Thursday, May 31, 2012

জোকারবার্গ-প্রিসিলা হানিমুনে

সবচেয়ে কম বয়সী বিলিয়নিয়ার ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জোকারবার্গ হঠাৎ বিয়ে করে সারপ্রাইজ দিয়েছেন তার বন্ধুমহলকে। একই সঙ্গে বিশ্ব মিডিয়া আলোচনায় স্থান করে নিয়েছে জোকারবার্গ-প্রিসিলা জুটি। তারা এখন হানিমুন করতে রয়েছেন ইতালিতে। সেখানে তাদেরকে দেখা গেছে ইয়াট ভাড়া করে তাতে নীল পানির ওপর আনন্দ করতে। দীর্ঘদিনের প্রেমিকাকে বিয়ে করে এখন যেন আনন্দের হাওয়ায় ভাসছেন জোকারবার্গ। তার খুশির কোন সীমা নেই। তবে এ পর্যায়ে আসতে অনেক পথ পাড়ি দিতে হয়েছে প্রিসিলা চ্যানকে। করতে হয়েছে অনেক সংগ্রাম। চায়নিজ বাবা ও ভিয়েতনামি মায়ের সন্তান প্রিসিলা চ্যানের আমেরিকার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করাটা ছিল অনেক কষ্টের। এক্ষেত্রে তার বাবা-মাও অনেক সংগ্রাম করেছেন মেয়েকে প্রতিষ্ঠিত করতে। প্রিসিলার বাবা ডেনিশ চ্যান (৪৭) ছিলেন একটি শরণার্থী ক্যাম্পে। সেখান থেকে পরিবারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান ১৯৭০ সালে। স্বপ্নের বাস্তবায়ন করতে ডেনিশ চ্যান দৈনিক ১৮ ঘণ্টা করে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করেন। নিজের প্রথম সন্তান প্রিসিলার মার্কিন স্বপ্নপূরণ করতে অনেক কষ্টে সেখানে একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্ট খোলেন। একই উদ্দেশে  প্রিসিলার মা ইভো নিও দৈনিক অনেক সময় কাজ করতেন বোস্টনের টেস্টি অব এশিয়াতে। ফলে প্রিসিলাকে থাকতে হতো তার দাদীর সঙ্গে। তার চায়নিজ দাদী আবার কোন ইংরেজি জানতেন না। প্রিসিলার জীবনে তার দাদীর যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। তিনিই ছিলেন তার মানসিক সাপোর্ট। সব কাজের সহায়ক শক্তি ও প্রেরণা। প্রিসিলাকে ভর্তি করা হয় বোস্টনের পাশের শ্রমজীবী শ্রেণীর শহর কুইন্সির রাষ্ট্রচালিত কুইন্সি হাইস্কুলে। খুব ছোট বয়সেই তার মেধা ও অধ্যবসায় পরিস্ফূটিত হয়ে ওঠে। প্রিসিলার সায়েন্স শিক্ষক ও টেনিস কোচ পিটার সোয়ানসন বলেন, ১৩ বছর বয়সে সে আমাকে বলেছিল, হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে হলে আমাকে কি করতে হবে? সোয়ানসন ডেইলি মেইলকে বলেছেন, আমার শিক্ষকতা জীবনে এতটুকু বয়সে এমন প্রশ্ন আমাকে খুব কমই করেছে কেউ। প্রিসিলা জানতো সে কি চায়। এমনকি ১ ভাগ সম্ভাবনাকেও হাতছাড়া করেনি সে। সে জানতো হার্ভার্ড ছাড়া পড়তে হলে তার বায়োডাটা ভারি থাকতে হবে। এজন্য ১ ভাগ রিকোয়্যারমেন্ট অর্জন করতে টেনিসে যোগ দেন প্রিসিলা। খুব বেশি পড়াশোনা করতেন তিনি। এজন্য যে কোন ত্যাগ স্বীকারে সব সময় ছিল সে প্রস্তুত। তিনি বলেন, একরার প্রিসিলা তাকে তাদের রেস্টুরেন্টে ফ্রি খাওয়ার একটি ভাউচার উপহার দেয়। ফলে তিনি তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার সংগ্রাম সম্পর্কে ধারণা পান। হার্ভার্ডের ব্যাপারে খুবই উৎসাহী ছিলেন প্রিসিলা এজন্য ভার্সিটিকে আকৃষ্ট করতে সব কিছুই করেন তিনি। যখন সে হার্ভার্ডে ভর্তি হয় তারপর আমাকে মুচকি হেসে এসে কানে কানে বলেছিল আমি আপনাকে বলেছিলাম আমি হার্ভার্ডে পড়বো বলেছেন সোয়ানসন। তিনি জানান, গত বছর প্রিসিলা ও তার বর্তমান স্বামী জোকারবার্গকে তিনি দেখতে গিয়েছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া তাদের তিন কোটি ৫০ লাখ ডলারের ফ্ল্যাটে। তখন মার্ক জোকারবার্গ কিচেনে ছিলেন। তিনি তার কম্পিউটারে কাজ করছিলেন। প্রিসিলা পরিচয় করিয়ে দেয়ার পর মুচকি হেসে তিনি বলেছেন, সব গ্রেটম্যানের পেছনে একজন গ্রেটওমেন থাকেন। সোয়ানসন বলেন, সবাই বলে জোকারবার্গকে বিয়ে করে প্রিসিলা লাকি। কিন্তু জোকারবার্গ জানেন আসলে প্রিসিলাকে পেয়ে তিনি লাকি। তিনি বলেন, প্রিসিলা হলেন মার্কিন স্বপ্নের সর্বশেষ উদাহরণ। তার বাবা-মা কিছুই না নিয়েই এখানে এসেছিলেন। আর এখন তিনি নিজ চেষ্টায় বিলিয়নিয়ার হওয়া সবচেয়ে কম বয়সীর স্ত্রী। এর থেকে ভাল আর কি হতে পারে। প্রিসিলা তার পরিবারের শিকড়ের সম্মান রক্ষা করেছেন। তার অফিসিয়াল বায়োগ্রাফিতে উল্লেখ আছে কুইন্সি হাইস্কুল থেকে তিনি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। সেখানে এক পার্টিতে বাথরুমের লাইনে তার জোকারবার্গের সঙ্গে পরিচয় ২০০৩ সালে। সম্প্রতি প্রিসিলা ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডাক্তারিতে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেছেন। ভবিষ্যতে শিশু রোগের ডাক্তার হতে চান তিনি।

পুরুষের জন্য জন্মবিরতিকরণ পিল!

 পুরুষদের জন্যও জন্মবিরতিকরণ পিল বানানো সম্ভব। একটি জিন’কে চিহ্নিত করার পর এমন আশা ব্যক্ত করেছেন বিজ্ঞানীরা। এডিনবার্গের গবেষকরা বলেছেন, পুরুষের প্রজননতন্ত্রে সুস্থ শুক্রাণু উৎপাদনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে একটি জিন। তারা ওই জিনটিকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। এ বিষয়ে গবেষকরা ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা চালিয়ে কাটনাল নামের ওই জিনটিকে শনাক্ত করেন। এটি শুক্রাণু উৎপাদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে ভূমিকা রাখে। তাই বিজ্ঞানীরা বলছেন, ওই কাটনাল নামের জিনটির স্বাভাবিক কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে পারলেই সে শুক্রাণু উৎপাদন করতে পারবে না। ফলে কাটনালকে নিষ্ক্রিয় করতে পারলে সেই পদ্ধতিতে পুরুষের জন্য জন্মনিরোধক পিল আবিষ্কার করা সম্ভব। প্রজনন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন একটি পিলের খুবই দরকার। পুরুষের জন্য এখন পর্যন্ত যেসব জন্মনিরোধক ব্যবস্থা আছে তা হলো কনডম ব্যবহার করা অথবা ভ্যাসেকটমি করানো। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের সেন্টার ফর রিপ্রোডাকটিভ হেলথ-এর গবেষকরা এখন পুরুষের দেহে অনুর্বরতার কারণ কি তা নিয়ে গবেষণা করছেন। তারা ইঁদুরের জেনেটিক কোড একের পর এক ব্যবহার করে দেখছেন কোনটির কারণে অনুর্বরতা আসে। এ গবেষণা করতে গিয়েই তারা কাটনালের সন্ধান পান। ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গের ডা. লি স্মিথ বলেছেন, আমরা যদি এই গবেষণায় সফল হই তাহলে আমরা জন্মনিরোধক পিল তৈরি করতে পারবো।

Wednesday, May 30, 2012

ভারতে ২১ লাখ রুপিতে গর্ভ ভাড়া

একটি সন্তানের মুখ দেখতে দম্পতিদের কতই না আকাঙ্খা! যাদের সন্তান নেই অথবা সন্তান হয় নাÑ তারা বোঝেন একটি সন্তান না থাকার বেদনা। তাই তো সুদূর বৃটেন থেকে এমন দম্পতিরা অথবা সিঙ্গেল লোকজন (যাদের বিয়ে হয়নি বা বিয়েতে যাদের আপত্তি আছে) তারা একটি সন্তানের জনক বা জননী হতে ছুটে আসেন ভারতে। এখানে এসে মায়েদের গর্ভ ভাড়া নেন। একটি সন্তানের জন্য ২১ লাখ রুপি পর্যন্ত তারা গর্ভ ভাড়া নিয়ে থাকেন। বৃটেনে এ ভাবে গর্ভ ভাড়া নেয়া নিষিদ্ধ বলে তারা ছুটে আসেন ভারতে। ভারতে এমন সেবা দেয়ার জন্য এখন ১০০০ ক্লিনিক আছে। তারা বৃটিশ নর-নারীকে সন্তানের জন্য গর্ভ ভাড়া নিতে সহায়তা করে থাকে। এক্ষেত্রে গড়ে তারা ২৫ হাজার পাউন্ড বা ২১ লাখ রুপিতে একটি গর্ভ ভাড়া নিয়ে থাকেন। গত বছরে এভাবে ভারতে ভাড়া করা গর্ভে জন্ম নিয়েছে ২০০০ শিশু। তাই ভারতীয় কর্তৃপক্ষ এখন বিশ্বাস করছে, গর্ভ ভাড়া বাণিজ্যে ভারত প্রতি বছর ১৫০ কোটি পাউন্ড আয় করছে এবং এই ব্যবসাকে জরুরি ভিত্তিতে রেগুলেট করতে হবে। ভারতে কোন মা যদি ডিম্বানু দান করেন এবং গর্ভ ভাড়া নেন তাহলে তাকে দেয়া হয় ৫ দশমিত ২ লাখ রুপি। এর মাধ্যমে ভারতে এসে বৃটিশ ব্যাংকার, সরকারি সিনিয়র চাকরিজীবি, বহুজাতিক কোম্পানির নির্বাহীরা, এমনকি বৃটেনের জাতীয় স্বাস্থ্য সেবায় নিয়োজিতরা ভারতে এসে গর্ভ ভাড়া নিচ্ছেন।

নিউটনের ধাঁধা ৩৫০ বছর পর সমাধান করলো ১৬ বছরের শৌর্য

ভারতীয় বংশোদ্ভূত ১৬ বছরের এক বিস্ময়-কিশোর শৌর্য রায়। জার্মানির ড্রেসডেনে বসবাস। দীর্ঘ সাড়ে ৩শ’ বছরেরও বেশি সময় যে সমস্যার সমাধান কেউ করতে পারেননি, তা পেরেছে ১৬ বছরের ওই কিশোর। বিজ্ঞানী স্যার আইজ্যাক নিউটনের জটিল এক গাণিতিক সমস্যার সমাধান বের করে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সে। ৩৫০ বছরেরও বেশি আগে নিউটন বস্তুর গতি সংক্রান্ত দু’টি মৌলিক প্রশ্ন রেখেছিলেন বিশ্ববাসীর সামনে। পৃথিবীর ওপর থেকে কঠিন কোন বস্তুকে যদি সামনের দিকে পৃথিবীর সমান্তরালে ছোড়া হয়, কিছুক্ষণ পর ওই বস্তুটি অভিকর্ষ বলের প্রভাবে মাটিতে নেমে আসে। তবে কঠিন বস্তুটির ওপর প্রয়োগ করা বল ও অভিকর্ষের টান, দু’টো মিলিয়ে একটি মিশ্র-বল তৈরি হয়। এর প্রভাবে কঠিন বস্তুটি খানিকটা বাঁকা বা তীর্যক পথে মাটিতে এসে পড়ে। আরও জোরে বস্তুটিকে ছোড়া হলে, বস্তুটি মাটিতে আরও দূরে ও আরও বাঁকা পথে পড়ে। এখানেই ধাঁধাটি রেখেছিলেন নিউটন। নিউটনের প্রশ্ন ছিল, ঠিক কোন গতিতে বস্তুটি ছোড়া হলে, সেটি পৃথিবীতে গোল হয়ে ঘুরতে ঘুরতে মাটিতে ঠিক ছোড়ার স্থান বরাবর পড়বে? আর মাটিতে আঘাত করার পর বস্তুটি কোন দিকে ছিটকে যাবে? বছর কয়েক আগে বেশ উন্নত কম্পিটারের সাহায্যে এ প্রশ্ন দুটির সমাধান করতে পেরেছিলেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তাও ছিল বেশ জটিল। কিন্তু কিশোর শৌর্য খুব সহজেই অঙ্ক কষে গাণিতিক সমস্যা দুটির সমাধান করে তাক লাগিয়ে দিয়েছে বাঘা-বাঘা বিজ্ঞানীদের। শুধু তাই নয়। শৌর্যের বাতলে দেয়া পদ্ধতিতে সহজেই হিসেব করে বের করা যাবে বস্তুটির গতিপথ। শৌর্যের পিতা একজন প্রকৌশলী। কাজের সূত্রে চার বছর আগে কলকাতা থেকে জার্মানিতে পাড়ি দেয় শৌর্যের পরিবার। জার্মান ভাষা জানতো না শৌর্য। আর এখন জার্মান ভাষায় পটু সে। একদিন স্কুল থেকে  ড্রেসডেন বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শৌর্য ও তার সহপাঠীদের। সেখানে এক অধ্যাপক তাদের কাছে দাবি করলেন, কোন মানুষের পক্ষে নিউটনের এই জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা সম্ভব নয়। কিন্তু অধ্যাপকের সে দাবি শৌর্য মেনে নিতে পারেনি। তার ভাষায়, ‘আমি নিজেকে জিজ্ঞেস করলাম, কেন নয়? সব কিছুরই উত্তর সম্ভব। এ সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়, এমনটা আমি বিশ্বাসই করলাম না।’ মাত্র ৬ বছর বয়স থেকে জটিল সব গাণিতিক সমস্যার সমাধান করার চর্চা শুরু করলো সে। তবে শৌর্যের দাবি, সে কোন ‘জিনিয়াস’ নয়। স্কুলে শৌর্যের অসাধারণ প্রতিভা, বুদ্ধিমত্তা ও মেধা দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে দুটি শ্রেণী ডিঙিয়ে আরও ওপরের ক্লাসে পড়ার অনুমতি দেন।

বিড়ালপ্রেমে স্বামী-স্ত্রী’র তালাক

 বিড়াল প্রেমের কারণে ইসরাইলের এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে তালাক দিয়েছেন। তার স্ত্রীর কাছে স্বামীর চেয়ে বিড়াল বেশি প্রিয়। তাই তিনি বাড়িতে একে একে ৫৫০টি বিড়াল পোষা শুরু করেন। কিন্তু এত্তগুলো বিড়ালের অত্যাচারে বাড়ির অবস্থা যা-তা। টাইমস অব ইসরাইল জানায়, বিছানায় মলমূত্র ত্যাগ, এটা ওটা এলোমেলো করা, বিড়াল-বিড়াল ঝগড়া, খাবারের মধ্যে বিড়ালের লোম, রাতে ঘুমানো যায় না, বিড়ালগুলো মেঝেতে ঘুমায় না, তারা ওই দম্পতির আরামদায়ক বিছানাকে ঘুমানোর জন্য বেছে নেয়। তাদের অত্যাচারে বাথরুম পর্যন্ত ব্যবহার করা যায় না। রান্নাঘরে রান্না করার মতো পরিস্থিতি থাকে না। খেতে বসলে খাবারের প্লেটে লাফিয়ে পড়ে বিড়াল। এমনতরো নানা অত্যাচারে অতিষ্ঠ ওই স্বামী। এক পর্যায়ে তিনি তার স্ত্রীকে অনুরোধ করেন বিড়ালগুলো বাড়ি থেকে বের করে দিতে। কিন্তু তাতে মোটেও রাজি নন তার স্ত্রী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়দিনই ঝগড়া হতে থাকে। অতিষ্ঠ হয়ে তিনি স্ত্রীকে রাগ ঝাড়েন- বিড়াল বাড়ি থেকে না তাড়ালে তোমাকে তালাক দেবো। স্ত্রীও কম যান না। তিনি সাফ জানিয়ে দেন- তিনি স্বামীসঙ্গ ত্যাগ করতে রাজি। কিন্তু বিড়াল কিছুতেই তিনি কাছছাড়া করবেন না। এ নিয়ে ইসরাইলের বিরশেবা শহরে আদালতে মামলা ওঠে। সেখানে আদালত থেকে তাদেরকে ফের মিলেমিশে যেতে বলা হয়। কিন্তু মিলিত হওয়ার জন্য ওই ব্যক্তির স্ত্রী সেই ‘তালগাছটা আমার’ জাতীয় মন্তব্য করেন। তিনি বলে দেন- তিনি স্বামীকে ত্যাগ করতে রাজি আছেন। কিন্তু বিড়ালকে ত্যাগ করবেন না। তো আর কি করা। বিড়ালের কারণে ভেঙে যায় তাদের সংসার।

নিয়ম ভঙ্গের কথা স্বীকার করলেন ব্যারোনেস ওয়ারসি

নিয়ম ভঙ্গের কথা প্রকাশ্যে স্বীকার করলেন বৃটেনের কনজার্ভেটিভ পার্টির কো-চেয়ারম্যান পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ব্যারোনেস ওয়ারসি। লন্ডনে নিজের বাসা ভাড়া পাওয়ার কথা না জানিয়ে তিনি হাউজ অব লর্ডসের নিয়ম ভঙ্গ করেছেন। তিনি নিজের বাড়ি ভাড়া দিয়ে অর্থ আদায় করলেও যখন এক বন্ধুর বাসায় থেকেছেন তখনও তিনি ভাড়া বাসায় থাকছেন বলে সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ তুলেছেন। এ নিয়ে বৃটেনে তোলপাড় চলছে। বলা হচ্ছে, তিনি ওই সময় প্রতি রাতের জন্য ১৬৫ পাউন্ড করে নিয়েছেন। এসব কথা প্রকাশ হয়ে পড়ায় তার বিরুদ্ধে নিরপেক্ষ তদন্তের ডাক উঠেছে। লেবার দলের এমপিরা তার বিরুদ্ধে এমন তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।  বৃটেনে হাউজ অব লর্ডসের সদস্যদের নিজের কোন বাসা থাকলে তা রেজিস্ট্রারে উল্লেখ করতে হয়। যাদের বাসা নেই তারা বাসা ভাড়ার জন্য অতিরিক্ত অর্থ পান। কিন্তু ওয়ারসি ওই রেজিস্ট্রারে নিজের বাড়ির কথা উল্লেখ করেননি। ফলে তিনি সরকারি কোষাগার থেকে অর্থ পেয়েছেন। এদিকে কেবিনেট অফিস থেকে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রারে ওয়ারসির বাসা থাকা ও এর থেকে ভাড়া পাওয়ার বিষয়টি উল্লেখ না করাটা ছিল ভুল। এতে বলা হয়, তিনি ওয়েম্বলির ফ্লাটের কথা রেজিস্ট্রার অব মিনিস্টারস ইন্টারেস্টে উল্লেখ করেছেন। এটি কেবিনেট অফিস ও এইচএম রেভিনিউ অ্যান্ড কাস্টমসেও উল্লেখ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসায় নতুন করে ঝামেলায় পড়বেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন। এমনিতেই নিউজ অব দ্য ওয়ার্ল্ড ও সংস্কৃতিমন্ত্রীর বিএসকেওয়াইবি ঘটনা নিয়ে বিপদের মুখে রয়েছেন ক্যামেরন। গতকাল এ খবর দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, ওয়ারসি বলেছেন, তিনি এ সম্পত্তি ২০০৭ সালে কিনেছেন। ২০১০ সালে মন্ত্রী হওয়ার পর সেখানে বসবাস শুরু করেন তিনি। যার কারণে রেজিস্ট্রার অব মিনিস্টারস ইন্টারেস্টে উল্লেখ করলেও ভুলে রেজিস্ট্রার অব লর্ডস ইন্টারেস্টে এটি উল্লেখ করা হয়নি। তিনি বলেন, আমি ভুলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে বলছি, তখন এর মূল্য বা ভাড়া কোনটাই বাস্তবতায় আসেনি। কিন্তু যখন এটি সামনে এসেছে তখনই আমি এটা রেজিস্ট্রার অব লর্ডস ইন্টারেস্টে জানিয়েছি। হাউজ অব লর্ডসের সদস্যদের ৫শ’ পাউন্ডের বেশি আয় হলে তার উৎস জানাতে হয়।

পশ্চিমা স্টাইলে পোশাক পরায় অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা

পশ্চিমা স্টাইলে পোশাক পরার কারণে ইতালিতে বসবাসকারী অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যা করেছে এক ভারতীয়। ওই ভারতীয় ব্যক্তির নাম সিং কুলবির। ঘটনার পর সে ইতালির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর পিয়াসেনজার পুলিশের কাছে বলেছে, তার স্ত্রীর নাম কাউর বালবিন্দে (২৭)। বারবার বারণ করা সত্ত্বেও বালবিন্দে ভারতীয় রীতি বাদ দিয়ে পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক পরতে থাকেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীতে অনেক কথা কাটাকাটি হয়েছে। এ পর্যায়ে সমপ্রতি কুলবির তার স্ত্রীকে হত্যা করে। তারপর লাশ পো নদীতে ফেলে দেয়। নিখোঁজ হওয়ার ১৫৩ দিন পর গত রোববার বালবিন্দের লাশ পো নদীতে ভেসে ওঠে। সে খবর পুলিশে যায়। পুলিশ তথ্য-তালাশ করতে করতে কুলবিরের সন্ধান পায়। বালবিন্দের একটি ৫ বছর বয়সী ছেলে আছে এবং তিনি ছিলেন ৩ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার স্বামী  কুলবির চাকরি করে একটি কৃষিবিষয়ক কোম্পানিতে। সেখানে সে একটি গবাদিপশুর ফার্মে গবাদিপশু দেখাশোনা করতো। বাসেলিকো ডুসে গ্রামে তাদের দিনকাল ভালই যাচ্ছিল। কিন্তু ইদানীং বালবিন্দে পশ্চিমা স্টাইলের পোশাক পরার কারণে কুলবিরের সন্দেহ হয় তার স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে। এমন ভাবনা থেকে সে তার স্ত্রীকে হত্যা করে। 

Wednesday, May 23, 2012

মৃত্যুর পর বেঁচে উঠলেন তিনি!

আনুষ্ঠানিক মৃত ঘোষণার ২৫ মিনিট পর বেঁচে উঠে রেকর্ড গড়েছেন নিউজিল্যান্ডের গ্যাড নামের এক ব্যক্তি। সম্ভবত পর্বতশৃঙ্গে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার পর বেঁচে ওঠা প্রথম ব্যক্তি তিনি। ঘটনাটি ১৮ই ফেব্রুয়ারির। তবে বিলম্বিত এ খবর গতকাল প্রকাশ করেছে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক। নাগুরোহ পর্বতশৃঙ্গের টোঙ্গারিরো ক্রসিং অঞ্চলে হাঁটছিলেন ৭০-এ পা রাখা গ্যাড। হঠাৎ হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। ওই সময় তার সঙ্গে ছিলেন তার দুই বন্ধু। কিছুক্ষণ বিশ্রামের জন্য বিরতি নেয়ার সময় তার বন্ধু কলিন ডায়াবেটিসের সুগার পরীক্ষা করছিলেন। এমন সময় হঠাৎ তার মাথা ঘোরা ও বুকে ব্যথা শুরু হয় বলে জানান গ্যাড। তিনি বলেন, আমি বুঝে গেছি আর ফিরে যেতে পারবো না। তাই আমরা ১১১ নম্বরে জরুরি ফোন করি। তারপর উদ্ধার টিম গিয়ে হেলিকপ্টারে করে তাকে উদ্ধার করে। এ সময় উদ্ধার দলের ডাক্তারসহ সবাই গ্যাডকে মৃত ঘোষণা করেন। উদ্ধার দলের একজন মোর বলেন, আমরা সেখানে ঘোরাফেরা করছিলাম। পর্বতশৃঙ্গের উপরে মেঘের অবস্থা ছিল খুবই হাল্কা। কিন্তু একজনের বুকের ব্যথা হলে সবকিছু দ্রুত করা হয়। তার ব্যথার অবস্থা খারাপ হতে থাকলে তাকে সাধারণ ওষুধ দেয়ার ব্যবস্থা করি আমরা। তিনি বলেন, তার অবস্থা দেখে আমরা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়ি। তাকে ওষুধ দিই। সেবা করি। এতে তার নার্ভ কাজ শুরু করে। তিনি শ্বাস-প্রশ্বাস নেয়া শুরু করেন। আস্তে আস্তে কুয়াশার তীব্রতা বাড়তে থাকে। বরফাচ্ছাদিত হতে শুরু করে পর্বতশৃঙ্গ। তাই মোরসহ উদ্ধারকর্মীরা গ্যাডকে অপেক্ষা করা বিমানের কাছে নিয়ে যান। কিন্তু এ সময় আবারও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়ায় সমস্যা দেখা দেয় গ্যাডের। এতে করে আরও ২০ মিনিট হৃদক্রিয়া বন্ধ থাকে তার। পরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে ওইকেটো হাসপাতালে নেয়া হয়। তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে মৃত ঘোষণা করা হয়। কিন্তু একবার ৫ ও একবার ২০ মিনিট পর দেখা যায় তার সমস্যা হয়নি। তিনি শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে শুরু করেন। ওইকেটো হাসপাতালে দেখা যায় তার হৃদক্রিয়ায় সামান্য ক্ষতি হয়েছে মাত্র। গ্যাড বলেন, ওই সমস্যা কেটে উঠতে তার মোট ২ মাস লেগেছে। গত সপ্তাহে সুস্থ হওয়ার পর নিউজিল্যান্ড স্টিল সিস্টেম বিশেষজ্ঞ গ্যাড ও তার স্ত্রী ম্যাক্সিন তার উদ্ধার দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। গ্যাড বলেন, এটা ছিল একটা বিস্ময়কর ঘটনা। সবাই চেষ্টা করে আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। আমি সবার প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ। এদিকে উদ্ধার দলের মোর বলেন, ২৫ মিনিট গ্যাড মৃত ছিলেন এটা সত্য। এটা পর্বতারোহী হৃদরোগীদের মধ্যে আশার সঞ্চার করেছে। তবে এমন পুনর্জীবন লাভের ঘটনা আর শুনিনি আমি।

ওবামাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানালেন বিলাওয়াল

ন্যাটো বাহিনীর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি। তিনি বলেছেন, ওবামার সাহস দেখানো উচিত। তার উচিত পাকিস্তানের কাছে ক্ষমা চাওয়া। গত বছর ন্যাটোর হামলায় পাকিস্তানের ২৪ সেনা নিহত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। ওদিকে সোমবার রাতে নিউ ইয়র্কে দলীয় কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশে ভাষণ দেন বিলাওয়াল। তিনি ন্যাটোর সেই হামলার কথা সামনে এনে বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট ওবামাকে কিছুটা সাহস দেখানোর আহ্বান জানাচ্ছি। আমি বুঝি, তিনি ফের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করছেন। কিন্তু তিনি সেই ব্যক্তি যিনি আশা ও পরিবর্তনের কথা দিয়ে বিশ্বকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন। তাই পাকিস্তান তার পক্ষ থেকে একটি ক্ষমা দাবি করতেই পারে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির ২৩ বছর বয়সী পুত্র বিলাওয়াল এ সময় পাকিস্তানের ভিতরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা বন্ধ করারও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, তিনি এমন এক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর করছেন যখন ৬৫ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন জি-নিউজ জানায়, পাকিস্তানের ভিতরে ন্যাটো বাহিনীর হামলায় ২৪ সেনা সদস্য নিহত হওয়ার পর দু’দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দেয়। পাকিস্তান এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রকে ক্ষমা চাওয়ার প্রস্তাবে অটল। একই সঙ্গে তারা চায় পাকিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলা বন্ধ হোক। ওদিকে বিলাওয়ালের পিতা, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারির সঙ্গে শিকাগোতে ন্যাটো সম্মেলনে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানান বারাক ওবামা। সেখানেও ওই একই ইস্যু তাদের মধ্যে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।

সুন্দরী হওয়ার খেসারত


তিনি খুব সুন্দরী। সেই রূপে ঈর্ষান্বিত হয়ে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছেন তারই বস। এ অভিযোগে ওই বসের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটানের ২৯ বছর বয়সী এক যুবতী। তবে তার ও তার বসের নাম জানা যায়নি। গতকাল বার্তা সংস্থা এএনআই’কে উদ্ধৃত করে এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক। এতে বলা হয়েছে, ম্যানহাটানের ৫ম এভিনিউয়ে নারীদের অন্তর্বাসের একটি পাইকারি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রধান অফিসে গত ২৪শে এপ্রিল চাকরি নিয়েছিলেন ওই যুবতী। সেখানে তাকে দায়িত্ব দেয়া হয় ক্রেতার কাছে স্যাম্পলের শিপমেন্ট পাঠানোর সমন্বয়ের কাজ এবং এর ব্যবস্থাপনা। কিন্তু কাজে যোগ দেয়ার দিনেই তার শারীরিক গঠনের দিকে চোখ পড়ে তার বসের। তিনি আকারে ইঙ্গিতে নানা কথা বলতে থাকেন তাকে। ওই অফিসের কোন নির্ধারিত ড্রেস কোড ছিল না। ফলে কোন কোন কর্মচারী ট্যাংক-টপ পরে যান। কেউবা সাধারণ পোশাক পরেন। চাকরির দ্বিতীয় দিনে ওই যুবতী একটি শর্ট স্লিভ পরেন। এতে আপত্তি তোলেন তার বস। তিনি তাকে বলেন, এটা পড়লে অধিক মনোযোগ আকর্ষণ হয় এবং কর্মক্ষেত্রে তিনি নিরাপদ না-ও থাকতে পারেন। তাই তার এ পোশাক পরা উচিত নয়। এর পরের দিন তিনি একটি মাথায় কাপড় দেয়া যায় এমন একটি পোশাক পরে অফিসে যান। কিন্তু এদিনও তা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েন তিনি। পঞ্চম দিনে তিনি হাঁটু অবধি লম্বা কালো একটি পোশাক পরেন। তার ওপরে ব্যবহার করেন একটি শাল। তার আশা ছিল এতে তার বস খুশি হবেন। কিন্তু তার পরিবর্তে তাকে তার বস লাল একটি লাল পোশাক পরতে বলা হয়, যা রাখা ছিল বাথরুমে। বসের কথামতো ওই যুবতী মহিলাদের বাথরুমে গিয়ে পোশাকটি পরেন। বেরিয়ে আসার পর তাকে বিব্রতকর অবস্থায় পড়তে হয়। তাকে দেখে অফিসের সবাই হাসাহাসি করতে থাকে। এতে তার শরীরের স্পর্শকাতর অঙ্গগুলো স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ফলে তার বস তাকে অন্তর্বাস পরে তা নিবৃত করতে বলেন। এ অবস্থায় ওই যুবতী তার বসকে জিজ্ঞেস করেন- আপনি কি আমার সঙ্গে ঠাট্টা করছেন? এরপর তিনি ওই পোশাকটি খুলে ফেলেন। আরেকটি পোশাক পরেন। ভাবেন, এটা তার বসের পছন্দ হবে। কিন্তু ততক্ষণে বস তাকে ফোন করে জানান দেন, তোমার চাকরি নেই। তোমাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এতে তিনি মনে করেন, তার শরীরের গঠনে আকৃষ্ঠ হয়ে তার বস এমন কাজ করেছেন। এর জন্য তিনি ইকুয়াল এমপ্লয়মেন্ট অপরচুনিটি কমিশনে মামলা করে দিয়েছেন।

মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি

প্রথম বাংলাদেশী নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়ায় আরোহণ করা নিশাত মজুমদার ও তার সঙ্গী এমএ মুহিত বর্তমানে বেজ ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। সেখান থেকে বিবিসিকে একটি সাক্ষাৎকার দেন তিনি। বাংলাদেশে প্রথম নারী হিসেবে এভারেস্ট চূড়া স্পর্শ করার অনুভূতি কেমন ছিল? এর জবাবে নিশাত মজুমদার বলেন, আসলে এটা একটা অন্যরকম অনুভূতি। ভাষায় প্রকাশ করাটা কঠিন আমার জন্য। তারপরও অনেক অনেক অনেক ভাল লাগা। আমাদের দেশের মেয়েদের যে অবস্থা সেখান থেকে এমন একটা জায়গার উচ্চতায় আরোহণ করাটা খুব কঠিন। তারপরও ওরা আমাদেরকে নিয়ে যখন দেখবে যে একটা মেয়ে এই কাজটা করতে পারছে। এমন একটা কঠিন কাজ। সুতরাং আমরা এর চেয়ে কঠিন কাজ করতে পারবো। এবারের এভারেস্ট আরোহণ আপনার জন্য কতটা কঠিন ছিল। কারণ আমরা জানি আবহাওয়া অনেক খারাপ ছিল। কয়েকদিন আগেও কয়েকজন পর্বতারোহী মারা গেছেন। তো আপনার জন্য পরিস্থিতিটা কেমন ছিল। জবাবে নিশাত বলেন, অসম্ভব রকমের কঠিন। এটা আমার চাইতে মুহিত ভাইয়া ভাল বলতে পারবেন। ভাইয়া বলছিলেন, তিব্বত দিয়ে গতবার উঠেছেন। উনি বলছেন তিব্বতের চাইতে এটা বিশগুণ কঠিন। অনেক বেশি লম্বা রাস্তা। তাছাড়া টেকনিক্যাল ডিফিকাল্টও বেশি। সবকিছু মিলে এটা ছিল অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। আমার কাছে মনে হয়েছে যে, এত বেশি কঠিন জানলে হয়তো আমি আসতাম না। এখন কি মনে হচ্ছে। এসে ভুল করেছেন, না ঠিক করেছেন। এমন প্রশ্নে নিশাত বলেন, এখন বেজ ক্যাম্পে বা নিরাপদ জায়গায় আছি। এখন মনে হচ্ছে ঠিক আছে। কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত বেজ ক্যাম্পে না পৌঁছেছি- ততক্ষণ পর্যন্ত মনে হয়েছে না কেন এসেছি। কি দরকার ছিল আসার। এতো কষ্ট কেন করেছি। এতো কষ্ট করে কি দরকার পর্বতারোহণের। একটা প্রশ্ন খালি ঘুরপাক খাচ্ছে আমার মনের মধ্যে। কেন মানুষ এতো কষ্ট করে পর্বতারোহণ করে। আমি এর কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছি না। এতো কষ্ট করে কি দরকার পর্বতারোহণ করার। তো এভারেস্টের শীর্ষে পা রেখে সেই প্রশ্নটার কি কোন উত্তর পেয়েছেন? এর জবাবে নিশাত বলেন, এখনও নিজেকে সন্তুষ্ট করার মতো উত্তর পাইনি। আবহাওয়ারও তো খুব একটা সহযোগিতা আপনারা পাননি-এর উত্তরে নিশাত জানান, হ্যাঁ আবহাওয়াটা প্রচণ্ড রকমের খারাপ ছিল। আমরা যখন সামিটে ছিলাম। সামিটে আমাদের সময়টা এতো খারাপ ছিল যে, আমি সৃষ্টিকর্তাকে বলছিলাম, তুমি এত কষ্ট করে আমাদেরকে নিয়ে এসেছো। কিন্তু আমাদেরকে সময়টা উপভোগ করতে দিলে না। প্রচণ্ড বাতাস ছিল। মনে হচ্ছিল আমি উড়ে যাবো। এরকম একটা অবস্থা। তারপর যখন নেমে আসছি সেখান থেকে ৩শ’ সাড়ে ৩শ’ কিলোমিটার বেগে বাতাস বইছিল। আমাদের মনে হয়েছিল আমরা যে চারজন ছিলাম আমাদেরকে উড়িয়ে নিয়ে যাবে। কি যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি ছিল। না দেখলে এটা বোঝানো যাবে না। ঠিক চূড়ায় আরোহণ এবং শীর্ষ চূড়া স্পর্শ করার পর ঠিক সেই সময়ের অনুভূতিটা কেমন ছিল। কি মনে হয়েছিল। জবাবে নিশাত মজুমদার বলেন, আমার একটি সমস্যা ছিল। চোখে দেখতে পাচ্ছিলাম না। উপর থেকে ক্যাম্পে ফিরে আসা পর্যন্ত আমি চোখে দেখছিলাম না। ঝাপসা দেখছিলাম। যার জন্য এভারেস্টের চূড়া থেকে পৃথিবীর সর্বোচ্চ জায়গা থেকে যে পৃথিবীটা দেখা যায়। দেখতে কেমন। আমি তখন সৃষ্টিকর্তাকে বলছিলাম তুমি যখন আমাকে নিয়ে আসছো তবে ভালভাবে দেখতে পর্যন্ত দিচ্ছো না। দেখতে পাচ্ছি তবে ঝাপসা। এই কষ্টটা তখন ছিল। বিশ্বাস হচ্ছিল না নিজেকে যে আমি ওখানে আছি। আপনি জানেন প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী আপনাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আপনার এই কৃতিত্ব নিয়ে দেশে বিরাট হইচই পড়ে গেছে। নিশ্চয়ই দেশে ফেরার জন্য মুখিয়ে আছেন। এর জবাবে তিনি বলেন, অবশ্যই বাবা-মা’র কাছে, পরিবারের কাছে যেতে তো খুব ইচ্ছা করছে। আমার যখন টার্গেট থাকে সেটা স্পর্শ করা হলো মুখ্য বিষয়। কিন্তু যখন সেটা হয়ে যায় তখন মনে হয় কখন বাসায় যাবো। এখনো তাই। বাংলাদেশে যারা আপনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন তাদের জন্য কোন বার্তা- নিশাত বলেন, সবার প্রতি আমার অশেষ অশেষ কৃতজ্ঞতা। আপনাকে বললাম না যে, আমরা অনেক বিপদে পড়েছিলাম। একেবারে মৃত্যুকে সামনে থেকে দেখে এসেছি। আমাদের তো মনে হয়েছিল আমার নতুন জন্ম। দ্বিতীয় জন্ম। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া। যখন দেখলাম আমরা চারজন মানুষ ওই বিপদে পড়লাম। চারজন মানুষ সুস্থ আছি। কোন সমস্যা হয়নি। তখন আমার কাছে একটা কথাই মনে হয়েছে। যে দেশের মানুষ আমাদের জন্য এত বেশি দোয়া করেছেন যে, তার জন্যই আজকে আমরা এভাবে বেঁচে ফিরতে পেরেছি। তা না হলে কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। ওই বিপদ থেকে এভাবে ফিরে আসা। আমাদের সঙ্গে অন্য একজন শেরপা ছিল যার একজন পড়ে গিয়ে বুকের হাড় ভেঙে গেছে। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে গেছে। কিন্তু আমরা চারজন মানুষ সুস্থ আছি। আমার কাছে মনে হয়েছে এটা অস্বাভাবিক। মনে হচ্ছে যে এটা আমাদের দেশের মানুষের দোয়ার জন্যই সম্ভব হয়েছে। তাদের সবার প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা।
মা আমি আকাশ ছুঁয়েছি
স্টাফ রিপোর্টার জানান, বেস ক্যাম্পে পৌঁছে উচ্ছ্বসিত নিশাত মাকে ফোন করে বললেন, মা আমি আকাশের কাছে গিয়েছিলাম। আবেগ আপ্লুত মা আসুরা মজুমদার জানতে চাইলেন, তুই কেমন আছিস মা? নিশু জবাব দিলেন, মা ভাল আছি, বেঁচে আছি তোমাদের দোয়ায় এবং দেশের মানুষের ভালবাসয়। তুষার ঝড়ের কবলে পড়েছিলাম, সামান্য আহতও হয়েছি তবে ফিরে এসেছি, সফল হয়েছি, বিশ্বের সবচেয়ে উচ্চ পর্বতের চূড়ায় উঠে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছি। তোমরা বাড়ির সকলে কেমন আছো? গতকাল বেলা ২টার দিকে বেস ক্যাম্প থেকে মোবাইল ফোনে ঢাকায় মায়ের সঙ্গে কথা বলেন এভারেস্ট জয়ী প্রথম বাংলাদেশী নারী নিশাত মজুমদার। বেলা ১টার দিকে নিশাত মজুমদার এবং এমএ মুহিত ক্যাম্প ২ থেকে বেস ক্যাম্পে এসে পৌঁছান। নিশাত মজুমদারের মা আসুরা মজুমদার মানবজমিনকে বলেন, নিশাতের গলা বসে গেছে কথা বলতে পারছিল না। কথা বলতে খুব কষ্ট হচ্ছিল। এভারেস্ট বিজয়ে নিশাত খুব খুশি। সে দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে, সকলের দোয়া চেয়েছে। আসুরা মজুমদার জানান, মুহিতের সঙ্গেও কথা হয়েছে। তারা ভাল আছে বলে মুহিত জানিয়েছে। 
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা, ক্লাবের উপদেষ্টা ইনাম আল হক জানিয়েছেন বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে তার সঙ্গে নিশাত ও মুহিতের কথা হয়েছে, বেস ক্যাম্পে পৌঁছে তারা ফোন করেছিল। ২৪ বা ২৫শে মে তারা বেস ক্যাম্প থেকে লুকলার উদ্দেশ্যে পায়ে হেঁটে যাত্রা শুরু করবেন। সেখান থেকে নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডু পৌঁছাতে আরও তিন দিন সময় লেগে যেতে পারে। ধারণা করা হচ্ছে, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ২৮শে মে নিশাত-মুহিত কাঠমাণ্ডু পৌঁছাতে পারেন। তিনি জানান, নিশাত-মুহিত এখন শারীরিকভাবে ভাল আছে তবে ফেরার পথে তারা তুষার ঝড়ের কবলে পড়েছিল। ঝড়ের কবলে পড়ে নিশাত সামান্য আহত হয়েছে কিন্তু অক্ষত অবস্থায় বেস ক্যাম্পে ফেরত এসেছে।
জানা গেছে, নিশাত-মুহিতের সঙ্গে ছিলেন নেপালি তিনজন শেরপা।
বাংলা মাউন্টেনিয়ারিং অ্যান্ড ট্রাকিং ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ নুর মোহাম্মাদ মানবজমিনকে বলেন, বেলা ২টার দিকে নিশাত-মুহিত বেস ক্যাম্পে খাওয়া-দাওয়া করেছেন। তাকে ফোনে জানিয়েছেন ২৮শে মে নাগাদ তারা নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে পৌঁছাতে পারেন তবে অনেক পথ পায়ে হেঁটে এসে লকুলা থেকে প্লেনে কাঠমাণ্ডুতে আসতে হবে, এখানে আবহাওয়া খারাপ থাকলে কাঠমাণ্ডুতে আসা দেরি হতে পারে।
নেপালে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার অধ্যাপক নিম চন্দ্র ভৌমিক জানিয়েছেন, নেপালে বাংলাদেশ দূতাবাস সংবর্ধনা দেবে এভারেস্ট জয়ী বাংলাদেশের প্রথম নারী নিশাত মজুমদার এবং দ্বিতীয়বার এভারেস্ট জয়ী এমএ মুহিতকে। ২৮শে মে তাদের কাঠমাণ্ডুতে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। ২৮শে মে তারা ফিরলে ওই দিনই দূতাবাস তাদের সংবর্ধনা দেবে।
বাংলাদেশ থেকে নেপালে যাচ্ছে আগ্রহীরা। জানা গেছে, নেপালের রাজধানী কাঠমাণ্ডুতে নিশাত-মুহিতকে সংবর্ধনা জানানোর জন্য নেপালে যাচ্ছে বাংলাদেশের অনেক আগ্রহী। এখন পর্যন্ত জানা গেছে, দ্বিতীয়বার এভারেস্ট বিজয়ী এমএ মুহিতের বোন সাংবাদিক বেবী যাচ্ছেন কাঠমাণ্ডুতে ভাইকে রিসিভ করতে, আরও যাচ্ছেন নিশাত ও মুহিতের হিমালয় অভিযানের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান প্যারাগন গ্রুপের চেয়ারম্যান মশিউর রহমান এবং সুইস বেকারির স্বত্বাধিকারী উলফত কাদের।

Tuesday, May 22, 2012

আইপিএল কেলেঙ্কারি খেলোয়াড়, বলিউড সেলিব্রেটিসহ আটক ১০০

আইপিএলে ঘটে গেছে চাঞ্চল্যকর কেলেঙ্কারি। মুম্বইয়ের ওকউড প্রিমিয়ার হোটেলে এক উন্মাতাল পার্টিতে যৌনাত্মক পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় রোববার রাতে । সেখানে ছিলেন আইপিএলে অংশ নেয়া পুনে ওয়ারিয়র্সের দুই খেলোয়াড়, বলিউড মাতানো কয়েকজন নারী সেলিব্রেটি, কিছু বিদেশী। পার্টিতে যখন সবাই উত্তাল হয়ে পড়েন তখন সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। সেই অভিযানে দুই খেলোয়াড় ওয়েইন পারনেল ও  লেগ-স্পিনার রাহুল শর্মা, বলিউডের নারী সেলিব্রেটি, বিদেশী সহ আটক করা হয় প্রায় ১০০ জনকে। পারনেল ও রাহুল শর্মার রক্তের ও প্রস্রাবের কিছু নমুনা সংগ্রহ করার পর গতকাল তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। রাহুল শর্মা দাবি করেছেন, তিনি জানতেন না যে ওই পার্টি ছিল যৌন উসকানিতে ভরপুর। তাকে সেখানে নিমন্ত্রণ করা হয়েছিল জন্মদিনের পার্টির কথা বলে। এ জন্য তিনি ওয়াইন পারনেলকে সঙ্গে নিয়ে যান। তাদেরকে আটকের ওই দৃশ্য রোববার দিবাগত রাত ১ টার দিকে টেলিভিশন চ্যানেল জি-নিউজ ব্রেকিং নিউজ হিসেবে প্রচার করতে থাকে। তাতে দেখানো হয়- আটক বলিউড সেলিব্রেটিসহ যুবতীদের। এ সময় তাদের কেউ কেউ পরেছিলেন চোস্ত প্যান্ট। কেউ কেউ ছিলেন মিনি স্কার্ট পরা। তাদের অনেকেই ছিলেন বেসামাল, স্বল্পবসনা। টেলিভিশনের ফুটেজে দেখানো হয়- পুলিশ তাদের আটক করে নিয়ে যাওয়ার সময় ওইসব সেলিব্রেটি হাতে থাকা পার্স দিয়ে মুখ ঢাকার চেষ্টা করছেন। কেউবা মাথার চুল এলিয়ে এনে মুখ ঢাকার চেষ্টা করেন। ফলে তারা কারা তা সঠিকভাবে শনাক্ত করা যায়নি। মিডিয়া তাদের নামও প্রকাশ করেনি। একই অবস্থা হয় ওয়েইন পারনেল ও রাহুল শর্মাসহ আটক পুরুষদের। তারাও দু’হাতে মুখ ঢেকে ওঠেন পুলিশের ভ্যানে। তাদের কেউ হাতে থাকা রুমালে মুখ ঢেকে কোনমতে দু’চোখ খোলা রাখেন, যাতে রাস্তা দেখা যায়। এ নিয়ে গতকাল ভারতের  মিডিয়াগুলো ফলাও করে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিকের শিরোনাম- ‘আইপিএলের আরেকটি লজ্জা: জুহুতে রমরমা পার্টি থেকে পুনে ওয়ারিয়র্সের ২ খেলোয়াড় আটক’। এতে বলা হয়, পুলিশ ওই পার্টিতে অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ১১০ গ্রাম কোকেন। এতে লেখা হয়েছে- যখন আমরা ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগের (আইপিএল) ৫ম মওসুমের শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছি তখনই আরেকটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে গেল। এতে লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যায়। রোববার শেষ রাতে ওকউড হোটেলের মঞ্চে এক রমরমা পার্টি চলছিল। সেখানে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওয়েইন পারনেল ও রাহুল শর্মাসহ প্রায় ১০০ জনকে আটক করার পর হাসপাতালে নেয়া হয় রক্তের পরীক্ষা করাতে। ওই পার্টিতে থেকে পুলিশ উদ্ধার করেছে ১১০ গ্রাম কোকেন, যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট ও চরস। ওই রাতের অভিযানে নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম অঞ্চল) বিশ্বাস নাগরে পাতিল। আগে থেকেই তাদের কাছে এ বিষয়ে খবর ছিল। তার সূত্র ধরে পুলিশ ছদ্মবেশে ওই হোটেলের বিভিন্ন স্থানে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে অবস্থান নেয়। এরপর পার্টি শুরু হওয়ার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়। এতে অংশ নিয়েছিলেন এমন একজন কর্মকর্তা বলেছেন- ওই পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল একটি পুল (সুইমিং পুল)-এর পাশে। এতে যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন মডেল। আমরা আটক ব্যক্তিদের মধ্যে দু’জন খেলোয়াড়কেও পেয়েছি। তাদের মেডিকেল টেস্টের জন্য পাঠিয়েছি। আমরা ভারতীয় এক খেলোয়াড়কে সেখানে দেখার সঙ্গে সঙ্গে তিনি আমাদের কাছে অনুনয় করতে থাকেন, যাতে তাকে আটক বা তার নাম প্রকাশ করা না হয়। তাহলে তাতে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যাবে। তবে বিশ্বাস নাগরে পাতিল বলেছেন, আমরা দেখছি তারা কোন উত্তেজক বা মাদক সেবন করেছেন কিনা। এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, আটক করার পর পুরুষদের নিয়ে যাওয়া হয় কুপার হাসপাতালে। নারীদের প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় ভব হাসপাতালে। সেখান থেকে জে. জে. হাসপাতালে নেয়া হয়। এ ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে পুনে ওয়ারিয়র্সের ব্যবস্থাপনার এক সদস্য বলেছেন, আমরা সোমবার দুপুর ১২টায় খেলোয়াড়দের নিয়ে বাসে করে পুনে থেকে মুম্বই এসেছি। তাদেরকে বাস থেকে নামিয়ে দেয়ার পর আমাদের দায়িত্ব শেষ। তারপর কি হচ্ছে বা কি হবে সে দায় আমাদের নয়। ওদিকে অভিযুক্ত রাহুল শর্মা দাবি করেছেন, হোটেলের ওই পার্টি  উত্তেজনায় ভরপুর ছিল তা তিনি জানতেন না। তিনি জানতেন সেটা জন্মদিনের পার্টি। তিনি বলেছেন, আমি সেখানে একটি জন্মদিনের অনুষ্ঠানের নিমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছিলেন ওয়েইন পারনেল। তিনি বলেছেন, মেডিকেল টেস্টে যদি তার দেহে মাদকের উপস্থিতি ধরা পড়ে বা রিপোর্ট পজেটিভ আসে তাহলে তিনি ক্রিকেট ছেড়ে দেবেন। যারা আমাকে চেনেন, যারা আমার টিমমেট তারা জানেন আমি দল জেতার পর কখনও শ্যাম্পেন স্পর্শ করি না। ওদিকে আইপিএল নিয়ে কেলেংকারিতে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, তার রাজ্যে তিনি আইপিএল-এর কোন ম্যাচ অনুমোদন দেবেন না। কারণ আইপিএল লজ্জাজনক। এটি খেলার নামে সমাজে লজ্জা নিয়ে আসে। আইপিএলের এক বিতর্কের বিষয়ে তিনি ক্রিকেট আইকন শচীন টেন্ডুলকরের সমালোচনা করেন। তার কথায়- শচীনের মতো আইকন খেলোয়াড়ের এই টুর্নামেন্টে খেলা উচিত নয়। তিনি দিল্লির এক হোটেলে এক যৌন হয়রানির অভিযোগের সিবিআইয়ের তদন্ত দাবি করেন।

যৌন ব্যবসা বলিউড অভিনেত্রী ও মডেল গ্রেপ্তার

 যৌন ব্যবসা চালানোর জন্য ভারতের একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘সিআইডি’ ও ‘তারাক মেহতা কা উল্টা চাশমা’র এক অভিনেত্রী ও ২ যুবতী মডেলসহ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বই পুলিশ। তবে ওই অভিনেত্রী ও মডেলের নাম প্রকাশ করা হয়নি। এ খবর দিয়ে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক জানায়, মুম্বই পুলিশের সোশ্যাল সার্ভিস ব্রাঞ্চের (এসএসবি) সদস্যরা মুম্বইয়ের আন্ধেরি-তে অভিযান চালিয়ে অভিজাত একটি যৌন ব্যবসার চক্রকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। এ ব্যবসায় জড়িত এক অভিনেত্রী ও দু’জন নারী মডেলকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে এক নারী ও তার ছেলেকেও আটক করেছে পুলিশ। ওই ব্যবসার খবর পেয়ে ওশিওয়ারা স্টেশনের পুলিশের একটি বিশেষ দল ও এসএসবি ভুয়া খদ্দের সেজে ওই এলাকার পাতালিপুত্রা হাউজিং সোসাইটির একটি বাড়িতে যায় বৃহস্পতিবার সকালে। পুলিশের পাতা ফাঁদে পা দেয় অভিযুক্তরা। ফলে তাদের গন্তব্য সোজা লাল দালান। তাদেরকে আটক করে পরিচয় নির্ধারণের সময় জানা যায়, আটক যুবতীদের মধ্যে একজন জনপ্রিয় টেলিভিশন সিরিয়াল সিআইডি’র অভিনেত্রী। তিনি তারাক মেহতা কা উল্টা চাশমা’রও অভিনেত্রী। পুলিশ বলেছে, তিনি স্বীকার করেছেন, অর্থের প্রয়োজনে তিনি এ ব্যবসায় নেমেছেন। দ্বিতীয় যুবতী একজন মডেল। তৃতীয়জন তাদের বান্ধবী। এ ঘটনায় পুলিশ যৌন ব্যবসা চালানোর অভিযোগে আটক করেছে ৫২ বছর বয়সী নীতা পারিক্ষ ও তার ছেলে ভাবিন (৩০)কে। তাদের বিরুদ্ধে প্রিভেনশন অব ইমরাল ট্রাফিকিং অ্যাক্টের অধীনে আটকাদেশ দেখানো হয়েছে।

যে বাড়িতে গোপনীয়তা নেই

ব্যক্তিগত গোপনীয়তা মানুষের অন্যতম মানবাধিকার। এর একটি মূল্যবোধ রয়েছে সব দেশ ও সমাজে। যদিও বর্তমান প্রযুক্তির যুগে প্রাইভেসি লঙ্ঘনের ঘটনা অহরহ ঘটছে। তবে নিজের বাসা সবার জন্যই একটি প্রিয় আশ্রয় যেখানে ব্যক্তির গোপনীয়তা রক্ষিত হয়। কিন্তু জাপানের স্থপতি সাও ফুজিমোটো এমন একটি বাড়ি তৈরি করেছেন গ্লাস দিয়ে যেখানে প্রাইভেসি বলতে কিছু নেই। এর ভেতরে কে কি করছেন সব দেখা যাচ্ছে বাইরে থেকে। জাপানের টোকিওতে অবস্থিত ‘এনএ’ নামের তিনতলা বাড়িটি জিতে নিয়েছে একটি পুরস্কারও। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক গ্লাসের বাড়িটিতে ২১টি ফ্লোর ফ্ল্যাট ব্যবহার করেছেন বসবাসকারী ও মেহমানদের থাকা, খাওয়া, রান্না করা, খেলাধুলা ও শোয়ার জন্য। গ্রীষ্মকালে আরামদায়ক হওয়ার জন্য ফ্লোর ফ্ল্যাটগুলোকে বিশেষ মেটেরিয়াল দিয়ে বানানো হয়েছে। বহুতল বিশিষ্ট বাড়িটিতে কোন ফোনবুথ না থাকলেও এতে রয়েছে ছোট বড় শাখা বিশিষ্ট গাছের আকৃতি। যাতে করে মনে না হয় যে এটা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন একটা এলাকা। বরং মনে হবে যে, এটা একটা সংযুক্ত বাড়ি। যদিও বাড়িটি দেখতে সম্পূর্ণ স্বচ্ছ ও সব কিছু দেখা যায়। তবে এতে বিশেষ প্রাইভেসি রক্ষার জন্য এক ধরনের মেটেরিয়াল ব্যবহার করা হয়েছে। যা বাতি বন্ধ করা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম প্রাইভেসি রক্ষা করতে সক্ষম। স্বচ্ছ জায়গায় থাকার কারণে এর বসবাসকারীরা সাধারণ পোশাক ছাড়া বাইরে চলে আসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

Monday, May 21, 2012

সৌদি আরবে ২ পাকিস্তানির শিরশ্ছেদ

সৌদি আরবের পবিত্র নগরী মক্কায় এবার ২ পাকিস্তানির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা দু’টি হত্যাকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়। যে ২ পাকিস্তানির শিরশ্ছেদ করা হয়েছে তারা হলেন বশির আফ্রিদি ও রাহমুল ওয়াহাব আবদুল্লাহ। তারা দু’জনেই অন্য এক পাকিস্তানি নাগরিক মোহাম্মদ হাজিকে হত্যা করেছেন। তারপর তার সবকিছু কেড়ে নেন। এছাড়া তারা হত্যা করেছেন অন্য এক নারীকে। অন্য এক নারী হত্যার কারণও তারা। তবে এই দু’নারীর নাম ও তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। এই শিরশ্ছেদের মধ্য দিয়ে এই বছর সৌদি আরবে মোট শিরশ্ছেদের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮। বার্তা সংস্থা এএফপি’র হিসাব মতে, ২০১১ সালে সৌদি আরবে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে কমপক্ষে ৭৬ জনকে। তবে মানবাধিকার বিষয়ক গ্রুপ অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এ সংখ্যা কমপক্ষে ৭৯। সৌদি আরবে ধর্ষণ, স্বধর্ম ত্যাগ, সশস্ত্র ডাকাতি, মাদক পাচার, হত্যার মতো অপরাধে মৃত্যুদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।

দিল্লিতে যৌন ব্যবসা, ৪ যুবতী আটক

নয়া দিল্লি পুলিশ যৌন বাণিজ্য চালানোর একটি চক্রকে হাতেনাতে আটক করেছে। তারা দিল্লির রাজেন্দ্রনগর এলাকায় এই বাণিজ্যের জাল পেতেছিল। এ অভিযোগে আটক করা হয়েছে চার যুবতীকে। এ খবর দিয়েছে টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়েছে, পুলিশ আটক করা ওই যুবতীদের বিষয়ে নজরদারি করছিল যে, তারা আইপিএল চলাকালে কোন পাতানো ম্যাচের সঙ্গে জড়িত কিনা। এর এক পর্যায়ে তারা ধরা পড়ে। তাদের মধ্যে দু’জনের বাড়ি দিল্লিতেই। তৃতীয়জনের বাড়ি নেপালে। তারা পুলিশকে বলেছেন, সম্প্রতি তারা এ পেশায় এসেছেন। তাদের খদ্দেরের তালিকায় রয়েছেন উচ্চ পর্যায়ের লোকজন।

বিলাসী জীবন থেকে খাদ্যের লাইনে

অর্থনৈতিক সঙ্কটে বিপর্যয়ের শেষ সীমায় গিয়ে পৌঁছেছে গ্রিসের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর অবস্থা। নিজের দু’বেলা খাবার জোগাড় করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে তাদের। এমনকি সারা দিনে একবার নিজের খাবার জোগাড় করতে ব্যর্থ হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। ফলে বেঁচে থাকার জন্য একবেলা খাবারের আশায় বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থায় লাইন ধরতে বাধ্য হচ্ছেন অনেকে। সঙ্কটের কারণে বিপদে পড়া এসব মানুষকে বেঁচে থাকার মতো অন্ন সুবিধা দিতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন সংস্থা, গির্জাসহ অনেক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান রাজধানী এথেন্সের ‘স্যুপ কিচেন’। অসমর্থ মানুষদের বিনামূল্যে একধরনের তরল খাবার দিয়ে আসছে তারা। এক সময় বিলাসী জীবনযাপন করা অনেকেই আসছেন সেখানে খাবার সংগ্রহ করতে। লাইন দিয়ে খাবার নিয়ে চলে যাচ্ছেন অবনত মস্তকে। তবে নিজেদের মর্যাদা নিয়ে যথেষ্ট সচেতন তারা। মুখ খুলতে রাজি নয় সংবাদ মাধ্যমে। একইসঙ্গে আইএমএফ ও ইউরোজোনের উদ্ধার পরিকল্পনাকেও ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করছেন জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করতে যাওয়া এসব মানুষেরা। এমনই এক ভদ্রমহিলা এসেছেন ‘স্যুপ কিচেনে’। পরিপাটিভাবে সাজানো চুলের সঙ্গে রয়েছে সানগ্লাস। সম্ভ্রান্ত ভদ্রমহিলা এক সময় বিলাসী জীবনযাপন করতেন বলে মনে হয়। এক সময় হয়তো এথেন্সের সবচেয়ে দামি হোটেলে হতো তার লাঞ্চ ও ডিনার। কিন্তু অর্থনৈতিক সঙ্কট আজ তাকে নিয়ে এসেছে চ্যারিটি সংস্থায় লাঞ্চ করার জন্য। একটি প্লাস্টিকের পাত্রে বিনয়ের সঙ্গে স্যুপ নিলেন তিনি। সাংবাদিক তার ছবি তুলছেন। এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে বিষয়টা ভেবে অনেকটা লজ্জায় তার মুখের রঙ পাল্টে যায়। সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করে চলে যান তিনি। জীবন যুদ্ধে একমাত্র মর্যাদা ছাড়া তার আর কিছুই নেই। স্যুপ কিচেনের একজন স্বেচ্ছাসেবী বলেছেন, তিনি মাত্র কয়েক সপ্তাহ থেকে এখানে আসছেন। ফলে তিনি স্বাভাবিক হননি এখনও। তিনি ছাড়াও সেখানে এমন মানুষের লাইন দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। দিন দিন নতুন নতুন মানুষ বেঁচে থাকার তাগিদে নিজেকে সঁপে দিতে বাধ্য হচ্ছে চ্যারিটি সংস্থার হাতে। এক সময় এসব জায়গায় খাবার নিতে আসতো শুধু অভিবাসী, অবৈধ বিদেশী ও গৃহহীন শ্রেণীর মানুষ। কিন্তু এখন আসছেন যুবক শ্রেণী, চাকরিজীবী ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষেরা। যতই দিন যাচ্ছে বাড়ছে মানুষের সারি। এরা সচেতন যে তারা কর্মহীন, পেনশন কাটা ও দুর্নীতিবাজ জাতি হিসেবে বহির্বিশ্বে নিজের দেশকে উপস্থাপন করছে। কিন্তু তারা তো নিয়মিত কর দিতো। এখনও এথেন্সে জাঁকজমকপূর্ণ জীবন, উন্নত বিপণন কেন্দ্র সব কিছুই চলছে দেশটিতে। গত তিন বছরে গ্রিসের চার ভাগের একভাগ ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। বেকার সমস্যা ২২ ভাগ এবং আরও বাড়ছে। নতুন করের হার বাড়ছে। তবে কমছে পেনশন ও জনকল্যাণমূলক বাজেট। সেনথিয়া নামে একজন স্থানীয় সাংবাদিক বলছেন তিনি অনেক ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়লেও এখনও স্ট্যাটাস ধরে রাখতে ভালোভাবে চলছেন। তবে এসব বিষয়ে এথেন্সের ভাইস মেয়র ফটিস প্রোভাটাস বলছেন, এখানে চ্যারিটি সহায়তা যা হচ্ছে সেটা কোন বড় প্রশ্ন নয়। একটি গ্রিক প্রবাদ আছে ‘নগর হচ্ছে গরিবদের মা, তাই এটা আমাদের দায়িত্ব’। ‘স্যুপ কিচেন’-এর একজন স্বেচ্ছাসেবী দিমিত্রিয়া বলেন, এখানে চাকরি চলে যাওয়া দম্পতিদের উপস্থিতি বাড়ছে।

Sunday, May 20, 2012

কেয়ামতের ভয়ে আত্মহত্যা!

পৃথিবীর শেষ দিন বা কেয়ামত নিয়ে ইন্টারনেটের তথ্য ঘাঁটাঘাঁটি করতে করতে টিনেজার ইসাবেল টেলর (১৬)-এর মধ্যে বদ্ধমূল ধারণা জন্মায় যে, এ বছরই ধ্বংস হবে পৃথিবী। তার মধ্যে এ বিশ্বাস এতটাই শিকড় গেঁড়েছিল যে, শেষ পর্যন্ত সেই কিয়ামতের ভয়ে সে আত্মহত্যা করেছে। এ নিয়ে অনলাইন ডেইলি মেইল একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, ইসাবেল আধুনিক বিশ্বের বিভিন্ন অনিয়ম ও জটিলতা দেখে সমপ্রতি বৌদ্ধ ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়। এরপর বিশ্ব কিভাবে শেষ হবে, সভ্যতার কিভাবে বিনাশ ঘটবে- তা নিয়ে সে গবেষণা শুরু করে দেয়। ইন্টারনেটে এ নিয়ে সে দিনরাত পড়ে থাকতে শুরু করে। একপর্যায়ে তার মধ্যে ধারণা বদ্ধমূল হয়, একটি পারমাণবিক চুল্লির বিগলনের ফলে এই সভ্যতা ধ্বংস হবে এবং তা আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই ঘটবে। এমন ধারণায় সে তার বেডরুমে গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তার পিতা গ্যারি (৫১) ও মা ইংরিড (৪৮) বলেছেন, সে সম্ভবত আধুনিক দুনিয়া নিয়ে বিরক্ত হয়ে পড়েছিল। চারদিকে যে অন্যায়, অবিচার- এসবের মাঝে সে নিজেকে ভবিষ্যতে সুখী দেখতে পায়নি। তাই হয়তো সে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে বৃটেনের উইলটশায়ারের নেস্টনে। ইসাবেলের পিতামাতা বলেছেন, তার মধ্যে দৃঢ় ধারণা হয়েছিল, শিগগিরই পৃথিবী ধ্বংস হবে। তার পিতা গ্যারি টেলর একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা। তিনি বলেছেন, ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে- এমন ঘটনার কথা সে আমাদের বলেছিল। এমনকি রাতের খাবার টেবিলেও সে এ নিয়ে আলোচনা করতো। তিনি বলেছেন, তবে আমরা তাকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তাকে বলেছি- এ বিষয়টি হালকাভাবে নাও। সামনের দিকে তাকাও। আগামী দিনে রয়েছে উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ। কিন্তু সে এ যুুক্তিকে উড়িয়ে দিত। বলতো, ওহ্‌ তোমরা বুঝতেই পারছো না। পৃথিবী এ বছরেই যেকোন উপায়েই হোক শেষ হবে। এ নিয়ে আমাদের ঠাট্টা, তামাশা করা উচিত নয়। সে মনে করতো- এমন কিছু ঘটতে চলেছে, যাতে পৃথিবী পাল্টে যাবে। তবে আমি শতভাগ নিশ্চিত ছিলাম না, সে এই ধারণাকেই মাথায় ঢুকিয়ে বসে আছে। গ্যারি টেলর বলেছেন, সে সব সময় ইন্টারনেটে বিভিন্ন রকম আর্টিকেল পড়ত। সে পড়তো কিভাবে পৃথিবী ধ্বংস হবে তা নিয়ে। তার বেস্ট ফ্রেন্ডের সঙ্গে ২০১১ সালে এ নিয়ে ১৫ থেকে ২০টি লেখা পড়েছে। সর্বশেষ সে পড়েছে সূর্যের গায়ে দাগ কেন তা নিয়ে। তার মধ্যে একটি ভুল ধারণা জন্মেছিল, কোন রাসায়নিক বিক্রিয়ার কারণে এমনটা হতে পারে। ২০১২ সালে পৃথিবী ধ্বংস হবে- এমন অনেক ওয়েবসাইট হঠাৎ যেন গজিয়ে ওঠে। এর ফলে সে ইন্টারনেটে বেশির ভাগ সময় লেগে থাকতো। তবে এ ধারণা বেশি পেয়ে বসে মায়ানদের। ফ্রান্সের একটি ছোট্ট গ্রাম বাগারাচে সমবেত হয়েছিলেন বেশকিছু এমনই বিশ্বাসী। তাদের মাঝে বিশ্বাস ছিল, পৃথিবী শেষ হলেও ওই গ্রামের অবস্থান নেয়া মানুষরা বেঁচে থাকবে।

বিক্রির জন্য নয় বাহরাইন!

মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো নিয়ে নতুন একটি ইউনিয়ন গঠনের তীব্র প্রতিবাদ করেছেন লাখ লাখ শিয়া মতাবলম্বী মুসলিম। এ সময় তারা স্লোগান দেন- আর নয় কোন ইউনিয়ন। বাহরাইন বিক্রির জন্য নয়! গত শুক্রবার এ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ হয়েছে তেহরান, দুবাই ও মানামায়। অনলাইন বিবিসি এ খবর দিয়ে আরও জানায়, উপসাগরীয় আরব দেশগুলোকে নিয়ে নতুন করে একটি ইউনিয়ন গঠনের প্রতিবাদে ওইদিন বিভিন্ন দেশের রাজধানীতে কয়েক লাখ মুসলমান বিক্ষোভ করে। বাহরাইনের রাজধানী মানামায় বিক্ষোভকারীরা প্রায় ৩ মাইল এলাকা দখল করে রাখেন। এতে সড়কপথে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সমপ্রতি সৌদি আরবের বাদশাহ পারস্য উপসাগরীয় ৬টি দেশকে নিয়ে একটি নতুন ইউনিয়ন গঠন করার প্রস্তাব দেন। এই ৬টি দেশ হলো বাহরাইন, কুয়েত, কাতার, ওমান, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওদিকে বাদশাহর ওই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে দুবাই ও ইরানে। ইরানে বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতকে তিরস্কার করা হয়েছে। প্রস্তাবিত ইউনিয়ন গঠন করার প্রশ্নে বাহরাইন ও সৌদি আরবকে নিয়ে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে বাহরাইনকে সৌদি আরবের সঙ্গে অংশ বানানোর চেষ্টা করা হতে পারে বলে অভিযোগ করেছে ইরান। এ ঘটনায় তেহরানে শুক্রবার রাজপথে বাহরাইনের পতাকা হাতে বিপুলসংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেন। সৌদি আরবের সঙ্গে ইউনিয়ন গঠন একান্তই বাহরাইনের নিজস্ব ব্যাপার- এই বলে এরই মধ্যে ইরানকে সতর্ক করেছেন বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ। একই সঙ্গে তিনি বাহরাইনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ইরানকে নাক গলাতে বারণ করেন। এর পরই ইরানে নিযুক্ত বাহরাইনের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নিয়ে তিরস্কার করা হয়। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন তা ইরান প্রত্যাখ্যান করে। একই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বাহরাইন সরকার সামনে চলার পথে সন্তোষজনক পথ বেছে নেবে। অন্যদিকে দুবাইতে কয়েক হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। এ সময় তারা স্লোগান দেয়- চাই না কোন ইউনিয়ন। বাহরাইন বিক্রির জন্য নয়! ওদিকে নতুন এই ইউনিয়ন গঠনের প্রস্তাবে এরই মধ্যে নেতারা বৈঠক করেছেন। তবে উপসাগরীয় নেতারা একীভূত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব করার কথা বলেছেন। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে বাহরাইনে গণতন্ত্রপন্থি আন্দোলন শুরু হয়। তারপর থেকে সেখানকার বিক্ষোভে কয়েক ডজন মানুষ নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগই শিয়া মতাবলম্বী। বাহরাইনে সরকারবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে সেখানে সৌদি আরব সেনা পাঠায়। তারা সেখানকার আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়। এ থেকেই ইরান ও বাহরাইনের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৭৩ বছর বয়সে জাপানি নারীর এভারেস্ট বিজয়

অদম্য ইচ্ছাশক্তি ও ইতিবাচক মানসিকতার কাছে বয়স কোন বাধা নয়। নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙে সে কথা নতুন করে প্রমাণ করলেন জাপানের ৭৩ বছর বয়সী নারী তামায়ে ওয়াতানাবে। এ বয়সে তিনি জয় করেছেন বিশ্বের সর্বোচ্চ চূড়া বলে খ্যাত ‘মাউন্ট এভারেস্ট’। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন। চায়না তিব্বত মাউন্টিনিয়ারিং এসোসিয়েশনের এক মুখপাত্র অ্যাং টিশেরিং বলেছেন, গতকাল সকালে অভিযাত্রী দলের অন্য ৪ সদস্যের সঙ্গে তিব্বতের উত্তর দিকে অবস্থিত ৮ হাজার ৮৫০ মিটার উঁচু এভারেস্টের চূড়ায় পা রাখেন ওয়াতানাবে। বর্তমানে দলটির সব সদস্য শারীরিকভাবে সুস্থ রয়েছেন। ২০০২ সালে ৬৩ বছর বয়সে এভারেস্টের চূড়ায় ওঠে সবচেয়ে বেশি বয়সে এভারেস্ট জয়ের খেতাব জিতেছিলেন ওয়াতানাবে। ১০ বছর পর নিজের গড়া সে রেকর্ডই ভাঙলেন দুঃসাহসী এ নারী অভিযাত্রিক।

Saturday, May 19, 2012

নতুন ফরাশি সরকারের গ্ল্যামার্সপূর্ণ মন্ত্রিসভা, প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীদের বেতন কমানোর সিদ্ধান্ত

ফ্রান্সের বহুল আলোচিত সাবেক ফার্স্ট লেডি কারলা ব্রুনি এলিসি প্রাসাদ থেকে সরে গেছেন মাত্র দিন কয়েক হলো। ইতিমধ্যেই তার ঘটনাবহুল জীবনকে ধূসর স্মৃতিতে পরিণত করতে প্রাসাদে গ্ল্যামার্স সম্পন্ন সুন্দরী রাজনৈতিক নেত্রী এবং মন্ত্রীদের আনাগোনা শুরু হয়ে গেছে। ফ্রান্সের সমাজতন্ত্রপন্থি নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দে গত বৃহস্পতিবার রাতে ৩৪ সদস্যের নতুন মন্ত্রিসভার নাম ঘোষণা করেছেন। নির্বাচনী প্রচারণায় দেয়া প্রতিশ্রুতি মোতাবেক প্রেসিডেন্ট তার নতুন মন্ত্রিসভার অর্ধেকই নারীদের নিয়োগ করেছেন। আধুনিক ফ্রান্সের ইতিহাসে এ ধরনের ঘটনা এই প্রথম। এদিকে প্রেসিডেন্ট ও মন্ত্রীদের বেতন ৩০ শতাংশ কমানোর মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের নতুন সরকারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের বিপুল পরিমাণ ঋণ এবং বেকার সমস্যার সমাধানের লক্ষ্যেই এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। নতুন এ মন্ত্রিসভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নারী মন্ত্রীর উপস্থিতির কারণে ইতিমধ্যেই বিষয়টি নিয়ে বেশ আলোচনা শুরু হয়েছে। এতদিন কেবল ইতালিতেই সুন্দরী নারীদের সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে নিয়োগ দেয়ার একচ্ছত্র অধিকার ছিল বলে ধারণা করা হতো। নতুন সরকারের মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে গৃহায়ণমন্ত্রী গ্রীন পার্টি নেত্রী সিসিলে ডুফলট (৩৭), সংস্কৃতিমন্ত্রী অরুলি ফিলিপেটি (৩৮) এবং নারী অধিকার বিষয়কমন্ত্রী নাজাত ভ্যালুড-বেলকাসেম যেন অনেকটা ক্যাটওয়াকের মতো করেই হেঁটে এসে বৈঠকে যোগদান করেন। প্রবাসী ফরাশি নাগরিক বিভাগের জুনিয়র মন্ত্রী চলচ্চিত্র পরিচালক ইয়ামিনা বেনগুইগুই রীতিমতো ছয়ইঞ্চি হিল আর কালো গ্লাস পরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠকে যোগ দেন। তবে এ বৈঠকের সবার দৃষ্টি গিয়ে পড়েছিল মরক্কো বংশোদ্ভূত নেভি-ব্লু ব্যুট পরিহিত নাজাত ভ্যালুড-বেলকাসেম-এর ওপর। কৃষ্ণ কালো চুলের অধিকারী ইতালীয় বংশোদ্ভূত ঔপন্যাসিক অরুলি ফিলিপেটি এর আগেরই সমাজতান্ত্রিক নেতা ডমিনিক স্ট্রস কানের হাতে প্রহৃত হওয়ার অভিযোগ এনে পত্রিকার শিরোনামে এসেছেন। নতুন এ মন্ত্রিসভায় পুরুষদের সংখ্যার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ১৭জন নারীকে মন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারাভিযানে এমনটাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ। তবে মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বই কেবল ৬০ বছর বয়সী নারী এমপি ক্রিস্টিয়ানে তাওবিরাকে দেয়া হয়েছে। ফ্রান্সের এমপিদের মধ্যে ৮০ ভাগই হচ্ছেন পুরুষ। তাই মন্ত্রিসভার নিয়োগ দেয়ার ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলান্দ তেমন অভিজ্ঞ নারীদের দায়িত্ব দেয়ার সুযোগ পাননি। তবে আগামী ১৭ই জুন পার্লামেন্টারি নির্বাচন শেষ হওয়ার পর এ মন্ত্রিসভায় আবার রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। এদিকে প্রেসিডেন্ট ফঁ্রাঁসোয়া ওলান্দ ও তার নবগঠিত মন্ত্রিসভার ৩৪ সদস্য গত ১৫ই মে শপথ নেয়ার পর বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে বসেন।  প্রধানমন্ত্রী জ্যঁ মার্ক এহোর নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার সদস্যরা বৈঠকে প্রেসিডেন্ট ফঁ্রাসোয়া ওলান্দের মাসিক বেতন ২১ হাজার তিনশ’ ইউরো থেকে কমিয়ে ১৪ হাজার নয়শ’ ১০ ইউরো করার সিদ্ধান্ত নেন। এছাড়া মন্ত্রিসভার সব সদস্যের বেতনও ৩০ শতাংশ কমানোর ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ভ্রমণসহ বিণন্ন মন্ত্রণালয়ের খরচের পরিমাণ কমিয়ে আনার লক্ষ্যেও তারা একটি নৈতিক সনদে স্বাক্ষর করেছেন। 

২০ পাউন্ডে ইচ্ছামতো খাবার তবে...

বৃটেনের একটি চায়নিজ রেস্টুরেন্ট মাত্র ২০ পাউন্ডে ইচ্ছামতো খাবার খাওয়ার বিশেষ অফার দিয়েছে। তবে সঙ্গে এর শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে যে, থালায় কোন খাবার নষ্ট করা যাবে না। নষ্ট করলেই অতিরিক্ত ২০ পাউন্ড জরিমানা গুনতে হবে। সাউথ শিল্ডের কেইলিন বাফেট নামের রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার নোটিশ দিয়েছেন, ‘সব খাও না হয় জরিমানা দাও’। এতে করে অনেককেই জরিমানা দিতে হচ্ছে। যেমন এক মা তার ১০ ও ৬ বছর বয়সী দু’সন্তানকে নিয়ে এসে জরিমানা দিয়েছেন ২০ পাউন্ড। কারণ তারা থালায় একটি অনিয়ন রিং, টোস্ট ও রোল ফেলে গেছেন। এদিকে একজন কাস্টমার অভিযোগ করেছেন রেস্টুরেন্টটি ভাল নয়। তারা একটা ফাঁদ পেতেছে। তিনি জানান, তারা খেয়ে ১৮ পাউন্ড পরিশোধ করেছেন। তারপর থেকে যাওয়া খাদ্য জরিমানা না দেয়ার জন্য ওরা না দেখে মতো তিনি ব্যাগে ভরে নিয়েছেন। রেস্টুরেন্টটির ম্যানেজার ফাং বলেন, আমরা এটা করেছি, এত করে আমাদের স্টাফদের কাস্টমারদের সঙ্গে অতিরিক্ত কথা বলতে হচ্ছে না। এটা না করলে অনেকেই খাবার নষ্ট করে এবং এ কারণে আমাদের চার্জ দিতে হয়। এজন্যই তাদের নীতি বলে জানান তিনি।

ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারণে স্বামীকে ডিভোর্স

স্বামী তার ফেসবুকের রিলেশনশিপ স্ট্যাটাসে বিবাহিত (ম্যারেজ) না দেয়ায় তাকে ডিভোর্স দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী এক ভারতীয়র স্ত্রী। এজন্য স্ত্রী পারিবারিক আদালতে বিয়ে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। আবেদনে ২৮ বছর বয়সী ওই স্ত্রী জানিয়েছেন, তার স্বামী ফেসবুকে তাদের বিয়ের ঘোষণা  না দেয়ায় তিনি তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না। মাত্র ২ মাস আগে পারিবারিক সম্মতিতে তারা বিয়ে করেন। আদালতে তার স্বামী নিজের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, স্ট্যাটাস পরিবর্তন করতে তিনি ভুলে গেছেন। বিচারক তাদের ছয় মাসের কাউন্সেলিংয়ের জন্য সময় দিয়েছেন। গতকাল এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, হায়দারাবাদের বাসিন্দা তার স্বামী আদালতে বলেছেন, তিনি বিয়ের পর নতুন পরিবার ও ব্যবসা নিয়ে এত বেশি ব্যস্ত ছিলেন যে স্ট্যাটাস পরিবর্তন ও ফেসবুক চেক করার কথা ভুলেই গিয়েছিলেন। তবে তার স্ত্রী বলছেন, তিনি তার স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক চালিয়ে নিতে ইচ্ছুক নয়। তিনি বলছেন, তার স্বামী তার অজান্তে কিছু করতে চায় এবং তিনি তাকে বিশ্বাস করতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন সেখানকার আইনজীবী। আইনজীবীরা বলছেন, ডিভোর্স মামলার ক্ষেত্রে ইদানীং ফেসবুক প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ফেসবুকের কারণে বিয়ে ভাঙার ঘটনা গত বছর পর্যন্ত তিনটি ঘটেছে। যেখানে ফেসবুকের অযৌক্তিক ব্যবহারকে দায়ী করা হয়েছিল। একটি ল’ফার্ম বলছে, তারা গত দু’বছরে আচরণগত কারণে ডিভোর্সের ক্ষেত্রে ৫০ ভাগই পেয়েছে ফেসবুকের কারণে। ল’ফার্মটির পরিচালক মার্ক কেনান বলেন, ফেসবুক মানুষের মধ্যে সম্পর্ক তৈরির প্রাথমিক উৎস। এতে করে অনেকেই পুরনো পার্টনারদের খুঁজে পায় ও মেসেজ আদান প্রধান করে। ফলে নতুন সম্পর্কের তৈরি হয়। আবার অনেকে এর মাধ্যমে অ্যাফেয়ার খোঁজে। এভাবেই এটা অনেক সমস্যার উদ্রেক করছে। গত বছর আচরণগত সমস্যার ৫ হাজার মামলার মধ্যে ৩৩ ভাগই ছিল ফেসবুকের কারণে। ফেসবুকে স্বামী বা পার্টনারের মেসেজ ও ফটোর কারণে অনেকের সম্পর্ক ভেঙে যাচ্ছে। অথচ অনেক সময় এসব ফটো একসঙ্গে অনুষ্ঠানের কারণে তোলা হয় এমনকি অনেকে ফটোর ব্যাপারটি জানেও না।

Thursday, May 17, 2012

fv‡jwii w`‡K †PvL mevi



d«v‡Ýi bZzb †cÖwm‡W›U d«uv‡mvqv Ijuv‡`i †cÖwgKv fv‡jwi wUª‡qiI‡qjvi‡K wb‡q Av‡jvPbvi †kl †bB| g½jevi Ijuv‡`i nvZ a‡i †cÖwm‡W‡›Ui Rb¨ wba©vwiZ evmfeb Gwjwm cÖvmv‡` cÖ‡e‡ki c~e© gyn‚Z© †_‡KB Zvi w`‡K bRi mevi| wZwb †Kgb d¨vkb K‡ib| wK Ry‡Zv c‡ib| Zvi Pzj †Kgb| ‡cÖwm‡W‡›Ui m‡½ wZwb weevn e܇b Ave× bb| cÖKv‡k wjf Uz‡M`vi Ki‡Qb| d‡j weevn e܇b Ave× bv n‡j fv‡jwi‡K dv÷© †jwWi gh©v`v †`qv n‡e wKbv Zv wb‡qI Av‡Q bvbv K_v| Z‡e g½jevi Gwjwm cÖvmv‡` hvIqvi Av‡M Zvi Ici gyûgyû K¨v‡givi d¬vk R¡‡j I‡V| cÖwZwU gyn‚‡Z© wZwb aiv c‡ob K¨v‡givq| IB me Qwei A‡bK¸‡jv GiB g‡a¨ msev` gva¨‡g cÖKvwkZ n‡q‡Q| Zv wb‡q Av‡jvPbv AviI R‡g‡Q| Gi g‡a¨ GKwU Qwe‡Z †`Lv †M‡Q evZv‡m Zvi Mv‡qi MvDb, †KvU m‡i hvIqvi ci cy‡iv Diæ m‡gZ GKwU cv‡qi cy‡iv Ask Abve„Z n‡q Av‡Q| †mB Qwei w`‡K `„wó AmsL¨v gvby‡li| Zv‡K GiB g‡a¨ d¨vkb GwjU e‡j AwfwnZ Ki‡Qb A‡b‡K| Zv‡`i GKRb Kvj© jvMvi‡dì| wZwbMZ mßv‡nB fv‡jwi‡K e‡j‡Qb, Avwg Ijuv‡`i †cÖwgKv‡K cQ›` Kwi| Avwg g‡b Kwi wZwb fxlY n¨vÛmvg| AwfRvZ| ‡evPiv Rvivi e‡j‡Qb, Zvi ÷vBj Av‡gv‡K K¬vDwW P¨v‡eªvj Qwei bvwqKvi K_v g‡b Kwi‡q w`‡”Q| wZwb Avgv‡K D¾xweZ K‡i‡Qb|

২৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন

এক বছরে সরকারের গুণকীর্তন করে ২৫ কোটি রুপির বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে ভারতে তীব্র সমালোচনা চলছে। না, ওই বিজ্ঞাপন ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার বা ক্ষমতাসীন জোটের নয়। ওই বিজ্ঞাপন দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার প্রশাসন। বলা হচ্ছে, এটিই হতে পারে একদিনে একটি বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অঙ্কের বিজ্ঞাপন। গতকাল অনলাইন জি-নিউজ জানায়, তামিলনাড়ুতে অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুন্নেত্রা কাজাগাম (এআইএডিএমকে) সরকারের এক বছর পূর্তি উদযাপন শুরু হয়ে গেছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী জয়ললিতার ক্ষমতা গ্রহণের এক বছর পূর্ণ হয়েছে গতকাল। এ উপলক্ষে এক বছরে এআইএডিএমকে সরকারের অর্জন নিয়ে প্রশাসন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোতে বিশাল বিজ্ঞাপন দিয়েছে। তাতে ২০২৩ সালের মধ্যে তামিলনাড়ুকে সম্পূর্ণ উন্নত রাজ্যে পরিণত করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে সব মিলে ওই বিজ্ঞাপনের পিছনে গতকালই খরচ করা হয়েছে ২৫ কোটি রুপি। এর তীব্র সমালোচনা করেছেন সিপিআইয়ের নেতা গুরুদাস দাসগুপ্ত। গতকাল যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয়েছে তার মূল প্রতিপাদ্য- ‘দ্য ভিশন ফর তামিলনাড়ু ফর ২০২৩’। এতে রাজ্যকে সবচেয়ে উন্নত ও অগ্রগতিশীল করতে দেয়া হয়েছে প্রতিশ্রুতি। বলা হয়েছে, ওই রাজ্যে শিক্ষিতের হার হবে অনেক বেশি। থাকবে না দারিদ্র্য। জনগণের নিত্যদিনের পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক করার কথা বলা হয়েছে। জনগণকে কম দামে অথবা বিনামূল্যে পণ্য  দেয়ার কথা বলা হয়েছে। তাতে রয়েছে কম দামে চাল দেয়া, সস্তায় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম সরবরাহ, বিনামূল্যে ল্যাপটপ ও গৃহপালিত পশু দেয়ার কথা। এতে বলা হয়েছে, ভারতের মধ্যে তামিলনাড়ুই একমাত্র রাজ্য যেখানে বিনামূল্যে চাল, বৈদ্যুতিক পাখা, জুতা দেয়া হয়েছে মানুষজনকে। জয়ললিতার প্রশাসনকে আম্মা প্রশাসনও বলা হয়।

শাহরুখ খান চাইলে তিনি নগ্ন হবেন...

ভাবখানা তার এই যে, প্রচার পেতে, জনপ্রিয়তা পেতে যা খুশি তা-ই করবেন। বলছি, ভারতের এ সময়ের বহুল আলোচিত পুনম পাণ্ডের কথা। পর্নো তারকা এক সানি লিওনকে বাদ দিলে তার সঙ্গে খুল্লাম খুল্লা কাণ্ডকারখানা ঘটানোর মতো তারকা আর সম্ভবত পাওয়া যাবে না। সমপ্রতি কেউ কেউ তাকে ওই সানি লিওনের সঙ্গেও তুলনা করছেন। তাকে বলা হয় স্ট্রিপ কুইন বা নগ্নতার রানী। তো, পুনম পাণ্ডে ফের সংবাদে আসার কারণ হলো- তিনি বলেছেন, বলিউড বাদশা শাহরুখ খান চাইলে তিনি নগ্ন হতে পারেন। পুনম পাণ্ডে বলেছেন, তিনি শাহরুখ খানের ভীষণ ভক্ত। শাহরুখ খান যদি চান তাহলে তিনি আইপিএল সিরিজে তার দল কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নগ্ন হতে পারেন। এর মাধ্যমে তিনি ওই দলের খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে চান। একটি টেলিভিশন চ্যানেলকে পুনম পাণ্ডে বলেন, শাহরুখ খান চাইলে তার ও তার দলের জন্য আমি নগ্ন হবো। এতে তার দল আগামী ম্যাচগুলো জিতবে। তবে তার এ প্রস্তাবে শাহরুখ খান কি বলেছেন তা জানা যায়নি।

Wednesday, May 16, 2012

রাজপ্রাসাদে দুই রূপসীর ঝলক

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাসভবন এলিসি প্রাসাদে যেন এক নাটক মঞ্চস্থ হলো। প্রেমিকার  হাত ধরে প্রবেশ করলেন নতুন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদে। আর প্রেমিকা, পরে বিয়ের মাধ্যমে ফার্স্টলেডি কার্লা ব্রুনির হাত ধরে প্রাসাদ থেকে বেরিয়ে গেলেন নিকোলাস সারকোজি। প্রাসাদে দাঁড়িয়ে তাদের প্রস্থানের সেই দৃশ্য আগ্রহভরে লক্ষ্য করলেন ওলাঁদে ও তার প্রেমিকা ভালেরি। ভালেরির রূপের ঝলকের সঙ্গে সঙ্গে কার্লা ব্রুনির উজ্জ্বলতা যেন অনেকটাই ম্রিয়মাণ হয়ে গেল। সবার চোখ গিয়ে পড়ল ভালেরির দিকে। বান্ধবী বা প্রেমিকা নিয়ে প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে প্রবেশ যেন ফ্রান্সের রীতি হয়ে উঠেছে। গতকাল শপথ নিয়ে এই প্রাসাদে উঠেন ওলাঁদে। সেই সঙ্গে তার ‘ডমেস্টিক পার্টনার’ ভালেরি। প্রকাশ্যে বিয়ে না করে একজন সহবাসী প্রেমিকাকে নিয়ে ঘরে তোলার এমন নজির মেলা ভার। তার ওপরে একজন প্রেসিডেন্ট। যে কার্লা ব্রুনিকে নিয়ে এতদিন এত আলোচনা-সমালোচনা, এত লেখালেখি- তিনি যেন অনেকটাই ম্লান হয়ে গেলেন। তিনি এদিন পরেছিলেন আজানুলম্বিত ট্রাউজার। তা আবার স্কিন টাইট। তার ওপরে সাদা শর্টসের ওপরে কালো কোট। কোটের বোতাম খোলা। মাথার চুল ছেড়ে রাখা। তবে তিনি আগের চেয়ে অনেকটাই মুটিয়ে গেছেন। ভালেরির সঙ্গে তিনি হ্যান্ডশেক করেন। কথা বলেন। হাসেন। ক্লিক ক্লিক ফটো তোলেন সাংবাদিকরা। অন্যদিকে ভালেরি পরেছিলেন কালো শর্ট গাউনের ওপর সাদা কোট। পরনে ছিল স্কার্ট। ফলে তার পায়ের প্রায় পুরোটাই ছিল নগ্ন। মাথার চুল ছিল কোঁকড়ানো। পায়ে হাইহিল। একপর্যায়ে তিনি গা থেকে কোটটি খুলে রাখেন। সারকোজি ও ওলাঁদের মধ্যে কথা বিনিময়ের পর আসে বিদায়ের পালা। বিদায় নিয়ে নিকোলাস সারকোজি ও কার্লা ব্রুনি বেরিয়ে যান প্রাসাদ থেকে। পিছন থেকে প্রেমিকা ভালেরির হাত ধরে দাঁড়িয়ে সে দৃশ্য অবলোকন করেন ওলাঁদে। এরই মধ্যে ইউরোপ জুড়ে আলোচনায় উঠে এসেছেন ভালেরি। তাকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মিডিয়ার আগ্রহে যেন জোয়ার বইছে। যেমনটি ছিল কার্লা ব্রুনিকে নিয়ে। এর কারণ, ভালেরির রূপলাবণ্য ব্রুনির চেয়ে অনেক বেশি। এমন বলাবলি হচ্ছে বিদেশী মিডিয়ায়। এই ভালেরি একজন সাংবাদিক। এর আগে তার দু’বার বিয়ে হয়েছিল। দু’টি বিয়েতেই বিচ্ছেদ ঘটেছে। তারপরই তিনি ওলাঁদের সঙ্গে আটকে পড়েছেন। তাদের প্রেম চলছে চুটিয়ে। এখন তাকে যেহেতু প্রেসিডেন্ট রাজপ্রাসাদে তুলেছেন সেহেতু তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হবেন কিনা তা নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। যদি তাকে বিয়ে না করেন তাহলে ভালেরি ফার্স্টলেডির মর্যাদা পাবেন কিনা এ নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে।

হাতি নিয়ে বেকায়দায়

যে হাতি উত্তর প্রদেশের বহুজন সমাজবাদী পার্টির নির্বাচনী প্রতীক, তাকে নিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছেন ওই প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী। ক্ষমতায় থাকাকালে তিনি বিভিন্ন পার্ক, বিভিন্ন স্থাপনার সামনে নির্মাণ করিয়েছেন অসংখ্য হাতি, বিআর আম্বেদকার, কাশি রাম ও নিজের প্রতিকৃতি। এতে কোটি কোটি রুপির দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। এ নিয়ে উত্তর প্রদেশের বর্তমান সমাজবাদী পার্টির সরকার প্রশ্ন তুলেছে। তারা এ বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ দেয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে সোমবার রাজ্যের সংশ্লিষ্ট বিভাগ পাবলিক ওয়ার্কস ডিপার্টমেন্ট ঘেরাও করে। লক্ষ্ণৌ, নয়ডা ও বিভিন্ন স্থানেও ঘেরাও দেয়া হয়। যেসব পার্ক ও প্রতিষ্ঠানের সামনে হাতির প্রতিকৃতি রয়েছে সেগুলোকে নজরে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ আছে, সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মায়াবতী তার ক্ষমতার সময় এসব প্রতিকৃতি নির্মাণ করে জনগণের ৬০০ কোটি রুপি নষ্ট করেছেন। তীব্র সমালোচনার মুখেও মায়াবতী নয়ডা’য় ৩৩ একরের একটি পার্ক করেছেন বিআর আম্বেদকরের নামে। সেখানে হাতি, বিআর আম্বেদকর, কাশি রাম ও মায়াবতীর মূর্তি বসাতে খরচ করা হয়েছে ৬৫০ কোটি রুপি। রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রী আহমেদ হাসান অভিযোগ করেছেন, এছাড়াও মায়াবতী বহু কোটি রুপির জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনেও দুর্নীতিতে জড়িত। তবে উত্তর প্রদেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, এ বিষয়টি এখন কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো ঘাঁটাঘাঁটি করছে। তারাই এ বিষয়টির তদন্তকারী।

ঘুষ হিসেবে শারীরিক সম্পর্ক দাবি

গাড়ি চালানোর সময় একটি গাড়ির ওপর নিজের গাড়ি উঠিয়ে দিয়েছিলেন ফিলিপাইনের এক নারী। এজন্য তাকে জরিমানা করেন ৩০ বছর বয়সী এক ট্রাফিক পুলিশ। জরিমানা করে তা ধরিয়ে দেন ওই নারীর হাতে। সঙ্গে সঙ্গে কানের কাছে ফিসফিসিয়ে বলেন- এই জরিমানা ও বিচার থেকে তোমাকে রেহাই দিতে পারি তুমি যদি আমাকে চুমু দাও এবং আমার গাড়ির ভিতর আমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হও। এ ঘটনা ঘটেছে দুবাইয়ে। গতকাল এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন খালিজ টাইমস। এতে জানানো হয়, ওই ঘটনায় আদালতে মামলা চলছে। অভিযোগকারী ওই নারী ৪০ বছর বয়সী। তিনি একজন ম্যানেজারও। তিনি প্রসিকিউটরদের বলেছেন, তিনি গত মার্চে ওউদ মেথা পার্কিং থেকে বের হওয়ার সময় অন্য একটি গাড়িতে নিজের গাড়ি দিয়ে ধাক্কা দিয়েছেন। এতে সেই গাড়িটির সামান্য ক্ষতি হয়েছে। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা সেখানে হাজির হন এবং তাকে বলেন যে, তিনি খুব সুন্দরী। তাকে ১০০০ থেকে ৫০০০ দিরহাম জরিমানা করা হবে এবং তিনি ১০টি ব্লাক পয়েন্ট পাবেন। এ সময় ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে প্রতিশ্রুতি দেন- তিনি তার জরিমানা ও ব্লাক পয়েন্ট কমিয়ে দিতে পারেন। একথা বলেই তিনি ওই নারীকে তার মোবাইল নম্বর দিয়ে দেন। এরপর ওই পুলিশ কর্মকর্তা তাকে অনেকবার ফোন করেছেন এবং প্রতিবারই আপত্তিকর কথাবার্তা বলেছেন। তিনি ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। জবাবে ওই নারী তাকে জানান, তিনি বিবাহিত এবং দুবাইয়ে তার পরিবার রয়েছে। জবাবে ওই পুলিশ বলেন, তার পরিবার রয়েছে ওমানে। এ পর্যায়ে তিনি ওই নারীর সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু অনেকদিনই ওই নারী তার এই আগ্রহে সাড়া দেননি। তিনি প্রতিবারই তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। এর পরও তিনি নিবৃত্ত না হলে তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দেন। জেনারেল ডাইরেক্টরেট অব ক্রিমিনাল এভিডেন্স তাকে প্রস্তাব দেয় ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে হাতেনাতে ধরার জন্য তাদের সাহায্য করতে। এর প্রায় ১ সপ্তাহ পরে ফের ওই পুলিশ কর্মকর্তা ওই নারীকে ফোন করেন। এ সময় ওই পুলিশের বক্তব্য তিনি রেকর্ড করেন। তারা এ সময় পুলিশের প্রস্তাব অনুযায়ী বুর্জ দুবাইয়ের পার্কিং এলাকায় তার গাড়ির ভিতর শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে সম্মত হয়। আমিরাতের পুলিশের এক লেফটেন্যান্ট বলেছেন, তারা এ রহস্য উদ্ধারের জন্য একটি ফাঁদ পাতেন। ওই নারীকে একদিন রাত সাড়ে ১০টায় পরিকল্পিত স্থানে পাঠিয়ে দেন একটি গাড়িতে করে। তাকে গাড়িতে অবস্থানকালে এর দরজা খোলা রাখতে বলেন। আরও বলেন, যদি ওই লোক আপনাকে হঠাৎই আক্রমণ করে তাহলে দৌড়ে বেরিয়ে আসবেন। সত্যি সত্যি অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা মনোরঞ্জনের জন্য ওই নারীর কাছে যায়। তার সঙ্গে আলাপচারিতা শুরু করে। এরই মধ্যে চারদিকে পেতে রাখা পুলিশি ফাঁদ তাকে জেঁকে ধরে। হাতেনাতে ধরা পড়ে নারীলোভী ওই পুলিশ। এরপর সে পুলিশের কাছে স্বীকার করে যে, গাড়ির ওই মহিলা তার প্রেমিকা। কিন্তু ততক্ষণে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

নিলামে ম্যাডোনার নগ্ন ছবি

হার্টথ্রব সংগীত তারকা ম্যাডোনার নগ্ন-ধূমপানরত একটি ছবি নিলামে ১৫ হাজার পাউন্ডে বিক্রি হয়েছে। আকর্ষণীয় ছবিটিতে দেখা যায়, যুবতী বয়সে এ সংগীতশিল্পী সিগারেট মুখে বিবস্ত্র হয়ে বিছানায় পোজ দিয়েছেন। ৯০ দশকের তোলা ছবিটি তার আনুমানিক দামের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে বিক্রি হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। ছবিটিতে দেখা যায় তিনি সাদা-রঙিন মিশ্র এলোমেলো চুল ও মেকাপ দেয়া কালো চোখে উল্লসিতভাবে কৌতুক ও আনন্দে মেতে আছেন। মুখে সিগারেট ফুঁকছেন। যৌন-আবেদনময়ী ছবিটি তুলেছেন ১৯৯২ সালে ফ্যাশন ফটোগ্রাফার স্টিভেন মেইসেল। তবে এটি ১৯৯২ সালের বিতর্কিত ‘সেক্স’ বইয়ে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ম্যাডোনার ৩১ বছর বয়সে তার ব্লন্ড অ্যাম্বিশন ট্যুরের সময় তোলা ছবিটি একজন সংগ্রাহক খুব দ্রুত কিনে নেন। ওই সময় বর্তমানে ৫৩ বছর বয়সী ম্যাডোনা দম্ভোক্তি করে বলেন, ‘আমি জানি আমি সেরা গায়িকা নই, আমি জানি আমি সেরা ড্যান্সার নই, কিন্তু আমি যেটা পারি তা হচ্ছে, মানুষের বোতাম খোলা ও নিজের মতো করে উৎপাদনমুখী যা ইচ্ছা তাই করতে পারা। নিলামের আয়োজক ও ছবিটির বিক্রেতা জুডিথ ইউরিখ বলেন, এটা সম্পূর্ণ যৌন আবেদনময়ী একটি ছবি। খুবই সুন্দর ও রঙিন। কেবল সাদা-কালো একটি ছবি নয়। এতে আছে ছাই ও উজ্জ্বল রঙ। এই ছবি নেয়ার সময় ম্যাডোনা অনেককেই বিভিন্ন রকম ছবির পোজ দিয়েছেন ৯০ এর দশকে যখন তার বয়স ৩০ এর কোটায়। ব্লেচ-ব্লন্ড হেয়ার কাট ও কালো চোখের মেকাপে তখন তিনি ছিলেন এক মোহনীয় আউটলুকে। তার শারীরিক সৌন্দর্য ছিল গর্জিয়াস। জুডিথ বলেন, ম্যাডোনা খুবই স্বাস্থ্যবান ও সুখী ছিলেন। তবে এতে সিগারেট নেয়া হয়েছে তাকে সেক্সি দেখানোর জন্য। ক্রেতাকে নিলাম সংস্থার ৫ হাজার পাউন্ডসহ মোট প্রায় ২৩ হাজার পাউন্ডের মতো পরিশোধ করতে হয়েছে।

Tuesday, May 15, 2012

নারীদের কম আকর্ষণীয় করতে মাথা ন্যাড়ার প্রস্তাব

জিম্বাবুয়ে কর্তৃপক্ষ এইচআইভি প্রতিহত করতে নতুন এবং অদ্ভুত এক পদ্ধতি অনুসরণ করছে। জীবনঘাতী এ রোগের জন্য নারীকে দায়ী করে রাজনীতিবিদরা নারীদের কম গোসল করতে বাধ্য করছেন এবং তাদেরকে অনাকর্ষণীয় দেখাতে মাথার চুল কেটে ফেলতে বাধ্য করছেন। তাদের ধারণা এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়ার মাধ্যমেই দেশে এইডসের বিস্তার রোধ করা সম্ভব হবে। জিম্বাবুয়ের এক সিনেটর মর্গান ফেমাই এক সম্মেলনে বলেছেন, তিনি মনে করেন মরণঘাতী এইডস বেশি বিস্তার লাভ করছে। কারণ আকর্ষণীয় নারীদের কাছ থেকে পুরুষরা নিজেদের নিবৃত করতে পারছে না। নিউ জিম্বাবুয়ের ওয়েবসাইটের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিনি বলেছেন, নারীদের কাছ থেকে পুরুষকে রক্ষা করতে প্রয়োজনে আইন প্রণয়ন করে তাদেরকে অনাকর্ষণীয় হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এইচআইভি সচেতনতার ওপর এক পার্লামেন্টারি কর্মশালায় সিনেটর ফেমাই তার পরিকল্পনাকে ক্রিস্টানিটির একটি ধারণার সঙ্গে তুলনা করেন। ওই ধারণাতে খ্রিস্টান নারীদের কেউ কেউ  মাঝে মাঝে মাথা ন্যাড়া করে থাকেন। তিনি বলেন, আমি সরকারের কাছে প্রস্তাব করছি তারা যেন এমন একটি আইন প্রণয়ন করেন যাতে নারীদের মাথা ন্যাড়া করতে বাধ্য করা যায়। তাদেরকে কম গোসল করার ব্যবস্থা করতে হবে। কারণ এটাই সব সমস্যার মূল বলে তিনি উল্লেখ করেন। জিম্বাবুয়ের প্রধান বিরোধী দল মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জের সদস্য সিনেটর ফেমাই গত সপ্তাহে দেশের পার্লামেন্টেও অন্যান্য রাজনীতিবিদের উপস্থিতিতে তার প্রস্তাব তুলে ধরেছিলেন। কয়েক দশকে জিম্বাবুয়েতে এইচআইভি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে। সেখানকার ১৪ ভাগ মানুষ এইচআইভি আক্রান্ত অবস্থায় জীবন ধারণ করছে বলে দাবি করা হয়েছে। জিম্বাবুয়ের হাজার হাজার মানুষ এখনও এইচআইভিতে আক্রান্ত রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। দেশের ভবিষ্যৎ স্বাস্থ্যনীতি নিয়ে একটি পার্লামেন্টারি সম্মেলনে অংশ নিয়ে সিনেটর ফেমাই তার অদ্ভুত মত তুলে ধরেছেন। তার এ ধরনের অবৈজ্ঞানিক বক্তব্য জিম্বাবুয়েতে সমালোচনার ঝড় তুলেছে। শত শত পাঠক বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকার ওয়েবসাইটে তাদের মতামত তুলে ধরে এ ধরনের প্রস্তাবের তীব্র সমালোচনা করেছেন। একজন পাঠক তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, আমার হৃদয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে। নিজেকে জিম্বাবুয়ের বৃটেন প্রবাসী হিসেবে দাবি করে মাসিম্বা মুসোদজা বলেছেন, আমি জিম্বাবুয়ের অধিবাসী সেটা ভাবতেই এখন লজ্জা হচ্ছে। আরেকজন পাঠক বলেছেন, স্বাধীনতার ৩০ বছর পর আফ্রিকা উপমহাদেশের সবেচেয়ে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অধিকারী হয়েও আমাদের জনপ্রতিনিধিদের এই অবস্থা। এ দেখে মনে হচ্ছে, আমরা আসলেই সমস্যায় রয়েছি।  

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মা হিলারি ক্লিনটন

বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর মা হলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। বিশ্ব মা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ফোর্বস বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ২০ মায়ের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে এক নম্বর অবস্থানে আছেন হিলারি ক্লিনটন। তার পরেই ২ নম্বর অবস্থানে আছেন ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রুশেফ। এ তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় উপমহাদেশের কয়েকজন নারী। তারা হলেন- ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেসের সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি, ভারতের ব্যবসা জগতের এক বহুল আলোচিত নাম পেপসিকোর প্রধান নির্বাহী ইন্দ্রানী নুই। ইন্দ্রানী নুই এক্ষেত্রে সোনিয়া গান্ধীকে অনেকটাই পিছনে ফেলেছেন। ইন্দ্রানী নুই ওই তালিকার ৩ নম্বরে রয়েছেন। আর সোনিয়া গান্ধীর অবস্থান ৬ নম্বরে। এ তালিকাটি করা হয়েছে বিভিন্ন ক্ষেত্রকে মাথায় নিয়ে। এর মধ্যে রয়েছেন সরকারি পর্যায়, ব্যবসা, বিনোদন, দর্শন প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের ফার্স্টলেডি মিশেল ওবামা রয়েছেন সোনিয়া গান্ধীর নিচে। সোনিয়া গান্ধীর অবস্থান ৬ নম্বরে। আর মিশেল ওবামার অবস্থান ৭ নম্বরে। এ তালিকার ৪ নম্বরে রয়েছেন ফেসবুকের সিওও শেরিল স্যান্ডবার্গ। ৫ নম্বর অবস্থানে রয়েছেন বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, সহ-সভাপতি মেলিন্ডা গেটস। আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল (আইএমএফ) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিন লগার্ড রয়েছেন ৮ নম্বর অবস্থানে। শিকাগোর ক্রাফট ফুডস-এর সিইও আরিন রোজেনফেল্ড রয়েছেন ৯ নম্বর অবস্থানে। এ তালিকায় অন্য যারা রয়েছেন পর্যায়ক্রমে তারা হলেন- দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের নির্বাহী সম্পাদক জিল আব্রামসন, যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য ও মানবসম্পদ বিভাগের সেক্রেটারি ক্যাথলিন সেনেলিয়াস, গুগলের বিজ্ঞাপন বিভাগের এসভিপি সুসান ওজকিকি, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ, সংগীতশিল্পী বিয়োন্সে নোয়েলস, অস্ট্রেলিয়ার খনিজ বিষয়ক টাইকুন ও বিলিয়নিয়ার জর্জিয়ানা রাইনহার্ট, তাইওয়ানের চের ওয়াং, যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ এডমিনিস্ট্রেশনের মারগারেট হ্যামবার্গ, যুক্তরাষ্ট্রের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সভাপতি মেরি শাপিরো, ডিসনি-এবিসি টেলিভিশন গ্রুপের সহসভাপতি অ্যান সুইনি এবং সবশেষে রয়েছেন মিয়ানমারের বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি।

আবার সেই রঞ্জিতা

  

 সেক্সগুরু স্বামী নিত্যানন্দের সঙ্গে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে গত বছর দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ুর নায়িকা রঞ্জিতা ভারত, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে সংবাদ শিরোনাম হয়েছিলেন। ওই সময় স্বামী নিত্যানন্দের সঙ্গে নীল ছবি করার ঘটনায় বেশ কিছুদিন তিনি ও নিত্যানন্দ আত্মগোপন করেছিলেন। এবার আবার নতুন করে আলোচনায় ফিরে এসেছেন সেই রঞ্জিতা। এবার তিনি যৌন কেলেঙ্কারির জন্য নয়। তিনি ভবিষ্যৎবক্তা দু’ব্যক্তির বিরুদ্ধে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে মামলা করেছেন। এ মামলা মানহানির। মামলায় তিনি বলেছেন, কাঁচি’র ভবিষ্যৎবক্তা শঙ্করাচার্য ও জয়েন্দ্র সরস্বতী তার সম্পর্কে মানহানিকর মন্তব্য করেছেন।
এতে তার প্রচণ্ড ক্ষতি হয়েছে। ওই দু’ব্যক্তি সমপ্রতি এক সাক্ষাৎকারে নিত্যানন্দের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এমন সম্পর্কের কথা অস্বীকার করে রঞ্জিতা বলেছেন, এতে তিনি ভীষণভাবে কষ্ট পেয়েছেন। তিনি হতাশায় ভুগেছেন। ওই দু’ব্যক্তি তার সম্পর্কে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়েছেন উদ্দেশ্যমূলকভাবে।

নারীতে-নারীতে বিয়ে

ভারতে বিয়ে করেছে সমকামী দুই যুবতী। এ নিয়ে তোলপাড় চলছে। লোকজনের মুখে মুখে ঘুরছে এ কাহিনী। চায়ের আড্ডা, গাছের ছায়ায় ক্লান্ত কৃষকের মুখে, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, অফিস-আদালত সর্বত্রই এ নিয়ে সরস আলোচনা। এ ঘটনা ঘটেছে হরিয়ানা রাজ্যের আম্বালা এলাকায়। সেখানকার ২ যুবতী- পুনম ও নেহা। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়তা তাদের মধ্যে। পুনমের মামাতো বোন নেহা। তাদের মধ্যে জানাশোনা অনেক দিনের। এর মধ্যে পুনমের বাসস্থান আম্বালা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায়। তিনি সাজগোজ করেন ছেলেদের মতো। তার মামাতো বোন নেহার বাস পাঞ্জাবের জালান্ধারে। নেহা বিবাহিত নারীদের মতো পোশাক-আশাক পরেন। সমপ্রতি তারা দু’জনে বিয়ে করে ফেলেছেন। এরপর তা জানাজানি হওয়ার পর দুই পরিবারে শুরু হয়েছে সম্পর্কের টানাপড়েন। নেহার পরিবার দাবি করছে, তাদের মেয়ে নেহাকে জোর করে চাপ সৃষ্টি করে পুনমকে বিয়ে করতে বাধ্য করা হয়েছে। পুনমের পরিবার বলছে তার উল্টো কথা। তারা বলছে, পুনমকে বেশ কতদিন আগে বাড়ি থেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় এখন কে জেতে কে হারে- তা এখন সময়ই বলে দেবে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়, নিশা নামে নেহার এক আত্মীয়া বলছেন, পুনম নেহাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। সে নেহাকে প্রহার করে ও চাপ প্রয়োগ করে বিয়ে করতে। এ সময় পুনম বলে- তুমি যদি আমাকে বিয়ে না করো তাহলে আমি আত্মহত্যা করবো। তিনি আরও দাবি করেছেন, নেহা ফোনে তাকে এসব কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে গতকাল নেহার অভিভাবকদের কারনালের নারী নিকেতনে পারিবারিক বৈঠকে বসার কথা। ওদিকে শনিবার এক যুবতীর পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিবাহিত ২ যুবতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরকে চালান দেয়া হয়েছে কোর্টে। এখানে উল্লেখ্য যে, তারা দু’জনেই পরিণত বয়সের। তাদেরকে আদালত কারনালের নারী নিকেতনে পাঠিয়ে দিয়েছে। ওদিকে পুনমের মা বিমলা দেবী বলছেন, তার মেয়ে কয়েকদিন থেকে নিখোঁজ রয়েছে। কিন্তু যখন জানতে পারেন পুনম ও নেহা বিয়ে করেছে তিনি তা বিশ্বাস করতে পারেননি। গতকাল পারিবারিক বৈঠকে কি সিদ্ধান্ত হয়েছে তা জানা যায়নি। এই নিয়ে আম্বালা এলাকায় নারীতে-নারীতে বিয়ের দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ও এক বেসরকারি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা এক মন্দিরে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন। এর আগে এই দু’নারীর মধ্যে দেড় বছরের প্রেম ছিল।

Sunday, May 13, 2012

ডেইলি মেইলের রিপোর্ট: গ্রিসে অভাবে সন্তান বিক্রি

ইউরোপের অর্থনৈতিক সঙ্কট সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করেছে গ্রিসে। ইউরোজোনের ঋণ সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দেশটি কর্মী ছাঁটাই থেকে শুরু করে ব্যয় সংকোচনের জন্য হেন কোন উদ্যোগ নেই যেটা নেয়নি। স্বাস্থ্যখাতের সংস্কার থেকে শুরু করে সরকারি পেনশন কাটা সবকিছুই করেছে তারা। তবে মুক্তি মেলেনি অর্থনৈতিক সঙ্কট থেকে। উল্টো সমস্যা মনে হয় আরও প্রকট হয়েছে। সরকারের চাপিয়ে দেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে আসছে মানুষ। আবেগ দিয়ে, উত্তেজনা দিয়ে প্রতিবাদ করছে। কিন্তু জীবন যুদ্ধের ব্যয় মেটাতে সবচেয়ে কঠিন যে কাজটি করতে বাধ্য হচ্ছে তা বেশ হৃদয়বিদারক। নিজের নাড়ি ছেঁড়া ধনকে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হচ্ছে। রাস্তায় নিয়ে আসছেন সন্তানদের বিক্রি করে দেয়ার জন্য। কেউ কেউ বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থায় দিয়ে দিচ্ছেন আদরের সন্তানদের। যেমন ব্যয় মেটাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আবার সন্তানদের পড়ালেখা করাতে না পেরে তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবেও হতাশ অনেকে। সমপ্রতি এমন খবর উঠে এসেছে ডেইলি মেইলের প্রতিবেদনে। এমন একজন মা কাসিয়ানি পাপাডোপাউলো। ৩০ বছরের বিধবা। তার দু’মেয়ে ও এক ছেলে। বয়স যথাক্রমে ১৪, ১৩ ও ১২। এক বছর আগে বাধ্য হয়ে তিন সন্তানকে ২০ মাইল দূরের একটি চ্যারিটি হোমে রেখে আসেন। এক শনিবারে কাসিয়ানি বাচ্চাদের জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা গাড়ির একটি ব্যাগ নিয়ে বের হয়েছেন সন্তানদের দেখতে যাবার জন্য। তার সন্তানেরা তাকে দেখে ‘মা মা’ বলে দৌড়ে আসে। জড়িয়ে ধরে চুমু খায় বড় মেয়ে। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পর যখন তার চলে আসার সময় হয় তখন তার গাল বেয়ে লাগাতার ঝরছিল অশ্রু। কাসিয়ানি বলেন, এটা অনেক কষ্টের। সন্তানদের ছেড়ে কোন মা-ই এমন দূরে থাকতে পারে না। কিন্তু আমি অপারগ। তাদের খাবার, স্কুলে পাঠানোর খরচ ও নিজের বাড়ি ভাড়া জোগাড় করতে পারছি না। কত জায়গায় গেছি, কত সরকারি অফিসে গেছি সহায়তা পাবার জন্য। সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। সবাই বলেছে আমাদের দেশ সঙ্কটে আছে। অতিরিক্ত টাকা নেই। মারিয়া টিসিভরা (৩৭) বলেন, তারা অনেক সমস্যায় আছেন তবে অন্য অনেকের মতো রাস্তায় সন্তান বিক্রি করার মতো পরিস্থিতি তার তৈরি হয়নি। মারিয়া জানান, তার এক বন্ধু সিঙ্গেল মা অভাবের কারণে নিজে একটি চ্যারিটি সংস্থায় আশ্রয় নিয়েছেন। বাচ্চার খরচ জোগাড় করতে না পারায় তাকে একটি নিঃসন্তান পরিবারের কাছে বিক্রি করে দিয়েছেন। এমন ঘটনা এখন অহরহ ঘটছে গ্রিসে। নিজেদের প্রয়োজনীয় টাকা জোগাড় করতে সহায়তা চাইতে বিভিন্ন চ্যারিটি সংস্থা ও চার্চে যাচ্ছে মানুষ। দেশটির অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, সেখানে প্রতি ৫ জনের একজন প্রাপ্তবয়স্ক লোক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। প্রায় ৫ ভাগ গ্রীক ফার্ম বন্ধ হয়ে গেছে। গত দু’বছরে জীবনযাত্রার মান ২০ ভাগ নিচে নেমে গেছে। এমনকি খ্রিষ্টপূর্ব ৭০০ শতাব্দিতে অলিম্পিক গেমসের উদ্ভাবক দেশটি অর্থের অভাবে লন্ডন অলিম্পিকে মাত্র অর্ধেক অ্যাথলেট পাঠাচ্ছে। একটি গির্জার ফাদার জন বলছেন, এমন দারিদ্র্য কখনও কোথাও দেখেন নি তিনি।

এমপি’র কার্টুন আঁকায় শিল্পীকে ২৫ বেত্রাঘাত

ইরানের এমপি আহমাদ লোতফি আশতিয়ানির ব্যাঙ্গচিত্র আঁকার অপরাধে অঙ্কনশিল্পী মাহমুদ শোকরায়ে’কে ২৫ ঘা বেত্রাঘাত দেয়া হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কার্টুনশিল্পীরা। এ ঘটনা ঘটেছে ইরানের মারকাজি প্রদেশে। এ বিষয়ে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক জানায়, মারকাজিতে অবস্থিত মিডিয়াবিষয়ক আদালত ওই এমপিকে অবমাননা করার জন্য শোকরায়েকে দোষী সাব্যস্ত করে। তিনি যে কার্টুন এঁকেছেন তাতে আশতিয়ানিকে একটি ফুটবল মাঠে ফুটবল খেলোয়াড় হিসেবে দেখানো হয়েছে। তাতে তার এক হাতে একটি অভিনন্দন বার্তা এবং পা একটি স্থির বলের ওপর স্থির। তার কপালে কালো চিহ্ন রয়েছে। নামাজ আদায়ের ফলে এমন চিহ্ন পড়ে থাকে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষেও তার কপালে এরকম চিহ্ন রয়েছে। কিন্তু ব্যঙ্গচিত্রে তার কিছুতা কমবেশি করা হয়েছে। এ নিয়ে ইরানের সমাজ ব্যবস্থায় তীব্র বিতর্ক হচ্ছে। তার মধ্যে জড়িয়ে পড়েছেন অনেক রাজনীতিবিদ। তারা বলছেন, এর মাধ্যমে দেশের খেলাধুলার জগতে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে।

সেনাপ্রধানকে আন্না হাজারের আমন্ত্রণ

ভারতের গান্ধীবাদী ও দুর্নীতি বিরোধী আন্দোলনের নেতা আন্না হাজারে দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল ভি কে সিংকে তার দলে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন গতকাল। এক র‌্যালিতে আন্না বলেন, অবসরের পর এই জাতীয় আন্দোলনে যোগ দিতে চাইলে আমরা তাকে স্বাগত জানাবো। এই প্রথম সেনাপ্রধানকে সরাসরি আমন্ত্রণ জানালেন হাজারে। এর আগে টিম আন্নার কলিগ অরবিন্দ ও কিরণ বেদি সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে সেনাপ্রধানকে সমর্থন করে টুইটারে বার্তা দিয়েছিলেন। এর আগে ৬ই মে সেনাপ্রধানকে সমর্থন করা এক র‌্যালিতে বাবা রামদেব ও টিম আনার থিঙ্কট্যাঙ্কের সদস্যরা অংশ নিয়েছিলেন। সেখানে রামদেবের সহকারীরা বলেছিলেন আন্না হাজারে, বাবা রামদেব ও জেনারেল সিং-ভারতের নতুন ইতিহাসের খসড়া। গতকাল এ খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

রেকর্ড গড়লেন মৌলভীবাজারের জিলানি চৌধুরী

মৌলভীবাজার কলেজের ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক নেতা জিলানি চৌধুরী রেকর্ড গড়লেন। প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে তিনি গ্রেটার লন্ডনের ইসলিংটনের মেয়র হিসেবে মনোনীত হয়েছেন। প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেছেন, আমি ইসলিংটনের মেয়র মনোনীত হতে পেরে খুবই আনন্দিত। এটা আমার জন্য বড় সম্মানের। গত রাতেই বার্ষিক কাউন্সিল মিটিংয়ে তার এ পদে শপথ নেয়ার কথা রয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইসলিংটন গেজেট। এতে বলা হয়, তার জন্ম বাংলাদেশে। বয়স ৪৭ বছর। তিনি ১৯৯২ সালে ইসলিংটনে চলে যান। সেখানেই স্ত্রী ও তিন সন্তান নিয়ে বসবাস করছেন। ২০০৬ সাল থেকে তিনি বার্নসবারি ওয়ার্ডের প্রতিনিধিত্ব করছিলেন। তিনি দেশে অবস্থানকালে বাংলাদেশের সামরিক সরকারবিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় ছিলেন। তখন তিনি মৌলভীবাজার কলেজ ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি ছিলেন বাংলাদেশের সিভিল সার্ভিস এসোসিয়েশনের প্রধান। এই সংগঠনটি কর্মচারীদের অধিকার ও সমান সুযোগের জন্য কাজ করে। জিলানি চৌধুরী বলেন, একজন কাউন্সিলর হিসেবে আমি দেখেছি মানুষ এই বরো’তে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যা মোকাবিলা করছে তা হলো আবাসস্থল নিয়ে। কিন্তু একজন মেয়র হিসেবে আমি সবাইকে সমান সুযোগ দেয়ার চেষ্টা করবো। এখানে এত ভিন্ন ভিন্ন দেশের, ভিন্ন ভিন্ন জাতির মানুষের বসবাস। এ এলাকাটি বহু সংস্কৃতির হয়ে গেছে। এটা খুব ভাল দিক। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যখন সামরিক শাসনের অধীনে ছিল তখন সংবাদপত্রের কোন স্বাধীনতা ছিল না। একজন ছাত্র হিসেবে তা আমাকে আন্দোলনে যেতে উদ্বুদ্ধ করেছে।

৭০ বছরের কুমারী তিনি

নিজের ব্যক্তিগত জীবনের চেয়ে সব সময় ক্যারিয়ারকেই বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী পাম শাও। কোন পুরুষের সঙ্গে সময় কাটানোর সময় তিনি নিজেকে কখনোই দেননি। তাই ৭০ বছর বয়স হলেও তিনি নিজের কুমারিত্ব বজায় রেখেছেন। ক্যাবারে গায়িকা এবার পছন্দের ব্যক্তির কাছে নিজের কুমারিত্ব বিসর্জন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে এজন্য পাত্রকে হতে হবে লম্বা, কালো এবং সুদর্শন ধনবান পুরুষ। ক্যাবারে তার নাম ‘দি সেক্সশনাল পাম’ হলেও অবসর গ্রহণকারী পামইবয়ের পূর্বে যৌনতায় বিশ্বাস করেন না। জীবনের এতগুলো দিন কৌমার্য বজায় রাখার পর গ্রেটার ম্যানচেস্টারের পাম এবার উপযুক্ত একজন সঙ্গীর সন্ধানে নেমেছেন। ডেইলি সানকে তিনি বলেছেন, এখনও আমার প্রত্যাশা খুব বেশি। আমি এখনও একজন লম্বা, কালো এবং সুদর্শন ধনবান পাত্র আশা করছি। আমার এখন মনে হচ্ছে, বিয়ের জন্য আমি এখন তৈরি এবং একজন পুরুষের সঙ্গে আমি সময় কাটাতে পারি। কোন কিছুর জন্যই মানুষ কখনও খুব বুড়িয়ে যায় না। যৌবনের স্বর্ণালী সময়ে বৃটেনের ক্লাব জগতে পাম যৌনাবেদনময়ীর পরিচয় নিয়ে টম জোনস, এঞ্জলবার্ট হ্যাম্পারডিঞ্চ এবং রজার ম্যুরের মতো তারকাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। কিন্তু তিনি কখনোই কারও সঙ্গে বিছানায় যাননি। তিনি নিজের সম্পর্কে বলেছেন, মানুষ মঞ্চে আমার বাহ্যিক খোলামেলা পোশাক দেখে মনে করতো আমাকে খুব সহজেই কাছে পাওয়া যাবে।
কিন্তু আমি কখনও কোন পুরুষের সঙ্গে একটু চুমো ছাড়া আর কিছুই করিনি। আমার বেশ আবেদনময় নাম ছিল। পোশাকও পরতাম বেশ খেলামেলা। তবে এসবই করেছি আমার পেশার খাতিরে। পাম বলেছেন, লোকজন যখন শুনতো আমার বয়সের কথা এবং এই বয়সেও আমি কেবল সংগীতের জন্য বিয়েতে জড়াইনি, তখন তারা বেশ হবাক হন। এই বয়সেও পাম নিজেকে যথেষ্ট কর্মক্ষম মনে করেন। এ জন্য তিনি তার কুমারিত্বকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন। ১৯৯৫ সালে ৯৭ বছর বয়সে তার মা লিলিয়ান মারা যাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি তার সঙ্গেই থাকতেন। তবে দীর্ঘ জীবনে এক বার একব্যক্তি তার প্রেমে পড়েছিলেন। তবে তিনি যখন বুঝতে পারলেন আসলে ওই ব্যক্তি আসলে তার স্বপ্নের পুরুষ নন তখন তাদের সম্পর্কে ইতি ঘটে।

বিয়ের দিনেই সন্তানের মা হলেন ক্লেওলো

বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরপরই ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়ে রীতিমতো আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন বৃটেনের ড্যানিয়েল ক্লেওলো। ২৫ বছর বয়সী স্বামীর সঙ্গে বিয়ের ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষ হওয়ার পরই তিনি সাত পাউন্ড সাত আউন্স ওজনের সন্তান জন্ম দিয়েছেন। তাই তড়িঘড়ি করে তাকে বিয়ের আসর থেকে চলে যেতে হয়। অবশ্য কিছু সময় পরে বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তিনি আবার স্বামীকে নিয়ে ঠিকই হাজির হয়েছিলেন। বিয়ের দিনে সন্তান জন্ম দিয়ে উচ্ছ্বসিত ক্লেওলো বলেছেন, আমার পেটটা বেশ উঁচু হয়ে উঠেছিল। পরিবারের সদস্য এবং বন্ধু-বান্ধব সবাই আমাকে বলতেন আমি বিয়ের দিনই সন্তান জন্ম দেব। তিনি বলেন, সন্ধ্যায় বিয়ের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ঠিক আগেই আমাকে হাসপাতালে ছুটতে হলেও আমি মোটেও বুঝতে পারছিলাম না বিয়ের দিনই আমি মা হবো। আর এর কয়েক ঘণ্টা পরে নবজাতক শিশুটিকে নিয়ে আমরা যখন সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলাম, তখন সবাই বিস্ময়ের দৃষ্টিতে বিষয়টি উপভোগ করছিলেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, নবদম্পতি যখন বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য হল বুকিং দিয়েছিলেন, তখনও তারা বেশ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন এক সন্তানের জননী ক্লেওলো ৩৮ সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা হলেও ঠিক বিয়ের দিনই তিনি মা হবেন না। ক্লেওলো বলেছেন, বড় ছেলে কেটন নির্ধারিত সময়ের এক দিন পরে জন্মেছে। তাই আমরা ভাবতেই পারিনি এবার বিয়ের দিনই সন্তান জন্ম হবে। আমরা যখন দ্বিতীয় সন্তানের ব্যাপারে জানতে পারলাম, তখন চিন্তা করলাম এ সন্তান জন্মানোর পর বিয়ের সময় বের করা বেশ কঠিন হবে। তাই অ্যারোন এবং আমি ভ্যালেনটাইন’স ডে’তেই সন্তান জন্মানোর আগে বিয়ের কাজটা সেরে  ফেলার সিদ্ধান্ত নিলাম। আমার কাছে এ প্রস্তাবটি দারুণ লেগেছিল। বিয়ের দিনে ১৯ বছর বয়সী ক্লেওলো বেশ অস্বস্তি (পেটে সংকোচন) নিয়ে ঘুম থেকে উঠলেও বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি জানিয়েছেন বিয়ের শপথ নেয়ার সময়ও তিনি বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলেন। কিন্তু নিজের কষ্ট হওয়া সত্ত্বেও তিনি বিয়ের পরবর্তী ছবি তোলার জন্য পোজ দিয়েছেন এবং নিজের বিয়ের রেজিস্ট্রিতে স্বাক্ষর করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা ৫০ জন অতিথিকে আমন্ত্রণ করেছিলাম। আমার শারীরিক অবস্থা কিছু আড়াল করতে বেশ সুন্দর এবং লম্বা একটি বিয়ের পোশাকও কিনেছিলাম। স্থানীয় একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠানের জন্য বুকিংও দেয়া হয়ে গিয়েছিল। এমনকি বিয়ের বাদকদল ও কেক পর্যন্ত প্রস্তুত ছিল। তাই ওই সময়ে এসে বিয়ে শেষ করতে আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ছিলাম। তিনি স্বীকার করেন চুল বাঁধার সময় আমার দীর্ঘ সময় স্থির হয়ে বসে থাকতে বেশ কষ্ট হয়েছে। বিয়ের শপথ পড়ার সময়ই তার ব্যথার তীব্রতা বাড়তে শুরু করেছিল বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এরপর বিয়ের আসর থেকেই অ্যারন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে নেয়ার আধ ঘণ্টা পর ক্লেওলো একটি সুস্থ ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সব কিছু ঠিকমতো সম্পন্ন করার পর রাত ১০টার সময় নবদম্পতি নবজাতক সন্তানকে নিয়ে বিয়ের সংবর্ধনায় যোগ দেন। ক্লেওলো বলেছেন, বিয়ের দিনেই সন্তানের মা হতে পেরে আমি এবং আমার স্বামী খুবই খুশি। উভয়ই এমন দুটি পরিচয়ের অধিকারী হতে পেরে আমি গর্বিত। এ সন্তানের চেয়ে এ বিয়েতে আর কোন বড় উপহার হতে পারে না বলে তিনি উল্লেখ করেছেন।

ফোনে ডাক্তারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

গাইনির ডাক্তার রজনী জগতাপকে যৌন হয়রানি করেছেন শিবসেনা নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ইউনিয়ন মিউনিসিপ্যাল কর্মচারী কামগার সেনা’র সভাপতি সুনীল চিতনিস। এ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে মুম্বইয়ের রাজাবতী হাসপাতাল। সেখানকার ডাক্তার, কর্মচারীরা এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন। একই সঙ্গে ডাক্তার রজনী একটি অভিযোগ দিয়েছেন সাবিত্রি বাই ফুলে গেন্ডার রিসোর্স সেন্টারে। গতকাল এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক। এতে বলা হয়েছে, ডা. রজনী ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইন চার্জ। বুধবার তিনি যখন গাইনি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন সেই ওয়ার্ড ছিল রোগীতে ঠাসা। ওই সময় বাড়তি ১৫ জন রোগী আসে। তিনি বাধ্য হয়ে তাদের ৫ জনকে পুরুষদের বার্ন ওয়ার্ডের একটি খালি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। এর মধ্যে একজন ছিলেন হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট অ্যাসিস্টেন্ট টেকনিশিয়ান ভগবান কদমের শাশুড়ি। তাকে পুরুষ ওয়ার্ডে পাঠানোয় ক্ষিপ্ত হন কদম। তিনি ফোন করে অভিযোগ দেন সুনীল চিতনিসকে। শ্রমিক নেতা সুনীল রাত ৪টার দিকে ফোন করেন ডাক্তার রজনীকে। এ সময় তাকে অশ্লীল কথা বলেন। ডাক্তার রজনী বলেছেন, তিনি আমাকে পতিতা বলে গালি দিয়েছেন। এমন কথা শুনেই আমি ফোন কেটে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি তো ওই ৫ রোগীকে পুরুষদের একটি খালি ওয়ার্ডে পাঠিয়েছি। তার আগে তাদের যথাযথ ওষুধ ও রাতের খাবার ব্যবস্থা করেছি। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল বলে এমন ব্যবস্থা নিয়েছি। এ নিয়ে ভগবান কদম আমার সঙ্গে তর্কাতর্কি করেছে। আমি তাকে যতই বোঝাতে গিয়েছি কিছুতেই সে বুঝতে চেষ্টা করেনি। এ ঘটনায় হাসপাতালে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছে তখন কদম বলেছে, আমার শাশুড়ির সমপ্রতি একটি অপারেশন হয়েছে। তিনি গাইনি ওয়ার্ডে ছিলেন। এ নিয়ে তাকে তিনবার ওয়ার্ড বদল করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি ডাক্তার রজনীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেই রেগে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরেই আমার শাশুড়ির পেটে ব্যথা শুরু হয়। ফলে তিনি যা করেছেন তা ঠিক করেননি। এ বিষয়ে আমি সুনীলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কিন্তু তিনি ডাক্তার রজনীকে কি বলেছেন তা আমি জানি না। তবে সুনীল বলেছেন, আমি এ নিয়ে ডাক্তার রজনীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তিনি যে অভিযোগ এনেছেন তা মিথ্যা। ওদিকে হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট ডাক্তার সুভাস পয়েকার বলেছেন, আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছি।

গোপন তথ্য ফাঁস

ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারিতে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের নাম জড়ালেন নিউজ ইন্টারন্যাশনালের সাবেক প্রধান নির্বাহী রেবেকা ব্রুকস। শুক্রবার রেবেকা বলেছেন, ফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনায় অবৈধ সাংবাদিকতা নিয়ে হৈচৈ পড়ার পর তিনি পদত্যাগ করলে ক্যামেরন তাকে কিছু সমর্থন দেয়ার কথা বলেন। রেবেকা রুপার্ট মারডকের বৃটিশ নিউজ পেপার ডিভিশন নিউজ ইন্টারন্যাশনালের প্রধান নির্বাহী পদ থেকে গত জুলাইয়ে পদত্যাগ করেন। এরপর কেলেঙ্কারির তদন্তে রেবেকার সঙ্গে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার ও তার পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের বিষয়টি বেরিয়ে আসে। ৪৩ বছর বয়সী রেবেকা, ফোন হ্যাকিং কেলেঙ্কারির ঘটনায় দু’বার গ্রেপ্তার হয়েছেন। বর্তমানে জামিনে থাকা রেবেকা ভবিষ্যতে আবারও বিচারের মুখোমুখি হওয়ার ভয়ে কোন প্রশ্নেরই সরাসরি জবাব দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, ক্যামেরন ছিল তার একজন বন্ধু ও প্রতিবেশী। রেবেকা বলেন, তিনি পদত্যাগ করার পর অনেকগুলো ইনডাইরেক্ট মেসেজ রিসিভ করেন। সমর্থন দেয়ার কথা জানানো ওসব মেসেজ ছিল রাজনীতিবিদ সহকারীদের পক্ষ থেকে। যার মধ্যে প্রধানমন্ত্রীও অন্তর্ভুক্ত। ১০ নং হোম অফিস ও ১১ নং ফরেইন অফিস থেকে ওসব মেসেজ আসে। ক্যামেরনকে উদ্ধৃত করে মিস ব্রুকস ট্রেজারি চিফ জর্জ বর্ন ও অন্য ক্যাবিনেট মেম্বারদের কথা উল্লেখ করেন। রেবেকা স্বীকার করেছেন যে, ক্যামেরন থেকে তিনি একটি মেসেজ পেয়েছেন। যেখানে তাকে বলা হয়েছিল ‘মাথা উঁচু রাখ’। একই সঙ্গে তিনি রাজনৈতিক চাপের কারণে প্রকাশ্যে খুব বেশি সমর্থন দিতে পারবেন না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। মেসেজের যেসব শব্দের বিষয়ে রেবেকা বলেন, আমি মনে করি না সেগুলো যথার্থ ব্যবহৃত শব্দ ছিল। রেবেকা বলেছেন, তার ও ক্যামেরনের মধ্যে সপ্তাহে এক-দু’বার মেসেজ বিনিময় হতো ২০১০ সালের নির্বাচনের সময়গুলোতে সেখানে ক্যামেরন তার সাইনে ডিসি লিখতেন। এলওএল (লেটস অব লাভ) লিখতেন। তবে একে রেবেকা ‘লাফ আউট লাউড’ বলার পর এলওএল লিখেননি তিনি। মিস ব্রুকস নিশ্চিত করে বলেন, তিনি ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয়ে ক্যামেরনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। আলোচনা হয়েছে ২০০২ সালে নিখোঁজ হওয়া স্কুলগার্ল মিলি ডাউলারের ফোন হ্যাকিংয়ের বিষয় প্রকাশ হওয়ার পর। তিনি বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারও এ বিষয়ে তাকে সমর্থন দেয়ার কথা বলেছেন। ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধের সময় ইরাকে বৃটেনের ভূমিকা তার পত্রিকা সমর্থন করায় তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। তবে হ্যাকিং-এর বিষয়ে টনি ব্লেয়ারের উত্তরসূরি গর্ডন ব্রাউন অপ্রত্যক্ষভাবে নারাজ ছিলেন বলে জানান রেবেকা। এতে ২০১০-এর নির্বাচনে ব্রাউনকে সমর্থন করেনি ডেইলি সান। ফলে তার পরাজয় হয়। এই বিষয়ের কারণেই মনে হয় তার পদত্যাগের পর মেসেজ পাঠাননি ব্রাউন-কৌতুক করে বলেছেন রেবেকা। রেবেকার এসব প্রমাণ সংস্কৃতি মন্ত্রী জেরেমি হান্টসের নিউজ কর্পোরেশন- এর উপর একটি সিদ্ধান্ত নেয়া নিয়ে বিতর্ক উঠবে। সেটা হলো- নিউজ কর্পোরেশন স্যাটেলাইট ব্রডকাস্টের উপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখবে কিনা। হান্ট বলেছেন, এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রণবাদের উপর দায়িত্ব ছেড়ে দেয়া উচিত।

৪৭ বৃটিশ নারীকে ধর্ষণের দায়ে পাকিস্তানি চক্রের জেল

কমপক্ষে ৪৭ বৃটিশ নারীকে ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের দায়ে ৮ পাকিস্তানি ও এক আফগান নাগরিকের একটি গ্রুপকে যৌথভাবে ৭৭ বছরের সাজা দিয়েছেন বৃটেনের এক আদালত। এ খবর দিয়ে ডেইলি মেইল জানায়, বৃটেনের গ্রেটার ম্যানচেস্টার ও রকডেলে এসব নারীকে নিপীড়নের আগে অ্যালকোহল পান করানো হয়। এতে বলা হয়, এসব নারীকে বিভিন্ন সময় উপহার, টাকা ও অ্যালকোহল পান করিয়ে দৈনিক একাধিক পুরুষের সঙ্গে ও সপ্তাহে কয়েকবার শারীরিক সম্পর্ক করা হতো। পুলিশ বলছে, মাতাল অবস্থায় একজন নারীকে এক রাতে ২০ জন পুরুষের সঙ্গে মিলনে বাধ্য করা হয়েছে। এতে করে দু’জন গর্ভবতী হয়ে পড়ে। যাদের একজনের বয়স মাত্র ১৩ বছর। পরে তার গর্ভপাত করানো হয়। দলটির ৫৯ বছর বয়সী লিডারকে (নাম প্রকাশ করা হয়নি) ষড়যন্ত্র, ধর্ষণ, ধর্ষণে সহায়তা, যৌন নিপীড়ন ও শোষণের দায়ে ১৯ বছরের জেল দেয়া হয়। এছাড়া গ্রুপের সবাইকে ভিন্ন ভিন্নভাবে ধর্ষণ, নিপীড়ন ও যৌনতার সঙ্গে জড়িত থাকার দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেয়া হয়। স্থানীয় লেবার পার্টির সাবেক এমপি এ্যান ক্লেয়ার বলেন, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মাঝে মাঝে এসব অভিযোগ অবহেলা করেছে বর্ণবাদী অভিযোগ আসার ভয়ে। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে আফগানিস্তানের নাগরিক সাফিকে সাজা ভোগের পর দেশ থেকে বহিষ্কার করার আদেশ দেয়া হয়েছে।

Thursday, May 10, 2012

মায়াবতীর বাড়ি মেরামতে খরচ ৮৬ কোটি রুপি

নিজের বাংলো বাড়ি মেরামতে সরকারি তহবিলের ৮৬ কোটি রুপি খরচ করেছেন বহুজন সমাজবাদী পার্টির প্রধান মায়াবতী। তিনি যখন মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তখন ওই বিশাল অংকের অর্থ খরচ করা হয়েছে। তিনি ২০০৭ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন। তারপর থেকেই ১৩ মল এভিনিউর বাংলো মেরামত কাজ শুরু করেন। তা শেষ হয় তার মেয়াদের শেষের দিকে। সমাজবাদী পার্টির নেতা শিবপাল যাদবের একটি আরটিআই দরখাস্ত থেকে এই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। তিনি এ দরখাস্তটি করেছিলেন মায়াবতীর ক্ষমতার মেয়াদে যখন বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন। এটি এক বছর আগের কথা। তা সত্ত্বেও এ বিষয়টি সমপ্রতি প্রকাশিত হয়েছে। গতকাল অনলাইন দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, এস্টেট বিভাগের সিনিয়র এক কর্মকর্তা বলেছেন, এখনও আমরা মোট খরচ নিয়ে তদন্ত করছি। তবে তাতে মনে হচ্ছে, মোট খরচের অংশ ১০০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে। মায়াবতীর ওই বাড়িটি লক্ষ্ণৌর মল এভিনিউতে অতি মূল্যবান ৫ একর জায়গার ওপর স্থাপিত। তার নিরাপত্তা রক্ষায় রাজস্থান থেকে শ্বেত পাথর নিয়ে ২০ ফুট উঁচু করে দেয়াল নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু আদতে, ১৩ মল এভিনিউ এ বাড়িটি ২.৫ একর জায়গায়। কিন্তু মায়াবতী তার পার্শ্ববর্তী একটি প্লট যোগ করেছেন। ওই বাড়িটি ছিল একটি সরকারি অফিস। তা ভেঙে দেয়া হয়েছে। ওই ৫ একরের জায়গায় মূল ভবনটি একটি এক তলাবিশিষ্ট বাড়ি। তাতে রয়েছে ৬টি রুম। একটি রুমের সঙ্গে আরেকটি রুম সংযুক্ত।  রুমগুলোর সামনে বিশাল বিস্তৃত করিডোর। তাতে রয়েছে বেশকিছু লকার। করিডোরের একটি দেয়ালে মায়াবতীর নিখুঁত একটি ছবি ঝুলছে। তাতে তাকে ১৯৯৫ সালে উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিতে দেখা যাচ্ছে। করিডোরের বাইরের দিকে রয়েছে একটি বারান্দা। তাতে রয়েছে দু’টি জানালা। সেখানে বসানো হয়েছে বুলেটপ্রুফ কাচ। প্রতিটি জানালার পেছনে খরচ পড়েছে ১৫ লাখ রুপি। এছাড়া রয়েছে আলাদা একটি দোতলা বাসা। সেটিও সুসজ্জিত। সেখানে রয়েছে ১৪টি বেডরুম। সব রুমে মেঝেতে ইতালিয়ান মার্বেল বসানো। এখানে আছে একটি মিটিং হল, একটি নিরাপত্তা কক্ষ, কতগুলো গ্যারেজ ও গাড়িচালকদের রুম। রয়েছে দু’টি ২০ ফুট উঁচু মূর্তি। একটি মায়াবতীর। অন্যটি তার গুরু কাশীরামের। এছাড়া সেখানে আছে হাতির ৫টি মার্বেলের মূর্তি। এ ভবনটির কাজ একবারে শেষ করা যায়নি। কারণ, যতবারই কাজ করা হয়েছে, সজ্জিত করা হয়েছে ততবারই মায়াবতীর তা পছন্দ হয়নি। মূল ভবনের একটি বাথরুমের কাজই কমপক্ষে ১২-১৩ বার করা হয়েছে।

অনৈতিক যৌনাচার, অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটিতে তোলপাড়

অস্ট্রেলিয়ার একটি শীর্ষ ইউনিভার্সিটিতে যৌন হয়রানির দাবিকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, স্টুডেন্ট এসোসিয়েশন আয়োজিত একটি ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্পে অনৈতিক যৌনাচরণ, মাদক ব্যবহার এবং নিপীড়নের ঘটনা ঘটেছে। পার্থনাউ এক রিপোর্টে জানিয়েছে, এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্টুডেন্ট গিল্ডের আয়োজনে একটি ওরিয়েন্টেশন ক্যাম্পে এ ধরনের ঘটনার অভিযোগের বিষয়টি ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া (ইউডব্লিউএ) স্বীকার করেছে। গত মাসে ইউডব্লিউএ’র এক ছাত্র ফেসবুকে একাউন্ড খুলে সেখানে ‘বহুগামী’ শিক্ষার্থীদের আনন্দ করার জন্য রোটনেস্ট আইল্যান্ডে আমন্ত্রণ জানানোর তিন সপ্তাহ পর বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা দাবি করেছেন, নবাগত শিক্ষার্থীরা যাতে বেশি করে মদ পান করতে পারে সেজন্য সিনিয়র শিক্ষার্থীরা তাদের মুখের ভেতর আঙ্গুল দিয়ে বমি করিয়েছে। এতে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের অনেকেই শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়েছে। আয়োজনকরা নিজেরাই তাদেরকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা সরবরাহ করেছে। আর কোর্স সম্পন্নকারী সিনিয়র শিক্ষার্থীদের অনেকেই তাদের ওপর মূত্র ত্যাগ করেছে। ইউডব্লিউএ ভাইস চ্যান্সেলর পল জনসন বলেছেন, তাদের কাছে আসা লিখিত অভিযোগে বাজি ধরে মদ্যপান, নানা ধরনের নিপীড়ন এবং অস্বাভাবিক যৌনক্রিয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, অবশ্য এসব অভিযোগের বিষয়গুলো ইউনিভার্সিটির স্বাভাবিক অভিযোগের আওতায় পড়ে না। এতে শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত আপত্তিকর আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীদের এ ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে না। প্রফেসর জনসন বলেছেন, এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ এখন স্টুডেন্ট গিল্ড থেকে তহবিল প্রত্যাহার করে অন্য খাতে বরাদ্দ দেয়ার কথা ভাবছে। সেই সঙ্গে ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আইডব্লিউএ গিল্ডকে নির্দেশ দিয়েছে তারা যেন পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে ইউনিভার্সিটির আচরণবিধি সব ক্ষেত্রেই কঠোরভাবে অনুসরণ করে। এছাড়া গিল্ডকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে পরবর্তীতে যে কোন ধরনের অনুষ্ঠান যেন কোন নির্জন স্থানে আয়োজন না করে যেখানে সবার যাতায়াতের সুযোগ এমন স্থানে আয়োজন করা হয়। এতে আরও বলা হয়েছে, গিল্ড যদি মদ বিক্রি এবং এর নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে তাহলে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পের উৎসবে যোগ দিতে দেয়া হবে না। ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছে, ভবিষ্যতে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করার আগে নিরাপত্তা রক্ষার্থে কোন নিরপেক্ষ সংস্থার একজন প্রতিনিধি এবং মে, ডিকেল কর্মকর্তা ওই স্থান পরির্দশন করবেন। ইউডব্লিউএ স্টুডেন্ট গিল্ড প্রেসিডেন্ট ম্যাথিউ ম্যাকেঞ্জি বলেছেন, যে অভিযোগে উঠেছে সেটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। আর অভিযোগে যে ধরনের আচরণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ক্যাম্পের একটি ছোট গ্রুপে বিভক্ত শিক্ষার্থীদের বিতর্কিত আচরণ সেখানকার সব শিক্ষার্থীদের আচরণের পরিচায়ক নয়। গিল্ড ক্যাম্পাসে বিভিন্ন ধরনের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে অর্থায়ন করে থাকে। এসব ওরিয়েন্টেশন এসব সেবারই অংশ বিশেষ। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচি নতুন শিক্ষার্থীদের ইউনিভার্সিটির জীবনযাত্রা সম্পর্কে পরিচিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। 
গিল্ডের পক্ষ থেকে সবগুলো ক্যাম্প পরিদর্শন করা হয়েছে। যে ধরনের আচরণের ব্যাপারে অভিযোগ করা হয়েছে সে ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

নারীদের জন্য নিষিদ্ধ

কর্মক্ষেত্রে নারী স্টাফদের জন্য জিন্স, টি-শার্ট নিষিদ্ধ করে তাদেরকে শাড়ি বা সালোয়ার কামিজের মতো শোভন পোশাক পরার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের হরিয়ানার নারী ও শিশু উন্নয়ন বিভাগ। কর্মক্ষেত্রে শোভনীয় পোশাক পরে আসার এক নির্দেশ নামায় টি-শার্টকে বলতে গেলে অশোভন পোশাক বলেই বিতর্কিত এক নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে। গত ১৮ই এপ্রিল নারী ও শিশু বিভাগের পরিচালকের অফিস থেকে জারি করা এ নির্দেশ ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ফিল্ড অফিসে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের শোভনীয় পোশাক পরার নির্দেশ দেয়ার মাধ্যমে এতে শাড়ি/সালোয়ার, কামিজ, ওড়নাকে নারীদের জন্য এবং প্যান্ট-শার্টকে পুরুষদের জন্য শোভনীয় পোশাক বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়েছে কোন কোন কর্মকর্তা টি-শার্ট/পশ্চিমা ঢংয়ের পোশাক পরে কর্মক্ষেত্রে চলে আসেন যা কেবল দৃষ্টিকটু নয় অনেক সময় সরকারি নিয়ম-নীতির পরিপন্থি। তাই এর কর্মকর্তা কর্মচারীদের নতুন নিয়ম অনুসরণ করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় এর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। সমাজ কল্যাণমন্ত্রী গীতা ভুক্কাল এ নির্দেশের ব্যাপারে বলেছেন, হয়তো শালীন পোশাক শব্দটি নিয়েই আপত্তি উঠেছে। বিচারপতি, আইনজীবী, ডাক্কার প্রত্যেকের জন্যই বিশেষ ড্রেস কোড রয়েছে। প্রত্যেকেরই এসব কোড মেনে চলা উচিত। তিনি বলেন, জিন্স পরা অশোভন নয়। আমি বুঝতে পারছি, এ নির্দেশে ব্যবহৃত শব্দগুলো ব্যবহার করা ঠিক হয়নি।  

Wednesday, May 9, 2012

ভারতীয় কূটনীতিকের কন্যার ১৫ লাখ ডলারের ক্ষতিপূরণ মামলা

অকারণে একদিন জেল দেয়ার কারণে নিউ ইয়র্ক সিটি, এর শিক্ষা বিভাগ, কিছু কর্মকর্তা, স্কুলের অধ্যক্ষ ও এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা করেছেন ভারতীয় এক কূটনীতিকের কন্যা। তাতে তিনি ১৫ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন। গতকাল দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর দিয়ে জানায়, নিউ ইয়র্কে নিযুক্ত ভারতীয় কনসুলেট জেনারেল দেবাশীষ বিশ্বাসের কন্যা ক্রিত্তিকা বিশ্বাস (১৮) ওই মামলা করেছেন। এতে বলা হয়, ক্রিত্তিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি তার মোবাইল ফোন থেকে আপত্তিকর ও যৌন উসকানিমুলক ই-মেইল পাঠিয়েছিলেন কুইন্সের জন ব্রাউন হাই স্কুলের শিক্ষকদের। এ অভিযোগে গত বছর ফেব্রুয়ারিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একদিন রাখা হয় জেলে। এ সময় তাকে তার পিতা-মাতার সঙ্গেও দেখা করতে দেয়া হয়নি। সাক্ষাৎ করতে দেয়া হয়নি ভারতীয় কোন কূটনীতিকের সঙ্গেও। ক্রিত্তিকার দাবি, ওই অভিযোগ মিথ্যা। মিথ্যা অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে জেল দেয়া হয়েছে। এতে তার সম্মানহানি হয়েছে। এসব দাবি করে তার আইনজীবী রবি বাত্রা ১১৮ পৃষ্ঠার লিখিত অভিযোগ দিয়ে ওই মামলা করেছেন। এতে রয়েছে ১০টি ফেডারেল অভিযোগ, ১৬টি নিউ ইয়র্ক রাজ্যের আইনের আওতায় অভিযোগ। আর মামলাটি করা হয়েছে গত সোমবার নিউ ইয়র্কের ইউএস ডিস্ট্রিক্ট কোর্ট সাউদার্ন ডিস্ট্রিক্ট-এ। এ মামলায় ক্ষতিপূরণ হিসেবে চাওয়া হয়েছে ৫ লাখ ডলার। ১০ লাখ ডলার চাওয়া হয়েছে কর্তৃপক্ষের শাস্তিস্বরূপ। ক্রিত্তিকার আইনজীবী বাত্রা বলেছেন, আমরা আশা করছি- এই মামলার মাধ্যমে নিউ ইয়র্কের ১১ লাখ শিক্ষার্থী সচেতন হয়ে যাবে। তাদের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক সিটির শিক্ষা বিভাগ কোন মিথ্যা অপরাধবিষয়ক অভিযোগ বা অবৈধভাবে বরখাস্ত করলে তারা সে বিষয়ে প্রতিকার নিতে পারবে। গত বছর যখন ক্রিত্তিকাকে আটক করা হয়েছিল তখন বিষয়টি মিডিয়াতে ফলাও করে প্রচার করা হয়েছিল। ভারত এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। তখনকার ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মীরা শঙ্কর বলেছিলেন, তারা ওই ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে মার্কিন সরকারের কাছে তুলে ধরেছেন। ওদিকে ক্রিত্তিকাকে তার স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি চলে আসেন ভারতে। এখানে শুরু করেন কলেজে পড়াশোনা। এবার মামলায় বলা হয়েছে, ক্রিত্তিকা নন। যৌন উত্তেজক ই-মেইল বার্তা পাঠিয়েছিল অন্য এক শিক্ষার্থী। কিন্তু ক্রিত্তিকার মতো তাকে আটক করা হয়নি। তবে মামলায় আরও বলা হয়েছে, ক্রিত্তিকা ওই ই-মেইল না পাঠালেও তাকে এক পুলিশ অফিসার দোষ স্বীকার করতে বাধ্য করেছিল। তাকে ওই পুলিশ অফিসার হুমকি দিয়েছিল- যদি তুমি দোষ স্বীকার না করো তাহলে তোমাকে যৌনকর্মীদের সঙ্গে এবং এইডস রোগীদের সঙ্গে একত্রে জেলে থাকতে হবে।