতে তদন্ত করে। তারা বিষয়টি আদালতের নজরে নেয়। তখন ওই যুবতীর
পিতামাতা বলেন, তাদের মেয়ে বিকলাঙ্গ। তার চলাফেরায় নিরাপত্তা নেই। তাই তারা
তাকে একটি নিরাপত্তা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। তাকে বিয়ে দিয়ে তার স্বামীকে
ইংল্যান্ড নিয়ে গিয়েছেন। তবে কোন যুক্তিই শেষ পর্যন্ত ধোপে টেকেনি। বিচারক
ওই বিয়েকে বাতিল ঘোষণা করেন।
দুবাইয়ে ১০ বাংলাদেশীর চোখে নতুন স্বপ্ন
নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন
এখন দ্বুাইয়ে অসহায় অবস্থায় পড়া ১০ বাংলাদেশীর। তাদেরকে নিয়োগকারী কোম্পানি
ফেলে যায়। ফলে তাদেও অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। তারা একটি নির্মাণাধীন
প্রতিষ্ঠানের বাইরে মানবেতর জীবন যাপন করছিলেন। কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে
কে! তাদের জন্য সহায় জুটে গেল। তারা নতুন কাজ পেলেন। ভিসা পেলেন। আর তাই
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করলেন ওই ১০ বাংলাদেশী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন
খালিজ টাইমস। তবে ওই ১০ বাংলাদেশীর নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয়নি। রিপোর্টে
বলা হয়েছে, তাদের শোচনীয় অবস্থা দেখে কাজে নিয়োগ করেছে কেলে কনট্রাক্টিং
নামের একটি প্রতিষ্ঠান। ওই ১০ জনের মধ্যে ৩ জনকে নিয়োগ করা হয়েছে হেলপার বা
সহায়তাকারী, একজনকে ওয়েল্ডার, দু’জনকে স্টিলের কাজে, দু’জনকে কাঠমিস্ত্রি,
একজনকে রাজমিস্ত্রি এবং একজনকে সহকারী স্টোর কিপার হিসেবে নিয়োগ দেংয়া
হয়েছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়, এর আগে তাদেরকে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ অনেক
মাস ধরে বেতন দেয়নি। তাদেরকে সে অবস্থায় তারা পরিত্যক্ত করেছে। কারণ, ওই
কোম্পানিকে ঋণ শোধ না করার কারণে আদালত দেউলিয়া ঘোষণা করেছে। ওই ১০
বাংলাদেশীর একজন বলেন, আমরা শুরুতে দলে ৩০ জন ছিলাম। কিন্তু আমাদের অনেক
বন্ধুকে তাদের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব তাদের আশ্রয়স্থলে ঠাঁই দিয়েছে।
তারা চলে যাওয়ার পর আমরা ১০ জন মিলে দুবাই ইনভেস্টমেন্ট পার্কেও কাছে
প্রচণ্ড গরমে, বিদ্যুত ও পানিবিহীন দিনরাত কাটাচ্ছিলাম। এভাবে কাটছিল
আমাদের মাসের পর মাস। কিন্তু আমাদের ভাগ্যে কোন পরিবর্তন হচ্ছিল না। অবশেষে
আল্লাহ আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কেলে কনট্রাক্টিং-এর প্রধান
নির্বাহী কর্মকর্তা অ্যানড্রু ইলিয়াস বলেন, এ সব অসহায় বাংলাদেশীদেও সহায়তা
করতে পেওে আমরা আনন্দিত বোধ করছি। তাদেরকে আমরা নিয়োগ করায় তারা ফের নতুন
করে বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারবে। পায়ের নিচে মাটি খুঁজে পাবে। এতে তারা
নিজেদের ও দেশে রেখে আসা পরিবারকে সহায়তা করতে পারবে। তারা তাদের এই
পরিণতির জন্য অনেক কষ্ট করেছেন। তাদেরকে যে প্রতিষ্ঠান চাকরিতে নিয়োজিত
করেছিল তাদেরকে বলা হয়েছিল প্রতিজন শ্রমিককে ২ হাজার দিরহাম ও একটি করে
বিমান টিকেট দিতে, যাতে তারা দেশে ফিরতে পারে। কিন্তু তাদের সামান্য
দু’একজন তা হাতে পেয়েছেন। এসব মানুষের অনেকেরই পরিবার আছে দেশে। তারা এদের
ওপর নির্ভরশীল। ওই সামান্য ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাদের কি হয়! তাই আমরা এগিয়ে
গিয়েছি তাদের সহায়তা করতে।
Friday, August 17, 2012
একজন সালমাকে নিয়ে এক বাংলাদেশীর কাণ্ড
Monday, August 13, 2012
প্রতিদিন একসঙ্গে ২০ হাজার মানুষের ইফতার
Source: The daily Manabzamin, 13-08-12
ওমানে এক বাংলাদেশীর ভৌতিক বিল
ফেসবুকে স্বপ্নযুবকের সঙ্গে প্রেম স্বামী-সন্তান ফেলে পালিয়েছেন অঞ্জু
সামাজিক যোগাযোগের সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুক যেমন
নতুন নতুন সম্পর্ক গড়ে দিচ্ছে তেমনই ভেঙে দিচ্ছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ
সম্পর্কও। ফেসবুকের মাধ্যমে সম্পর্ক ভাঙাগড়ার এক ঘটনা তুলে ধরেছে গালফ
নিউজ। নিজের স্বামী ও দুই সন্তানকে রেখে ফেসবুকে চ্যাটের মাধ্যমে বন্ধুত্ব
হওয়া নতুন বয়ফ্রেন্ডের কাছে পালিয়ে গেছেন বিহারের অঞ্জু দেবী। শ্বশুরবাড়ি ও
বাপের বাড়ির কারও সঙ্গে কোন যোগাযোগ না করে লুকিয়ে লিভ টুগেদার করে
আসছিলেন তারা। অঞ্জু পালানের পর কোন খোঁজ না পেয়ে তার পিতা তার
শ্বশুরপক্ষের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ দায়ের করেন। তার সন্দেহ ছিল বিহারের
সাধারণ চিত্রের মতোই তারা হয়তো যৌতুকের দাবিতে অঞ্জুকে হত্যা করে থাকবে।
কিন্তু পুলিশ যখন দেখেছে পালিয়ে যাওয়া অঞ্জুর শিক্ষক স্বামীর এটিএম কার্ড
ব্যবহার করে টাকা তোলা হচ্ছে তখনই সন্দেহ হয় তাদের। তারপর মোবাইল কলের ওপর
ভিত্তি করে পুলিশ তাকে ও তার বয়ফ্রেন্ড কৃষ্ণ রামরাওকে বৃহস্পতিবার
হায়দারাবাদ থেকে গ্রেপ্তার করে। তারপরেই এ ঘটনা আলোচনায় আসে। পুলিশের
জিজ্ঞাসাবাদে অঞ্জু জানিয়েছেন, তিনি গ্রামের একজন শিক্ষককে বিয়ে করেছেন।
তবে গ্রাম্য জীবন তার পছন্দ নয়। শহরের আধুনিক জীবন ভালবাসেন তিনি। ফলে
আধুনিক লাইফস্টাইল উপভোগ করার জন্য ও শহরে বসবাস করার জন্য তিনি পালিয়েছেন।
অঞ্জু নিজেও একজন শিক্ষক এবং ২০০২ সালে তাদের বিয়ে হয়। শহরে থাকার জন্য
নিজের চাকরিও ছেড়ে দিয়েছেন। তারপরই হায়দারাবাদের ডিভোর্সি যুবক কৃষ্ণের
সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় হয় তার। অঞ্জু তাকে তার ‘স্বপ্নযুবক’ হিসেবে বেছে নেন,
যে একটি বড় শহরে বাস করে। যার মাধ্যমে মেগাসিটিতে বাস করার তার স্বপ্ন
পূরণ হবে বলে ধরে নেন তিনি। তারপর যখন তাদের বন্ধুত্ব পূর্ণ ভালবাসায় রূপ
নেয় তখনই স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়ে যান তিনি। এ বছরের ১লা জানুয়ারি বিহারের
পাটনা জংশন থেকে তাকে নিয়ে যান কৃষ্ণ। তারপর থেকেই স্বপ্নের বয়ফ্রেন্ডের
সঙ্গে বাস করে আসছেন অঞ্জু।
তারপর গোপনে পুলিশ এসে ধরে জেলে দেয়ার আগ পর্যন্ত তারা আধুনিক লাইফ স্টাইলে জীবনযাপন করে আসছিলেন। পুলিশের হেফাজতে অঞ্জু তার সাবেক স্বামী সন্তানের কাছে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছেন। ফলে তার স্বামী মনোজও তাকে নিয়ে ঘর না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সে মুক্ত মনের নারী, যে গ্রামকে ঘৃণা করে। ফলে তার সঙ্গে থাকার চিন্তা করা যায় না। ডিভোর্সই হবে সবচেয়ে ভাল উপায়। মনোজ বলেছেন, স্ত্রীর শহরে থাকার ইচ্ছাকে সম্মান করে তিনি পাটনা শহরে প্লট কিনেছেন। কিন্তু সব আশা এখন শেষ।
এই দুর্ভাগ্যজনক স্মৃতি কখনও ভুলবেন না তিনি। তবে পুলিশ ভাবছে এখন তার সাত ও চার বছর বয়সী দু’সন্তানের দেখাশোনা কে করবে।
Source: The daily Manabzamin, 13-08-12
তারপর গোপনে পুলিশ এসে ধরে জেলে দেয়ার আগ পর্যন্ত তারা আধুনিক লাইফ স্টাইলে জীবনযাপন করে আসছিলেন। পুলিশের হেফাজতে অঞ্জু তার সাবেক স্বামী সন্তানের কাছে ফিরে যেতে অস্বীকার করেছেন। ফলে তার স্বামী মনোজও তাকে নিয়ে ঘর না করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সে মুক্ত মনের নারী, যে গ্রামকে ঘৃণা করে। ফলে তার সঙ্গে থাকার চিন্তা করা যায় না। ডিভোর্সই হবে সবচেয়ে ভাল উপায়। মনোজ বলেছেন, স্ত্রীর শহরে থাকার ইচ্ছাকে সম্মান করে তিনি পাটনা শহরে প্লট কিনেছেন। কিন্তু সব আশা এখন শেষ।
এই দুর্ভাগ্যজনক স্মৃতি কখনও ভুলবেন না তিনি। তবে পুলিশ ভাবছে এখন তার সাত ও চার বছর বয়সী দু’সন্তানের দেখাশোনা কে করবে।
Source: The daily Manabzamin, 13-08-12
Sunday, August 12, 2012
অন্ধ্রপ্রদেশে প্রতিদিন ২২ নারী গুম
Source: The Daily Manabzamin
৪৬ লাখ টাকার পুরস্কার জিতলেন বাংলাদেশের আরেফিন
এবার আন্তর্জাতিক পবিত্র কোরান প্রতিযোগিতায়
বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করলেন আইন আল আরেফিন। সমপ্রতি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত
ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরান অ্যাওয়ার্ড (ডিআইএইচকিউএ) প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে
তিনি দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছেন। ঢাকার দরিদ্র পরিবারের সন্তান আরেফিন এ
জন্য মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন। পুরস্কৃত হয়েই তিনি বলেন, এ
পুরস্কার পাইয়ে দেয়ার জন্য মহান আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তার
অনুগ্রহ কামনা করছি। দ্বিতীয় হিসেবে তিনি পেয়েছেন ২ লাখ দিরহাম, যা
বাংলাদেশের টাকায় প্রায় ৪৬ লাখ। এখানেই তার মিশন শেষ নয়। তিনি আগামী বছর
কুয়েতে অনুষ্ঠেয় একই রকম প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চান। আরেফিনের লক্ষ্য
মিশরের আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করা। আরেফিন বলেছেন, সমস্ত প্রশংসা
আল্লাহর। তিনি আমাকে সম্মান দিয়েছেন। এ জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ
করি। আমি প্রতিযোগিতায় প্রথম না হলেও আমি ফল নিয়ে খুশি। এই পুরস্কারের
অর্থ আমি আমার পিতার হাতে তুলে দেবো। কারণ তিনি খুব কষ্টে আমাদের সংসার
চালান। এ প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছেন কুয়েতের শেখ খালিদ জসিম। তিনি পেয়েছেন ২
লাখ ৫০ হাজার দিরহাম। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তিনি বলেন, যখন আমি বা আপনি
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত করি তখন যদি আমরা বুঝতে পারি আমরা কি তেলাওয়াত করছি
তাহলে বাকি বিশ্বের কথা আমাদের কল্পনা থেকে সরে যাবে। এমন আনন্দ এমন
প্রশান্তি কেউ জীবনে পেতে পারে না। তৃতীয় হয়েছেন চাদের ইয়াকুব আদম হাসান।
পুরস্কার হিসেবে তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৫০ হাজার দিরহাম। এসব হাফেজের অনেক
দিনের স্বপ্ন ছিল দুবাই ইন্টারন্যাশনাল হলি কোরআন অ্যাওয়ার্ড (ডিআইএইচকিউএ)
জিতবেন। শুধু স্বপ্ন দেখেই বসে থাকেননি কুয়েতি তরুণ শেখ খালিদ জসিম (২০)
চেষ্টা চালিয়ে গেছেন অবিরাম। পাঁচবার অংশ নিয়েছেন প্রতিযোগিতায়। কিন্তু সফল
হননি। হাল ছেড়েও দেননি খালিদ। অবশেষে কাঙিক্ষত প্রতিযোগিতায় এবার বিজয়ী
হয়েছেন তিনি। খালিদ বলেন, বিজয়ী হিসেবে নিজের নাম শোনার পর বিস্ময় ধরে
রাখতে পারিনি। খালিদের পরিবারের অনেক সদস্যই হাফেজ। তাই তিনি সব সময় স্বপ্ন
দেখতেন ডিআইএইচকিউএ জয় করার। তিনি বলেন, পুরস্কার জিতে আমি অনেক খুশি।
মহান আল্লাহকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মেহনতী ও মেধাবী ছাত্র খালিদ মাত্র ১০ বছর
বয়সে হিফজুল কোরআন (পবিত্র কোরআন মুখস্থ করা) শুরু করেন ও ১৩ বছর বয়সে
পবিত্র কোরআন সম্পূর্ণ মুখস্থ করেন।
দুই ওবামা’র দুই ভুবন
তাইওয়ানে প্রথম দুই নারীর বিয়ে
Source: The daily Manabzamin
12-08-12
Friday, August 10, 2012
মরুভূমিতে প্রতারণা
বাংলাদেশের জুটিন জিতলো ৫০০০০ ডলারের পুরস্কার
Wednesday, August 8, 2012
দুবাই’র সবচেয়ে বড় মসজিদ
আসামের দাঙ্গায় বাইরের হাত!-সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করলেন তরুণ গগৈ
গরিবদের ১৩৬ কোটি রিয়াল সহায়তা সৌদি বাদশার
অনুরাধা: হত্যা না আত্মহত্যা!
Tuesday, August 7, 2012
হুমায়ূনের ডেথ রিপোর্ট
নিউজ ওয়ার্ল্ড, নিউ ইয়র্ক থেকে: কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের মৃত্যু নিয়ে রহস্যের জট কিছুটা খুলেছে। নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকার অনুসন্ধানী এক রিপোর্টে বেরিয়ে এসেছে অনেক অজানা তথ্য। রিপোর্টে বলা হয়, কোলন অপারেশনের সংযোগস্থলের জোড়ায় ছিদ্র, সেখান থেকে বর্জ্য কণিকা নিঃসরণ এবং সংক্রমণই হুমায়ূন আহমেদের শোকাবহ মৃত্যুর কারণ। তবে এই ছিদ্র হওয়ার কারণ সম্পর্কে কেউ স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি। নিউ ইয়র্কের বেলভ্যু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৩রা আগস্ট শুক্রবার রিপোর্টটি প্রকাশ করেছে।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক সিটির ব্রুকডেল ইউনিভার্সিটি মেডিকেল সেন্টারে কর্মরত ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিনের অধ্যাপক ডা. মুজিব উর রহমান মজুমদারের মন্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেলভ্যু হাসপাতালে অপারেশন সফল হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সেখানে ১০ দিন অবস্থান করেছেন ড. হুমায়ূন আহমেদ। এরপর তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন নিজেই হেঁটে। কিন্তু বাড়িতে আসার একদিনের মাথায় এত জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি হলো কেন সেটা আমাদের জানা নেই। এটা হুমায়ূন আহমেদের সহচর বা পরিজনরাই বলতে পারবেন। ১০ দিন হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে কোন সমস্যা হলো না। কিন্তু বাড়িতে আসার পর তার ইনফেকশন বা সংক্রমণ কিছুটা অস্বাভাবিক। হাসপাতালে ভর্তি থেকে শুরু করে পর্যায়ক্রমে হুমায়ূন আহমেদ ধীরে ধীরে কিভাবে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে গেলেন তার বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে রিপোর্টে। ডেথ রিপোর্টে স্বাক্ষর করেছেন বিশিষ্ট অনকোলজিস্ট ডা. জি লরেন বাউরেল জর্জ মিলার।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপসহ বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা ছিল হুমায়ূন আহমেদের। তার ওপর কোলন ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছিল লিভারে।
বেলভ্যু হাসপাতালে ১২ই জুন কোলন অপারেশনের পর ১৯শে জুন সকালে তাকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করা হয়। ২১শে জুন আবার তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। কোলনের অপারেশন স্থলের কাছে ফুটো হয়ে যাওয়া (এনাস্টমিক লিক) সংক্রান্ত জটিলতাই ছিল এর কারণ। এর ফলে ছিদ্রস্থান দিয়ে নিঃসরণ হচ্ছিল মল। এজন্য এটা বন্ধের চেষ্টায় তার অপারেশন স্থল খুলে আরেকটি অস্ত্রোপচার করতে হয়।
এই অস্ত্রোপচারের সময় তাকে এনেসথেশিয়া সহ সবকিছুই দেয়া হয়। কিন্তু পেটের সেলাই খোলার পরই সেখান দিয়ে বেরিয়ে আসে মলসহ বিভিন্ন বর্জ্য। যা নিঃসরণ হচ্ছিল অপারেশনের জোড়ার পাশ দিয়ে। এ সময় তার সেলাইয়ের জায়গায় একটি বড় আকারের গর্তও ধরা পড়ে, যার দুই পাশ দিয়েই বেরিয়ে আসছিল ময়লা।
অপারেশনের পর পর রোগীর রক্তচাপ ও হৃৎকম্পন বৃদ্ধি পায় অস্বাভাবিকভাবে। এই অবস্থায় তাকে স্থানাস্তর করা হয় ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। এ সময় তাকে সংযুক্ত করা হয় কৃত্রিম শ্বাসপ্রশ্বাস যন্ত্রের সঙ্গে।
জুলাই মাসের ১ তারিখ পর্যন্ত তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলেও রক্তের শ্বেত কণিকা কমতে থাকে। অল্প হলেও যন্ত্র ছাড়াই তিনি কিছুটা শ্বাস প্রশ্বাস নিতে পারছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক বমি শুরু হয় হুমায়ূন আহমেদের। এটা ছিল পিত্তবমি। বমির প্রচণ্ডতায় এর কিছুটা চলে যায় তার ফুসফুসে। এ অবস্থায় অবনতি শুরু হয় শ্বাস-প্রশ্বাসের।
সংক্রমণ ও শারীরিক অবস্থাকে গতিশীল রাখতে এই অবস্থায়ও তাকে উচ্চ শক্তিসম্পন্ন এন্টিবায়েটিক সহ বিভিন্ন ধরনের ওষুধ দেয়া হচ্ছিল। ফুসফুসের সংক্রমণ কমাতে ও প্রস্রাব বৃদ্ধির বিশেষ ওষুধ দেয়ার সিদ্বান্ত নেয়া হয়।
৩রা জুলাই। হুমায়ূন আহমেদের হৃদকম্পনের মাত্রা আবারও অস্বাভাবিক হতে থাকে। এ অবস্থায় আশঙ্কার কারণে তার শ্বাসনালীতে দেয়া হয় অক্সিজেন টিউব। এর আগে ফুসফুসে পানি জমে যাওয়ার কারণে পিজটেইল ক্যাথেটার দিয়ে বুকের ডানদিক থেকে বের করে আনা হয় ফুসফুসের পানি।
৪ জুলাই হুমায়ূন আহমেদের শরীরে নতুন উপসর্গ দেখা দেয়। এ সময় তার প্রস্রাবের মাত্রা একেবারেই কমতে থাকে। প্রতি ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ সিসির জায়গায় তখন এর মাত্রা ছিল মাত্র ১.৭ ফোঁটা মাত্র। এছাড়া মলদ্বারের পেছনেও এক ধরনের সংক্রমণের লক্ষণ দেখা যায়। এ অবস্থায় কিডনি ডায়ালাইসিস করা হয় তার।
৬ই জুলাই। অবস্থার আরও অবনতি হয়। এদিন কলোনের সেলাই খুলে যায়। এ স্থান দিয়ে বেরিয়ে আসে বর্জ্য। এ অবস্থায় এটাকে ধুয়ে পরিছন্ন করার উদ্যোগ নেয়া হয়। ৯ই জুলাই তার আহত অপারেশনস্থল জোড়া লাগানোর উদ্যোগ নেয়া হয়। ১৩ই জুলাই মুখের পাইপ খুলে গলা দিয়ে অক্সিজেন নল ঢুকানো হয়। হাসপাতালে অবস্থানকালে হুমায়ূন আহমেদকে বিভিন্ন ধরনের অপারেশন, ক্যাথেটার্স করতে হয়। এ সময় রক্তচাপ ও শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গসমূহকে সচল রাখতে সর্বোচ্চ মাত্রায় একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন- ভ্যানকোমাইচিন, ফ্লাজিল, পিপ্রোফ্লোক্সাসিন, পলিমিক্সিনবি, ইমিপিনেম, ক্যাপসোফিউজিন, ফ্লোকোনাজল ধরনের ওষুধ দেয়া হয়। ১৯শে জুলাই। দুপুল ১টা ১৫ মিনিটের দিকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে উপনীত হন হুমায়ূন আহমেদ। ১.২২ মিনিটে তিনি প্রকৃতই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ সময় তার শরীরের কোন অংশই আর কাজ করছিল না। হৃদযন্ত্র, ব্লাডপ্রেসার সচল রাখতে সর্বোচ্চ মাত্রার ওষুধের সঙ্গে ১০০% অক্সিজেন দেয়ার পরও সেটা নিতে সক্ষম ছিলেন না তিনি। এ অবস্থায় শেষ হয়ে যায় প্রচেষ্টা। ঘোষণা করা হয়, তিনি আর নেই। ডেথ রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে- সেপসিস ব্যাকটেরিয়া, যা শরীরের সর্বত্র ছড়িয়ে গিয়েছিল।
রিপোর্টে বলা হয়, দ্বিতীয় অপারেশনের আগে রোগীকে সব ধরনের ঝুঁকির কথা অবহিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছিল, অপারেশনের কারণে রক্তক্ষরণ, সংক্রমণ, মৃত্যু, এমনকি স্থায়ী নিউরোলজিক্যাল সমস্যা হতে পারে। এসব জেনেও তখন হুমায়ূন আহমেদ চিকিৎসায় সম্মতি দান করেন।
রিপোর্টে এর আগে জ্যামাইকা হাসপাতালে ভর্তির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, ২১শে জুন হুমায়ূন আহমেদের স্ত্রী জানান, পায়খানা বন্ধ, অনিদ্রা এবং ১০০ ডিগ্রির উপর জ্বরের কারণে হুমায়ূন আহমেদ সারারাত ঘুমুতে পারেননি। এর কারণ জানতেই ইমার্জেন্সিতে এসেছেন তারা।
বাংলাদেশী যৌনকর্মীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে শঙ্কা
Friday, August 3, 2012
ইউটিউবে ভিডিও মন্ত্রী বরখাস্ত
Subscribe to:
Posts (Atom)