Monday, April 30, 2012

৬ বছর বয়সেই কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ বাংলাদেশী শিশু


মাত্র ছয় বছর বয়সে বিশ্বের সেরা কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ শিশু হিসেবে পরিচিতি পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশের শিশু ওয়াসিক ফারহান রূপকথা। নিজের নাম ‘রূপকথাকে’ সার্থক প্রমাণ করতেই যেন মাত্র দ’বছর বয়সে তার মায়ের পিসি রপ্ত করে নেয়  রূপকথা। মাইক্রেসফট ও গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ড  গত জানুয়ারিতে ছয় বছরে পদার্পন করা এই শিশুর দক্ষতার স্বীকৃতি দেবে বলে আশা করছে সে ও তার পিতামাতা। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি। এতে বলা হয়, মাত্র এক থেকে দু’বছর বয়সের মাঝামাঝি সময় থেকে কম্পিউটারের প্রতিভার ঝলক দেখাতে শুরু করে রূপকথা। খুব কম সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় কিছু ভিডিও গেমসে দক্ষতা অর্জন করে সে। যার মধ্যে রয়েছে মডার্ন ওয়ার ফায়ার ও মেটাল গিয়ার সলিডের মতো গেমসগুলো। মাত্র তিন বছর বয়সে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডে টাইপ করতে শুরু করে ওয়াসিক। তখন থেকেই সে জানে কিভাবে প্রোগ্রাম সেট করতে হয় ও গেম ইমুলেটর ডাউনলোড করতে হয়। তার মা সিনথিয়া ফারহান রিশা বলেন,আমি জানি জন্ম থেকেই সে ছিল ভিন্ন প্রকৃতির। আমার চোখকে বিশ্বাস করতে পারিনি যখন মাত্র সাত মাস বয়সে তাকে কম্পিউটিং করতে দেখি। ওয়াসিক মাত্র দু’বছর বয়সে গেম খেলা শুরু করে  এবং জটিল খেলার সমাধান করা শুরু করে। একই সঙ্গে সে গেম ইনস্টল করা ও টাইপ করা শুরু করে। স্কুলে যাওয়ার বয়স হলে তাকে স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে না পাঠিয়ে তার পিতামাতা তাদের অধীনে শিক্ষা দেয়াকেই শ্রেয় মনে করেন। তার মার মতে, এখনও ওয়াসেকের ইংরেজির দক্ষতা খুব একটা ভাল নয়। বাংলায়ও তেমন দক্ষতা নেই। সে বিবিসি’কে বলেছে, আমি কম্পিউটারে খেলে খুব মজা পাই এবং তার মাধ্যমে নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করি। আমার স্বপ্ন কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হওয়া। ভবিষ্যতে কোন বড় কম্পিউটার নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চাই। তার মার বক্তব্য, ওয়াসিক যদি বাংলাদেশের সমর্থন পায় এবং ভাল কলেজ, বিশ্বাবিদ্যালয়ে পড়াশোনা করতে পারে তাহলে সে তার লক্ষ্য অর্জন করতে পারবে।

Sunday, April 29, 2012

গিলানির প্রধানমন্ত্রিত্বের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের হাইকোর্টে পিটিশন
























আদালত অবমাননার অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ার ফলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে তার পদে অযোগ্য ঘোষণার দাবিতে আদালতে দুটি পিটিশন দেয়া হয়েছে। এতে তাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখার দাবি জানানো হয়েছে। গতকাল এ খবর দিয়ে অনলাইন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস আরও জানিয়েছে, শনিবার লাহোর হাইকোর্টে ওই দুটি পিটিশন দাখিল করা হয়। তাতে গিলানি আদালত অবমাননার দায়ে অভিযুক্ত হওয়ার পর কোন আইনের অধীনে দেশের প্রধান নির্বাহীর পদ ব্যবহার করছেন সে বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। এ পিটিশন দুটি করেছেন শহীদ নাসিম গোন্ডাল ও রানা ইলামুদ্দিন গাজী নামে দু’ব্যক্তি। তাদের পক্ষে এ পিটিশন দাখিল করেছেন আইনজীবী একে ডোগার। তিনি একই সঙ্গে জামাত-উদ-দাওয়া প্রধান হাফিজ মোহাম্মদ সাঈদেরও কাউন্সেল। একে ডোগার বলেছেন, গিলানি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আদালত অবমাননার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় তিনি ওই পদে আর থাকতে পারেন না। তিনি আরও বলেন, গিলানি পদে থাকাটাকে নিজের মতো করে নিয়ে নিয়েছেন। ওদিকে পাকিস্তান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে কূটনৈতিক ক্ষেত্রে যে অচলাবস্থা চলছে তা নিয়ে শুক্রবার দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের আলোচনা ব্যর্থ হয়েছে। ওই বৈঠকে পাকিস্তানে গত নভেম্বরে বিমান থেকে বোমা হামলা করে ২৪ সেনাকে হত্যার জন্য ওবামা প্রশাসনকে শর্তহীন ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানায় পাকিস্তান। এতেই ভেস্তে যায় ওই আলোচনা। উল্টো সমপ্রতি আফগানিস্তানে তালেবানের হামলা বেড়ে যাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে হোয়াইট হাউস। তারা পাকিস্তানের দাবি অনুযায়ী ক্ষমা চাইতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে দু’দিনের আলোচনা শেষে শুক্রবার রাতে পাকিস্তান ছেড়ে যান ওবামা প্রশাসনের আফগানিস্তান ও পাকিস্তান বিষয়ক বিশেষ দূত মার্ক গ্রোসম্যান। তবে বৈঠকে দু’পক্ষই এরই মধ্যে সম্পর্কের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুনঃস্থাপনের ওপর জোর দেয়। 
Source: http://mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=42057:2012-04-29-14-22-02&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77

গাদ্দাফির কাছ থেকে ৪ কোটি পাউন্ডের বেশি নিয়েছেন সারকোজি!
















লিবিয়ার সাবেক নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফির কাছ থেকে ২০০৭ সালের নির্বাচনে প্রচারণার সময়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি ৪ কোটি ২০ লাখ পাউন্ড নিয়েছিলেন। কিন্তু ফরাসি আইন অনুযায়ী, কোন প্রার্থী কারও কাছ থেকে ৬৩০০ পাউন্ডের বেশি অর্থ নিতে পারেন না। কিন্তু স্থানীয় মিডিয়াপার্ট নামের একটি ওয়েবসাইট দাবি করেছে, সারকোজিকে ওই বিশাল পরিমাণ অর্থ দেয়া হয়েছিল পানামা ও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংক একাউন্টের মাধ্যমে। প্যারিসে এ বিষয়ক ডকুমেন্ট পাস করা হয়েছে। তাতে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, কিভাবে ২০০৭ সালে নিকোলাস সারকোজিকে ক্ষমতায় আনতে মুয়াম্মার গাদ্দাফি অবদান রেখেছেন। এর একটি ডকুমেন্ট আরবিতে লেখা। তাতে ২০০৬ সালে স্বাক্ষর করেছেন গাদ্দাফির সাবেক গোয়েন্দা প্রধান মুসা কুসা। তাতে নিকোলাস সারকোজিকে ৫ কোটি ইউরোর সমপরিমাণ অর্থ দেয়ার জন্য একটি নীতিগত চুক্তির কথা বলা আছে। গতকাল অনলাইন দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এ খবর দিয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, এই ডকুমেন্টে নিকোলাস সারকোজি ও তার সহযোগীদের ঘন ঘন লিবিয়া সফরে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। ২০০৫ সালের ৬ই অক্টোবরের একটি ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, নিকোলাস সারকোজির নির্বাচনী প্রচারণার সব অর্থ দিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সময় নিকোলাস সারকোজি ছিলেন ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তখন তিনি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। মিডিয়াপার্ট বলেছে, সারকোজিকে যে ৫ কোটি ইউরো সমমূল্যের অর্থ দেয়া হয়েছে তার জন্য তার দল ইউএমপি’র নেতা জ্যাঁ ফ্রাঁসিস কোপের বোনের নামে সুইজারল্যান্ডে একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা হয়। তারপর ওই অর্থ জিয়াদ তাকিদিন নামের একজন অস্ত্র ব্যবসায়ীর মাধ্যমে বিতরণ করা হয়। তবে ফরাসি প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির মুখপাত্র নাতালি কোসিস্কো-মোরিজেট এ রিপোর্টকে হাস্যকর বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজির প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রাঁসিস হল্যান্ডির সমর্থকরা এমন প্রচারণা চালাচ্ছেন। 
Source: http://mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=42058:2012-04-29-14-22-33&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77

যৌনকর্মী কেলেঙ্কারিতে সিঙ্গাপুরে তোলপাড়

অপ্রাপ্ত বয়স্ক এক যৌনকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের কেলেঙ্কারি প্রকাশ হওয়ার পর সিঙ্গাপুরজুড়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এতে দেশটির অভিজাত শ্রেণীর রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী, অর্থনীতিবিদ, আমলা ও সামরিক কর্মকর্তাসহ কমপক্ষে ৪৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের আইনে পতিতাবৃত্তি বৈধ। তবে ২০০৮ সালের এক আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের কম বয়সীদের যৌনকর্মী হিসেবে অর্থ প্রধান অবৈধ। ফলে ২০ থেকে ৪০ বছর বয়সী ওই ৪৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক অপ্রাপ্ত বয়স্ক যৌনকর্মী সরবরাহের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন শুক্রবার। ফলে একটি জেলা আদালত তাকে এই অপরাধে নয় সপ্তাহের জেল দেন। তারপরই বিষয়টি আলোচনায় আসে। অভিযুক্তদের মধ্যে ৪০ বছর বয়সী সুইজারল্যান্ডের একজন ব্যাংকার জার বুয়ারগিং রয়েছেন। তিনি ইউবিএস ব্যাংকে চাকরি করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে সবচেয়ে পরিচিত মুখ হলেন হাওয়ার্ড শাও, সিনেমা ও ল্যান্ডবিষয়ক জায়ান্ট শাও অর্গানাইজেশনের সহ-প্রতিষ্ঠাতা রানমে শাও’র নাতি। প্রথম সংসারে দুই মেয়ের বাবা, ৪১ বছর বয়সী শাও, দ্বিতীয় বিয়ে করতে যাওয়ার মাত্র এক মাস আগে ওই  যৌনকর্মীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর সবচেয়ে বেশি তোলপাড় সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তদের তালিকা আরও অনেক দীর্ঘ হতে পারে বলে ওয়েবসাইট ও সিঙ্গাপুরের মিডিয়াগুলো বলছে।
Source: http://mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=42061:2012-04-29-14-23-45&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77

Saturday, April 28, 2012

হিউম্যান রাইটস ওয়াচের উদ্বেগ -সরকারকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে























 Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=41897:2012-04-27-16-34-46&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82
বিরোধীদলীয় নেতাসহ রাজনৈতিক কর্মীদের ‘একের পর এক উধাও’ হওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে অবিলম্বে ‘নিরপেক্ষ ও স্বাধীন’ তদন্তের দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ)।  গতকাল এক বিবৃতিতে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক সংস্থাটি এসব ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা এম ইলিয়াস আলীসহ বিরোধীদলীয়  নেতাকর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় সরকারকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে, সামপ্রতিক দিনগুলোতে বাংলাদেশে বিরোধীদলীয় নেতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বেড়ে গেছে। ইলিয়াস আলীর অন্তর্ধানও এমনই একটি ঘটনা। এর আগে গত ৪ঠা এপ্রিল শ্রমিক নেতা আমিনুল হকের ‘নিখোঁজ’ বা ‘গুম’ হওয়ার ঘটনায়ও উদ্বেগ জানিয়েছিল এইচআরডব্লিউ। তাদের বিবৃতিতে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পরিসংখ্যানের বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, কেবল ২০১২ সালেই অন্তত ১২ জন এভাবে ‘নিখোঁজ’ হয়েছেন। বাংলাদেশের আরেক মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের হিসাব অনুযায়ী, ২০১০ সালের পর থেকে এ পর্যন্ত ‘গুম’ হয়েছেন অন্তত ৫০ জন। এইচআরডব্লিউর এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বিবৃতিতে বলেছেন, এই যে ক্রমবর্ধমান নিখোঁজ হওয়ার ঘটনা, বিশেষ করে বিরোধীদলীয় সদস্যদের উধাও হয়ে যাওয়া- এর গ্রহণযোগ্য ও স্বাধীন তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, সরকার এ পর্যন্ত ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনাগুলোর তদন্তে কোন কার্যকর উদ্যোগ নেয়নি। এ ধরনের ঘটনা বন্ধেরও কোন পদক্ষেপ দেখা যায়নি। অ্যাডামস বলেন, শেখ হাসিনার সরকার বারবার এ ধরনের নিপীড়ন বন্ধ এবং ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কিন্তু এ ধরনের প্রতিশ্রুতি দেয়া সত্ত্বেও নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অব্যাহত নিপীড়নের তথ্য-প্রমাণ প্রত্যাখ্যান বা নাকচ করেছে। আর এ কারণে এসব ঘটনার ক্ষেত্রে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। এর পাশাপাশি পুলিশকে বিক্ষোভকারীদের অপরাধ ঠেকাতে অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগ করতে দেয়া যাবে না বলে তিনি উল্লেখ করেন।  এর দক্ষিণ এশিয়া বিভাগের পরিচালক মিনাক্ষী গাঙ্গুলি গতকাল বিবিসিকে বলেছেন, এ ঘটনাগুলো মানবাধিকারের মারাত্মক লঙ্ঘন। তিনি বলেন, ইলিয়াস আলী কোথায় আছেন কেউ কিছু জানেন না। আমরা চাইছি, এ বিষয়টা খুব ভাল ভাবে তদন্ত করা হোক। এটা কারা করছেন, কেন করছেন এবং যারা এটা করছেন তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হোক- সেটাই আমরা চাইছি। আমরা চাইছি, এ ব্যাপারে বাংলাদেশ সরকার অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে অনেক সময় এ ধরনের ঘটনার তদন্ত করা হলেও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয় না। মিনাক্ষী বলেন, আমরা চাই এবার যদি তদন্ত হয় সেই তদন্তের পরবর্তী পদক্ষেপও যাতে জনগণকে জানানো হয়। এর ফলে গুমের শিকারদের পরিবার বুঝতে পারবে সরকার এ ব্যাপারে শক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে। তিনি বলেন, গুমের এসব ঘটনা সরকার স্বীকার করছে না বলেই এর সংখ্যা ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন প্রতিক্রিয়া দেয়া হযনি। তবে আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ গতকাল বিবিসিকে বলেছেন, সরকার এ ধরনের ঘটনার তদন্ত করছে না এটা বলা ভুল হবে। তিনি বলেন, সরকার সব ঘটনার ক্ষেত্রেই গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে। কারও কোন অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে সুনির্দিষ্টভাবে জানানো উচিত বলে তিনি মনে করেন।  এইচআরডব্লিউর বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’ হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তবে তিনি এও বলেছেন যে, সরকারের বিরুদ্ধে ‘আন্দোলনের ইস্যু’ তৈরি করতে দলের নির্দেশেই ইলিয়াস লুকিয়ে আছেন বলে তিনি মনে করেন। বিরোধী দলের হরতালের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ‘অত্যাধিক শক্তিপ্রয়োগের’ ঘটনাতেও উদ্বোগ প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ। ২১শে এপ্রিল ইলিয়াস আলীর নির্বাচনী এলাকা সিলেটের বিশ্বনাথে হরতাল চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও শতাধিক আহতও হওয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এ মানবাধিকার সংস্থা। গত ১৭ই এপ্রিল মধ্যরাতে রাজধানীর মহাখালী এলাকা  থেকে নিখোঁজ হন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য ইলিয়াস আলী। পুলিশ ওই রাতে তার গাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে। ইলিয়াসের সঙ্গে নিখোঁজ হন তার গাড়িচালক আনসারও। এরপর গত ১০ দিনে র‌্যাব পূবাইল ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও এই বিএনপি নেতার ‘সন্ধান’ পায়নি। সরকারের বাহিনীই ইলিয়াসকে ‘গুম’ করেছে- এমন অভিযোগ এনে গত রোববার  থেকে টানা তিন দিন সারাদেশে হরতাল করেছে বিএনপি। শনিবারের মধ্যে তাকে পাওয়া না গেলে বিরোধীদলীয় নেতাদের কাছ থেকে নতুন করে হরতালের ইঙ্গিতও দেয়া হয়েছে।

ইউনূস হতে যাচ্ছেন ইতিহাসের সপ্তম ভাগ্যবান ব্যক্তি






















Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=41901:2012-04-27-16-37-19&catid=48:2010-08-31-09-43-22&Itemid=82
যুক্তরাষ্ট্র সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল ডেমোক্রেটিক পার্টির এসিস্ট্যান্ট লিডার সিনেটর ডিক ডারবিন বলেছেন, বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হতে যাচ্ছেন ইতিহাসের সপ্তম ভাগ্যবান ব্যক্তি- যিনি একইসঙ্গে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন এবং কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল পাচ্ছেন। শিকাগোতে ৩ দিনব্যাপী ‘শান্তিতে নোবেল পুরস্কারপ্রাপ্তদের দ্বাদশ সম্মেলন’-এ যোগদানকালে গত বুধবার ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ইলিনয় থেকে নির্বাচিত ইউএস সিনেটর ডিক ডারবিন উচ্ছ্বসিত কণ্ঠে উপরোক্ত মন্তব্য করেন। এ সময় সিনেটর ডিক ডারবিন বুকে জড়িয়ে ধরেন ড. ইউনূসকে। উল্লেখ্য যে, সিনেটর ডারবিন সিনেটে (সিভিল রাইটস, মানবাধিকার, সংবিধান বিষয়ক) জুডিশিয়ারি সাব-কমিটিরও চেয়ারম্যান। ডিক ডারবিন বলেন, বাংলাদেশের গরিবের চেয়েও গরিব মানুষগুলোকে বেঁচে থাকার পথ দেখিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ড. ইউনূসের দারিদ্র্যবিমোচনের কার্যক্রম আজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। ড. ইউনূসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ইমেজ আজ সারা বিশ্বে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। সিনেটরের মুখে উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় অভিভূত ড. ইউনূস এ সময় কেবলই বাংলাদেশের মানুষের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানান ডিক ডারবিনকে।
জানা গেছে, শান্তিতে নোবেল পুরষ্কারসহ উপরোক্ত ৩টি পুরস্কারপ্রাপ্ত ৬ ভাগ্যবান মানুষের মধ্যে রয়েছেন মার্টিন লুথার কিং এবং নরম্যান আর্নেস্ট বরলোগ। ড. মুহাম্মদ ইউনূসকেও কংগ্রেসনাল গোল্ড মেডেল প্রদানের বিল পাস হয়েছে গত বছর। সেটি এ বছরই বিতরণ করা হবে। এর আগে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার কাছ থেকেই ড. ইউনূস গ্রহণ করেছেন প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম এওয়ার্ড।
ড. মুহম্মদ ইউনূস সম্পর্কে সিনেটর ডারবিনের মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশীদের অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে, ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ইমেজকে বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণে ব্যবহার করা উচিত। আর এটি হতে পারে ড. ইউনূসকে সরকারের বিশেষ দূত নিয়োগের মাধ্যমে। প্রসঙ্গত: উল্লেখ্য যে, ২০০৯ সালের ১২ আগস্ট হোয়াইট হাউসে ওবামার কাছ থেকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ গ্রহণের পরই হোয়াইট হাউজ প্রাঙ্গণে নিজের অনুভূতি ব্যক্তকালে বার্তা সংস্থা এনার কাছে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের কল্যাণে যে কোন দায়িত্ব আমি গ্রহণ করতে দ্বিধা করবো না। কারণ, আমি সর্বান্তকরণেই বাংলাদেশের কল্যাণ চাই।’

পাকিস্তান ছেড়ে সৌদি আরবে লাদেন পরিবার















আল কায়েদার সাবেক নেতা ওসামা বিন লাদেনের পরিবারের সদস্যরা শুক্রবার ভোরে পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তাদের পারিবারিক আইনজীবী আমির খলিল জানিয়েছেন, একটি বিশেষ বিমানে করে তাদের পাকিস্তান থেকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। এতে লাদেনের তিন স্ত্রী এবং ১১ সন্তান রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসলামাবাদের যে বাড়িতে লাদেন পরিবারকে আটক রাখা হয়েছিল, সেখানে  থেকে সাদা রঙের একটি মিনিভ্যান সবাইকে বিমানবন্দরে নিয়ে যায়। গণমাধ্যম কর্মীরা ভ্যানটি ঘিরে থাকায় লাদেনের দুই স্ত্রী ভ্যানে উঠতে অস্বীকার করেন। পরে গাড়ির জানালাগুলো ঢেকে দেয়া হলে তারা ভ্যানে ওঠেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আদালতের আদেশ অনুসারে বিন লাদেনের পরিবারের ১৪ সদস্যকে পাকিস্তান ত্যাগের অনুমতি দেয়া হয়। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার মধ্যে একটি অতিথিশালায় পরিবারটিকে রাখা হয়েছিল। তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আজ (শুক্রবার) তাদের সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। অবৈধভাবে পাকিস্তানে প্রবেশের অভিযোগে এ মাসের প্রথম দিকে বিন লাদেনের তিন স্ত্রীকে ৪৫ দিনের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছিল আদালত। আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তারের দিন ৩রা মার্চ থেকেই তাদের সাজার মেয়াদ শুরু হয়েছিল। সাজার মেয়াদ শেষে আদালত তাদের পাকিস্তান ছেড়ে যাওয়ারও আদেশ দিয়েছিল।  গত বছরের ২রা মে পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর অ্যাবোটাবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর গোপন অভিযানে নিহত হন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা ওসামা বিন লাদেন। তার বিধবা তিন স্ত্রী ও ১১ সন্তান তখন থেকেই পাকিস্তান স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে ছিলেন। লাদেনের স্ত্রী ও সন্তানদের ভবিষ্যৎ কি হবে- তা নিয়ে গত কয়েকমাস ধরেই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নানা আলোচনা চলছিল। তাদের সৌদি আবর ফেরার মধ্যে দিয়ে আপাতত সেই আলোচনার ইতি ঘটলো।

একই গর্ভে ৯ সন্তান!

একসঙ্গে ৯ সন্তানের মা হতে যাচ্ছেন মেক্সিকোর এক নারী। তার গর্ভের ছয়টি মেয়ে ও তিনটি ছেলে শিশু এখন পৃথিবীর আলো দেখার অপেক্ষায় রয়েছে। মেক্সিকোর টেলিভিশন চ্যানেল টেলিভিসা বৃহস্পতিবার রাতে এ কথা জানিয়েছে। উত্তর-পূর্ব মেক্সিকোর কোয়াহুইলা স্টেটের বাসিন্দা এই নারীর নাম কার্লা ভানেজা পেরেজ বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে তার বয়স উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, কার্লা কোয়াহুইলার স্টেটের রাজধানী সাতিল্লোর এক হাসপাতালে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, সন্তান ধারণ করার জন্য বিশেষ চিকিৎসা গ্রহণের ফলেই তার গর্ভে এতগুলো শিশু এসেছে। মেক্সিকোর সরকারি বার্তা সংস্থা নোটিমেক্সে জানিয়েছে, আগামী ২০শে মে কার্লা পেরেজের ৯ সন্তান ভূমিষ্ঠ হতে পারে। নোটিমেক্সকে কার্লা বলেছেন, বাচ্চাদের কার কি নাম হবে তা এখনও ঠিক করিনি, এখনও অনেক সময় আছে। সবকিছু যেন ভালোয় ভালোয় হয়, তা নিয়েই ভাবছি আমি। তার আশা অনুযায়ী, ‘সব ভালোয় ভালোয়’ হলে এক সঙ্গে নয় সন্তান জন্ম দেয়ার একটি রেকর্ড হবে এটি। এর আগে ২০০৯ সালে ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারীর একসঙ্গে আট সন্তানের জন্ম দেয়ার ঘটনা ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল।
Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=41870:2012-04-27-14-39-12&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77

Thursday, April 26, 2012

ভারত-পাকিস্তান পরমাণু যুদ্ধ হলে বিশ্বব্যাপী দুর্ভিক্ষের আশঙ্কা

Source: The daily Manabzamin
ভারত-পাকিস্তান যদি কোন কারণে একে অপরের বিরুদ্ধে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করে তবে সারা বিশ্বের ৫০ কোটির বেশি মানুষ দুর্ভিক্ষের শিকার হবে। মঙ্গলবার এক নতুন সমীক্ষাতে এ হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে, তাদের এ পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার এ অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও এর প্রভাব পড়বে সারা বিশ্বে। এর কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, বিধ্বংসী এ অস্ত্র ব্যবহারের ফলে সারা বিশ্বের জলবায়ুতে বড় ধরনের পরিবর্তন দেখা দেবে। আর তাই চীন, যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য দেশে খাদ্য উৎপাদন নাটকীয়ভাবে হ্রাস পাবে। সমীক্ষার লেখক ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশিয়ানস ফর দ্য প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ারের ডা. ইরা হেলফান্ড বলেছেন, পরমাণু অস্ত্রের কারণে সৃষ্ট দুর্ভিক্ষের বিষয়টি বোঝার জন্য পরমাণু অস্ত্রের ব্যাপারে আমাদের মৌলিক চিন্তা-চেতনায় পরিবর্তন আনতে হবে। তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, সমীক্ষায় প্রাপ্ত নতুন তথ্যে প্রতীয়মান হচ্ছে, ভারত ও পাকিস্তানের মতো দুই দেশের ছোট পরিসরের পরমাণু অস্ত্রও বিশ্বের প্রাকৃতিক ভারসাম্যে দীর্ঘ মেয়াদি প্রভাব ফেলতে পারে এবং ইতিমধ্যেই অপুষ্টির শিকার লাখ লাখ মানুষের অস্তিত্বকে হুমকির সম্মুখীন করতে পারে। তিনি বলেছেন, এক দশক সময়ের মধ্যে অকারণে এবং প্রতিরোধ যোগ্য ১০০ কোটি মানুষের মৃত্যু মানব জাতির ইতিহাসে একটি ভয়াবহ ঘটনা হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। এতে মানব জাতির অস্তিত্ব বিনষ্ট হবে না। তবে আধুনিক সভ্যতা বলে আমরা যেটাকে চিনি সেটার পরিসমাপ্তি ঘটাবে। শিকাগোতে নোবেল লরিয়েটদের ওয়ার্ল্ড সামিটে উপস্থাপিত সমীক্ষাটি ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালে প্রকাশিত হবে। এতে দেখানো হয়েছে, এ ধরনের কোন পারমাণবিক ঘটনার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভুট্টা উৎপাদন এক দশকের জন্য গড়ে ১০ শতাংশ কমে যাবে। আর সয়াবিন উৎপাদনও ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে। পরমাণু যুদ্ধের ঠিক পরের পাঁচ বছরই উৎপাদন ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে। সমীক্ষাতে আরও দাবি করা হয়েছে, এ ধরনের পরমাণু যুদ্ধের পরবর্তী চার বছর চীনে ধান উৎপাদনে গড়ে ২১ শতাংশ কমে যাবে। আর পরবর্তী ছয় বছর সেটা ১০ শতাংশ কমে যাবে। এর ফলে খাদ্যদ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি এবং কৃষি পণ্যে স্বল্পতা বিশ্বব্যাপী আতঙ্ক ছড়িয়ে দেবে। এতে করে খাবার মানুষের নাগালের বাইরে চলে যাবে।
গত সপ্তাহে ভারত অগ্নি-৫ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার পর গতকাল পাাকিস্তান পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম একটি মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে। দেশটির সেনাবাহিনী এ তথ্য দিয়েছে। এ খবর দিয়ে অনলাইন আল-জাজিরা জানিয়েছে, হ্যাফট-৪ শাহীন-১ এ ক্ষেপণাস্ত্রটি পরমাণু ও গতানুগতিক অস্ত্র বহনে সক্ষম। পাকিস্তানের ইন্টার-সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশন্সের (আইএসপিআর) এক বিবৃতিতে গতকাল বলা হয়েছে, ভারত মহাসাগরের একটি লক্ষ্যবস্তুতে ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষামূলকভাবে আঘাত হানতে সক্ষম হয়েছে। ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটি আগের চেয়ে আরও উন্নত ও অপেক্ষাকৃত দূরের কোন লক্ষ্যবস্তুতে নির্ভুল নিশানায় আঘাত হানতে সক্ষম। তবে, এ সম্পর্কে কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়া হয়নি। তবে, এর আগের ভার্সনের ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭৫০ কিলোমিটার দূরের যে কোন লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম।

সবচেয়ে ব্যর্থ স্বামী অ্যালবার্ট আইনস্টাইন


Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=41686:2012-04-25-15-00-38&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77
বিখ্যাত বিজ্ঞানী অ্যালবার্ট আইনস্টাইনের আবিষ্কার ও অবদান সম্পর্কে নতুন কিছু বলার নেই। কিন্তু, বিরল এ প্রতিভাধর ব্যক্তির জীবনের একটি অধ্যায় হয়তো অনেকেরই অজানা। আইনস্টাইন ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে ব্যর্থ স্বামী। ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই অসফল ছিলেন তিনি। অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর দিয়ে জানিয়েছে, ওয়াল্টার ইসাকসনের লেখা ‘আইনস্টাইন: হিজ লাইফ অ্যান্ড ইউনিভার্স’ নামক নতুন এক গ্রন্থে উঠে এসেছে এমনই তথ্য। কিছুটা চমকে দেয়ার মতো খবরই বটে। এতে বলা হয়েছে, ভালবাসার সম্পর্ককে অনেকটাই কঠোর শর্ত ও নিয়মের বেড়াজালে বেঁধে ফেলেছিলেন তিনি। খুব বেশি বাস্তববাদী হওয়ায়, প্রেম কখনও তার কাছে মধুর হয়ে ওঠেনি। বিয়ে করেছিলেন নারী বিজ্ঞানী মিলেভা ম্যারিককে। তিনিই তার প্রথম স্ত্রী। ১১ বছরের দাম্পত্য সম্পর্কে যখন সুখের খোঁজ পেলেন না, বিচারকের মতোই জারি করে দিলেন একের পর এক নিষ্ঠুর নিয়ম। ভাবলেন তাদের সন্তানের খাতিরেই দু’জনের সম্পর্ক টিকে থাকবে। আইনস্টাইন তার কঠোর নিয়মের যে তালিকাটি তৈরি করেছিলেন, তাতে তার স্ত্রী মিলেভাকে দাসির মতোই রাখা হয়েছিল। কোন স্নেহের বন্ধন সেখানে থাকবে না। ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, দিনের তিনটি নির্দিষ্ট সময়ে খাবার পরিবেশন, আইনস্টাইনের জামাকাপড় অন্যান্য কাপড়-চোপড় সবসময় পরিপাটি করে রাখা, তার শোবার ও পড়ার ঘর দু’টি ঝকঝকে-তকতকে রাখা আরও কত কি ছিল সে তালিকায়। এখানেই শেষ নয়। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের কোন বন্ধনই সেখানে থাকবে না। ঘনিষ্ঠভাবে মেশা তো দূরের কথা। আইনস্টাইন নিজে না চাইলে, তার সঙ্গে কথা বলা বারণ ছিল। তিনি চাইলে, কোন প্রতিবাদ না করে মুহূর্তেই তার শোবার ঘর বা পড়ার ঘর ছেড়ে দ্রুত চলে যেতে হবে মিলেভাকে। সন্তানদের সামনে তাকে এমন কিছু বলা বা করা যাবে না, যা তার আত্মসম্মানে আঘাত হানে।  অবশ্য বেশিদিন এসব সহ্য করতে পারেননি মিলেভা। সব ধরনের দাম্পত্য সম্পর্ক ছিন্ন করে, সন্তানদের সঙ্গে নিয়ে আইনস্টাইনকে তার বার্লিনের বাড়িতে একা ফেলে গিয়েছিলেন। পরে অবশ্য বিয়ে করেছিলেন আইনস্টাইন। কিন্তু সুখ কখনও তার কাছে ধরা দেয়নি।

Wednesday, April 25, 2012

ভারতে বিতর্কিত সিডি নিয়ে তোলপাড় কংগ্রেসের পার্লামেন্টারি প্যানেল প্রধানের পদত্যাগ






















একটি আপত্তিকর সিডিকে কেন্দ্র করে সমালোচনার প্রেক্ষাপটে পদত্যাগ করেছেন ভারতের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস পার্টির মুখপাত্র এবং আইন ও বিচার বিভাগীয় পার্লামেন্টারি প্যানেল প্রধান পার্লামেন্ট সদস্য অভিষেক মানু সিংভি। তিনি এক বিবৃতিতে সোমবার দুই পদ থেকে নিজেই পদত্যাগ করার কথা জানিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, তার কারণে পার্লামেন্ট অধিবেশনে সামান্যতমও যেন বিঘ্নিত না হয় সেজন্যই তিনি পদত্যাগ করেছেন। তবে তার এ পদত্যাগের তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দাবি করেছে বিরোধী দল বিজেপি। বিজেপি নেতা অরুন জেটলি বলেছেন, লোকপাল বিলের দায়িত্বে নিয়োজিত পার্লামেন্টের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রধানের পদ থেকে তিনি কেন পদত্যাগ করলেন সেটা পার্লামেন্টে তার ব্যাখ্যা করা উচিত। আমরা আশা করছি, এ ব্যাপারে অচিরেই তিনি ব্যাখ্যা দেবেন। বিতর্কিত ওই সিডিতে সিংভিকে বলতে শোনা যায়- কখন আপনি বিচারপতি হতে যাচ্ছেন? এর পরের সংলাপ কি তা কেউ জানে না। তবে এতে যৌনতা আছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। এ নিয়েই পানি ঘোলা হয়ে উঠেছে। কংগ্রেসে এমপি সিংভি বিবৃতিতে বলেছেন, সামাজিক মিডিয়ায় হওয়া অনৈতিক কথোপকথনের ওই সিডির ব্যাপারে ভিত্তিহীন এবং বানোয়াট অভিযোগ ছড়ানো হচ্ছে। এ তথ্য কোন মূলধারার গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না হাইকোর্টের এমন নির্দেশের পরই এ নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে তিনি গণমাধ্যমে কোন বক্তব্য দেবেন না। সিংভি বলেছেন, আমার ব্যাপারে সিডি সংক্রান্ত যে অভিযোগ উঠেছে সেটা নিয়ে পার্লামেন্টের অধিবেশন যাতে বিন্দুমাত্র ব্যাঘাত না ঘটে সেজন্যই আমি পদত্যাগ করেছি। দলের একজন নিষ্ঠাবান যোদ্ধা হিসেবে আমি মনে করি, এ ব্যাপারে দলকে কোন বিব্রতকর পরিস্থিতির সম্মুখীন করা ঠিক নয়। আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগই ভিত্তিহীন এবং মিথ্যা।  প্রখ্যাত আইনজীবী সিংভি কেবল কানকথা আর গুজবের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ আনার জন্য গণমাধ্যমের একটি অংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। কংগ্রেসের মিডিয়া সেলের প্রধান জনার্ধন দেওভেদি বলেছেন, দলের পক্ষ থেকে সিংভির পদত্যাগ চাওয়া হয়েছে নাকি তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন সেটা মুখ্য বিষয় নয়। তিনি সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছেন। তবে দলের মুখপাত্র রশিদ আলভি বলেছেন, ওই সিডি প্রকাশে আদালত নিষেধাজ্ঞা আরোপ সত্ত্বেও সিংভি নৈতিক কারণে তার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন। গুজরাট এবং কর্নাটক পার্লামেন্টের ভেতরে বিজেপির সদস্য এবং মন্ত্রীরা পর্নোছবি দেখেছেন বলে অভিযোগ করে আলভি বলেছেন, নৈতিকতার ব্যাপারে বিজেপির কোন পরামর্শ দেয়া সাজে না।

সিউলকে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার হুমকি

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে অচিরেই সেখানে ‘বিশেষ অভিযান’ চালানোর হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার সেনাবাহিনী। উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বকে অপমান করার অভিযোগে সিউলের বিরুদ্ধে সোমবার এ হুঁশিয়ারি দেয়া হয়। দু’পক্ষের মধ্যে এখনও তেমন কোন উস্কানিমূলক পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি লক্ষ্য করা না গেলেও তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ের প্রবণতা অনেক বেড়ে গেছে। উত্তর কোরিয়ার সরকারি বার্তা সংস্থায় দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিশ্বাসঘাতকদের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অচিরেই আমাদের সশস্ত্র বাহিনী বিশেষ অভিযান শুরু করবে। উত্তর কোরিয়া বলছে, এর লক্ষ্য হচ্ছে দক্ষিণের প্রেসিডেন্ট লী মায়ুং-বাকের বিশ্বাসঘাতক গোষ্ঠী, চরম অপরাধী এবং নিরপেক্ষ জনমতকে ধ্বংসকারী রক্ষণশীল গণমাধ্যমের মতো নগণ্য সব উপাদান। এতে বলা হয়েছে, অভিযানের মাধ্যমে তিন থেকে চার মিনিটের মধ্যেই সবকিছুকে ধুলোর সঙ্গে মিশিয়ে দেয়া হবে। উত্তর কোরিয়ার নেতৃত্বের প্রতি অবজ্ঞাসূচক মন্তব্যের প্রতিবাদে গত শুক্রবার পিয়ংইয়ংয়ে হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করে লীর নিন্দা করেছেন এবং তার মৃত্যু কামনা করেছেন। গত সপ্তাহে পিয়ংইয়ংয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট কিম ইল সুংয়ের ১০০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে লী অপমান করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছিল। লী বলেছিলেন, জন্মবার্ষিকী উদযাপন করতে রকেট উৎক্ষেপণ করতে যে ৮৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করা হয়েছে তা দিয়ে ২৫ লাখ টন খাদ্যশস্য কেনা যেতো।

Tuesday, April 24, 2012

কে হচ্ছেন ভারতের নতুন প্রেসিডেন্ট!









 ভারতের ১৩তম প্রেসিডেন্ট কে হচ্ছেন তা নিয়ে চলছে ব্যাপক আলোচনা। আর ৩ মাসেরও কম সময় আছে। তারপরই নতুন প্রেসিডেন্টকে বেছে নিতে হবে ভারতবাসীকে। এখন পর্যন্ত যাদের নাম আলোচনায় ঘুরছে তারা হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট এপি জে আবদুল কালাম, কংগ্রেসের প্রার্থী স্যাম পিট্রোডা, ভাইস প্রেসিডেন্ট হামিদ আনসারি ও শিরোমনি আকালি দলের প্রধান প্রকাশ সিং বাদল। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেসের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বর্তমান প্রতিরক্ষামন্ত্রী এ কে অ্যান্থনিও। এদের মধ্যে সাবেক প্রেসিডেন্ট এপি জে আবদুল কালামকে নিয়ে আলোচনা বেশি। এর কারণ ইতিমধ্যে তাকে সমর্থন দিতে একমত হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির মুলায়ম সিং যাদব, এআইএডিএমকে’র জয়ললিতা, তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রোববার এনসিপি’র প্রধান শারদ পাওয়ার বলেছেন, তিনি ও তার দল প্রেসিডেন্ট পদে একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে দেখতে চান। এর মাধ্যমে তিনি এপি জে আবদুল কালামের দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে আলোচনা চলছে। তবে আলোচনা আছে শারদ পাওয়ারের দল এনসিপি প্রেসিডেন্ট পদে লোকসভার সাবেক স্পিকার পিএ সাঙ্গমা’কে মনোনয়ন দিতে পারেন। এমনই এক প্রশ্নের জবাবে তিনি ওই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, আমাদের মাত্র ১৬ জন এমপি আছেন। ফলে প্রার্থী দেয়ার জন্য আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে।

সু চিকে ছাড়াই মিয়ানমারের পার্লামেন্ট অধিবেশন






















গণতন্ত্রপন্থি বিরোধীদলীয় নেত্রী অং সান সু চি এবং নবনির্বাচিত সদস্যদের ছাড়াই গতকাল পার্লামেন্ট অধিবেশন বসেছে। বার্তা সংস্থা এএফপি’র একজন ফটোগ্রাফার জানিয়েছেন, শপথ বাক্যের শব্দ নিয়ে মতবিরোধের কারণে তাদের ছাড়াই সোমবারের পার্লামেন্ট অধিবেশন বসেছে। এদিকে সু চির দাবি মেনে শপথবাক্য পরিবর্তন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী সমর্থিত ক্ষমতাসীন দল। সু চি’র দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি) নবনির্বাচিত এমপিদের বয়কটের মধ্য দিয়ে সোমবার পার্লামেন্টের উদ্বোধনী অধিবেশন শুরু হয়। নিম্নকক্ষের অধিবেশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে গতকাল সু চির রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শপথবাক্য পরিবর্তনের দাবিতে সু চি ও তার দলের এমপিরা পার্লামেন্ট বর্জন করেন। তবে ক্ষমতাসীন ‘ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টির (ইউএসডিপি) মহাসচিব হেতায়ও জানিয়ে দিয়েছেন, শপথবাক্য পরিবর্তনের কোন প্রস্তাব আনা হবে না। তিনি বলেছেন, দেশের উন্নয়নে শপথবাক্যের শব্দচয়ন কোন প্রভাব ফেলবে না। ওদিকে, জাপান সফররত মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট থিয়েন সিয়েনও সাংবাদিকদের বলেছেন, শপথবাক্য পরিবর্তনের কোন পরিকল্পনা তার নেই। সংবাদ সংস্থা কিয়োদো এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে।

বৃটেন থেকে মোশাররফকে ফিরিয়ে আনতে আইনি জটিলতা






















 বৃটেন প্রবাসী পাকিস্তানের সাবেক স্বৈরশাসক পারভেজ মোশাররফকে দেশে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে ইসলামাবাদ এখন বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন হয়েছে। দি এক্সপ্রেস ট্রিবিউন গতকাল এক রিপোর্টে জানিয়েছে, বৃটেনে মৃত্যুদণ্ডের কোন বিধান নেই, অথচ পাকিস্তানে এর প্রচলন থাকায় এটিই এখন দু’দেশের মধ্যে মোশাররফকে প্রত্যর্পণের ব্যাপারে সবচেয়ে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পাকিস্তান এবং বৃটেনের মধ্যকার বন্দি বিনিময় চুক্তির বিষয়টি একেবারেই বিপরীত মুখে অবস্থান করছে। কারণ এ চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য পাকিস্তান থেকে যে বিচারবিভাগীয় দলকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে, তাদের মধ্যে এ মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টি নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে। ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এফআইএ) এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এক্সপ্রেস ট্রিবিউনকে এ তথ্য জানিয়েছেন। এফআইএ’র আইনজীবী মোহাম্মদ আজহার চৌধুরী বলেছেন, মৃত্যুদণ্ডের বিষয়টিই এখন সবচেয়ে বড় বাধা। বৃটেনের সঙ্গে কোন ধরনের বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পাদন ছাড়া মোশাররফকে দেশে ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়। বেনজির ভুট্টো হত্যাকাণ্ড মামলায় এফআইএ’র প্রতিনিধিত্বকারী আজহার চৌধুরী বলেছেন, বৃটিশ সরকারের পক্ষ থেকে পাকিস্তানে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকার ব্যাপারে আপত্তি জানানো হয়েছে। ২০০৭ সালে নিহত বেনজির ভুট্টোর নিরাপত্তায় অবহেলার অভিযোগে পাকিস্তান পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামি হয়ে আছেন মোশাররফ। একটি সন্ত্রাসবিরোধী আদালত তাকে  ফেরারি ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে হুলিয়াও জারি করেছে। সাবেক প্রেসিডেন্ট ২০০৯ সালের শুরু থেকেই স্বেচ্ছা নির্বাসনে লন্ডন এবং দুবাই বাস করছেন। ২০১৩ সালে নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি আল-পাকিস্তান মুসলিম লীগকে নেতৃত্ব দিতে পাকিস্তান আসার পরিকল্পনা করলেও সমপ্রতি সে পরিকল্পনা থেকে সরে এসেছেন। আদালতের পক্ষ থেকে মোশাররফের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হওয়ার পর তাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের সম্মুখীন করতে পাকিস্তান ইন্টারপোলের সহযোগিতা চেয়েছিল। ইন্টারপোল আগামী দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ ব্যাপারে জবাব দেবে বলে মনে করা হচ্ছে। আজহার চৌধুরী অবশ্য আশা করছেন, এসব আইনি জটিলতা অচিরেই দূর হয়ে যাবে এবং বৃটেন মোশাররফকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে দেয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবে। 

পরাজিত সারকোজি, ২য় দফা নির্বাচন ৬ই মে






















বিশ্লেষকদের কথাই সত্য হলো। বিরোধী সোশ্যালিস্ট দলের প্রতিদ্বন্দ্বী ফ্রাঁসোয়া হল্যান্ডির কাছে প্রথম দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজিত হলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। কিন্তু  হল্যান্ডিও শতকরা ৫০ ভাগ ভোট অর্জনে ব্যর্থ হলেন। এজন্য আগামী ৬ই মে ফ্রান্সে দ্বিতীয় দফা প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে। ফ্রান্সের ইতিহাসে এই প্রথমবার কোন ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় ধরাশায়ী হলেন। রোববারের নির্বাচনে নিকোলাস সারকোজি পেয়েছেন শতকরা ২৭ দশমিক ১ ভাগ ভোট। তার চেয়ে সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে আছেন ফ্রাঁসোয়া হল্যান্ডি। তিনি পেয়েছেন শতকরা ২৮ দশমিক ৬ ভাগ ভোট। ফলে প্রথম দফার নির্বাচনে প্রথম অবস্থানে রয়েছেন হল্যান্ডি। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন নিকোলাস সারকোজি। শতকরা ১৮ ভাগ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন ন্যাশনাল ফ্রন্টের মেরিন লি পেন। এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মোট ১০ প্রার্থী। বাকিরা রয়েছেন আরও নিচের দিকে।

Monday, April 23, 2012

স্বামীর গায়ে আগুন দিলেন স্ত্রী


নিজ স্বামীর গায়ে আগুন দিয়ে পোড়ানো ও তারপর বাথরুমে আটক রাখার অভিযোগে ২৯ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নারী শ্রেয়া বিমান প্যাটেলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শ্রেয়াকে বর্তমানে প্রথম শ্রেণীর মরাত্মক অপরাধ সংগঠন, নির্যাতন ও অগ্নিসংযোগের অপরাধে ১০ লাখ ডলারের বন্ড হেফাজতে অস্টিনের ট্র্যাভিস জেলা কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। নাম প্রকাশ না করা ওই ভিকটিমের অবস্থা আশঙ্কাজনক পর্যায়ে রয়েছে। গায়ে আগুন দেয়ার পর বাথরুমে আটক রাখায় তার শরীরের তিন ডিগ্রি পর্যন্ত পুড়ে যায়। ভিকটিম বর্তমানে স্যান অ্যান্টিনোর ব্রুক আর্মি মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে হেলিকপ্টারে করে তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ঘটনাটি ঘটেছে নর্থ অস্টিনের ম্যাট্রিক ম্যাট্রিক এভিনিউর পার্মার লেনের কাছের একটি অ্যাপার্টমেন্টে। পুলিশ ও অগ্নিবিষয়ক কর্মকর্তারা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছেন। এ দম্পতি বিয়ে করেছেন মাত্র এক বছর হলো। শ্রেয়া এ ঘটনার মাত্র ৭ দিন আগে ভারত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে এসেছেন। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, ঘটনার সময় ভিকটিমের স্ত্রী অ্যাপার্টমেন্টের ভেতরেই ছিলেন। প্রতিবেশী রাতান রাজেন্দ্র বলেছেন, ঘটনার আগে তিনি পাশের ফ্ল্যাট থেকে তর্কের আওয়াজ শুনেছেন। ভিকটিম স্বামী পুলিশকে বলেছেন, তার স্ত্রী তাকে ম্যাসাজ করে দিচ্ছিলেন। এমন সময় তিনি তার শরীরে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। অন্যদিকে স্ত্রীর দাবি স্বামী নিজেই শরীরে গ্যাসোলিন ঢেলে আগুন দেন। তদন্ত কর্তারা বলছেন, আগুন লাগিয়ে দেয়ার মামলা অনেক দেখলেও এমন মারাত্মক অপরাধ এর আগে তারা আর দেখেননি। তারা বলছেন, শ্রেয়া নিজেই আগুন ধরিয়েছেন ও আগুন নেভাতে অন্যকে বাধা দিয়েছেন এমন প্রমাণ পেয়েছেন তারা। ঘটনার সময় ফ্ল্যাটের অগ্নি এলার্ম অকার্যকর ছিল। প্লাস্টিক ব্যাগ দিয়ে বন্ধ করা ছিল ফ্লাটের পর্যবেক্ষণ ছিদ্রও। এদিকে চেইন শপ ‘ওয়ালমার্টের’ পর্যবেক্ষণ ভিডিওতে দেখা যায় শ্রেয়া ঘটনায় ব্যবহৃত দ্রব্যগুলো কিনছেন।

যৌন হয়রানির অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার স্পিকারের পদত্যাগ


 





















যৌন হয়রানি ও প্রতারণার অভিযোগে পদত্যাগ করেছেন অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টের স্পিকার পিটার স্লিপার। তার বিরুদ্ধে সাবেক এক সহকর্মী অভিযোগ করেছেন যে, তিনি রগরগে যৌন কথাবার্তা সংবলিত বার্তা গ্রহণ করেছেন। গড়ে তুলেছিলেন যৌন সম্পর্ক। এছাড়া তিনি সরকারি তহবিলের ট্যাক্সি ব্যবহার করেছেন। এ অভিযোগে মামলা হওয়ার পর পিটার স্লিপারের বিরুদ্ধে পুলিশ তদন্ত করছে। তবে তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, পুলিশি তদন্ত রিপোর্ট আসার আগেই তিনি পদ ছেড়ে দিচ্ছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বা মামলা প্রধানমন্ত্রী জুলিয়া গিলার্ডের দুর্বল সরকারকে ফের অনেকটা ঝুঁকির মুখে ফেলে দিয়েছে। অনলাইন বিবিসি এ খবর দিয়ে জানায়, পিটার স্লিপারের বিরুদ্ধে আইনি এ ব্যবস্থা নিয়েছেন তার সাবেক সহকর্মী, পার্লামেন্টের সাবেক সদস্য জেমস অ্যাশবি। অ্যাশবি নিজে একজন সমকামী। তিনিই পিটারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনলেন। তার বিরুদ্ধে যখন এই অভিযোগ আনা হয় তখন তিনি ছিলেন বিদেশ সফরে। এ ঘটনায় তিনি সফর সংক্ষিপ্ত করে দেশে ফিরে যান। তিনি বলেছেন, আমার বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ আনা হয়েছে। এর একটি অপরাধবিষয়ক। অন্যটি বেসামরিক আইনের অধীনে। আমার বিরুদ্ধে অপরাধবিষয়ক অভিযোগের তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই আমি পদ থেকে সরে যাওয়াটাকে যথার্থ বলে মনে করি। যখন এ অভিযোগ থেকে আমি রেহাই পাবো, অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হবে তখন আবার স্পিকার হিসেবে ফিরে আসবো। তার এই পদত্যাগের ফলে তার ডেপুটি লেবার দলের এমপি আনা বারকি অস্থায়ী ভিত্তিতে স্পিকারের দায়িত্ব পালন করবেন।

Sunday, April 22, 2012

জ্যাকব জুমার ৬ষ্ঠ স্ত্রী এনজেমা















Source: The daily Manabzamin
৬ষ্ঠ বারের মতো বিয়ে করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বহুগামী (পলিগমাস) প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা। তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী বাঙ্গি এনজেমাকে শুক্রবার বিয়ে করেন তিনি। এক ঘরোয়া অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয় বিয়ে। সাবেক আইটি কর্মী এনজেমা দক্ষিণ আফ্রিকায় পরিচিত মুখ। এর আগে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বিদেশ সফরও করেছেন তিনি। বিয়ের অনুষ্ঠানে জুলু সমপ্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। জুমার এই সমপ্রদায়টিতে বহু বিবাহ একটি বৈধ অধিকার। বিয়ে অনুষ্ঠানের পর ঘর-কনে ঐতিহ্যবাহী জুলু সংস্কৃতি অনুযায়ী একসঙ্গে নাচে অংশ নেন বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। জুমার মোট ২১ সন্তান রয়েছে। যার মধ্যে এনজেমার গর্ভে সাত বছর বয়সী একটি ছেলেও আছে। জুমা মোট ছয়টি বিয়ে করেন। এর মধ্যে ২০০০ সালে তার এক স্ত্রী আত্মহত্যা করেন। আর এক স্ত্রীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। বর্তমানে চতুর্থ স্ত্রী এনজেমাসহ বাকিরা এখনও জুমার সঙ্গে বিয়ে বন্ধনে আছেন। এদের সবাই বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় সরকারিভাবে ফার্স্ট লেডির কোন পদ নেই। প্রেসিডেন্টের স্ত্রীরাও কোন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করেন না বলে জানিয়েছে প্রেসিডেন্টের কার্যালয়।

সামরিক শাসনের অবসানের দাবিতে তাহরির স্কোয়ারে বিক্ষোভ

মিশরে সেনাবাহিনীর দ্রুত ক্ষমতা হস্তান্তর এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট মুবারক শাসনের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে প্রতিহত করার দাবিতে হাজার হাজার মানুষ বিখ্যাত তাহরির স্কোয়ারে সমাবেশ করেছে। শুক্রবারের জুমার নামাজের পর জনতা ‘সামরিক শাসন নিপাত যাক’ বলে স্লোগান দিতে দিতে তাহরির স্কোয়ারে এসে সমবেত হয়। কট্টরপন্থি এবং উদারপন্থি সবাই এক সঙ্গে শুক্রবারের এ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন। তারা সবাই দেশের বর্তমান রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার জন্য ক্ষমতাসীন সামরিক শাসনকেই দায়ী করেছেন। সমাবেশে তারা বিশাল একটি ব্যানার প্রদর্শন করেছেন। এতে লেখা ছিল- ‘সামরিক শাসন প্রত্যাখ্যান’। এদিকে এ মাসের শুরুতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে বাধাপ্রাপ্ত প্রার্থীদের সমর্থকরা সামরিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে গত বসন্তের মিশরের অভ্যুত্থান ছিনতাই করার অভিযোগ এনেছেন। তাহরির স্কোয়ারে শুক্রবার সকাল থেকেই বিক্ষুব্ধ জনতা সমবেত হতে শুরু করে। সমাবেশে তারা বেমারিক নাগরিকদের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সামরিক নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আল-জাজিরা জানিয়েছে, তাহরির স্কোয়ারের সামপ্রতিক বিক্ষোভের মধ্যে শুক্রবারের সমাবেশটি ছিল একেবারেই অন্যরকম। সেখানে কমপক্ষে ২০টি রাজনৈতিক দল বা সংগঠন যোগ দিয়েছে। সমাবেশে আগত সবার প্রতি একাত্ম ঘোষণার আহ্বানের পর সবাই মিলে ‘একহাত, একহাত, একহাত’ বলে সমস্বরে স্লোগান দিতে থাকেন। ফেব্রুয়ারির বিক্ষোভের সময় সামরিক বাহিনীর সঙ্গে সাধারণ জনতা এক হয়ে সারা দেশে একযোগে আন্দোলন করেছিলেন। সেই ঐক্যকে স্মরণ করেই সবাই এবার একহাত একহাত বলে স্লোগান দিয়েছেন। তবে আল-জাজিরা জানিয়েছে, জুমার নামাজের সময় সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে সমাবেশে অংশ নিলেও পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অধীনে সবাই আলাদা আলাদাভাবে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের সালাফি আন্দোলন (তীব্র কট্টরপন্থি) এবং উদারপন্থিদেরকে জন্য আলাদা স্থানে নিজেদের দাবি তুলে বিক্ষোভ করতে দেখা গেছে। আল-জাজিরা বলছে, তাহরির স্কোয়ারের সমাবেশে রাজনৈতিক বিভেদ তীব্রভাবে লক্ষ্য করা গেলেও তারা সবাই মুবারক শাসনের কর্মকর্তাদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা প্রতিহত করতে একযোগে দাবি জানিয়েছে। মুবারকের শাসনামলের সঙ্গে জড়িত ছিলেন এমন কেউ যাতে আগামী ২৩ এবং ২৪শে মে অনুষ্ঠেয় মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে না পারেন সেজন্য গত সপ্তহে মিশরে পার্লামেন্টে একটি খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। মুবারকের গোয়েন্দা প্রধান ওমর সোলাইমানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতেই এ খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এটি কার্যকর করতে হলে ক্ষমতাসীন সামরিক কাউন্সিলের অনুমোদন পেতে হবে।  

পাকিস্তানজুড়ে শোকের ছায়া বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ












পাকিস্তানে বিমান দুর্ঘটনায় ১২৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় সারা দেশে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী এ দুর্ঘটনা তদন্তে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।  শুক্রবার ইসলামাবাদের বেনজির ভুট্টো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতে গিয়ে কাছের একটি আবাসিক এলাকায় যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। বিবিসি জানিয়েছে, ভোজা এয়ার জেট এর বিমানটি ১২৭ জন আরোহী নিয়ে করাচি থেকে ইসলামাবাদ যাচ্ছিল। দুর্ঘটনায় বিমানের সব আরোহীই নিহত হয়েছে। ইসলামাবাদের কাছে হুসাইন আবেদ গ্রামে বিধ্বস্ত বিমানের ধ্বংসস্তূপের মধ্যে উদ্ধারকাজ শুক্রবার রাতেই বন্ধ করা হয়েছে। তখনও পর্যন্ত জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায়নি। বিমানটির ককপিটের ফ্লাইট রেকর্ডার উদ্ধার করে তদন্তকারীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। ভোজা এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৩৭ বিমানটিতে ১২১ জন যাত্রী এবং ছয় জন ক্রু ছিলেন। করাচি থেকে আরোহীদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে ইসলামাবাদ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে ভোজা এয়ারের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন। নিহতের স্বজনরা অনতিবিলম্বের এ দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে তার জনসম্মুখে প্রকাশ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ন্যাশনাল ডাটাবেজ অ্যান্ড রেজিস্ট্রেশন অথরিটির কর্মকর্তারা মৃতদেহগুলো শনাক্ত করার কাজে সহযোগিতা করছেন। বেশ কিছু মৃতদেহ বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ডিএনএ পরীক্ষার সহায়তা নেয়া হচ্ছে। বিমানটি পাকিস্তান সময় বিকাল ৫টায় করাচি বিমানবন্দর ছেড়েছিল। সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় এর ইসলামাবাদ পৌঁছার কথা ছিল। ডন জানিয়েছে, বিমানটি যখন বিধ্বস্ত হয়ে তখন ওই এলাকায় প্রবল বর্ষণ হচ্ছিল, বিদ্যুৎ চমকাচ্ছিল। দুর্ঘটনার কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা না গেলেও বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষের ধারণা, বজ্রপাত এর কারণ হতে পারে। তবে দুর্ঘটনার কারণ তদন্তে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি বিচার বিভাগীয় একটি তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন। গিলানি এ বিমান দুর্ঘটনাকে পাকিস্তানের ইতিহাসে একটি মর্মান্তিক ট্র্যাজেডি বলে উল্লেখ করেছেন। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রেহমান মালিক বলেছেন, এ দুর্ঘটনার তদন্তের জন্য বেশ কিছু এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তাকে পাকিস্তান ত্যাগ না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওদিকে মার্কিন বিমান কোম্পানি বোয়িংএ দুর্ঘটনা তদন্তে পাকিস্তানকে কারিগরি সহযোগিতা দেয়ার প্রস্তাব করেছে। এক শোক বার্তায় বোয়িং শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেছে, এ দুর্ঘটনা তদন্তে পাকিস্তান বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষকে তারা সহযোগিতা করতে তৈরি আছেন।

Saturday, April 21, 2012

টাইমের শত প্রভাবশালীর তালিকায় বাংলাদেশের সালমান খান























Source: The daily Manabzamin:
টাইম ম্যাগাজিনের বিশ্বের ‘১০০ প্রভাবশালী’র তালিকায় স্থান বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত তরুণ মার্কিন শিক্ষক সালমান খান। নিউ ইয়র্ক থেকে প্রকাশিত টাইম ম্যাগাজিন প্রতিবছরের মতো এবারও ১০০ প্রভাবশালী ব্যক্তির তালিকা প্রকাশ করেছে। বুধবার প্রকাশিত ওই তালিকায় স্থান পেয়েছেন সালমান খান। এ বছর এই তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়াকে প্রাধান্য দেয়া হলেও এতে রাজনীতিবিদ, অভিনয়শিল্পী, ক্রীড়াবিদ, সাহিত্যিক, সংগীতশিল্পী, বিজ্ঞানী ও ব্যবসায়ীও রয়েছেন। টাইম ম্যাগাজিন বলেছে, নিজের কাজের মাধ্যমে যারা বিশ্বকে পাল্টে দেয়ার ক্ষমতা রাখেন, যাদের প্রভাব তৈরির অপার সম্ভাবনা রয়েছে এটি তাদের তালিকা। খান একাডেমি নামে একটি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন সালমান। নিজের বাড়িতে একটি ছোট্ট অফিসে বসেই শিক্ষার বিভিন্ন জটিল বিষয় খুব সহজবোধ্য করে তিনি ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেন। বিশেষ করে গণিত ও বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ই তিনি এসব ভিডিওর মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। তিনি প্রাতিষ্ঠানিক নানা বিষয়ে প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি ভিডিও নির্মাণ করেছেন। এ বছরের মার্চ থেকে ইউটিউবে খান একাডেমি চ্যানেল চালু করা হয়েছে। বর্তমানে এর গ্রাহক সংখ্যা ৩ লাখেরও বেশি। সালমান যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা স্টেটের নিউ অরলিন্সে জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ভারতের কলকাতার আর বাবা বাংলাদেশের বরিশাল  থেকে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে স্থায়ী হয়েছেন। মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাবাকে হারানো সালমান ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে গণিত, তড়িৎ প্রকৌশল ও কম্পিউটার সায়েন্সে আলাদাভাবে ব্যাচেলর ডিগ্রি অর্জন করেন। তড়িৎ প্রকৌশলে তিনি মাস্টার্স করার পর হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে তিনি এমবিএ ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। টাইমের এবারের তালিকায় অপর এক বাঙালি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও স্থান পেয়েছেন। সমালোচকেরা মমতাকে ‘তেজস্বী বল ও রাস্তার যোদ্ধা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বলেও টাইম ম্যাগাজিনে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, নিখুঁত রাজনীতিবিদ হিসেবে তিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন। এক্ষেত্রে তার নিম্নমধ্যবিত্ত পটভূমি কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারেনি। তালিকায় স্থান পাওয়া অপর উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরা হলেন- মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, বিশ্বের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি ওয়ারেন বাফেট, পাকিস্তানের প্রথম অস্কার বিজয়ী শারমিন ওবায়েদ চিনয়, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন, ফুটবলার লিওনেল মেসি, টেনিস খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ, রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট প্রার্থী মিট রমনি, জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মার্কেল, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট দিলমা রৌসেফ, কলাম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল স্যান্তোস, ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু, সংগীতশিল্পী রিহানা প্রমুখ।

‘হোমস শহর মুছে ফেলতে চান আসাদ’
























গাদ্দাফির শাসন ব্যবস্থা যেভাবে লিবিয়ার মানচিত্র থেকে বেনগাজিকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল আসাদ ঠিক তেমন করে হোমস শহরকে মানচিত্র থেকে মুছে ফেলতে চান। বৃহস্পতিবার এক নির্বাচনী প্রচারণায় ইউরোপ-১ রেডিওকে এসব কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নিকোলাস সারকোজি। সারকোজি বলেন, সিরিয়ার ব্যাপারে চীন ও রাশিয়ার বিশ্ব সমপ্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকার বিষয়টি আর দীর্ঘায়িত হবে না। দামেস্কের বিরুদ্ধে দ্রুতই দেশ দু’টি বিশ্ব সমপ্রদায়ের সঙ্গে যোগ দেবে। এদিকে ফ্রান্সের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেইন জুপে আন্তর্জাতিক সমপ্রদায়কে সিরিয়াতে তাদের দায়িত্ব পালন করার আহবান জানিয়েছেন। ফরাসি বিএফএম টিভিকে গতকাল তিনি বলেন, যদি কফি আনানের শান্তি পরিকল্পনা ব্যর্থ হয়, তবে আমাদের অন্য পদ্ধতির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি জানান, মার্কিন সমর্থিত জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞাসহ যে কোন কঠিন প্রস্তাব সমর্থন করবে ফ্রান্স। তিনি বলেন, শান্তি পরিকল্পনাই গৃহযুদ্ধের আগের সর্বশেষ সুযোগ। আমাদের আর বসে অপেক্ষা করার সময় নেই। এদিকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপের আহ্বান করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন। কথিত ফ্রেন্ডস অব সিরিয়া গ্রুপের এক সভায় বৃহস্পতিবার ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে এই আহ্বান জানান তিনি। ১৩ মাসের রক্তাক্ত সংঘর্ষ ও প্রাণহানি বন্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি অন্যান্য কঠিন পদক্ষেপ নেয়ারও দাবি জানান হিলারি। এখনই সামরিক হস্তক্ষেপের কথা না বললেও তিনি জানান কফি আনানের শান্তি পরিকল্পনা মানতে বাধ্য করার জন্য আমাদের পরিপার্শ্বিক কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। আসাদকে দমাতে অন্য সব বিকল্প টেবিলে রাখার কথাও বলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসে যৌন কেলেঙ্কারি তরুণীর ছবি প্রকাশ






















Source: The daily Manabzamin
মার্কিন সিক্রেট সার্ভিসে যৌন কেলেঙ্কারির ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত এক কলাম্বিয়ান তরুণীর বিকিনি পরা কয়েকটি ফটো প্রকাশ করা হয়েছে একটি সামাজিক যোগাযোগের নেটওয়ার্ক সাইটে। গতকাল এ খবর দিয়ে নিউ ইয়র্ক ডেইলি নিউজ জানিয়েছে, কেবল ডানিয়া পরিচয়ে প্রকাশ হওয়া ছবিতে তাকে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে ক্যামেরার সামনে পোজ দিতে দেখা গেছে। ছবিতে ওই তরুণী বিশেষ ভঙ্গিতে তার শরীরের অংশ প্রদর্শন করছেন। সিক্রেট সার্ভিসের দু’জন সুপারভাইজার এ কেলেঙ্কারিতে জড়িত হওয়ার খবর প্রকাশের পর ফটোগুলো প্রকাশিত হলো। এই কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার ডেভিড চেনি নামের একজন কর্মকর্তাকে অবসরে পাঠানো হয়েছে এবং গ্রেগ স্টোকস নামের আরেকজনকে অপসারণ করা হয়েছে। অন্য আরেকজন তদন্তের অংশ হিসেবে বরখাস্ত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন। এদের মধ্যে স্টোকস ছিলেন সিক্রেট সার্ভিসের ক্যানিন ট্রেনিং সেন্টারের প্রধান। এই ঘটনায় জড়িত নারী ৯ বছর বয়সী এক সন্তানের মা ডানিয়া মুখ খোলার পর বিশ্ব মিডিয়ায় তোলপাড় হওয়া কেলেঙ্কারিতে জড়িতদের পরিচয় প্রকাশ পায়। ২৪ বছর বয়সী ডানিয়া বলেছেন, তাকে একজন পুরুষের সঙ্গে একরাত কাটানোর জন্য ৮শ’ ডলার ফি’র ৩০ ডলার প্রদান করা হয়েছিল। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, আমি তাকে বলেছিলাম আমার বাকি ডলার পরিশোধ করো। এই ঘটনায় সিক্রেট সার্ভিস এজেন্সির সম্মান ধুলোয় মিশে যায়। একইসঙ্গে নির্বাচনের বছর বিষয়টি একটি বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করে প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্য। সিক্রেট সার্ভিসের পক্ষ থেকে তাদের তিনজন সদস্যকে গত সপ্তাহে হোটেল ক্যারিবেতে অসৌজন্যমূলক আচরণের জন্য বরখাস্ত করা হয়েছে। এমন সংবাদ দেয়ার পর গতকাল বিষয়টিতে মাদক ব্যবহার সংশ্লিষ্ট আছে কিনা- এ নিয়ে তদন্ত হচ্ছে বলে জানিয়েছে এবিসি নিউজ। গত বুধবারের কুৎসিত ওই রাতের বিস্তারিত বেরিয়ে এসেছে স্বঘোষিত পতিতা ও এক সন্তানের সিঙ্গেল মা ডানিয়ার স্বীকারোক্তি পর। তিনি বলেন, তিনি ডিস্কো পার্টিতে একজন এজেন্টের সঙ্গে মিলিত হন। পুরো রাত ড্রিঙ্কস করেন। কারটানেগাতে প্লে ক্লাবে সময় কাটান। ডানিয়া বলেন, তারা আমাকে বলেনি তারা ওবামার লোক। যে কোন বিব্রতকর অবস্থা এড়াতে তারা সতর্ক ছিল। তিনি বলেছেন, তাদের একজন হোটেলে রাত কাটানোর জন্য তাকে ৮শ’ ডলার দিতে রাজি হন। পরে সকালে মহিলা হোটেল ছাড়ার আগে তাদের দু’জনের মধ্যে হোটেলের ফ্রন্ট ডেস্কে তার ডলার নিয়ে তর্ক হয়। তখন তারা ৩০ ডলার দিতে চায়। পরে বিষয়টি কলাম্বিয়ার আইন প্রয়োগকারীদের মধ্যে গিয়ে পৌঁছায়। এ ঘটনায় শেষ পর্যন্ত ২২৫ ডলার পান বলে কলাম্বিয়াতে এক সাক্ষাৎকারে দাবি করেন ওই মহিলা। পরের দিন এক বন্ধুর মাধ্যমে ওই নারী জানতে পারেন যে, তাদের ওই ঝগড়া খবরে পরিণত হয়েছে। এবং ওই লোকেরা ছিল সিক্রেট সার্ভিসের লোক।

Thursday, April 19, 2012

২৪ বছর পর বিদেশ সফরে যাচ্ছেন সু চি
























 Source: The daily Manabzamin
মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থি নেত্রী ও নবনির্বাচিত পার্লামেন্ট সদস্য অং সান সু চি ২৪ বছর পর এবারই প্রথম বারের মতো বিদেশ সফরে যাচ্ছেন। শান্তিতে নোবেল জয়ী সু চির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি)’র পক্ষ থেকে গতকাল জানানো হয়েছে, নরওয়ে ও বৃটেনের আমন্ত্রণে জুন মাসে তিনি এ সফরে যাবেন। এনএলডি’র মুখপাত্র নিয়ান উইন বলেছেন, বৃটেন সফরকালে সু চি অক্সফোর্ডে যাবেন। ১৯৭০-এর দশকে তিনি সেখানে লেখাপড়া করেছেন। নিয়ান উইন বলেন, আমি এখনও সফরের নির্দিষ্ট সময় জানি না। এছাড়া, কোন দেশে সু চি প্রথমে যাবেন সে সম্পর্কেও তিনি কিছু জানেন না। তবে সু চি প্রথমে নরওয়ে সফরে যাবেন বলে এর আগে জানিয়েছিলেন। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ৬৬ বছর বয়সী নেত্রী অং সান সু চিকে ১৯৮৯ সালে প্রথমবারের মতো আটক করা হয়। ২০১০ সালের নভেম্বরে মুক্তি পাওয়ার আগে ২১ বছরের মধ্যে ১৫ বছরই তিনি গৃহবন্দি ছিলেন। মিয়ানমারের সামরিক সরকার তাকে আর দেশে ফিরতে দেবে না- এমন আশঙ্কায় মুক্ত থাকার সময়েও তিনি দেশ ছাড়েননি। বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন শুক্রবার মিয়ানমার সফরের সময় সু চিকে যুক্তরাজ্য সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। সু চি তখন এ আমন্ত্রণকে সরাসরি প্রত্যাখ্যান না করে বরং মিয়ানমারের জন্য একে বিশাল অর্জন মনে করে বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, দুই বছর আগে আমি এ আমন্ত্রণের জন্য ধন্যবাদ জানালেও যেতে পারবো না বলে দুঃখ প্রকাশ করতাম। মিয়ানমারে তখনকার ক্ষমতাসীন জান্তাদের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মানসেই বিদেশ যেতে চাইতেন না সু চি। এমনকি ১৯৯৯ সালে স্বামী মাইকেল এরিসের মৃত্যুর সময়ও সু চি তাকে গৃহবন্দিত্ব থেকে মুক্তি দেয়ার প্রস্তাব গ্রহণ করেন নি।

ওয়ারেন বাফেটের ক্যান্সার













  কোটি কোটি ডলারের মার্কিন বিনিয়োগকারী ওয়ারেন বাফেটের মূত্রথলিতে ক্যান্সার ধরা পড়েছে। তবে তা প্রাথমিক অবস্থায় রয়েছে। চিকিৎসায় তা ভাল হবে বলে চিকিৎসকরা তাকে অভয় দিয়েছেন। গতকাল অনলাইন ফক্স নিউজ এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ওয়ারেন বাফেট নেব্রাস্কার বিশাল কোম্পানি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের কর্ণধার। তিনি এ কোম্পানির শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছেন। তাতে ৮১ বছর বয়সী ওয়ারেন জানিয়েছেন, তার মূত্রথলিতে যে ক্যান্সার ধরা পড়েছে তা চিকিৎসায় নিরাময়যোগ্য।

সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান নওয়াজের

Source: the daily Manabzamin

 সিয়াচেন থেকে ভারত ও পাকিস্তানের উচিত সেনা প্রত্যাহার করা। সেখানে দু’দেশের সামরিক অবস্থানের ইতি ঘটানোর এ আহ্বান জানিয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) এর প্রধান নওয়াজ শরীফ। তিনি বলেছেন, ভারত কি করবে সেদিকে তাকিয়ে না থেকে পাকিস্তানের উচিত সেনা প্রত্যাহারে পদক্ষেপ নেয়া। নওয়াজ শরীফ বলেন, এ বিষয়টিতে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেয়া দরকার পাকিস্তান সরকারের। এটা কোন আত্ম অহমিকার বিষয় নয়। এজন্য দুই দেশের সরকারকে একত্রে বসতে হবে এবং সমস্যার স্থায়ী সমাধানের পথ বের করতে হবে। সিয়াচেনে যেখানে ভারত ও পাকিস্তানের সেনা মোতায়েন করা আছে তার উচ্চতা ২৩০০০ থেকে ২৪০০০ ফুট। সেখানকার আবহাওয়া মারাত্মক প্রতিকূল। সেই উচ্চতায় সেনা মোতায়েন রাখা দু’দেশের কারো জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নয়। নওয়াজ শরীফ মঙ্গলবার হেলিকপ্টারযোগে সিয়াচেনে পাকিস্তানের সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এরপর তিনি উত্তরাঞ্চলীয় শহর স্কারডুতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। গত ৭ই এপ্রিল সিয়াচেনে পাকিস্তানের ওই সেনা ক্যাম্পে আঘাত হানে প্রলয়ঙ্করী হিমবাহ। তার নিচে চাপা পড়ে নিহত হন পাকিস্তানের ১৩৮ জন। এর মধ্যে ১২৭ জন সেনা সদস্য ও ১১ জন বেসামরিক  লোক। তারা ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে ৮০ ফুট বরফের নিচে চাপা পড়েন। এ বিষয়টিকে সামনে রেখে নওয়াজ শরীফ বলেন, এই সিয়াচেন নিয়ে ভারত ও পাকিস্তান প্রতি বছর কোটি কোটি রুপি খরচ করছে। সেখানে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। তার মতে, দু’দেশ যদি এই সমস্যার সমাধান করে ফেলে তাহলে এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জনসেবায় ব্যবহার করা যাবে। নওয়াজ শরীফ স্কারডু সেক্টর পরিদর্শন করার সময় তাকে সিনিয়র সেনা কর্মকর্তারা পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন। যেসব সদস্য হিমবাহের নিচে চাপা পড়ে চিরদিনের মতো হারিয়ে গেছেন তাদের পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান নওয়াজ শরীফ।

Tuesday, April 17, 2012

১৮ ঘণ্টা পর কাবুল শান্ত
















 অবশেষে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে তালেবানদের আক্রমণের সমাপ্তি ঘটেছে। ১৮ ঘণ্টা পর স্থানীয় প্রশাসন তালেবানদের হামলা থেকে কাবুলকে মুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। কাবুল পুলিশ প্রধানের মুখপাত্র বলেছেন, গতকাল সকালে সর্বশেষ হামলাকারীকে আফগানিস্তানের পার্লামেন্টের কাছে হত্যা করা হয়েছে। রোববার দুপুরের দিকে তালেবান সন্ত্রাসীরা রাজধানী কাবুলের কূটনৈতিক পল্লী, পার্লামেন্ট ও বিভিন্ন দূতাবাসে একযোগে হামলা চালায়। হামলা চালায় তিনটি প্রদেশে- লোঘার, পাকটিয়া ও নাঙ্গারহারে। এ সময় কাবুলের বিভিন্ন স্থাপনা থেকে কালো ধোঁয়া উড়তে দেখা যায়। চারপাশ থেকে ভেসে আসে গুলির শব্দ। সন্ত্রাসীরা সরকারি ভবন তাদের দখলে নিয়ে পার্লামেন্টের দিকে গুলি ছুঁড়তে থাকে। বৃটিশ দূতাবাসের একটি টাওয়ারে রকেট হামলা হয়। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসে বাজানো হয় সতর্ক সাইরেন। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় জালালাবাদ বিমানবন্দর। পুরোপুরি কাবুল যেন সেদিন সন্ত্রাসীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। সারা বিশ্বের মিডিয়া সে খবর ফলাও করে প্রচার করতে থাকে। অব্যাহত গতিতে চলতে থাকে হামলা। একপর্যায়ে তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ  মুজাহিদ এ হামলার দায় স্বীকার করেন। তিনি বলেন, তাদের আত্মঘাতী দলের কয়েক হাজার সদস্য এ অভিযানে নেমেছে। তাদের হাতে আছে একে-৪৭ রাইফেল। পরিস্থিতি যখন এমন তখন আফগানিস্তান কর্তৃপক্ষ জোর অভিযান চালায়। এতে ৩৬ তালেবান জঙ্গি নিহত হয়েছে। নিহতের তালিকায় আছে আফগানিস্তানের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর ৮ সদস্যও। এছাড়া নিহত হয়েছেন বেসামরিক ৩ ব্যক্তি। অর্থাৎ মোট নিহতের সংখ্যা ৪৭। গতকাল অনলাইন বিবিসি এ খবর দিয়ে জানায়, গত ৬ মাসের মধ্যে এটাই ছিল তালেবানদের সবচেয়ে বড় হামলা। তারা কাবুলে বিদেশী দূতাবাস, ন্যাটোর সদর দপ্তর, আফগান পার্লামেন্ট লক্ষ্য করে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ওয়াজির আকবর খান এলাকায় একটি নির্মাণাধীন ভবনকে তাদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করছিল। কাবুল থেকে বিবিসি’র সাংবাদিক বিলাল সারওয়ারি বলেন, খবর ছড়িয়ে পড়েছিল যে- ওই ভবনের ভিতরে নির্মাণ শ্রমিকদের জিম্মি হিসেবে ব্যবহার করছিল সন্ত্রাসীরা। ভিডিও ফুটেজে দেখানো হয়েছে- গতকাল ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সেনারা সেই নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালাচ্ছেন। আফগান কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা আত্মঘাতী দুই বোমারুকে আটক করেছে। তারা দ্বিতীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ করিম খলিলিকে হত্যার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। ন্যাটো সমপ্রতি দাবি করেছে, তালেবানরা দুর্বল হয়ে পড়েছে। তালেবানদের দাবি- ন্যাটোর ওই দাবিকে বানচাল করতেই তারা এ হামলা চালিয়েছে। তালেবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, এটা হলো বসন্তকালীন হামলার শুরু। আমরা কয়েক মাস ধরে এ হামলা চালানোর পরিকল্পনা করেছি। বিভিন্ন মিডিয়ায় বলাবলি হচ্ছে- এ হামলায় হাক্কানি গ্রুপও অংশ নিয়ে থাকতে পারে। ওদিকে নিউ ইয়র্ক টাইমস নিউজ সার্ভিসের এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, ন্যাটো এবং আফগানিস্তানের সেনারা যে অর্জন করেছে তাকে হেয় করতে তালেবানরা সংগঠিত হয়ে এই হামলা চালিয়েছে।

ফেরেশতা বললেও ড্রোন হামলা সমর্থন করবো না




জনপ্রিয় ক্রিকেটার থেকে গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতায় পরিণত হওয়া পাকিস্তান তেহরিকে ইনসাফ (পিটিআই) দলের প্রধান ইমরান খান বলেছেন, যদি ইউনিফর্ম পরা ফেরেশতা এসেও বলে ড্রোন হামলা সমর্থন করতে তাও তিনি করবেন না। ইমরান জানান, তিনি ক্ষমতায় গেলে তখন কেউ ড্রোন হামলা করলে, তা ভূপাতিত করার জন্য গোপন বিমান প্রস্তুত রাখা হবে। গতকাল এ খবর দিয়ে বার্তা সংস্থা এএনআই জানায়, ইমরান দাবি করেছেন পাকিস্তান সরকারের মত নিয়েই ড্রোন হামলা হচ্ছে। পাকিস্তানের উপজাতীয় এলাকায় মার্কিন ড্রোন (চালকবিহীন বিশেষ যুদ্ধ বিমান) হামলায় জানমালের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। তবে আমেরিকার দাবি, সন্ত্রাস দমনের কার্যকর পদক্ষেপ এটি।

যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বড় শত্রু জর্জ ওয়াশিংটন












 গ্রেট বৃটেনের বিরুদ্ধে ‘বৈপ্লবিক যুদ্ধে’ যুক্তরাষ্ট্রকে নেতৃত্বদানকারী প্রেসিডেন্ট জর্জ ওয়াশিংটন বৃটেনের সর্বকালের সবচেয়ে বড় শত্রু বলে বিবেচিত হয়েছেন। আর সে তালিকায় রয়েছেন ভারতের টিপু সুলতান ও ঝাঁসির রাণীও। নতুন এক জরিপে উঠে এসেছে এমনই এক তথ্য। এ খবর দিয়ে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের শত্রুর তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন আইরিশ নেতা মাইকেল কলিন্স। এরপরের অবস্থানগুলোতে রয়েছেন ফ্রান্সের সম্রাট নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মান ফিল্ড মার্শাল আরউইন রোমেল ও তুরস্কের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রেসিডেন্ট মোস্তফা কামাল আতাতুর্ক।

Monday, April 16, 2012

দ্য টেলিগ্রাফের রিপোর্ট: বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে মুঈন উদ্দিনকে

  
 বৃটেনের মুসলিম কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় নেতা, মুসলিম এইডের নেতা চৌধুরী মুঈন উদ্দিনকে বাংলাদেশে যুদ্ধাপরাধের দায়ে বিচারের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় অপহরণ ও নিখোঁজ করে দেয়ার বেশ কতগুলো অভিযোগ আনা হয়েছে। কিন্তু তিনি ওইসব অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হতে পারে। বাংলাদেশে অবস্থিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রধান তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবদুল হান্নান খান বলেছেন, বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীদের সিরিজ হত্যাকাণ্ডে তার জড়িত থাকার অকাট্য প্রমাণ আছে। তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের অনেকটাই অগ্রগতি আমরা করেছি। তাকে অভিযুক্ত করা হবে না এবং তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে না- এমন কোনই সুযোগ নেই। আমরা তার বিরুদ্ধে জুনের মধ্যে অভিযোগ গঠন করবো বলে আশা করছি। গতকাল বৃটিশ অনলাইন পত্রিকা দ্য টেলিগ্রাফ এ খবর দিয়েছে। ঢাকা থেকে এ রিপোর্টটি লিখেছেন অ্যানড্রু গিলিগান। তিনি লিখেছেন- বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেছেন, চৌধুরী মুঈন উদ্দিনের কাছে ছিল বুদ্ধিজীবী হত্যার সব কলাকৌশল। অবশ্যই তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হবে। দীর্ঘ ওই রিপোর্টে বলা হয়, বৃটেনের কাছ থেকে স্বাধীনতার ২৫ বছর পরে তখনকার পাকিস্তানের এক অংশ ছিল বর্তমানের বাংলাদেশ। এর নাম ছিল পূর্ব পাকিস্তান। এর আরেক অংশ ছিল বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার মাইল দূরে। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধ শুরু হয়। ওই সময় পাকিস্তানের সেনারা কয়েক লাখ বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে। তখন ঢাকার সংবাদপত্র পূর্বদেশ পত্রিকার সাংবাদিক ছিলেন মুঈন উদ্দিন। তিনি জামায়াতে ইসলামীর একজন সংসদ সদস্যও ছিলেন। এই জামায়াতে ইসলামী যুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ অবলম্বন করে। যুদ্ধে যখন স্পষ্ট হয়ে উঠল যে, পাকিস্তান হেরে যাচ্ছে তখন তাকে বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের সহযোগী আল বদরের সদস্য হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। এই আল বদর স্বাধীনতা যুুদ্ধের সময় বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নির্যাতন ও হত্যায় সহযোগিতা করে। এমনই স্বামীহারা এক বিধবা ডলি চৌধুরী। তিনি দাবি করেছেন, তিনি চৌধুরী মুঈন উদ্দিনকে চিনতে পেরেছিলেন। যে তিনজন লোক তার স্বামী বাংলা সাহিত্যের প্রথমসারির একজন প্রফেসর মুফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে ১৯৭১ সালের ১৪ই ডিসেম্বর অপহরণ করে তাদের একজন মুঈন উদ্দিন। তিনি বলেছেন, ওই সময় মুঈন উদ্দিন ছিল স্কার্ফ পরা। আমার স্বামীকে যখন নিয়ে যাওয়া হয় তখন তিনি ওই স্কার্ফটি টেনে খুলে ফেলেছিলেন। যখন সে ছাত্র ছিল সে মাঝে মধ্যেই আমার দেবরের বাসায় যেত। আমার স্বামী, আমার ননদ আমরা সবাই তাকে চিনতে পেরেছি। ওই রাতে আমার স্বামীকে নিয়ে যাওয়ার পর তাকে আর কখনও দেখা যায়নি। আল বদর বাহিনীর নির্যাতনে স্বামী হারানো আরেক বিধবা নূরজাহান সিরাজী। তিনি বলেছেন, ১৯৭১ সালের ১০ই ডিসেম্বর রাতে তার সাংবাদিক স্বামী সিরাজুদ্দিন হোসেনকে একদল লোক অপহরণ করে। সেই দলে চৌধুরী মুঈন উদ্দিন ছিল। তিনি বলেছেন, এই ব্যক্তি যে তার স্বামীকে অপহরণে যুক্ত এতে তার বিন্দুমাত্র সন্দেহ নেই। পূর্বদেশ পত্রিকার আরেক সাংবাদিক গোলাম মোস্তফা নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়। তার ভাই দুলু বলেছেন, তার ভাই নিখোঁজ হওয়ার পর তিনি চৌধুরী মুঈন উদ্দিনের সাহায্য চেয়েছিলেন। মুঈন উদ্দিন তাকে নিয়ে যায় পাকিস্তানি সেনাদের বন্দি ও নির্যাতন ক্যাম্পে। দুলু মোস্তফা বলেন, ওই বন্দিশিবিরের সবাই চিনতো মুঈন উদ্দিনকে। সে সহজেই ওই বন্দিশিবিরে প্রবেশ করতে পারতো। তাকে দেখেই পাকিস্তানি প্রহরীরা সালাম ঠুকতে থাকে। কিন্তু আমার ভাইকে আর কোনদিন পাইনি। ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ওই সময় মুঈন উদ্দিন যে পত্রিকায় কাজ করতেন তার সম্পাদক আতিকুর রহমান বলেছেন, আল ব্রিগেডের অস্তিত্ব আছে এ ঘটনা মুঈন উদ্দিনই জানান দেয়। সহকর্মীরা নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে মুঈন উদ্দিন এক পর্যায়ে আতিকুর রহমানের বাড়ির ঠিকানা চায়। তখন আতিকুর রহমান তাকে একটি ভুল ঠিকানা দেন। স্বাধীনতার পরে তিনি জানতে পারেন আল বদরের ডেথ লিস্টে তার নামও ছিল। তখনই মুঈন উদ্দিনের ছবিসহ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেন তার পত্রিকার প্রথম পৃষ্ঠায়। ওদিকে ওই রিপোর্টে বলা হয়, মুঈন উদ্দিনের আইনজীবী টবি ক্যাডম্যান শনিবার বলেছেন, মুঈন উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে কোন অভিযোগ গঠন করা হয়নি। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ওই রিপোর্টে বলা হয়, মুঈন উদ্দিন স্বাধীনতা যুদ্ধের পর পরই যুক্তরাজ্যে চলে যান। সেখানে তিনি বৃটিশ নাগরিকত্ব পেয়েছেন। সেখানেই তিনি বাংলাদেশী সমপ্রদায়ের স্বার্থ রক্ষার একজন সফল সংগঠক ও মুসলিম নেতা হয়ে ওঠেন।
Soiurce:http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=40643:2012-04-15-15-10-19&catid=46:2010-08-29-13-50-00&Itemid=77

যুদ্ধাপরাধীর বিচার আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে: মজিনা



Source: http://www.mzamin.com/index.php?option=com_content&view=article&id=40670:2012-04-15-16-14-07&catid=49:2010-08-31-09-43-32&Itemid=83
 মার্কিন রাষ্ট্রদূত ড্যান মজিনা বলেছেন, যুদ্ধাপরাধীর বিচার আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে। এ বিচারে যুদ্ধাপরাধ বিষয়ে আন্তর্জাতিক আইন-কানুনের সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। ইতিমধ্যে তিন বার আমেরিকান টিম বাংলাদেশে এসে বাংলাদেশ সরকারকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করেছে। গতকাল কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি পরিদর্শন শেষে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যু নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে দেশে আগামীতে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে। সকাল ৯টায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহনকারী সি প্লেন চিলমারী (জোড়গাছ) নদী বন্দরে অবতরণ করে। কুড়িগ্রাম জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ময়নুল হক আনসারী, চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মামুন-উল-হাসান, উপজেলা চেয়ারম্যান শওকত আলী সরকার (বীরবিক্রম), বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পের প্রোগ্রাম এ্যাসোসিয়েট প্রণব কুমার দে, আরডিআরএস বাংলাদেশ-এর পরিচালক মো. আজিজুল করিম, আরডিআরএস বাংলাদেশের বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পের প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর আজিজুল হক সহ এলাকার বিশিষ্টজনরা বন্দরে রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানান। পরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতাভুক্ত ডি এ চিলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শনের সময় ছাত্রছাত্রীদের হাতে বিস্কুট তুলে দেন। এসময় তিনি বলেন, আমি শিশুদের মাঝে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি। স্কুল ফিডিং বিস্কুট অন্যান্য সাধারণ বিস্কুট থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল আছে। বিস্কুটগুলো শিশুদেরকে শক্তিশালী করবে। তাদের শারীরিক উন্নয়নের সঙ্গে স্বাস্থ্যবান বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রও প্রসারিত হবে। শিশুদের মাঝে বিস্কুটগুলো দিতে পেরে আমার এবং যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ভালো লাগছে। এ সময় রাষ্ট্রদূতের সফর সঙ্গী হিসেবে বিশ্বখাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধি ক্রিস্টা রাডার উপস্থিত ছিলেন। স্কুল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, ২০০২ সাল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বখাদ্য কর্মসূচি প্রকল্পে ৫৮ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দিয়েছে। শুধু এ বছরেই ১০ মিলিয়ন ডলার সহযোগিতা দেয়া হয়েছে মর্মে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৩ লাখ ৫০ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ প্রকল্প চলছে। ২০০২ সাল থেকে চিলমারী সহ কুড়িগ্রাম জেলায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু হয়। চিলমারীতে ৯০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রায় ২২ হাজার ছাত্রছাত্রী এ কর্মসূচির আওতাভুক্ত। সকাল ১১টায় রাষ্ট্রদূত সি প্লেন যোগে চিতলমারী থেকে নীলফামারীর উদ্দেশে রওনা হন।

দায় নিয়ে সুরঞ্জিতের পদত্যাগ




Mon, Apr 16th, 2012 2:32 pm BdST
ঢাকা, এপ্রিল ১৬ (বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম)- ব্যক্তিগত সহকারীর ‘অর্থ কেলেঙ্কারির’ দায় নিজের কাঁধে নিয়ে রেলমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।

নানা নাটকীয়তার পর সোমবার রেলভবনে সংবাদ সম্মেলন করে ‘অব্যাহতি’ নেওয়ার এই ঘোষণা দেন মাত্র পাঁচ মাস আগে মন্ত্রী হিসাবে শপথ নেওয়া সুরঞ্জিত।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “ঘটনার সাথে সম্পৃকতা না থাকার পরও গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে আমি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলাম।”

পদত্যাগপত্র পরে প্রধানমন্ত্রীকে পাঠিয়ে দেবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের এই সদস্য।

সুরঞ্জিত হলেন দেশের পঞ্চম ব্যক্তি যিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করলেন। এর আগে সাবেক বিএনপি সরকারের শিল্পমন্ত্রী জহির উদ্দিন ও বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী আফছার উদ্দিন ও বর্তমান সরকারের প্রথম বছরে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন।

গত ৯ এপ্রিল রাতে সুরঞ্জিতের এপিএস ওমর ফারুক তালুকদারের গাড়িতে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ার ঘটনা প্রকাশ হওয়ার পর থেকে তা নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। ফলে চাপের মুখে পড়েন রেলমন্ত্রী।

গণমাধ্যমের খবরে বরা হয়, ওই রাতে ফারুকের সঙ্গে ৭০ লাখ টাকা পাওয়া যায়। পূর্বাঞ্চল রেলের জিএম ইউসুফ আলী মৃধা ও তার কম্যান্ড্যান্ট এনামুল হকও সেসময় ওই গাড়িতে ছিলেন।

উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ইউসুফ আলী মৃধাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়; চাকরিচ্যুত করা হয় ওমর ফারুক তালুকদারকে। এছাড়া কমান্ডেন্ট এনামুল হককেও সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এছাড়া ওমর ফারুক ও তার স্ত্রী মারজিয়া ফারহানার ব্যাংক হিসাবও (অ্যাকাউন্ট) জব্দ করার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বিএনপিসহ বিভিন্ন দল থেকে সুরঞ্জিতের পদত্যাগের দাবি উঠলেও জবাবে সুরঞ্জিত বলেছিলেন, বিরোধী দল তাকে মন্ত্রীর পদ দেয়নি; তাই তাদের কথায় তিনি পদত্যাগ করবেন না।

তবে রোববার রাতে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে আসার পর পরিস্থিতি বদলে যায়। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়- পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন রেলমন্ত্রী। সোমবার সকালে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে তার অনুপস্থিতিতে আরো জোড়ালো হয় সেই গুঞ্জন।

বেলা ১২টার সংবাদ সম্মেলন শুরুর কথা থাকলেও সুরঞ্জিত রেলভবনে আসেন সাড়ে ১২টার পর। নিজের কক্ষে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর পর তিনি সম্মেলন কক্ষে পৌঁছান পৌনে ১টায়।

জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলনে সুরঞ্জিত বলেন, “পুরো দায় দায়িত্ব আমার, দল বা সরকারের নয়। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেছি। সেখানে আমি অব্যাহতির অভিপ্রায় ব্যক্ত করি। প্রধানমন্ত্রী তাতে অনুমতি দেন।”

পরিস্থিতি ব্যখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, “৯ এপ্রিলের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সর্বস্তরে এটি বিতর্কিত অবস্থা দাঁড়ায়। রেলকে আমি গতিশীল করার সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি, গত ১০০ বছরে যা হননি।

“৯ এপ্রিলের ঘটনায় আমার এপিএস, রেলের জিএম ও কমান্ডেন্টকে বরাখাস্ত করা হয়েছে। গণতন্ত্রের সুবিধা সবাই নিয়েছে। শুধু সংকোচে কেউ আত্মত্যাগ করেনি।”

এই অর্থ কেলেঙ্কারির সঙ্গে নিজে কোনোভাবে জড়িত নন বলেও সুরঞ্জিত দাবি করেন।

“ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনো সংশ্লিষ্টতা আমার নেই। এ ব্যাপরে আমি সাহসী ভূমিকা নিতে চাই। অনেকেই বলেছেন, আমি মন্ত্রী থাকলে তদন্ত বাধাগ্রস্ত হবে কি না। এ কারণে গণতন্ত্রকে সুসংহত করতে আমি দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নিলাম।”

“রাজনীতিতে এটা আমার যাত্রাবিরতি। আমি তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আবার ফিরে আসব”, যোগ করেন বিমর্ষ সুরঞ্জিত।

সংবাদ সম্মেলনের পর রেলভবনের ষষ্ঠ তলার সভাকক্ষে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বিদায়ী বৈঠক করেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত। সেখানে তিনি গত কয়েক মাসে ‘অর্জিত’ রেলের গতি ধরে রাখার জন্য কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। অন্যদিকে কর্মকর্তরা বিদায় জানান তাদের পাঁচ মাসের মন্ত্রীকে।

বিকাল ৩টায় কালো রঙের একটি জিপে করে রেলভবন ত্যাগ করেন সুরঞ্জিত।

আওয়ামী লীগ নেতা সুরঞ্জিত গত ২৮ নভেম্বর রেলমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন। স্বাধীনতার পর থেকে অধিকাংশ সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী সুরঞ্জিতের এটাই প্রথম মন্ত্রিত্ব। শেখ হাসিনার গত সরকারে তিনি মন্ত্রীর মর্যাদায় প্রধানমন্ত্রীর সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন।

দেড় দশক আগে আওয়ামী লীগে যোগ দেওয়া সুরঞ্জিত দেশের প্রথম সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন। পঞ্চদশ সংবিধান সংশোধন কমিটির কো-চেয়ারম্যানও ছিলেন তিনি।

Sunday, April 15, 2012

প্রধানমন্ত্রীর তলব: গণভবনে সুরঞ্জিত


আনোয়ারুল করিম, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
ঢাকা: টাকা কেলেঙ্কারিতে জড়িয়ে যাওয়া রেলমন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তকে গণভবনে তলব করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাত সাড়ে আটটার দিকে সুরঞ্জিত প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রবেশ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা বাংলানিউজকে এ তথ্য জানান।
সুরঞ্জিতকে পদত্যাগ করতে বলা হতে পারে, এমন একটি সম্ভাবনার কথাও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা।

বিস্তারিত আসছে..

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৫, ২০১২
http://www.banglanews24.com/detailsnews.php?nssl=1a4cdff4fbb255615f797be0a7fafa59&nttl=15042012104248

জীবনে একবার হজ করতে পারবেন ভারতীয় মুসলমানরা



জীবনে একবার মাত্র হজ করতে পারবেন ভারতীয় মুসলমানরা। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার হাইকোর্টের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বিষয়টি নিয়ে একটি আদেশ জারি করার জন্য। এর আগে নিয়ম ছিল প্রতি পাঁচ বছর পর পর একবার হজ্জ করতে পারবে মুসলমানরা। কিন্তু হজের জন্য সরকারি ভর্তুকি কমিয়ে আনতে হাইকোর্টকে এই বিধান দেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে খবর দিয়ে বার্তা ২৪ জানায়, হাইকোর্টের প্রতি এই আবেদন করার আগে কেন্দ্র সরকার থেকে জানানো হয়, এই নীতিমালা বাস্তবায়ন হলে যারা আগে হজ করেন নি তারাই প্রথমে হজ পালনের সুযোগ পাবেন। প্রথমবারের মতো হজ পালনকারীদের জন্য এটিকে একটি সুবর্ণ সুযোগ বলে আখ্যা দেয় হজ কমিটি অব ইন্ডিয়া। কমিটি আরও জানায়, এর ফলে প্রতিজন হাজী সরকারের দেয়া ভর্তুকির সুবিধা পাবেন। তাদের হজ পালন করতে খরচও কম হবে। তারা কম খরচে আরামদায়কভাবে হজ পালন করতে সক্ষম হবেন। হজ কমিটি জানায়, এবার শুধু তারাই সুযোগ পাবেন যারা এর আগে সরকারিভাবে হজ করতে চেয়ে আবেদন করে ব্যর্থ হয়েছেন। শিগগিরই হাইকোর্ট বিষয় একটি নির্দেশ জারি করবে।

আফগানিস্তানে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হচ্ছেন ফাউজিয়া


আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হবেন পার্লামেন্ট সদস্য ফাউজিয়া কোফি। আগামী ২০১৪ সালে এই নির্বাচন হওয়ার কথা। আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের স্থলাভিষক্ত হতে প্রচারণা শুরু করার পর থেকেই ৩৬ বছর বয়সী ফাউজিয়া কোফি তার পরিবারকে সম্মুখীন হতে হয় বিরোধীদের বিভিন্ন অত্যাচার, হুমকি আর চাপের। আফগানিস্তানের সংবিধান অনুসারে ধারাবাহিকভাবে দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার পর হামিদ কারজাইকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে হবে বলে দাবি তোলেন ফাউজিয়া। ২০১৪ সালের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রথম নাম ঘোষণাকারী আফগানিস্তানের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বাদকাশান প্রদেশের রাজনীতিবিদ বলেন, আমি জানি প্রেসিডেন্ট পদের জন্য আমার প্রচারণা গোলযোগপূর্ণ হবে। এর জন্য আমার কপালে অনেক ভোগান্তিও আছে। এছাড়াও তিনি কারজাই প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বিরোধীতার সম্মুখী হবেন বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। মনে করা হচ্ছে, তার পদক্ষেপ আফগানিস্তানে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলবে। কেননা একটি কট্টর রক্ষণশীল দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের সাধারণ মানুষ কখনই নারী নেতৃত্বকে সমর্থন করে না। তিনি ২০০৫ সালে নির্বাচনে একজন পুরষ প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে দেশটিতে নারী পার্লামেন্ট সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পর ২০১০ সালে তিনি আবারো পার্লামেন্ট সদস্য হন। তিনি দেশটির পার্লামেন্টের প্রথম নারী ডেপুটি স্পিকারও নির্বাচিত হয়েছিলেন। তিনি কয়েকবার তালেবান জঙ্গি হাক্কানি জঙ্গি গোষ্ঠীর হামেলা থেকে বেঁচে গেছেন।

মিশরে ১০ প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা



প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মিশরে ১০ প্রার্থীকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। শনিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দেয়। এর আওতায় রয়েছেন প্রভাবশালী মুসলিম ব্রাদারহুডের খাইরাত আল সাতের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারকের গোয়েন্দা প্রধান ওমর সুলাইমান। ঘটনায় মিশরের রাজনীতিতে নতুন করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। অনলাইন আল জাজিরা খবর দিয়ে আরও জানায়, নির্বাচন কমিশনের প্রধান ফারুক সুলতান বলেন- অযোগ্য প্রার্থীর মধ্যে ওমর সুলাইমান, সাতেরের সঙ্গে কট্টরপন্থী আইনজীবী হাজেম আবু ইসমাইলও রয়েছেন। কিন্তু কি কারণে তাদেরকে অযোগ্য করা হয়েছে সে প্রসঙ্গে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। তবে নির্বাচন কমিশনের কমকর্তা তারেক আবুল আত্তা বলেছেন, আইন অনুযায়ী ১৫টি প্রদেশ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। সুলাইমান সেই অনুমোদন নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। জন্য তাকে অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছেন, নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী বাদ পড়া প্রার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানতে চেয়ে আপিল করতে পারবেন। বাদ পড়া প্রার্থীদের মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের খাইরাত আল সাতের গত বছর মার্চ মাসে জেল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তা তারেক আবুল আত্তা বলেন, কোন ব্যক্তি জেল থেকে মুক্ত হওয়ার বছর পরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন। অন্যদিকে আবু ইসমাইল নামের এক প্রার্থীর মা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। মিশরের নিয়াম অনুযায়ী প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের বংশগত জন্মগতভাবে মিশরীয় হতে হবে। হোসনি মুবারক ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর মিশর শাসন করছে সামরিক কাউন্সিল। ওদিকে মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পরপরই আবু ইসমাইলের সমর্থকরা হুমকি দিয়েছেন, যদি কোনভাবে তার প্রার্থিতা বাতিল হয় তবে তারা আন্দোলনে নামবেন। এর আগে শুক্রবার তার সমর্থকরা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন। আবু ইসমাইলের বাদ পড়ার বিষয়ে তার আইনজীবী জানান, এর ফলাফল ভাল হবে না। ওদিকে খাইরাত আল সাতের বাদ পড়তে পারেন এমন ধারণা আগেই থেকেই মুসলিম ব্রাদারহুড করেছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তার বিকল্প হিসেবে দলপ্রধান মোহাম্মদ মরসিকে মনোনয়ন দিয়েছিল।