লিবিয়ার সাবেক নেতা কর্নেল মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ
থেকে ফ্রান্সের সাবেক প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ৪০০০ কোটি পাউন্ড
নিয়েছেন। বাংলাদেশের মুদ্রায় যার মান প্রায় ৫২০০০০ কোটি টাকা। নিকোলাস
সারকোজি ২০০৭ সালে যখন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করেন তখন ওই অর্থ নিয়েছিলেন
গাদ্দাফির কাছ থেকে। প্রতিদানে ন্যাটো লিবিয়ার বিরুদ্ধে যে অভিযান পরিচালিত
করে তার নেতৃত্ব দেয় সেই ফ্রান্স। অনলাইন ডেইলি মেইল এ খবর দিয়েছে। এতে
বলা হয়েছে, বৃটেনের সঙ্গে অস্ত্র ব্যবসায় ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রয়েছে এমন প্রচুর
অর্থের মালিক জায়েদ তাকিয়েদ্দিন (৬২)। তিনিই গাদ্দাফির কাছ থেকে নিকোলাস
সারকোজির ওই অর্থ নেয়ার অভিযোগ উত্থাপন করেছেন। গত ১৯শে ডিসেম্বর তার
সাক্ষ্য নিয়েছে প্যারিসের এক বিচারপতি রেনাউদ ভ্যান রুইমবেকে। সেই সাক্ষ্যে
তিনি বলেছেন, ২০০৬ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০০৭ সালের জানুয়ারির মধ্যে ওই
অর্থের বেশির ভাগই নিকোলাস সারকোজিকে দিয়ে দেন গাদ্দাফি। এ ঘটনা ঘটে
সারকোজি ক্ষমতায় আসার ৫ মাস আগে। জায়েদ তাকিয়েদ্দিন বলেন, প্রতিজ্ঞা করে
বলছি- আমি এর স্বপক্ষে প্রমাণপত্র দিতে পারবো আপনাদের। তাই এ বিষয়ে নতুন
করে তদন্ত দাবি করছি আমি। এর আগেও নিকোলাস সারকোজির বিরুদ্ধে একই রকম
সাক্ষ্য দিয়েছেন বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী। তারা সবাই বলেছেন, রাষ্ট্রীয়
ক্ষমতায় সারকোজি ছিলেন দুর্নীতিপরায়ণ। ফরাসি আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের কোন
প্রার্থী কারো কাছ থেকে ৬৩০০ পাউন্ডের বেশি অর্থ নিতে পারেন না। কিন্তু নগদ
অর্থ না নিয়ে সারকোজি কৌশল অবলম্বন করেন। তিনি পানামা ও সুইজারল্যান্ডের
ব্যাংকের মাধ্যমে গাদ্দাফির কাছ থেকে অনুদান গ্রহণ করেন। গত বছর আরবী ভাষার
একটি প্রমাণপত্র প্রকাশ হয়। তাতে বলা হয়, নিকোলাস সারকোজির প্রেসিডেন্ট
নির্বাচনে নৈতিকভাবে সম্মতি দিয়ে তাকে ৪০০০ কোটি পাউন্ড দিয়েছেন মুয়াম্মার
গাদ্দাফি। লিবিয়ার ন্যাশনাল ট্রানজিশনাল কাউন্সিল বা জাতীয় অন্তর্বর্তী
পরিষদের সিনিয়র সদস্যরা গাদা গাদা তথ্য প্রকাশ করে দেয়। ওদিকে অভিযোগ আছে,
গাদ্দাফি যে অর্থ সারকোজিকে দিয়েছেন তার মধ্যস্থতা করেছেন জায়েদ। কারণ, তার
সঙ্গে আরব অঞ্চলের বিভিন্ন জনের সঙ্গে ও ফরাসি রাজনীতিকদের সঙ্গে ভাল
সম্পর্ক ছিল। এছাড়া মুয়াম্মার গাদ্দাফির ছেলে সাইফ আল ইসলাম গাদ্দাফিও
বলেছেন, তার নিকোলাস সারকোজিকে তার পিতা নির্বাচনের সময় অর্থ দিয়েছেন। তার
দাবি, তাই সারকোজির এখন প্রথম কাজ হলো সেই অর্থ লিবিয়ার হাতে ফেরত দেয়া।
তবে এ বিষয়ে নিকোলাস সারকোজির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
দিল্লিতে গণধর্ষণের পর ২৩ বছর বয়সী ছাত্রীর মর্মান্তিক
মৃত্যুর পর একে একে বেরিয়ে আসছে ধর্ষণের কাহিনী। ভারতের মিডিয়া, বিশেষ করে
অনলাইন পত্রিকাগুলোতে এসব রিপোর্টে সয়লাব। এমন অবস্থায় মুখ খুলেছেন বহুল
আলোচিত, প্লেবয় ম্যাগাজিনের জন্য পোজ দেয়া শেরলিন চোপড়া। তিনিও এ ঘটনায়
হতাশ, ক্ষুব্ধ। তাই তিনি প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি ধর্ষিত হতে চান। তবে একটি
শর্ত দিয়েছেন। বলেছেন, তাকে কথা দিতে হবে ভারতে সব ধর্ষণ বন্ধ হবে তাতে।
যদি সব ধর্ষণ বন্ধ হয় তাহলে তিনি ধর্ষিত হতে চান। তিনি টুইটারে লিখেছেন-
‘প্রিয় ঘৃণ্য ব্যক্তিবর্গ, আপনারা বলতে পারেন আমার ধর্ষিত হওয়া উচিত। যদি
আমি ধর্ষিত হলে ভারতের আর কোন কনেকে ধর্ষিত না হওয়ার নিশ্চয়তা দেয় তাহলে
আমি যে কোন মূল্যে প্রস্তুত কোন ভয় নেই।’ ওদিকে পাঞ্জাবের মোহালিতে ১০ বছর
বয়সী এক শিশু কন্যাকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগে পুলিশের ৫০ বছর বয়সী এক
সহকারী সাব-ইন্সপেক্টরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার নাম দেশ রাজ। ওই শিশুর
পিতা গত ২৫শে ডিসেম্বর পুলিশের কাছে এ অভিযোগ করেন। ভারতে ধর্ষণ ঘটনা নিয়ে
যখন তোলপাড় চলছে তখন পুলিশ এক সপ্তাহ পরে বুধবার ওই অভিযোগটিকে মামলা
হিসেবে নথিভুক্ত করেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, দেশ রাজ ওই শিশুটির বাড়ির পাশেই
এক রুমের একটি বাসায় ভাড়া থাকতো। সে ওই শিশুকে তার ঘরে ডেকে নিয়ে তাকে যৌন
নির্যাতন করেন। তখন শিশুটি কান্নাকাটি শুরু করলে তার পিতা দৌড়ে গিয়ে তাকে
রক্ষা করে। এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, তাদের তদন্তে দেশ রাজকে দোষী
সাব্যস্ত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। নির্যাতিতা ও
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে। ওদিকে নয়া দিল্লির ১৭ বছর বয়সী এক
কিশোরী ধর্ষিত হয়েছে। তাকে এমএনসির দুই কর্মচারী ধর্ষণ করেছে। এ জন্য সে
অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা করে। ওদিকে জয়পুরে ১১ বছর
বয়সী এক শিশু গণধর্ষিত হওয়ার পর তার প্রজননতন্ত্রে ১৪টি অপারেশন করা
হয়েছে। গোয়াতে এক নারীকে হুমকি দেয়ার অভিযোগে সিরিয়াল কিলার মাহানান্দ
নায়েকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। কেরালায় ধর্ষিত হওয়ার ৮ বছর পরে এক নারী এখন
বিচার চাইছেন। তাকে ৪০ দিন আটকে রেখে ৪২ জন গণধর্ষণ করেছিল বলে তার
অভিযোগ। এজন্য তিনি সুপ্রিম কোর্টে বিচারের অপেক্ষায় আছেন। এমন অনেক ঘটনায়
ভরা ভারতের মিডিয়া। নয়া দিল্লিতে ধর্ষিত ১৭ বছর বয়সী ‘নবনীতা’ (পরিবর্তিত
নাম) বলেছে- ফেসবুকে নবীন সিং খেতওয়ালের (২৪) সঙ্গে ২০১১ সালে তার বন্ধুত্ব
হয়। এরপর নবীন তার এক কাজিন রাজেশের (২৪) সঙ্গে নবনীতাকে পরিচয় করিয়ে দেয়।
তাদের সঙ্গে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। এক পর্যায়ে তারা দু’জনে ধর্ষণ করে
নবনীতাকে। এতে হতাশ হয়ে সে দু’বার আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। ওদিকে নয়া
দিল্লিতে এখন থেকে ৮ বছর আগে কেরালার এক নারীকে ৪০ দিন আটকে রাখে একদল
নরপিশাচ। তারা ৪২ জনে দিনের পর দিন তারা ধর্ষণ করতে থাকে। দিল্লির ধর্ষণ
নিয়ে চারদিকে যখন উত্তাল তখনই তিনি ওই ঘটনা সামনে এনে সুপ্রিম কোর্টে বিচার
চেয়েছেন। গতকাল প্রধান বিচারপতি আলতামাস করিব বলেছেন, তিন সপ্তাহের মধ্যে এ
মামলার শুনানি শুরু হবে। ওই নারীকে ধর্ষণের ঘটনা সারাইয়ানেলি ধর্ষণ মামলা
নামে পরিচিত। ওই নারী কেরালায় যে গ্রামে তার পিতামাতার সঙ্গে বসবাস করতেন
সে গ্রামের নামানুসারে এমন নামকরণ করা হয়েছে। তার পর থেকে তিনি দু’বার তার
বাসা পাল্টেছেন। ওই মামলায় বলা হয়েছে, এখন থেকে ৮ বছর আগে ওই নারীর বয়স ছিল
১৬ বছর। তখন তাকে তার গ্রাম থেকে এক বাস কন্ডাকটর অপহরণ করে ধর্ষণ করে।
তারপর সে তাকে তুলে দেয় অন্যদের হাতে। তাদের মধ্যে ওই সময় কেরালায় ক্ষমতাধর
ছিল অনেকেই। ওই সময় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল। তার কাছে কোন অর্থও ছিল না
বাড়ি ফিরে যাওয়ার। ক্ষতের কারণে তিনি বসতে বা দাঁড়াতে পারতেন না। তার এ
ঘটনায় কেরালায় প্রথম স্পেশাল কোর্ট বসানো হয় যৌন হয়রানির মামলার সমাধান
করতে। তাকে ধর্ষণের জন্য ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। কিন্তু ৩ বছর পরে কেরালা
হাইকোর্ট ওই সিদ্ধান্তকে উল্টে দেয়। তাতে একজনমাত্র ব্যক্তিকে দোষী দেখানো
হয়। এ রায়ের তখন সমালোচনা করেন অনেকে। ধর্ষিতার পরিবার ও রাজ্যের
প্রসিকিউটররা ২০০৫ সালে এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আপিল করেন। তারপর আর কোন
অগ্রগতি হয়নি।
চীনের সাংহাইতে একদিনে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলেন ৭৩০০
দম্পতি। গত ৪ঠা জানুয়ারি এই বিয়ের ঘটনা ঘটে। এই দিনটিকে বেছে নেয়ার একটি
বিশেষ অর্থ আছে। এই তারিখটি এ রকম ২০১৩-১-৪। ছয় অংকের এই সংখ্যাটি চীনা
ভাষায় পড়তে গেলে এ রকম শোনায়- ‘লাভ ইউ ফর লাইফ’। অর্থাৎ- তোমাকে চিরজীবনের
জন্য ভালবাসি। তাদের মধ্যে ধারণা চালু হয়েছে, এ দিনে যারা বিবাহবন্ধনে
আবদ্ধ হবেন তারা একে- অন্যকে ভালবাসবেন সারাজীবন। তাদের দাম্পত্য হবে
চিরসুখের। সাংহাই সিভিল এফেয়ার্স ব্যুরোর বিবাহ বিষয়ক প্রশাসনিক অফিসের
উপ পরিচালক লি কিউ নিশ্চিত করেছেন ওই দিন ৭৩০০ দম্পতি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ
হয়েছেন। ১২ই ডিসেম্বর বা ১২-১২-১২ তে বিবাহ করেছিলেন ৪৮৮৩ দম্পতি। তবে সেই
সংখ্যাকে ৪ঠা জানুয়ারি ছাড়িয়ে গেছে। তবে ২০১০ সালের ১০ই অক্টোবর বা
১০-১০-১০ তারিখে বিবাহ করেছিলেন ১০ হাজার ১৫০ দম্পতি। এবার শুক্রবারে
সাংহাইয়ের পুডং নিউ এরিয়াতে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন ১৩০১ দম্পতি। মিনহ্যাংয়ে এ
সংখ্যা ৫৪৩। বাওশানে ৪৯২।
বাংলাদেশী আবদুল কাদির বাদশা মিয়া শেখ (৩৭)-এর
বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের মালাওয়ানি পুলিশের কাছে নালিশ জানানো হয়েছিল। বলা
হয়েছিল- তিনি অবৈধ অভিবাসী। তার রয়েছে ভারতের ভুয়া পাসপোর্ট। তিনি এ
পাসপোর্ট ব্যবহার করে মুম্বই থেকেজ মাস্কট যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তার সঙ্গে
সন্ত্রাসী সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে- এমন সন্দেহে পুলিশ তৎপর হয়ে ওঠে। তারা
তার সম্পর্কে তথ্য তালাশ করতে গিয়ে জানতে পায়- যে ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে
থানায় বাদশা মিয়া সম্পর্কে ওই তথ্য দিয়েছেন, তিনি রিয়া (পরিবর্তিত নাম)
নামে এক নারীর স্বামী। অনুসন্ধানে দেখা যায় বাদশা মিয়া কোন সন্ত্রাসী নন।
তার সঙ্গে আসলে রিয়ার প্রেম গড়ে উঠেছে। সেই প্রেমে ছেদ ঘটানোর জন্য রিয়ার
স্বামী পুলিশের কাছে অমন অভিযোগ করেন। গতকাল অনলাইন ডেইলি নিউজ অ্যান্ড
এলালাইসিস (ডিএনএ) এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়, রিয়ার স্বামীর অভিযোগ পেয়েই
মালওয়ানি পুলিশ তৎপর হয়ে দেখতে পায় রিয়ার স্বামী তার ও বাদশা মিয়ার প্রেমের
খবর জানতে পেরে আশাহত। তাই তিনি রিয়ার কাছ থেকে তার সন্তানকে আলাদা করার
জন্য বাদশা মিয়াকে সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়ে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ বলেছে,
বাদশা মিয়ার বয়স যখন ১০ বছর তখন তিনি ভারতে পাড়ি জমিয়েছেন। প্রথমে তিনি
কলকাতায় বসবাস শুরু কনে। পরে ভুয়া কাগজপত্রের সাহায্যে তিনি পান ভারতীয়
একটি পাসপোর্ট। মালওয়ানি পুলিশ স্টেশনের এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, সেখান
থেকে বাদশা মিয়া চলে যান মাস্কট। সেখানে গিয়ে একটি হোটেলে কাজ করা শুরু
করেন। এখানেই রিয়ার সঙ্গে তার পরিচয়। রিয়া তখন বিবাহিতা। তার রয়েছে একটি
সন্তান। তিনি বাস করতেন মিরা রোডে। এরপর ২০০৮ সালে বাদশা মিয়ার পাসপোর্টের
মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। কর্তৃপক্ষ তাকে ভারতে ফেরত পাঠিয়ে দেয়। তিনি ভারতে ফিরে
বসবাস করতে থাকেন মুম্বইয়ে। তবে রিয়ার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়ে যায়। এক
পর্যায়ে রিয়া বেড়াতে আসেন মুম্বই। এ পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেম জমে ওঠে। ওই
পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, এ সময় রিয়াকে তার স্বামীকে ছেড়ে দিয়ে তার সঙ্গে
বসবাস করতে রাজি করান বাদশা মিয়া। রিয়া তার ছেলেকে নিয়ে বাদশা মিয়ার সঙ্গে
মালওয়ানির সাই কৃপা হাউজিং সোসাইটিতে গিয়ে সেখানে বসবাস করতে থাকেন। তবে
বাদশা মিয়া একেবারে বসে থাকেননি। তিনি পুরনো পাসপোর্ট ও ভ্রমণের কাগজপত্র
দিয়ে দ্বিতীয়বার মাস্কটের ভিসা পেয়ে যান। তিনি প্রণয়ী রিয়ার নেশায়
দ্বিতীয়বার মাস্কট যান। বাদশা মিয়া কোথা থেকে গিয়েছেন তা অনুসন্ধান করতে
গিয়ে পুলিশ দেখতে পায় তাদের কাছে বাদশা সম্পর্কে যে ব্যক্তি অভিযোগ করেছেন
তিনি আর কেউ নন, তিনি রিয়ার স্বামী। তিনি বেকার। বাদশা মিয়াকে একটি শিক্ষা
দেয়ার জন্য তিনি এ কাহিনী ঘটিয়েছেন। ওদিকে ভারতের পাসপোর্ট আইন ও বিদেশী
বিষয়ক আইনে এরই মধ্যে বাদশা মিয়াকে বুক করেছে পুলিশ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ
করা হয়েছে- তিনি অবৈধ উপায়ে ভারতে অবস্থান করছেন এবং ভুয়া কাগজপত্র ব্যবহার
করে ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহ করেছেন। তাকে এখন পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে।
দিল্লিতে বাসে ধর্ষিতার মৃত্যুতে বলিউডের প্রথম সারির
সেলিব্রিটিরা যখন নববর্ষ বরণের সব আয়োজন বাতিল করেন তার প্রতি সম্মান
দেখাতে তখন নয়া দিল্লির ললিত হোটেলের ঝলমলে আলোর নিচে উত্তাপ ছড়াচ্ছিলেন এ
সময়ের বহুল আলোচিত ‘জিসম-২’-এর নায়িকা ও পর্নো তারকা সানি লিয়ন। তিনি একাই
নন, উত্তাপ ছড়িয়েছেন প্রাচী দেশাই, পরিণীতি চোপড়া, অঞ্জনা সুকানি প্রমুখ।
স্টুডিও ১৬৯ নতুন বর্ষবরণ করে নিতে ওই হোটেলের ক্রিস্টাল বলরুমে আয়োজন
করেছিল ‘গ্লামার অ্যান্ড গ্লিটারাটি ২০১৩’ নামের অনুষ্ঠান। সে অনুষ্ঠানের
মধ্যমণি ছিলেন লাখ লাখ তরুণ, যুবকের বুকে ঝড় তোলা সানি লিয়ন। ছন্দের তালে
তালে তিনি স্বল্প বসনে মাতিয়ে তোলেন মধ্যরাত। শীতে মানুষ যখন জমে আসছিলেন
তখন তিনি তাদের মাঝে তার দৈহিক উপস্থাপনা দিয়ে উত্তেজনা, উত্তাপ ছড়িয়ে দেন।
নিমেষেই যেন শীত হাওয়ায় উড়ে যায়। তার সঙ্গে সঙ্গে নাচতে থাকেন উপস্থিত
সবাই। এর সঙ্গে যোগ দেন অভিনেত্রী অঞ্জনা সুকানি। তিনিও ওই অনুষ্ঠানে নেচে
মুগ্ধ করে রাখেন সবাইকে। এর সঙ্গে যোগ হন অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে যোগ দেন সংগীতশিল্পী মাইকা সিং। তবে মুম্বইয়ে
কান্ট্রি ক্লাবে মঞ্চ কাঁপিয়ে তোলেন প্রাচী দেশাই। ড্রামের বিটের তালে তালে
তার শরীর নেচে ওঠে। উত্তাল নাচের তালে হারিয়ে যান দর্শক-শ্রোতারা।
মঞ্চে নর্তকীর দিকে রুপির নোট ছুড়ে মেরেছেন
পশ্চিমবঙ্গের ক্ষমতাসীন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মীর তাহির আলী। শুধু তা-ই
নয়। তিনি মঞ্চে উঠে যান। নর্তকীর সঙ্গে সঙ্গে নাচতে থাকেন। এ ঘটনায়
পশ্চিমবঙ্গে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। এর পরই তৃণমূল কংগ্রেস তাদের
কর্মীর এমন আচরণের নিন্দা জানিয়েছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা পিটিআই।
এতে বলা হয়, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়
মঙ্গলবার দক্ষিণ ২৪ পরগণার ভাঙ্গার নামক স্থানে। সেখানে গভীর রাতের দিকে
মঞ্চে শুরু হয় স্বল্প বসনা তরুণীদের উন্মাতাল নাচ। তাতে খেই হারিয়ে ফেলেন
দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের সদস্য ও তৃণমূল কংগ্রেস নেতা মীর তাহির আলী।
নিজেকে নিবৃত্ত করতে না পেরে একপর্যায়ে তিনি উঠে যান নাচের মঞ্চে। পকেট
থেকে রুপির কড়কড়ে নোট বের করে তা ছুড়ে দিতে থাকেন নর্তকীদের দিকে। এ ঘটনায়
ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেস এ ঘটনাকে একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা
বলে আখ্যায়িত করেছে। পাশাপাশি তারা বলেছে, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কর্মীর
বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেয়া হবে। তৃণমূল কংগ্রেসের এমপি ডেরেক
ও’ব্রায়েন বলেন, মঙ্গলবার তৃণমূল কংগ্রেসের ১৬তম জন্মদিন উপলক্ষে হাজার
হাজার অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছিল। তার মধ্যে এমন একটি ঘটনা বিচ্ছিন্ন বিষয়।
তৃণমূল এ বিষয়টিকে অনুমোদন করে না। তৃণমূলের কাছে সাংস্কৃতিক
স্পর্শকাতরতা, লিঙ্গগত বিষয়- অবশ্যই আমাদের আমলে নিতে হবে। অবশ্যই মনে
রাখবেন তৃণমূল এই ধরনের বিষয়কে কখনোই অনুমোদন করে না। আমরা তদন্ত করে দেখবো
এর পেছনে কি কারণ রয়েছে। ওদিকে নর্তকীর দিকে রুপি ছুড়ে মারার ওই দৃশ্য
কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা নিয়ে তীব্র বিতর্ক
শুরু হয়ে যায়। বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজনৈতিক অঙ্গনে। নারীবাদী সংস্থাগুলোতে।
অমার্জিত রাজনৈতিক সংস্কৃতি বলে তারা এই ঘটনাকে আখ্যায়িত করতে থাকে।
ন্যাশনাল কমিশন ফর ওম্যান-এর চেয়ারপারসন মমতা শর্মা বলেছেন, তারা দলের
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছেন এভাবে। এটি একটি লজ্জার বিষয়। সব রাজনৈতিক
দলের মন-মানসিকতা পরিবর্তন করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সুপরিচিত শিক্ষাবিদ
সুনন্দা স্যানাল বলেন, পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কৃতি যদি এই হয় তাহলে যুবক
ও যুবতীরা তো ধ্বংস হয়ে যাবে।
প্রাচ্যের দেশগুলোতে মেয়ের বিয়েতে পিতার হাত ভরে যৌতুক
দেয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। ঠিক কবে থেকে এ প্রথা চালু হয়েছে সেটা জানা না
গেলেও অত্যন্ত আদিম এ প্রথা অত্যাধুনিক সমাজেও বেশ সগৌরবে বহাল রয়েছে। এ
যৌতুকের কারণে অনেক নারীকেই শ্বশুর বাড়িতে অকালে প্রাণ দিতে হয়। অনেক সময়
প্রাণপ্রিয় স্বামীই হয়ে ওঠেন ঘাতকরূপী দানব। কিন্তু এবার দু’হাতে যৌতুক
দিয়ে সমাজে বিশেষ উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন চীনের এক ব্যবসায়ী। উউ রুইবিয়াও
নামের ওই ব্যবসায়ী মেয়ের বিয়েতে বরকে ১০ কোটি পাউন্ড মূল্যের যৌতুক দিয়ে
চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছেন। এ যৌতুকের মধ্যে রয়েছে চার বাক্স স্বর্ণের গহনা,
২০ লাখ পাউন্ড জমা দেয়া ব্যাংক নোট এবং ভূসম্পত্তির দলিল। আট দিনের
মহাসমারোহের অনুষ্ঠান শেষে যৌতুক হিসেবে দেয়া সমুদয় এসব সম্পদের ছবি রোববার
অনলাইনে পোস্ট করা হয়েছে। চীনের ফুজিয়ান প্রদেশে জিংজিয়াং কাউন্টির সিজাও
শহরে এ বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। সিরামিক কোম্পানি ফুজিয়ান ওয়ানলি
গ্রুপের চেয়ারম্যান উউ রুইবিয়াও মেয়ের বরকে দেয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে
কুয়ানঝুতে একটি রিটেইল স্টোর, অলিম্পিক ভিলা এবং ওয়ান্ডা ম্যানশন।
নবদম্পতিকে তিনি সিরামিক কোম্পানির এক কোটি পাউন্ড মূল্যের ৫০০ মিলিয়ন
শেয়ারও দিয়েছেন। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে জানা গেছে, ১৫ লাখ পাউন্ড মূল্যের
অর্থ তিনি দু’টি দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে দানও করেছেন। সৌভাগ্যবান সেই বরটি
হচ্ছেন জিউ। সরকাারি কর্মকর্তা জিউ সেই কিন্ডারগার্টেনে পড়ার সময় থেকেই তার
নববধূকে জানতেন। উউ’র কোম্পানির একজন মুখপাত্র এ বিপুল অঙ্কের যৌতুক দেয়ার
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে দীর্ঘ আটদিনব্যাপী বিয়ের অনুষ্ঠান চলার বিষয়টি
অস্বীকার করেছেন। ইটারনেটে পোস্ট করা এ তথ্যের ব্যাপারে তিনি বলেছেন, উউ
আসলে সবকিছু খুব সাধারণভাবে করতে চান। ইন্টারনেটে পোস্টে বলা হয়েছে, গত
২৮শে ডিসেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার পর অতিথিদের আপ্যায়ন করতে দীর্ঘ
আট দিন ধরে সেটা চলছে। সাউথ চায়না মনিং পোস্ট জানিয়েছে মেয়ের বিয়েতে দু’টি
দাতব্য প্রতিষ্ঠানকে অর্থ দান করায় অনেক পাঠকই উউ’র ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
ফুজিয়ান অঞ্চলে বিয়েতে মূল্যবান যৌতুক দেয়ার বিষয়টি ঐতিহ্যগতভাবে চলে আসছে।
এ বিষয়টাকে অনেক সময় লিঙ্গ সমতার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কারণ,
মূল্যবান যৌতুক দেয়ার ফলে কনে স্বামীর বাড়িতে আত্মীয়স্বজনদের কাছে অধিক
সম্মান অর্জন করবে বলে মনে করা হয়।
নতুন বছরকে বরণ করতে মঙ্গলবার রাতভর সারা বিশ্বের
বিভিন্ন প্রান্তে ছিল নানা মাত্রিক আয়োজন। এ রাতে খুব কম মানুষই ঘুমিয়ে
কাটিয়েছেন। তারা নতুন বছরে জীবনকে উৎফুল্ল আর আনন্দের মাঝে কাটানোর যেন
দীক্ষা নিয়েছে। তবে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে যুক্তরাষ্ট্রের
মেরিল্যান্ডে বসেছিল অন্যরকম এক আনন্দ আয়োজন। এদিন থেকেই সেখানে সমকামীতে
অর্থাৎ পুরুষের সঙ্গে পুরুষের আবার নারীর সঙ্গে নারীর বিয়ে বৈধতা পেয়েছে।
গত ৬ই নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় এর স্বপক্ষে ভোট
দিয়ে এ ধারাকে বৈধতা দিয়েছে জনগণ। তাই ম্যাসন-ডিক্সন লাইনে প্রথম বিয়ের
পিড়িতে বসলেন দুই পুরুষ জেমস স্কেল (৬৮) ও তার বন্ধু উইলিয়াম তাসকার (৬০)।
সিটি হলে এ বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাল্টিমোরের মেয়র স্টিফানি
রাউলিং-ব্লেক। জেমস স্কেল ও উইলিয়াম তাস্কারের মধ্যে ৩৫ বছর ধরে সমকামিতা
চলছে। তবে এবারই তারা বৈধতা পেলেন। তাই বিয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে জেমস
স্কেলস বলেন, বিশ্বাস করতে কষ্ট হচ্ছে যে আমাদের বৈধতা দেয়া হয়েছে। আমরা
প্রকাশ্যে বিয়ে করতে পারছি। এ সিটি হলেই ওই রাতে বিয়ে করেন আরও ৬ জোড়া
পুরুষ। ওই রাজ্যের এইতো শুধু একটি অংশের খবর। এর বাইরে রাজ্যজুড়ে কতগুলো
সমকামীর বিয়ে হয়েছে তার সঠিক হিসাব কেউ বলতে পারেন না আপাতত। তবে এ বিয়ে
বৈধতা পাওয়ায় সামাজিক রীতিতে পরিণত হয়েছে সমকামীতে বিয়ে। তাই প্রকাশ্যে
সাধারণ বিয়ের অনুষ্ঠানের মতো আয়োজন করা হয় এ বিয়ে। বাল্টিমোর থেকে এ খবর
দিয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। এতে আরও বলা হয়, জেমস স্কেল ও উইলিয়াম তাসকারের
বিয়ের অনুষ্ঠানে মেয়র রাউলিং ব্লেক বলেছেন, সত্যিকার বিয়ে হলো বিশ্বের
সবচেয়ে পবিত্র সম্পর্ক। এ রাতে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন ব্রিজিত রোনেত।
তিনি বয়ে করেছেন লিসা ওয়ালথার নামে আরেক নারীকে। তিনি বিয়ের পর বলেছেন, আমি
এতদিন স্বপ্ন দেখতাম কেন্দ্রীয়ভাবে সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে।
নভেম্বরের নির্বাচনে মেরিল্যান্ড, মেইনে ও ওয়াশিংটনে সমকামীতে বিয়েকে বৈধতা
দিয়েছেন ভোটাররা। এর ফলে মঙ্গলবার মধ্যরাতের পর পরই ওই তিন রাজ্যের
বিভিন্ন এলাকায় শুরু হয় সমলিঙ্গে বিয়ের উৎসব। ব্রিজিত রোনেত (৫১) বিয়ে
করেছেন লিসা ওয়ালথার (৫১)কে। তাদের বিয়েও সম্পন্ন হয়েছে সিটি হলে। এরপর
ব্রিজিত রোনেত বলেছেন, ৬ই ডিসেম্বর থেকে সমকামী দম্পতিরা বিয়ে করার
লাইসেন্স পাচ্ছেন। তবে তা কার্যকর হয়নি নতুন বছর না আসা পর্যন্ত। ২০১১ সালে
এ রাজ্যে সমকামী বিয়ের প্রস্তাব রাজ্যের সিনেটে পাস হয়। কিন্তু হাউজ অব
ডেলিগেশনে তা স্থগিত ছিল। বাল্টিমোরের আর্চবিশপ এডউইন ও’ব্রাইন একটি চিঠিতে
লিখেছিলেন গভর্নরের বিশ্বাসের বিপরীত ধারণা হলো সমলিঙ্গে বিয়ে। তারপর
থেকেই তা আটকে যায়।
নব বর্ষবরণে বেসামাল বৃটিশ তরুণীরা। তাদেরকে মঙ্গলবার
মধ্যরাতে দেখা গেছে মাতাল অবস্থায় বৃটেনের বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পড়ে
থাকতে। স্বল্পবসনা সেই সব তরুণ-তরুণীকে নিয়ে ছিল অনেকের কৌতূহল। সোয়ানসি
থেকে নিউ ক্যাসল, বার্মিংহাম, লিভারপুল- সর্বত্রই ছিল এক শ্রেণীর সুন্দরীর
উন্মাতাল চলাফেরা। গতকাল অনলাইন ডেইলি মেইল তাদের ওপর সচিত্র একটি রিপোর্ট
প্রকাশ করেছে। এতে দেখা গেছে, ওইসব তরুণীর উন্মত্ততা। এর শিরোনামেই ফুটে
উঠেছে সেখানে আধুনিকতার নামে কি হয়েছে। শিরোনামকে বাংলা করলে দাঁড়ায় এরকম-
স্বাগত ২০১৩: বৃটেনের শহরগুলোতে নববর্ষের লজ্জাজনক দৃশ্য। তাতে সোয়ানসিতে
এক মাতাল তরুণী স্বল্প বসনে রাস্তার ওপর বেসামাল অবস্থায় পড়েছিলেন। তাকে
কেউ টেনে নিয়ে গেছে কোন বাগানের দিকে। নিউ ক্যাসলে এক তরুণের মুখ দিয়ে রক্ত
ঝরতে দেখা গেছে। বেসামাল এক তরুণী গিয়ে হঠাৎ ধাক্কা খেয়েছেন কোন এক
দোকানে। বার্মিংহামে এক তরুণ হুঁশ হারিয়ে রাস্তায় পড়ে ছিলেন। তাকে সহায়তা
করছিলেন কোন এক বন্ধু। এমনি অনেক দৃশ্য। রিপোর্টে বলা হয়েছে- যারা মঙ্গলবার
রাতে বৃটেনের রাস্তায় বের হন নি তারা নিশ্চয় এ রিপোর্ট দেখে নিজেদের
নিরাপদ ভাবতে পারেন এবং ভাবতে পারেন এ রাতে বাসার বাইরে না গিয়ে তারা কত
বুদ্ধিমানের কাজই না করেছেন। ওই রাতে বৃটিশদের মদ পানের সংস্কৃতির এক
বেপরোয়া চেহারা ফুটে উঠেছে। সোয়ানসি থেকে নিউ ক্যাসল, বার্মিংহাম,
লিভারপুল সর্বত্রই পার্টি করা তরুণ-তরুণীদের মাতাল অবস্থায় দেখা গেছে। তারা
কেউ বারে, কেউ ক্লাবে, কেউ পার্টিতে আবার কেউ বা রাস্তায় পড়েছিলেন।
সোয়ানসিতে উইন্ড স্ট্রিটে এক দম্পতি বারে রাত কাটানোর পর রাস্তায় গিয়ে
বিহুঁশ হয়ে পড়েন। কেউ বা দু’হাত উঁচিয়ে রাস্তায় হাঁকিয়ে গান গেয়ে
যাচ্ছিলেন। এক তরুণী রাস্তায় নেশার ঘোরে দুই পুরুষের সঙ্গে আড্ডায় মেতে
ওঠেন। কোথাও দু’ তরুণী রাস্তার ওপর পড়ে আছেন বুঁদ হয়ে। তবে এর বাইরেও ছিল
অন্য দৃশ্য। ঐতিহ্যবাহী টেমস নদীর তীরে দাঁড়িয়ে প্রায় আড়াই লাখ মানুষ উপভোগ
করেন নতুন বর্ষ বরণের আয়োজন। নিউ ক্যাসলের রাস্তায় পড়ে থাকা মাতাল মেয়েদের
উদ্ধার করতে পুলিশি অভিযান প্রয়োজন হয়ে পড়ে। বার্মিংহামে ব্রোড স্ট্রিটে
পার্টিতে যাওয়া তরুণ-তরুণীরা বলতে থাকেন- আমার জুতোটা খুলে দাও। জামাটা ঠিক
করে দাও।