Wednesday, December 30, 2015

পৈশাচিকতা ছাগলের সঙ্গে

বিকৃত মস্তিষ্কের পরিচয় দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা সিটির ৫৩ বছর বয়সী ডেরিল গিনি স্কোগিন। একটি ছাগীর সঙ্গে তিনি পৈশাচিক কর্মকা- চালাচ্ছিলেন। এ ঘটনা দেখে ফেলেছেন এমন এক ব্যক্তি পুলিশকে তা জানানোর পর ‘ছাগল ধর্ষণের’ অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিরর। এতে বলা হয়েছে, বড়দিনের প্রাক্কালে এ ঘটনা ঘটান ডেরিল। ওকলাহোমা সিটি পুলিশ ডিপার্টমেন্ট বলেছে, পশুর সঙ্গে পৈশাচিক কর্মকা- চালানোর অভিযোগে বড়দিনে আটক করা হয়েছে ৫৩ বছর বয়সী ওই ব্যক্তিকে। ওইদিন রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ কর্মকর্তাদের ফোন দেয়া হয় চিশোচ রোড থেকে। তারা সেখানে পৌঁছানোর পর প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনার বিবরণ দেন। এ বিষয়ে তারা একটি ফুটেজও তুলে দেন পুলিশের হাতে। তাদের অভিযোগ, ডেরিল ওই ছাগীর সঙ্গে পৈশাচিক কর্মকা-ে মেতে উঠেছিল। সঙ্গে সঙ্গে ডেরিলকে আটক করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। তার জ্যাকেটের পকেটে পাওয়া গেছে এক বোতল ভোদকা।

বেহুঁশ নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে সেনা সদস্যরা


বিবিসি বাংলা: ভারতের সেনাবাহিনীর তিনজন সদস্য একটি চলন্ত ট্রেনে কলকাতার একজন নাবালিকা কিশোরীকে মাদক দিয়ে বেহুঁশ করে লাগাতার গণধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত তিনজন সেনা জওয়ানের মধ্যে একজনকে মঙ্গলবার হাওড়ার জেলা আদালতে পেশ করা হয়েছে। ধর্ষণকারী হিসেবে চিহ্নিত বাকি দুই সেনা সদস্য এখনও পলাতক। সোমবার ঝাড়খন্ডের মধুপুরে অমৃতসর এক্সপ্রেস নামে ট্রেনটি থামিয়ে তার ‘মিলিটারি কম্পার্টমেন্ট’ বা সেনাদের জন্য সংরক্ষিত বিশেষ কামরা থেকে নাটকীয়ভাবে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করা হয়। রেলওয়ে পুলিশ বা জিআরপি সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার আদালতে গোপন জবানবন্দি দেয়ার কথা ওই নাবালিকার। এদিন সকালে অভিযুক্ত জওয়ান মঞ্জরীশ ত্রিপাঠি ও ওই নির্যাতিতাকে পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ায় নিয়ে আসেন মধুপুর জিআরপি থানার ওসি অর্জুন তিওয়ারি। এই গণধর্ষণের তদন্তভারও তুলে দেওয়া হয় হাওড়া জিআরপির হাতে। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় সেনা সদর দফতর ফোর্ট উইলিয়াম থেকে সেনাবাহিনীর তরফেও একটি তদন্তকারী দল পাঠানো হয়েছে। রবিবার হাওড়া স্টেশন থেকে অমৃতসর এক্সপ্রেসের সেনা-জওয়ানদের জন্য সংরক্ষিত কামরায় উঠে পড়েছিল ওই কিশোরী। অভিযোগ, এর পরই তাকে মদ খাইয়ে বেহুঁশ করে চলন্ত ট্রেনে গণধর্ষণ করে তিন সেনা জওয়ান। পরে ঝাড়খ-ের মধুপুরে ওই কামরা থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ওই নাবালিকাকে। দেওঘর হাসপাতালে নাবালিকার মেডিক্যাল পরীক্ষা হয়। রবিবার রেল পুলিশকে ওই কিশোরীর পিতা জানিয়েছিলেন, তার মেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে হাওড়া স্টেশনে গেছে, সম্ভবত সে লুধিয়ানা যাচ্ছিল প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে। রেলওয়ে কর্তৃপক্ষকে মেয়ের একটি ছবিও দেন তিনি। সেই ছবি মিলিয়ে দেখেই স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে আবিষ্কার হয়, মেয়েটি পাঞ্জাবগামী অমৃতসর এক্সপ্রেসে উঠেছে। এরপরই সোমবার ঝাড়খন্ডের মধুপুর জিআরপি ট্রেনটি থামিয়ে মেয়েটির খোঁজে তল্লাসি শুরু করে এবং মিলিটারি কম্পার্টমেন্ট থেকে উদ্ধার করা হয় ওই কিশোরীকে।

সৌদি আরবে জ্বালানি তেলের দাম বেড়েছে ৫০ ভাগ

সৌদি আরবে জ্বালানি মূল্য বাড়ানো হয়েছে। ক্ষেত্রবিশেষে তা শতকরা ৫০ ভাগেরও বেশি বাড়ানো হয়েছে। বর্ধিত এ দাম গতকাল থেকেই কার্যকর হয়েছে। সোমবার মন্ত্রিপরিষদ জ্বালানির দাম বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নেয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। এতে বলা হয়, নিম্ন মানের পেট্রোল (অকটেন ৯১) প্রতি লিটারের দাম ৪৫ হালালা থেকে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭৫ হালালা (১০০ হালালা সমান এক রিয়াল)। আবার উচ্চমানের সীসামুক্ত পেট্রোলের (অকটেন ৯৫) প্রতি লিটারের দাম ৬০ হালালা থেকে বাড়িয়েকরা হয়েছে ৯০ হালালা। এখানেই শেষ নয় দাম বাড়বে বিদ্যুত, পানি, ডিজেল, কেরোসিনেরও। মন্ত্রিপরিষদের এক বিবৃতিতে এ সব কথা বলা হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। ওদিকে সৌদি আরামকো এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা সোমবার মধ্যরাত পর্যন্ত পেট্রোল পাম্পগুলো বন্ধ রাখে। উল্লেখ্য, সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই বাড়তি দাম কার্যকর হয়েছে। মন্ত্রিপরিষদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, প্রাকৃতিক গ্যাস, কেরোসিন, এরাবিয়ান লাইন, ভারি অশোধিত তেল, ভারি জ্বালানি তেল, ইথেন ও বিউটেনের দামের বিষয়টি পর্যালোচনা করা হয়েছে। এসব পণ্যের বর্ধিত দাম কার্যকর হবে ১১ই জানুয়ারি থেকে। বিদ্যুত খাতে শুল্ক নিয়েও সভায় আলোচনা হয়েছে। এক্ষেত্রে কিলোওয়াট-আওয়ার হিসেবে চার্জ ধরা হয়েছে আবাসিক খাতে নিম্নরূপ: এক থেকে ২০০০ কিলোওয়াট আওয়ারের ক্ষেত্রে শুল্ক ৫ হালালা। ২০০১ থেকে ৪০০০ কিলোওয়াট আওয়ারের ক্ষেত্রে তা ১০ হালালা। ৪০০১ থেকে ৬০০০ কিলোওয়াট আওয়ারের ক্ষেত্রে ২০ হালালা। ৬০০১ থেকে তদুর্ধ্বো ৩০ হালালা। বাণিজ্যিক, কৃষি ও সরকারি খাতে, দাতব্য সংস্থা ও সমবায় সমিতি, সংগঠনের ক্ষেত্রে এ হার নিয়েও পর্যালোচনা করা হয়েছে। সিদ্ধান্ত হয়েছে বাণিজ্যিক খাতে ১ থেকে ৪০০০ কিলোওয়াট আওয়ারের জন্য শুল্ক ১৬ হালালা। ৪০০১ থেকে ৮০০০ কিলোওয়াট আওয়ারের ক্ষেত্রে ২৪ হালালা। ৮০০০ কিলোওয়াট আওয়ারের ওপরে ৩২ হালালা।  একই ভাবে অন্যান্য খাতেও দাম বাড়ানো হয়েছে।

পাকিস্তানে আত্মঘাতী হামলায় নিহত ২১

পাকিস্তানের খাইবার পখতুনখাওয়া প্রদেশে শক্তিশালী ‘আত্মঘাতী বোমা’ হামলায় কমপক্ষে ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫৬ জন। গতকাল এ ঘটনা ঘটে মারদান এলাকায় নিসাত্তা সড়কে ন্যাশনাল ডাটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটি (নাদ্রা) অফিসের কাছে। এ হামলার দায় স্বীকার করেছে তেহরিকে তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) থেকে বেরিয়ে আসা গ্রুপ জামা’আতুল আহরার। এ সংগঠনটি গত বছর ওয়াগা সীমান্তে ভয়াবহ হামলার নেপথ্যেও ছিল। টিটিপির কেন্দ্রীয় মুখপাত্র মোহাম্মদ খোরাসানি এক বিবৃতিতে মারদান হামলা থেকে তার গ্রুপের দূরত্ব বজায় রেখেছেন। তিনি বলেছেন, উন্মুক্ত স্থানে বোমা হামলা করার কোন কারণ নেই আমাদের। উদ্ধারকারী দল রেসকু ১১২২-এর মুখপাত্র বিলাল আহমেদ ফাইজি বলেছেন, ঘটনার পর পরই কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, ২১ জন নিহত হয়েছেন। যখন নাদ্রা অফিস লোকে ছিল ভরপুর, জাতীয় পরিচয় পত্রের জন্য মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তখনই ওই হামলা চালানো হয়। ওদিকে মারদান অঞ্চলের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল (ডিআইজি) সাঈদ ওয়াজির বলেছেন, এটা ছিল একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা। তিনি আরও বলেন, ওই অফিসের গেটে হামলাকারীকে থামান নিরাপত্তা রক্ষীরা। এরপরই সে আত্মঘাতী হামলা চালায়। সে ছিল একটি মোটর সাইকেলে। দ্রুতগতিতে সে ওই অফিসের গেটের ভিথর প্রবেশ করে। আবার কোন কোন রিপোর্টে বলা হচ্ছে, ওই বিস্ফোরক নাদ্রা অফিসের কাছে থামিয়ে রাখা একটি মোটর সাইকেলে বাঁধা ছিল। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিট বলেছে, এ হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে ৮ থেকে ১০ কিলোগ্রাম বিস্ফোরক। প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী, নাদ্রা অফিসের গেটের কাছে শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটেছে। এতে ওই ভবনের দরজা, জানালার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঘটনাস্থলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে পড়ে ছিল নিহতদের শরীরের বিচ্ছিন্ন অঙ্গ । রক্তে সয়লাব হয়ে যায় চারদিক। আহতদের চিৎকারে ঘটনাস্থলে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। লোকজন এদিক ওদিক দৌড়াদৌড়ি শুরু করে। নিরাপত্তা রক্ষীরা সেখানে গিয়ে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে। জীবিতদের উদ্ধার করে নেয়া হয় মারদান মেডিকেল কমপ্লেক্সে। সেখানে সব চিকিৎসা শাখায় ঘোষণা করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।

আজারবাইজানে আটক ৭ বাংলাদেশী

আজারবাইজানের সীমান্ত রক্ষীরা ৭ বাংলাদেশীকে আটক করেছে। ইরানের সঙ্গে আজারবাইজানের সীমান্ত অতিক্রমের সময় গত ১৯শে ডিসেম্বর তাদেরকে আটক করা হয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে আজারবাইজানের বার্তা সংস্থা আজারি প্রেস এজেন্সি (এপিএ)। এতে আটক বাংলাদেশীদের নাম প্রকাশ করা হয় নি। তবে তাদের কয়েকটি ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্টেট বর্ডার সার্ভিস ও স্টেট সিকিউরিটি সার্ভিসের যৌথ অভিযানে তাদেরকে আটক করা হয়। কারণ, তারা অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিচ্ছিল। তারা ছিল একটি সংগঠিত অপরাধ চক্রের। তাদেরকে নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। ২৬শে ডিসেম্বরও কয়েকজন বাংলাদেশী ও ইরানি নাগরিককে আটক করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিকভাবে ইন্ধন থাকতে পারে

বাংলাদেশে সম্প্রতি জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বলেছেন, এর পেছনে হয়তো । গতরাতে প্রচারিত বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি এসব কথা বলেন। এতে বলা হয়, ওই সাক্ষাতকারটি তিনি বঙ্গভবনে দেন। এতে তিনি বলেন, মসজিদে আক্রমণ কিংবা ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের হুমকির এবং হামলার বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন , ‘এটা আসলে আমাদের কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত, কোনভাবে এটা বাংলাদেশ হতে পারে না। কারণ, আমরা হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই কিন্তু এ দেশকে স্বাধীন করার জন্য যুদ্ধ করেছিলাম এবং এভাবেই তো দেশ চলছিল, কিন্তু হঠাৎ করে এটা দুঃখজনক।’ বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম-প্রধান দেশে এক ধরনের অস্থিরতার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেসব দেশের ঘটনা প্রবাহের আঁচ হয়তো বাংলাদেশেও পড়ছে। বাংলাদেশে সম্প্রতি জঙ্গি কর্মকা- বেড়ে যাবার পেছনে বিদেশী শক্তির সম্পৃক্ততার বিষয়টিকে উড়িয়ে দিচ্ছেন না প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, ‘কারণ আপনি জানেন, বেশ কিছুকাল যাবতই চলছে, আফগানিস্তানে চলছে, এরপর পাকিস্তানে চলছে, এরপর ইরাকে চলছে এসব যুদ্ধ-টুদ্ধ বিভিন্ন ইলামিক কান্ট্রিতে চলছে, আমার মনে হয় ওখানের ঘটনা প্রবাহ পাশাপাশি মানে আন্তর্জাতিকভাবেও এর পেছনে কিছু ইন্ধন দেয়া- এগুলো হয়তো থাকতে পারে।’
উল্লেখ্য, প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রায় তিন বছর দায়িত্ব পালন করছেন মো. আব্দুল হামিদ। বাংলাদেশে সম্প্রতি আশুরার সমাবেশ কিংবা কয়েকটি মসজিদে হামলার ঘটনা অনেকেই উদ্বিগ্ন করে তুলেছে। মসজিদে হামলার মতো ঘটনাগুলো পাকিস্তানে হরহামেশাই দেখা যায়। প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশের পরিস্থিতি কখনোই পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো হবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতির জন্য রাজনৈতিক উসকানি থাকতে পারে বলে তিনি মনে করেন। প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অনেকে অপচেষ্টা চালাতে পারে। কিন্তু আমি এখনো বিশ্বাস করি ,বাংলাদেশে-পাকিস্তান বা আফগানিস্তানের মতো একটা জঙ্গি চেহারায় নিয়ে যেতে পারবে না।’ তিনি বলেন, কিছু কিছু রাজনৈতিক দল সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে। জঙ্গি কার্যক্রম বৃদ্ধির পেছনে সেসব দলের ধর্মীয় রাজনীতি উস্কানি দিতে পারে বলে তিনি ধারনা করছেন। তবে বাংলাদেশের বেশির ভাগ মানুষই এসব কর্মকা-ে বিশ্বাস করে না বলে প্রেসিডেন্ট হামিদ মনে করেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রীয়ভাবে এটা কঠোরভাবে দেখতে হবে পাশাপাশি সামাজিকভাবেও সচেতনতা তৈরি করা।

বাংলাদেশী অভিবাসীদের নাগরিকত্ব বিলম্বিত হচ্ছে বিজেপির কারণে- গগৈ

বিজেপির কারণেই বাংলাদেশ থেকে যাওয়া অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়া বিলম্বিত হচ্ছে। এ অভিযোগ করেছেন আসামের মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ। সোমবার তিনি বলেছেন, এনডিএ সরকার এসব অভিবাসীর নাগরিকত্বের বিষয়ে ঢিলেঢালা কৌশল অবলম্বন করেছে। এক্ষেত্রে শুধু নির্বাচনী ফায়দা আদায়ের জন্যই কেন্দ্রীয় নেতারা মুখে কথা বলে যাচ্ছেন। ওদিকে রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বলেছেন, পার্লামেন্টে বিশৃংখলা সৃষ্টি করছে কংগ্রেস। তারা গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব পাস করাতে দিচ্ছে না। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য ইকোনমিক টাইমস।

Tuesday, December 29, 2015

পৌর নির্বাচনে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে সারাদেশে


রাজশাহীতে আহমদিয়া মসজিদে ‘আত্মঘাতী হামলা’র পর নতুন করে বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে যুক্তরাজ্য। এতে বলা হয়েছে, ৩০শে ডিসেম্বর পৌরসভা নির্বাচনে সহিংসতা হতে পারে। তা ছড়িয়ে পড়তে পারে সারাদেশে। এছাড়া ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, পশ্চিমাদের ওপর আরও হামলা হতে পারে। এ প্রেক্ষিতে বৃটিশ নাগরিকদের নতুন করে সতর্ক করেছে সরকার। এতে তাদেরকে চোখমুখ খোলা রেখে চলতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, চলাফেরার সময় সতর্কতা অবলম্বন করুন। আগেভাগেই যথাযথ নিরাপত্তা নিতে হবে। গতকাল যুক্তরাজ্য সরকারের ওয়েবসাইটে এ সতর্কতা আপডেট করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নেতৃত্বাধীন বিরোধী জোটের মধ্যে উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। পৌরসভা নির্বাচন আগামী ৩০শে ডিসেম্বর। এ সময়ে এই উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময়ে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ দ্রুততার সঙ্গে সহিংস হয়ে উঠতে পারে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে সংঘর্ষের সূত্রপাত ঘটতে পারে। অকস্মাৎ দেশজুড়ে, বিশেষ করে শহরগুলোতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর সহ সহিংসতা ছড়িয়ে পড়তে পারে। এ অবস্থায় বৃটিশদের আগেভাগেই যথাযথ নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। রাজনৈতিক অফিস বা র‌্যালি সহ যেখানে বড় বড় সমাবেশ হয় সেসব স্থানে বিশেস সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে। আপডেট করা ওই সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সন্ত্রাসের উচ্চ মাত্রার ঝুঁকি রয়েছে। এ বছর সেপ্টেম্বর থেকে এখানে বেশ কতগুলো সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জন বিদেশী নাগরিককে হত্যা করা হয়েছে। ইতালির একজন যাজককে হত্যা চেষ্টা হয়েছে। উপরন্তু শিয়া মতাবলম্বীদের ওপর দুটি হামলা হয়েছে। এতে তিনজন নিহত হয়েছেন। ঢাকায় একটি পুঠিল চেকপোস্টে ছুরি নিয়ে হামলা করা হয়েছে। এতে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। রাজশাহীর একটি আহমদিয়া মসজিদে দৃশ্যত আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়েছে। এতে বেশ কিছু মানুষ আহত হয়েছেন। এসব হামলার দায় স্বীকার করেছে দায়েশ, যাদের আইসিল নামেও ডাকা হয়। 

৬ মাস বেতন নেই, সৌদি কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা


সৌদি আরবের জুবেইলে একটি কোম্পানি তার শ্রমিকদের ছয় মাসের বেতন পরিশোধ করে নি। এ জন্য ওই কোম্পানির বিরুদ্ধে শ্রম আদালতে মামলা করেছেন দুর্ভোগে থাকা শ্রমিকরা। শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে এ বিষয়ে নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও ওই কোম্পানি শ্রমিকদের মজুরি পরিশোধ করছে না। এতে মারাত্মক দুর্ভোগে ভুগছেন তারা ও দেশে থাকা তাদের পরিজন। এসব শ্রমিকের মধ্যে কোন বাংলাদেশী আছেন কিনা তা জানা যায় নি। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। তবে কোম্পানির নাম প্রকাশ করা হয় নি। এতে বলা হয়, ছয় মাসে ওই কোম্পানির মোট বেতন বকেয়া পড়েছে সাত লাখ রিয়াল। এ বিষয়ে প্রমাণপত্রও দেখেছে সৌদি গেজেট। এরই প্রেক্ষিতে কোম্পানির ৩৪ জন শ্রমিক ওই মামলা করেন। কিন্তু অন্য শ্রমিকরা অনেকেই চাকরি বদল করে অন্য স্থানে চলে গিয়েছেন। কেউবা যার যার দেশে ফিরে গিয়েছে। কাউকে দৌড়ের ওপর রেখেছে ওই কোম্পানি। তারা কোন কোন শ্রমিককে জোর করে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বলে দাবি করেছেন একজন শ্রমিক।  তিনি বলেছেন, আমরা কখনোই সময়মতো বেতন পাই না। ২০১৪ সালের মাঝামাঝি থেকে বেতন পান নি তিনি। এ জন্য বাধ্য হয়ে তিনি স্পন্সর পরিবর্তন করেছেন। এ নিয়ে তিনি ও তার সঙ্গীয় শ্রমিকরা শ্রম অফিসে অভিযোগ করেছেন। তার মতে, শ্রম অফিস এর পরে এ মামলা তদন্ত করতে তদন্তকারী দল পাঠায়। তখন তাদের স্পন্সর যত তাড়াতাড়ি সাব-কন্ট্রাক্টিং কোম্পানি থেকে পাওয়া যাবে তার সাপেক্ষে তা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারপর তা আর দেয় নি তারা। ওই শ্রমিক আরও বলেন, ওই কোম্পানিকে শাস্তি দেয়া হোক এমনটা চাই না আমরা। আমরা শুধু অধিকার চাই। আমাদের পরিবার আছে। তারা আমাদের আর্থিক সহয়তার জন্য অপেক্ষায় রয়েছে। এই শ্রমিকের পাওনার পরিমাণ ৫৫ হাজার ৬শ ৪৪ রিয়াল।

বাংলাদেশ নয়, বৈদেশিক সহায়তা ব্যয় করতে হবে বৃটেনেই


বাংলাদেশে নয়, বৈদেশিক সহায়তার অর্থ ব্যয় করতে হবে বৃটেনে। বৃটেনে বন্যা নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে এ কথা বলেছেন শিমন ড্যানচুক এমপি। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, বন্যা আমাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ নয়, কেন বৈদেশিক সহায়তা ব্যয় করা উচিত বৃটেনে। অনলাইন হাফিংটন পোস্ট এ খবর দিয়েছে। এতে বরা হয়েছে, লেবার দলের এই এমপি বলেছেন, বন্যা রোধের জন্য আরও অনেক কিছু করতে হবে। রোচডালি পার্লামেন্টারি আসনে ভয়াবহ বন্যার পর তিনি বিবিসি রেডিও ম্যানচেস্টারকে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমাদেরকে যা করতে হবে তা হলো আমাদের সমস্যা চিহ্নিত করতে হবে, যা এখানে দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে আমাদেরকে উন্নয়নশীল দেশগুলোর দিকে নজর দিলে হবে না। এই মুহূর্তে এটাই আমাদের অগ্রাধিকার হওয়া উচিত। বন্যা আমাদের নাগরিকদের দুর্ভোগে ফেলেছে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সে বিষয়ে মনোযোগ দিতে হবে। ইংল্যান্ডের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে আরও ভয়াবহ বন্যার সতর্কতা দেয়ার পর তিনি এ মন্তব্য করেন। ল্যাঙ্কাশায়ারে ক্রোস্টেন এলাকায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে যে, ডগলাস নদীর তীর ভেঙে প্লাবিত হতে পারে দু’তীর। এ এলাকায় বন্যার আরও তিনটি সতর্কতা দিয়েছে এনভায়রনমেন্ট এজেন্সি। এর অর্থ হলো সেখানকার জনজীবন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠবে। 

বিতর্ক শেষ হয় নি

 বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে ‘অখ- ভারত’ প্রতিষ্ঠার আহ্বান নিয়ে বিতর্কের অবসান হয় নি। গত শুক্রবার ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব অখ ভারত প্রতিষ্ঠার কথা বলেন। তিনি এ মন্তব্য করলেন এমন এক দিনে, যেদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আকস্মিকভাবে লাহোরে যাত্রা বিরতি করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফের সঙ্গে সাক্ষাত করেন। রাম যাদবের মন্তব্য নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে অনেক কথা বলা হয়েছে। তার পক্ষ নেন আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। তিনি এক ধাপ এগিয়ে বলেন, এ তিনটি দেশ মিলে হবে ‘ফেডারেশন’ (মহাসংগঠন)। এর থাকবে অভিন্ন মুদ্রা। বাণিজ্য হবে উন্মুক্ত। মানুষ অবাধে এক দেশ থেকে আরেক দেশে চলাচল করতে পারবে। তবে সিপিআই নেতা ডি. রাজা এর উল্টো দিকে গিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাম যাদব বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান নিয়ে যে অখ- ভারত প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানিয়েছেন তাতে এ উপমহা,েশে যে শান্তির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে তা কক্ষচ্যুত হবে। এতে শান্তি সংলাপ থমকে দাঁড়াবে। গতকাল ভারতের বিভিন্ন পত্রিকায় এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে দ্য হিন্দুতে প্রকাশিত রিপোর্টে ডি. রাজার দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়েছে। বলা হয়েছে, তিনি দ্য হিন্দুকে রোববার বলেছেন, বিজেপির সাধারণ সম্পাদক যেভাবে কথা বলেছেন তা যেন একজন আরএসএস স্বেচ্ছাসেবকের বক্ত্য। বিজেপির একজন নেতা হিসেবে তিনি বলতে পারেন না যে, আরএসএস অখ- ভারত দেখতে চায়। আরএসএস বিজেপি বা নরেন্দ্র মোদি সরকারকে এজেন্ডা প্রতিষ্ঠা করে দিতে পারে না। এ বিষয়ে ডি. রাজা বলেন, এটা আরএসএসকে সামনে আনা ছাড়া আর কিছু নয়। ওদিকে দ্য এশিয়ান এইজ লিখেছে, রাম যাদবের বক্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্ব বজায় রেখেছে বিজেপি। বিজেপির এক মুখপাত্র বলেছেন, রাম যাদব যে মন্তব্য করেছেন সেটা তার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি। এটা বিজেপির দৃষ্টিভঙ্গি নয়। কারণ বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও ভারত সার্বভৌম রাষ্ট্র। অনলাইন রেডিফ বলেছে, মোদি যখন অখ- ভারতের পক্ষে কথা বলেছেন। ২০১২ সালে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। বর্তমানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ওই সময়ে তিনি উর্দু সাপ্তাহিক পত্রিকা নয়া দুনিয়ার সম্পাদক শহীদ সিদ্দিকীকে একটি সাক্ষাতকার দেন। এ সময় তিনি বলেছিলেন, এর অর্থ এই নয় যে, আমরা কোন দেশের ওপর কোনভাবে যুদ্ধ চাপিয়ে দিচ্ছি বা কোনো দেশে প্রবেশ করছি। যুদ্ধ ছাড়াই জনমতের ভিত্তিতেই এটা হতে পারে।

Monday, December 28, 2015

ভারতে ‘যৌনতার মন্দির’


২০১৩ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সমকামী সম্প্রদায়ের ওপর বড় ধরণের আঘাত আসে। দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সমকামিতাকে অপরাধ বলে রায় দেয়। এ বছরের আগস্টে ভারত সরকার ৮ শতাধিক পর্নো ওয়েবসাইটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। তবে কয়েকদিন পরই ওই নিষেধাজ্ঞা শর্তস্বাপেক্ষে প্রত্যাহার করা হয়। কিন্তু ভারত এমনটি ছিল না আগে। ১৩ শতাব্দীর আগেও ভারত ছিল অবাধ যৌনতার উর্বরভূমি। বিবিসি’র একটি ভ্রমণ বিষয়ক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের মন্দিরগুলো নিয়ে বিস্তারিত। এতে বলা হয়েছে, কয়েক শতক ধরে ভারত খুবই রক্ষণশীল। দেশটির কয়েকটি গোষ্ঠীর অতি নৈতিকতাবাদের ফসল এটি। এছাড়া ইসলামী শাসন, বৃটিশ শাসন ও ভারতের নিজস্ব অভিজাত ব্রাহ্মণ সমাজও এ ক্ষেত্রে কিছুটা দায়ী। অথচ ত্রয়োদশ শতাব্দীর আগেও আনুষ্ঠানিকভাবে দেশটির প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অন্তর্ভূক্ত ছিল যৌনতা। পড়ানো হতো কামসূত্র, যেটি বিশ্বের সর্বপ্রথম যৌনতা বিষয়ক গ্রন্থ। প্রাচীন ভারতে অর্থাৎ ৪০০-২০০ খ্রিস্টপূর্বে গ্রন্থটি লেখা হয়। দেশটির বহু জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে অবাধ যৌনতার নিদর্শন। এমনই একটি মন্দির পূর্ব ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কোনার্কের সূর্য মন্দির। ১৩ শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত মন্দিরটির দেওয়ালে ও সর্বত্র খাঁজ কেটে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন যৌন প্রবৃত্তি। মহারাষ্ট্রের বৌদ্ধ সন্ন্যাসীদের মন্দির অজন্তা (দ্বিতীয় খ্রিস্টপূর্বাব্দ) ও এলোরার (পঞ্চম ও দশম শতাব্দীর) বিভিন্ন চিত্রকলা ও মূর্তিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ব্যাপক নগ্নতা। তবে যৌন শিল্পের সবচেয়ে বেশি উদাহরণ পাওয়া যায় ভারতের মধ্যাঞ্চলের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের ছোট্ট শহর খাজুরাহোতে। এখানে বহু হিন্দু মন্দির অবস্থিত, যেগুলোকে ১৯৮৬ সালে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ ঘোষণা করে ইউনেস্কো। চান্দেলা বংশ এ মন্দিরগুলো নির্মান করে ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে। তবে মূল ৮৫টি মন্দিরের মধ্যে মাত্র ২২টি এখনও অবশিষ্ট রয়েছে।

৬ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত মন্দির এলাকা। মন্দিরে প্রতিদিন স্থানীয় নারীরা ফুল দিয়ে প্রার্থনা করেন। দর্শণার্থীদের প্রায়ই দেখা যায় করিডোর ধরে ঘুরে বেড়াতে। জটিল ও খোলামেলা মূর্তিগুলোর দিকে তাকিয়ে অনেকে জবুথবু হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। মন্দিরগুলোর প্রতিটি ইঞ্চি জুড়ে খোদাই করা রয়েছে বিভিন্নভাবে যৌনমিলনরত অজস্র মূর্তি। মূর্তির মধ্যে রয়েছে দেব-দেবী, যোদ্ধা, গায়ক, প্রাণী, পাখি, ইত্যাদি। কিছু কিছু মূর্তি প্রগাঢ় যৌনতাবিশিষ্ট। পশু কিংবা দুইয়ের অধিক সঙ্গি বিশিষ্ট যৌনতাও অঙ্কন করা হয়েছে সেখানে।
এসব মন্দির স্থাপনের কারণ স¤পর্কে মতভেদ রয়েছে। সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য থিওরি হলো, চান্দেলা বংশের রাজারা তান্ত্রিক নীতির অনুসারী ছিলেন। তাদের বিশ্বাসের মধ্যে নারী ও পুরুষ শক্তির মধ্যকার ভারসাম্যের কথা বলা আছে। তাদের বিশ্বাসের প্রতিফলনই তারা ঘটিয়েছেন নিজেদের নির্মিত মন্দিরগুলোতে। অনেকের ধারণা, যৌনকর্মের চিত্রাঙ্কনকে শুভ লক্ষণ হিসেবে বিবেচনা করা হতো। কেননা, এর মাধ্যমে নতুন সূচনা ও নতুন জীবনের আরম্ভকে বোঝানো হতো। অনেকের মতে, এ মন্দিরগুলো ছিল প্রার্থণা ও শিক্ষার স্থল। এর বাইরেও, হিন্দুমতে, ঐতিহ্যগতভাবেই যৌনতা জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ধারণা করা হয়, এ মন্দিরগুলোতে যৌনতাকে আড়াল করার কোন চেষ্টা করা হয়নি। এর প্রতিষ্ঠাতারা চেয়েছিলেন সবাই এসব দেখুক।

কিন্তু এ মন্দিরগুলো খাজুরাহোতেই কেন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা কারোই জানা নেই। আদৌ এ অঞ্চলে কোন রাজ্য ছিল কিনা, তার পরিষ্কার বর্ণনাও কোথাও নেই। কিন্তু হাজার বছর ধরে এ মন্দিরগুলো টিকে রয়েছে কীভাবে? ধারণা করা হচ্ছে, এ এলাকায় খুবই গভীর বনাঞ্চলের কারণে মন্দিরগুলো বহুবছর ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। এ কারণেই এসব টিকে ছিল এতদিন। ১৮৩৮ সালে বৃটিশ ক্যাপ্টেন টিএস বার্ট সর্বপ্রথম এসব আবিষ্কার করেন। এমনকি বার্ট নিজেও গভীর জঙ্গলের ভেতর অভিযান চালানো নিয়ে দ্বিধান্বিত ছিলেন। তিনি বিশ্বাস করেননি, এর ভেতর উল্লেখযোগ্য কিছু পাওয়া যাবে। তবে তার ভারতীয় সঙ্গীরাই তাকে বুঝিয়ে রাজি করায়।
আশ্চর্য্যজনক হলেও, ভারতের ‘নৈতিকতা’ বাহিনীর রোষাণলের মুখে কখনও পড়েনি মন্দিরগুলো। যদিও সালমান রুশদির বইয়ে ও চিত্রকর মকবুল ফিদা হুসেনের চিত্রকলায় হিন্দু দেবীকে যৌনরূপে চিত্রায়িত করার জন্য তাদের দেশ ছেড়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল। সবচেয়ে আগ্রহোদ্দীপক বিষয় হলো, মন্দিরে ভারতীয় অনেক পরিবার দর্শণার্থী হিসেবে যান। গাইড তাদেরকে এ মন্দিরের ইতিহাস জানায় ও মূর্তিগুলোর অর্থ ব্যাখ্যা করে। কিন্তু সবাই নীরবে সেসব হজম করেন। কারও চোখেমুখে ভ্রƒকুটি দেখা যায় না। কেউ বিব্রত হয়ে একে-অপরের দিকে তাকায় না। কারও মুখে নেই মুচকি হাসি। সবাই গম্ভীর হয়ে সব শুনে যায়।

মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ


হৃদযন্ত্রের অসুস্থতায় মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে মোটা মানুষ আন্দ্রে মরেনো। ৩৮ বছর বয়সী মরেনোর সর্বোচ্চ ওজন ছিল ৪৪৪ কেজিরও বেশি! ২৫শে ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিনের সকালে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় তার। এক বিবৃতিতে তার প্রচারক কার্মেন পালাসিওস বলেন, বড়দিনে সকাল সাড়ে ৮টায় অ্যাম্বুলেন্সে মৃত্যু হয়েছে আন্দ্রের। এ খবরে আমরা ব্যথিত। মৃত্যুর সময় অবশ্য তার ওজন ছিল ৩১৭ কেজি। গতকাল তার মাতৃভূমি মেক্সিকোর সেনোরায় তাকে সমাহিত করার কথা রয়েছে। নিজের বিশালাকার শরীর নিয়ন্ত্রণে মৃত্যুর আগে প্রচেষ্টা নিয়েছিলেন মরেনো। এমনকি তাকে অনুপ্রেরণা দিতে মাত্র মাসখানেক আগে ফুটবল তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো নিজের স্বাক্ষরিত রিয়াল মাদ্রিদের একটি জার্সি পাঠিয়েছিলেন। এ উপহার পেয়ে আনন্দে কেঁদেছিলেন মরেনো। তখন মরেনো বলেছিলেন, আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিতে চাই, বিশেষ করে রোনাল্ডোকে। অনেক সময় মনে হবে মানুষ একে অপরের কাছ থেকে কতই না দূরে থাকে। কিন্তু আমার বেলায় তা হয়নি। আমি যেন বড়দিনের আগেই বড়দিনের উপহার পেয়ে গেছি! নিজের চেষ্টায় ১২০ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন মরেনো। এরপরই মেক্সিকোর একটি হাসপাতালে একটি ওজন কমানোর অস্ত্রোপাচার হওয়ার কথা ছিল তার। ওই অস্ত্রোপাচারের আগেই নিজের অটোগ্রাফ সম্বলিত জার্সিটি তাকে পাঠান রোনাল্ডো। অস্ত্রোপাচার হওয়ার পর তার ওজন ৩৬২ কেজি কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছিল। এর ফলে তার ওজন হতো মাত্র ৭৯ কেজি। আর তাতেই নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে পারতেন মরেনো। পেতেন মনের মতো এক বউ, শুরু করতেন সংসার। কিন্তু তা আর হলো কই?
অস্ত্রোপাচারের আগেই মরেনো জানতেন এতে ঝুঁকি রয়েছে। এমনকি সব ঠিকঠাক না থাকলে, মৃত্যুও হতে পারে তার। এসব জেনেই শল্য চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন তিনি। কারণ, অস্ত্রোপাচার না হলে, সর্বোচ্চ ৫ বছর বেঁচে থাকা যেত। তার ইচ্ছা ছিল, সুস্থ হলে তিনি একটি সংগঠন খুলবেন, যেখান থেকে সাহায্য দেওয়া হবে স্থুলকায় মানুষদের। কিন্তু সেসবের কিছুই পূরণ করা হলো না তার। 

কয়েক দিনের ‘বিয়ে’

সিরিয়ার সাহায্যকর্মীরা একে বলছেন ‘সার্ভাইভাল সেক্স’ বা ‘বেঁচে থাকার জন্য যৌনকর্ম’। লেবাননে আশ্রয় নেওয়া সিরিয়ান শরণার্থী নারী ও মেয়ে, যাদের অনেকের বয়স মাত্র ১২ বছর, বাধ্য হয়ে নিজের শরীর বিক্রি করছেন, যাতে তাদের পরিবার বেঁচে থাকতে পারে। মরিয়া এ মানুষগুলো পাহাড়সম ঋণে জর্জরিত। আরেকটি বছর আসন্ন, কিন্তু সিরিয়ার সঙ্কট সমাধানের নামগন্ধও শোনা যাচ্ছে না। যারা সিরিয়া ছেড়ে লেবাননে গিয়েছেন, তাদের যেটুকু সঞ্চয় ছিল, তা অনেক আগেই শেষ। বেঁচে থাকার তাড়নায়, এখন সিরিয়ান শরণার্থী নারীরা বাধ্য হচ্ছেন পতিতাবৃত্তিতে জড়াতে। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হলো, খুবই অল্পবয়স্ক কন্যাশিশুদের ‘বিয়ে’ করানো হচ্ছে, যে বিয়ের মেয়াদ মাত্র কয়েকদিন। লেবাননের বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ঘুরে লেখা এমন একটি প্রতিবেদন ছেপেছে ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়েছে, সাহায্যকর্মীরা বলছেন, এ ‘বিয়ে’ হলো নকল। বিয়েতে বর যৌতুক বা কিছু অর্থ দেয় কনেকে। মুসলিম সমাজে একে বলা হয় দেনমোহর। কনের সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এ অর্থ দেওয়ার বিধান রয়েছে মুসলিম ধর্মমতে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে অল্পবয়স্ক মেয়ের সঙ্গে যৌনতার বিনিময়েই মূলত ওই অর্থ দেওয়া হয়। ওই মেয়ে হয়তো জানেও না, ক’ দিন বাদেই তাকে পরিত্যাগ করবে ‘স্বামী’। বৈধতার মোড়কে এভাবেই চলছে দেহব্যবসা। কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, বিদেশীরা এসে এ ধরণের ‘বিয়ে’ করে। স্থানীয় আদালতের রায় মোতাবেক, এ বিয়ে বৈধ। মাত্র ৭২ ঘন্টা পরই তালাকের মাধ্যমে ইতি ঘটতে পারে বিয়ের। কিছু ঘটনার কথা স্মরণ করে শরণার্থী শিবিরে কর্মরত সাহায্যকর্মীরা বলেন, ১৪ বছর বয়সী মেয়ের বিয়ের এক সপ্তাহ পরই তার স্বামী তাকে ত্যাগ করে। মেয়েটিকে বলা হয়েছিল, তাকে আবারও ‘ডেকে নেবে’ তার স্বামী। কিন্তু আর কখনও স্বামীর ডাক পায় নি সে। ৭ সদস্যের পরিবার আর্থিক সঙ্কটে পড়ায়, পরিবারের ১৫ বছর বয়সী মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু তার ২৩ বছর বয়সী স্বামীর বারংবার নিষ্ঠুর নির্যাতনের ফলে তাকে নিজেদের জিম্মায় নিতে বাধ্য হয় শরণার্থী শিবির। ৩ বছর আগে সিরিয়ার ইদলিব থেকে বাবার সঙ্গে পালিয়ে লেবাননে পাড়ি জমায় ১২ বছর বয়সী হুরিয়াহ। মেয়েটি স্কুলে পড়ে। কিন্তু তার বাবা তাকে নিয়ে চিন্তিত। কারণ, ১৭ বছর বয়সী একটি ছেলে তাকে নিয়মিত অনুসরণ করার পর থেকেই তাকে নিয়ে অনেক মুখরোচক কথাবার্তা ছড়াচ্ছে। হুরিয়ার বাবা বলছেন, ওই ছেলের কাছেই মেয়ের বিয়ে দেবেন তিনি। কেননা, মেয়েকে সুরক্ষার অন্য কোন উপায় নেই। লেবানিজ পুলিশেরও কিছু করার নেই। কেননা, সিরিয়ান শরণার্থীদের ওপর তাদের কোন ক্ষমতা নেই। এরকম অসংখ্য গল্প ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে লেবাননের সিরিয়ান শরণার্থী শিবিরে। যুদ্ধের নৃশংসতা যে কতরকম হতে পারে, তার একটি উদাহরণ হয়তো এটি। 

বিকিনিতে রাজবধূ


শনিবার অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের সমুদ্র সৈকতে দেখা গেছে বিকিনি পরিহিত ডেনমার্কের রাজবধূ ম্যারিকে। সঙ্গে দেখা গেছে তার স্বামী ও ডেনিশ সিংহাসনের পরবর্তী উত্তরাধিকারী ক্রাউন প্রিন্স ফ্রেডেরিক। তাদের তিন সন্তান ক্রিস্টিয়ান, ইসাবেলা ও জোসেফাইনও ছিল এ প্রমোদক্ষণে। সার্ফিং করে বেশ ভালো সময়ই কাটিয়েছেন তারা। রাজবধূ ম্যারি মূলত অস্ট্রেলিয়ার অধিবাসী। ম্যারির মা-বাবার বাড়িতেই ছুটি কাটাতে এসেছেন সবাই। এ খবর দিয়েছে ডেইলি মেইল। সমুদ্র সৈকতে বিকিনি পরিহিত রাজবধূ ম্যারিকে দেখা গেছে সার্ফ নিয়ে নিজের স্বামী ও সন্তানদের সঙ্গে মজা করতে। ইচ্ছেমতো সাতরিয়েছেন তিনি। বেশ কয়েকবার তীব্র স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছিল তাদের। তবুও বিপজ্জনক কায়দায় সার্ফিং করেছেন তারা। এক পর্যায়ে রাজপুত্র ক্রিস্টিয়ান স্রোতে আটকেও যায়। লাইফগার্ড নিক ম্যালকম তাকে উদ্ধার করেন। তিনি বলেন, ক্রিস্টিয়ান আসলেই খুব ভালো সাতার কাটে। এ কারণেই তীব্র স্রোতের কবলে পড়লেও আতঙ্কিত হয়নি। তাকে আর দশ জনের মতোই উদ্ধার করেছি। সে কি রাজপুত্র কিনা, তা বড় বিষয় নয়। পরে তাকে ব্যক্তিগতভাবে ধন্যবাদ জানান প্রিন্স ফ্রেডেরিক। তবে অনেকে বলছেন নিক ম্যালকম না থাকলে ডেনমার্কের ভবিষ্যত রাজা ক্রিস্টিয়ানের জীবনের হয়তো সেদিনই ইতি ঘটতো।  ম্যালকম জানান, তিনি আসলে জানতেন না, কাকে তিনি বাঁচাচ্ছেন। পরে পাশের একজন লোক তাকে জানান ক্রিস্টিয়ান হলেন ডেনিশ রাজপরিবারের সদস্য। তবে রাজপরিবার থেকে এক বিবৃতিতে এ দাবি অস্বীকার করেছে। এমনকি প্রিন্স ক্রিস্টিয়ান বিপদে পড়েছিল, তা-ও স্বীকার করা হয়নি। তবে উদ্ধারের পরও বেশ আনন্দঘন মুহূর্ত পার করেছেন রাজপরিবারের বাকি সদস্যরা। ডেনিশ রাজবধূ হলেও ম্যারিকে মোটেই অস্বস্তি কিংবা আড়ষ্টতা বোধ করতে দেখা যায়নি সৈকতে। তার উচ্ছলতা দেখে মনে হয়েছিল, সত্যিই নিজের মাতৃভূমিকে তিনি উপভোগ করছেন। চিরাচরিত আর দশটি তাসমানিয়ান মেয়ের মতোই দাপিয়ে বেড়িয়েছেন সাগরে। ৪৩ বছর বয়সী এ রাজবধূর পরনে ছিল বিকিনি আর ফুল হাতা গেঞ্জি। গত ৬ই ডিসেম্বর এ দ¤পতি পার্থে যান ম্যারির ভাই জন ডোনাল্ডসনের বাড়িতে বেড়াতে। ২০১১ সালের পর এ প্রথম ডেনিশ রাজপরিবার অস্ট্রেলিয়ায় বেড়াতে গেছে। পুরো বড়দিনের ছুটি অস্ট্রেলিয়ায় কাটালেও নতুন বছরের আগে আগেই ডেনমার্কে গিয়ে পৌছবেন তারা।

ইউরোপে নতুন করে হামলার আশঙ্কা, ত্বরিত নিরাপত্তা বৃদ্ধি

অজ্ঞাত একটি বন্ধুভাবাপন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ইউরোপের বেশ কয়েকটি শহরে সম্ভাব্য সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। অস্ট্রিয়ার ভিয়েনায় গতকাল পুলিশের একটি বিবৃতিতে এমনটি বলা হয়েছে। ওই সতর্কতা পেয়েই নতুন করে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে ইউরোপজুড়ে বিভিন্ন সংবেদনশীল স্থানে। এ খবর দিয়েছে সিএনএন। বড়দিন ও নতুন বছরের অনুষ্ঠানের মাঝখানে বোমা বিস্ফোরণ ও বন্দুক নিয়ে হামলা হতে পারে বলে দাবি করা হয়েছে পুলিশের বিবৃতিতে। তবে ইউরোপের কোন কোন শহরে হামলার শঙ্কা রয়েছে, তা জানানো হয়নি। ওই গোয়েন্দা সংস্থা কয়েকজন সম্ভাব্য হামলাকারীর নামও জানিয়েছে ইউরোপের দেশগুলোকে। ভিয়েনা পুলিশ অবশ্য বলছে, তদন্ত করে এখন পর্যন্ত বাস্তব ফলাফল পাওয়া যায়নি। সন্ত্রাসী হামলার সতর্কতা পেয়ে ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পুলিশ বিভাগ নিরাপত্তা সতর্কতার মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। পুলিশের নজরদারি ও পর্যবেক্ষণ বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বজনীন স্থান, গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানস্থল ও জনবহুল স্থানসমূহে পুলিশের উপস্থিতি ও তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। আরও বেশি নিরাপত্তা তল্লাসি বাড়ানো হয়েছে।

বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান নিয়ে ফেডারেশন হতে পারে: ভারতীয় মন্ত্রী




 রাম যাদবের পর এবার বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানকে নিয়ে ফেডারেশন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের কেন্দ্রীয় আরেক মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। তিনি বলেছেন, এ ফেডারেশনের থাকবে অভিন্ন মুদ্রা। বাণিজ্য হবে উন্মুক্ত। তা হলে সন্ত্রাসকে বিদায় জানানো যাবে। এর একদিন আগে যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম যাদব এ তিনটি দেশকে একীভূত করার কথা বলেন। তারপরেই এ কথা বললেন রাম বিলাস পাসওয়ান। তবে আরএসএস বলেছে, তিনটি দেশকে একীভূত করা রাজনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক দিক থেকে তাৎপর্যপূর্ণ। তবে রাম যাদবের কথায় জোর দিলেন ভোক্তা, খাদ্য ও বিতরণ বিষয়ক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান। গতকাল বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে। তিনি পিটিআইকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে দেশ তিনটিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আমরা বলতে পারি না এ দেশগুলো একীভূত হতে পারবে নাকি পারবে না। যদি তারা একীভূত হতে পারে তাহলে তা হবে খুবই ভাল বিষয়। যদি তারা আবার এক জাতি হতে না পারে তাহলে ন্যূনতম তাদেরকে একটি ‘মহাসংগঠন’ গড়ে তুলতে হবে। আগে ভারত, পাকিস্তান ও বাংলাদেশ এক জাতি ছিল। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম যাদবের উক্তির বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি এসব কথা বলেন। পাসওয়ান বলেন, তিনটি দেশ মিলে একটি ফেডারেশন (মহাসংগঠন) গড়ে তুলতে পারে। এতে থাকবে অভিন্ন মুদ্রা। বাণিজ্য হবে উন্মুক্ত। জনগণের মুক্তভাবে চলাফেরার ওপর থেকে বিধিনিষেধ উঠে যাবে। এটা করা হলে সন্ত্রাস দূর হবে।

ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড টেক্সাস, নিহত ২৬


ঘূর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস রাজ্য। এতে এ রাজ্য ও আশপাশের এলাকায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হয়েছেন। শনিবার সন্ধ্যায় এই ঝড় ডালাসে আঘাত হানে। ঝড়ে উড়ে যায় গাড়ি। ভেঙে পড়ে বাড়ি। বয়ে যায় গরম হাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণাঞ্চলে এমন ঝড় বিরল। ৫০ হাজার মানুষের বাড়িঘরে বিদ্যুত নেই। অসংখ্য বাড়িঘর ধসে পড়েছে। ডালাসে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে গারল্যান্ড। সেখানে কয়েক জন নিহত হয়েছেন। গারল্যান্ডের বাসিন্দা প্যাট ম্যাকমিলান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় তাদেরকে অন্ধকারে রেখে গিয়েছে। আমি শুধু ঘূর্ণিঝড়ের গর্জনের শব্দ শুনেছি। আমার মা তখন আমাদেরকে বাথরুমে ঢুকে যেতে বলেন। তারপর আমরা সবাই হলঘরে চলে যাই। মিলিয়ে নিই সবাই ঠিকঠাক আছি কিনা।

ওবামার শেষ ইউনিয়ন ভাষণ ১২ই জানুয়ারি


আগামী ১২ই জানুয়ারি সর্বশেষ স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দেবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। এতে তিনি তার সময়কালে যেসব উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে তা তুলে ধরবেন। এর মধ্যে রয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বী কিউবার সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন, ইরানের ঐতিহাসিক পারমাণবিক চুক্তি ও বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি। ৫৪ বছর বয়সী ওবামা বর্তমানে তার ক্ষমতার শেষ মেয়াদে হাওয়াইয়ে সরকারি ছুটিতে রয়েছেন। বার্তা সংস্থা পিটিআই বলেছে, সেখান থেকে তিনি শনিবার তার সমর্থকদের উদ্দেশে একটি ইমেইল পাঠিয়েছেন। তাতে লিখেছেন, আমার হাতে ১২ মাস সময় আছে। এ সময়ে আমি আমার সবকিছু গুছিয়ে নিচ্ছি। এই ইমেইলটি তিনি ‘ওবামা ফর আমেরিকা’ সংগঠনের মাধ্যমে পাঠিয়েছেন। বারাক ওবামা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৪তম প্রেসিডেন্ট। বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের উভয় কক্ষের যৌথ অধিবেশনে ১২ই জানুয়ারি তিনি ওই ভাষণ দেবেন।

ভারতের গরু-নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ


এস এন এম আবদি: বিদেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন কূটনীতিক ও স্বাগতিক দেশের রাজনীতিকদের মধ্যে যে কথোপকথন হয় তা সাধারণত গোপনীয়তায় মোড়া থাকে। কিন্তু ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং সম্প্রতি নয়া দিল্লিতে নিয়োজিত গুরুত্বপূর্ণ একজন দূতের সঙ্গে কি কথা হয়েছে তা প্রকাশ্যে বলে দিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের বাইরে থাকলে এই রাজনাথ সিং ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। তো তিনি তার সংসদীয় আসন লক্ষেèৗতে এক জনসভায় জোর দিয়ে বলেছেন, ‘বাংলাদেশী হাই কমিশনার মুয়াজ্জেম আলী আমাকে বলেছেন যে, তার দেশে গরুর মাংসের দাম অনেক বেড়ে গেছে’। এ কথা প্রকাশ করে তিনি যেন গর্বে ফেটে পড়ছিলেন। তার ভাবখানা এমন ছিল যে তিনি নিজেই নিজেকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন। ভাবটা এমন যে, যদি তিনি পারতেন তাহলে নিজেই নিজের পিঠ চাপড়াতেন।
বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মুয়াজ্জেম আলীর উদ্বেগের বিষয়টি প্রকাশের পর মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী রাজনাথ সিং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ভারতীয় গরু রপ্তানি দমন করার জন্য ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই বাহিনী সরাসরি তার নিয়ন্ত্রণে। রাজনাথ সিং জানান যে, যেখানে বছরে ২০ থেকে ২২ লাখ গরু সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে ঢোকে সেখানে ২০১৫ সালে মাত্র ২ লাখ থেকে আড়াই লাখ গরু গিয়েছে বাংলাদেশে। এর ফলে সেখানে গরুর মাংসের দাম অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) বাংলাদেশে গরুর মাংস বন্ধের বিতর্কিত উদ্যোগ নিয়েছে। সেই ধারাকে যেন আরেকটু এগিয়ে নেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করলেন রাজনাথ সিং। যখনই তিনি ভারতের উদ্বৃত্ত গরু, দুধ উৎপাদনে অক্ষম এমন গরু বন্ধুপ্রতীম প্রতিবেশী দেশে বন্ধের সিন্দান্ত নিয়েছেন তখন এ দেশে হিন্দুত্ববাদী এ আচরণের জন্য ভারত বিরোধিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ খাতে বছরে অনানুষ্ঠানিক এই বাণিজ্যে আয় হয় ১০০ কোটি ডলার। তা বন্ধ হয়ে আছে। অনেকদিন আগে থেকে এ ধারা চলছে। কত আগে থেকে চলছে তা কেউ স্মরণও করতে পারেন না।
এটা বিস্ময়ের ব্যাপার নয় যে, গত মাসে ঢাকায় বাংলাদেশ ও ভারতের স্বরাষ্ট্র সচিব মোজাম্মেল হক খান ও রাজিব মেহর্ষির মধ্যে দু’দিনের বৈঠক হয়েছে। তাতে বিজেপির এই গরু নিয়ে বাড়াবাড়ির বিষয়টি ছায়া ফেলেছে। জঙ্গি বিষয়েক গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়, অনুপ্রবেশ, ভুয়া মুদ্রার বিস্তারে মতো ইস্যুর পরিবর্তে বিএসএফ গরু পাচার বন্ধ করা নিয়ে বেশি সময় ও শক্তি ব্যয় করা হয়েছে। আগেভাগে এসব বিষয়কে শীর্ষ অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছিল।
ভারতীয় এক কর্মকর্তা স্বরাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক নিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, উদ্বিগ্ন বাংলাদেশ প্রধানত যে ইস্যু তুলে ধরেছে তা হলো বিএসএফের দমননীতি, যাতে বাংলাদেশে গরু সরবরাহ শতকরা ৭০ ভাগ কমে গেছে। এতে বাংলাদেশে গরুর মাংসের দাম বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বিফ ইন্ডাস্ট্রিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
রাজনাথ সিং হিন্দুত্ববাদী দমননীতিকে উস্কে দেয়ার আগে পর্যন্ত বাংলাদেশে প্রতি চারটি গরু জবাই করা হলে তার মধ্যে ভারতীয় গরু থাকতো তিনটি। কারণ, তখন ভারতে চাহিদা পূরণের অতিরিক্ত গরু, দুধ উৎপাদনে গরুর ওপর দু’দেশের প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার সীমান্তে কোন বিধিনিষেধ ছিল না। বিজেপি সরকারের গরু-পন্থি ও গরুর মাংস বিরোধী এজেন্ডার মূল নিহিত আছে নরেন্দ্র মোদির ২০১২ সালের ৯ই আগস্টের ‘পিংক রেভ্যুলুশন’ বা গোলাপী বিপ্লবের মধ্যে। এটা তার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছিল। এরপর ২০১৩ সালের ১০ই সেপ্টেম্বর আরএসএস প্রধান মোহন ভগত গরু রক্ষার ডাক দেন, অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের ঘোষণা দেন, ইউনিফর্ম সিভিল কোড চালু করেন, ধারা ৩৭০ বাতিল করান, এর ফলে নরেন্দ্র মোদির প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ সুগম হয়। আরও সত্য কথা হলো, ২০১৪ সালে বিজেপির নির্বাচনী মেনিফেস্টোর ৪১ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে যে, তাদের সরকার গরু রক্ষা, উন্নয়ন ও এর বংশ রক্ষা করবে।
কিন্তু গরুর ওপর অবরোধ আরোপ করায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশ। এ সঙ্কট নিয়ে বাংলাদেশের একটি ইংরেজি দৈনিক তিন পর্বের ধারাবাহিক প্রকাশ করে। এতে ভারতের স্বেচ্ছাচারিতায় ক্ষোভ ফুটে ওঠে। ভারতপন্থি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচটি ইমাম অন রেকর্ডে বলেছেন, ভারতের দমননীতির কারণে বাংলাদেশের মাংস বাণিজ্য ও চামড়া শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে- এতে কোনই সন্দেহ নেই। বাংলাদেশের মাংস প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট, কসাইখানা, ট্যানারি ও হাড় গুঁড়াকরণ কারখানাগুলো ভারতীয় গরুর ওপর নির্ভর করে চলে।
বাংলাদেশের মাংস রপ্তানিকারক সংস্থা বেঙ্গল মিটের সৈয়দ হাসান হাবিব বলেন, তাকে আন্তর্জাতিক চাহিদার শতকরা ৭৫ ভাগ বাতিল করতে হয়েছে। ভারতের এই দমননীতির আগে তিনি বছরে উপসাগরীয় দেশগুলোতে ১২৫ টন মাংস রপ্তানি করতেন। তার কথার প্রতিধ্বনি শোনা গেল বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশন সভাপতি শাহিন আহমেদের কণ্ঠে। তিনি বললেন, চামড়া স্বল্পতার কারণে ১৯০টি ট্যানারির মধ্যে ৩০টি কাজ বন্ধ করে দিয়েছে। এতে ৪ হাজার মানুষ কর্মক্ষম হয়ে পড়েছেন।
টাইমস অব ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি জরিপ অনুযায়ী, মোদি ও রাজনাথ সিং সরকারকে বাড়তি গরুকে খাওয়াতে ও তা পালনের জন্য স্থান দিতে বছরে ৩১ হাজার কোটি রুপি খরচ করতে হবে, যদি বিএসএফ স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে এসব গরু সরবরাহ বন্ধ করে দেয়।
অবশ্যই ভারতের এই নতুন গরু-নীতির দায়ভার বহন করতে হবে দেশের সাধারণ করদাতাদের। তাই কোনটি উচিত সব ভারতীয়ের জন্য সে বিষয়ে এখন প্রয়োজন একটি জন বিতর্ক। শুধু অর্থনীতির জন্য নয় বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বন্দ্বমুক্ত একটি সম্পর্কের কারণে এ নিয়ে অবশ্যই নতুন করে চিন্তা করতে হবে। এটা ভারতের নিরাপত্তার জন্যও প্রয়োজন। একই সঙ্গে এ অঞ্চলে ভারতের প্রভাব নিশ্চিতের জন্যও তা করা উচিত।
(গতকাল অনলাইন আরব নিউজে প্রকাশিত লেখার অনুবাদ)

Sunday, December 27, 2015

গ্রিসে সমকামিতা বৈধতা পেল

সমকামিতাকে বৈধতা দিল গ্রিসের পার্লামেন্ট। এর ফলে এখন থেকে সমকামী নারী বা পুরুষরা একে অন্যের সঙ্গে বৈধভাবে বসবাস করতে পারবেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি।। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যের জন্য দু বছর আগে গ্রিসের নিন্দা জানিয়েছে ইউরোপিয় মানবাধিকার বিষয়ক আদালত। ওদিকে এমন বৈধতার আইনের বিরুদ্ধে জোর অবস্থান নিয়েছেন গ্রিসের শক্তিধর অর্থোডক্স চার্চের রক্ষণশীল বিশপরা। পার্লামেন্টের সদস্যরা এ নিয়ে একটি বিলের ওপর ভোট দিয়েছেন। তাতে সমকামিতা বৈধতার পক্ষে ভোট পড়ে ১৯৩টি। বিপক্ষে পড়ে ৫৬টি ভোট। তবে বিশপরা বলছেন, এ আইন পাস হওয়ায় পারিবারিক যে মূল্যবোধ বিদ্যমান রয়েছে তা খর্ব হবে। দক্ষিণাঞ্চলের শহর কালাব্রিতার বিশপ আমভ্রোসিওস বলেন, প্রকৃতির যে নিয়ম আছে তার ব্যত্যয় হলো সমকামিতা। এটা একটা সামাজিক অপরাধ। একটি পাপ। যারা সমকামী বা যারা তাদেরকে সমর্থন করেন তারা স্বাভাবিক মানুষ নন। মঙ্গলবার যখন পার্লামেন্টে এ বিষয়ক বিলের ওপর ভোটাভুটি হয় ঠিক তখন এর বিরোধিতা করে চার্চের বেল বাজানো হয়। ২০১৩ সালে কাউন্সিল অব ইউরোপের মানবাধিকার বিষয়ক আদালত দেখতে পায় যে, গ্রিসে আইনে বৈষম্য রয়েছে। একই সঙ্গে সমকামীদের ক্ষতির বিষয়ে মনোযোগ দিতে নির্দেশ দেয়া হয়। ২০০৮ সালে গ্রিসে সমকামিতা চালু হয়। এ ধারাকে সমর্থন করেন বা অনুসরণ করেন সেইসব লোক যারা বিয়ে ছাড়াই বসবাস করতে চান, অথবা দীর্ঘ বিচ্ছেদে রয়েছেন তারা। তারা একে বৈধতা দেয়ার দাবি জানান। কিন্তু জনসমক্ষে সমকামীরা বৈধ ছিলেন না। মঙ্গলবার এ বিলের পক্ষে অবস্থান নেয় ক্ষমতাসীন বামপন্থি সিরিজা পার্টি। যখন বিলটি পাস হয় তখন তারা উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দেন। তবে প্রধান বিরোধী দল রক্ষণশীল দলের সদস্যরা এ বিলের বিষয়ে ছিলেন দ্বিধাবিভক্ত।

মত্ত যখন আদিম নেশায়...

ডগলাস ব্লানচেট। বয়স ৭৫ বছর। এই বয়সেও তার মধ্যে রয়েছে নারীদেহের প্রতি লোভ। আর সেই লোভ পূরণ করতে তিনি ভাড়া করেছিলেন এক দেহপসারিণীকে। তার নাম আমান্দা জোলিকফার। তার বয়স ২৭ বছর। এই দুই অসম বয়সের পুরুষ ও নারী রাস্তায় গাড়ির ভিতর মিলিত হয়েছিলেন শারীরিক সম্পর্কে। তা ধরা পড়েছে যৌনতা বিরোধী ড্রোনের ক্যামেরায়। আর যায় কোথায়! অমনি মামলা। পুলিশ। তারপর বিচারের কাঠগড়া। এ খবর দিয়েছে অনলাইন মিরর। এতে বলা হয়েছে, আমান্দা জোলিকফার একজন পতিতা। তাকে ভাড়া করে ডগলাস ব্লানসেট তুলেছিলেন তার ট্রাকে। সেই ট্রাকের সামনের সিটেই তারা মিলিত হলেন। ঠিক তখনই ধরা পড়লেন ড্রোনে বসানো ক্যামেরায়। তাদের এ দৃশ্যকে ভিডিও ধারণ করা হলো। তারপর বিচারের কাঠগড়া। এ ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা শহরে এ বছরের শুরুর দিকে। কিন্তু ঘটনাটি মিডিয়ায় এসেছে বিলম্বে। বলা হয়েছে, এই নর-নারী আদিম নেশায় মত্ত থাকা অবস্থায় তাদের থেকে কয়েক ফুট উপরে এসে ভিডিও ধারণ করে ওই ড্রোন। এক পর্যায়ে তাতে চোখ পড়ে জোলিকফারের। তিনি চিৎকার করে বলেন- বেবি গ্যাংস্টার। অমনি ভেঙে যায় তাদের রঙ্গলীলা। এ দৃশ্য নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে ধারণ করা হয়। তারপর বিচারের মুখোমুখি করা হয় ওই দু’জনকে।

এক নারী সেক্রেটারি ও তার বসের প্রেম কাহিনী

একজন সুন্দরী নারী সেক্রেটারি ও তার এক বসের কাহিনী। তাদের মধ্যে গড়ে উঠেছিল প্রেমের সম্পর্ক। কিন্তু সেই প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে দেয়ার পর শ্রীলংকার এক ব্যক্তিকে ব্লাকমেইলিং করেছেন স্বদেশী ওই নারী সেক্রেটারি। তিনি ছিলেন তার সাবেক এই বসের একজন সেক্রেটারি। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে তা ভেঙে যায়। এ অবস্থায় তার ওই বসের কাছে দুই লাখ পাউন্ড দাবি করে ধর্ষণের ভুয়া অভিযোগ করে। এই নারীর নাম দিলরুশি মেন্ডিস (৪০)। তার বসবাস উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ক্রিকলউডে। অন্যদিকে তার বসের নাম নিহাল সেরেভিরাতেœ। নিহাল তাদের সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে দিলরুশিকে চাকরিচ্যুত করলে তার বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন দিলরুশি। উল্লেখ্য, দিলরুশি একজন বিবাহিত নারী। তার রয়েছে একটি সন্তান। তিনি মামলায় বলেছেন, এক রাতে তিনি নিহালকে তার বাসায় আমন্ত্রণ করেন। রাতে তার বাসায় অবস্থান করেন নিহাল। সে রাতেই তিনি ধর্ষণ করেন দিলরুশিকে। এ নিয়ে মামলা প্রত্যাহারের জন্য তিনি নিহালের কাছে দুই লাখ পাউন্ড দাবি করেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন নিহাল। তাকে আটক করা হয়। তারপর তিন মাস জামিনে বাইরে ছিলেন। তিনি বলছেন, তার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ গঠন করা যাবে না। এরপর গত শুক্রবার ব্লাকফ্রাইয়ারস ক্রাউন কোর্ট যখন দেখতে পায় দিলরুশি তার সাবেক বসকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনা সাজিয়েছে তখন তাকে আট মাসের জেল দেয়। তার বিরুদ্ধে যৌন অবমাননার বানানো অভিযোগ আনার জন্য অভিযুক্ত করা হয়েছে। আদালতে শুনানিতে উঠে আসে ২০০৮ সালে কিভাবে নিহালের সেক্রেটারি হিসেবে নিয়োগ পান দিলরুশি এবং দু’জনেই বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রসিকিউটর এডাম কিং আদালতে বলেন, তারা দু’জনেই ছিলেন বিবাহিত। কিন্তু তাদের মধ্যে মাঝে মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন শুরু হয়। এতে দিলরুশি আর্থিকভাবে সুবিধা পান নিহালের কাছ থেকে। কিন্তু এ ধারায় ইতি ঘটে ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে। তখন দিলরুশিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেন নিহাল। তা ছাড়া দিলরুশির স্বামী শ্রীলংকা থেকে তার সঙ্গে বসবাস করার জন্য যুক্তরাজ্যে যাচ্ছেন এমন খবরে তাদের শারীরিক সম্পর্ক ভেস্তে যায়। এডাম কিং আরও বলেন, এ বিষয়টি ভালভাবে নিতে পারেন নি দিলরুশি। তিনি নিহালকে ফোনে উত্যক্ত করতে থাকেন। তিনি বুঝতে পারেন দিলরুশি কোনভাবে তার ইমেইল ঠিকানা পেয়ে গেছে। ভ্যালেন্টাইন ডে উপলক্ষে একটি রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা নিয়েছিলেন নিহাল। এ বিষয়টিও জানতে পারে দিলরুশি। আদালতের শুনানিতে বলা হয়, নিহালের বাড়ির কাছেই অবস্থান করতে থাকেন দিলরুশি, যাতে নিহাল কখন বাসায় থাকে তা সে ঠিকমতো জানতে পারে। যখন সে তার স্ত্রী ও কন্যাকে নিয়ে বাসায় থাকতো তখনই তার বন্ধু ও পরিবারের সদস্যদের কাছে পর্নো ছবি পাঠিয়ে দিতো প্রতিশোধ নিতে। এডাম কিং আদালতে বলেছেন, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিহালকে ফোন করেন দিলরুশি। তখন পরিবারের সঙ্গে বাসায় অবস্থান করছিলেন নিহাল। ওই ফোনে দিলরুশি বলেন, তিনি বাইরে আছেন এবং নিহালের সঙ্গে সাক্ষাত করতে চান। ফোন কল পেয়ে তিনি দিলরুশির সঙ্গে সাক্ষাত করেন বাসার অনতিদূরে। কথা দেন পরের দিন তার সঙ্গে আবার সাক্ষাত হবে। কিন্তু নিহাল সেই প্রতিশ্রুতি রাখেন নি। এতে নিহালকে কয়েক শতবার ফোন করেন দিলরুশি। এক পর্যায়ে নিহালকে একটি টেক্সট ম্যাসেজ পাঠান তিনি। তাতে লিখেছেন- যদি তুমি না আসো আমাকে দেখতে তাহলে আমি এমন কিছু করবো, যা হবে তোমার জন্য ভয়াবহ। এ সময় তিনি নিহালের কাছে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার পাউন্ড দাবি করেন। এই অর্থ দিয়ে একটি সেলুন স্থাপন করতে চান। এর পরের দিনগুলোতে নিহালকে তার বাসায় অবস্থান করতে ডাকেন। কিন্তু নিহাল শুধু বন্ধুত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেন। নিহাল দাবি করেন, এ সময়ে তারা আলাদা রুমে ঘুমিয়েছেন। কিন্তু দিলরুশি পুলিশের কাছে দাবি করেছেন, নিহাল তার বাসায় যেতো এলকোহল নিয়ে। এর আগেই সে নিজে দু’ তিনবার এলকোহন পান করে নেয়। দিলরুশির বাসায় গিয়েই নিহাল তাকে ধর্ষণ করা শুরু করে।

সৌদি আরবে ৭ মাসে ১৫ হাজার বাংলাদেশী গৃহকর্মী, পালিয়েছে ১৫০ জন


সাত মাসে বাংলাদেশ থেকে প্রায় ১৫ হাজার গৃহকর্মী পৌঁছেছেন সৌদি আরবে। তার মধ্যে এ সময়ে নিয়োগকারীর বাসা থেকে পালিয়েছেন কমপক্ষে ১৫০ গৃহকর্মী। তাদেরকে পরে ধরে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। সৌদি আরবে বাংলাদেশী দূতাবাসের একটি সূত্র এ কথা বলেছেন। তিনি আরও বলেন, গৃহকর্মী পালিয়ে যাওয়ার জন্য তিনটি কারণ চিহ্নিত করেছে দূতাবাস। তার মধ্যে রয়েছে বাসায় অতিরিক্ত টুকিটাকি কাজ, দেশে ফেলে আসা স্বজনদের প্রতি টান ও নিয়োগকারীর অসদাচরণ। ওই সূত্র আরও বলেছেন, তাারা আশা করছেন আগামী কয়েক মাসে আরও বাংলাদেশী গৃহকর্মী যাবেন সৌদি আরবে। তবে যারা নিয়োগকারীর বাসা থেকে পালিয়েছেন তারা কোন আর্থিক ক্ষতিপূরণ পাবেন না। রিক্রুটমেন্ট অফিসও কোন ক্ষতিপূরণ দেবে না। এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ৫২ হাজার শ্রমিক গিয়েছেন সৌদি আরবে। এর বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নকর্মী, ওয়েল্ডার ও অন্য বিভিন্ন পেশার মানুষ। রিক্রুটমেন্ট বিশেষজ্ঞ খালেদ আল সাইফ বিশ্বাস করেন যে, সৌদি আরবে যে পরিমাণ গৃহকর্মী প্রয়োজন তা সরবরাহের মতো অবস্থানে নেই বাংলাদেশ। তিনি বলেন, যখন দু’দেশ শ্রম বিষয়ক চুক্তি স্বাক্ষর করে তখন সৌদি আরবে ৫ লাখ গৃহকর্মী পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বাংলাদেশ। কিন্তু এখন পর্যন্ত মাত্র ১৫ হাজার গৃহকর্মী পাঠাতে পেরেছে বাংলাদেশ। তার ভিতর থেকে পালিয়েছেন ১৫০ জন। খালেদ আল সাইফ বলেন, এসব গৃহকর্মীর বেশির ভাগই গিয়েছেন বিক্রুটমেন্ট কোম্পানির মাধ্যমে, কোন অফিসের মাধ্যমে নয়। কারণ, বাংলাদেশ কোম্পানির মাধ্যমে লোক পাঠানোকেই উপযুক্ত মনে করেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ থেকে গৃহকর্মী নেয়ার খরচ ৭ হাজার সৌদি রিয়াল থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার রিয়াল। 

যৌনদাসী


তেরো বছর আটকে রেখে কিশোরী মেয়েদের ওপর চালানো হতো যৌন নির্যাতন। তাদের সঙ্গে ‘সেক্স সেøভ’ বা যৌনদাসীর মতো আচরণ করা হতো। বাধ্য করা হতো যৌনাচারে। এ অভিযোগে ৫ জন পুরুষ ও দু’জন নারীকে আটক করে বিচার করা হচ্ছে উত্তর ইংল্যা-ের শেফিল্ডে। গত শুক্রবার এ মামলার সর্বশেষ শুনানি হয়েছে। তাতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে একজন বলেছেন, তাকে ও অন্য মেয়েদের ক্যারেন ম্যাগ্রেগর তালাবদ্ধ করে রাখতো। তালা দিয়ে চাবি নিয়ে চলে যেত। ক্যারেনের বিরুদ্ধে অভিযোগে বলা হয়েছে, সে মেয়েদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করতো। তারপর তাদেরকে যৌনতার ফাঁদে ফেলতো। তাদেরকে তার কব্জায় এনে বয়স্ক মানুষের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে বাধ্য করতো। সাক্ষ্য দেয়া ওই নারী যখন তার শিকারে পরিণত হয় তখন তিনি ছিলেন কিশোরী। বর্তমানে তার বয়স ৪৩ বছর। তিনি পুলিশকে বলেছেন, তার বাড়িতে নানা সমস্যা ছিল। তাই তিনি স্বস্তিতে বসবাসের জন্য ম্যাকগ্রেগরের কাছে চলে যান। সেখানে যাওয়ার পর ম্যাকগ্রেগর তাকে এলকোহল পানে বাধ্য করে। যতক্ষণ তিনি ঘুমিয়ে না পড়তেন ততক্ষণ তাকে এলকোহল পান করানো হতো। তারপর যখন তার ঘুম ভাঙতো তিনি দেখতে পেতেন তার ওপরে তার চেয়ে বয়সে অনেক বড় কোন এক পুরুষ আদিমতায় মেতে আছে। ওই নারী আদালতের শুনানিতেও এ কথা বলেছেন। উল্লেখ্য, ক্যারেন ম্যাকগ্রেগরও একজন নারী। সাক্ষী দেয়া নারী তাকে দ্বিতীয় মা বলে মনে করতেন। তাই তার কাছে ছুটে গিয়েছিলেন। কিন্তু অল্প সময়ের মধ্যেই ভাঙে তার ভ্রম। তিনি দেখতে পান ক্যারেন ম্যাকগ্রেগর আসলে দেহব্যবসার এক ফাঁদ পেতেছে। সাক্ষ্য দেয়া ওই নারী বলেছেন, তাকে দিয়ে পাশাপাশি বাসার সব কাজও করাতো ক্যারেন ম্যাকগ্রেগর। তাকে ও অন্য মেয়েদের বাসা থেকে বের হতে দেয়া হতো না। তিনি পুলিশকে বলেছেন, সব সময় আমাদেরকে দিয়ে বাসার কাজ করানো হতো। কার্পেট পরিষ্কার করানো হতো। পর্দা ধোয়ানো হতো। জানালা, সিঁড়ি পরিষ্কার করানো হতো। বিছানা পরিষ্কার করানো হতো। আমরা সবাই যেন সারাদিনের জন্য তার কাছে ছিলান কৃতদাস। আদালতের কাছে প্রসিকিউটররা বলেছেন, ক্যারেন ম্যাকগ্রেগরের ওই বাড়িতে কমপক্ষে ১২টি মেয়েকে ধর্ষণ, প্রহার করা হয়েছে। এসব মেয়ের বয়স ছিল ১২ বছরের মধ্যে। তাদের মধ্যে আবার ৫ জন অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। ম্যাকগ্রেগরের বয়স এখন ৫৮ বছর। তার বিরুদ্ধে ধর্ষণ সহ তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।

ধর্ষণ: ১০০ বছরের জেল


মালয়েশিয়ায় ধর্ষণ ও বলাৎকারের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে ১০০ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ১৫ ঘা বেত্রাঘাত দিতে রায় দেয়া হয়েছে। অভিযুুক্ত ব্যক্তি দুই সন্তানের জনক। তার রোহাইজাত আব্দ আনি। সরকারি একটি বড় পদে চাকরি করতো। কিন্তু তার বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে মে মাসের মধ্যে ঘটানো চারটি ধর্ষণ ও একটি বলাৎকারের অভিযোগ আনা হয়। তাতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এতে প্রতিটি অভিযোগে তাকে সর্বোচ্চ ২০ বছর করে জেল দেন সেশন জজ আইনুল শাহরিন মোহাম্মদ। ৫টি অভিযোগে তার সাজার মোট মেয়াদ দাঁড়ালো ১০০ বছর। অভিযোগে বলা হয়েছে, ২০১২ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি তাং ডাইন্যাস্টি হোটেলে একটি কক্ষে বিকাল সাড়ে চারটা থেকে সাড়ে পাঁচটা পর্যন্ত ধর্ষণ ও বলাৎকারের ঘটনায় ঘটনায় সে। এর পরের দিন দুপুর সাড়ে বারটা থেকে দেড়টা পর্যন্ত একই হোটেলের অন্য একটি রুমে একটি ১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করে সে। ১লা মে থেকে ৬ই মে একই হোটেলের একটি রুমে সে ধর্ষণ করে ওই মেয়েটিকে। আদালতে এ নিয়ে শুনানির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন তার স্ত্রী। এ সময় রোহাইজাত ছিল গাঢ় ধূসর রঙের জ্যাকেট পরা। তবে সে ছিল শান্ত। তার চোখেমুখে কোন অভিব্যক্তি ছিল না। একই রকম ছিল তার স্ত্রীর অভিব্যক্তি।

‘বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ আসামের জন্য উদ্বেগজনক’

বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশকে আসামের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রী ও বিজেপির আসাম শাখার প্রধান সর্বানন্দ সনোয়াল। একই সঙ্গে আগামী বছরে অনুষ্ঠেয় বিধান সভার নির্বাচনকে আসামের মানুষের জন্য শেষ লড়াই হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন তিনি। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন দ্য হিন্দু। এ পত্রিকা সর্বানন্দ সনোয়ালের সাক্ষাতকারভিত্তিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে তিনি বলেছেন, এ নির্বাচনেই আসামের মানুষের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। কেউ এটাকে শেষ লড়াই হিসেবে অভিহিত করতে পারেন। অন্যথায়, অবৈধ অভিবাসীর সংখ্যা যেভাবে বাড়ছে, যেভাবে জনসংখ্যাতত্ত্বের অবস্থা পাল্টে যাচ্ছে তা আমাদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক। শুমারিতে দেখা গেছে আসামের জনসংখ্যার মধ্যে শতকরা ৩৪ ভাগই মুসলিম। ক্রমবর্ধমান এই সংখ্যা অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এতে নিরাপত্তাহীনতা দেখা দিচ্ছে। স্থানীয়রা একপেশে হয়ে সংখ্যালঘুতে পরিণত হচ্ছেন। তাই আসামি সমাজের পরিচয় ধরে রাখার জন্য বিজেপি তাদেরকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আওতায় থাকবেন আসামের মুসলিমরাও। উল্লেখ্য, আগামী বছরের প্রথম অর্ধাংশে আসামে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। এ নির্বাচনে বিজেপি বড় ধরনের সাফল্য দেখাতে চাইছে। এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিরোধী দল কংগ্রেস। কিন্তু ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে এখানে বেশ ভাল করেছে বিজেপি। ফলে বিধান সভা নির্বাচনেও তাদের সাফল্যের ধারাবাহিকতা দেখাতে চাইছে তারা। তাই সর্বানন্দ সনোয়াল দাবি করেছেন, এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসকে প্রত্যাখ্যান করবে এ রাজ্যের ভোটাররা। নির্বাচনে বিজয় অর্জন করতে আসামের আদিবাসী গ্রুপগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে বিজেপি। এ বিষয়ে আসাম গণ পরিষদ ও অন্যান্য দলের সঙ্গে তাদের আলোচনা চলছে। সনোয়াল বলেন, আমরা স্থানীয় সব দলের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছি। তিনি অভিযোগ করেন, আসামের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের মাধ্যমে কংগ্রেস অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের বদরুদ্দিন আজমলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। অথচ এক সময় কে এই বদরুদ্দিন? এমন প্রশ্ন তুলে একদা তাকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তরুণ গগৈ। সর্বানন্দ সনোয়াল বলেন, আসামে অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বসবাসকারীদের প্রতিনিধিত্ব করেন বদরুদ্দিন। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের প্রতীক। তরুণ গগৈ যখন তার অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন তখন আসামের মানুষ ধরে নিয়েছিলেন, তরুণ গগৈ হয়তো আমাদের জন্য কাজ করবেন, আমাদের পরিচয়ের জন্য লড়াই করবেন।

এক গ্রামে ১০০০ যমজ

কেরালার মালাপুরামে অবস্থিত কোদিনহি গ্রামটি আন্তর্জাতিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কারণ, এরই মধ্যে এ গ্রামটি যমজের গ্রাম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এখানে আছে এক হাজার যমজ। এ খবর প্রকাশ হওয়ার পর ওই গ্রামে এখন আন্তর্জাতিক মিডিয়া ও মেডিকেল গবেষকরা ছুটে যাচ্ছেন। তারা যমজদের স্কুল কলেজ, পথে প্রান্তরে প্রশ্নবাণে জর্জরিত করছেন। এতে এসব যমজের অভিভাবকরা উদ্বেগে রয়েছেন। তারা মনে করছেন এতে তাদের সন্তানের ব্যক্তিগত বিষয়গুলো ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। তাই তারা নতুন করে একটি উদ্যোগ নিতে যাচ্ছেন। এর অধীনে আগেভাগে অনুমতি না নিয়ে কেউ তাদের সন্তানদের সউকল বা কোন খোলামেলা স্থানে সাক্ষাতকার নিতে পারবেন না। ধারণ করতে পারবেন না কোন ভিডিও। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। মঙ্গলবার এ নিয়ে নান্নামব্রা গ্রাম্য পঞ্চায়েতে বৈঠক বসেছিল। সেখানে দেখা যায় যে, এ নিয়ে যেসব অভিযোগ আসছে তা গুরুতর। তাই তরা বাচ্চাদের গোপনীয়তা রক্ষা করতে একটি বিশেষ কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই কমিটির সদস্য করা হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি, গ্রামের গণ্যমান্য ব্যক্তি ও যমজদের পিতামাতা। এ কমিটি গঠন নিয়ে আগামী ১৫ই জানুয়ারি যমজ সন্তানদের পিতামাতারা একটি বৈঠক আহ্বান করেছেন। এক সপ্তাহ আগে, একটি বহুজাতিক কোম্পানির জন্য বিজ্ঞাপন চিত্রে ব্যবহার করতে ওই গ্রামের যমজদের ভিডিও ধারণ করতে যায় একটি দল। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দারা তাদেরকে বাধা দেন। এতে বিতর্ক সৃষ্টি হয়। এর প্রেক্ষিতেই এই কমিটি গঠন হতে যাচ্ছে। পঞ্চায়েত সভাপতি মুহাম্মদ হাসান বুধবার বলেছেন, একজন মানুষের ব্যক্তিগত গোপনীয়তার যে মৌলিক অধিকার রয়েছে তা কেউই অস্বীকার করতে পারবেন না। তিনি বলেন, পিতামাতার অনুমতি ছাড়া আমরা কোন সন্তানের ওপর কোন ফিচার করতে অনুমতি দিতে পারি না। আমরা যে বিশেষ কমিটি গঠন করবো সেই কমিটির অনুমতি নিতেই হবে এমনটা করার আগে, হোক সেটা সাক্ষাতকার বা ফটোগ্রাফ বা ভিডিও ধারণ। কোন বৈধ কারণ দেখাতে না পারলে বা অভিভাবকদের সম্মতি না থাকলে এ কমিটি এসবের কিছুই করতে দেবে না। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কোদিনহি গ্রামে রয়েছে বিপুল সংখ্যক যমজ। ৪ বর্গকিলোমিটারের এই একটি গ্রামে রয়েছে ৫০০ জোড়া যমজ। সব মিলে তাদের সংখ্যা এক হাজার। এ গ্রামের বাসিন্দা ২০ হাজার। একটি গ্রামেই কেন এত যমজ তা নিয়ে বিশ্বের দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। যারাই শুনছেন তারাই এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করছেন।

সন্তানের চাহিদা মেটাতে মা পর্নো ছবিতে


বড়দিন উপলক্ষ্যে সন্তানের চাহিদা পূরণ করতে এক মা পর্নো জগতে নাম লিখিয়েছেন। পর্নো ছবি করে যে অর্থ আয় করছেন তা দিয়ে এবারকার বড় দিনে ছেলের জন্য উপযুক্ত উপহার কিনতে পেরেছেন তিনি। এই মায়ের নাম মেগান ক্লারা (২০)। গত বছর তিনি তার ছেলেকে বড়দিনে যে উপহার দিয়েছিলেন তা নিয়ে ৫ বছর বয়সী অ্যাশটনের অভিযোগের অন্ত ছিল না। তার অভিযোগ ছিল, তার সহপাঠীরা কত্ত দামি দামি উপহার পায়। মেগান ক্লারা সপ্তাহে ৮০ পাউন্ড আয়ের উপর নির্ভর করে সংসার চালাতেন। সেই অবস্থায় গত বছর তিনি অ্যাশটনকে একটি এ. স্কেচ, খেলনা ও নতুন কাপড় কিনে দেন। কিন্তু তাতে তার মন ভরে নি। ওইসব উপহার দেখে তার মুখে এক মলিনতা দেখতে পান ক্লারা। তিনি বুঝে নেন অ্যাশটন খুশি হয় নি। তাই তিনি সিদ্ধান্ত নেন পর্নো ছবি করবেন। এতে প্রতিটি সিন থেকে আয় করবেন ৫০০ পাউন্ড। যাতে পরিবারকে নিয়ে একটি পাঁচ তারকা হোটেলে উদযাপন করতে পারেন বড়দিন। মেগান ক্লারার বাড়ি বৃটেনের হ্যাম্পশায়ারে পোর্টসমাউথে। তিনি বলেছেন, গত বড়দিনে আমি যতটা পারি অর্থ জমা করেছি। তা দিয়ে অ্যাস্টনকে উপহার দিয়েছি। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারে নি সে। তার সব সময়ই উচ্চ আকাঙ্খা। আমি যে উপহার তাকে দিয়েছি সে তাতে কখনোই খুশি হয় নি। তার বন্ধুদের উপহার আমি দেখেছি। কিন্তু অত দামি উপহার দেয়ার সামর্থ আমার ছিল না। গত বছর অ্যাস্টনকে সব মিলিয়ে মোট ১০০ পাউন্ডের উপহার দিয়েছিলাম। এ বছর তার উপহারের মোট অংক ১৫০০ পাউন্ড। লোকজন মনে করেন তার ছেলেটি বখে গেছে। এ বিষয়ে ক্লারা বলেন, আসলে সে বখে যায় নি। এখন শেষ পর্যন্ত তাকে চমৎকার উপহার দিতে পেরেছি। কারণ, আমি গ্লামার মডেলিং ও পর্নো ছবিতে অভিনয়কে বেছে নিয়েছি। আমি যা করি সব সময়ই সেই কাজকে সম্মান করি। এখন যেভাবে চাইবো আমি সেভাবেই অর্থ খরচ করবো।

বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির তৎপরতা অব্যাহত

ভারতের অযোধ্যায় বাবরি মসজিদের স্থানে রাম মন্দির নির্মাণকে কেন্দ্র করে বুধবার যখন ভারতের রাজ্যসভা অচল হয়ে পড়ে তখনও ওই মন্দিরের কাজ চলছিল। এ মন্দির নির্মাণের জন্য কয়েকদিন আগেই দু’ট্রাক পাথর নিয়ে নামানো হয়েছে সেখানে। এরই মধ্যে পাথর পুজা সম্পন্ন হয়েছে। বুধবার এর খোদাই কাজ চলছিল। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এ পত্রিকার প্রতিনিধি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি দেখতে পেয়েছেন মন্দির নির্মাণের ওয়ার্কশপ ‘মন্দির নির্মাণ কার্যশালা’য় বিপুল সংখ্যক মানুষ তাদের কাজে ব্যস্ত। তবে এ নিয়ে যে ভারতের রাজনীতি আবার নতুন করে উত্তেজিত হয়ে উঠেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। গত কয়েক বছর ধরে এই ওয়ার্কশপে তেমন গতি দেখা যায় নি। কিন্তু ইদানীং তাতে গতি এসেছে। বিশেষ করে কয়েকদিন আগে মন্দির ট্রাস্টের সভাপতি নৃত্য গোপাল দাস পাথর পুজা সম্মন্ন করার পর এ গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। গুজরাটের সুরেন্দ্রনগরের চিত্রকর রজনীকান্ত বলেছেন, তিনি ছাড়া আরও ৬ জন বিত্রকর সেখানে পাথরকে খোদাই করে, মসৃণ করে, মাপমতো ঠিকঠাক করার জন্য কাজ করছেন। তারা সবাই ব্যস্ত ওয়ার্কশপে। তারা এ ইস্যুতে রাজনীতির কিছু বোঝেন না। তারা শুধু দিন মজুরের ভিত্তিতে কাজ করছেন। রাজস্থানের ভারতপুর জেলার একজন চিত্রকর লাখি। তিনি বলেন, ওয়ার্কশপের সুপারভাইজার আনু ভাই সোমপুরা তাদেরকে যে ডিজাইন দিয়েছেন সে মতো তারা পাথরগুলোকে কেটে কেটে সাইজ করছেন। এটা তাদের দিনমজুরের ভিত্তিতে কাজের অংশ। অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ বা রাম মন্দির নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে তাদের নূনতম আগ্রহ নেই। ওদিকে ঘটনাস্থলে পাথরের চালান যাওয়ার খবরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে ফয়জাবাদ জেলা প্রশাসন। জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আর এন শর্মা বলেছেন, পরিস্থিতির ওপর নজরদারি করছে শীর্ষ স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। মন্ত্রী কমল আখতার বলেছেন, অযোধ্যায় মন্দির নির্মাণের তৎপরতা চালিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ সাম্প্রদায়িক সংঘাতময় অবস্থার সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, রাম মন্দির নির্মাণের জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ এখানকার রাজনীতি থেকে সুবিধা আদায় করার চেষ্টা করছে। ওদিকে বাবরি মসজিদ একশন কমিটির আহ্বায়ক ও সিনিয়র আইনজীবী জাফরইয়াব জিলানি বলেছেন, গত দু’ দশক ধরে অযোধ্যায় পাথর আনা হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য রাজনীতি।

আহমদিয়া মসজিদে হামলার দায় স্বীকার আইএসের

রাজশাহীতে কাদিয়ানি মসজিদে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। এটাই বাংলাদেশে প্রথম আত্মঘাতী বোমা হামলা। গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নজরদারি করা মার্কিন গোয়েন্দা সংগঠন সাইট (এসআইটিই) ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ ও এর পরিচালক রিটা কাটজ। এতে হামলাকারীর নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে তার নাম আবু আল ফিদা আল বাঙালি। ‘আইএস ক্লেইমস সুইসাইড বোম্বিং অ্যাট আহমদি মস্কস ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের রাজশাহী হেলায় আহমদি মুসলিমদের একটি মসজিদে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীকে এ গ্রুপটি আবু আল ফিদা আল বাঙালি নামে চিহ্নিত করেছে। গ্রুপটি তাদের টুইটার ও টেলিগ্রাম বার্তায় এ কথা জানিয়েছে। বলা হয়েছে, হামলাকারী তার বিস্ফোরকের বেল্ট ‘মুশরিক কাদিয়ানি গোষ্ঠী’র (আহমদি মুসলিমদেরকে অবমাননা করতে এভাবে বলা হয়)  একটি মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন। এতে ওই মসজিদের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আইএস ইঙ্গিত দিয়েছে যে, কয়েক ডজন মানুষ হতাহত হয়েছেন এ বিস্ফোরণে। মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, এ হামলায় নিহত হয়েছেন একজনমাত্র। তিনি ওই আত্মঘাতী হামলাকারী। আহত হয়েছেন তিনজন। ওদিকে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপের পরিচালক রিটা কাটজ এক টুইট বার্তায় বলেছেন, বাংলাদেশের একটি আহমদি মসজিদে প্রথমবার আত্মঘাতী হামলার দায় স্বীকার করেছে আইসিস। সেপ্টেম্বর থেকে এ নিয়ে ৯টি হামলার দায় স্বীকার করলো তারা।
ওদিকে বিবিসি জানায়, সন্ত্রাসবাদ নিয়ে গবেষণা করে এমন একটি সংস্থা তাদের টুইটে জানাচ্ছে, বাংলাদেশের রাজশাহীর বাগমারায় আহমদীয়া মুসলিম সম্প্রদায়ের এক মসজিদে বোমা হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট। ‘ট্র্যাক টেররিজম’ নামের যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই গবেষণা সংস্থা জানায়, আইসিস তাদের বার্তায় জানিয়েছে আবুল ফিদা আল বাঙালি নামে একজন এই হামলা চালিয়েছে। ট্র্যাক টেররিজম তাদের টুইটে আইসিসের এই দাবি সংক্রান্ত বার্তাটির একটি স্ক্রীনশটও দিয়েছে। আরবিতে লেখা স্ক্রীনশটটির ওপর ক্লিক করলে এর ইংরেজি অনুবাদ দেখা যায় অন্য পাতায়। এতে লেখা, ‘ইস্তিশহাদি আল ফিদা আল বাঙালি বিস্ফোরক বেল্ট পড়ে রাজশাহীর বাগমারায় ধর্মচ্যুত কাদিয়ানিদের এক মন্দিরে ঢুকেছিল। সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে সে তিরিশজনকে আহত করেছে। আল্লাহ যেন আমাদের ভাইকে শহীদের মাঝে গ্রহণ করে নেন।’
উল্লেখ্য, বাগমারায় গত শুক্রবার আহমদীয় মুসলিমদের মসজিদে বোমা হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়। নিহত ব্যক্তিই আসলে ওই বোমা হামলা চালিয়েছিল বলে পুলিশ দাবি করছে। তবে কথিত হামলাকারির পরিচয় এখনো পুলিশ বের করতে পারেনি। এর আগেও বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় পরিচালিত সন্ত্রাসী হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেটের হাত রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশ সরকার এখনো পর্যন্ত এই আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্ঠীর কোন তৎপরতা বাংলাদেশে থাকার কথা অস্বীকার করছে।

Wednesday, December 23, 2015

আরও এক মামলায় জামিন পেলেন অনুপ চেটিয়া

জামিন পেলেন উলফার সাধারণ সম্পাদক অনুপ চেটিয়া। তার নামে চারটি মামলা দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে ১৭ই ডিসেম্বর দুটি টাডা মামলায় জামিন পেয়েছেন। গতকাল তিনি আরেকটি মামলায় জামিন পেলেন। এ নিয়ে তিনটি মামলায় জামিন পেলেন অনুপ। আজ আরেকটি মামলার শুনানি রয়েছে। যদি এ মামলায় তিনি জামিন পেয়ে যান তাহলে তার মুক্তি পথ উন্মক্ত হবে। গতকাল আসামের একটি আদালত এক লাখ রুপি জামানতের বিনিময়ে তাকে জামিন মঞ্জুর করে। উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত মাসে তাকে বাংলাদেশ সরকার ভারতের হাতে তুলে দেয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই। এতে বলা হয়, অনুপ চেটিয়ার জামিন আবেদন করলে তাতে অনাপত্তি জানায় আসাম রাজ্য সরকার। এ তথ্য দিয়েছেন অনুপ চেটিয়ার আইনজীবি বিজন মহাজন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গতকাল চেটিয়ার জামিন মঞ্জুর করেন আসামের অতিরিক্ত সেশন জজ। এক লাখ রুপির বন্ড ও দু’জন জামিনদার তার পক্ষে দাঁড়ালে আদালত জামিন দেন। অনুপ চেটিয়া বর্তমানে অবস্থান করছেন গোয়াহাটি কেন্দ্রীয় কারাগারে। ১৭ই ডিসেম্বর তাকে দুটি টাডা মামলায় জামিন দিয়েছে বিশেষ আদালত। চলমান শান্তি সংলাপকে এগিয়ে নিতে ও তাতে তার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। অনুপ চেটিয়া ১৯৯৭ সাল থেকে বাংলাদেশের জেলে বন্দি ছিলেন। গত মাসে তাকে ভারতের হাতে তুলে দেয় বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে সড়ক নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করছে ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে ৪৩৭৯ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় সড়ক নির্মাণ ও আধুনিকায়ন করছে ভারত। শুধু বাংলাদেশ সীমান্তেই নয়, একই কাজ করা হচ্ছে পাকিস্তান, চীন ও নেপাল সীমান্তে। গতকাল ভারতের লোকসভায় এ কথা বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা পিটিআই জানায়, লোকসভার প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। এতে তিনি আরও বলেন, ভারত-ভুটান ও ভারত-মিয়ানমার সীমান্তেও সড়ক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। রিজিজু বলেন, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এ কাজ করতে খরচ হয়েছে ৩৫৩ কোটি রুপি। ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে এ অংক ৩৭৪ কোটি ৯৩ লাখ রুপি। ভারত-চীন সীমান্তে এ খরচের অংক ৫০২৯ কোটি ২৮ লাখ। ভারত-নেপাল সীমান্তে সড়ক নির্মাণ ও উন্নয়ন খাতে খরচ ১৮০০ কোটি রুপি। ভারত-ভুটান সীমান্তে ১৫০ কোটি রুপি ও ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে ১১ কোটি ১১ লাখ রুপি খরচ ধরা হয়েছে। তিনি বলেন, এ বছরের ৩০শে নভেম্বর পর্যন্ত ভারত ও বাংলাদেশ সীমান্তে ৩৫৬০ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার সড়কের কাজ সম্পন্ন হগয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে ৩৯৭ দশমিক ৭৬ কিলোমিটার, চীনের সঙ্গে ২২৫৯ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার ও নেপালের সঙ্গে ৩৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটারের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তবে ভুটান-ভারত সীমান্তের কাজ এখনও শুরু হয় নি। তবে ভারত-মিয়ানমার সীমান্তে এ কাজের উপযোগিতা যাচাই করা হচ্ছে।

১৭ বাংলাদেশী সহ গুয়াতেমালায় আটক ২৩ অভিবাসী

বাংলাদেশ ও নেপালের ৩৩ অভিবাসীকে আটক করেছে গুয়াতেমালা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে ১৭ জন বাংলাদেশী। ১৬ জন নেপালি। তারা একটি বাসে করে রাজধানীতে সফর করার সময় এ ঘটনা ঘটে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারে নি। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে বলা হয়, রোববার গুয়াতেমালা সিটির পূর্বাঞ্চল থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। পুলিশ বলেছে, ওই এলাকা দিয়ে অভিবাসীদের পাচার করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে তারা অভিযান চালায়। এতে আটক করা হয় ওই ব্যক্তিদের। বলা হয়েছে, এসব ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তবে দক্ষিণ এশিয়া থেকে তারা কিভাবে মধ্য আমেরিকার ওই দেশে গিয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দেয়া হয় নি। এর আগে জুন মাসে গুয়াতেমালার কর্মকর্তারা এশিয়া ও আফ্রিকার অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের সময় গুয়াতেমালার চার নাগরিককে আটক করে। আগস্টে পুলিশ সেখান থেকে ১১ নেপালি, ৭ বাংলাদেশী, সালভাদোরের একজন, হন্ডুরাসের একজনকে আটক করা হয়।

Sunday, December 20, 2015

টপলেস অর্পিতা

 
 
 বলিউডে তাক লাগাতে আসছেন অর্পিতা চট্টোপাধ্যায়। 
তাকে এক নতুনরূপে দেখতে পাবেন দর্শকরা। এতদিন টলিউডে অভিনয় করলেও এবার বলিউডে তিনি অভিনয় করবেন। শুধু অভিনয় নয়, টপলেস হবেন। শরীরের উপরের অংশের কাপড় খুলে ফেলবেন। তাকে এমন দৃশ্যে দেখা যাবে ভারতীয় ছবির পরিচালক, সম্পাদক, সংলাপ রচয়িতা ও প্রযোজক অনির-এর একটি ছবিতে। এতে কি তার স্বামী টলিউডের হার্টথ্রব নায়ক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের নামের সঙ্গে স্ক্যান্ডাল জড়াবে? প্রসেনজিৎ ভারতীয় উপমহাদেশে তার যে একটি ক্লিন ইমেজ গড়ে তুলেছেন, নিজেকে যে আসনে আসীন করেছেন, তাতে কি এতে ধস নামবে? দর্শক কি তাকেও বাঁকা চোখে দেখবেন? এমন হাজারো প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চারদিকে। এ নিয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। বলিউডে সম্প্রতি খুল্লাম খুল্লা পোজ দিয়ে যেসব ছবি করা হয়েছে তারদিকে বেশি দর্শক ঝুঁকেছে। বিশেষ করে যে ছবিতে আছেন পর্নো তারকা সানি লিয়ন, পুনম পাণ্ডে, মল্লিকা শেরাওয়াত, বিপাশা বসু, রাখি সাওয়ান্তরা যখন এসব দর্শককে মাতিয়ে রাখছেন দৈহিক সৌষ্ঠব দিয়ে, রূপের মাধুরীতে, তখন অর্পিতা সেখানে পা রাখছেন। নিজের শরীর দেখিয়ে কি তিনি জনপ্রিয়তা পেতে চাইছেন! তার এ কাজে কি স্বামী প্রসেনজিতের সম্মতি আছে! এমন জিজ্ঞাসা অনেক জনের। এই যখন অবস্থা তখন অনির-এর একটি ছবিতে গুরুত্বপূর্ণ একটি দৃশ্যে শরীরের উপরের অংশের কাপড় খুলছেন অর্পিতা। আর এর মধ্য দিয়েই বলিউডে পদার্পণ ঘটবে তার। এরই মধ্যে খবর ছড়িয়ে পড়েছে যে, অর্পিতার এই ভূমিকার কারণে তার স্বামীর নামের সঙ্গে স্ক্যান্ডাল জড়িয়ে যাবে। তবে অর্পিতা সে যুক্তি খণ্ডন করেছেন। তিনি বলেছেন, এক্ষেত্রে তার বিরুদ্ধে কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। কারণ দেখিয়ে অর্পিতা বলেন, এটা হতে পারে বিরাট একটি ঘটনা। কিন্তু সত্য হলো- আমার স্বামীও একই পেশায় আছেন। তিনি বুঝতে পারবেন যে স্ক্রিপ্টের প্রয়োজনে এমনটা করতে হবে আমাকে। আমরা একে অন্যের কাজে হস্তক্ষেপ করি না। আমার যে ছবিতে আমাকে টপলেস দেখানো হবে সেই ছবিটি ধারণ করা হবে পেছন দিক থেকে। অনলাইনে তার একটি ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে তাকে পেছন থেকে দেখা যাচ্ছে উন্মুক্ত শরীরে। এটাই কি ওই চলচ্চিত্রের দৃশ্যের কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। 
Details: http://mzamin.com/details.php?mzamin=MTA2OTQ5&s=Mw==

Saturday, December 19, 2015

কাঠগড়ায় সোনিয়া, রাহুল

আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন ভারতের ঐতিহ্যবাহী কংগ্রেস দলের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও তার ছেলে, দলের ভাইস চেয়ারম্যান রাহুল গান্ধী। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা দুর্নীতি মামলায় গতকালই তারা প্রথম আদালতে হাজিরা দেন। এ জন্য আগে থেকেই তাদেরকে সমন পাঠানো হয়েছিল। দলের দু’ শীর্ষ নেতার এমন অবস্থায় গতকাল আদালত এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে ওঠে। টিভি ক্যামেরা, ফটোগ্রাফার আর সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহের জন্য রীতিমতো এক যুদ্ধে লিপ্ত হন। আদালতে অভিযুক্ত সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী ও অন্য ৫ সদস্য হাজির হয়ে জামিন চান। প্রত্যেককে ৫০ হাজার রুপির বন্ডের বিনিময়ে তাদেরকে জামিন মঞ্জুর করেন আদালত। তবে এক্ষেত্রে কোন শর্ত আরোপ করা হয় নি। এ মামলার পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ২০শে ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুর দু’টায়। সেদিনও তাদেরকে আদালতে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হতে হবে। তবে এ সময়ের মধ্যে তারা বিদেশ সফর করতে পারবেন। গত শতাব্দীর ৭০’এর দশকের পর এই প্রথম ভারতীয় কোন শীর্ষ কর্মকর্তা আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়ালেন। ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকার সম্পত্তি কুক্ষিগত করা ও দুর্নীতির অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন বিজেপির নেতা ড. সুব্রামনিয়ান স্বামী। এ বিষয়ে রাহুল গান্ধী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সম্পর্কে বলেছেন, মোদিজি মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। তিনি ভেবেছেন বিরোধী দল এতে ভেঙে পড়বে। আমরা ভেঙে পড়বো না। ওদিকে দলীয় প্রধান কার্যালয়ে দলের নেতাকর্মীরা সোনিয়া, রাহুলের পক্ষে সেøাগানে আকাশ বাতাস প্রকম্পিত করে তোলে। রাহুল গান্ধীর ভগ্নিপতি, প্রিয়াঙ্গা গান্ধী ভদ্রের স্বামী রবার্ট ভদ্র বলেছেন, একদিন সত্য বেরিয়ে আসবেই। গতকাল এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়। চায়ের কাপের আড্ডা থেকে গেঁয়ো কৃষকের ক্ষেত- সর্বত্রই আলোচনায় উঠে আসে এই ইস্যু। সবার চোখ আটকে থাকে টিভির পর্দায়- কি হচ্ছে তা জানার জন্য। কম কথা নয়, ইন্দিরা গান্ধীর পুত্রবধু ও নাতি, রাজিব গান্ধীর স্ত্রী ও ছেলে, দলের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াচ্ছেন! সচকিত হয়ে সবাই যেন অপেক্ষায় ছিলেন কি হয় জানতে। যখন জামিন পেলেন তারা তখন যেন স্বস্তির নিশ্বাস নিলেন দলীয় নেতাকর্মীরা। দুপুর ১২টার দিকে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা বিভিন্ন শহরের গলিপথে ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলাকে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ আখ্যা করে প্রতিবাদ বিক্ষোভ করতে থাকেন। স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে সোনিয়া গান্ধীর বাসভবনে পৌঁছান রাহুল গান্ধী। এরপার এ মামলায় সরকারের কোন হাত নেই বলে দাবি করেন বিজেপি নেতা রবি শঙ্কর প্রসাদ। তিনি বলেন, যদি রাহুল গান্ধীর কোন সমস্যা থাকে তাহলে তার উচিত সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া। সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী আদালতে হাজির হওয়ার কিছুক্ষণ আগে কংগ্রেস পার্টির নেতারা হাজির হন দলীয় সদর দপ্তরে। তারা মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। তখন দিল্লিতে দলীয় প্রধান কার্যালয়ের বাইরে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত। তাদের বেশির ভাগই রায় বেরেলি থেকে যাওয়া। এই রায় বেরেলি হলো সোনিয়া গান্ধীর আসন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে কংগ্রেস নেতারা রাজ্যসভায় বলেন যে, সরকার ভারতকে বিরোধী দলবিহিন করতে চায়। এর বিরুদ্ধে আমরা প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবো। এরপর রবার্ট ভদ্র বলেন, সরকার তাদের ওপর রাজনৈতিক প্রতিশোধ তুলছে। তাদের প্রচারণা জনগণ বিশ্বাস করবে না। দুপুর দেড়টায় আদালত কক্ষ ও এর চারপাশে ৫০০ মিটার এলাকা ঘেরাও করে ফেলে স্পেশাল প্রটেকশন গ্রুপ (এসপিজি)। এরাই সোনিয়া ও রাহুলকে নিরাপত্তা দিয়ে থাকেন। আদালত কক্ষের বাইরে বসানো হয় দুটি সিসিটিভি ক্যামেরা। দুপুর ১২টায় আরও ৩০জন এসপিচি কর্মকর্তা দিল্লি পুলিশের সঙ্গে যোগ দেয়। যে আদালতে এ বিচার চলছে তা অবস্থিত পাতিয়ালা ভবনে। তাই এ আদালতকে বলা হয় পাতিয়ালা হাউজ কোর্ট। এ ভবনের প্রধান প্রবেশ পথে বসানো হয় মেটাল ডিটেক্টর ও এক্সরে মেশিন। এক পর্যায়ে বেলা সোয়া দু’টার দিকে স্ত্রী রোক্সনাকে সঙ্গে নিয়ে আদালতে প্রবেশ করেন মামলার বাদি সুব্রামনিয়ান স্বামী। বেলা আড়াইটার সময় আদালতে পৌঁছেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী ভদ্র, গোলাম নবী আজাদ, একে অ্যান্থনি, কুমারি সেলজা। এর প্রায় পাঁচ মিনিট পরে সেখানে হাজির হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। বিকেল ২টা ৫০ মিনিটে আদালতে পৌঁছেন সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। এর পাঁচ মিনিট পরেই মামলার যুক্তিতর্ক শুরু হয়। এতে সোনিয়া, রাহুলের পক্ষে দাঁড়ান আইনজীবী কবিল সিবাল, অভিষেক মানু সিংভি। বিকাল তিনটায় সোনিয়া, রাহুল ও এ মামলার অন্যদের জামিন দেয়া হয়।
ন্যাশনাল হেরাল্ড দুর্নীতি কি
২০১৩ সালের জানুয়ারিতে সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী সহ অন্যদের নামে মামলা করেন বিজেপি নেতা সুব্রামনিয়ান স্বামী। এতে তিনি অভিযোগ করেন যে: সোনিয়া, রাহুল ও অন্যরা ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’ নামে একটি কোম্পানি চালু করেছেন। তারা জওয়াহারলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত এসোসিয়েটেড জার্নাল অধিগ্রহণ করেছেন। এই এসোসিয়েটেড জার্নাল থেকেই প্রকাশ হতো ন্যাশনাল হেরাল্ড ও কওমি আওয়াজ। সুব্রামনিয়ান স্বামী তার অভিযোগে বলেন, ‘ইয়ং ইন্ডিয়ান’-এর বেশির ভাগ শেয়ারের মালিক সোনিয়া ও রাহুল গান্ধী। তারা এসোসিয়েটেড জার্নাল হস্তগত করে এর সুবিধা ব্যবহার করেছেন সেখানে। তিনি আরও অভিযোগ করেন যে, এসোসিয়েটেড জার্নাল কংগ্রেসের কাছ থেকে সুদমুক্ত ৯০ কোটি ২৫ লাখ রুপি ঋণ পেয়েছিল। এক ওই সময়ে এসোসিয়েটেড জার্নালের চেয়ারম্যান ছিলেন মোতিলাল ভোরা। বলা হয়, তিনি বলেন তারা ওই ঋণ শোধ করতে পারবেন না। তারা এ কোম্পানিটি ও এর সম্পত্তি ইয়ং ইন্ডিয়ানে হস্তান্তর করবেন। এ নিয়ে মামলা হয়।

ইসলামিক জোট নিয়ে এখনও কাটেনি ঘোর

সৌদি আরবের নেতৃত্বে গঠিত ইসলামিক সামরিক জোট নিয়ে ঘোর এখনও কাটে নি। জোটের শরিক অনেক দেশই এখনও পরিষ্কার করতে পারে নি তাদের অবস্থান। অনেক দেশ বলেছে তারা এ বিষয়ে কিছু জানেই না। এমন অবস্থায় জোট ঘোষণার ফলে সিদ্ধান্ত নিতে পারে নি নাইজেরিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান সহ আরও কিছু দেশ। পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ প্রধান ও সাবেক ক্রিকেটার ইমরান খান এ জোটে তার দেশ যুক্ত হওয়ার বিরোধিতা করেছেন। এ নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ায় গত কয়েকদিন ধরে গুরুত্ব দিয়ে রিপোর্ট প্রকাশিত হচ্ছে। নাইজেরিয়ার অনলাইন দ্য কেবল লিখেছে, সৌদি আরবের নেতৃত্বে ইসলামিক সামরিক জোটে নাইজেরিয়া অংশ নেবে কিনা সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয় নি। এতে বলা হয়েছে, ঘোষণা দেয়ার আগে অনেক দেশের সঙ্গে আলোচনা না করায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে কিছু দেশ। তাদের মধ্যে রয়েছে দ্বিধাদ্বন্দ্বও। সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থার উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই জোটে রয়েছে নাইজেরিয়া। পশ্চিম আফ্রিকার এ দেশটি তার নিজের দেশেই বোকো হারাম নামে একটি ইসলামপন্থি গ্রুপের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুহাম্মাদ বুহারির এক মুখপাত্র গারবা শেহু বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, এখনও এ জোটে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয় নি। জোটে যোগ দেবে নাকি এর বাইরে থাকবে সে বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেয় নি নাইজেরিয়া। ওদিকে ডেইলি পাকিস্তান বলেছে, ইমরান খান এ জোটে তার দেশ যোগ দেয়ার বিরোধিতা করে বলেছেন, পাকিস্তান যদি এতে যোগ দেয় তাহলে পাকিস্তানের ভিতরেই জাতিগত বিভক্তি সৃষ্টি হতে পারে। লাহোর বিমানবন্দরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। তিনি বলেন, এ ইস্যুতে সরকারের উচিত পার্লামেন্টে আলোচনা করে পার্লামেন্টের অনুমোদন নেয়া। মঙ্গলবার সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ৩৪টি দেশের সমন্বয়ে ইসলামিক সামরিক জোটের ঘোষণা দেন। ইমরান খান বলেন, অপরাধী চক্রের বিরুদ্ধে করাচিতে আধাসামরিক বাহিনী যে অভিযান চালাচ্ছে তাতে এখানকার মানুষ সন্তুষ্ট। পাকিস্তান পিপলস পার্টি ও মুক্তাহিদা কওমি মুভমেন্ট৬ গণতন্ত্রের নামে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর ওপর চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ওদিকে লন্ডনের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট লিখেছে, এ সপ্তাহের শুরুর দিকে সৌদি আরবের প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান এই জোটের ঘোষণা দেন। এই জোটের লক্ষ্য হলো ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, মিশর ও আফগানিস্তানে জঙ্গিগোষ্ঠী, বিশেষ করে আইএসের বিরুদ্ধে লড়াই করা। কিন্তু জোট গঠনের পরই কয়েকটি দেশ এ নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছে মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তান, নাইজেরিয়া, লেবানন সহ আরও কিছু দেশ। তারা বলেছে, এ বিষয়ে তারা অবগতই নয়। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র সচিব ইজাজ চৌধুরী বলেছেন, তিনি এ জোটের কথা প্রথম একজন সাংবাদিকের কাছেই শুনতে পেয়েছেন। বিষয়টি জানতে তিনি সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে পাকিস্তানের দূতাবাসে ফোন করেছেন পরিষ্কার ধারণা পাওয়ার জন্য। সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা বলেছেন, তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আগে কোন শলাপরামর্শ করা হয় নি। সৌদি আরবের দীর্ঘ দিনের মিত্র হওয়া সত্ত্বেও এই ইসলামিক সামরিক জোটে যোগ দেয়া থেকে বিরত থাকার কথা জানায় পাকিস্তান। নভেম্বরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট হেনারেল অসিম বাজওয়া বলেন, আমরা আমাদের দেশের বাইরে কোন সামরিক অভিযানে যোগ দিতে চাই না। একই রকমভাবে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে লেবানন। এমনটাই বলেছে লেবাননের মিডিয়া নাহারনেট। সেখানকার প্রধানমন্ত্রী সালমান এ খবরকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আগে থেকেই লড়াই করছে লেবানন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জোর দিয়ে বলেছে, তাদের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনই আলোচনা করা হয় নি। না কোন ফোন করা হয়েছে, না কোন চিঠিপত্র বিনিময় করা হয়েছে। সন্ত্রাস বিরোধী ইসলামিক কোট জোট গঠন নিয়ে তাদের কাছে কোন তথ্য নেই। এতে যোগ দিলে তা তাদের পররাষ্ট্র বিষয়ক সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার সীমা লংঘিত হবে হতে পারে- এমনও প্রশ্ন তোলা হয়েছে। লেবাননের পাশাপাশি জোটে যোগ দেয়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। মালয়েশিয়া যেকোন রকম সামরিক অভিযানে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তবে এ জোট ঘোষণার পর একে ইতিবাচক পদক্ষেপ আখ্যায়িত করেছে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র ও কমনওয়েলথ বিষয়ক মন্ত্রী ফিলিপ হ্যামন্ড। তিনি এক টুইটে বলেছেন, সন্ত্রাস বিরোধী ইসলামিক জোট গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানাই। সারাবিশ্বে আমরা আমাদের অভিন্ন জঙ্গি শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। আমরা তা চালিয়ে যাব। তবে জোট ঘোষণার পর বিশ্ব জুড়ে যে প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে সে বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কোন কথা বলে নি। উল্লেখ্য, ঘোষিত জোটে যে দেশগুলোর নাম বলা হয়েছে তা হলো: বাহরাইন, বাংলাদেশ, বেনিন, চাদ, কমোরোস, আইভরি কোস্ট, জিবুতি, মিশর, গ্যাবন, গিনি, জর্ডান, লেবানন, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মালয়েশিয়া, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, কাতার, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, সেনেগান, সুদান, সিয়েরা লিয়ন, সোমালিয়া, টোগো, তিউনিশিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইয়েমেন।

Tuesday, December 15, 2015

সন্ত্রাস মোকাবিলায় নতুন ইসলামিক সামরিক জোট, আছে বাংলাদেশও

সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ৩৪টি দেশ নিয়ে ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের ঘোষণা দিয়েছে সৌদি আরব। এই জোটে রয়েছে বাংলাদেশও। সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদ থেকে যৌথভাবে এ জোটের অপারেশন পরিচালনা করা হবে। এ বিষয়ে বিরল এক সংবাদ সম্মেলন করেছেন সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী মোহাম্মদ বিন সালমান। সচরাচর তাকে এভাবে সংবাদ সম্মেলন করতে দেখা যায় না। এ ঘোষণা দিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সিতে (এসপিএ) একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়, উল্লিখিত দেশগুলো সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়তে সৌদি আরবের নেতৃত্বে একটি সামরিক জোট গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। রিয়াদ থেকে জোটের কার্যক্রম সমন্বয় ও পরিচালনা করা হবে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন এ জোটে বাংলাদেশ ছাড়া অপর রাষ্ট্রগুলো হলোÑ জর্ডান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পাকিস্তান, বাহরাইন, বেনিন, তুরস্ক, চাদ, টোগো, তিউনিশিয়া, জিবুতি, সেনেগাল, সুদান, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, গ্যাবন, গিনি, ফিলিস্তিন, কমোরোস, কাতার, আইভোরি কোস্ট, কুয়েত, লেবানন, লিবিয়া, মালদ্বীপ, মালি, মালয়েশিয়া, মিশর, মরক্কো, মৌরিতানিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া ও ইয়েমেন। এছাড়াও ১০টিরও বেশি ইসলামিক দেশ এ জোটের প্রতি সমর্থন ব্যক্ত করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। এজন্য দেশগুলো প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে বলেও জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। বিবৃতিতে বলা হয়, দুর্নীতি ও ধ্বংসাত্মক কাজ নিষিদ্ধ করেছে ইসলাম। মানুষের মর্যাদা, অধিকার, বিশেষ করে জীবন ও নিরাপত্তার অধিকারকে মারাত্মকভাবে লংঘন করে সন্ত্রাস। রিয়াদ ভিত্তিক ইসলামিক সামরিক জোট গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৌদি আরবের ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স, দ্বিতীয় উপ প্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। গতকাল রিয়াদে বাদশাহ সালমান বিমান ঘাঁটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রিন্স সালমান বলেন, ইসলামিক বিশ্বের সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রগুলো এই জোটে অন্তর্ভুক্ত। সার্বিকভাবে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ওপর প্রভাব ফেলার আগে যে রোগ ইসলামিক বিশ্বের ওপর আগে প্রভাব ফেলেছে, তার বিরুদ্ধে লড়াই করতে মুসলিম বিশ্বের আগ্রহ থেকেই এ পদক্ষেপ। প্রিন্স সালমান বলেন, ইসলামিক বিশ্বের বিভিন্ন অংশে এবং সকল দেশে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সমন্বয় ও সহায়তা প্রচেষ্টা পরিচালনার জন্য রিয়াদে একটি অপারেশন রুম স্থাপন করা হবে। তিনি আরও বলেন, জোটের দেশগুলো তাদের নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অবদান রাখবে। এখন প্রতিটি ইসলামিক দেশ পৃথকভাবে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ছে। প্রচেষ্টার সমন্বয় করাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামিক বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পন্থা ও প্রচেষ্টা গড়ে তোলা হবে। জোট গঠনের ঘোষণা দেয়া বিবৃতিকে উল্লিখিত দশটিরও বেশি দেশের সমর্থন প্রসঙ্গে প্রিন্স সালমান বলেন, এসব দেশ জোটের বাইরে নয়। জোটে যোগ দেয়ার আগে এ দেশগুলোর অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। যত দ্রুত সম্ভব এ জোটটি বাস্তবায়নের ৩৪টি দেশের আগ্রহ থেকে এ ঘোষণা দেয়া হয়েছে। আল্লাহ’র ইচ্ছায় বাকি দেশগুলোও ইসলামিক জোটে যোগ দেবে। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর শ্রেণী যা-ই হোক না কেন আমরা তাদের নিয়ন্ত্রন করবো। পদক্ষেপ বাস্তবায়নে বৈশ্বিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো ও আন্তর্জাতিক সংগঠনগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করবে ইসলামিক সামরিক জোট। সামরিক, বুদ্ধিবৃত্তিক  ও মিডিয়া পর্যায়ে ইসলামিক সামরিক জোট সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এই জোট শুধু আইসিসকে মোকাবেলা করবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, শুধু আইসিস নয়, সামনে আসা যে কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করবো। আমরা পরিশ্রম করবো এবং তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পদক্ষেপ নেবো। বার্তা সংস্থা এপির রিপোর্টে বলা হয়, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে নতুন এই জোটে যেমন পাকিস্তান, তুরস্ক ও মিশরের মতো বড় ও প্রতিষ্ঠিত সেনাবাহিনী সম্বলিত দেশ আছে, তেমনি আছে লিবিয়া ও ইয়েমেনের মতো যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ। জঙ্গি হামলার শিকার আফ্রিকার মালি, চাদ, সোমালিয়া, নাইজেরিয়া এ জোটের সদস্য। তবে সৌদি আরবের আঞ্চলিক প্রতিপক্ষ শিয়া অধ্যুষিত ইরান নেই এ জোটে। উল্লেখ্য, সিরিয়া ও ইয়েমেনের লড়াইয়ে সৌদি আরব ও ইরান একে অন্যের প্রতিপক্ষকে সমর্থন করে। ইয়েমেনে এখন শিয়া মতাবলম্বী হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে সামরিক হস্তক্ষেপে নেতৃত্ব দিচ্ছে সৌদি আরব। জঙ্গি গোষ্ঠী সুন্নী মতাবলম্বী আইসিসের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বোমা হামলার জোটেও রয়েছে সৌদি আরব। নতুন গঠন করা ইসলামিক সামরিক জোটের অংশ তুরস্ক। এ দেশটিই একমাত্র সদস্য যে একই সঙ্গে ন্যাটোরও সদস্য। তারা এরই মধ্যে নতুন জোটকে স্বাগত জানিয়েছে। যারা সন্ত্রাস ও ইসলামকে সম্পর্কিত করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে উচিত জবাব এই জোট বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের প্রধানমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু। তিনি বলেছেন, আমরা বিশ্বাস করি এটি মুসলিম দেশগুলোর সঠিক পথে এগুনোর একটি পদক্ষেপ। প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, সন্ত্রাস বিরোধী কর্মপন্থা নির্ধারণে অন্য দেশ ও আন্তর্জাতিক সংস্থাসমুহের সঙ্গে কৌশল প্রণয়ণ করবে নতুন ইসলামিক সামরিক জোট। তিনি আরও বলেন, তাদের এ প্রচেষ্টা শুধু ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তার ভাষায়Ñ এখন প্রতিটি মুসলিম দেশ নিজেদের মতো করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তাই এ কাজে সম্বন্বয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, উপসাগরীয় দেশ কুয়েত, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত এ জোটে যোগ দিলেও বড় করে চোখে পড়ছে ওমানের নাম। কারণ, সৌদি আরবের প্রতিবেশী এ দেশটি এ জোটে এখনও অনুপস্থিত। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ওমান নিরপেক্ষ ভূমিকা বজায় রাখছে। আঞ্চলিক বিভিন্ন সংঘাতে তারা মধ্যস্থতাকারী হিসেবে আবির্ভুত হচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা আরব থেকে ইরান পর্যন্ত সেবা দিচ্ছে। এছাড়া এ জোটে নেই ইরাক ও সিরিয়া। তাদের সেনারা ইসলামিক স্টেটের দখল থেকে দখলীকৃত এলাকা পুনরুদ্ধারের লড়াই করছে। এ ছাড়া ইরানের সঙ্গে মিত্রতা আছে এমন দেশও নেই এই জোটে। জর্ডান সরকারের এক মুখপাত্র নিশ্চিত করেছেন যে, তারা এই জোটের অংশ। মুখপাত্র মোহাম্মদ মোমানি এ জোট নিয়ে আলাদা করে কোন মন্তব্য করবেন না। তবে তিনি বলেছেন, জর্ডান সব সময়ই প্রস্তুত। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সক্রিয়ভাবে অংশ নিতে তৎপর। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ না হলেও বেনিন এ জোটে যোগ দিয়েছে।

Monday, December 14, 2015

বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন ১০ হাজার সৌদি নারী

বিশ্ব রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়লেন সৌদি আরবের প্রায় ১০ হাজার নারী। স্তন ক্যান্সারের বিরুদ্ধে তারা সতেচনতামুলক চিহ্ন ‘হিউম্যান রিবন’ তৈরি করেছেন লাইনে দাঁড়িয়ে। শনিবার আয়োজিত এ উদ্যোগের নাম দেয়া হয় ‘১০কেএসএ’। এর মাধ্যমে ওই নারীরা পূর্বের রেকর্ড ভেঙে জায়গা করে নিলেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন সৌদি গেজেট। এতে বলা হয়, এ উদ্যোগে অংশ নেয়া নারীরা মাথায় গোলাপী রঙের স্কার্ফ পরেন। তারপর পিন্সেস নূরাহ বিনতে আবদুর রহমান ইউনিভার্সিটিতে একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে হাতে হাত ধরে দাঁড়ালেন পাশাপাশি, যাতে গোলাপী রঙের স্তন ক্যান্সারের চিহ্নের সৃষ্টি হয়। আলফ খায়ের নামের সামাজিক উদ্যোগের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সেস রিমা বিনতে বন্দর বিন সুলতান আল সাউদ মবলেছেন, ওইদিন এ উদ্যোগে অংশ নিয়ে ১০ হাজার নারী ঘোষণা করেছেন যে- আমাদের মা, মেয়ে ও বোনদের ভবিষ্যতের জন্য সুস্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভবিষ্যতের কণ্ঠ। আমরা যদি আমাদের যতœ নিউ তাহলেই আসবে আলোকিত ভবিষ্যত। যদি তা না করি তাহলে আমাদের ভবিষ্যত হবে অন্ধকারময়। এই উদ্যোগে যেসব নারী অংশ নিয়েছেন তারা এমনটাই বিশ্বাস করেন। উল্লেখ্য, শনিবার ছিল ১২ই ডিসেম্বর। এদিনটিতে সৌদি আরবে নারীরা আরও একটি ইতিহাস গড়েছেন। এদিনে তারা প্রথমবারের মতো তাদের দেশে নির্বাচনে ভোট দেয়া ও প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পেয়েছেন। প্রিন্সেস রিমা আল সাউদ বলেন, একজন সৌদি নারী হওয়া অত্যন্ত গর্বের। কারণ, একই দিনে আমরা ভোট দেয়ার অধিকার প্রয়োগ করেছি। একসঙ্গে আমাদের সবার জন্য ইতিবাচক এমন একটি উদ্যোগে অংশ নিতে পেরেছি। আলবিদা ব্রেস্টফির্ডি রিসোর্স অ্যান্ড ওমেনস এওয়ারনেস স্টোরের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও নারী স্বাস্থ্যের সচেতনতা সৃষ্টির সহ আয়োজক ডাক্তার মোদিয়া বাট্টারজি বলেন, এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে তারা নারীদের কাছে যে বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন তা হলো তাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা নারীদের বোঝাতে চাই যে, নারীদের উচিত স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন হওয়া, সুস্থ জীবন যাপন করা, আগেভাগেই স্তন সনাক্ত করা, ভাল খাবার খাওয়া, ব্যায়াম করা, ভাল ঘুম যাতে হয়, বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানোর বিষয়, নিজেদের যতœ নেয়ার বিষয়ে। ১০ কেএসএ‘র দূত হালা আসিল বলেন, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে অনেক মানুষের উপকার হয়েছে। গিনেস বুক অব রেকর্ডসে ঠাঁই পেতে যাচ্ছেন ১০ হাজার নারী। এর মধ্য দিয়ে সারা বিশ্বের কাছে বার্তা পৌঁছে যাবে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকডর্সডের এডজুকেটর সৈয়দা সুবাসি-জেমিসি বলেন, তিনি রিয়াদে এসেছিলেন নারীদের এই দীর্ঘ মানব রিবন প্রত্যক্ষ করতে। এ আয়োজন সম্পন্ন করেছেন সৌদি আরবের নারীরা। এ রেকর্ডে ঠাঁই পাওয়ার জন্য সব অংশগ্রহণকারীকে মাথায় গোলাপী রঙের কাপড় পরা বাধ্যতামুলক ছিল।

ভারত-পাকিস্তান গোপন কূটনীতি

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দীর্ঘদিন যে কাশ্মির নিয়ে বিরোধ, কখনো কখনো তা যুদ্ধে পরিণত হয়েছে, সেই কাশ্মির নিয়ে এবার দেশ দুটি গোপন কূটনীতিতে নেমেছে। পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফ ও ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং প্রশাসন এই সংঘাত উত্তরণে যে উদ্যোগ নিয়েছিলেন দেশ দুটি নতুন করে যেন তা অনুসরণ করার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে দু’দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের গোপন বৈঠক হয়েছে। এরপর আফগানিস্তান নিয়ে পাকিস্তানে আয়োজিত ‘হার্ট অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। অনলাইন এক্সপ্রেস ট্রিবিউন বলেছে, সন্ত্রাস থেকে কাশ্মির বিরোধসহ বিভিন্ন ইস্যুতে নতুন নাম ‘কমপ্রিহেনসিভ বাইল্যাটারেল ডায়ালগ’ নামে শান্তি আলোচনা শুরু করেছে ভারত ও পাকিস্তান। পাকিস্তানের সরকারি সূত্রগুলো বলেছে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাদের পারস্পরিক আস্থাকে কাজে লাগিয়ে কাশ্মির ইস্যুতে অধিকতর আলোচনা ‘ব্যাক চ্যানেলে’র মাধ্যমে চালিয়ে নিতে। কমপ্রিহেনসিভ বাইল্যাটারেল ডায়ালগ-এর অধীনে দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবরা শান্তি, নিরাপত্তা সহ কাশ্মির ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবেন। সূত্রগুলো বলেছে, পররাষ্ট্র সচিবরা এ ইস্যুতে আলোচনা চালিয়ে নেয়ার অনুমোদন পেলেও তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন না। সরকারি একটি সূত্র বলেছে, যতক্ষণ কাশ্মির ইস্যুর মতো জটিল ইস্যু নিয়ে উদ্বেগ থেকে যাবে ততদিন ব্যাক চ্যানেলের মাধ্যমে আলোচনা এগিয়ে চলবে। কাশ্মির ইস্যু সমাধানের লক্ষ্যে দেশ দুটি অতীতে এভাবে কাজ করেছে। পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী খুরশিদ কাসুরি তার এক বইয়ে বলেছেন, সাবেক সামরিক শাসক পারভেজ মোশাররফের শাসনকালে কাশ্মির ইস্যুতে নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ গোপনীয় আলোচনা চালিয়েছিল। ওই সময় দু’দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টারা কোন ডকুমেন্ট বিনিময়ও করেন নি। ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের পয়েন্ট ম্যান হিসেবে পরিচিত এসকে লাম্বা এবং পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোশাররফের ঘনিষ্ঠ সহকর্মী তারিক আজিজ তখন খসড়া চুক্তি নিয়ে দুবাই ও কাঠমুন্ডুতে কমপক্ষে দু’ডজন গোপন বৈঠক করেন। এতে কাটে ২০০ ঘন্টারও বেশি সময়। প্রস্তাবিত ওই চুক্তিতে বলা হয়েছিল, কাশ্মিরের দু’পাশে দু’পক্ষ যৌথভাবে ব্যবস্থাপনা করবে এবং বিরোধপূর্ণ এলাকা থেকে সামরিক বাহিনীকে সরিয়ে নেয়া হবে। কিন্তু ২০০৭ সালে পাকিস্তানে পারভেজ মোশাররফের বিরুদ্ধে লং মার্চ করেন আইনজীবীরা। মূলত ওই আন্দোলন ক্রমশ বেগবান হয়ে মোশাররফের পতন হয়। এর ফলে সেই সংলাপ বা শান্তি প্রক্রিয়া আর এগোয় নি। এরই মধ্যে কেটে গেছে ৮টি বছর। এখন নতুন করে ‘ব্যাক চ্যানেলের’ মাধ্যমে আবার সেই প্রক্রিয়া শুরু করেছে ভারত ও পাকিস্তান। তবে এবার ব্যাংককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের মধ্যে যে গোপন বৈঠক হয়েছে তা কি গোপন কূটনীতিকে এগিয়ে নেবে নাকি দু’পক্ষ অন্যকোন মধ্যস্থতাকারী ব্যবহার করবে। সূত্র বলেছেন, যখন সমঝোতা প্রক্রিয়া শুরু হবে তখন কাশ্মির সমস্যা সমাধান করতে মোশাররফ ও মনমোহন প্রশাসনের মধ্যে যে খসড়া চুক্তি হয়েছিল তা নিয়ে আলোচনা হবে। অক্টোবরে ভারতীয় মিডিয়া খবর প্রকাশ করে যে, ওই সময়কার গোপন বৈঠক ও খসড়া চুক্তির বিষয়ে বিষয়ে পুরোপুরি ব্যক্তিগতভাবে রেকর্ড রাখতেন মনমোহন সিং। পরে নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী হলে তা তিনি হস্তান্তর করেন মোদির কাছে। সরকারের একজন সিনিয়র ব্যক্তি বলেছেন, ভারত কতদূর এগুবে তা নিয়ে উপসংহার টানার সময় এখনো আসে নি। নরেন্দ্র মোদি পাকিস্তান ইস্যুতে যে পদক্ষেপ নিয়েছেন তা কখনো গরম, কখনো নরম। ওদিকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ গতকাল তার পাকিস্তান সফর সম্পর্কে ভারতের পার্লামেন্টকে অবহিত করেন। গত সপ্তাহে দু’দিনের ‘হার্ট অব এশিয়া’ সম্মেলনে যোগ দিয়ে তিনি মূলত পাকিস্তানের সঙ্গে কি কথা বলেছেন তা নিয়ে রাজনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের জানার কৌতুহল। সে বিষয়ে তিনি গতকাল বলেন, পাকিস্তানের কাছে ভারত মুম্বই হামলার ইস্যু তুলে ধরেছে। একই সঙ্গে ওই হামলায় জড়িতদের বিচার করতে আহ্বান জানিয়েছে পাকিস্তান সরকারকে। সুষমা স্বরাজ ভারতীয় পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় বলেন, আমরা ২৬/১১ মুম্বই হামলার ইস্যু তুলে ধরেছি। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তান ও ভারত শান্তি, নিরাপত্তা ও কাশ্মির সহ সব ইস্যুতে বিস্তারিত আলোচনা চালিয়ে যাবে। সন্ত্রাসের থাবায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত কাশ্মির।