Thursday, June 28, 2012

মশা মারতে সেনা মোতায়েন


 ডেঙ্গু জ্বর সৃষ্টিকারী মশার বিরুদ্ধে যুদ্ধে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে শ্রীলঙ্কা। ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা যেসব জায়গায় প্রজনন ক্রিয়া ঘটায় সেসব স্থানে মোতায়েন করা হয়েছে ১০ হাজারেরও বেশি সেনা সদস্য। তারা ওইসব স্থান পরিষ্কার করে ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। এখানে উল্লেখ্য, এ বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে সেদেশে কমপক্ষে ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ১৫ হাজার মানুষ। এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা ধর্ম ওয়ানিনায়েকে বলেন, সোমবার থেকে ডেঙ্গুবিরোধী এ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এতে সেনাবাহিনীর সদস্য, পুলিশ ও সরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নিচ্ছেন। ডেঙ্গুবিরোধী এ লড়াই চলছে সারা দেশে।

বই পড়লে জেল মাফ


 ব্রাজিলের কারাগারে আটক কুখ্যাত অপরাধীরা তাদের সাজার মেয়াদ নিজেরাই কমিয়ে নিতে পারবেন। এমন একটি প্রস্তাব আনা হচ্ছে। তাতে বলা হবে, কোন বন্দি যদি কারাগারে বসে একটি বই পড়ে তাহলে তার বিনিময়ে তার শাস্তির মেয়াদ ৪ দিন কমিয়ে দেয়া হবে। ফলে যে বন্দি ৫টি বই পড়বে তার শাস্তি কমে যাবে ২০ দিন। তবে এক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন মানতে হবে তাদের। বছরে তাদের সাহিত্য, দর্শন, বিজ্ঞান ও ক্লাসিক বইয়ের মধ্য থেকে মাত্র ১২টি বই পড়তে হবে। এতে কোন বন্দি প্রতি বছর তার শাস্তির মেয়াদ কমিয়ে নিতে পারবে ৪৮ দিন। প্রতিটি বই পড়ার জন্য সময় দেয়া হবে ৪ সপ্তাহ। এ সময়ের মধ্যে বইটি পড়ে সে বিষয়ে সারমর্ম লিখতে হবে। শাস্তির মেয়াদ কমাতে তাদেরকে অবশ্যই বই থেকে সঠিক প্যারাগ্রাফ তুলে দিতে হবে। কাটাকাটি করা যাবে না। লেখায় ব্যবহার করতে হবে মার্জিন রেখা। এ বিষয়ে বুধবার একটি প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, কোন কোন বন্দি এ কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে তা নির্ধারণ করবে একটি বিশেষ প্যানেল। এ প্রকল্পে বই দিয়ে সহায়তা করছেন সাও পাওলোর আইনজীবী আন্দ্রে কেহদি। তিনি বলেছেন, এ কর্মসূচি সফল হলে যেসব বন্দি সাজা কমিয়ে কারাগার থেকে বের হবে তারা সবাই আলোকিত মানুষ হয়ে বের হবেন।

ঘোষণার আগেই ফেসবুকে মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ

আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগেই মাধ্যমিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়ে গেছে জনপ্রিয় সামাজিক ওয়েবসাইট ফেসবুকে। তাও যে-সে পরীক্ষা নয়, দশম শ্রেণীয় বোর্ড পরীক্ষার ফল। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে ভারতের ওড়িশা রাজ্যে। ওই রাজ্যের মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এ বছরের মার্চ-এপ্রিলে নেয়া দশম শ্রেণীর পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয় গতকাল স্থানীয় সময় সকাল ৯টায়। কিন্তু এর ১২ ঘণ্টা আগেই সেই ফল প্রকাশ হয়ে পড়ে ফেসবুকে। বুধবার রাতেই এ পরীক্ষার শীর্ষ মেধাবী ১১০ ছাত্রের নাম প্রকাশ করা হয় সেখানে। গতকাল ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ফেসবুকে যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক। এতে বোর্ড যেমন বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছে একই রকম অবস্থা সরকারের। গতকাল এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক। এ ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের সভাপতি সত্যকাম মিশ্র বলেছেন, ফল ফাঁস হয়নি। তা চুরি করা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি তদন্ত টিম গঠন করা হবে।

সৌদি আরবে ৫ জনের শিরশ্ছেদ

হত্যা ও মাদক পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকায় সৌদি আরবে ৫ জনের শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। এর মধ্য ৪ জন হলেন সৌদি আরবের নাগরিক। একজন সিরিয়ার নাগরিক। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে উদ্ধৃত করে গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। এতে বলা হয়, ভারতীয় নাগরিক কোহিমো আহমেদকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে ও পরে গুলি করে হত্যা করার দায়ে এর মধ্যে তিন সৌদি আরবের নাগরিককে কাতিফ অঞ্চলে শিরশ্ছেদ করা হয়। এই তিনজন হলেন- হুসেইন বিন আহমেদ সৈকত, আবদুল আজিজ বিন হাসান আল তাতুক ও হুসেইন বিন এব্রাহিজম আল মাতুক। ভিন্ন আরেকটি ঘটনায় সৌদি আরবের নাগরিক আবদুল্লাহ বিন সাদ আল মাসমাকে হত্যার দায়ে আসির অঞ্চলের আভা শহরে শিরশ্ছেদ করা হয় খালিদ বিন সাইদ আল আসমারির। জাওয়াফে শিরশ্ছেদ করা হয় সিরিয়ার নাগরিক উইলিয়াম কাতুমের। তাকে মাদক পাচারের অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।

Wednesday, June 27, 2012

পালিয়ে বেড়াচ্ছেন অভিনেত্রী টিউলিপ সিং


পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতের ভোজপুরির অভিনেত্রী টিউলিপ সিং ওরফে পুনম সিং। তার বিরুদ্ধে আহমেদাবাদের এক ব্যবসায়ী ও প্রযোজক আড়াই কোটি রুপি প্রতারণার মামলা করার পর তিনি আত্মগোপন করেছেন। তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে গুজরাট পুলিশ। কিন্তু টিউলিপ সিংয়ের দাবি, ওই ব্যবসায়ী তার ও তার পার্টনারের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় তিনি আগাম জামিন নিতে চান। কিন্তু তার ভয়- ওই ব্যবসায়ী তাকে হত্যা করতে পারে। একই সঙ্গে তিনি ওই প্রযোজকের বিরুদ্ধে যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ আনলেন। বললেন, ওই প্রযোজকের সঙ্গে তার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এ জন্য তার দু’বার গর্ভপাত করাতে হয়েছে। এ খবর দিয়ে ভারতের একটি অনলাইন দৈনিক জানায়, পুনম সিং ভোজপুরি চলচ্চিত্রের ‘ক্যাট্রিনা’ নামে বেশি পরিচিত। তার বসবাস ওশিওয়ারায়। গত মাসে টিউলিপ ও তার জীবনসঙ্গী রমন নায়ারের বিরুদ্ধে কে.কে জুয়েলার্সের মালিক ভুয়া চেক দিয়ে আড়াই কোটি রুপির স্বর্ণালঙ্কার ও ডায়মন্ড নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ এনেছেন। টিউলিপ বলেছেন, কে.কে জুয়েলার্সের মালিক অন্যদের সঙ্গে নিয়ে একটি গল্প সাজিয়েছেন। তিনি আমাকে এই মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। টিউলিপ বলেন, ওই ব্যবসায়ী তার দুটি ছবিতে অর্থায়নের কাজ করছে। টিউলিপ তার ডায়মন্ড ফেরত না দিলে তিনি ছবিতে অর্থায়ন বন্ধ করে দেয়ার হুমকি দিয়েছেন। এখানেই শেষ নয়, টিউলিপ ওই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক ছিল। এ জন্য আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। দু’বার গর্ভপাত করাতে হয়েছে। তারপরে তিনি যখন আমাদের ইউনিটের অন্য মেয়েদের দিকে লোলুপ দৃষ্টি ফেলেন এবং তাদেরকে তার শয্যাসঙ্গী করার চেষ্টা করেন আমি তাতে বাধা হয়ে দাঁড়াই। ফলে তিনি আমার ছবিতে অর্থ দেয়া বন্ধ করে দেন। আর এখন তিনি আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। ওই ব্যবসায়ী আমার কাছে ব্ল্যাংক চেক দাবি করেন। গুজরাট পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ জলরাম প্রডাকশন্সের নায়ার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এরই মধ্যে। এখন তারা টিউলিপ সিংকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।

Tuesday, June 26, 2012

রেস্টুরেন্টে ভিন্ন মাত্রা

মার্কিন অর্থনীতির মহামন্দার মধ্যেও যুক্তরাষ্ট্রের টুইন পিকস রেস্টুরেন্ট বেশ দাপটের সঙ্গে তাদের ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এ রেস্টুরেন্টের বিশেষত্ব হচ্ছে আবেদনময়ী নারী ওয়েট্রেসরা আঁটসাঁট পোশাক পরে আগত অতিথিদের মাঝে খাবার পরিবেশন। এ কারণে এর ব্যাপক সমালোচনা হলেও টুইন পিকসের মালিক র‌্যান্ডি ডেউইট তা খণ্ডন করে জোর দিয়ে বলেছেন, এ রেস্টেুরেন্টের আবেদন প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। এজন্য মূলত এর স্বাস্থ্যসম্মত খাবার এবং খাবারের মূল্য তালিকাই মূল ভূমিকা পালন করেছে। আর এ কারণেই অতিথিরা বারবার এ রেস্টুরেন্টে ফিরে আসেন। তিনি বলেছেন, আমরা উদর তৃপ্ত করার আগে দৃষ্টি তৃপ্ত করার ব্যবস্থা রেখেছি। এর ওয়েব সাইটেও বলা হয়েছে, আপনি পুরুষ বলেই টুইন পিকসের সেবা আপনার জন্য। বর্তমান অর্থনৈতিক মন্দায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসাতে ধস নামলেও আকর্ষণীয় ওয়েট্রেসদের খাবার পরিবেশনের মাধ্যমে তারা টিকিয়ে রেখেছেন ব্যবসাকে। তরুণীদের আঁটসাঁট পোশাক পরে খাবার পরিবেশন করায় এ রেস্টুরেন্টকে ‘ব্রেস্টরেস্টুরেন্ট’ বলেও অভিহিত করা হয়। ঐতিহ্যগতভাবে ১৯৮০ এর দশকে এ রেস্টুরেন্ট যাত্রা শুরু করলেও অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাব তাদের ওপরও পড়েছিল। কিন্তু তারা এখন খোলামলো পোশাক পরিধানকারী ওয়েট্রেসের সঙ্গে সঙ্গে মজাদার এবং নতুন নতুন স্বাদের খাবার পরিবেশন করার নীতি গ্রহণ করেছে। ফুড ইন্ডাস্ট্রি গবেষণা প্রতিষ্ঠান টেকনোমিক জানিয়েছে, গত এক বছরে এসব রেস্টুরেন্টে বিক্রির পরিমাণ গড়ে ৩০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য এখনও তাদের বিক্রির পরিমাণ দেশের শীর্ষ রেস্টুরেন্টগুলোর বিক্রির তুলনায় এক শতাংশেরও কম। টেকনোমিকের বিশ্লেষক ডারেন ত্রিসতানো জানিয়েছেন, তরুণ প্রজন্ম নতুন নতুন স্থানে খাবারের স্বাদ নিতে চায়। বাবা-মাকে না জানিয়ে তারা খাবার এবং প্রিয় মানুষের সময় কাটাতে এমন জায়গাকেই উপযুক্ত মনে করে।    

সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হতে চান তারা

 কুলকার্নি দম্পতি যেখানেই যান তাদের বিলম্ব হয়ে যায়। আর হবে না কেন! তারা যে ভারতের সবচেয়ে লম্বা দম্পতি। পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হওয়ার রেকর্ডের অপেক্ষায় আছেন শারদ কুলকার্নি (৫২) ও স্যাঞ্জোত (৪৬)। স্বামী শারদের উচ্চতা ৭ ফুট দেড় ইঞ্চি। আর স্ত্রী স্যাঞ্জোতের উচ্চতা ৬ ফুট ২.৬ ইঞ্চি। তাদের দুই মেয়ে ম্রুগা (২২) ও সানিয়ার (১৬) উচ্চতা ও যথাক্রমে ৬ ফুট ১ ইঞ্চি ও ৬ ফুট ৪ ইঞ্চি। পরিবারের মোট উচ্চতা ২৬ ফুট। ১৯৮৯ সালে বিয়ের পরই ভারতের সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হিসেবে লিমকা বুক অব রেকর্ডে স্থান করে নেন শারদ-স্যাঞ্জোত। তারা আশা করছেন, গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে জায়গা করে নিবেন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা দম্পতি হিসেবে। বর্তমানে গিনেস বুকের লম্বা পরিবার ক্যাটিগরির কোন বিভাগ নেই। তবে গিনেস কর্তৃপক্ষ এই বিভাগ খোলার বিষয়টি মনিটরিং করছে বলে জানান গিনেসের মুখপাত্র অ্যান লাইজ রাউজ। তারপরই এমন রেকর্ডধারী পরিবারকে আমন্ত্রণ জানানো হবে। তবে এই দম্পতিকে রেকর্ডে স্থান পেতে হলে ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়েনি-লরি দম্পতিকে পেছনে ফেলতে হবে। অবশ্য তাদের মোট উচ্চতা ১৩ ফুট ৪ ইঞ্চি থেকে এগিয়েই আছেন কুলকার্নি দম্পতি। তাদের উচ্চতা ১৩ ফুট ৪.১ ইঞ্চি। বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রে শারদ ও স্যাঞ্জোত দু’জনেই অনেক ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ সহ্য করেছেন। হতে হয়েছে অনেকের উপহাসের পাত্র। শারদ যখন টিনেজ বয়সেই সাত ফুট উচ্চতায় পৌঁছেন তখন দেশের হয়ে বাস্কেট বল খেলা ছেড়ে দিতে হয় তাকে। কিন্তু স্যাঞ্জোত গ্রামে বেড়ে উঠেছেন। সেখানে বেশি লম্বা হওয়ায় তাকে অসুস্থ মনে করা হতো। টিনেজ বয়সে তাদের উভয়ের মনে হতো বিয়ে করাটা তাদের জন্য কষ্টকর হয়ে যাবে। বিশেষ করে স্যাঞ্জোতের ক্ষেত্রে। তিনি বলেন, পুরুষকে অনেক কর্তৃত্বমূলক কাজ করতে হয়। ফলে নিজের চেয়ে খাটো পুরুষকে কখনও বিয়ে করবেন না- এমনই ছিল তার চাওয়া। কেননা এতে উপহাসের শিকার হওয়ারও আশঙ্কা ছিল। তবে ১৯৮৮ সালে তার দাদি মুম্বই’র রাস্তায় শারদকে দেখেন এবং তাকে প্রস্তাব করেন। এক সপ্তাহ পরে শারদের বাবা-মা ফোন করেন এবং তাদের দেখার ব্যবস্থা করেন। আর এখন দুই মেয়েসহ পৃথিবীর সবচেয়ে লম্বা পরিবার হওয়ার অপেক্ষায়। তার মেয়ে ম্রুগা বলেন, আমরা খুবই আনন্দিত। লম্বাকে ভালবাসি আমরা। দু’মেয়ে মডেল হতে চায়। উচ্চতা তাদেরকে সুবিধা দেবে বলে মনে করেন তারা। কুলকার্নি পরিবার ঐতিহ্যবাহী জীবন যাপন করে। নিজের ঐতিহ্য অনুযায়ী পোশাক পরেন তারা। তবে জুতার সাইজ বড় হওয়ায় অনলাইনে ইউরোপ থেকে সেটা কিনতে হয়।
তারা ঘরের সব কিছুই নিজেদের সঙ্গে খাপ খাইয়ে তৈরি করেছেন। বাথরুমের দরজাসহ তাদের সবগুলো দরজাই ৬ থেকে ৮ ফুট। পাবলিক সার্ভিসে তেমন ওঠা হয় না তাদের। স্কুটারেই চড়েন সব সময়। তবে জরুরি ভিত্তিতে বিমানে চড়তে হলে তারা সামনের সিট বা ইমারজেন্সি এক্সিট সারিতে বসেন।

১৬তলা থেকে ফেলে দু’সন্তানকে হত্যা

 সন্তানদের আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে ১৬ তলা থেকে নিচে ফেলে দুই সন্তানকে হত্যা করেছে রাশিয়ার এক মা। এ ঘটনার পর দুই সন্তানকে হত্যার অভিযোগে পুলিশ ৩০ বছর বয়সী গ্যালিনা রেবখোবা নামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে আটক করা হলেও তখন বেশ ভাবলেশহীন দেখাচ্ছিল তাকে। চার এবং সাত বছর বয়সী শিশু দুটির দেহ উপর থেকে মাটিতে আছড়ে পরার শব্দে প্রতিবেশীরা বিষয়টি পুলিশকে জানায়। উপর থেকে ফেলে দেয়ার পরপরই প্রতিবেশীরা শিশু দুটিকে হাসপাতালে নেয়ার চেষ্টা করলেও এম্বুলেন্স আসার আগেই তারা মৃত্যু বরণ করে। এক রিপোর্টে জানা গেছে, দুই সন্তানের আচরণে ওই নারী হতাশ হয়ে পড়েছিল। তাই তাদের হাত থেকে রেহাই পেতে সে দু’জনকেই ব্যালকনি থেকে নিচে ফেলে দেয়। স্বামী ব্যবসার কাজে বাড়ির বাইরে থাকলেও তিনি সন্তানদের নিয়ে নবম তলাতে থাকতেন। ধারণা করা হচ্ছে, সন্তানদের ফেলে দিতেই তিনি রোববার তাদের নিয়ে ১৬তলায় উঠে গিয়েছিলেন। ওই অ্যাপার্টমেন্ট ভবনের একজন প্রতিবেশী লাইফ নিউজকে এ দুর্ঘটনার ব্যাপারে বলেছেন, ওই ভবন থেকে দুটি শিশু নিচে পড়ে গেছে বলে জানিয়ে তার স্ত্রী তাকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তোলেন। তারা দৌড়ে গিয়ে দেখেন ভবনের মূল চত্বরে দুটি শিশু পড়ে আছে। ওই ব্যক্তি বলেছেন, ঠিক তখনই তাদের মা ভবন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছিল। আমি তাকে জিজ্ঞেস করলাম এগুলো তার সন্তান কিনা। সে ভাবলেশহীনভাবে তখন জবাব দিলো, হ্যাঁ আমিই তাদের নিচে ছুড়ে ফেলে দিয়েছি। এ ঘটনার পর পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে। জানা গেছে, স্বামী তার সঙ্গে প্রতারণা করছেন এমন সন্দেহে এর আগেও তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। এ বিষয়ে তদন্ত চলাকালীন তাকে মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হবে। 

স্ত্রী ধর্ষণ, স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা

স্ত্রীর অমতে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা ভারতসহ বিভিন্ন দেশের আইনে এক ধরনের ধর্ষণ। এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে অনেক। তবে বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে ভারতে একজন স্ত্রী তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করার পর। আর এতে তার স্বামীকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশ। ৩০ বছর বয়সী রেশমা ছদ্মনামের ওই নারী তার অভিযোগে বলেন, তার স্বামী রাত দেড়টায় ঘরে ঢুকে জোরপূর্বক তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন। তিনি তার মেয়েকে নিয়ে ইন্দরের নন্দনগরে থাকেন। তিনি ছাড়াও তার স্বামীর আরেকজন স্ত্রী রয়েছে। আর ওই স্ত্রীর সঙ্গেই থাকেন স্বামী। রেশমা রাতে চিৎকার বা জোরাজুরি করেননি। কারণ এতে করে তার মেয়ে জেগে উঠতে পারে। ও তার উপর এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। পুলিশ রমেশ যাদব নামের ওই স্বামীর বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ৩৭৭ ধারায় মামলা গ্রহণ করে তাকে গ্রেপ্তার করে। ওই ধারায় বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক নিয়মের বিপরীতে যদি কেউ পুরুষ, মহিলা বা পশুপাখির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করে তবে তাকে আজীবন জেল বা ১০ বছর পর্যন্ত যে কোন সাজা ও আর্থিক জরিমানা করা যাবে। রেশমা জানান, রমেশ পাঁচ বছর আগে তাকে বিয়ে করেন এবং আলাদা হওয়ার আগ পর্যন্ত কয়েক বছর একসঙ্গে থাকেন। রেশমা দাবি করেন, তারপর থেকে তিনি একা থাকলেও তার স্বামী অন্য স্ত্রীর সঙ্গে থাকেন। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগও আনেন তিনি। তবে যেহেতু অন্য স্ত্রীর সঙ্গে থাকা অবস্থায় জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক করেছেন। ফলে এটা অবশ্যই ধর্ষণের পর্যায়ে পড়ে।  

ভারত ফেরত নিষিদ্ধ পল্লীর নারীদের কথা

এখন থেকে ৩ বছর আগের কথা। ওই সময় বাংলাদেশের নারীদের বড় একটি দলকে পাচার করা হয়েছিল ভারতে। সমপ্রতি তাদের ৪৮ জনকে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে ভারতের একটি এনজিও। তারা বাংলাদেশে ফিরে তাদের দুঃসহ জীবনের অভিজ্ঞতা খুলে বলেছেন। এ নিয়ে ২৫শে জুন ঢাকা থেকে বিবিসি’র সাংবাদিক আনবারাসান ইথিরাজন একটি প্রতিবেদন লিখেছেন। এর শিরোনাম- ‘বাংলাদেশ ট্রাফিকড ওমেন রিকাউন্ট অরডিয়াল ইন ইন্ডিয়া’। এতে বলা হয়, ওই নারীদের ভারতের মুম্বই ও পুনের বিভিন্ন শহরে জোর করে দেহ ব্যবহার করা হতো। তাদেরকে বাধ্য করা হতো এ কাজ করতে। তাদের একজন ২২ বছরের মনিকা। তিনি বলেছেন, তার গ্রামের একটি মেয়ে তাকে কিছু একটা খেতে দেয় এবং বলে চলো- আমরা পাশের দেশ ভারতে পিকনিক করতে যাই। কিন্তু পরে বুঝতে পারি আমাকে টেনেহিঁচড়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয়। রাতের বেলা আমাকে ধানের ক্ষেতের ভিতর দিয়ে টেনে নেয়া হয়। যখন আমার চেতনা ফেরে, আমি বুঝতে পারি ভারতের দালালের কাছে আমাকে বিক্রি করে দেয়া হয়েছে। এরপর কয়েকদিন কলকাতায় অবস্থানের পর অন্য মেয়েদের সঙ্গে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় পুনে। মনিকা বলেন, আমাদের সেখানে একটি ছোট্ট রুমে রাখা হয়। ওই এলাকায় কয়েক শত মেয়ে আছে। সেখানে দেহ ব্যবসা করতে আমাদেরকে বাধ্য করা হতো। এতে আমি হতভম্ব হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু স্থানীয় এজেন্ট ক্রমাগত চাপ ও হুমকি দেয়ার প্রেক্ষিতে আমার ও আমাদের সামনে আর কোন পথ খোলা ছিল না। প্রতি বছর কি পরিমাণ নারীকে এভাবে পাচার করা হয় তার কোন সুনির্দিষ্ট হিসাব নেই। তবে বিভিন্ন সংস্থার হিসাবে প্রতি বছর হাজার হাজার ছেলেমেয়েকে পাচার করা হয় ভারত ও পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোতে। এক্ষেত্রে তাদেরকে লোভনীয় চাকরির প্রলোভন দেয়া হয়। কিন্তু শেষ হয় কোন পতিতাপল্লীতে গিয়ে। ভারত থেকে উদ্ধার করা রুনা নামের এক নারী বলেন, আমাদেরকে সকাল ৮টা থেকে মধ্যরাত অবধি কাজ করতে হতো। পুনের পতিতালয়ে আমার মতো কয়েক শ’ মেয়ে আছে। সেখানে তাদের দুঃসহ জীবন। তাদের সামনে পালানোর কোন সুযোগ নেই। আমি দেশে ফিরতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি। কিন্তু তারপরও অনেক সমস্যা রয়ে গেছে। বাংলাদেশ ন্যাশনাল ওমেন’স লইয়ারস এসোসিয়েশনের সালমা আলী বলেন, যদিও এসব মেয়েকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে তবু তাদের সামনে এক অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে। সামাজিক বঞ্চনার কারণে তাদের অনেকেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে না। কি পরিমাণ যুবতীকে ভারতে পাচার করা হচ্ছে সেদিকে তিনি দৃষ্টিপাত করেন। রুনা বলেন, আমরা দু’দেশের সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপ করতে। সেখানে আমাদের মতো নারীদের চলাচলের ওপর কড়া নজর রাখতে।

Thursday, June 21, 2012

ধর্ষণের দায়ে ফরাসি কূটনীতিক আটক

সাড়ে তিন বছরের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগে ভারতের ব্যাঙ্গালোরে এক ফরাসি কূটনীতিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। টেলিভিশন রিপোর্টে বলা হয়েছে, অভিযুক্ত কূটনীতিক প্যাসকাল মেজুয়েরকে গতকাল সকালে গ্রেপ্তারের পর ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। গতকালই তাকে আদালতে হাজির করার কথা। তিনি কোন কূটনৈতিক ক্ষমার সুবিধা পাবেন না বলে নয়া দিল্লি ফরাসি দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হলেও সোমবার ব্যাঙ্গালোর পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে অস্বীকার করেছিল। নয়া দিল্লির ফরাসি দূতাবাস জানিয়েছে, ৩৯ বছর বয়সী মেজুয়ের ব্যাঙ্গালোরের ফরাসি কনসুলেটে ডেপুটি হেড অব চেন্সারির দায়িত্বে রয়েছেন। তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে নিজের শিশুকন্যাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন। তিনি কোন কূটনৈতিক পাসপোর্টের অধিকারী নন বলে ফরাসি দূতাবাস উল্লেখ করেছে। তবে পুলিশ বলেছিল, মেজুয়েরকে গ্রেপ্তারের জন্য তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের লিখিত নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছে। মেজুয়েরের স্ত্রী সুজা জোনস মেজুয়েরের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তার বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার একটি মামলা নিয়েছিল। তবে তখন তারা তাকে আটক করেনি।

আইএসআই দিয়ে আল কায়েদার প্রশিক্ষণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

 একে তো পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’কে নিয়ে অভিযোগের অন্ত নেই, তার ওপর পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান ওই সংস্থার বিরুদ্ধে নতুন এক অভিযোগ উত্থাপন করলেন। তিনি বললেন, আল কায়েদা এবং এর সাবেক প্রধান ওসামা বিন লাদেনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে আইএসআই। এ কাজে আইএসআই’কে আর্থিক সহায়তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ। দু’দশক আগে এ ঘটনা ঘটেছে। এর কারণ হলো- তখনকার সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলা করা। অর্থাৎ সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নকে মোকাবিলার কৌশল হিসেবে আইএসআই’কে ব্যবহার করে সিআইএ ওই প্রশিক্ষণ দিয়েছে। গতকাল অনলাইন জি-নিউজ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের ৯ম টেলিভিশন শোতে একথা বলেছেন ইমরান খান। এতে তিনি বলেছেন, আল কায়েদা ও ওসামা বিন লাদেন তখন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মূল্যবান সম্পদে পরিণত হয়েছিল। তাদেরকে প্রথমে প্রশিক্ষণ দিয়েছিল পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সিআইএ। কিন্তু ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কে সন্ত্রাসী হামলার পর তারা ১৮০ ডিগ্রিতে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। অর্থাৎ তারা তাদের অবস্থানের পুরোপুরি বিপরীতে চলে যায়। ইমরান খান পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে ‘প্রজা-প্রভু’র সম্পর্ক বলে অভিহিত করেন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানকে তাদের ভাড়া করা অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। পাকিস্তানকে ব্যবহার করে যুক্তরাষ্ট্র তার নিজের শত্রুদের হত্যা করতে চেয়েছিল। তিনি বলেন, নিজেদের সেনাবাহিনীর হাতে ৪০ হাজার পাকিস্তানি নিহত হন। ওই অনুষ্ঠানে গত বছর ২রা মে অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিলের অভিযান সম্পর্কে তিনি বলেন, সেটা ছিল পাকিস্তানের জন্য অপমানজনক পদক্ষেপ। আমাদের গুরুত্বপূর্ণ এই মিত্র আমাদের বিশ্বাস করতে পারেনি। তাই তারা নিজেরাই এসে আমাদের মাটিতে কাউকে হত্যা করলো।

ক্ষমা চাইলেন ভালেরি

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদের ‘ডমেস্টিক পার্টনার’ বা প্রেমিকা ভালেরি ত্রায়েরওয়েইলার ক্ষমা চেয়েছেন। তিনি ওলাঁদের সাবেক স্ত্রী সেগোলিন রয়েলের সম্পর্কে টুইটারে আপত্তিকর মন্তব্য করায় তা নিয়ে যখন উত্তেজনা দেখা দেয় তখনই ভালেরি ক্ষমা চাইলেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, সাবেক স্ত্রী সেগোলিন রয়েলের সঙ্গে ওলাঁদের দাম্পত্য টিকে ছিল ৩০ বছর। এ সময়ে তারা ৪ সন্তানের জনক-জননী হয়েছেন। বর্তমানে সেই সন্তানরা অবস্থান করছে ফ্রান্সের ফার্স্ট দম্পতির সঙ্গে। কিন্তু ভালেরির কার্যকলাপে তার সঙ্গে তারা এখন অবস্থানে অনীহা দেখাচ্ছে। ওদিকে সেগোলিন রয়েলকে এক সময় ওলাঁদে আশা দিয়েছিলেন তিনি জাতীয় পরিষদে নির্বাচিত হলে তাকে স্পিকার করা হবে। কিন্তু তিনি নির্বাচনে হেরে যান। এ নিয়ে ভালেরি তাকে উপহাস করেন। ফলে তা নিয়ে যখন আলোচনা ছড়িয়ে পড়ে তখন ভালেরি সেগোলিনের কাছে ক্ষমা চান। তার এক বান্ধবী বলেছেন, ভালেরি তাকে বলেছে- আমি ভুল করেছি। আমি পরিণতি নিয়ে আগে ভাবিনি।

Tuesday, June 19, 2012

সুপারডুপার এন্ড্রয়েড

আধুনিক জীবনধারার সঙ্গে মোবাইল ফোনের অত্যাধুনিক সংস্করণ ট্যাবলেটের প্রয়োজনীয়তা দিন দিন বাড়ছে। বিশ্বের বাজার মাত করে ট্যাবলেট এখন বাংলাদেশের বাজারে ধুমসে বিক্রি হচ্ছে। এ জন্যই বিশ্ববাজারে ট্যাবলেটের চাহিদা বেড়ে চলেছে। যেসব লোক অ্যাপলের পণ্য স্পর্শ করতে পারেন না, বিশেষত এর আইপ্যাড ধরতে পারেন না তাদের জন্য বাজারে এসেছে বেশ কিছু এন্ড্রয়েড ট্যাবলটে। সর্বশেষ এন্ড্রোয়েডের যে সংস্কারণ বাজারে এসেছে তা এন্ড্রয়েড ৪.০ বা এন্ড্রয়েড আইসিএস নামেই বেশি পরিচিত। এখানে বাজারে খুব বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে এমন ৫টি এন্ড্রয়েডের পরিচয় তুলে ধরা হলো-
আসুস ইই প্যাড ট্রানফরমার প্রাইম
এই এন্ড্রয়েড ট্যাবলেটটির ডিজাইন ও বিশেষত্বের জন্য বাজারে এর কদর বেশি। এর প্রস্থ ১০.৪ ইঞ্চি। পুরুত্ব ০.৩ ইঞ্চি। লম্বা ৭.১ ইঞ্চি। ওজন ১.৩ পাউন্ড। এতে রয়েছে ১২৮০ বাই ৮০০ রেজুলেশনের ১০.১ ইঞ্চি আকারের ডিসপ্লে। এই এন্ড্রয়েডে ব্যবহার করা হয়েছে এনভিআইডিআইএ তেগ্রা-৩ কুয়াড-কোর প্রসেসর। এর ফলে এটি বাজারে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। এতে যে ব্যাটারি দেয়া হয়েছে তা ১২ ঘণ্টা ভিডিও প্লেব্যাক দেয়ার ক্ষমতা রাখে। এই এন্ড্রয়েডটি এখন অস্ট্রেলিয়ার বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ পাওয়া যাচ্ছে। ৩২ জিবির এই এন্ড্রয়েডের দাম ৭৯৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার। কিন্তু ৬৪ জিবির এন্ড্রয়েডের দাম ৮৯৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ২ ৭.০
স্যামসাং থেকে সর্বশেষ যে এন্ড্রয়েড বাজারে ছাড়া হয়েছে তার নাম স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ২ ৭.০। কোরিয়াভিত্তিক এ কোম্পানি তাদের প্রথম স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাবের থেকে আরও উন্নত প্রযুক্তি উপহার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এতে যোগ করা হয়েছে নতুন নতুন মডেল। এতে যে মাত্রা রয়েছে তা হলো ১৯৩.৭ বাই ১২২.৪ বাই ১০.৫ মিলিমিটার। এটির ওজর ৩৪৫ গ্রাম। এতে রয়েছে ১০২৪ বাই ৬০০ পিক্সেল রেজুলেশনের ৭ ইঞ্চির স্ক্রিন। এতে প্রসেসর হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে ডুয়েল কোর টিআই ওএমপি ১ জিএইচ প্রসেসর। তাতে রয়েছে ৮, ১৬ ও ৩২ জিবির মেমোরির সুযোগ। স্যামসাং গ্যালাক্সি ট্যাব ২ ৭.০ ভার্সন যখন যুক্তরাষ্ট্রে বাজারজাত করা হয় তখন এটির বিক্রয়মূল্য ছিল ২৫০ ডলার। বাজারে এটি বেশ জনপ্রিয়।
সনি ট্যাবলেট এস
সনি ট্যাবলেট এস-এর ডিজাইনই তাকে বাজারে প্রচলিত ট্যাবলেটগুলোর মধ্যে বেশি পরিচিত করেছে। এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে এতে বই বা কোন ম্যাগাজিন পড়তে সহজ হয়। এর দৈর্ঘ্য ২৪১.২ মিলিমিটার, প্রস্থ ১৭৪.৩ মিলিমিটার ও পুরুত্ব ২০.৬ মিলিমিটার। ওজন ৫৯৮ গ্রাম। এতে আছে ১২৮০ বাই ৮০০ রেজুলেশনের ৮.৪ ইঞ্চির স্ক্রিন। এতে রয়েছে ১ গিগাহার্টসের প্রসেসর, যার স্পিড নিয়ন্ত্রণ করে ১ জিবির র‌্যাম, ৩২ জিবির অভ্যন্তরীণ স্টোরেজ, এন্ড্রয়েড ৪.০ বা এন্ড্রয়েড আইসিএস। এটি পাওয়া যাচ্ছে অস্ট্রেলিয়ায়। এর দাম ৪৯৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (১৬ জিবি মডেল) ও ৫৯৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার (৩২ জিবি)।
আসুস ট্রান্সফর্মার প্যাড টিএফ৩০০
এই ট্যাবলেটটিতে রয়েছে দৈর্ঘ্য ২৬৩ মিলিমিটার। প্রস্থ ১৮০.৮ মিলিমিটার এবং পুরুত্ব ৯.৯ মিলিমিটার। এর ওজন ৬৩৫ গ্রাম। এতে রয়েছে ১২৮০ বাই ৮০০ রেজুলেশনের ১০.১ ইঞ্চির স্ক্রিন। প্রসেসর হিসেবে এতে ব্যবহার করা হয়েছে ১.২ গিগাহার্টজের কুয়াড-কোর প্রসেসর। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে সর্বশেষ গুগল এন্ড্রয়েড ভার্সন (এন্ড্রয়েড আইসিএস)। এটির কাজ অনেকটা ট্রান্সফরমার প্রাইমের মতো। এর দাম ৪৯৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার থেকে ৫৯৯ অস্ট্রেলিয়ান ডলার।
এসিয়ার আসোনিয়া ট্যাব এ৫১০
এটি বিশ্বের খুব দ্রুত গতিসম্পন্ন। শক্তিশালী। এর ওজন ৬৮০ গ্রাম। এর দৈর্ঘ্য ২৫৯.১ মিলিলিটার, প্রস্থ ১৭৫.৩ মিলিমিটার ও পুরুত্ব ১০.২ মিলিমিটার। এর রয়েছে ১০.১ ইঞ্চির ডিসপ্লে স্ক্রিন। যার রেজুলেশন ১২৮০ বাই ৮০০। এর দাম অস্ট্রেলিয়ায় ৫৪৯ ডলার।

স্বামীকে হত্যা করে পুলিশে মিথ্যা তথ্য

 স্বামীকে হত্যা করে পুলিশে মিথ্যে কথা বললেন তার স্ত্রী ডা. প্রজ্ঞা ভট্টাচার্য। তিনি বললেন, তার স্বামী ডা. তুষার মারা গেছেন বৈদ্যুতিক শক লেগে। কিন্তু ময়নাতদন্তে ধরা পড়ে গেলেন প্রজ্ঞা। দেখা গেল, তিনি তার স্বামীকে হত্যা করেছেন। এ অভিযোগে গত শুক্রবার তাকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক এ খবর দিয়ে জানায়, প্রজ্ঞা ও তুষার দু’জনেরই আয়ুর্বেদিক ডাক্তার। তাদের বসবাস বোরিভলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে তুষার ছিলেন মাদকাসক্ত। ওই রাতে তাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর তুষার দ্বিতীয়বার স্ত্রীর সঙ্গ চান। কিন্তু তাতে প্রজ্ঞা অস্বীকৃতি জানালে তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে তীব্র কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে প্রজ্ঞা তার স্বামী তুষারকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেন। তুষার মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাল সামলাতে না পেরে দেয়ালে গিয়ে সজোরে মাথা ঠুকতে থাকেন। তারপর মেঝেতে অচেতন হয়ে পড়ে যান। এ সময় প্রজ্ঞা একটি তোয়ালে নিয়ে তার নাকমুখ চেপে ধরেন। কিন্তু অচেতন অবস্থায় থাকায় তুষার তাকে সরিয়ে দিতে বা নিজেকে বাঁচাতে কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি। ফলে অনেক সহজেই তিনি মারা যান। এর মধ্য দিয়ে তাদের ২০ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি ঘটে। তাদের রয়েছে ১৮ বছর বয়সী এক মেয়ে। ডা. তুষারের বাড়ি কর্নাটকে এবং প্রজ্ঞার বাড়ি গুজরাটে। ডা. তুষার মারা যাওয়ার পরদিন শুক্রবার সকালে প্রজ্ঞা ফোন করেন পুলিশে। তাদেরকে বলেন, বিদ্যুতে শক লেগে মারা গেছেন তুষার। তার এ বিবৃতির ওপর ভিত্তি করে পুলিশ একটি দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু বিষয়ক রিপোর্ট নিবন্ধিত করে। ওদিকে ডা. তুষারের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় ভগবতী হাসপাতালে। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেয়া হয়। তাতে বলা হয়, তাকে শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে। মারা যাওয়ার আগে তার মাথার হাড় ভেঙে গেছে। এই রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে পুলিশ ওই দিনই ডা. প্রজ্ঞাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে পাঠিয়ে দেয়া হয় বোরিভলি আদালতে। সেখান থেকে ২০শে জুন পর্যন্ত তাকে পুলিশি রিমান্ডে দিয়েছে আদালত। ডা. প্রজ্ঞার বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৯৯, ২০১ এবং ৩০২ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

মিশরে সেনা বাহিনীর নতুন ঘোষণা

ফের মিশরের ক্ষমতা নিজেদের দখলে রাখার ঘোষণা দিল সেনাবাহিনী। এক ঘোষণায় ক্ষমতাসীন সুপ্রিম কাউন্সিল অব আর্মড ফোর্সেস বলেছে, একটি স্থায়ী সংবিধান প্রণয়ন না হওয়া পর্যন্ত নতুন কোন সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারবে না। বিরোধী জোটগুলো এ পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়ে একে সামরিক অভ্যুত্থান বলে উল্লেখ করেছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, ওই ঘোষণা বলে আইন প্রণয়নের ক্ষমতা, বাজেট নিয়ন্ত্রণ ও স্থায়ী সংবিধান রচনার নিয়ন্ত্রণ তাদের অধীনে থাকবে। রোববার সামরিক কাউন্সিল এ ঘোষণা দিলেও গতকাল তারা বলে, সদ্য অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী প্রার্থীর হাতে এ মাসের শেষের দিকে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে। ওইদিকে মিশরের প্রথমবারের মতো অবাধ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দ্বিতীয় দফা ভোটে বিজয় দাবি করেছেন মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রার্থী মোহাম্মদ মোরসি। বেসরকারিভাবে গণনা করা ভোটে দশ লাখের বেশি ভোটে এগিয়ে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর গতকাল সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে মুসলিম ব্রাদারহুড প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তাদের প্রার্থীর বিজয় দাবি করে। সংবাদ সম্মেলনে মুসলিম ব্রাদারহুড দাবি করে, সারা দেশের ১৩ হাজার ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১২ হাজার ৭৯৩টি কেন্দ্রে মোট ১ কোটি ২৭ লাখ ভোট পেয়ে মোরসি এগিয়ে রয়েছেন। অপরদিকে, তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রেসিডেন্ট প্রার্থী আহমেদ শফিক পেয়েছেন ১ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার ভোট। এ ঘোষণায় ব্রাদারহুডের অন্যান্য কর্মী ও সমর্থকরা উল্লাসে ফেটে পড়ে। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর দেয়া তথ্যমতেও নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রয়েছে মুসলিম ব্রাদারহুডের মোরসি। তবে এ পর্যন্ত প্রকাশিত সব ফলাফলই ঘোষণা করা হয়েছে অনানুষ্ঠানিক ভোট গণনার ভিত্তিতে। নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হবে সপ্তাহের শেষে। অনানুষ্ঠানিক ফলাফল প্রকাশের পর প্রেসিডেন্ট পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী মোরসি নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছেন এবং সেনা শাসনের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানে নিহতদের স্মরণ করে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার করেছেন। মিশরের সবাই হবেন আমার পরিবারের সদস্য। মিশরের খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করে মোরসি বলেছেন, আমি কোন প্রতিশোধ নিতে চাই না। বরং আমি সব মিশরীয়র জন্য কাজ করার শপথ করছি। সেই সঙ্গে সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তিনি আধুনিক, সাংবিধানিক ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তার প্রতিপক্ষ আহমেদ শফিকের সমর্থকরা অবশ্য মুসলিম ব্রাদারহুডের ঘোষিত এ ফলাফল মেনে নেবে না বলে জানিয়েছে। তারা চূড়ান্ত ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করবে। সাবেক বিমানবাহিনীর প্রধান এবং হোসনি মুবারকের অধীনস্থ সাবেক প্রধানমন্ত্রী আহমেদ শফিক ব্রাদারহুডের এ বিজয় দাবিকে বিচিত্র আচরণ বলে অভিহিত করেছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডকে তিনি প্রতারক বলে অভিযোগ করেছেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, মুসলিম ব্রাদারহুডের সমর্থকরা ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করতে অর্থ এবং খাদ্য সামগ্রী ঘুষ হিসেবে পাঠিয়েছেন। তারা আহমেদ শফিকের সমর্থকদের ভয়ভীতি এবং হুমকিও দিয়েছেন বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও এক রিপোর্টে জানিয়েছে, প্রাথমিক ভোট গণনায় দেখা গেছে,  মোরসি এগিয়ে আছেন। মুসলিম ব্রাদারহুডের বিজয় দাবির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মোরসির সমর্থকরা ঐতিহাসিক তাহরির স্কোয়ারে জড়ো হয়ে আনন্দ মিছিল করতে থাকে। আল-জাজিরা জানিয়েছে,  সুপ্রিম প্রেসিডেন্সিয়াল ইলেকশন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী আগামী ২১শে জুন এ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার কথা ছিল। কিন্তু অতীত অভিজ্ঞতায় দেখা গেছে, প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রেই মুসলিম ব্রাদারহুড তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়ে নির্বাচন গণনা প্রত্যক্ষ করেছে। তাই তাদের দাবি করা ফলাফল নির্ভুল বলেই ধরে নেয়া যেতে পারে। মিশরের বেসরকারি দৈনিক এল-শোরৌক জানিয়েছে, মোরসি পেয়েছেন ৬৮২০৯৪৪ ভোট এবং আহমেদ শফিক পেয়েছেন ৫৪৯০১৫৮ ভোট। এদিকে রোববার নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সংক্রান্ত নতুন সাংবিধানিক অধ্যাদেশ জারি করেছে মিশরের সুপ্রিম কাউন্সিল অব দ্য আর্মড ফোর্সেস (এসসিএএফ)। নতুন এ অধ্যাদেশ অনুসারে প্রেসিডেন্ট এসসিএএফ’র অনুমতি সাপেক্ষে যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারবে। দেশের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ দমনে সেনাবাহিনীকে আহ্বান করার ক্ষমতাও প্রেসিডেন্টকে দেয়া হয়েছে। তবে খসড়া সংবিধানটির ৫৬ অনুচ্ছেদের প্রথম ধারা অনুসারে নির্বাচনের আগ পর্যন্ত দেশের শাসনভার এসসিএএফ’র হাতেই থাকবে।
উল্লেখ্য, সাবেক শাসক হোসনি মুবারকের পতনের পর পুরনো সংবিধানকে বাতিল ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে নতুন সংবিধান প্রণয়নের চেষ্টা করলেও মিশরের রাজনৈতিক দলগুলো মতৈক্যে পৌঁছতে ব্যর্থ হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে রোববার এসসিএএফ একটি খসড়া সংবিধান প্রকাশ করে। সংবিধান প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করার জন্য পার্লামেন্টে ১শ’ জনের একটি দলকে অনুমোদন দেয়া হবে বলে জানা গেছে। তবে মুসলিম ব্রাদারহুড তাদের এক তাৎক্ষণিক টুইটার বার্তায় এসসিএএফ’র প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা সংক্রান্ত  ঘোষণাকে অসাংবিধানিক এবং অকার্যকর বলে অভিহিত করেছে।

মার্কিন গোয়েন্দা কেলেঙ্কারি প্রকাশ

এতদিন ধরে কঠোর গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষিত মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের নানা কেলেঙ্কারির তথ্য অত্যন্ত নীরবে প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের আওতায় এসব গোপন তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে বলে এপি এক রিপোর্টে জানিয়েছে। ২০০৪ সাল থেকে চলে আসা গোয়েন্দা বিভাগের নানা কেলেঙ্কারির মধ্যে রয়েছে পতিতাদের সঙ্গে গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের ঘনিষ্ঠতা, স্পর্শকাতর তথ্য ফাঁস, পর্নো ছবি প্রকাশ, যৌন হয়রানি, অনৈতিকভাবে ফোনে আড়িপাতা, আগ্নেয়াস্ত্রের যথেচ্ছা ব্যবহার এবং মদ্যপ অবস্থায় অসদাচরণসহ আরও অনেক কিছু। তবে এসব অভিযোগের ঠিক কতটা সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে সেটা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি। গত এপ্রিল মাসে কলম্বিয়াতে মার্কিন গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তাদের পতিতা কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশের পর ইউএস ফ্রিডম অব ইনফরমেশন অ্যাক্টের আওতায় কর্তৃপক্ষ অনেকটা নীরবেই এসোসিয়েটেড প্রেসসহ অন্যান্য সংবাদ সংস্থার কাছে ২২৯ পৃষ্ঠার কঠোরভাবে সংরক্ষিত কেলেঙ্কারির ঘটনা প্রকাশ করেছে। এসব নথিতে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের মহাপরিদর্শকের কাছে দায়ের করা অভিযোগসমূহও তুলে ধরা হয়েছে। গত মাসে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে এমন বেশ কিছু ঘটনাও এতে রয়েছে বলে এপি উল্লেখ করেছে। সরকারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব অভিযোগের অনেকগুলোই প্রশাসনিকভাবে সমাধান করা হয়েছে। অন্য অভিযোগগুলোর ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা পতিতাদের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে পড়ার পর কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যে উদ্বেগ জানানো হয়েছিল এসব তথ্য প্রকাশ তার ফলাফল বলে ধারণা করা হচ্ছে। গোয়েন্দা বিভাগের পরিচালক মার্ক সুলাইভান গত মে মাসে এক শুনানির সময় কলম্বিয়ার ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করে সে জন্য ক্ষমা চেয়েছিলেন। তবে এবারের এ গোপন কেলেঙ্কারির বিষয়গুলো প্রকাশিত হওয়ার পর এ ব্যাপারে গোয়েন্দা বিভাগের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। ২০১১ সালের আগস্টে দায়ের করা একটি যৌন হয়রানির ঘটনাও এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। চরম গোপনীয়তার সঙ্গে রক্ষিত ওই ঘটনায় গোয়েন্দা বিভাগের এক কর্মীর বিরুদ্ধে তারই এক নারী সহকর্মীকে অসৎ উদ্দেশ্যে বিছানায় ফেলে দেয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। ওই নারী সহকর্মী বেশ কয়েকবার আপত্তি করা সত্ত্বেও পুরুষ সহকর্মী তাকে জোর করেছিল। অভিযোগপত্রে অভিযুক্ত কর্মচারীকে একজন সচেতন এবং নির্ভরযোগ্য কর্মচারী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ফেব্রুয়ারিতে অভিযুক্তকে প্রশাসনিভাবে অবনতি দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল।  

Monday, June 18, 2012

সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠাচ্ছে রাশিয়া

সিরিয়ার কাছে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বিক্রি করছে রাশিয়ার এক অস্ত্র ব্যবসায়ী। তিনি হলেন আনাতোলি ইসাইকিন। তিনি বলেছেন, ওই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে বিমান ভূপাতিত করা যাবে অথবা জাহাজ ডুবিয়ে দেয়া যাবে। তার মতে, সিরিয়ায় চলমান সহিংসতায় সেখানে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় হস্তক্ষেপ করতে পারে বলে একটি আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। তার কোম্পানির পাঠানো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ব্যবহার করে ওই হস্তক্ষেপ চেষ্টাকে মোকাবিলা করা হতে পারে। আনাতোলি ইসাইকিন হলেন রাশিয়ার রোসোবোরোন এক্সপোর্টের মহাপরিচালক। তিনি নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব ঘটনা খুলে বলেছেন। তিনি বলেছেন, তার এ তথ্য প্রকাশ করা কোন হুমকি দেয়ার সমতুল্য নয়। এটা একটা সতর্কতা। তিনি বলেছেন, আমি বলতে চাই- এ ম্যাকানিজম সত্যিকার অর্থে একটি ভাল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। আকাশ বা সমুদ্র পথে হামলা হলে তা ঠেকানোর একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা। তবে তিনি এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এখনও পাঠাননি। এখন তা শিপিং করা হচ্ছে। ফলে এ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সিরিয়ার হাত পর্যন্ত যে পৌঁছবে সে বিষয়ে কোন নিশ্চয়তা নেই। কারণ, সিরিয়া ইস্যুতে এরই মধ্যে পশ্চিমা বিশ্ব রাগান্বিত। তারা চাইবে না সিরিয়া এখন এমন কোন অস্ত্র হাতে পাক। তবে ইসাইকিন মনে করেন, সিরিয়ার কাছে এই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা পাঠানোয় আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় প্রচণ্ড চাপে পড়বে, যারা চায় সিরিয়ার ওপর আরও কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করতে। কিন্তু প্রায় এক সপ্তাহ আগে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, রাশিয়া প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের প্রতি সমর্থন হালকা করে ফেলবে। তিনি এখন পতনের মুখে রয়েছেন। তার পাশে আর বেশিদিন থাকবে না রাশিয়া। ওদিকে সিরিয়ায় ক্রমাগত অস্ত্র সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। সামপ্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, পানিতে ও স্থলে চলতে পারে এমন উভচর একটি যান পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল। পাশাপাশি তারা সামরিক স্থাপনার বিষয়েও সিরিয়াকে নিরাপত্তাবিষয়ক কর্মকর্তা পাঠানোর কথা বলে। ওদিকে ক্রমবর্ধমান সহিংসতার কারণে সিরিয়ায় অবস্থানরত জাতিসংঘের পর্যবেক্ষকরা শনিবার তাদের কার্যক্রম বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন। একে জাতিসংঘ-আরব লীগের প্রতিনিধি কফি আনানের প্রস্তাবিত শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ারই ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সিরিয়ায় নিয়োজিত জাতিসংঘের প্রধান পর্যবেক্ষক জেনারেল রবার্ট মুড জানান, অব্যাহত লড়াই গত এপ্রিল থেকে সিরিয়ায় থাকা ইউএন সুপারভিশন মিশন ইন সিরিয়া (ইউএনএসএমআইএন)’র ৩০০ নিরস্ত্র পর্যবেক্ষকদের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

৮৪ বছর বয়সে লিঙ্গ পরিবর্তন!

৮৪ বছর বয়সে এসে একজন চীনা পুরুষ লিঙ্গ পরিবর্তন করে নারী হতে চান। এ জন্য নারীদের পোশাক পরতে শুরু করেছেন কিয়ান জিনক্যান নামের ওই পুরুষ। নিজের স্তনের সাইজ বড় করতে ৪ বছর আগে এক ধরনের হরমোন নেয়া শুরু করেন কিয়ান। তবে চার বছর ধরে গোপনে করলেও এগুলো এখন প্রকাশ্যে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এক সন্তানের জনক। এজন্য নিজের পুরুষ নাম পরিবর্তন করে নারী নাম ইলিং ধারণ করেছেন তিনি। এতে করে ছোটবেলার নিজেকে মেয়ে দেখার স্বপ্ন পূরণ করতে চান তিনি। যা দীর্ঘ ৮০ বছর গোপন রেখেছেন। গতকাল এ খবর দিয়ে টিটিআই জানায়, কিয়ান বলেছেন, বাল্যকাল থেকেই আমি ভাবতাম মেয়ে হওয়াই সবচে’ ভাল। ১৪ বছর বয়স থেকেই মেয়েদের মতো করে হাঁটা ও তাদের পোশাক পরা পছন্দ করতাম আমি। তবে একাকী থাকা অবস্থায়ই আমি প্রকৃত আমাকে অনুভব করতাম জানান কিয়ান থেকে ইলিংয়ে রূপান্তরিত হওয়া বৃদ্ধ। পেশায় ক্যালিওগ্রাফার কিয়ান এতো বছর পিতা-মাতা, স্ত্রী ও সন্তানদের প্রবঞ্চনা দিয়ে আসছিলেন। তারা কখনও একজন নারী হিসেবে তাকে ভাবেননি। যদিও ১৯৮০ সাল থেকেই নারীদের চাপা পোশাক পরে আসছিলেন কিয়ান। তিনি বলেন, বর্তমানের আমিই আসল। যা গত ৮০ বছর ঢাকা পড়েছিল। তিনি নারীদের বিশ্রাম ঘরে যান এবং তার স্ত্রী তার নারী পোশাকেই তার সঙ্গে বেড়াতে যান। ১৯৬০ সালেও একবার নিজেকে নারী বানানোর বড়ি নিয়েছিলেন কিয়ান। তবে সেটা ধরে রাখেননি তিনি। অনেক সময় লিঙ্গ পরিবর্তনের অপারেশন করতে গিয়েও দীর্ঘ প্রক্রিয়া ও জটিলতার কারণে তা এড়িয়ে থেকেছেন বলে জানান চীনের সাউদার্ন গুয়াংডং প্রদেশের বাসিন্দা কিয়ান জিং ফাং।

Sunday, June 17, 2012

নোবেলপ্রাপ্তির সংবাদ আমার হৃদয়ের দরজা খুলে দিয়েছিল

শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার ২০ বছরও পরে নরওয়ের অসলোতে ঐতিহাসিক ভাষণ দিলেন মিয়ানমারের গণতন্ত্রের নেত্রী অং সান সুচি। নোবেলপ্রাপ্তি উপলক্ষে দেয়া গতকালের ভাষণে তিনি বললেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার আমার বাস্তব বোধকে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেছে। রেডিওতে প্রথম যখন শুনতে পাই নোবেল পুরস্কার বিজয়ের কথা তখন আমার কাছে তা অবাস্তব মনে হয়েছিল। তবে তা আমার হৃদয়ের দরজা খুলে দিয়েছিল। গতকাল তিনি অসলোতে ভাষণ দেন। এ সময় তিনি মিয়ানমারের পরিবর্তনে পশ্চিমাদের সমর্থন ও তাদের অবদানের কথা স্মরণ করেন। নানা কারণে তার এই ভাষণ ঐতিহাসিক। ১৯৯১ সালে তিনি শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পাওয়ার পর তাকে দেশ থেকে বের হতে দেয়নি সামরিক জান্তা অথবা রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তিনি দেশের বাইরে বের হননি। এরপর কেটে গেছে প্রায় দু’দশক। এ সময়ের বেশির ভাগ সময় সুচি ছিলেন গৃহবন্দি না হয় বন্দি। এবার মিয়ানমারে রাজনৈতিক সংস্কারের ফলে তিনি দীর্ঘ সময় পর দেশের বাইরে সফর করছেন। নরওয়েকে বলা হয়, বিশ্বের বাঘা বাঘা কূটনীতিকদের স্থান। সেই অসলোতে তিনি পৌঁছে গেছেন শুক্রবার। তার মুখ দিয়ে কি বাণী বের হয় তা শোনার জন্য বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ উৎসুক ছিলেন। শুক্রবার তিনি সুইজারল্যান্ড থেকে নরওয়ে পৌঁছার পর জাতীয় রাজনৈতিক নেতা, আর্টিস্টরা তাকে উষ্ণ অভিনন্দন জানান। নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জেন্স স্টোলটেনবার্গ এরপর সুচিকে তার সরকারি বাসভবনে আমন্ত্রণ জানান। এরপর শুক্রবারই তারা রাষ্ট্রীয় ভাবধারার নৈশভোজে যোগ দেন। গতকাল সুচি তার নোবেল ভাষণে গৃহবন্দি থাকার দিনগুলো সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন। বলেন, যখন আমি গৃহবন্দি ছিলাম আমার কাছে মনে হতো আমি এই বাস্তব দুনিয়ার আর কোন অংশ নই। তাই নোবেল পুরস্কার বিজয়ী হয়ে আর একবার বাস্তবতা অনুধাবন করলাম। এটা আমাকে আরও পিছনে মানুষের সমাজে নিয়ে গেছে। আমরা মিয়ানমারে যখন গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের জন্য লড়াই করছিলাম তখন আমাদেরকে কেউ ভুলে যান নি। বিশ্ব সমপ্রদায় দীর্ঘদিন নিঃসঙ্গ হয়ে থাকা মিয়ানমারের বিষয়ে যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তাকে তিনি স্বাগত জানান। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক সমপ্রদায় দৃঢ়তার সঙ্গে চেষ্টা করেছে। তারা আমার দেশকে সঠিক পথে সাড়া দিতে বাধ্য করেছে। মিয়ানমারের রাজনৈতিক সংস্কারের জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে সামনে এগিয়ে নিতে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করতে হবে। এ জন্য আমি মিয়ানমারের জন্য সহায়তা ও বিনিয়োগ আহ্বান জানাবো। ওদিকে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী স্টলটেনবার্গ প্রশংসা করেন সুচির। তিনি বলেন, আপনি আপনার দেশের গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন। আপনি আমাদের সবার কাছে অনুপ্রেরণার উৎস। মিয়ানমারে যে অগ্রগতি হয়েছে তা উল্লেখ করার মতো।

এইচআইভি থেকে মুক্তি!

এইচআইভি বা এইডস এখনও বিশ্বের কাছে মরণব্যাধি হিসেবে পরিচিত। এখনও বিশ্বের শীর্ষ বিজ্ঞানীরা এ ভাইরাস বা রোগের প্রতিষেধক বা প্রতিরোধের উপায় নিয়ে নিরন্তর কাজ করছেন। কিন্তু কারও এইচআইভি বা এইডস সেরেছে বা কোন রোগী সুস্থ হয়েছেন এমন খবর সম্ভবত শোনা যায়নি। তবে টিমোথি রে ব্রাউন আস্তে আস্তে ভাল হয়ে উঠছেন। তিনি স্বাভাবিক কাজকর্মে ফিরে এসেছেন। এ নিয়ে চারদিকে কৌতূহলের অন্ত নেই। টিমোথির বাড়ি জার্মানির বার্লিনে। তিনি বার্লিন প্যাসেন্ট বা বার্লিনের রোগী হিসেবে এরই মধ্যে পরিচিতি পেয়েছেন। তিনি যে সুস্থ হয়ে উঠছেন- এ ঘটনা বিশ্বের ইতিহাসে প্রথম। এর আগে কোনদিন এমনটা শোনা যায়নি। টিমোথির বয়স এখন ৪৫ বছর। লিউকেমিয়া চিকিৎসায় ২০০৭ ও ২০০৮ সালে বার্লিনে দু’বার তার অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপন করা হয়। তবে অস্থিমজ্জার সঙ্গে এইচআইভি’র সংক্রমণের কোন সম্পর্ক আছে বলে মনে করা হতো না। তার দেহে ওই প্রতিস্থাপনের সময় যে রক্তকোষ দেয়া হয়েছিল তা এসেছিল এক দাতার কাছ থেকে। ওই রক্তকোষই তার দেহে এইচআইভির বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে। এতে বলা হয়েছে, ওই যে অস্থিমজ্জার প্রতিস্থাপন করা হয়েছে এতে ব্যবহৃত প্রক্রিয়া এইচআইভি সংক্রমণকে দূরে হটিয়ে দিয়েছে। কিছুদিন পর তার পরীক্ষা করে দেখা গেছে, তার দেহে এইচআইভি অদৃশ্য হয়ে গেছে। ফলে তিনি আর এইচআইভির জন্য ওষুধও সেবন করছেন না। কিন্তু গত সপ্তাহে স্পেন থেকে উত্থাপিত এক ডাটায় প্রশ্ন তোলা হয়েছে, কোন কোন টিস্যুতে এইচআইভির উপস্থিতি রয়ে গেছে কিনা তা নিয়ে। এসব গবেষণার জন্য টিমোথির রক্ত, দেহের বর্ণহীন রসবিশেষ, মেরুদণ্ডের তরল এবং অন্ত্র থেকে সংগৃহীত প্রায় ৯০০ কোটি কোষ নিয়ে বিশ্লেষণ করেন। এসব উপকরণ নিয়ে চারটি ল্যাবরেটরিতে গবেষণা হয়। কিন্তু কোথাও টিমোথি ব্রাউনের রক্তকোষে এইচআইভি’র উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। কিন্তু রক্তরস থেকে দুটি এবং অন্ত্রকোষ থেকে সংগৃহীত একটি নমুনা নিয়ে গবেষণা করে গবেষকরা বলছেন, তার দেহে এইচআইভির জিন রয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটা একটি ভুল পরীক্ষা হতে পারে। যে ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানেই আগে থেকে সংক্রমণ থেকে যেতে পারে। পরের পরীক্ষায় যে এইচআইভির উপস্থিতির কথা বলা হচ্ছে তা টিমোথির অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের আগের এইচআইভির অরিজিনের সঙ্গে মেলে না। ফলে যে ল্যাবে পরীক্ষা করা হয়েছে সেখানেই ভিন্ন কোন ব্যক্তি থেকে সংক্রমণ থাকতে পারে। নিউ ইংল্যান্ড জার্নাল অব মেডিসিনে গবেষকরা লিখেছেন, কোন কোন ল্যাবরেটরিতে যে গবেষণা করা হয়েছে এবং বলা হচ্ছে এইচআইভি থাকার কথা তা অসম্ভাব্য বিষয়। টিমোথির দেহে আর এইচআইভি ভাইরাস নেই এমনটা দেখতে পান সান দিয়েগোতে অবস্থিত ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ড. ডগলাস রিচম্যান। তিনিও বলেন, যে ল্যাবরেটরির পরীক্ষায় টিমোথির দেহে এইচআইভি ভাইরাস থাকার কথা বলা হচ্ছে, সেই ল্যাবরেটরিতেই সংক্রমণ ছিল। তবে সান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার যেসব বিজ্ঞানী টিমোথির ওপর ঘনিষ্ঠ নজর রেখেছেন তারা প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করতে রাজি নন।

Wednesday, June 13, 2012

বিশ্বের সবচেয়ে খাটো বডিবিল্ডার

হাতের পেশীর গঠনে, শরীর থেকে প্রচুর ঘাম ঝরানো ব্যায়াম করার ক্ষেত্রে আর দশজন বডিবিল্ডারের মতোই রোমিও দেব (২৩)। তবে অফিসিয়াল রেকর্ডে পৃথিবীর আর সব বডিবিল্ডারের চেয়ে আলাদা রোমিও। মাত্র ৮৪ সেন্টিমিটার উচ্চতার রোমিও’র ওজন ১০ কেজি। দেখতে এক বছর বয়সী বাচ্চার মতো দেখায় তাকে। নিজের ওজন ও উচ্চতা কম হওয়াকে খারাপ না ভেবে সুবিধাই মনে করেন রোমিও। ভারোত্তলনের জন্য অন্য রকম রেকর্ডের অধিকারী রোমিও বলেন, আমার বয়সের অন্য সবার মতোই আমি। অনেক ক্ষেত্রে আমার জন্য বাধা থাকলেও প্রকৃত সত্য হলো আমি একজন ফাইটার। আমি অন্য সবার মতোই সাধারণ জীবনযাপন করতে চাই। বডিবিল্ডার ছাড়াও আরেকটি গুণ রয়েছে রোমিও’র। খুব ভাল নাচতে পারেন তিনি। পাঞ্জাবি নাচের তালে তালে নেচে স্থানীয় শহরে প্রচুর সুনাম কুড়িয়েছেন তিনি। বর্তমানে বিশ্ব ভ্রমণে থাকা বডিবিল্ডারকে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন থিয়েটার টিভি শো’তে। তবে আজকের অবস্থানে আসার জন্য অনেক কষ্ট করতে হয়েছে রোমিও দেবকে। বাঁচবেন কিনা এ নিয়ে অনেক শঙ্কায় ছিলেন তার বাবা-মা। ঠিক সময়ের একমাস আগেই অপরিপক্বভাবে জন্ম নেন তিনি। তখন তার ওজন ছিল মাত্র ৮শ’ গ্রাম। উচ্চতা ছিল ১৫ সেন্টিমিটার। ভারতের পাঞ্জাবে জন্ম নেয়া রোমিও’র বাবা অনিল বলেন, আমরা অনেক ভীত ও হতাশ ছিলাম তার বিষয়ে। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেন। কিন্তু কিছুদিন পরে দেখা যায় তিনি বাড়ছেন না। পরে দেখা যায়, গর্ভে থাকা অবস্থায় তার মাকে মশা কামড়ালে ভাইরাসে আক্রান্ত হন রোমিও। যার কারণে তার গ্রোথ হরমোন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর থেকে বাসায় কেবল টিভি দেখে কাটছিল তার সময়। ৬ বছর বয়সে স্কুলে ভর্তি করা হলেও পড়ালেখা ভাল লাগতো না তার। জীবনে কোন পরীক্ষায়ই পাস করতে পারেননি তিনি। পরে একসময় রোমিও’র বাবার এক বন্ধু তাদের বাসায় এসে তাকে নাচতে দেখে নিজের নাচের ক্লাবে যোগ দিতে বলেন। রাজি হয়ে যান রোমিও। কারণ এটা তার খুব ভাল লাগতো। পরে নাচের পারফরমেন্সের মধ্য দিয়ে স্থানীয় এলাকায় ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। এরপর নাচের ফিটনেস ঠিক রাখার জন্য জিমে যাওয়া শুরু করেন রোমিও। দুই মাস জিমের মালিকের সহায়তায় প্রচুর কষ্ট করে বডিবিল্ডিং শুরু করেন তিনি। এই অল্প সময়ের মধ্যেই তার শরীর সুন্দর আকার ধারণ করে। পেশি গঠিত হয় এবং বাহু থাই ইত্যাদি স্ট্রং হয়ে ওঠে। রোমিও বলেন, আমি জিমে যাওয়া পছন্দ করি। আমি অনেক শক্তি অনুভব করছি। এটা ভাল লাগে আমার। জিম করে এক কিলো ওজন বাড়ায় রোমিও। তার একাগ্রতা দেখে এই অর্জনের স্বীকৃতির জন্য তার পরিবার বডিবিল্ডিং-এর বিষয়টি ভারতের লিমা বুক অব রেকর্ডে জানায়। সেখান থেকে ব্যাপক প্রচার পান তিনি। এবং ২০০৬ সালে গিনেস রেকর্ডের জন্য আবেদন করেন তিনি। তিনি বৃটেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফিনল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়াসহ অনেক দেশে ভ্রমণ করেন। সেখানকার টিভি চ্যানেলগুলোকে সাক্ষাৎকার দেন। তাকে নিয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১২টি ফিল্ম তৈরি হয়েছে বলে জানান তার বাবা অনিল।    

নারীদের জন্য নিষিদ্ধ

 খোলা স্থানে বিশাল স্ক্রিনে ইউরোকাপ দেখা নারীদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে ইরানে। এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ওইসব স্থানে বেশি জনসমাবেশ হবে। সেখানে অস্বস্তিকর পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে নারীদের প্রকাশ্য স্থানে বিশাল স্ক্রিনে ইউরোকাপের সরাসরি সমপ্রচার দেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ইরান। সামাজিক বিষয়ক ইরানের উপ-পুলিশ কমান্ডার ইনচার্জ বাহমান কারগার বলেছেন, যখন নারী ও পুরুষে মিলে কোন থিয়েটারে সরাসরি ফুটবল খেলা দেখে সেখানে অনুপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। খেলা চলার সময় অনেক পুরুষ আনন্দে চিৎকার করে ওঠে। কেউ কেউ আপত্তিকর মন্তব্য করেন। কেউ বা নোংরা কৌতুক করেন। এটা কোন নারীর সম্মানের প্রতি হুমকি। এক্ষেত্রে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে সেজন্য পুলিশকে নারীদের ধন্যবাদ দেয়া উচিত। ইরানে এমনিতেই নারীদের অধিকার সীমিত। তারা শুধু নারীদের জন্য নির্ধারিত সুইমিংপুল, সমুদ্র সৈকতে যেতে পারেন। তারা পাবলিক বাসের পিছনের সারিতে বসে যাতায়াত করতে পারেন। নারীরা শুধু নারীদের জন্য নির্ধারিত ট্যাক্সিক্যাব ও গাড়িতে সফর করতে পারেন।

সমর্থক নিলামে

নিলামে প্রসিদ্ধ কোন চিত্রকর্ম, বিখ্যাত ব্যক্তিদের ব্যবহৃত জিনিসপত্র বিক্রির কথা শোনা গেছে এতকাল। কিন্তু এবার ইউরোকাপে নিলামে বিক্রি হয়েছে মানুষ, অর্থাৎ ফুটবল ভক্ত। এজন্য ই-বে’তে তারা বিক্রি হওয়ার জন্য বিজ্ঞাপনও দিয়েছিল। এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বেলজিয়ামের একদল ফুটবল ভক্ত। তাদের দেশ এবার ইউরোকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। তবে তাদের প্রতিবেশী দেশ নেদারল্যান্ডস কোয়ালিফাই করে খেলছে। তাই তারা ওই বিজ্ঞাপন দিয়েছে যে, তারা কোন দলের পক্ষে ফ্যান হিসেবে বিক্রি হতে চান। এজন্য তারা ফেসবুকেও বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তাতে লিখেছে- ‘বেলজিয়ান সকার ফ্যানস ফর সেল ফর ইউরো-২০১২’। এ খবর দিয়েছে ব্যাংকক পোস্ট। বিজ্ঞাপন দিয়ে তারা বলেছে, তারা বিক্রি হলে সেই অর্থ দিয়ে দেবে ইউনিসেফে। ফেসবুকে ‘বেলজিয়ান সকার ফ্যানস ফর সেল ফর ইউরো ২০১২’ পেজের সদস্য সংখ্যা ২০ হাজারের বেশি। এতে তারা বলেছে, তাদের দেশ এবারের খেলায় নেই। কিন্তু তারা মাঠের মজা পেতে চায়। মনপ্রাণ উজাড় করে চিৎকার করতে চায়। তারা লিখেছে, ২০১২ ইউরোকাপে বেলজিয়ামের কোন দল নেই। কিন্তু এ টুর্নামেন্ট অনেক মজার। এক্ষেত্রে আমাদের কোন দল নেই। কোন দলের সমর্থক হলে খেলা উপভোগ্য হয়ে ওঠে। তাই আমরা নিলামে বিক্রি হতে চাই। কোন দেশের সমর্থক হতে চাই। এক্ষেত্রে যারা সবচেয়ে বেশি দাম হাঁকবে তাদের কাছেই আমরা বিক্রি হয়ে যাবো। এ থেকে যে লাভ আসবে তার সবটাই চলে যাবে ইউনিসেফে। এ ঘটনার পর এক ডাচ ব্যক্তি তাদেরকে কিনতে উদ্যোগ নিয়েছেন। এর ফলে ইউনিসেফের ফান্ডে ৩ হাজার ইউরো জমা হতে পারে বলে জানিয়েছে বেলজিয়ানের দৈনিক ভারস লভেনির। তবে ‘বেলজিয়ান সকার ফ্যানস ফর সেল ফর ইউরো-২০১২’ বলেছে, তাদেরকে যে দল কিনে নিয়েছে তারা যদি টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়ে যায় তাহলে তারা ২৪ ঘণ্টার জন্য শোক প্রকাশ করবে। এরপরই ফের ই-বে’তে নিলামের ডাক দেবে।

ফুটবল ভক্তদের নিয়ে বিপত্তি

 ইউরো কাপে ফ্যান বা ভক্তদের নিয়ে বেশ চাপে রয়েছে প্রশাসন। কারণ, ভক্তদের অনেকে এরই মধ্যে সামপ্রদায়িক কর্মকাণ্ড ঘটিয়ে ফেলেছেন। কোন কোন দলের ভুয়া ভক্ত সেজে মাঠে উপস্থিতির সংখ্যাও বেড়ে গেছে। তারাই নানা অঘটন ঘটিয়ে যাচ্ছে। এ জন্য পুলিশ রয়েছে সতর্ক অবস্থায়। ইউরো-২০১২ উপলক্ষে ইংল্যান্ড দলের ভক্ত সেজে অনেক মানুষ খেলার মাঠে প্রবেশ করছে। এ জন্য ইংল্যান্ডের ভক্তদের সঙ্গে বৃটিশ পুলিশের একটি স্কোয়াড রয়েছে। তাদের প্রধান অ্যাসিস্ট্যান্ট চিফ কনস্টেবল অ্যান্ডি হল্ট বলেছেন, ভুয়া ইংলিশ ফ্যানরা ইংল্যান্ডের জার্সি পরে স্যাবোটাজ ঘটাতে পারে। এ নিয়ে তাদের উদ্বেগ বেশি। কারণ, এমনটা হলে নিরপরাধ সমর্থকরা হয়রানির শিকার হতে পারে। এমনিতেই ইংলিশ ফুটবলের ভক্ত বেশি। ইংল্যান্ডে ক্লাবগুলোর খেলার কারণে এই জনপ্রিয়তা। তাই তাদের ভক্ত রয়েছে রাশিয়া, ইউক্রেনসহ প্রতিবেশী অনেক দেশে। আগামী প্রায় দু’সপ্তাহ চলবে ইউরো কাপ। এ উপলক্ষে ওইসব ভক্ত সমাবেশ ঘটাবে খেলার মাঠে। অ্যান্ডি হল্ট বলেছেন, খেলার মাঠে আমরা ইংল্যান্ডের টি-শার্ট পরা অনেক রাশানকে দেখতে পেয়েছি। তারা যদি সত্যিকার অর্থে ইংল্যান্ডকে সমর্থন করে তাহলে খুবই ভাল কথা। কিন্তু ইংল্যান্ডের টি-শার্ট পরে তারা যদি কোন অঘটন ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে আমি আমার অফিসারদের নির্দেশ দেবো তাদের কাছে যেতে। তাদের কাছে কারণ জানতে বলবো। জানতে চেষ্টা করবো তারা কোন দেশের নাগরিক। অ্যান্ডি হল্ট বলেছেন, এখনকার দিনে ইংল্যান্ডের ভক্তদের নিয়ে খুব কম সমস্যা হয়। তিনি বলেন, আমরা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি যে, ইংল্যান্ডের ভক্তরা পুরোপুরি পুলিশি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। যদি ইংল্যান্ডের কোন ভক্ত কোন বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করে তাহলে সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেবো। কিন্তু অন্য দেশের কোন ব্যক্তি যদি ভুয়া সাপোর্টার সেজে বিশৃঙ্খলা ঘটানোর চেষ্টা করে তাহলে তো নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন। এবার ইউরো কাপে ইংল্যান্ডের প্রায় ৫ হাজার ভক্ত উপস্থিত থাকতে পারে। 

ইউরো কাপে এক ইউলিয়ার মিশন

২০ বসন্তের যুবতী ইউলিয়া। স্বপ্ন তার এবারের ইউরো কাপের সময় পুরুষ খদ্দেরের মনোরঞ্জন করে অর্থ উপার্জন করা। সবেমাত্র জমে উঠেছে ইউরো কাপ। এতে এখনও তিনি সুবিধা করে উঠতে পারেননি। তবে আশাহত নন ইউলিয়া। ফুটবল পাগল কয়েক লাখ পুরুষ তার দেশে। তাদেরকে লক্ষ্য করে ইউক্রেনের অনেক নারী বের হয়ে পড়েছেন খদ্দের ধরার মিশনে। এমনিতেই ইউক্রেন পতিতাবৃত্তির উর্বর দেশ। সেখানে ব্যাপক সংখ্যক নারী রাস্তা, বার ও হোটেল চষে বেড়াচ্ছেন। সেদেশের চারটি শহরে হচ্ছে ইউরো কাপের আয়োজন। তাই তাদের যেন আর বাধা নেই। অবাধে তারা মিশনে নেমে পড়েছেন। কিন্তু সমস্যা তাদের সঙ্গ ভোগ করা। অর্থের বিনিময়ে হলেও জীবনের ঝুঁকি মারাত্মক। কারণ, এইডস সৃষ্টিকারী ভাইরাস এইচআইভিতে আক্রান্ত হওয়ার ভয়। ইউক্রেনের পূর্ণ বয়স্ক মানুষের শতকরা ১ দশমিক ১ ভাগ মানুষ এবং প্রতি ১০ জন দেহব্যবসায় নিয়োজিত নারীর মধ্যে একজন এইচআইভি’তে আক্রান্ত। এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন। তারা বলেছেন, ওইসব পতিতার সঙ্গ ভোগ করার সময় নিরাপদ ব্যবস্থা অবলম্বন করতে হবে। এমন সব খবরে এখন ইন্টারনেট সয়লাব। এতে বলা হয়েছে, ইউলিয়া চাইছেন এই জমজমাট আসরকে কেন্দ্র করে আগামী বছরের কলেজের খরচ জমা করতে। তার দেশ এবার ইউরো কাপের স্বাগতিক দেশ। সে দেশের চারটি শহরে বসছে ইউরো আসর। তাই এখনি আশাহত নন ইউলিয়া। তার দেশে যে হাজার হাজার লাখ লাখ ফুটবলপ্রেমী জমায়েত হচ্ছেন তাদের পকেটের অর্থ খসাতে ইউলিয়া উগ্র সাজ দিয়ে বেরিয়ে পড়ছেন। রাস্তায়। হোটেলে। কোন বারে। কোন না কোন জায়গা থেকে পেয়ে যাবেন ডাক। একবার ডাক পেলেই কেল্লাফতে। পাউন্ডে পাবেন বিনিময়। এ সময় যাতে খদ্দেরদের মাঝে এইচআইভি সংক্রমণ না ঘটে তাই ইউক্রেনের ইন্টারন্যাশনাল এইচআইভি/এইডস এলায়েন্স প্রায় ১০ লাখ কনডম সরবরাহ দিয়েছে। ওই সংস্থার মুখপাত্র কোস্তিয়ানতিন পারটসোভস্কি বলেছেন, কোন খদ্দের যদি তা ব্যবহার না করেন তাহলে তার এইচআইভিতে সংক্রমিত হওয়ার সমূহ আশঙ্কা আছে। ওদিকে ইউক্রেনের নারী অধিকার বিষয়ক গ্রুপ লা স্ট্রাডা কম বয়সী পতিতার সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলছে, এক্ষেত্রে এতিম ও অসহায় টিনেজদের এ ব্যবসায় নামানো হচ্ছে। তাদেরকে বাধ্য করা হচ্ছে একাজে। উপায়হীন হয়ে তারাও তাতে রাজি হয়ে যাচ্ছে। ইউলিয়া তার পুরো নাম প্রকাশ করতে চান না। কারণ তাহলে তাকে আইনের আওতায় পড়তে হতে পারে। তার বিচার হতে পারে। তবে তিনি বলেছেন, তিনি খদ্দেরের মনোরঞ্জনে এরই মধ্যে কিছু ইংরেজি শিখেছেন। তার পোশাকের মধ্যে রয়েছে উগ্র ধরনের পোশাক ও পায়ে হাইহিল। শিখেও নিয়েছেন ইউরোপীয় আচার-আচরণ। তার লক্ষ্য প্রতি ঘণ্টায় ৭৫ ইউরো থেকে ১১৫ ইউরো। এই হারে যদি তিনি অর্থ আদায় করতে পারেন তাহলে আগামী বছর তিনি গান শিখবেন এবং একজন পূর্ণাঙ্গ শিল্পী হয়ে উঠবেন। ইউলিয়ার বাড়ি দক্ষিণ ইউক্রেনে। সেখান থেকে তিনি এই লক্ষ্যকে সামনে নিয়ে রাজধানী কিয়েভে গিয়েছেন। তিনি ভীষণ দরিদ্র। এই দারিদ্র্য থেকে তিনি মুক্তি চান। দারিদ্র্যের জন্য তার তেমন পড়াশোনা করা হয়নি। কোন চাকরি পাননি। তারপরও তার পরিবারকে অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে হয়। এ জন্য মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি বেছে নিয়েছেন পতিতাবৃত্তি। এখন তিনি বিভিন্ন হোটেল, এপার্টমেন্ট ও গাড়িতে দিনে ২ থেকে ৩ জন খদ্দেরের মনোরঞ্জন করেন। তাতে মাসে ১০০০ ইউরোর মতো উপার্জন হয়। ইউলিয়া বলেন, এ কাজ করে শারীরিক, মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়। প্রতিজন খদ্দেরের থাকে বিশেষ কিছু উদ্দেশ্য। তাদের সবাইকে সন্তুষ্ট করতে হয়। তিনি বলেন, এ পেশায় প্রতি পদে পদে বিপদ আছে। এ পেশায় যারা আছে তাদের সবাই আতঙ্কে। কারণ, সে বা তারা জানে না একজন খদ্দেরের মনোরঞ্জনের সময় কি সব বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে। এক্ষেত্রে যে কোন রকম বিপদ হতে পারে। ইউক্রেনে কমবয়সী কোন মেয়ে এ পেশায় নামলে তাকে অপরাধের চোখে দেখা হয়। তাকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমর্থন দেয়া হয় না। ইউক্রেনে যৌন বাণিজ্যের বিস্তার নিয়ে রাষ্ট্রীয় কর্তারা মানতে নারাজ। তারা বলেন, ফুটবলপ্রেমীরা খেলা নিয়ে মেতে থাকবেন। তারা রাস্তার এসব যৌন বাণিজ্যের দিকে নজর দেয়ার সময় পাবেন কোথায়। এমনই বক্তব্য ইউক্রেনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা ওলেহ মাতভেইটসোভের। তবে এবার ইউক্রেনে ইউরোকাপ আয়োজনের বিরুদ্ধে নারীবাদী সংগঠন ফেমেন তীব্র প্রতিবাদ করেছে রাজপথে। এ সংগঠনের নারীরা রাস্তায় টপলেস হয়ে বিক্ষোভ করেছেন। তারা বলেছেন, এ আয়োজন ইউক্রেনে হলে সেখানে যৌন বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে।

Friday, June 8, 2012

ধৈর্যসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে

পাকিস্তানের বিরুদ্ধে এবার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী লিওন প্যানেটা। তিনি বললেন, পাকিস্তান তালেবান জঙ্গিদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এ বিষয়ে ওয়াশিংটন তার ধৈর্য হারিয়ে ফেলছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
এতে বলা হয়, তিনি গতকাল অকস্মাৎ কাবুল সফরে যান। সেখানে তিনি বলেন, হাক্কানি নেটওয়ার্কের জঙ্গিরা আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা চালাচ্ছে। ইসলামাবাদকে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দক্ষিণ আফগানিস্তানের ভয়াবহ হামলার একদিন পরই গতকাল তিনি আফগানিস্তান সফরে যান। সেখানে সমপ্রতি যেসব হামলা হয়েছে তা নিয়ে তার আলোচনার কথা রয়েছে। তবে কোন জঙ্গিকে আশ্রয় দেয়ার অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করছে পাকিস্তান। আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে লিওন প্যানেটা আলোচনার পর ইঙ্গিত করেন গত কয়েক বছরে আফগানিস্তানে যত হামলা হয়েছে তার বেশির ভাগের জন্য দায়ী হাক্কানি নেটওয়ার্ক। তিনি বলেন, ওই নেটওয়ার্ক পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় উপজাতি এলাকাকে তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছে। তালেবানরা সমপ্রতি ন্যাটো সেনাদের বিরুদ্ধে হামলা জোরালো করেছে। এ নিয়ে সামরিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করতে গতকাল কাবুল যান প্যানেটা। এর আগের দিন বুধবার আত্মঘাতী হামলাকরীরা কান্দাহারে ন্যাটোর একটি ঘাঁটির কাছে হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ২০ জনকে হত্যা করে। আফগান কর্মকর্তারা বলেন, অন্যদিকে ন্যাটোর বিমান হামলায় লোগার প্রদেশে নিহত হয়েছে কমপক্ষে ১৮ বেসামরিক ব্যক্তি। প্যানেটা বলেন, পাকিস্তানকে যতদিন সন্ত্রাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে ব্যবহার করবে ততদিন আফগানিস্তানে শান্তি অর্জন করা কঠিন। এ বিষয়ে পাকিস্তানের পদক্ষেপ নেয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সন্ত্রাসীদের অভয়াশ্রমের বিষয়ে উদ্বেগ বাড়ছে। আমাদের ধৈর্যসীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে। এবারই প্রথম নয়, অনেক বছর ধরে পাকিস্তানকে তার সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো বিশেষ করে হাক্কানি নেটওয়ার্কের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আহ্বান জানাচ্ছে ওয়াশিংটন। ওদিকে গত মে মাসে পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে আল কায়েদার নেতা ওসামা বিন লাদেনকে যুক্তরাষ্ট্রের নেভি সিলের সদস্যা এককভাবে হত্যা করার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন চলছে। এছাড়া পাকিস্তানের সীমান্তের ভিতরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা নিয়েও উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত ২৪শে নভেম্বর ন্যাটোর বিমান হামলায় পাকিস্তানের ২৪ সেনা সদস্য নিহত হয়। এর পর থেকে আফগানিস্তানে ন্যাটো সেনাদের জন্য রসদ সরবরাহ লাইন বন্ধ করে দেয়। এসব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাকিস্তানের টানাপড়েন চলে। সর্বশেষ সমপ্রতি যুক্তরাষ্ট্রে ৮ জাতির জি-৮ সম্মেলনে যোগ দিতে যান পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার সঙ্গে দেখা করতে চাইলেও ওবামা তাতে সাড়া দেননি। তবে বিশ্লেষকরা বলেন, আগামী ২০১৪ সালের শেষের দিকে আফগানিস্তান ছাড়তে চায় ন্যাটো সেনারা। কিন্তু আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তানের সহযোগিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গত সেপ্টেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় নেয়া জয়েন্ট চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান এডমিরাল মাইক মুলেন বলেন, পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইএর বিশ্বস্ত হাত হিসেবে কাজ করছে হাক্কানি নেটওয়ার্ক। তার পরের মাসেই পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, পাকিস্তানকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর পথে নামানোর পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্রের উচিত আফগানিস্তানের স্থিতিশীলতার দিকে নজর দেয়া।

মসজিদে গোয়েন্দাগিরি বন্ধে নিউ ইয়র্ক পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

মসজিদ ও মুসলিম কমিউনিটির ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গোয়েন্দাগিরি বন্ধে নিউ ইয়র্ক সিটির পুলিশ বিভাগের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে আটজন মুসলিমের একটি দল।  এতে ৯/১১ পরবর্তী শুরু হওয়া পুলিশের অতিরিক্ত নজরদারি ও গোয়েন্দাগিরি বন্ধের জন্য আবেদন জানানো হয়। গতকাল এ খবর দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানায়, নিউ জার্সির ফেডারেল কোর্টে দায়ের করা এই মামলা নিউ ইয়র্ক পুলিশের গোয়েন্দাগিরির বিরুদ্ধে প্রথম কোন বড় ধরনের আইনি চ্যালেঞ্জ। মামলার আরজিতে বাদীগণ উল্লেখ করেন, বছরের পর বছর ধরে মসজিদ ও মুসলিম সমপ্রদায়ের বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে  অতিরিক্ত নজরদারির ফলে অসংখ্য মার্কিন-মুসলিমের সম্মানহানি ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছে। একই সঙ্গে প্রকৃতিগতভাবেই এটা একটা বৈষম্যে পরিণত হয়েছে। এডভোকেসি গ্রুপ মুসলিম এডভোকেটস কর্তৃক দায়ের করা মামলাটিতে ‘ডিক্লারেটরি জাজমেন্ট’ চাওয়া হয়েছে। যাতে বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে মুসলিমদের উপর নজরদারিকে অসাংবিধানিক ও ভবিষ্যতে এমন নজরদারি বন্ধের জন্য পুলিশকে আদেশ দেয়ার আবেদন জানানো হয়। একই সঙ্গে নিউ ইয়র্ক পুলিশের করা গোয়েন্দাগিরির রেকর্ড বইগুলো নষ্ট করে ফেলার দাবি জানানো হয় মামলার আরজিতে। মুসলিম এডভোকেটস-এর একজন পরিচালক ফারহানা খেরা বলেন, আমেরিকাকে মহান করেছে যে বিষয়টি তা হলো- আইনের চোখে সবাইকে সমান বিবেচনা করা। অথচ মামলার বাদীগণ ধর্মীয় বিশ্বাসের কারণে পুলিশের হয়রানির শিকার হচ্ছেন। এই মামলা সম্ভবত মুসলিমদের নেয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ। এ থেকে একটি ঐতিহাসিক আন্দোলনের সূচনা হতে যাচ্ছে বলে জানান খেরা। মামলার বাদীরা সবাই নিউ জার্সির বাসিন্দা। যাদের মধ্যে ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ভিয়েতনাম যুদ্ধে অংশ নেয়া সেনা ও ইমাম রয়েছেন। মুসলিম এডভোকেটসের লিগ্যাল ডিরেক্টর গ্লেন কেটন বলেন, যখন নিউ ইয়র্ক পুলিশ বলে সব মুসলিম সন্দেহের তালিকায় রয়েছে, তখন আমরা বুঝতে পারি সরকারের ধর্ম অবমাননার বিষয়টি। নিউ ইয়র্কে মুসলিমদের বিরুদ্ধে পুলিশের নজরদারির মধ্যে রয়েছে তারা কোথায় যান, কোথায় খান, কোথায় সাক্ষাৎ করে ও নামাজ পড়েন। এছাড়াও পুলিশ মুসলিমদের মসজিদ ও ছাত্রদের ওপর গোপন নজরদারি করে আসছে।

থ্রিডি ম্যাপ বানাতে গুগল-এর বিমান

সার্চ-ইঞ্জিন জায়ান্ট গুগল ইন করপোরেশন এবার অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন শহরের থ্রিডি ম্যাপ বা ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করবে। তবে শহরগুলোর নাম এখনও প্রকাশ করেনি প্রতিষ্ঠানটি। এজন্য শহরগুলোতে ছোট আকারের বিশেষ বিমান পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। বিমানগুলোতে সংযুক্ত থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ক্যামেরা। ক্যামেরায় তোলা ছবির ওপর নির্ভর করে বিশ্বের মানচিত্র তৈরিতে এটাই গুগলের সর্বশেষ পরিকল্পনা। উচ্চাকাঙ্ক্ষা পূরণে প্রতিষ্ঠানটির নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ মাঝে মধ্যে যে বিতর্কের জন্ম দেয়নি তা নয়। গুগলের নতুন এ পরিকল্পনা অনুযায়ী, এ বছরের শেষ নাগাদ তারা প্রথমবারের মতো কয়েকটি শহরের ত্রিমাত্রিক মানচিত্র বানাবে। বুধবার সানফ্রানসিসকোয় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ পরিকল্পনার কথা জানান গুগলের কর্মকর্তারা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি। ‘গুগল আর্থের’ এক প্রোডাক্ট ম্যানেজার পিটার বার্চ বলেন, আমরা এমন একটি ইন্দ্রজাল বানানোর চেষ্টা করছি, যেখানে আপনারা কোন শহরের ওপর দিয়ে ওড়ার স্বাদ পাবেন। এটা হবে অনেকটা ব্যক্তিগত হেলিকপ্টারে চড়ার মতো ব্যাপার। 

রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ

ফ্রান্সে নিয়োজিত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূত ড. নাসের আল বেলুশির বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। তবে তিনি তা অস্বীকার করেছেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন গালফ নিউজ। এতে বলা হয়, তিনি ও তার এক ছেলের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, দূতাবাসের সাবেক এক নারী কর্মী (৪৪)কে তারা যৌন হয়রানি করেছেন। এ ঘটনা ঘটেছে ২০১০ সালের জুলাই থেকে ২০১১ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। এ অভিযোগের পর ফরাসি প্রসিকিউটররা প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছেন। তবে ওই নারীর নাম ও তিনি কোন দেশের নাগরিক তা প্রকাশ করা হয়নি। তিনি প্রথমে রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু গত সোমবার ফরাসি তদন্তকারীদের বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রদূতের ধর্ষণ চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন কৌশলে। এ মাসেই ওই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করানোর কথা রয়েছে।

পুরুষ নন তিনি নারী


হাসপাতালে গিয়ে এক পুরুষ জানতে পারলেন তিনি আসলে পুরুষ নন। তিনি নারী। তিনি হলেন কলোরেডোর ডেনভারের এক ফটোগ্রাফার স্টিভ ক্রেসিলিয়াস। তিনি জন্মেছেন নারী ও পুরুষের বৈশিষ্ট্য নিয়ে। কিন্তু তার মধ্যে যে নারীর বৈশিষ্ট্য আছে তা তিনি এতদিন জানতেন না। সমপ্রতি তার কিডনিতে পাথর চিহ্নিত করতে একটি হাসপাতালে আলট্রাসাউন্ড পরীক্ষা করানো হয়। তাতেই ধরা পড়ে সব ঘটনা। এ অবস্থার পর তিনি তার নাম পরিবর্তন করে ফেলেছেন। নতুন নাম রেখেছেন স্টিভি ক্রেসিলিয়াস। তার এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন তার স্ত্রী ও ৬ সন্তান। সমপ্রতি ফক্স-৩১ টেলিভিশন চ্যানেলকে তিনি সাক্ষাৎকার দেন। তাতে তিনি বলেন, আমি ছোট থাকতে মার কাপড় পরতাম। তার মেকআপ ব্যবহার করতাম। কিন্তু তা খুব গোপনে। কাউকে সে কথা বলিনি। আমার কিডনিতে পাথর থাকার পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়ে গেলাম। যে নার্স আমার আলট্রাসাউন্ড করছিলেন তিনি হঠাৎ চিৎকার করে উঠলেন- হায় হায়! আপনি তো পুরুষ নন। আপনি নারী। আমার নিজের দেহে যেসব প্রজননতন্ত্র রয়েছে আপনার দেহেও তো তা আছে। তবে তা রয়েছে শরীরের ভিতরে। বাড়ি ফিরে এ কথা তিনি স্ত্রী দেবীকে বলতেই সব কিছু ব্যাখ্যা করতে তার ওপর চাপ সৃষ্টি করলেন। পরিবারে অশান্তি সৃষ্টি হবে- এমন ভয়ে তিনি বিষয়টি এতদিন গোপন রেখেছিলেন। বিষয়টি তার স্ত্রীর কাছে ব্যাখ্যা করার পর সব মেনে নিলেন তিনি। ডেনভার পোস্ট খবর দিয়েছে, তার স্ত্রী দেবী এ খবর শোনার পর খুশি হয়ে তার স্বামীর জন্য প্রথম অন্তর্বাসটি কিনতে তাকে সঙ্গে নিয়ে যান। অবশ্য এ সময় দেবীর মধ্যে ভয় কাজ করছিল যে, তিনি বুঝি স্টিভকে আর স্বামী হিসেবে পাশে পাবেন না। কিন্তু তারপরও স্বামীর পাশে দাঁড়ালেন দেবী। তাকে বললেন, তুমি আমার কাছে যা ছিলে তাই থাকবে। তাদের দাম্পত্য জীবন ২৫ বছরেরও বেশি সময়ের। স্টিভ থেকে স্টিভি হয়ে যাওয়ার পরও তারা এখনও একরুমে ও এক বিছানায় ঘুমান। স্টিভি বলেন, এখনও দেবী আমার হৃদয়জুড়ে আছে। এটাই তো সত্যিকার ভালবাসা।

Thursday, June 7, 2012

সুন্দরী হওয়ার খেসারত

 টিনএজ এপ্রিল স্পাইলম্যানের (১৫) অনেক দিনের স্বপ্ন ছিল নিজের প্রিয় চরিত্র টিঙ্কারবেলের মতো সেজে চমকে দিবেন তার বয়ফ্রেন্ডকে। স্মরণীয় করে রাখতে প্রথম ডেটিং করবেন ডিসনি ওয়ার্ল্ডে। যেই ভাবা সেই কাজ। একমাস সময় নিয়ে ড্রেস বাছাই করেছেন।  ভোর চারটায় ঘুম থেকে উঠে মনের মতো করে সেজেছেন স্পাইলম্যান। দু’ঘণ্টা ধরে মেকাপ করেছেন। চুল সাজের পেছনে লাগিয়েছেন আরও এক ঘণ্টা। তারপর গেছেন ডিসনি ওয়ার্ল্ডের এনিমেল কিংডমে। আর তখনই বাঁধলো বিপত্তি। পোশাকে খুব বেশি সুন্দর দেখাচ্ছে এই অভিযোগে তাকে সেখানে ঢুকতে দিলো না বেরসিক নিরাপত্তারক্ষী। দীর্ঘদিনের স্বপ্ন চুরমার হয়ে যাচ্ছে দেখে কেঁদে ফেললেন স্পাইলম্যান। তিনি বলেন, এটা আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে। কর্মকর্তারা তাকে বলেছেন এনিমেল থিম পার্কের টিঙ্কারবেলের মতোই সুন্দর লাগছিল তাকে। ফলে অন্য শিশুরা তাকে সত্যিকারের টিঙ্কারবেল মনে করে বসবে তাই এ বাধা। গতকাল এ খবর দিয়ে ডেইলি মেইল জানিয়েছে, অনেকক্ষণ বাইরে অপেক্ষা করার পর কর্তৃপক্ষ তাকে একটি টি-শার্ট দিলে নিজের ড্রেস পরিবর্তন করে ওই টি-শার্ট পরে বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে ভেতরে ঢোকেন স্পাইলম্যান।

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির পুত্রের বিরুদ্ধে ৪০ কোটি রুপি দুর্নীতির অভিযোগ

 ভূ-সম্পত্তি বিষয়ক মোড়ল মালিক রিয়াজের কাছ থেকে পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরীর ছেলে ড. আরসালান ইফতিখার ৩০ থেকে ৪০ কোটি রুপি হাতিয়ে নিয়েছেন। এ নিয়ে একটি সুয়োমটো নোটিসের ওপর শুনানি গতকাল পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আজ পর্যন্ত মুলতবি করেছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। এতে বলা হয়, এ বিষয়টি নিয়ে গতকাল তিন বিচারকের বেঞ্চে শুনানি হয়। ওই বিচারকরা হলেন- প্রধান বিচারপতি নিজে, বিচারপতি জাওয়াদ এস খাজা ও বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসেইন। আদালতে ড. আরসালান ইফতিখারের পক্ষ নেন আইনজীবী সরদার ইশক। তবে শুনানি শুরুর আগে আরসালান ইফতিখার সাংবাদিকদের বলেন, তিনি নির্দোষ। তাকে বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত বাড়ি যেতে বারণ করা হয়েছে। গতকাল আদালতে উপস্থিত হলেও তিনি যার কাছ থেকে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ আছে সেই মালিক রিয়াজ আদালতে উপস্থিত হননি। গতকাল শুনানি চলাকালে এটর্নি জেনারেল ইরফান কাদির ওই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি ইফতিখার মোহাম্মদ চৌধুরী উপস্থিত থাকায় আপত্তি তোলেন। তিনি বলেন, যেখানে পিতা প্রধান বিচারপতি এবং তিনিই এই আদালতের বেঞ্চের প্রধান সেখানে সুবিচার পাওয়া নিয়ে সংশয় থাকে। তিনি ওই বেঞ্চে প্রধান বিচারপতি থাকা উচিত নয় বলে যুক্তি তুলে ধরেন। এর জবাবে প্রধান বিচারপতি বলেন, যেহেতু প্রধান বিচারপতির পদে আছেন তাই তিনি যে কাউকে তলব করতে পারেন। তিনি বলেন, এ মামলাটি রাজনৈতিক নয়। এ মামলার শুনানির জন্য তিনি ওই বেঞ্চ থেকে সরে যাবেন না। এ সময় তার যুক্তিকে সমর্থন করেন বিচারপতি খাজা ও বিচারপতি খিলজি। প্রধান বিচারপতি বলেন, তার ছেলে যদি অপরাধী প্রমাণিত হয় তাহলে আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি দেয়া হবে। এ নিয়ে মামলায় জড়িত পক্ষ-বিপক্ষকে আজ আদালতে তাদের প্রমাণপত্র হাজির করার নির্দেশ দেন। গতকালের আদালতে কয়েকজন সাংবাদিককেও তলব করা হয়েছিল। বেঞ্চ ইসলামাবাদের আইজি’কে নির্দেশ দিয়েছেন, ড. আরসালান ইফতিখারের বাহরিয়া শহরের সম্পত্তির খোঁজখবর নিতে এবং তা আদালতে হাজির করতে। গতকাল শুনানিকালে বিচারপতি খাজা আদালতে মালিক রিয়াজের অনুপস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এ সময় তাকে জানানো হয়, মালিক রিয়াজ চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে রয়েছেন।

স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে পেয়ে আত্মহত্যা

স্ত্রীকে অন্য পুরুষের সঙ্গে অন্তরঙ্গ মুহূর্তে দেখতে পেয়ে রাগে-ক্ষোভে আত্মহত্যা করেছেন পৌরান শাহু নামের এক ভারতীয় পুরুষ। শনিবার সন্ধ্যায় ব্যাঙ্গালুরুর সরকারি কোয়ার্টারে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন পৌরান (২২)। রাত ৯টায় কোয়ার্টারের নিজের ঘরে ঢুকে স্ত্রী মঞ্জুকে সহকর্মী শিবের সঙ্গে বাথরুমে অন্তরঙ্গ অবস্থায় দেখতে পান পৌরান। শিব দৌড়ে চলে গেলে স্ত্রীকে দু’বার মারেন তিনি। তারপর কিচেন রুমে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দেন। ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় প্রতিবেশীদের নিয়ে দরজা ভেঙে তাকে ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় পান বলে পুলিশকে জানান তার স্ত্রী। মঙ্গলবার এ খবর দিয়ে স্টার অনলাইন মালয়েশিয়া জানায়, স্ত্রীর দাবি শিব জোর করে তাকে নিপীড়ন করছিল। কিন্তু তার স্বামী ভুল বুঝে আত্মহত্যা করে।

Wednesday, June 6, 2012

স্বপ্নজয়ী জয়নাল

ময়মনসিংহে গরিবের বন্ধু জয়নাল আবেদিন। আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় এখন ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশ হচ্ছে তাকে নিয়ে। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে মানবসেবার যে উজ্জ্বল কীর্তি তিনি স্থাপন করেছেন, তার খবর পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্ববাসীর কাছে। গতকাল অনলাইন বিবিসিতে প্রকাশিত আনবারাসান ইতিরাজনের লেখা সচিত্র রিপোর্টে বলা হয়, জয়নাল আবেদিন ময়মনসিংহের তানাশাদিয়া
 গ্রামের এক হতদরিদ্র মানুষ। ৩০ বছর আগে তার পিতা বিনা চিকিৎসায় মারা যান। তখন থেকে তার মধ্যে জেদ চেপে বসে- একটি হাসপাতাল স্থাপন করবেন নিজের গ্রামে। সেখানে চিকিৎসা নেবে গরিব মানুষ। তাই তিনি প্রায় ২০ বছর ঢাকায় রিকশা চালিয়ে তার স্ত্রীর অজান্তে ব্যাংকে জমা করেছেন কিছু কিছু করে অর্থ। তা দিয়ে তানাশাদিয়া গ্রামে স্থাপন করেছেন মুমতাজ হাসপাতাল। সেখানে এখন চিকিৎসা নেয় গরিব মানুষ। তা দেখে উচ্ছ্বসিত হয়ে ওঠেন জয়নাল আবেদিন। তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তার পিতা যখন বিনা চিকিৎসায় মারা যান তখন ওই গ্রামের ২০ কিলোমিটারের মধ্যে কোন হাসপাতাল বা ক্লিনিক ছিল না। তখন তিনি ছিলেন একজন সামান্য দিনমজুর। তবু তার মনে আশা জাগে, নিজ গ্রামে হাসপাতাল স্থাপন করার। তারপর স্ত্রী লাল বানুকে সঙ্গে নিয়ে আয়-উপার্জনের জন্য আসেন ঢাকায়। জয়নাল আবেদিন বলেন, তখন ঢাকা সম্পর্কে কোন ধারণা ছিল না আমাদের। এত বড় শহর দেখে আমরা বিস্মিত হয়ে যাই। প্রথম দিকে বুঝতে পারিনি কিভাবে এই শহরে টিকে থাকবো। পরে রিকশা চালানো শুরু করি। কিন্তু ভীষণ ট্রাফিক জ্যামের ভেতর এ কাজটি সহজ ছিল না। আস্তে আস্তে শিখে নেন বাস-ট্রাকের ভেতর দিয়ে নিরাপদে রিকশা চালানো। এভাবে দুই দশক তিনি রিকশা চালান। যাত্রী ও পণ্য বহন করেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। তার জীবনের প্রকৃত চিত্র তুলে ধরতে সাংবাদিক আনবারাসান ইতিরাজন সরজমিন গিয়েছিলেন ময়মনসিংহ। তিনি সেখান থেকে লিখেছেন- জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী লাল বানু ঢাকার একটি ক্লিনিকে কাজ পেয়ে যান। তার কাছে একটি কথা গোপন রাখেন জয়নাল। তা হলো- গোপনে তিনি একটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন। সেখানে গোপনেই রিকশা চালানো টাকা থেকে জমাতে থাকেন। জয়নাল বলেছেন- এ নিয়ে মাঝে মধ্যেই আমার স্ত্রী প্রশ্ন তুলতো। সে জানতে চাইতো, আমি কেন অন্যদের মতো বেশি টাকা উপার্জন করতে পারি না। আমি সব সময়ই গোপনে টাকা জমা করেছি। সে বেশি টাকার মুখ দেখবে কিভাবে! সংসারের টানাপড়েনের সময়ও আমি টাকা জমা করেছি। যত কষ্টই হোক সংসারে, আমি কখনও ওই জমানো টাকায় হাত দেইনি। যখন আমার ব্যাংক একাউন্টে ৪০০০ ডলারের কিছু বেশি জমা হলো, সিদ্ধান্ত নিলাম এবার গ্রামে ফিরে যাবো। বিবিসি লিখেছে- তিনি গ্রামে ফিরে গিয়ে একটি ছোট্ট জমি কেনেন তার জমানো টাকা দিয়ে। সেখানে টিনের একটি ঘর তোলেন নিজের জন্য। আরেকটি শেড নির্মাণ করেন ক্লিনিকের জন্য। বাকি অর্থে কেনেন কিছু ওষুধ এবং ক্লিনিকের জন্য বেড। এক পর্যায়ে তিনি এ বিষয়ে গ্রামের লোকজনের সঙ্গে আলোচনা করেন। কিন্তু তাদের কেউ তাকে তেমন গুরুত্ব দেন না। জয়নাল আবেদিন বলেন, লোকজন আমার কথা শুনে হাসাহাসি করে। তারা বিশ্বাস করতে পারছিল না যে, একজন রিকশাচালক একটি ক্লিনিক স্থাপন করতে পারে। এমন কি কোন চিকিৎসকও এই ক্লিনিকে আসতে রাজি হলেন না। তারপর তিনি ক্লিনিকের নাম দিলেন মুমতাজ হাসপাতাল। প্রথম দিকে তিনি একজন প্যারামেডিককে অনুরোধ করলেন সেখানে বসে প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে। এ খবর যখন ছড়িয়ে পড়লো, তখন গ্রামের অনেক মানুষ প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আসতে থাকে তার ক্লিনিকে। যাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বা খারাপ তাদের ময়মনসিংহ শহরে বড় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এভাবে প্রতিদিন এই ক্লিনিক থেকে ১০০ মানুষকে চিকিৎসা দেয়া হয়। স্থানীয় একজন প্যারামেডিক সেখানে বসেন। সপ্তাহের একদিন একজন চিকিৎসক বসেন দর্শনীর ভিত্তিতে। স্থানীয় লোকজন ও কিছু কোম্পানির সহযোগিতায় জয়নাল আবেদিন সেখানে স্থাপন করেন ফার্মেসি। সেখান থেকে রোগীদের বিনামূল্যে ওষুধ দেয়া হয়। এই হাসপাতালে জ্বর, ডায়রিয়া, ছোটখাটো আঘাত ও অ্যাজমার মতো রোগের চিকিৎসা দেয়া হয়। এখানে নারীদের জন্য রয়েছে ম্যাটার্নিটি কার্ড। এখন আশপাশের এলাকার মানুষের মুখে জয়নাল আবেদিনের গুণগান। তারা সবাই সাবেক এই রিকশাচালকের দৃঢ় প্রত্যয় ও সাহসের প্রশংসা করেন। পাশের গ্রামের আবদুল মালিক বলেন, এই হাসপাতাল এ অঞ্চলে আমাদের মতো গরিব মানুষদের চিকিৎসা দিয়ে থাকে। সরকারি হাসপাতাল এখান থেকে অনেক দূরে। আমাদের সামর্থ্য নেই বেসরকারি ক্লিনিকে গিয়ে চিকিৎসা করানোর। তাই আমরা এখানেই আসি। যখন স্থানীয় মিডিয়ায় জয়নাল আবেদীনের কাজ ও ক্লিনিক নিয়ে লেখালেখির পর অনেকেই তাকে অর্থ দিয়েছেন। তা দিয়ে তিনি ক্লিনিক প্রশস্ত করেছেন। শুরু করেছেন প্রাথমিক স্কুল পড়ুয়াদের জন্য একটি কোচিং সেন্টার। সেখানে দিনমজুর ও কৃষকদের সন্তানদের পড়ানো হয়। এখন সেখানে বাংলা, আরবি, গণিত ও ইংরেজি পড়ে কমপক্ষে ১৫০ জন ছাত্রছাত্রী। ময়মনসিংহ জেলার সিনিয়র কর্মকর্তা লোকমান হোসেন মিয়া বলেন, ওই এলাকায় যথার্থ কোন হাসপাতাল নেই। তার পরও আবেদিনের হাসপাতাল গ্রামবাসীকে গুরুত্বপূর্ণ সেবা দিয়ে যাচ্ছে। তিনি আমাদের দেশের আদর্শ হয়ে উঠেছেন এ কাজের মাধ্যমে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের দিয়েছেন বিনামূল্যে বই। এখনও চেষ্টা করছেন তার ক্লিনিকের জন্য অর্থ যোগাড় করতে। রিপোর্টে বলা হয়, বাংলাদেশের মতো একটি দেশে একজন রিকশাচালক তার প্রায় সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে অন্যদের জন্য ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করবেন- এমনটা বিরল। এখানে রিকশাচালকরা সমাজের একেবারে তলার মানুষ। তারা দিনে এক ডলারেরও কম আয় করেন। জয়নাল আবেদিন এক বছর হলো অসুস্থতার জন্য রিকশা চালানো ছেড়ে দিয়েছেন। এখন ক্লিনিক নিয়েই আছেন। তিনি বলেন, আমার স্বপ্ন এই ক্লিনিককে একটি পূর্ণাঙ্গ হাসপাতালে পরিণত করা।

নরপিশাচ

 ভারতের মুম্বইতে আরেক নরপিশাচ পিতার সন্ধান মিলেছে। সত্যজিৎ চৌধুরী  (৪৫) নামের ওই পিতাকে তার নিজের কন্যার সম্ভ্রমহানির জন্য পুলিশ আটক করেছে। একদিন বা দু’দিন নয় নিজের ১৬ বছর বয়সী মেয়েকে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করেছে। ২০০৯ সাল থেকে চুপিসারে ওই নির্যাতন তার মেয়ে সহ্য করে গেছে। কিন্তু সমপ্রতি সে বিষয়টি নিয়ে ক্লাসের এক সহপাঠীর সঙ্গে আলাপ করে। তার সহপাঠী এ কথা শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। এক পর্যায়ে নির্যাতিতাকে নিয়ে সে ছোটে চাইল্ডলাইন ফাউন্ডেশনে। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দাহিসার পুলিশ ওই পিতা নামের নরপশুকে গ্রেপ্তার করে ধর্ষণের অভিযোগে। পুলিশ তাকে আগামী ৭ই জুন পর্যন্ত রিমান্ডে নিয়েছে। গতকাল ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, সত্যজিৎ চৌধুরী দাহিসারের লক্ষ্মীনিবাসের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করে। তদন্ত করে দেখা গেছে, মেয়ে যাতে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে না পড়ে এজন্য সে তাকে পিল খাওয়াতো। দাহিসার পুলিশ নিশ্চিত করেছে, ধর্ষিতা মোনা (পরিবর্তিত নাম) চাইল্ডলাইন ফাউন্ডেশনে গিয়ে অভিযোগ জানায়। সেখানে সে বলে, ২০০৯ সাল থেকে তার পিতা তার সঙ্গে পশুর মতো আচরণ করছে। মোনা বলেছে, তার প্রস্তাবে বাধা দিলে তিনি আমাকে বাড়ি থেকে বাইরে ছুরে ফেলে দেয়ার হুমকি দিতেন। শেষ পর্যন্ত আমি সাহস দেখিয়েছি এবং বিষয়টি নিয়ে আমার এক বান্ধবীর সঙ্গে কথা বলেছি। মোনা বলেছে, আগে তিনি তার ১২ বছর বয়সী বোন ও ১৪ বছর বয়সী এক ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমাতেন। কিন্তু তাতে তার পিতা আপত্তি তোলে। সে তাকে জোর করে তার সঙ্গে একটি আলাদা ঘরে ঘুমাতে বাধ্য করে। মোনার মা সঙ্গীতা মারা গিয়েছেন ২০০৪ সালের সেপ্টেম্বরে।
তারপর থেকেই তিন সন্তান তার পিতার করুণার দিকে তাকিয়ে ছিল।

এক নারীকে বিবস্ত্র করে পিটিয়ে হত্যা

ভারতের বিশাখাপত্তম জেলায় ৪৫ বছর বয়সী এক নারীকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে জনসমক্ষে বিবস্ত্র করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত রোববার অনেক গ্রামবাসীর সামনে এই কাণ্ড ঘটানো হয়। সোমবার পুলিশ আসার পর আলোচনায় আসে বিষয়টি। গতকাল এ খবর দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানায়, রোববার বিকালে গ্রামের কিছু লোক ম্যামিদি অ্যাটচিয়াম্মা নামের ওই নারীকে তার বাসা থেকে টেনে বের করে আনে। তাকে একটি গাছের সঙ্গে বাঁধে ও শরীরের সব কাপড় খুলে নেয়। নিজের জীবন ও সম্মান রক্ষার জন্য অনেক কাকুতি-মিনতি করেন তিনি। কিন্তু এতে কোন দয়া আসেনি হামলাকারীদের মনে। নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করে মরে গেছে ভেবে ফেলে রেখে যায়। পরে পুলিশ এসে হাসপাতালে নিলে সেখানে মারা যান ম্যামাদি। কিন্তালুরু উপজাতির ওই নারীকে গ্রামবাসী সন্দেহ করে যে তিনি জাদু করে দু’জন যুবককে হত্যা করেছেন। ফলে তাকে এমন নৃশংসভাবে হত্যা করে তারা।

Tuesday, June 5, 2012

সৌদি প্রিন্সেসের কাণ্ড

প্যারিসের এক পাঁচ তারকা হোটেল থেকে ৫০ লাখ পাউন্ড বিল ফাঁকি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন সৌদি আরবের প্রিন্সেস মাহা আল-সুদাইরি। তিনি তার ৬০ সঙ্গীকে সঙ্গে নিয়ে মধ্যরাতের দিকে ওই হোটেল থেকে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তার আগেই পুলিশ ডাকা হয়। কিন্তু প্রিন্সেস কূটনৈতিক মর্যাদায় সাধারণ ক্ষমার আওতায় রয়েছেন বলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডেইলি মেইল। এতে বলা হয়, তিনি সঙ্গীদের নিয়ে প্যারিসের সাংগ্রিলা হোটেলে উঠেছিলেন। সেখানে তাদের মোট বিল আসে ৫০ লাখ পাউন্ড। এ অর্থ হোটেল কর্তৃপক্ষকে না মিটিয়ে তিনি সবার অজান্তে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে তা হোটেল কর্মচারীদের চোখে ধরা পড়ে। কারণ, তার সঙ্গে এত লোক। সঙ্গে আবার ব্যাগ, লাগেজ। এগুলো নিয়ে কারও চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে আসা খুব কঠিন। এ অবস্থায় পুলিশকে ডাকা হয়। প্রিন্সেসের অবস্থানে অন্য কোন লোক এ কাজ করলে তাকে বা তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হতো। কিন্তু তিনি কূটনৈতিক মর্যাদায় থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোন অপরাধের অভিযোগও আনতে পারেনি। তবে ফরাসি কর্তৃপক্ষ এ ঘটনায় সৌদি দূতাবাসের মুখোমুখি হয়। এর মধ্যে প্রিন্সেস ও তার দলকে পাশের আরেকটি বিলাসবহুল হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ হোটেলটির নাম রয়েল মনসিউ। রিপোর্টে বলা হয়, প্রিন্সেস যে সাংগ্রিলা হোটেলে উঠেছিলেন তার মালিক কাতারের আমিরের পারিবারিক বন্ধু। ওই মালিক ঘটনা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত প্রিন্সেসকে নজরদারিতে রাখার আহ্বান জানান। রিপোর্টে বলা হয়, প্রিন্সেস মাহা আল-সুদাইরি গত বছরের ২৩শে ডিসেম্বর তার সঙ্গীদের নিয়ে প্যারিস যান। সেখানে সাংগ্রিলা হোটেলের ৪১টি রুমের একটি পুরো ফ্লোর ভাড়া নেন। ল্য প্যারিসিয়েন পত্রিকা জানায়, এতে তার বিলের অঙ্ক ফুলেফেঁপে বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে তিনি রাতের অন্ধকারে পালানোর চেষ্টা করলে তা প্রকাশ পায়। রিপোর্টে বলা হয়, সৌদি রাজপরিবারকে গরম পানিতে নামানোর এটাই তার প্রথম ঘটনা নয়। ২০০৯ সালের জুনে তিনি ফ্রান্সে ১ কোটি ৫০ লাখ পাউন্ডের কেনাকাটা করেন। কিন্তু তার কোনটির বিল দেননি। সেবার তিনি ৬০ হাজার পাউন্ড দিয়ে শুধু একটি অন্তর্বাস কিনেছিলেন। সেবারও তিনি কূটনৈতিক মর্যাদা ব্যবহার করেছিলেন। পরের বছর তিনি প্যারিসের একটি দোকান থেকে ১৮ হাজার পাউন্ডের পোশাক সংক্রান্ত জিনিসপত্র অর্ডার দেন।

পুরুষের সঙ্গে নাচ পাকিস্তানে ৪ নারী হত্যা

পাকিস্তানের হাজারা বিভাগের একটি প্রত্যন্ত গ্রামে উপজাতিদের এক বিয়ের অনুষ্ঠানে পুরুষের সঙ্গে নাচার কারণে ৪ নারীকে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল বার্তা সংস্থা পিটিআই এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, টেলিভিশন নিউজ চ্যানেলগুলো এ খবর দিলেও স্থানীয় সিনিয়র কর্মকর্তারা ওই খবরকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন। এ ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক। তবে কতজন নারীকে এ ঘটনায় হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক কোন তথ্য নিরপেক্ষ মাধ্যম থেকে পাওয়া যায়নি। জিও নিউজ চ্যানেল জানিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ৪ নারীকে। কিন্তু দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন তার ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, হত্যা করা হয়েছে ৫ নারীকে। পঞ্চম এক নারী হত্যা করা এক নারীর বোন। সমপ্রতি কোহিস্তানে এক বিয়ের পার্টিতে দু’পুরুষের সঙ্গে ওই নারীরা নাচে ও গান গায়। এর জন্য স্থানীয় জিরগা ওই নারীদের ও পুরুষের মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়। অভিযোগ করা হয়েছে, এর মাধ্যমে তারা পরিবারের মান-সম্মান ধুলায় মিশিয়ে দিয়েছেন। দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন জানায়, একটি ভিডিও টেপ ধারণ করা হয় তাদের নাচের। তাতে দেখা যায়, অভিযুক্তরা একত্রে গান গাইতে গাইতে বিয়ের অনুষ্ঠানে নাচছে। এর মাধ্যমে তারা উপজাতিদের রীতিনীতি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়। ফলে ওই ৪ নারীকে তাদের শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে অভুক্ত অবস্থায় রাখা হয় একটি রুমে। কোহিস্তান জেলার সিরতাই গ্রামে ওই রুমে তাদের বেঁধে রাখা হয়। যে ২ পুরুষকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেয়া হয়েছে তাদের একজনের বড়ভাই মুহাম্মদ আফজাল বলেছেন, উপজাতিদের আদালত তাদের ব্যভিচারী হিসেবে ঘোষণা দেয়। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এমন একজন অতিথি তার মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ওই নারী ও পুরুষের নাচ ও গানের দৃশ্যের ভিডিও ধারণ করেছিলেন। এখন থেকে ২ মাস আগের ওই ঘটনার ভিডিওটি তিনি পরে তাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে পাঠিয়ে দেন। কিন্তু তা আস্তে আস্তে উপজাতি নেতাদের কানে চলে যায়। এতে তারা ক্ষিপ্ত হন। তারা আদালত বসান। সে আদালতে অভিযুক্তদের দোষী ঘোষণা করা হয়। বলা হয়, তারা এক সঙ্গে নেচে-গেয়ে ইসলামী নিয়ম ও উপজাতি নিয়মনীতি লঙ্ঘন করেছেন।

কবর থেকে জীবন্ত উত্থান

কবর থেকে জেগে উঠলেন ‘মৃত’ ব্যক্তি। চিৎকার করে বললেন- ‘আমাকে তোমারা মেরে ফেলতে চাইছো। জীবিতই আমাকে কবর দিচ্ছ?’ ঘটনার এ আকস্মিকতায় উপস্থিত লোকজন ভয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করেন। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনা জানাজানি হয়। ছুটে আসেন গ্রামের লোকজন। দেখেন, সত্যি কবরখানা থেকে জীবিত হেঁটে আসছেন ওই ব্যক্তি। নিজেদের চোখকে বিশ্বাস করতে না পেরে অনেকে ঘরে ছুটে গিয়ে দরজায় খিল এঁটে দেন। এমন ঘটনা ঘটেছে ইয়েমেনে। সেখানকার ধামার প্রদেশে এক ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকে মারা যান শুক্রবার। সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে তাকে কবরে নামানো হয়। এ সময় তিনি কবর থেকে চিৎকার দিয়ে উঠে দাঁড়ান। রোববার এলেত্তজা নিউজের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ঘটনা আকস্মিকতায় সবাই বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কাফনসমেত কবর থেকে মৃত ভাবা ব্যক্তিকে ওঠে আসতে দেখে অনেকেই ভয়ে পেয়ে সেখান থেকে দৌড়ে পালিয়েছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ৬৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি হার্ট অ্যাটাকের শিকার হয়েছিলেন। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী সব আনুষ্ঠানিকতা শেষে লাশ কবরে নামানোর পরই তিনি জীবিত হয়ে ওঠে দাঁড়িয়েছেন।

পরকীয়া সন্দেহে স্ত্রীর ঠোঁট কেটে ভক্ষণ

সুন্দরী স্ত্রীর অন্য পুরুষের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক রয়েছে- এমন সন্দেহে একটি মেডিকেল ইনস্টিটিউটের সাবেক সহযোগী প্রফেসর তার স্ত্রীর ঠোঁট কেটে খেয়ে ফেলেছেন। এ অভিযোগে তাকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। সুইডেনে ঘটেছে এ ঘটনা। সেদেশের মিডিয়া বলছে, ওই প্রফেসরের বয়স ৫২ বছর। তাকে গ্রেপ্তার করার পর পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে স্ত্রীর ঠোঁট কেটে তা খেয়ে ফেলার কথা। তিনি বলেছেন, এটা সম্মান রক্ষার জন্য করেছি। আমি যা করেছি তাতে আমার কোন দুঃখবোধ নেই। কারণ, আমার স্ত্রী আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ঘটনা এত মারাত্মক যে, প্রসিকিউটররা এখন ওই প্রফেসরের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ আনছেন। তবে আদালত ওই অভিযোগকে একটু নমনীয় করে আগ্রাসী হামলা হিসেবে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন। নির্যাতিতার পক্ষে লড়াই করছেন আইনজীবী ইঙ্গেলা হেসিয়াস একমান। তিনি দাবি করেছেন, তার মক্কেলের যে ক্ষতি হয়েছে তা অপূরণীয়। তিনি বলেন, আমার মক্কেলের মারাত্মক ক্ষত হয়েছে। চিকিৎসকরা এখনও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না তিনি ভাল হবেন নাকি। তার প্রচণ্ড বেদনা হচ্ছে ঠোঁটে। এ মামলার শুনানি আগামী জুলাই মাসে শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। অভিযুক্ত প্রফেসরের বাড়ি ইরানে। তিনি ২০১০ সালে কারোলিনস্কা ইনস্টিটিউটে পোস্ট ডক্টরাল গবেষণা করছিলেন। বর্তমানে তিনি তেহরানে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে নিয়োজিত থাকলেও বেশির ভাগ সময় কাটান স্টকহোমে। সেখানে তিনি তার পুরনো সহযোগীদের সঙ্গে গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। সেখানকার পরিচালক বেঙ্গট নোরভিং বলেছে, তিনি যা করেছেন তা এক ভয়াবহ ঘটনা। তবে ঘটনাটি ইনস্টিটিউটের ভিতরে নয় বলে আমরা এ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছি না।

Sunday, June 3, 2012

জোকারবার্গ-প্রিসিলা হানিমুনে

সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জোকারবার্গ হঠাৎ বিয়ে করে সারপ্রাইজ দিয়েছেন তার বন্ধুমহলকে। একই সঙ্গে বিশ্ব মিডিয়া আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে জোকারবার্গ-প্রিসিলা জুটি। তারা এখন হানিমুন করতে রয়েছেন ইতালিতে। সেখানে তাদেরকে দেখা গেছে ইয়াট ভাড়া করে তাতে নীল পানির ওপর আনন্দ করতে। দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করে এখন যেন আনন্দের হাওয়ায় ভাসছেন জোকারবার্গ। তার খুশির কোন সীমা নেই। তবে এ পর্যায়ে আসতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে প্রিসিলা চ্যানকে। করতে হয়েছে অনেক সংগ্রাম। চায়নিজ বাবা ও ভিয়েতনামি মায়ের সন্তান প্রিসিলা চ্যানের আমেরিকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাটা ছিল অনেক কষ্টের। এক্ষেত্রে তার বাবা-মাও অনেক সংগ্রাম করেছেন মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে। প্রিসিলার বাবা ডেনিশ চ্যান (৪৭) ছিলেন একটি শরণার্থী ক্যাম্পে। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ১৯৭০ সালে। স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে ডেনিশ চ্যান দৈনিক ১৮ ঘণ্টা করে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন। নিজের প্রথম সন্তান প্রিসিলার মার্কিন স্বপ্নপূরণ করতে অনেক কষ্টে সেখানে একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্ট খোলেন। একই উদ্দেশে  প্রিসিলার মা ইভো নিও দৈনিক অনেক সময় কাজ করতেন বোস্টনের টেস্টি অব এশিয়াতে। ফলে প্রিসিলাকে থাকতে হতো তার দাদীর সঙ্গে। তার চায়নিজ দাদী আবার কোন ইংরেজি জানতেন না। প্রিসিলার জীবনে তার দাদীর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনিই ছিলেন তার মানসিক সাপোর্ট। সব কাজের সহায়ক শক্তি ও প্রেরণা। প্রিসিলাকে ভর্তি করা হয় বোস্টনের পাশের শ্রমজীবী শ্রেণীর শহর কুইন্সির রাষ্ট্রচালিত কুইন্সি হাইস্কুলে। খুব ছোট বয়সেই তার মেধা ও অধ্যবসায় পরিস্ফূটিত হয়ে ওঠে। প্রিসিলার সায়েন্স শিক্ষক ও টেনিস কোচ পিটার সোয়ানসন বলেন, ১৩ বছর বয়সে সে আমাকে বলেছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে আমাকে কি করতে হবে? সোয়ানসন ডেইলি মেইলকে বলেছেন, আমার শিক্ষকতা জীবনে এতটুকু বয়সে এমন প্রশ্ন আমাকে খুব কমই করেছে কেউ। প্রিসিলা জানতো সে কি চায়। এমনকি ১ ভাগ সম্ভাবনাকেও হাতছাড়া করেনি সে। সে জানতো হার্ভার্ড ছাড়া পড়তে হলে তার বায়োডাটা ভারি থাকতে হবে। এজন্য ১ ভাগ রিকোয়্যারমেন্ট অর্জন করতে টেনিসে যোগ দেন প্রিসিলা। খুব বেশি পড়াশোনা করতেন তিনি। এজন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সব সময় ছিল সে প্রস্তুত। তিনি বলেন, একরার প্রিসিলা তাকে তাদের রেস্টুরেন্টে ফ্রি খাওয়ার একটি ভাউচার উপহার দেয়। ফলে তিনি তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সংগ্রাম সম্পর্কে ধারণা পান। হার্ভার্ডের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী ছিলেন প্রিসিলা এজন্য ভার্সিটিকে আকৃষ্ট করতে সব কিছুই করেন তিনি। যখন সে হার্ভার্ডে ভর্তি হয় তারপর আমাকে মুচকি হেসে এসে কানে কানে বলেছিল আমি আপনাকে বলেছিলাম আমি হার্ভার্ডে পড়বো বলেছেন সোয়ানসন। তিনি জানান, গত বছর প্রিসিলা ও তার বর্তমান স্বামী জোকারবার্গকে তিনি দেখতে গিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া তাদের তিন কোটি ৫০ লাখ ডলারের ফ্ল্যাটে। তখন মার্ক জোকারবার্গ কিচেনে ছিলেন। তিনি তার কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। প্রিসিলা পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর মুচকি হেসে তিনি বলেছেন, সব গ্রেটম্যানের পেছনে একজন গ্রেটওমেন থাকেন। সোয়ানসন বলেন, সবাই বলে জোকারবার্গকে বিয়ে করে প্রিসিলা লাকি। কিন্তু জোকারবার্গ জানেন আসলে প্রিসিলাকে পেয়ে তিনি লাকি। তিনি বলেন, প্রিসিলা হলেন মার্কিন স্বপ্নের সর্বশেষ উদাহরণ। তার বাবা-মা কিছুই না নিয়েই এখানে এসেছিলেন। আর এখন তিনি নিজ চেষ্টায় বিলিয়নিয়ার হওয়া সবচেয়ে কম বয়সীর স্ত্রী। এর থেকে ভাল আর কি হতে পারে। প্রিসিলা তার পরিবারের শিকড়ের সম্মান রক্ষা করেছেন। তার অফিসিয়াল বায়োগ্রাফিতে উল্লেখ আছে কুইন্সি হাইস্কুল থেকে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানে এক পার্টিতে বাথরুমের লাইনে তার জোকারবার্গের সঙ্গে পরিচয় ২০০৩ সালে। সম্প্রতি প্রিসিলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারিতে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেছেন। ভবিষ্যতে শিশু রোগের ডাক্তার হতে চান তিনি।

পুরুষের জন্য জন্মবিরতিকরণ পিল!

পুরুষদের জন্যও জন্মবিরতিকরণ পিল বানানো সম্ভব। একটি জিন’কে চিহ্নিত করার পর এমন আশা ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এডিনবার্গের গবেষকরা বলেছেন, পুরুষের প্রজননতন্ত্রে সুস্থ শুক্রাণু উৎপাদনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একটি জিন। তারা ওই জিনটিকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। এ বিষয়ে গবেষকরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে কাটনাল নামের ওই জিনটিকে শনাক্ত করেন। এটি শুক্রাণু উৎপাদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ভূমিকা রাখে। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই কাটনাল নামের জিনটির স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারলেই সে শুক্রাণু উৎপাদন করতে পারবে না। ফলে কাটনালকে নিষ্ক্রিয় করতে পারলে সেই পদ্ধতিতে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক পিল আবিষ্কার করা সম্ভব। প্রজনন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটি পিলের খুবই দরকার। পুরুষের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব জন্মনিরোধক ব্যবস্থা আছে তা হলো কনডম ব্যবহার করা অথবা ভ্যাসেকটমি করানো। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ হেলথ-এর গবেষকরা এখন পুরুষের দেহে অনুর্বরতার কারণ কি তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তারা ইঁদুরের জেনেটিক কোড একের পর এক ব্যবহার করে দেখছেন কোনটির কারণে অনুর্বরতা আসে। এ গবেষণা করতে গিয়েই তারা কাটনালের সন্ধান পান। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের ডা. লি স্মিথ বলেছেন, আমরা যদি এই গবেষণায় সফল হই তাহলে আমরা জন্মনিরোধক পিল তৈরি করতে পারবো।

এবার রোজলিন

পুনম পাণ্ডের পর এবার রোজলিন খান। পুনম পাণ্ডের পথ ধরে তিনিও নগ্ন পোজ দিলেন। তবে পুনম পাণ্ডের মতো পুরো নগ্ন নন, টপলেস। অর্থাৎ, রোজলিন খান তার শরীরের উপরের অংশ অনাবৃত করে ছবি তুলেছেন ক্রিকেটের প্রতি ও ক্রিকেটারের প্রতি ভালবাসার প্রকাশ ঘটানোর জন্য। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হলো- পুনম পাণ্ডে নগ্ন হয়েছেন তার প্রিয় দল কলকাতা নাইট রাইডার্স আইপিএলে বিজয়ী হওয়ায়। আর রোজলিন খান নগ্ন হলেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী দল চেন্নাই সুপার কিং ও এর অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনির জন্য। গতকাল টাইমস অব ইন্ডিয়ায় এ নিয়ে রোজলিনের ওই ছবিসহ রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এতে দেখা যায়, রোজলিন দু’হাত ক্রস করে বুকের ওপর রেখেছেন। তাতে সামান্যই লজ্জা ঢাকতে পেরেছেন তিনি। রোজলিন খান ভারতের মডেল। তবে ইদানীং তিনি অভিনয়ে এসেছেন। তিনি নিজের ওই ছবি তোলার পর বলেছেন, আমি চেন্নাই দলকে ও ধোনিকে ভালবাসি। সর্বোপরি তারা সেরা। বাস্তবিকই আমি ভেবেছিলাম তারা জিতবে। কিন্তু তাদের হারে আমার স্বপ্ন চুরমার হয়ে গেছে। তা যাই হোক, আমি আমার প্রিয় দলের প্রতি আমার ভালবাসার প্রকাশ ঘটালাম। আমি নিশ্চিত আগামী আইপিএলে তারা আবার ফিরে আসবে। কিন্তু তার আগে তারা চ্যাম্পিয়ন্স লীগে ইতিহাস সৃষ্টি করবে। তাদের প্রচেষ্টার জন্য এ ছবিটা আমার সামান্য (টোকেন) প্রশংসা।

৩৮ তলা উপরে সুইমিং পুল!

একটি সুইমিংপুল। ভূমি থেকে ৩৮ তলা উপরে। সাঁতার তো পরের কথা। আগে সাহস চাই সাঁতারুর। হ্যাঁ, এমন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে সিঙ্গাপুর। যেখানে ‘স্কাই হেবিটেট সিঙ্গাপুর’ প্রকল্পের বৃহৎ দু’টি টাওয়ারকে সংযুক্ত করা হয়েছে বিশাল সুইমিংপুল দ্বারা। উচ্চাকাঙ্খী এই প্রকল্প শেষ হবে ২০১৬ সালে। সিঙ্গাপুরের সেন্ট্রাল দ্বীপ বিশান-এর শহরতলিতে ৫০৯ অ্যাপার্টমেন্ট বিশিষ্ট এই প্রকল্প তার বসবাসকারীদের সরবরাহ করবে আকর্ষণীয় সব দৃশ্য। এর ডিজাইন করেছে দ্য মোশে স্যাফডি ডেভেলপমেন্ট। এতে ফ্ল্যাটের মালিকরা আকাশ-ব্রিজ ব্যবহার করে এক টাওয়ার থেকে অন্য টাওয়ারে যেতে পারবেন। ভবনের ১৪তম ও ২৬তম ফ্লোরে থাকবে এসব আকাশ ব্রিজ। প্রকল্পটির ডেভেলপার ক্যাপিটাল ল্যান্ড-এর সিইও ওং হেং ফাইন বলেন, স্কাই হেবিটেটের মাধ্যমে আমরা আগামী প্রজন্মের বাসস্থান তৈরি করছি। যেখানে একটা অ্যাপার্টমেন্ট হবে একটি হাউজের মতো। স্কাই হেবিটেট তার বাসিন্দাদের হাইরেইজ অ্যাপার্টমেন্টে বসবাসের পরও হাউজের সুবিধা দিচ্ছে এভাবে। এতে রয়েছে প্রাকৃতিক বাতাস, বিলাসবহুল বাগান, আকাশ ব্রিজসহ হাঁটার বিভিন্ন ব্যবস্থা। একই সঙ্গে সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও বিলাসবহুল সুবিধা সংবলিত স্থানে বাসের সুযোগ পাচ্ছেন এর বসবাসকারীরা। স্যাফডি এর আগেও সুইমিংপুল বানিয়েছে। সেটা ছিল চারশ’ কোটি পাউন্ডে বানানো ম্যারিনা বে স্যান্ডস ডেভেলপমেন্টে। ওটাও সিঙ্গাপুরে অবস্থিত। জাহাজের আকৃতির স্কাইপার্ক হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে ব্যয়বহুল তিনটি হোটেলের ১ম স্থানের অধিকারী। খোলা বাতাসের সুইমিংপুলটি নেমো-৩৩ এর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় থাকবে। নেমোর গভীরতা ৩৩ মিটার যা পৃথিবীর সবচেয়ে গভীর সুইমিংপুল। বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের দ্য ভেন্যু সুইমিংপুলে ২৫ লাখ লিটার পানি আছে। এটা বিশেষত স্কুবা ড্রাইভারদের প্রশিক্ষণের জন্য। এটি চিলির স্যান অ্যালফনসো ডেলমার রিসোর্টের সুইমিংপুল থেকে কিছুটা ছোট। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় সুইমিংপুল চিলির স্যান অ্যালফনসো। এটা ১শ’ কোটি ডলার ব্যয়ে তৈরি করা হয়। এতে পানির পরিমাণ ৬ কোটি ৬০ লাখ গ্যালন।

কথা রাখলেন পুনম

 শেষ পর্যন্ত কথা রাখলেন বলিউডের এ সময়ের সর্বাধিক আলোচিত পুনম পাণ্ডে। তিনি তার ভক্ত ও অনুসারীদের রীতিমতো চমকে দিলেন। কথা দিয়েছিলেন- আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হলে তিনি নগ্ন হবেন। বলিউড বাদশা শাহরুখ খান (এসআরকে)-এর বিজয় উদ্‌যাপন করবেন। ঠিক তাই করলেন। পুরো নগ্ন হয়েছেন তিনি। আর সেই সময়ের ছবি তুলে তা সামাজিক ওয়েবসাইট টুইটারে ছেড়ে দিয়েছেন। সঙ্গে অনেক কথা বলেছেন। রোববার রাতে চেন্নাইয়ের অনুষ্ঠিত আইপিএলের ফাইনালে কলকাতা নাইট রাইডার্স (কেকেআর) চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরপরই তিনি নিজের পুরো নগ্ন ছবি টুইটারে পোস্ট করেন। গত মাসে আইপিএল যখন আস্তে আস্তে ফাইনালের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তখন তিনি একটি টুইটার বার্তা লেখেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন- ‘ওয়া..ও  আমি যে দলকেই সমর্থন করি সেই দলই বিজয়ী হয় # আইপিএল# কেকেআর# এসআরকে আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছি একটি ছবি তুলব# তাতে আমার সারা শরীর থাকবে উদোম’। কেকেআর যখন বিজয়ী হয় তখন তিনি আবার টুইটারে বার্তা লেখেন- ‘সতর্কতা- ১৮ বছর ও এর কম বয়সীদের এই ছবি দেখতে চেষ্টা করা উচিত হবে না। কম বয়সী কেউ এ ছবি দেখলে তার দায় দায়িত্ব আমি নেবো না# নতুন ছবি# একেবারে নগ্ন’। এর পরেই পুনম পাণ্ডে চমকে দেন। সত্যি সত্যি তিনি কথা রাখলেন! সত্যি সত্যি তিনি কাপড় খুলে ফেললেন! আর সেই অবস্থায় ছবি তুলে নিজের প্রতিশ্রুতি রাখলেন! ছবিটি পোস্ট করে দিলেন টুইটারে। তাতে লিখলেন- ‘# নতুন ছবি এবং আমি যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম এই ছবিটি সেই প্রতিশ্রুতি রাখা # আইপিএল # কেকেআর # এসআরকে # পুরো নগ্ন # শুধু ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য’। এ কথা বলে তিনি যে ছবিটি পোস্ট করেছেন তাতে তাকে দেখা যাচ্ছে, পুরো বিবস্ত্র হয়ে তিনি উপুড় হয়ে শুয়ে আছেন। তবে তাতে শরীরের স্পর্শকাতর জায়গাগুলো দেখা যাচ্ছে না। ওদিকে গতকাল আবারও তিনি টুইটারে বলেছেন, রোববার রাতে যে ছবিটি পোস্ট করেছি সেটা সবেমাত্র শুরু। এর পর রয়েছে এর চেয়েও বেশি কিছু। তবে তা দেখতে ধৈর্য ধরে আরও অপেক্ষা করতে হবে।