Wednesday, September 19, 2012
কাহিনীকার নবরাজ হত্যা জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে কয়েকজন অভিনেত্রীকে
ওমান থেকে নিঃস্ব হয়ে ফিরছেন ২০ বাংলাদেশী
বাংলাদেশীর হাতে বাংলাদেশী খুন
ওমানের মাস্কটে নিয়োগকারীকে খুন করেছে এক বাংলাদেশী দর্জি। দুজনই বাংলাদেশী নাগরিক। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ওমান। এতে বলা হয়, কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে নিয়োগকারীকে দেশটির শিনাস এলাকায় খুন করে ওই অধীনস্ত দর্জি। মালিককে খুন করে ওই দর্জি পালিয়েছে। সোমবার এ ঘটনা ঘটে। এতে আরও বলা হয়, দোকানের ভিতরেই ওই দর্জি তার মালিককে কাঁচি দিয়ে তিনবার আঘাত করে। এতে তিনি মারাত্মক আহত হন। হাসপাতালে নেয়ার পথেই মারা যান তিনি। পুলিশ বলেছে, মালিককে খুন করার পরই ওই বাংলাদেশী দর্জি ঘটনাস্থল থেকে পালিয়েছে। তবে তাকে ধরার জন্য পুলিশ স্থানীয় অন্য নিরাপত্তা সংস্থার সহায়তা নিয়ে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ইউটিউব বন্ধ ,বিতর্কিত চলচ্চিত্রের অভিনেত্রী বললেন, নির্মাতা প্রতারক
Tuesday, September 18, 2012
সোয়াজিল্যান্ডের রাজার সম্মানে উন্মুক্তবক্ষ তরুণীদের নৃত্য
সোয়াজিল্যান্ডের হাজার হাজার তরুণী খোলা বুকে রাজার সামনে প্যারেড করে নিজেদের সতীত্ব এবং ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে। পূর্ণ নারী হিসেবে বিকশিত হওয়া এবং নিজেদের কুমারিত্বের বিষয়টি উদযাপনের লক্ষ্যে রোববার এবং সোমবার ঐতিহ্যবাহী উমলাঙ্গা রিড ড্যান্সের আয়োজন করা হয়। এর মাধ্যমে তারা নেচে গেয়ে রাজা এবং মহামান্য হস্তিনী বলে পরিচিত রাজমাতার প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। আফ্রিকার সবচেয়ে দরিদ্র এবং রাজতন্ত্র শাসিত দেশে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সমালোচনা থাকলেও এতে অংশ নেয়া তরুণীরা সে সব সমালোচনা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এতে অংশগ্রহণকারী ১৮ বছর বয়সী সিবিনে ডলামিনি বলেছেন, আমি সোয়াজিল্যান্ডের একজন কুমারি হিসেবে এ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পেরে গর্বিত। রাজা এবং অন্য সবার সঙ্গে নিজেদের একাত্মতা প্রকাশ করতেই আমরা এ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছি। প্রায় ডজন খানেক স্ত্রীর পতি এবং ২০০ মিলিয়ন ডলারের অধিপতি রাজা তৃতীয় মাসওয়াতির নিয়োগ করা প্রশাসন ২০০৯ সালের মন্দার পর দেউলিয়া হয়ে যাওয়ার পর রাজা তীব্র সমালোচনার সম্মুখীন হয়েছিলেন। অর্থনৈতিক মন্দা সত্ত্বেও রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়ার কোন ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি। অতীতে রাজা এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকেই নতুন স্ত্রী নির্বাচন করতেন। এবারের অনুষ্ঠানেও বেশ কয়েকজন তরুণী রাজার দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছেন। রানী হওয়ার আশায় ৬০ কিলোমিটার দূরে থেকে এ অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণকারী ১৪ বছরের কিশোরী ফাকাজিলে ডলামিনি বলেছেন, আমি নির্বাচিত হলে খুব বিত্ত-বৈভবের মধ্য দিয়ে জীবন কাটাতে পারবো। নতুন রানীকে একটি বিএমডব্লিউ এবং প্রাসাদ দেয়া হয়। রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, বহু বিবাহ সোয়াজিল্যান্ডের ঐতিহ্য। এটি জাতীয় ঐক্য জোরদার করতে সহায়ক বলে রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে উল্লেখ করা হয়েছে।
রুশদিকে হত্যার পুরস্কার বাড়িয়েছে ইরান
ওয়েবক্যামে ব্লাকমেইল
Monday, September 17, 2012
তেহরানে সামরিক হামলা চালালে ইসরাইলের অবশিষ্ট বলতে কিছু থাকবে না
অসাধারণ এক প্রেমের গল্প
মার্কিন ১৩ ওয়েবসাইট বিকল করেছে বাংলাদেশী হ্যাকাররা
Sunday, September 16, 2012
বাংলাদেশী শাহিরা প্লেবয় ম্যাগাজিনে
বাংলাদেশী
বংশোদ্ভূত আইরিশ যুবতী শাহিরা বেরি। ২১ বসন্তের নজরকাড়া সুন্দরী। বসবাস
আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়েতে। এরই মধ্যে তার রূপ-লাবণ্য পেয়েছে জগৎজোড়া
খ্যাতি। এই সুবাদে হয়েছেন বিশ্বের বড় বড় কোম্পানির মডেল। অন্তর্বাস থেকে
শুরু করে মেয়েলি বিভিন্ন পণ্যে তাকে দেখা যায় খোলামেলা মডেল হিসেবে। তার
সেই রূপে চোখ আটকে গেছে বিশ্বখ্যাত প্লেবয় ম্যাগাজিনের হিউ হেফনারের। তিনি
তাকে প্লেবয়ের মডেল হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্লেবয়ের মডেল হওয়া মানে
ক্যামেরার সামনে কাপড় খুলে দাঁড়ানো। স্টিল ছবি ধারণ, ভিডিও ধারণ। তারপর সেই
নগ্ন ছবি প্লেবয় ম্যাগাজিনে ছাপা হওয়া। তার সূত্র ধরে একের পর এক
সাক্ষাৎকার দেয়া। আরও কত কি! যেমনটা করেছেন ভারতের এ সময়ের বহুল আলোচিত
গায়িকা-নায়িকা শেরলিন চোপরা। তিনি প্লেবয়ের ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়েছেন
একেবারে বিবস্ত্র হয়ে। প্লেবয়ে তা ছাপা হওয়ার আগেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে।
কিন্তু শাহিরা স্বল্প বসনে মডেলিং করলেও প্লেবয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে
একেবারে বিবস্ত্র হতে রাজি ছিলেন না। তার চেয়ে বড় কথা তার পরিবার তাতে সায়
দেয় নি। তাই হিউ হেফনারের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন শাহিরা। কিন্তু কোন কোন
মিডিয়া খবর দিয়েছে তিনি রাজি হয়ে গেছেন প্লেবয়ের প্রস্তাবে। সমপ্রতি তিনি
সফর করেছেন প্লেবয় ম্যানসনে। পার্টি করেছেন। প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলে কি হবে!
তার মনে গেঁথে গেছে প্লেবয়ের ওই বুড়ো প্রেমিক হিউ হেফনারকে। তাই তো এ মাসের
শুরুতে তিনি লস অ্যানজেলেস ঘুরতে যান। সেখানে গিয়েই প্লেবয় ম্যানসনে ঢুঁ
মারতে ভুল করেন নি শাহিরা। হিউ হেফনারকে দেখার পর তার মন্তব্য- আমি এত
লাভলি মানুষ কখনও দেখিনি। প্লেবয়ের পার্টি মানেই যে কেউ বুঝে নেন অন্যকিছু-
রগরগে পার্টি। মদে সয়লাব। স্বল্পবসনা নারীর এলোমেলো চলাফেরা। উন্মাতাল
নাচ। সুইমিং পুলে ভালবাসায় বিভোর থাকা। কিন্তু হিউ হেফনারের দেয়া নৈশভোজে
তেমন রগরগে কোন ঘটনা ছিল না। ওই রাতে গার্লফেন্ডদের সঙ্গে মজা করতে হাজির
ছিলেন তিনি নিজে। শাহিরা বেরি বলেন- আমার সঙ্গে পরিচয়ের পর তিনি আমাকে বার
বার তার পার্টিতে যোগ দেয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। বলেছেন, তোমার জন্য সব
সময়ই আমার দরজা খোলা। এসব খবরে পশ্চিমা মিডিয়া এখন সয়লাব। তবে শাহিরা
বেরি’কে পরিচয় দেয়া হচ্ছে হাফ-বাংলাদেশী মডেল হিসেবে। হাফ বাংলাদেশী মডেল
মানে হলো তার পিতা বাংলাদেশী, না হয় তার মা বাংলাদেশী। কিন্তু কোন
রিপোর্টেই তাদের কারও নাম-ঠিকানা প্রকাশ করা হয় নি। বলা হয় নি শাহিরার পিতা
নাকি মা বাংলাদেশী। এ বছরের ১৪ই মে আয়ারল্যান্ডের অনলাইন পত্রিকা দ্য
কোন্যাচট্ সেন্টেনিয়াল তাকে নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়,
শাহিরার বসবাস আয়ারল্যান্ডের গ্যালওয়েতে। তাকে প্লেবয়ের জন্য পোজ দিতে
আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। কিন্তু তিনি সম্পূর্ণ নগ্ন হয়ে ছবির পোজ দিতে রাজি
নন। বলেছেন, এমন পোজ দেয়াতে তার আগ্রহ নেই। হিউ হেফনারের প্লেবয়
ম্যাগাজিনের জন্য মডেল যারা নির্বাচন করেন তাদের প্রধান স্যাম রিমা
প্রস্তাব পাঠান শাহিরাকে। এর পরপরই আয়ারল্যান্ডের একটি ম্যাগাজিনে খবর
প্রকাশিত হয় যে, তিনি প্লেবয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়েছেন। তবে তা প্রত্যাখ্যান
করে তখন শাহিরা জানিয়ে দেন- আমার মায়ের চেয়ে বয়সে বুড়ো অথবা আমার
নানা-নানীর চেয়ে বয়সে বড় এমন কোন লোকের প্রতি আমার কোন আগ্রহ নেই। প্লেবয়
থেকে তাকে মে মাসে তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আমন্ত্রণ জানায়। এর কিছুদিন
পরই তার এ বছরের জন্য লস অ্যানজেলেসে সফরে যাওয়ার কথা। তাছাড়া, অন্যান্য
মডেলিংয়ের কাজ নিয়ে তিনি ব্যস্ত। তিনি সম্ভব হলে তখন এক ঢিলে দুই পাখি
শিকার করবেন। শাহিরা বাংলাদেশী বংশোদভূত টগবগে যুবতী। তাকে তার কাজের জন্য
সমর্থন দেয় তার পরিবার। তার ক্যারিয়ারের সফলতার জন্য তার মা প্লেবয়কে প্রথম
পছন্দ হিসেবে দেখেন না। তাই তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন শাহিরাকে। ফলে
শাহিরাকে মিস করতে হয় প্লেবয়ের মতো বড় ইভেন্ট। শাহিরা বলেন, আমাকে পরিবার
থেকে এ কথা জানিয়ে বলা হয়- তোমার সফলতা পাওয়ার জন্য রয়েছে আরও অনেক পথ।
ওদিকে এ খবর পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের একটি ওয়েবসাইট। তাতে শাহিরাকে তুলনা
করা হয় এ সময়ের সেক্সসিম্বল, পুরুষখেকো কিম কারদাশিয়ানের সঙ্গে। এমন তুলনা
করায় বেশ উৎসাহিত শাহিরা। এভাবে তাকে নিয়ে ইন্টারনেটে প্রচার দেখে শাহিরা
প্লেবয়ের মডেল হোন বা না হোন স্বীকার করেছেন- এরই মধ্যে তিনি হিউ হেফনারের
প্লেমেট অথবা মনের কাছের মেয়ে-বন্ধু হতে পেরেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় তিনি
ছুটে গেছেন প্লেবয় ম্যানসনে। তবে না, সেখানে ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে তাকে
একের পর এক কাপড় খুলতে হয় নি। তিনি এ মাসের শুরুতে সেখানে গিয়েছিলেন এক
সারপ্রাইজ ভিজিটে। সেখানে পুল পার্টিতে তার দেখা হয় হিউ হেফনারের সঙ্গে। এক
দেখাতেই ৮৬ বছর বয়সী হেফনারের যেন প্রেমে পড়ে গিয়েছেন শাহিরা। তার চাহনি,
তার অভিব্যক্তি, তার ব্যক্তিত্ব- সবই তাকে বিমোহিত করেছে। তাই এক বাক্যে
হিউ হেফনার সম্পর্কে তার মন্তব্য- হি ইজ এ রিয়েল জেন্টেলম্যান। এ যাত্রায়
শাহিরার সঙ্গে ছিলেন তার দীর্ঘদিনের বান্ধবী টিনা জানোন-হায়িস। তার
সম্পর্কে শাহিরা বলেন, টিনাকে সঙ্গে নিয়ে আমি খুব উৎফুল্ল ছিলাম। তাকে ওই
পার্টিতে নিয়ে যাওয়ার আগে তার একটি ছবি আয়োজকদের দিয়েছিলাম। তাতে বলে দেই-
টিনা সত্যিকার অর্থেই এক হট মেয়ে। প্লেবয় ম্যানসনের স্টাফরা তার সেই ছবি
অনুমোদন করে। এর পরই তাকে নিয়ে যাই ওই পার্টিতে। প্লেবয় ম্যানসনের অভিজ্ঞতা
বর্ণনা করে শাহিরা বলেন, সেখানে পুলে আমরা আনন্দ করেছি। অনুষ্ঠানে ছিল
নাচ। নৈশভোজ করেছি হিউ হেফনারের সঙ্গে। তারপর ‘দ্য রাশ’ ছবির প্রিমিয়ার
দেখেছি। তবে এ ছবিটি এখনও মুক্তি পায় নি। তবে সবকিছুর মধ্যে পুল পার্টি ছিল
সবচেয়ে মজাদার। তাতে মাত্র ১৫ থেকে ২০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তবে
বিভিন্ন ম্যাগাজিন বলছে, হিউ হেফনারের চোখে একবার যে সুন্দরী ধরা পড়ে তাকে
এক গভীর মায়াজালে তিনি আটকে ফেলেন। তার বৃত্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন খুব
কম নারীই। তাহলে কি একদিন না একদিন হিউ হেফনারের প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাবেন
শাহিরা! তাকে দেখা যাবে প্লেবয়ের প্রচ্ছদে! আয়ারল্যান্ডের অনলাইন হেরাল্ড
এক প্রতিবেদনে লিখেছে- শাহিরা তার হৃদয় খুলে দিয়েছেন। মনকে প্রশস্ত করেছেন।
তিনি স্বীকার করেন একদিন তিনি বিখ্যাত প্লেবয় ম্যাগাজিনের জন্য ছবির পোজ
দেবেন। তিনি পূর্ণ জীবন চান। তিনি সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চান। তিনি বলেন-
জীবন স্বল্প সময়ের জন্য। এর মধ্যে যা পারো লুফে নাও। এর মধ্য দিয়েই কি হিউ
হেফনার তাকে দীর্ঘ জীবন দিয়ে যাবেন! কারণ, প্লেবয়ের প্রচ্ছদে একবার উঠে
এলে তা দীর্ঘজীবন টিকে থাকে, থাকবে।
নিজের সব কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসীকে জানাতে শাহিরা বেরি খুলেছেন একটি ওয়েবসাইট। তাতে রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অপশন। এর মধ্যে রয়েছে- হোম, এবাউট মি, গ্যালারি, নিউজ, ব্লগ, ভিডিওস, বুকিং ও কণ্টাক্ট। এতে নিজের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন- আমার ওয়েবসাইটে সবাইকে স্বাগত। নিজের একটি ওয়েবসাইট করতে পেরে আমি আনন্দিত। এতে আমি সবকিছু শেয়ার করতে পারবো। আমি আমার জীবন সম্পর্কে সবকিছু তোমাদের জানাতে পারছি। এটি মেয়েলি একটি সাইট। এতে রয়েছে ফটোশুট থেকে ফ্যাশন। আমি ব্লগ লেখারও পরিকল্পনা করছি। নিয়মিত ডায়েরি ফলো করে তা লিখছি। রাখছি ভিডিও ব্লগস, ফটো ও পোস্ট। যে কেউ আমাকে ফলো করতে পারো।
এতে তার দৈহিক বিবরণ রয়েছে। তার বর্ণনা মতে, তার চুলের রঙ কালো। চোখের রঙ নীল/সবুজ। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। জুতার সাইজ ৫ (যুক্তরাজ্যের মাপ)। এরপর গ্যালারিতে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন পণ্যের জন্য তিনি যেসব ফটোশুট করেছেন তারই স্লাইডশো, ভিডিও। এর বেশির ভাগেই নারীদের অন্তর্বাস পরা অবস্থায় দেখা যায় তাকে। ডিজি ড্রিমগার্লের মডেল হিসেবে তাকে দেখা গেছে। দেখা গেছে, এফএম-১০৪ এর মডেল হিসেবে। ওপেন হাউজ গ্যালওয়ের মডেল হিসেবে। তিনি হয়েছেন ভিনটেজ ড্রিমসের মডেল। তবে তিনি নিজের সাইটে এখনও কোন নিউজ পোস্ট করেননি। ভিডিও সেকশনে পোস্ট করা হয়েছে ৬টি ভিডিও। এতে তার দক্ষ মডেলিং ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ক্যামেরার সামনে। কোনটিতে দেখা গেছে, শরীরের বেশির ভাগ কাপড় খুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে। তাকে দেখা গেছে, বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে। কণ্টাক্টে দিয়েছেন নিজের ই-মেইল ঠিকানা। তাতেই সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। তার রয়েছে টুইটার একাউন্ট। তাতেই তিনি গত ১২ই সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন, লস অ্যানজেলেস ছেড়ে আসতে হচ্ছে তাকে। এতে তার মন খুব খারাপ। রয়েছে ফেসবুক একাউন্ট। তাতে যোগ করেছেন অনেক ছবি।
নিজের সব কর্মকাণ্ড বিশ্ববাসীকে জানাতে শাহিরা বেরি খুলেছেন একটি ওয়েবসাইট। তাতে রাখা হয়েছে বেশ কয়েকটি অপশন। এর মধ্যে রয়েছে- হোম, এবাউট মি, গ্যালারি, নিউজ, ব্লগ, ভিডিওস, বুকিং ও কণ্টাক্ট। এতে নিজের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন- আমার ওয়েবসাইটে সবাইকে স্বাগত। নিজের একটি ওয়েবসাইট করতে পেরে আমি আনন্দিত। এতে আমি সবকিছু শেয়ার করতে পারবো। আমি আমার জীবন সম্পর্কে সবকিছু তোমাদের জানাতে পারছি। এটি মেয়েলি একটি সাইট। এতে রয়েছে ফটোশুট থেকে ফ্যাশন। আমি ব্লগ লেখারও পরিকল্পনা করছি। নিয়মিত ডায়েরি ফলো করে তা লিখছি। রাখছি ভিডিও ব্লগস, ফটো ও পোস্ট। যে কেউ আমাকে ফলো করতে পারো।
এতে তার দৈহিক বিবরণ রয়েছে। তার বর্ণনা মতে, তার চুলের রঙ কালো। চোখের রঙ নীল/সবুজ। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইঞ্চি। জুতার সাইজ ৫ (যুক্তরাজ্যের মাপ)। এরপর গ্যালারিতে দেয়া হয়েছে বিভিন্ন পণ্যের জন্য তিনি যেসব ফটোশুট করেছেন তারই স্লাইডশো, ভিডিও। এর বেশির ভাগেই নারীদের অন্তর্বাস পরা অবস্থায় দেখা যায় তাকে। ডিজি ড্রিমগার্লের মডেল হিসেবে তাকে দেখা গেছে। দেখা গেছে, এফএম-১০৪ এর মডেল হিসেবে। ওপেন হাউজ গ্যালওয়ের মডেল হিসেবে। তিনি হয়েছেন ভিনটেজ ড্রিমসের মডেল। তবে তিনি নিজের সাইটে এখনও কোন নিউজ পোস্ট করেননি। ভিডিও সেকশনে পোস্ট করা হয়েছে ৬টি ভিডিও। এতে তার দক্ষ মডেলিং ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ক্যামেরার সামনে। কোনটিতে দেখা গেছে, শরীরের বেশির ভাগ কাপড় খুলে ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে। তাকে দেখা গেছে, বিভিন্ন ফ্যাশন শোতে। কণ্টাক্টে দিয়েছেন নিজের ই-মেইল ঠিকানা। তাতেই সরাসরি যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এখানেই শেষ নয়। তার রয়েছে টুইটার একাউন্ট। তাতেই তিনি গত ১২ই সেপ্টেম্বর জানিয়েছেন, লস অ্যানজেলেস ছেড়ে আসতে হচ্ছে তাকে। এতে তার মন খুব খারাপ। রয়েছে ফেসবুক একাউন্ট। তাতে যোগ করেছেন অনেক ছবি।
Thursday, September 13, 2012
সৌদি আরবে চারজনের মৃত্যুদণ্ড
সৌদি আরবে চারজনকে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর
করা হয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে বিভিন্ন অপরাধে মঙ্গলবার এ
চারজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিনজন সৌদি আরবের এবং
একজন ফিলিস্তিনের অধিবাসী। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে
জিজান শহরের সশস্ত্র ডাকাতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত দুই ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড
কার্যকর করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে মোহাম্মদ বিন আহমদ খারমি এবং মুসা বিন
মহসিন খরমি এক ব্যক্তিকে এলোপাতাড়ি গুলি করেছিল। এতে ওই ব্যক্তি আহত হয়। ওই
দুই ব্যক্তি পরে তার কাছে থাকা কোম্পানির টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। অপরাধের
ভয়াবহতার কথা বিবেচনা করে দুজনকে বিচারের পর মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। আরেকটি
বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে জেদ্দাতে ইয়েমেনের নাসের হাক্কাস
নামের এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে ফিলিস্তিনের ওয়ায়েল আনবার নামের
এক ব্যক্তিকে শিরশ্ছেদ করা হয়েছে। তৃতীয় আরেক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্র
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, মঙ্গলবার বিকালে বুরাইদা শহরে সা’দ আল মনসুরি নামের
আরেক সৌদি নাগরিককে কথা কাটাকাটির জের ধরে আরেক ব্যক্তিকে মেশিনগান দিয়ে
গুলি করে হত্যার দায়ে শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এ বছর
সৌদি আরবে মৃত্যুদণ্ডের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭। গত বছর সৌদি আরবে ৭৯ জনের
মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছিল বলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে।
মুসলমানদের উপহাস করে মার্কিন চলচ্চিত্র-বেনগাজীর হামলায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতসহ নিহত ৪
‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’
যে চলচ্চিত্র নিয়ে এ ঘটনার সূত্রপাত তার নির্মাতা ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাসকারী ৫৬ বছর বয়সী ইসরাইলি চলচ্চিত্র নির্মাতা স্যাম বাসিল। তিনি এখন পলাতক। এটি প্রযোজনা করেছে ক্যালিফোর্নিয়া প্রবাসী ইসলাম-বিদ্বেষী এক মিশরীয় কপটিক খ্রিস্টান মরিস সাদেক। অজ্ঞাত স্থান থেকে বার্তা সংস্থা এপিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাসিল এখনও নিজের অবস্থানে অটল থেকে ইসলামকে ক্যান্সার বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এ ছবি নির্মাণের উদ্দেশ্য ছিল রাজনৈতিক বক্তব্যকে আরও উস্কে দেয়া। তিনি স্বীকার করেন, তার নির্মিত ছবির জন্য এতটা ভয়াবহ ঘটনা ঘটবে তিনি তা আশা করেননি। মার্কিন কনস্যুলেটের ঘটনায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন। একই বিষয়ে তার ২০০ ঘণ্টার একটি সিরিজ পরিকল্পনা করছেন বলে তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ছবিটি তিনি ইংরেজি ভাষাতেই নির্মাণ করেছেন। কে বা কারা এতে সাবটাইটেল যুক্ত করেছে সেটা তার জানা নেই। তিনি দাবি করেন, ছবিটি এখনও কোথাও দেখানো হয়নি। আপাতত তিনি এর বিপণনের বিষয়টি স্থগিত রেখেছেন। ‘ইনোসেন্স অব মুসলিম’ নামের দুই ঘণ্টার ছবিটিতে তীব্র ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রতিবাদকারীরা। ৫০ লাখ ডলারের বাজেটের এই ছবিটি আরবি অনুবাদসহ ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে।
Wednesday, September 12, 2012
দেহ ব্যবসার ফাঁদ দুবাইয়ে বাংলাদেশীসহ ১৩ যুবতী উদ্ধার
Monday, September 10, 2012
ইরাকি তরুণীর পরনে টাইট ফতুয়া, জিন্স
Sunday, September 9, 2012
কুয়েতে বাংলাদেশীসহ ৮৬ হাজার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা
বাংলাদেশীসহ কয়েকটি
দেশের ৮৬ হাজার নাগরিকের বিরুদ্ধে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে কুয়েত। এর
মধ্যে কুয়েতি নাগরিকই ৪২ হাজার। এছাড়া বাকি ৪৪ হাজারের মধ্যে আছে বাংলাদেশ,
ভারত, মিশর, সিরিয়া, লেবানন, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও ইথিওপিয়ার নাগরিক।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তাদের তালিকা করা হয়েছে। তাতে জানানো
হয়েছে, এসব ব্যক্তির রয়েছে অশোধিত ঋণ অথবা ৫০ কুয়েতি দিনার বা তারও কম
অশোধিত জরিমানা। ওই ঋণ বা জরিমানা পরিশোধ না করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে ওই
নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। গতকাল অনলাইন কুয়েতি টাইমস এ খবর দিয়েছে। এতে বলা
হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা এসব ব্যক্তির তালিকা দিয়েছে নিরাপত্তা
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র। তবে, যারা ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আছেন তারা যদি
বিমানবন্দর বা স্থলবন্দরে অশোধিত ঋণ বা জরিমানা শোধ করে দেন তাহলে তাদের
বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সহজেই তুলে নেয়া যাবে। গত জুনে এমন নিষেধাজ্ঞার অধীনে
ছিলেন ৮৮ হাজার মানুষ।
তসলিমার দেহ ও মুখ রঙে রাঙানো
তসলিমা নাসরিনের যৌন
হয়রানির অভিযোগ আমাকে খুব পীড়া দেয়। আমি বিস্মিত ও হতবাক। এ কথাগুলো বলেছেন
পশ্চিমবঙ্গের খ্যাতনামা সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। অনলাইন আউটলুক
ইন্ডিয়াকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, আমি তসলিমাকে সব সময় পথ দেখাতে
চেয়েছি। কিন্তু তিনি আমার কথায় কান দেন নি। বাংলাদেশের বিতর্কিত লেখিকা
তসলিমা নাসরিন সামাজিক মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারে পশ্চিমবঙ্গের
শীর্ষস্থানীয় সাহিত্যিক, সাহিত্য অকাদমি’র সভাপতি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের
বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি বলেছেন, একবার সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
তার গায়ে হাত দিয়েছিলেন। তিনি তাকে যৌন হয়রানি করেছেন। সাহিত্যে তিনি
শক্তিশালী অবস্থানে থাকার জন্য অন্য নারীদের কাছ থেকেও সুবিধা নিয়েছেন। এ
নিয়ে এ অঞ্চলে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। এরই প্রেক্ষিতে আউটলুক
ইন্ডিয়ার পক্ষে সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের একটি সাক্ষাৎকার নেন দোলা মিত্র।
এখানে তার অনুবাদ তুলে দেয়া হলো:
প্রশ্ন: তসলিমা নাসরিন আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, আপনি তাকে ও অন্য নারীদের যৌন হয়রানি করেছেন।
সুনীল: আমি মনে করি তার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দেয়ার মাধ্যমে তাকে অহেতুক গুরুত্ব দেয়া হবে। আমি প্রশ্ন করতে চাই যৌন হয়রানির এই অভিযোগ এখন কেন? যখন এটা ঘটেছিল তিনি তখন কেন অভিযোগ করেননি? কেন তিনি হঠাৎ করে এখন এসব প্রসঙ্গ তুলছেন?
প্রশ্ন: তসলিমা বলছেন, এ অভিযোগ তিনি যখন ইচ্ছা করবেন- এটা পুরোপুরি নারীর অধিকারের বিষয়।
সুনীল: এখন ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে চিৎকার করা তার জন্য খুবই সহজ। কিন্তু তসলিমা আমার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমরা একত্রে অনেক সময় কাটিয়েছি। তিনি মাঝেমধ্যেই আমার বাসায় আসতেন। আমরা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতাম। একসঙ্গে খাবার খেয়েছি আমরা। হোলি উৎসবের সময় একবার আমরা শান্তিনিকেতনে ছিলাম। ঠিক সেই দিনই তার একটি রূপ দেখতে পেলাম। তার সারা দেহ ও মুখ রঙে রাঙানো। তিনি বসে আছেন আমার পায়ের কাছে।
প্রশ্ন: তাহলে তসলিমা নাসরিন কেন এমন অভিযোগ আনছেন?
সুনীল: তসলিমা এমন এক নারী যিনি সব সময় মনোযোগের কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকতে চান। তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করতে খুব পছন্দ করেন। অনেকটা পরে, তিনি এখন বুঝতে পারছেন যে তিনি প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। তিনি ভারতে ফিরে এখানে অবস্থান করতে বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ আর তাকে নিয়ে তেমন আলোচনা করে বলে মনে হয় না। তাই যে কোন মূল্যে হোক তিনি নিজেকে ফোকাসে আনার চেষ্টা করছেন। এরকম স্পর্শকাতর অভিযোগ আনতে পারলে তার সেই উদ্দেশ্য সফল হবে।
প্রশ্ন: তসলিমা আপনাকে ‘ভণ্ড’ও বলেছেন। তার বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ পশ্চিমবঙ্গে যখন নিষিদ্ধ হয় তিনি দাবি করছেন তখন তার পিছনে আপনার হাত ছিল। এখন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের লেখা ‘মুসলমানদের করণীয়’ বইটি সমপ্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আপনি এখন তাতে আপত্তি তুলেছেন।
সুনীল: যে কোন রকম সেন্সরশিপের বিরোধী আমি। তসলিমার বই নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে আমার কোন হাত ছিল না। আমি তাকে শুধু পরামর্শ দিয়েছি যে, মুসলমানদের ধর্মকে আক্রমণ করো না। (তার বইয়ে) এমন কিছু অংশ ছিল যা ইসলাম ধর্মের মহানবীকে মারাত্মকভাবে অবমাননা করে। যারা তার ভাল চায় এমন একজন হিসেবে আমি তাকে বুঝিয়েছি যে, এই অংশগুলো অপ্রয়োজনীয়। এতে অসন্তোষ বাড়বে। এতে সামপ্রদায়িক সহিংসতারও সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন: তসলিমার মতে, গণতান্ত্রিক একটি দেশে তিনি লেখক হিসেবে বসবাস করছেন। তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
সুনীল: সব কিছুর জন্য স্থান ও সময় দু’টিই দরকার। আমি তাকে সতর্ক করেছিলাম যে, তিনি যে স্বাধীনতার কথা বলছেন সে রকম মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ভারত এখনও প্রস্তুত নয়। অধিক উদার সমাজে, যখন সেখানে কারও দৃষ্টিভঙ্গিতে অন্যদের আপত্তি থাকে সেখানে মতপার্থক্যকে যুক্তি দিয়ে দেখা হয়। কিন্তু এটা ভারত। যেখানে আবেগ খুব সস্তা। সামান্য একটু প্ররোচনা এখানে ভয়ঙ্কর সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তসলিমা কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ছিল লেজেগোবরে। তার খুন দাবি করে তীব্র বিক্ষোভ হয়েছে। এটা তার জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু তিনি আমার পরামর্শে কানই দিলেন না।
প্রশ্ন: অভিযোগ আছে যে, আপনি ও পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক, বোদ্ধারা তার জন্য যথেষ্ট করেন নি।
সুনীল: এটা ঠিক নয়। যখন তার বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া দেয়া হলো, তার জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছিল। তখন কবি শঙ্খ ঘোষ ও আমি ব্যক্তিগতভাবে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং তাকে অনুরোধ করি তসলিমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে। তসলিমা ২০০৭ সালে কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে তার হয়ে টিপু সুলতান মসজিদের ইমামের কাছে দুঃখ প্রকাশ করি এবং তসলিমাকে তার ভুলের জন্য ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার আহ্বান জানাই। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনলেন না।
প্রশ্ন: এখন কি আপনি ক্ষোভ অনুভব করছেন? আপনি কি আঘাত পেয়েছেন?
সুনীল: তসলিমার জন্য আমার অনেক সহমর্মিতা আছে। আমি সবসময় তাকে পথ দেখাতে চেয়েছি। যখন তিনি ‘লজ্জা’ লেখেন আমি তাকে বলেছিলাম- দেখুন আপনাকে ব্যালান্স করতে হবে। সব হিন্দুই ভাল নন। আবার সব মুসলমানই খারাপ নন। কিন্তু তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। তিনি আমার সঙ্গে একমত না হলেও আমি তা মেনে নিই। কিন্তু এই যৌন হয়রানির অভিযোগ আমাকে খুব পীড়া দেয়। আমি বিস্মিত ও হতবাক।
প্রশ্ন: তসলিমা নাসরিন আপনার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন যে, আপনি তাকে ও অন্য নারীদের যৌন হয়রানি করেছেন।
সুনীল: আমি মনে করি তার মন্তব্যে প্রতিক্রিয়া দেয়ার মাধ্যমে তাকে অহেতুক গুরুত্ব দেয়া হবে। আমি প্রশ্ন করতে চাই যৌন হয়রানির এই অভিযোগ এখন কেন? যখন এটা ঘটেছিল তিনি তখন কেন অভিযোগ করেননি? কেন তিনি হঠাৎ করে এখন এসব প্রসঙ্গ তুলছেন?
প্রশ্ন: তসলিমা বলছেন, এ অভিযোগ তিনি যখন ইচ্ছা করবেন- এটা পুরোপুরি নারীর অধিকারের বিষয়।
সুনীল: এখন ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে চিৎকার করা তার জন্য খুবই সহজ। কিন্তু তসলিমা আমার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। আমরা একত্রে অনেক সময় কাটিয়েছি। তিনি মাঝেমধ্যেই আমার বাসায় আসতেন। আমরা সাহিত্য নিয়ে আলোচনা করতাম। একসঙ্গে খাবার খেয়েছি আমরা। হোলি উৎসবের সময় একবার আমরা শান্তিনিকেতনে ছিলাম। ঠিক সেই দিনই তার একটি রূপ দেখতে পেলাম। তার সারা দেহ ও মুখ রঙে রাঙানো। তিনি বসে আছেন আমার পায়ের কাছে।
প্রশ্ন: তাহলে তসলিমা নাসরিন কেন এমন অভিযোগ আনছেন?
সুনীল: তসলিমা এমন এক নারী যিনি সব সময় মনোযোগের কেন্দ্রীয় অবস্থানে থাকতে চান। তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করতে খুব পছন্দ করেন। অনেকটা পরে, তিনি এখন বুঝতে পারছেন যে তিনি প্রত্যাখ্যাত হচ্ছেন। তিনি ভারতে ফিরে এখানে অবস্থান করতে বেপরোয়া হয়ে পড়েছেন। কিন্তু ব্যর্থ হয়েছেন। কেউ আর তাকে নিয়ে তেমন আলোচনা করে বলে মনে হয় না। তাই যে কোন মূল্যে হোক তিনি নিজেকে ফোকাসে আনার চেষ্টা করছেন। এরকম স্পর্শকাতর অভিযোগ আনতে পারলে তার সেই উদ্দেশ্য সফল হবে।
প্রশ্ন: তসলিমা আপনাকে ‘ভণ্ড’ও বলেছেন। তার বই ‘দ্বিখণ্ডিত’ পশ্চিমবঙ্গে যখন নিষিদ্ধ হয় তিনি দাবি করছেন তখন তার পিছনে আপনার হাত ছিল। এখন সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের লেখা ‘মুসলমানদের করণীয়’ বইটি সমপ্রতি পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাতিল করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু আপনি এখন তাতে আপত্তি তুলেছেন।
সুনীল: যে কোন রকম সেন্সরশিপের বিরোধী আমি। তসলিমার বই নিষিদ্ধ হওয়ার পিছনে আমার কোন হাত ছিল না। আমি তাকে শুধু পরামর্শ দিয়েছি যে, মুসলমানদের ধর্মকে আক্রমণ করো না। (তার বইয়ে) এমন কিছু অংশ ছিল যা ইসলাম ধর্মের মহানবীকে মারাত্মকভাবে অবমাননা করে। যারা তার ভাল চায় এমন একজন হিসেবে আমি তাকে বুঝিয়েছি যে, এই অংশগুলো অপ্রয়োজনীয়। এতে অসন্তোষ বাড়বে। এতে সামপ্রদায়িক সহিংসতারও সৃষ্টি হতে পারে।
প্রশ্ন: তসলিমার মতে, গণতান্ত্রিক একটি দেশে তিনি লেখক হিসেবে বসবাস করছেন। তার মত প্রকাশের স্বাধীনতা থাকা উচিত।
সুনীল: সব কিছুর জন্য স্থান ও সময় দু’টিই দরকার। আমি তাকে সতর্ক করেছিলাম যে, তিনি যে স্বাধীনতার কথা বলছেন সে রকম মত প্রকাশের স্বাধীনতার জন্য ভারত এখনও প্রস্তুত নয়। অধিক উদার সমাজে, যখন সেখানে কারও দৃষ্টিভঙ্গিতে অন্যদের আপত্তি থাকে সেখানে মতপার্থক্যকে যুক্তি দিয়ে দেখা হয়। কিন্তু এটা ভারত। যেখানে আবেগ খুব সস্তা। সামান্য একটু প্ররোচনা এখানে ভয়ঙ্কর সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তসলিমা কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি ছিল লেজেগোবরে। তার খুন দাবি করে তীব্র বিক্ষোভ হয়েছে। এটা তার জন্য বিপজ্জনক। কিন্তু তিনি আমার পরামর্শে কানই দিলেন না।
প্রশ্ন: অভিযোগ আছে যে, আপনি ও পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক, বোদ্ধারা তার জন্য যথেষ্ট করেন নি।
সুনীল: এটা ঠিক নয়। যখন তার বিরুদ্ধে একটি ফতোয়া দেয়া হলো, তার জীবন হুমকির মধ্যে পড়েছিল। তখন কবি শঙ্খ ঘোষ ও আমি ব্যক্তিগতভাবে কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি এবং তাকে অনুরোধ করি তসলিমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সম্ভাব্য সব কিছু করতে। তসলিমা ২০০৭ সালে কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার ঠিক আগে তার হয়ে টিপু সুলতান মসজিদের ইমামের কাছে দুঃখ প্রকাশ করি এবং তসলিমাকে তার ভুলের জন্য ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখার আহ্বান জানাই। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনলেন না।
প্রশ্ন: এখন কি আপনি ক্ষোভ অনুভব করছেন? আপনি কি আঘাত পেয়েছেন?
সুনীল: তসলিমার জন্য আমার অনেক সহমর্মিতা আছে। আমি সবসময় তাকে পথ দেখাতে চেয়েছি। যখন তিনি ‘লজ্জা’ লেখেন আমি তাকে বলেছিলাম- দেখুন আপনাকে ব্যালান্স করতে হবে। সব হিন্দুই ভাল নন। আবার সব মুসলমানই খারাপ নন। কিন্তু তিনি বিতর্ক সৃষ্টি করলেন। তিনি আমার সঙ্গে একমত না হলেও আমি তা মেনে নিই। কিন্তু এই যৌন হয়রানির অভিযোগ আমাকে খুব পীড়া দেয়। আমি বিস্মিত ও হতবাক।
Thursday, September 6, 2012
কোরিয়ায় এক বাংলাদেশীর স্বপ্ন এখন দুঃস্বপ্ন
মিশরে ভয়াবহ যৌন নিপীড়ন
মিশরে এখন নারীদেরকে যৌন
হয়রানি মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। মিশরের নারীরা এখন একাকী বা
নারীসহযোগীদের সঙ্গে বাড়ির বাইরে বের হতেও ভয় পাচ্ছেন। মিশরের নারী অধিকার
নিয়ে আন্দোলনকারীরা বলছেন যৌন হয়রানির সমস্যাটা এখন মহামারী আকারই ধারণ
করেছে। গত তিন মাসে সেখানে এ ধরনের সমস্যা বেড়ে গেছে বলে তারা দাবি
করছেন। মিশরের অনেক নারীর মতেই যৌন হয়রানির বিষয়টি মিশরে এখন নিত্য
নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ধরনের হয়রানির ঘটনা কখনও কখনও চরম আকার
ধারণ করে সহিংস হামলার রূপ ধারণ করে। বিবিসি জানিয়েছে গত শীতে মিশরের
আলেকজান্দ্রিয়াতে একজন নারী একদল পুরুষের হাতে নিপীড়নের শিকার হয়েছিল। ওই
ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে ওই নারীকে কয়েকজন পুরুষ টেনে কাঁধে তুলে
নিচ্ছে এবং অন্যরা তাকে টেনেহিঁচড়ে নামাচ্ছে। জনতার হৈচৈয়ের মধ্যে হামলার
শিকার ওই নারীর চিৎকার চাপা পড়ে যাচ্ছে। অবস্থা দেখে কোন ভাবেই বোঝার উপায়
নেই যে, কে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করছে আর কে তার ওপর হামলে পড়ছে। এটি
নারীদের ওপর যৌন নিপীড়নের চরম অবস্থা হলেও সমীক্ষায় দেখা গেছে, মিশরের
প্রত্যেক নারীই প্রতিদিন কোন না কোন ভাবে যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছেন। মারওয়া
নামের এক তরুণী বলেছেন, বাড়ির বাইরে গেলে তিনি শারীরিক বা মৌখিক ভাবে
নিপীড়নের শিকার হন। তিনি বলেছেন, এ কারণে সব সময় তিনি ভীতসন্ত্রস্ত থাকেন।
মারওয়া বলেন, একজন নারী হিসেবে সব সময়ই এ বিষয়টি আমাকে আতঙ্কে রাখে। যখনই
আমি বাড়ির বাইরে যাই, রাস্তায় হাঁটি তখনই কেউ না কেউ আমাকে নিপীড়ন বা
বিরক্ত করবে। এ কারণে সব সময়ই আমি ভয়ে থাকি। এ কারণ আমি বাড়ির বাইরে বের
হওয়া কমিয়ে দিয়েছি। পোশাক পরার ক্ষেত্রে আমি এখন অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন
করি। মানুষকে আকর্ষিত করতে পারে এমন ধরনের কাপড় পরা আমি এড়িয়ে চলি। বাড়ির
বাইরে ছেলেদের হয়রানি এড়াতে মিশরের নারীরা ঢিলেঢালা পোশাকের পাশাপাশি মাথায়
স্কার্ফ ব্যবহার করছেন। কিন্তু মিশরের নারী অধিকার রক্ষাকারী সংগঠন
ইজিপ্ট’স গার্লস আর এ রেড লাইন-এর দীনা ফরিদ বলেছেন এ ধরনের রক্ষণশীল
পোশাকও তাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না। তিনি বলেছেন চেহারা আড়াল করতে যারা
হিজাব ব্যবহার করছেন তারাও যৌন হয়রানির টার্গেটে পরিণত হচ্ছেন। আসলে
রক্ষণশীল পোশাক যৌন হয়রানি প্রতিরোধে কোন ভূমিকাই রাখছে না বলে তিনি উল্লেখ
করেন। কারণ মিশরের বেশির ভাগ নারীই পর্দা ব্যবহার করেন। অথচ তারা
প্রতিনিয়তই যৌন হযরানির শিকার হচ্ছেন। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে যেসব নারী
বা তরুণী যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের বেশির ভাগই নিকাব দিয়ে নিজেদেরকে
আড়াল করে রেখেছিলেন। ২০০৮ সালে ইজিপ্টশিয়ান সেন্টার ফর উইমেন’স রাইট
পরিচালিত এক সমীক্ষাতে দেখা গেছে ৮০ ভাগ নারীই কোন না কোন ভাবে যৌন হয়রানির
শিকার হচ্ছেন। আর এ ধরনের হয়রানির শিকার অধিকাংশ নারীই ইসলামিক অনুশাসন
মেনে হিজাব পরিধান করছেন। কায়রোর আমেরিকান ইউনিভার্সির একজন সমাজবিজ্ঞানি
সাঈদ সাদেক বলেছেন মিশরের সমাজের গভীরেই এ সমস্যার মূল গ্রোথিত রয়েছে। তিনি
বলেছেন, এর মূলে রয়েছে ইসলামিক রক্ষণশীলতার মনোভাব এবং পিতৃতান্ত্রিক
আচরণের সংমিশ্রণ। তিনি বলেন, ইসলামী মৌলবাদের উত্তান ঘটছে আর তারা এখন
নারীদেরকেই তাদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করছেন। তারা চাইছেন নারীরা ঘরেই বসে
থাক। বাইরে কাজ করার জন্য তারা যেন বের না হন। তিনি বলেন পিতৃতান্ত্রিক
সংস্কৃতি নারীদেরকে পুরুষদের চেয়ে উঁচু স্থানে থাকার বিষয়টি মেনে নিতে
পারছে না। কারণ, কিছু কিছু নারী নিজেদের শিক্ষা-কর্মদক্ষতা আর যোগ্যতার বলে
পুরুষদের চেয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে নারীদের দমিয়ে রাখার উপায়
হচ্ছে যে কোন ভাবে তাদের ওপর যৌন হয়রানি করা। সাদেক বলেন এটা ফারাওদের
সংস্কৃতি নয়। এটা বেদুঈনদের সংস্কৃতি। সাঈদ সাদেক এবং নারী অধিকার
সংগঠনগুলো এ ধরনের প্রবণতা বৃদ্ধির পেছনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার
দুর্বলতাকেও দায়ী করেছেন। তারা বলছেন, নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে
পুলিশকে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে নারীদের পোশাকের জন্য তাদেরকে
নিপীড়নের শিকার হতে হচ্ছে বলে দাবি করা হচ্ছে। আর এ নিপীড়নকারীদের মধ্যে
টিনেজারদের সংখ্যা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। নারীদের নিপীড়নের ব্যাপারে কায়রোর
একদল টিনেজার জানিয়েছেন নারীরাই তাদেরকে নিপীড়ন করতে ছেলেদেরকে প্রলুব্ধ
করে। তারা বলেছে মেয়েরা যদি সম্মানজনক ভাবে পোশাক পরে তাহলে কেউই তাদেরকে
বিরক্ত করবে না। নারীরাই চাইছে তাদেরকে বিরক্ত করা হোক। এমনকি নিকাব পরা
মেয়েরাও নিজেদের পেছনে ছেলেদের ঘোরাতে পছন্দ করে। এজন্য অবশ্য ছেলেদেরকে
পুরোপুরি দোষারোপ করা যায় না। কারণ, টাইট জিন্স পরে নেকাব ব্যবহারকারী নারী
আর শালীন পোশাকের সঙ্গে হিজাব ব্যবহারকারী নারীদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।
যে নারীরা টাইট জিন্স পরে আবার নেকাব ব্যবহার করে তাদের তো হয়রানি প্রাপ্যই
বলা চলে। মিশর সরকার অবশ্য এ বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনার কথা
জানিয়েছে। তবে নারী অধিকার রক্ষাকারী সংগঠনগুলো দাবি করেছে সরকার বিষয়টি
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনা করছে না। তবে সচেতন নারীদের অনেকেই এ বিষয়টিকে
তাদের স্বাধীনতার পরিপন্থি বলে উল্লেখ করেছেন। মিশরের একজন নারী যেমন
বলছিলেন আমি নিরাপদে একজন মানুষ হিসেবে রাস্তায় হাঁটতে চাই। আমাকে যেন কেউ
বিব্রত বা হয়রানি করতে না পারে। এটাই হচ্ছে আমার স্বাধীনতা।
Tuesday, September 4, 2012
‘এক রাতে সুনীল আমার গায়ে হাত দিয়েছিল’
পরিতোষ পাল, কলকাতা থেকে : বাংলাদেশের
বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিন তার টুইটারে সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সম্পর্কে কুৎসিত মন্তব্য করে থেমে থাকেন নি। তিনি এবার জানিয়েছেন, সুনীল এক
রাতে তার বন্ধুদের সঙ্গে রাতের খাবার খেয়ে তার হোটেলের ঘর থেকে ফিরে যাবার
সময় তার গায়ে অশ্লীলভাবে হাত দিয়েছিল। ঘটনার আকস্মিকতায় তসলিমা নাকি এতটাই
হতভম্ব হয়ে গিয়েছিলেন যে কি করবেন ভেবে পান নি। পরে এই ঘটনা নিয়ে তসলিমা
নাকি ’রাস্তার ছেলে এবং কবি’ নামে একটি কবিতা লিখেছিলেন। তসলিমা দাবি
করেছেন, কবিতাটি সুনীলকে নিয়েই লেখা। তবে তসলিমার এইসব অভিযোগ
সম্পূর্ণভাবেই উড়িয়ে দিয়েছেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন,
এতদিন তসলিমা এ ব্যাপারটি নিয়ে চুপ ছিল কেন? সাহস থাকে তো আইনের সাহায্য
নিক। সুনীল মনে করেন, এসবই তসলিমার হতাশার বহিঃপ্রকাশ। আর তাই এসব তাকে
মোটেই বিচলিত করে না। দুই বাংলার বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তার ঘনিষ্ট
সম্পর্ক নিয়ে একসময় বই লিখে তসলিমা সাড়া ফেলেছিলেন। এজন্য বাংলাদেশের
বিশিষ্ট লেখক সৈয়দ শামসুল হক তার বিরুদ্ধে মানহানির মামলাও করেছিলেন।
কলকাতাতেও এক কবি তসলিমার বিরুদ্ধে কোটি রুপির মানহানির মামলা করেছিলেন তার
সম্পর্কে বইয়ে আপত্তিকর কিছু লেখার জন্য। তবে সেই সময় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়
সম্পর্কে কোনও কথাই লেখেননি তসলিমা। এতদিন পরে সুনীল সম্পর্কে যৌন হয়রানির
অভিযোগ আনার কারণ সম্পর্কে জানা গেছে, তসলিমার ’দ্বিখন্ডিত’ বইটি বাম সরকার
কর্তৃক নিষিদ্ধ করার জন্য সুনীলই নাকি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য্যকে বলেছিলেন।
তসলিমা এটা মনেপ্রাণে বিশ্বাস করেন। সুনীল অবশ্য জানিয়েছেন, তিনি কখনই
’দ্বিখন্ডিত’ নিষিদ্ধ করার কথা বলেননি। বরং শঙ্খ ঘোষ সহ অন্যান্যদের সঙ্গে
মিলে তিনি সেই নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধেই বলেছিলেন। এমনকি মিছিলও করেছিলেন।
কিন্তু তসলিমা কেন বইটি নিষিদ্ধ করার পেছনে তিনিই প্রধান মাথা বলছেন তার
কোনও কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না। সুনীল জানিয়েছেন, তসলিমার কলকাতায় ফেরার
ব্যাপারে তিনি কখনও কোন উদ্যোগ নেননি ঠিকই,তবে তিনি এমন কোনও বড় মাপের
ব্যক্তি নন যে, তার কথাতেই তসলিমার কলকাতায় আসা আটকে যাবে। সুনীল ও তসলিমার
এই সাম্প্রতিক বিতর্ক নিয়ে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে বুদ্ধিজীবীদের পাশাপাশি
রাজনৈতিক মহলেও। তবে ঘটনার সুত্রপাত, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এক উচ্চপদস্থ
কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের লেখা ‘মুসলমানদের করণীয়’ নামের একটি বই সম্পর্কে
পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসনের কঠোর মনোভাবের বিরুদ্ধে সুনীলের মতামত থেকে। সুনীল যে
কোনও বই নিষিদ্ধ করার বিপক্ষে তার মত প্রকাশ করার পরই তেলেবেগুনে জ্বলে
ওঠেন তসলিমা। গত ২রা সেপ্টেম্ব^র তিনি তার টুইটারে লিখেছেন, সুনীল
গঙ্গোপাধ্যায় বই নিষিদ্ধ করার পক্ষে। তিনি আমাকে এবং অন্যান্য মহিলাদের যৌন
হয়রাণি করেছেন। তিনি সাহিত্য আকাদেমির সভাপতি। শেম! শেম!। তসলিমা আরও
লিখেছেন , তার ’দ্বিখন্ডিত’ বইটি নিষিদ্ধ করার জন্য সুনীলই বাম সরকারকে
বলেছিল। আর এখন তিনি বই নিষিদ্ধ করার বিরুদ্ধে মতামত দিচ্ছেন। একজন ভন্ড।
কোনও বাঙালির সাহস নেই ভন্ড ও মহিলাদের ব্যবহারকারি লেখক সুনীল
গঙ্গোপাধ্যায়ের মুখোশটা ছিড়ে ফেলার।এই ট্যুইটার বোমার পর সাংবাদিকদের
প্রকাশ্যে তসলিমা বলেছেন, এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে মহিলারা সবসময়ই যৌন
হয়রাণির শিকার হন। আমি শুনেছি সুনীল অনেক মেয়েকেই যৌন হয়রানি করেছে।
পুরুষদের সমাজে এটা খুবই সাধারণ। কিন্তু মহিলার এর বিরুদ্ধে কিছু বলতে
পারেন না চাকুরি হারাবার ভয়ে। আর লেকার দুনিয়ায় তো অনেক উঠতি তরুণ মেয়েরা
বাঘা বাঘা লেখকদের শারিরীক যৌন সম্পর্কের শিকার হয়েছে। তসলিমার মতে, তাদের
ক্যারিয়ার নষ্ট হয়ে যাবার ভয়ে তারা কেউ এদের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন না। এরপরই
তসলিমা জানিয়েছেন, অনেকদিন আগের একটি ঘটনার কথা। সেই সময় ফ্রান্স থেকে এসে
তিনি কলকাতার একটি হোটেলে থাকছিলেন। সেই সময় এক রাতে সুনীল বন্ধুদের নিয়ে
তার ঘরে ডিনার করতে এসেছিলেন। কিন্তু যাবার সময় সুনীল নাকি বিদায় দেবার সময়
তার গায়ে এমনভাবে হাত দিয়েছিলেন যে, তসলিমা হতভম্ব হয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনায়
তসলিমা প্রচন্ড মানসিক আঘাত পেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন। তসলিমার দাবি,
আমার মত প্রতিষ্ঠিত লেখিকার সঙ্গে যেখানে সুনীল এই ধরণের কাজ করেছে সেখানে
অন্য মেয়েদের সঙ্গে যে সে এই ধরণের কাজ করেছে এটাই স্বাভাবিক। তসলিমা আরও
জানিয়েছেন, আমি জানি সুনীলের সেই ক্ষমতা আছে যে আমাকে ভারত থেকে বিতাড়িত
করার ক্ষেত্রে প্রভাব ঘাটাতে পারে। তবু তিনি সত্যি বলে যাবেন বলে
জানিয়েছেন। তসলিমা দাবি করেছেন, তার আত্মজীবনীর তৃতীয় খন্ড ’দ্বিখন্ডিত’তে
অনেকের মুখোশ খুলে দেয়ার পর সুনীল নাকি তাকে বলেছিল, ব্যক্তিগত সম্পর্ক
প্রকাশ্যে না আনতে। তবে তসলিমা জানিয়েছেন, সুনীলের মত ’অর্ধেক জীবন’ তিনি
লিখবেন না। তার কাছে কোনও কিছুই গোপনীয় নয়। আর সত্যি বলার জন্য অনেক কিছু
সহ্য করতে হয়েছে। তবু সত্যি বলে যাবেন বলে তিনি গোষণা দিয়েছেন। তসলিমা
বর্তমানে দিল্লির এক অজ্ঞাত স্থানে ভারত সরকারের নিরাপত্তা সুরক্ষায়
অবস্থান করছেন। ২০০৭ সালে কলকাতায় মুসলমানদের একাংশের হিংসাত্মক বিক্ষোভের
পরই তসলিমাকে কলকাতা ছেড়ে যেতে হয়। তার পর থেকে তার আর কলকাতায় ফেরা হয়নি।
অথচ তসলিমা কলকাতায় ফিরতে চান। তিনি মনে করেন, কলকাতা তার দ্বিতীয় ঘর।
কিন্তু তাকে ফিরিয়ে এনে মুসলমানদের চক্ষুশূল হতে চায় না কোনও রাজনৈতিক দলই।
ফলে কলকাতায় ফেরার জন্য তার কোন আবেদনে কোন সরকারই কর্ণপাত করছে না।
Source: The daily Manabzamin
কুয়েতে বাজিমাত করলেন সিলেটের আবদুল হক
Sunday, September 2, 2012
অর্থের বিনিময়ে শরীর বিলিয়েছেন শেরলিন চোপড়া
ভারতের হার্টথ্রব প্লেবয় গার্ল শেরলিন চোপড়া স্বীকার করলেন। বললেন, তিনি অর্থেও বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। শুক্রবার তিনি তার টুইটারে এ কথা ফাঁস করেছেন। গতকাল এ খবর দিয়েছে অনলাইন জি-নিউজ। এর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন শয্যাসঙ্গী হিসেবে তাকে সঙ্গে পেতে অনেক মানুষ প্রস্তাব দিয়েছে। শেষ পর্যন্ত তিনি নিজেই স্বীকার করলেন, ওই কাজটি তিনি টাকার বিনিময়ে শেষ করেছেন। অনেক লোকের সঙ্গে তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। কিন্তু তা অনেকটা আগে। এখন তিনি ‘ফ্রেশ’। ওই কাজে তার মনোনিবেশ করার পরিকল্পনা আর নেই। ওই টুইটারে তিনি লিখেছেন, যারা এতদিন তাকে শয্যাসঙ্গী হতে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তারা যেন নীরব থাকেন। তিনি টুইটারে লিখেছেন, আমার টুইটারের অনেক নম্বর থেকে প্রস্তাব পেয়েছি এই ঠিকানায়। তারা আমার কাছে অর্থের বিনিময়ে শারীরিক সম্পর্ক চায়। অতীতে অনেক সময় আমি অর্থের জন্য এ কাজ করেছি। এমন কোন ঘটনার কথা স্মরণ করতে পারি না যেখানে আমি স্বেচ্ছায় রাজি হয়েছি। তবে এ বছর জুলাইয়ে লস অ্যানজেলেস থেকে দেশে ফেরার পর আমার চেতনায় পরিবর্তন এসেছে। আমি বুঝতে পেরেছি, আর মুক্তমনে এমন কাজ করব না। এছাড়া আরও অনেক রগরগে কথা লিখেছেন তিনি।
Subscribe to:
Posts (Atom)