From Anandabazar.com |
রবিবার ভোর সাড়ে ৬টা। দ্বারকা শ্মশানে গণধর্ষিতা তরুণীর মুখাগ্নি করলেন বাবা। শোকে জ্ঞান হারালেন মা। কান্নায় ভেঙে পড়লেন ভাই। এর ঘণ্টা সাতেক আগেই আবার একটি ১৬ বছরের মেয়েকে যৌন নিগ্রহ করা হল। আবার রাতের বাসযাত্রায়। যা দেখিয়ে দিল, দিল্লির কোনও বদল নেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৬ বছরের ওই নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করা হয় দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা ডিটিসি-র একটি বাসে। কী ঘটেছিল কাল রাতে? পুলিশ জানিয়েছে, রাত সাড়ে ন’টার সময় খেয়ালায় নিজের বাড়ি থেকে বেরোন তরুণীটি। তার আগে তাঁর সঙ্গে বাবা-মায়ের সম্ভবত কথা কাটাকাটিও হয়েছে। কারও কারও ধারণা, সম্ভবত তিনি রাগ করেই বেরিয়ে যান। কিছু ক্ষণ কেটে যাওয়ার পরেও মেয়ে ফিরছে না দেখে উদ্বিগ্ন বাবা পুলিশে খবর দেন। স্থানীয় থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার পরেই শুরু হয় খোঁজ। পুলিশ জানিয়েছে, এর মধ্যেই রাত এগারোটা নাগাদ মেয়েটিকে মধ্য দিল্লির মান্ডি হাউসের কাছে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে খুঁজে পাওয়া যায়। |
নয়াদিল্লির বাড়ির বাইরে অ্যাম্বুল্যান্সে ওই তরুণীর দেহ। রবিবার। ছবি —এএফপি |
ওই বাসের চালক ও কন্ডাক্টরের কাছ
থেকে জানা যায়, কী ঘটেছিল। তাঁরাই জানিয়েছেন, ওই বাসে অন্য একটি বাসের
কন্ডাক্টর যাচ্ছিল। তার নাম রণজিৎ সিংহ। বাস যখন খালি হয়ে গিয়েছে, তখন
সে-ই উঠে গিয়ে মেয়েটির উপরে হামলা চালায়। তাঁর যৌন নিগ্রহ করে। ওই চালক
ও কন্ডাক্টরই পরে পুলিশের কাছে সাক্ষ্য দেন। তাঁদের কথার ভিত্তিতে রণজিৎ
সিংহের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ এবং ৫০৯ ধারায় মামলা দায়ের করা
হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। রণজিতের ১২ দিনের জেলহাজত
হয়েছে। কিন্তু তাতেও থামানো যাচ্ছে না প্রশ্ন। যেখানে দিল্লির সেই তরুণীর ধর্ষণ ঘিরে এত প্রতিবাদ, যা শুধু রাজধানীতেই নয় ছড়িয়ে পড়েছে গোটা দেশে, তাতে কি মানসিকতা আদৌ বদলাচ্ছে? শনিবারই পশ্চিমবঙ্গের বারাসতে এক মহিলাকে গণধর্ষণ করে খুন করা হয়। একই দিনে মুম্বইয়ের জুহু বিচে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে বেরিয়ে হেনস্থা হতে হল এক মহিলাকে। সেই ঘটনায় কাউকে এখনও ধরাই সম্ভব হয়নি। পাছে এই সব সূত্র ধরে আবার আছড়ে পড়ে বিক্ষোভের ঢেউ, তাই কাকভোরে চুপিসারে ওই তরুণীর শেষকৃত্য সেরে ফেলল সরকার। এবং সেটা দেশের ঘুম ভাঙার আগেই। গোপনীয়তার ইঙ্গিত গত কাল সিঙ্গাপুরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রাঘবনের কথাতেই ছিল। তিনি বারবার বলেছিলেন, “মৃতার পরিবার চাইছেন গোপনীয়তা রক্ষা করতে। সেই আবেগকে মর্যাদা দেওয়া হোক।” তার পর থেকে আজ শেষকৃত্য সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত সবটাই হয়েছে সুপরিকল্পিত ভাবে। সিঙ্গাপুর থেকে মৃতদেহ ও তরুণীর পরিবারের সদস্যদের বিশেষ বিমানে দিল্লি আনা হয় প্রায় শেষ রাতে। বেসরকারি সংবাদমাধ্যমগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসে কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মণীশ তিওয়ারি প্রতিশ্রুতি আদায় করে নেন, বিমানবন্দর থেকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা পিছু নেবেন না। দেহ দিল্লি পৌঁছনোর পর আজ ওই শেষ রাতেই বিমানবন্দরে গিয়ে তরুণীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ ও কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধী। সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি তাঁরা জানান, দোষীদের যাতে দ্রুত শাস্তি হয়, সে জন্য সব রকম ব্যবস্থা নেবে সরকার। এর পর বিমানবন্দর থেকে তরুণীর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লিতে তাঁর বাড়িতে। সেখান থেকে শ্মশানে। গোটা পথে ছিল ৩০-৪০টি গাড়ির কনভয়। এবং টানটান নিরাপত্তা বেষ্টনী। শেষকৃত্য যে দ্বারকায় হবে, তা-ও গত কাল প্রায় মধ্যরাতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানায় পুলিশ। সেই সঙ্গে এ-ও জানায়, আলো ফোটার আগেই শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে হবে। কিন্তু পরিবারের সদস্যরা এবং পুলিশ মৃতদেহ নিয়ে পৌঁছলে এই নিয়ে আপত্তি তোলেন শ্মশানের পুরোহিত। বলেন, সূর্যোদয় পর্যন্ত অপেক্ষা করা হোক। শেষ পর্যন্ত সকাল সাড়ে ৬টা নাগাদ শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। শুধু শেষকৃত্যে গোপনীয়তাই নয়, প্রতিবাদ-বিক্ষোভের আশঙ্কা থেকে দিল্লিকে আজও অবরুদ্ধই রাখে প্রশাসন। সেই আশঙ্কা যে পুরোপুরি ভুল ছিল না, সেটা বোঝা যায় যখন ঘুম থেকে উঠে ফের প্রতিবাদে নেমে পড়ে দিল্লি। দুপুরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের কিছুটা ধাক্কাধাক্কিও হয়। কিন্তু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ছাড়ায়নি। |
Monday, December 31, 2012
কাকভোরে চুপিসারে শেষকৃত্য রাতের বাসে ফের যৌন নিগ্রহ লজ্জার দিল্লিতে
ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট বাড়ানোই দাওয়াই মমতার
রাজ্যের
আদালতগুলিতে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি-সহ নারী নির্যাতন সংক্রান্ত মামলার
সংখ্যা দেড় লক্ষ ছুঁতে চলেছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, মামলা দ্রুত মেটাতে
আরও বেশি ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালু করতে হবে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তকে
বিরোধীরা দিল্লির ঘটনার পর তৃণমূলের কৌশল হিসেবেই দেখছেন। তাঁদের মতে,
দেড় বছরে ধর্ষণের ঘটনায় কড়া মনোভাব নেওয়ার বদলে তাকে অস্বীকার করার
ঝোঁকই বেশি দেখা গিয়েছে রাজ্য সরকারের মধ্যে। তা সে পার্ক স্ট্রিট কাণ্ডই
হোক, অথবা কাটোয়া বা বারাসত। ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর হিসেবমতো, ২০০২-এ রাজ্যে নারী নির্যাতন মামলা ছিল ৩৯,৪৬২টি। ২০১১-তে তা হয় ১,৩১,৮২৪। ’০৫ সালে সব রাজ্যে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট চালুর জন্য প্রায় ৫০৯ কোটি টাকা বরাদ্দ করে কেন্দ্র। তার পর রাজ্যে প্রায় দেড়শো ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খোলা হয়। তবে ২০১১-এর মার্চের পরে ওই খাতে আর বরাদ্দ হয়নি। এখন নতুন করে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খুলে দ্রুত নারী নিগ্রহ মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে কিনা, সেই প্রশ্ন উঠছে। কারণ, রাজ্যে যত ধর্ষণের মামলা চলছে, তার প্রায় এক তৃতীয়াংশে চার্জশিট দিতে পারেনি পুলিশ। মামলাকারীদের অনেকেরই অভিজ্ঞতা, তদন্তে দেরি হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে পুলিশ তদন্ত শেষও করতে পারছে না। আবার পুলিশের একাংশের যুক্তি, নারী নির্যাতন মামলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ফরেন্সিক রিপোর্ট যথাসময়ে মিলছে না। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তার মতে, অধিকাংশ জেলা হাসপাতালে অভিযোগকারিণীকে পরীক্ষা করানোর উপযুক্ত সরঞ্জাম, বিশেষজ্ঞ না থাকাতেও সমস্যা হচ্ছে। আইনজীবীদের একাংশ সময় চাওয়ায়ও মামলার গতি শ্লথ হচ্ছে। |
||||
|
||||
গত এপ্রিলে জাতীয় মহিলা কমিশনের
প্রতিনিধিরা মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে স্বরাষ্ট্র, আইন, স্বাস্থ্য
দফতরের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর সুপারিশ করে বলেন, অভিযুক্তদের গ্রেফতার
করে সময়ের আগেই চার্জশিট দেওয়া নিশ্চিত করতে হবে। মানবাধিকার সংগঠন
এপিডিআর-এর এক পদাধিকারীর বক্তব্য, “তার আট মাস পরেও রাজ্য পদক্ষেপ করেনি।
অথচ, মুখ্যমন্ত্রী ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট গড়ার কথা বলছেন। এটা আশ্চর্যের।”
সরকারি সূত্রের অবশ্য খবর, খুব সম্প্রতি নারী নির্যাতন সংক্রান্ত যাবতীয় মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি করতে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মামলায় ডাক্তারি পরীক্ষা, ফরেন্সিক বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা মাথায় রেখে স্বাস্থ্য দফতরকেও ওই প্রক্রিয়ায় সামিল করা হয়েছে। সব ঠিক থাকলে হাইকোর্টের সম্মতি সাপেক্ষে ২০১৩-র গোড়ায় রাজ্যের সব জেলায় আরও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট খোলা হবে। খোদ মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, “আমরা এটা করব।” মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রত্যয় নিয়ে অবশ্য প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা। প্রশ্ন তুলছেন রাজ্য সরকারের মানসিকতা নিয়েও। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসুর অভিযোগ, “গত দেড় বছরে বহু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। কিছু প্রকাশ্যে এসেছে। বহু ঘটনা ধামাচাপা দেওয়া হয়েছে।” কংগ্রেসের আইনজীবী নেতা অরুণাভ ঘোষ বলেন, “আরও ফাস্ট ট্র্যাক কোর্ট তৈরির টাকা রাজ্য কোথা থেকে দেবে? এ সব হচ্ছে পয়সা খরচ না করে সংবেদনশীল সাজার চেষ্টা! Taken From Anandabazar.com |
Thursday, December 27, 2012
আল জাজিরার রিপোর্ট: তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে বাংলাদেশে অচলাবস্থা
বছরের রগরগে কেচ্ছা-কেলেঙ্কারি
সিআইএ (সাবেক) প্রধান জেনারেল ডেভিড পেট্রাউসের সঙ্গে তার জীবনীকার পলা ব্রডওয়েলের ছিল ২০১২ সালের সবচেয়ে বড় যৌন কেলেঙ্কারি। এ কারণে তাকে চাকরি হারাতে হয়েছে। সারা বিশ্বে যে গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ দাবড়ে বেড়ায় তার প্রধানের এমন কাণ্ডে হতবাক যুক্তরাষ্ট্র সহ সচেতন মানুষ। তবে তাদের এই গোপন প্রণয়ের কথা ধরা পড়ে জিল কেলি নামের আরেক নারীর কারণে। জিল কেলি-ও পেট্রাউসের ঘনিষ্ঠ। এ জন্য পলা ব্রডওয়েলের ভয় ছিল পেট্রাউস হয়তো একদিন জিল কেলির প্রেমে পড়ে যাবেন। তখন তার পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াবেন। তাই জিল কেলিকে দূরে সরিয়ে দিতে তাকে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে ই-মেইল পাঠান পলা ব্রডওয়েল। হুমকি পেয়ে জিল কেলি তা জানান এফবিআই’কে। এফবিআই তদন্ত করতে গিয়ে ধরে ফেলে ডেভিড পেট্রাউসের সঙ্গে পলা ব্রডওয়েলের প্রেমের কাহিনী। গত ৬ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। বলা হয়, এফবিআই এই নির্বাচনের আগেই পেট্রাউস-পলার সম্পর্কের কথা জানতে পেরেছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তার প্রভাব পড়তে পারে এমন বিবেচনায় এফবিআই ওই তথ্য প্রকাশ করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের পরে। ঘটনা এখানেই থেমে থাকেনি। অনুসন্ধানে দেখা যায় জিল কেলির সঙ্গে আবার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে আফগানিস্তানে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের কমান্ডার জেনারেল জন অ্যালেনের। বলা হয়, তাদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের কয়েক হাজার গোপন ফাইল বিনিময় হয়েছে। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। তবে তার শেষ এখনও জানা যায় নি। এ বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ভারতের বিভিন্ন অনলাইন মিডিয়া রিপোর্ট প্রকাশ করে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির সঙ্গে পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিনা রব্বানি খারের গোপন সম্পর্ক নিয়ে। বলা হয়, তাদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে প্রেম চলছে। তা পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ও বিলাওয়ালের পিতা আসিফ আলী জারদারির নজরেও পড়েছে। কিন্তু বিলাওয়াল ও হিনা বিদেশে পালিয়ে গিয়ে সেখানে বসত করার পরিকল্পনা করেন। রিপোর্টে বলা হয়, হিনা রব্বানি খারের স্বামী ফিরোজ গুলজার। তিনি ওই কথা শোনার পর কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কাছে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন। ওইসব রিপোর্টে বলা হয়, হিনা রব্বানি তার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে ছেদ ঘটিয়ে বিলাওয়ালকে নিয়ে সুইজারল্যান্ডে চলে যেতে পরিকল্পনা করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিলাওয়ালকে হিনা রব্বানি প্রেমপত্রও দিয়েছেন বলে জানানো হয়। কিন্তু পরে জানানো হয়, ওইসব রিপোর্ট আসলে গুজব। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যের তিন মন্ত্রীর কর্মকাণ্ডে সবাই হতবাক হয়ে যায়। কারণ, তারা পার্লামেন্ট অধিবেশন চলার সময় মোবাইল ফোনে নীল ছবি দেখছিলেন। ৮ই ফেব্রুয়ারি নয়া দিল্লি থেকে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানায়, ওই ঘটনার পর পদত্যাগ করেছেন তিন মন্ত্রী লক্ষণ সাবাদি, সিসি পাতিল ও কৃষ্ণ পালেমার। গোপন ক্যামেরায় ধরা পড়ে তাদের পর্নো ছবি দেখার দৃশ্য। এরপর সেখানকার পার্লামেন্টে তোলপাড় হয়। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে বলা হয়। কারণ, তারা সবাই উগ্র হিন্দুত্ববাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)-র নেতা। তাই তাদেরকে নিয়ে বেশ বিব্রতকর অবস্থায় পড়ে দল। দলেই শুধু তাদের বিরুদ্ধে কথা বলাবলি হয়েছে এমন নয়। তাদের বিরুদ্ধে মাঠে নামে মানবাধিকার বিষয়ক কর্মীরা, ডানপন্থি হিন্দুত্ববাদী গ্রুপগুলো। নারী উন্নয়ন বিষয়ক কেন্দ্রীয় সাবেক মন্ত্রী ও কংগ্রেস সদস্য রেণুকা চৌধুরী এর সমালোচনায় বলেন, আমরা এমন একটি দেশে বাস করছি যেখানে মানসিকতা এরকম। নারীদের এখানে পণ্য মনে করা হয়। এটা দুঃখজনক ঘটনা যে, যারা ক্ষমতায় আছেন, যাদের দায়িত্ব সবকিছু দেখভাল করার তাদের মানসিকতা বাইরের অন্যদের থেকে আলাদা নয়। তারা পর্নো ছবি দেখায় ব্যস্ত থাকেন। অবশেষে ওই তিন মন্ত্রী পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এই ভারতেরই আরেক বিস্ময় পুনম পাণ্ডে। গত বছর তিনি তো ‘স্ট্রিপ কুইন’ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ বছরে তিনি শুধু প্লেবয় ম্যাগাজিনেই নগ্ন পোজ দেননি, পাশাপাশি টুইটারে নিজেই পোস্ট করেছেন নিজের নগ্ন ছবি। তাতে আবার লিখেছেন রগরগে সব বাক্য। আগস্ট মাসে তিনি টুইটারে পোস্ট করেন গোসল করার দৃশ্য। একটি-দু’টি নয়, একাধিক ছবি। ওই দিনটি যেন তারই ছিল। ছবিগুলো পোস্ট করার পর ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা যেন ঝাঁপিয়ে পড়ে তা দেখার জন্য। ওই ছবিতে তাকে দেখা যায় বাথটাবে তিনি গোসল করছেন। তার সারা শরীর ভেজা। তিনি নগ্ন হয়ে গোসল করছেন। এদিন তিনি টুইটারে একটি ছবি পোস্ট করে লিখেছেন- ফ্রেস মর্নিং, জাস্ট হ্যাড এ হট শাওয়ার বাথ। হ্যাভ এ ব্লেসেড সানডে # ফ্রেশ মর্নিং। এভাবে তিনি বেশ কতগুলো ছবি পোস্ট করেছেন। তাতে কোনটাতে তিনি অনুসারীদের উন্মাতাল না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। একটিতে লিখেছেন- পুনম পাণ্ডে হট থেকে হটার হয়ে উঠছে। এভাবে তিনি গোসল করার বিভিন্ন রকম পোজের সঙ্গে লিখেছেন নানা উত্তেজনা সৃষ্টিকারী মন্তব্য। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় এসেছেন প্লেবয় ম্যাগাজিনে পোজ দিয়ে। তা নিয়ে হৈ চৈ পড়ে যায় চারদিকে। ওদিকে বিবিসি’র প্রয়াত জিমি স্যাভিলের যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে বিবিসি মহা বিপদে পড়ে। এ ঘটনায় কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তা পদত্যাগ করে বিবিসি থেকে।
Wednesday, December 26, 2012
মিনি স্কার্ট পরলেই গ্রেপ্তার
Thursday, December 20, 2012
বাসে গণধর্ষণ: ভারতে তোলপাড়
পাত্রী চাই-অভিনব বিজ্ঞাপন বৃদ্ধের
বড় হাতের অক্ষরে লেখা প্ল্যাকার্ডটি গলায় ঝুলিয়ে নিজ মনে কাজ করে যাচ্ছেন। একই সঙ্গে প্রেয়সীর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন সবার। প্রথম দেখে কৌতুক মনে হলেও ম্যাক বলছেন, এটা কোন কৌতুক নয়। সত্যিকার অর্থেই নিজের জন্য পাত্রী খুঁজছেন। তিনি জানান, মানুষ ২০-২৫ বছর বয়সে বিয়ের জন্য পাত্রী খোঁজেন। তবে আমি চাইছি একটা সাহচর্য। প্রথম জীবনে বয়স মাত্র ৪০ বছর হওয়ার আগেই তিনটি বিয়ে করেন ম্যাক। একে একে সব স্ত্রীই তাকে ডিভোর্স দিয়ে চলে যান। ফলে এখন তিনি খুবই সতর্ক। এক সময়ে বিশ্ব ভ্রমণ করা ম্যাক পুরনো ভুল আর করবেন না বলে জানান। যৌবনকালে বেশি আবেগপ্রবণ ছিলেন। কিন্তু এখন তিনি জানেন সম্পর্ক রক্ষায় কি কি কাজ করা উচিত। ডেইলি মেইলকে ম্যাক জানান, নিজের জন্য একটি পাত্রী খুঁজে পাচ্ছিলেন না বহুদিন ধরে। গত মাসে সামারিটান আঞ্চলিক মেডিকেল সেন্টারে সাদা চুলের এক বৃদ্ধ স্বেচ্ছাসেবী তাকে অভিনব এই পদ্ধতি অবলম্বনের পরামর্শ দেন। পরে একই বয়সী আরেকজন স্বেচ্ছাসেবীও একই পরামর্শ দিলে বিষয়টি মনঃপূত হয় তার। স্বেচ্ছাসেবীরা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, কি সহায়তা প্রয়োজন। জবাবে একজন স্ত্রী দরকার জানালে স্ত্রী খুঁজে নেয়ার অভিনব পদ্ধতিটি বাতলে দেন তারা। পরে নিজের সাদামাটা পছন্দ বইপ্রেমী ও কৌতুকপ্রেমী স্ত্রী খুঁজতে পরামর্শমতো গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে দেন ম্যাক। বৃটেনের বার্ভালিসে বাস করা বই বিক্রেতা ম্যাক জানান, তার অভিনব বিজ্ঞাপনে সাড়া পড়েছে। বিভিন্ন বয়সের নারীরা তার সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। স্ত্রী খুঁজে পেতে সহায়তা করার আশ্বাস দিয়েছেন অনেকে। অনেকে ম্যাকের সঙ্গে ছবি তুলছেন। এর মধ্যে দুই মহিলা তার সঙ্গে নিয়মিত লাঞ্চ করতে আসার ওয়াদা দিয়েছেন। তবে কি একাধিক হবু স্ত্রী বাজিয়ে দেখতে চাইছেন বিশ্বভ্রমণকারীকে। বর্তমানে টুকটাক গল্প লেখা ও বই বিক্রি করে বেশ আয় হয় তার। ফলে সংসার চালাতে কোন সমস্যা নেই। আধুনিক যুগের ম্যাক প্রাচীন নিয়মে বিশ্বাস করেন। ফলে লেখালেখি হাতেই করেন। বাকি জীবনও চ্যাট নয় গল্প করেই হবু স্ত্রীর সঙ্গে জীবন কাটাতে চান তিনি।
Monday, December 17, 2012
বহু পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক, মেয়ে বললো- পুরুষখেকো
ভারতে ধর্ষিতারা মুখ খুলছে...
ধর্ষণের শিকার হওয়ার পর এখনও পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে সে। সে বলেছে, আমি আমার স্বপ্ন হারিয়েছি। বাবার ইচ্ছা ছিল ডাক্তার বানানোর। এখন সেটা পূরণ করতে পারবো কিনা জানি না। ধর্ষণের বিরুদ্ধে চুপ করে না থেকে মুখ খুলে প্রতিবাদ ও ন্যায় বিচারের দাবি করার পথে উৎসাহী করার জন্য অনেক সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। এর মধ্যে অল ইন্ডিয়া ডেমোক্রেটিক ওমেন এসোসিয়েশনের জাগমতি বলেন, তারা অপরাধ ও অপরাধীকে নিয়ে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
Subscribe to:
Posts (Atom)