Sunday, January 31, 2016

ফাগুন লেগেছে আজ মনে

লেখক : মোহাম্মদ আবুল হোসেন
কোন কাজেই মন বসছে না অনিকের। সন্ধ্যায় ল্যাপটপ নিয়ে বসেছিল `টাইটানিক’ দেখার জন্য। বরফের চাঁইয়ের সঙ্গে ধাক্কা লেগে যখন পানি ঢোকা শুরু হলো জাহাজে তখন হঠাৎ করেই উঠে পড়ে সে। আজ কিচ্ছুতেই ভাল লাগছে না তার। কতক্ষণ ঘরের ভিতর দিয়ে পায়চারি করে রান্নাঘরে গেল। চুলায় বসিয়ে দিল এককাপ চা হয় এতটুকু পানি। তাতে চা পাতি ছেড়ে দিয়ে মনে হলো, আজ তার হাতের চা খুব ভাল হবে। মাঝে মাঝে এমন হয়। অনিক নিজে নিজে চা বানায়। তা গলির মোড়ের ল্যাংড়া রহিমের চেয়ে অনেক স্বাদের হয়। একটা মাতা মাতা ঘ্রাণ তাকে আবিষ্ট করে রাখে।

Details here;
http://golpokobita.com/golpokobita/article/11561/10691 

Sunday, January 17, 2016

একই পরিবারে ৫ লাশ নারায়ণগঞ্জে নৃশংস হত্যাকাণ্ড

Source: The Daily Manabzamin
http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=MTExMjI0&s=Mg==


নৃশংস হত্যাকাণ্ড। গলাকেটে ও মাথা থেতলে ৫ জনকে হত্যা করা হয়েছে নারায়ণগঞ্জে। আলোচিত সাতখুনের পর এবার একই পরিবারের ফাইভ মার্ডার নিয়ে আতঙ্কিত নারায়ণগঞ্জবাসী। এক ঘর থেকেই তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এরমধ্যে ৩ জনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। দুই শিশুকে মাথা থেথলে মারা হয়েছে। হত্যার পর ঘাতকরা ঘরের বাইরে থেকে দরজায় তালা ঝুলিয়ে পালিয়ে যায়। হত্যাকা-ের শিকাররা হলো- ওই পরিবারের তাসলিমা বেগম (৩৫), তার শিশু পুত্র শান্ত (১০), মেয়ে সুমাইয়া (৫), ছোট ভাই মোশারফ ওরফে মোর্শেদুল (২২) ও ঝা লামিয়া বেগম (২৫)। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যার মধ্যে শহরের ২নং বাবুরাইল খানকা শরিফ সংলগ্ন ১৩২/১১ আমেরিকা প্রবাসী ইসমাইল হোসেনের বাড়ির নীচতলার ফ্লাটে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এমন হত্যাকান্ডের কিংকর্তব্যবিমুঢ় এলাকাবাসী। পুরো নারায়ণগঞ্জে আতঙ্ক ও চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কেন, কি কারণে এ হত্যাকা-- তা পুলিশ এবং নিহতদের স্বজনরা কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেননি। তবে পুলিশের ধারণা খুনিরা পরিচিত এবং পারিবারিক কোন কারণে এ হত্যাকা- ঘটে থাকতে পারে। খুনিরা পেশাদার নয় বলেও পুলিশের ধারণা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জেলা প্রশাসক মো: আনিসুর রহমান মিঞা, ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ আলী, জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন, র‌্যাব-১১ এর সিও আনোয়ার লতিফ খান, সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল মালেক, ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসাদুজ্জামান, ডিবি পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ ম-লসহ পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা।
নিহত তাসলিমার খালাতো বোন নয়নতারা বলেন, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার ভেলাবাড়ি গ্রামে তাছলিমাদের বাড়ি। তার বাবার নাম বারেক মিয়া।
নিহত তাছলিমা ও মোশারফের মা মোর্শেদা বেগম বলেন, এক মাস আগে তারা এ বাড়িতে ভাড়া এসেছে। এর আগে তারা ঢাকার কলাবাগানে থাকতো। তাছলিমার স্বামী শফিকুল ইসলাম ঢাকায় প্রাইভেট কার চালক। সে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে বাসায় আসে এবং শনিবার সকালে চলে যায়। কিন্তু ছুটি না পাওয়ায় তিনি গত বৃহস্পতিবার বাসায় আসেননি। তিনি আরো জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টায়ও তিনি তার ছেলে মোশারফের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
শনিবার সকালে  মোর্শদা বেগম নারায়ণগঞ্জে থাকা তাদের বিভিন্ন আত্মীয়কে ফোন করে জানায় যে মোরশেদুল ও তাছলিমা ফোন ধরছে না। তিনি বাসায় গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। দুপুরের পরে আত্মীয়দের কয়েকজন ওই বাসায় গিয়ে দরজায় তালা দেখে ফিরে আসেন। রাত আটটায় নিহত তাছলিমার দেবর এবং লামিয়ার স্বামী শরিফুল ইসলাম গ্রামের বাড়ি থেকে এসে দেখেন দরজা বন্ধ। মোবাইল ফোনও বন্ধ। পরে তিনি রাত সাড়ে ৮টার দিকে আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে তালা ভেঙ্গে ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে ঘরের মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা লাশ দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন।
এক তলার পাশের ফ্ল্যাটের বাসিন্দা রহিমা খাতুন জানান, আগের রাত দশটা পর্যন্ত তারা তছলিমাদের ফ্ল্যাটে মানুষের আসা যাওয়ার শব্দ, কথাবার্তার শব্দ শুনেছেন।
নিহত তাছলিমার খালাতো বোন নয়নতারার স্বামী মোহাম্মদ মিলন জানান, নিহত মোর্শেদুল ইসলামের সঙ্গে সুদের টাকা নিয়ে ঢাকার একটি পক্ষের বিরোধ ছিলো। সে বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
নিহত তাছলিমা ও মোর্শেদুলের মা মুর্শিদা বেগম বলেন, ঢাকার একটি পক্ষের সঙ্গে  মোর্শেদের বিরোধ ছিলো। তবে কি নিয়ে বিরোধ ছিলো তা তিনি বলতে পারছেন না। এ নিয়ে হত্যাকান্ড ঘটে থাকতে পারে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র ও স্থানীয় কাউন্সিলর ওবায়েদ উল্লাহ জানান, এক কক্ষে দুইটি অন্য কক্ষে তিনটি লাশ দেখতে পেয়েছি। প্রতিটি লাশ রক্তে লাল হয়ে রয়েছে। গলা কেটে, মাথায় আঘাত করে তাদের হত্যা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদ উদ্দিন রাত ১২টার দিকে সাংবাদিকদের জানান, আমরা ঘরের ভিতরে গিয়ে ৫টি লাশ দেখিছি ফ্লোরে পড়ে আছে। ৩ জনকে গলা কেটে ও শিশু দুটিকে মাথা থেঁতলে হত্যা করা হয়। পুরো মেঝে রক্তাক্ত। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে পারিবারিক কোন ঘটনার সুত্রধরে ৫জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও আরো কিছু ক্লু আমরা পেয়েছি। ২জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে আরো তথ্য পাওয়া যাবে। সিআইডির একটি বিশেষজ্ঞ টিম এসেছে। তারা হত্যাকান্ডের নমুনা সংগ্রহ করছে। বিকেল থেকে সন্ধ্যারাতের মধ্যে হত্যাকান্ডটি ঘটেছে। রাত সাড়ে ৮টা থেকে ৯টার মধ্যে কেউ তালা খুলতেও এসেছিল। ধারনা করা হচ্ছে ঘাতকরা নিহতদের পুর্ব পরিচিত। কারণ দুই রুমের ছোট একটি ঘরে একজন পুরুষ লোক থাকার পরও ৫জন মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। ঘাতকরা ৪ থেকে ৫ জন হতে পারে। খুনের আলামত দেখে মনে হচ্ছে খুনিরা পেশাদার নয়। এছাড়া ঘরের কোন মালামালও খোয়া যায়নি। সবকিছু ঠিক ঠাক আছে।

খালেদার সঙ্গে সম্পর্কের বরফ গললেও ভারত পরে আওয়ামী লীগকে বেছে নেয়

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করেছিল। কিন্তু বাংলাদেশের পরবর্তী পরিস্থিতিতে সেই ইতিবাচক পদক্ষেপ হাওয়ায় উড়ে যায়। একদিকে সরকারের সমর্থন অন্যদিকে জাতীয়তাবাদী যুব শক্তি ও জামায়াতে ইসলামীর মধ্যে ভয়াবহ সংঘাত শুরু হয় রাজপথে। এতে ভারত আওয়ামী লীগ শিবিরের দিকে মনোনিবেশ করে। আত্মজীবনী ‘দ্য আদার সাইড অব মাউন্টেইন’-এ এসব কথা লিখেছেন ভারতের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। উল্লেখ্য, ভারতে কংগ্রেস সরকারের সময়ে ২০১২ সালের অক্টোবর থেকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ১৮ মাস বা দেড় বছর ক্ষমতায় ছিলেন সালমান খুরশিদ। এ সময় তিনি ও ইউপিএ সরকার কিভাবে ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করেছিলেন তার একটি চিত্র ওই বইয়ে তুলে ধরেছেন। তখনকার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং তাকে প্রথম যে কাজটি দিয়েছিলেন তা হলো নিকট প্রতিবেশীদের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে নজর দেয়া। খুরশিদ তার বইয়ে পরিষ্কার করে বলেছেন যে, তাকে পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে কাজ করার জন্য বেশ বড় সুযোগ দেয়া হয়েছিল, বিশেষ করে যখন তা বাংলাদেশের মতো অতিনিকট প্রতিবেশীর বিষয় আসে। সালমান খুরশিদ লিখেছেন, একজন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আমার বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ছিল স্বাধীনতা। প্রতিবেশী, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ, চীনের সঙ্গে সহস্রাব্দের সংলাপ, জাপানের সঙ্গে তালমিলিয়ে চলার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বিশেষভাবে আগ্রহী ছিলেন।
ভারতে সাধারণ একটি ধারণা আছে যে, প্রথাগতভাবে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে ভারতের কংগ্রেস পার্টির রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় থাকে তখন দিল্লি ও ঢাকার মধ্যে সম্পর্ক সব সময়ই ঊর্ধ্বমুখী থাকে। বঙ্গবন্ধু শেষ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বাধীন স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ইন্দিরা গান্ধী যে ভূমিকা পালন করেছিলেন তার ফলেই বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে কংগ্রেস ফার্স্ট ফ্যামিলি গান্ধীদের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠতা পেয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, যখন আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ক্ষমতার বাইরে থাকলে থাকলে, অর্থাৎ অন্য দল বাংলাদেশে ক্ষমতায় থাকলে ভারত তাদের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখেনি।
সালমান খুরশিদ তার বইয়ে তুলে ধরেছেন, দু’দেশের নেতৃত্বের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভ’মিকা রেখেছে ব্যক্তিগত যোগাযোগ। তবে ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের চেয়ে কূটনীতিতে বড় হয়ে উঠেছে জাতীয় স্বার্থ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সালমান খুরশিদ যখন তার দায়িত্ব শুরু করেন তখন প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টিতে তিনি মনোনিবেশ করেছিলেন। তবে তার কাছে প্রথম চ্যালেঞ্জ ছিল ২০১২ সালের অক্টোবর-নভেম্বরে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র চেয়ারপারসন বেগম কালেধা জিয়ার দিল্লি সফর। ওই বইয়ে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে তিক্ত রাজনৈতিক সম্পর্ক থাকায় কিভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষার বিষয়ে কতটা সুক্ষè ভাবে কাজ করেছিল। ওই বইয়ে তিনি লিখেছেন, আমি দেখতে পেলাম বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী খালেদা জিয়ার মধ্যে বাংলাদেশে কিভাবে কার্যত দ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছিল। আমি আমার পূর্বসূরি এসএম কৃষ্ণার কাছ থেকে ক্ষমতা বুঝে নেয়ার মাত্র ২৪ ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়া ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের অতিথি হিসেবে ভারত সফর করছিলেন। অল্প সময়ের মধ্যে খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমার উষ্ণ ব্যক্তিগত সম্পর্ক তৈরি হয়। আজমীর শরীফ জিয়ারতের পর নয়া দিল্লিতে প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর সঙ্গে তার সাক্ষাতের ব্যবস্থা করতে সমর্থ হয়েছিলাম। বেগম জিয়া এই সাক্ষাত পেতে খুব উদগ্রিব ছিলেন। তবে এ সাক্ষাতের ফলে তার প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ হাসিনার সঙ্গে চমৎকার সম্পর্কে কোন নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে কিনা তা আমাদেরকে সতর্কতার সঙ্গে হিসাব করতে হয়েছে।
দিল্লিতে সাধারণভাবে রাজনৈতিক বলয়ে একটি ধারণা আছে যে, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে দীর্ঘদিনের ব্যক্তিগত চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে ভারতের প্রেসিডেন্ট প্রণব মুখার্জীর।  সালমান খুরশিদ তার বইয়ে লিখেছেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বুঝতে পারে যে, আমরা একটি বড় সাফল্য আনতে পেরেছি এবং খালেদা জিয়ার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের বরফ গলাতে পেরেছি। আগের দিনগুলোতে তার সঙ্গে আমাদের সম্পর্কটা ছিল হিম ঠা-া। নতুন সম্পর্কের বিষয়টি নিশ্চিত হই যখন আমি কয়েক মাস পরে বাংলাদেশ সফরে যাই এবং বেগম খালেদা জিয়া আমাকে উষ্ণ আতিথেয়তায় অভ্যর্থনা ও আপ্যায়ন করেন। তিনি আমাকে নৈশকালীন খাবারের আগে পেস্ট্রি ও অন্যান্য উপাদেয় খাবারে আপ্যায়িত করেন। এমনকি খালেদা জিয়া বিরলভাবে আমাকে বিদায় জানিয়েছিলেন এবং তার ড্রইং রুমের বাইরে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু এসব ইতিবাচক উদ্যোগ উদ্যোগ হাওয়ায় মিলিয়ে যায়, যখন বাংলাদেশ সরকার সমর্থক ও উচ্চাকাঙ্খী জাতীয়তাবাদী সমর্থক ও জামায়াতে ইসলামীর কট্টরপন্থিরা ঢাকার রাজপথে ভয়াবহ সংঘাতে লিপ্ত হয়। এ সময় আমরা কার্যত আওয়ামী লীগ শিবিরের দিকে ঝুঁকতে হয়। এ সময় ভারতকে একটি সিদ্ধান্তে যেতে হয়। এক্ষেত্রে অবস্থান নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হওয়া ও সেজন্য সুযোগ হারানোটা সত্যিই বিপজ্জনক ছিল। ২০১৪ সালের জানুয়ারির নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ জরুরি ভিত্তিতে চাইছিল তিস্তার পানি বন্টন ও ছিটমহল বিনিময় । তবে এক বছর পরে জুনে ছিটমহল বিনিময় হয়। তখন কংগ্রেস ক্ষমতার বাইরে। আর তিস্তার পানি বন্টন চুক্তিটি এখনও ঝুলে রয়েছে, যদিও ভারতের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে এ বিষয়ে ঐকমত্য রয়েছে।

নিলামে যুবতী বিক্রি!

ভারতের উত্তর প্রদেশে এক যুবতীকে নিলামে বিক্রি করা হয়েছিল। ৭০ হাজার রুপির নিলামে তাকে বিক্রি করে দেয় প্রেমিকরূপী তার বয়ফ্রেন্ড। কিন্তু স্থানীয় পুলিশের তৎপরতায় রক্ষা পান তিনি। স্থানীয়রা পুলিশকে এ খবর জানান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ অভিযান শুরু করে। উদ্ধার হন ওই যুবতী। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টাইমস অব ইন্ডিয়া। এতে বলা হয়, ওই যুবতী একাদশ শ্রেণীর ছাত্রী। এ ঘটনা উত্তর প্রদেশের রামপুর জেলার। সেখানকার পাতওয়াই পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা মহেশ প্রসাদ বলেছেন, চারদিন আগে প্রেমিকরূপী একজন ওই যুবতীকে অপহরণ করে। এ সময় তার সঙ্গে ছিল আরও দুজন। তারা সবাই বাদাউন জেলার অধিবাসী। তারা মিলে ওই যুবতীকে অপহরণ করে চার দিন আটকে রাখে একটি গ্রামে। এরপর তাকে নিলামে ৭০ হাজার রুপিতে। এ ঘটনা জানতে পারেন স্থানীয় অধিবাসীরা। তারা খবর জানালে পুলিশ গিয়ে ওই গ্রামের একজন সাবেক গ্রামপ্রধানের বাড়ি ঘেরাও করে। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ওই যুবতীকে। এসপি অতুল সাক্সেনা বলেছেন, আমরা নিলামের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওই গ্রামে পুলিশ ফোর্স পাঠাই। তাতে উদ্ধার হন ওই যুবতী। তবে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে। রামপুরের অতিরিক্ত এসপি তারিক মোহাম্মদ বলেছেন, আমরা অভিযুক্ত সব আসামীকে যত দ্রুত সম্ভব আটক করার নির্দেশ দিয়েছি। তাদের বাড়ি ঘেরাও করেছে পুলিশ। তবে সেখানে তাদের পাওয়া যায় নি। উদ্ধার করা যুবতীকে ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তোলা হবে স্বীকারোক্তি রেকর্ড করার জন্য।

সত্যিকারের ভ্যাম্পায়ার!

হলিউডের কোন ব্লকবাস্টর হরর ছবি নয়। ‘টুলাইট’ ‘ড্রাকুলা’ ‘ভ্যাম্পার ডায়েরিস’ নয়। সত্যি সত্যি ড্রাকুলার মতো এক নারীর সন্ধান মিলেছে অস্ট্রেলিয়ার ব্রিসবেনে। তার বয়স ৩৮ বছর। তার প্রেমিকের ক্ষত থেকে সরাসরি রক্ত চুষে পান করেছে সে। তাতে তাকে নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মিডিয়া ফলাও করে রিপোর্ট  প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, একবার দু’বার নয় প্রতি সপ্তাহে একবার সে তার প্রেমিকের ক্ষত থেকে তার তাজা রক্ত চুষে পান করে। এতেই তার সবচেয়ে আনন্দ বলে জানিয়েছে ওই নারী। তার নাম জর্জিনা কনডন। এরই মধ্যে তাকে সবাই ব্রিসবেনের ভ্যাম্পায়ার নারী ডাকা শুরু করেছে। মাত্র ১৭ বছর বয়স যখন তখনই সে তাজা রক্তের স্বাদ পায় প্রথমে এক নারীর দেহ থেকে। রক্ত পান করে তিনি সবচেয়ে আনন্দিত বোধ করেন। তার নেশা মেটে। এভাবে নেশা মেটাতে তিনি এক পর্যায়ে গোথ ক্লাব ও ভ্যাম্পায়ার বলে যেতে থাকেন। সেখানে খোঁজেন আরও রক্তদাতাকে।  ‘টুইলাইট’ ‘ট্রু ব্লাড’ অথবা ‘ভ্যাম্পায়ার ডায়েরিস’ মুক্তি পাওয়ার আগেই তিনি এই নেশা মেটাতে মত্ত হয়ে ওঠেন। বলেন, বলতে পারেন অনেকটা শৈশব থেকেই আমার রক্তপিপাসা শুরু। প্রথম দিকে তিনি নিজের শরীর কেটে সেখান থেকে রক্ত পান করতেন। বয়স যখন ১২তে পৌঁছায় তখন তার মধ্যে রক্ত পিপাসা বাড়তে শুরু করে। কনডন পরেন কালো পোশাক। মুখে মাখেন ট্যালকম পাউডার। তার বন্ধুরা এতে তাকে উদ্ভট দেখায় বললেও তিনি নিজের মাঝে পুষে রাখেন গোপনে এক ভ্যাম্পায়ার। কনডন বলেছেন, প্রথমে বেশ কয়েক বছর আমি আমার নিজের রক্ত পান করেছি। তারপর যোগ দিই গোথ ক্লাব ও ভ্যাম্পায়ার বলস-এ। সেখানে তিনি দেখতে পান অনেক পুরুষ তার দিকে আকৃষ্ট হচ্ছে যখন তারা জানতে পারে যে কনডন নিজে একজন ভ্যাম্পায়ার। পার্টনার জামায়েল সম্পর্কে কনডন বলেন, তার সঙ্গে আমার জানাশোনা দু‘বছরের। প্রথমে জামায়েল ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন যখন কনডন তাকে নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ভ্যাম্পার সম্পর্কে বলেছিলেন। জামায়েল সূচ ও ছুরিতে ভীষণ ভয় পেতেন। তবে এক পর্যায়ে তিনি রক্ত পান করতে দিতে রাজি হন। কিভাবে একজোড়া ভ্যাম্পায়ার খাবার খায় এ প্রশ্নের জবাবে কনডন বলেন, তিনি কামড়ে রক্ত বের করার চেয়ে বেশির ভাগ সময় রেজর বা অন্য কোন কিছু দিয়ে চামড়া কাটেন। সেখান দিয়ে যখন রক্ত প্রবাহিত হয় তিনি তখন তা পান করেন। এ নেশা সম্পর্কে তিনি সতর্ক করেছেন। বলেছেন, এ নেশা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বিপদ। জামায়েল বাদে অন্য কেউ যদি রক্ত পান করতে দেয় তাহলে তাতেও তার কোন আপত্তি নেই। তবে প্রতি সপ্তাহে তিনি একবার জামায়েলের রক্ত পান করে তৃপ্ত হন। কনডন বলেন, যখনই আমি তার রক্ত পান করতে চাই তখন তাতে কোন আপত্তি করে না সে। সে যেন নিজেকে আমার কাছে সমর্পণ করে দিয়েছে।

সুজাই কি বিশ্বের সবচেয়ে বয়সী মানুষ!

দাবি যদি সত্যি হয় তাহলে ব্রাজিলের জোয়াও হোয়েলহো ডি সুজা বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ। ব্রাজিলের সরকারি কিছু কর্মকর্তা তার কিছু ছবি প্রকাশ করেছে। সঙ্গে তার জন্ম সনদও প্রকাশ করা হয়েছে। সে অনুযায়ী তার জন্ম ১৮৮৪ সালের ১০ই মার্চ। এ দাবি যাচাই করা হয়নি কোন স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে। তবে তার দাবি সত্যি হলে সুজার এখনকার বয়স ১৩১ বছর। বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ হলেন ইয়াসুতারো কোইডি। তার চেয়ে ১৯ বছরের বড় সুজা। ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি বয়সী মানুষ ছিলেন জোনি কালমেন্ট। তার চেয়ে সুজা ৯ বছরের বড়। এই বয়সী মানুষটি থাকেন এক্রে রাজ্যে। সেখানকার মেরুওকা শহরে তার জন্ম। এ শহরটি এক্রে থেকে ২০০০ মাইল পূর্বে। মি. ডি সুজার মেয়ে বলেছেন, বিশেষজ্ঞরা তার সব প্রমাণপত্র যাচাই করেছে। সরকারি এক কর্মী নিয়মিত তাকে দেখতে যান, তিনি কেমন আছেন। তার পেনশনের টাকাটাও পৌঁছে দেয়া হয়। তারাই এখন রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করেছেন যে, মি. সুজাকে গিনেস বুক অব রেকর্ডে ঠাঁই করে দেয়ার ব্যবস্থা নিতে। ব্রাজিলের পত্রিকাগুলো বলছে, তিনি এখন বসবাস করছেন ৬২ বছর বয়সী এক স্ত্রীর সঙ্গে। সঙ্গে আছে ১৬ বছর বয়সী এক নাতনী। সুজার এক মেয়ের নাম সিরলেনে সুজা। তার বয়স ৩০ বছর। এর অর্থ যখন সিরলেনে জন্মগ্রহণ করেন তখন তার পিতা সুজার বয়স ছিল ১০১ বছর। 

তাইওয়ানের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন সাই

তাইওয়ানে প্রথমবারের মতো নারী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন সাই ইং-ওয়েন। ক্ষমতাসীন কেএমটি দলের প্রার্থী এরিক চু পরাজয় মেনে নিয়েছেন। এ খবর দিয়েছে অনলাইন আল জাজিরা। এতে বলা হয়েছে, প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির প্রার্থী। গতকাল নির্বাচন শেষে অধেকের বেশি ভোট গণনায় দেখা গেছে তিনি শতকরা ৫৮ দশমিক এ ভাগ ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। তাইওয়ানের এফটিভি এ বিষয়ে পোলিং স্টেশন থেকে সরাসরি ফল সম্প্রচার করছিল। তাতে দেখা যায়, সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় শতকরা ৩২ দশমিক ৫ ভাগ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন এরিক চু। বর্ষীয়ান রক্ষণশীল দল পিপল ফার্স্ট পার্টির প্রার্থী জেমস সুং শতকরা ৯ দশমিক ৪ ভাগ ভোট পেয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন। চীনপন্থি দল কেএমটি তাইওয়ানে ক্ষমতায় ছিল গত আট বছর। তার ইতি ঘটালেন সাই। পার্লামেন্টেও যদি ডিপিপি পার্টি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে তাহলে সাই জোরালো ম্যান্ডেট পাবেন।

আইএস সন্দেহে মালয়েশিয়ায় আটক ৪

কট্টরপন্থি সংগঠন আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহে চার জনকে আটক করেছে মালয়েশিয়া। উদ্ধার করা হয়েছে আইএস গ্রুপের কিছু ডকুমেন্ট ও অস্ত্র। মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান খালিদ আবু বকর এ কথা বলেছেন গতকাল। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। এতে আরও বলা হয়, প্রতিবেশী দেশ ইন্দোনেশিয়ায় ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর মুসলিম প্রধান মালয়েশিয়া রয়েছে উচ্চ সতর্কতায়। খালিদ আবু বকর এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, শুক্রবার একটি ট্রেন স্টেশন থেকে এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে দুর্নীতি বিরোধী ইউনিট ই৮ সিকে। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে আইএস ডকুমেন্ট ও অস্ত্র। ওই ট্রেন স্টেশনটি পেট্রোনাস টাওয়ারের কাছেই। সেখানে রয়েছে বিদেশীদের বেশ কিছু শপিং মল। পরে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থার সহকারী পরিচালক আয়ুব খান মাইদিন পিচটে নিশ্চিত করেন তারা সন্দেহজনক ওই ব্যক্তির বাসভবন থেকে একটি ছুরি ও আইএস সংশ্লিষ্ট বেশ কিছু ডকুমেন্ট উদ্ধার করেছেন। এক বিবৃতিতে খালিদ বলেছেন, আটক ওই ব্যক্তি ২৮ বছর বয়সী মালয়েশিয়ান। সে আত্মঘাতী একটি হামলার পরিকল্পনা করছিলেন। এ কথা সে স্বীকার করেছেন। হামলা চালানোর জন্য সিরিয়া থেকে আইএসের নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছিল সে। পুলিশ প্রধান আরও বলেছেন, ১১ই জানুয়ারি আইএস সংশ্লিষ্ট সন্দেহে তিন মালয়েশিয়ানকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে তুরস্ক থেকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়। প্রথমে তাদেরকে তুরস্কে আটক করা হয়েছিল। কারণ, তারা সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়া গিয়ে আইএসে যোগ দেয়ার পরিকল্পনা করেছিল তারা। এ সপ্তাহে স্থানীয় মিডিয়া খবর দিয়েছে যে, মালয়েশিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি সুপার মার্কেটে অস্ত্রের ভয় দেখিয়েছিল ১৬ বছর বয়সী একটি বালক। সে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য বলে মনে করা হয়। খালিদ আবু বকর বলেন, তদন্তে দেখা যায়, ওই বালকটি সামাজিক মিডিয়ার মাধ্যমে আইএসে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ হয়ে ওঠে।

বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানাতে চীনে চালু হলো এআইআইবি

বিশ্বব্যাংকের আদলে একটি আন্তর্জাতিক ব্যাংক উদ্বোধন করেছে চীন। এর নাম এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি)। এর সদস্য সংখ্যা ৫৭টি দেশ। গতকাল এসব দেশের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বিশ্বব্যাংককে চ্যালেঞ্জ জানাতে এ ব্যাংক সৃষ্টি করা হয়েছে। কেউ বা একে চীনের বিশ্বব্যাংক বলে আখ্যায়িত করছেন। নিক্কি এশিয়ান রিভিউ বলেছে, ব্যাংকটি উদ্বোধন করে সি জিনপিং বলেছেন, তার দেশের প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ ব্যাংক উদ্বোধন করা হয়েছে। এ ব্যাংক আন্তর্জাতিক অনেক দায়িত্ব তাদের কাঁধে তুলে নেবে। ২০০৩ সালের অক্টোবরে প্রথম এআইআইবির প্রস্তাব করা হয়েছিল। এর সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশীদার হয়েছে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য সহ আরও অনেক দেশ। তবে এতে যুক্ত হয় নি যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান। বলা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ জানাবে এআইআইবি। তার মাধ্যমে এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অবকাঠামো উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা দেবে এ ব্যাংক। নতুন এ ব্যাংকের প্রাথমিক মূলধনের পরিমাণ ১০ হাজার কোটি ডলার। এর সদর দপ্তর বেইজিংয়ে। আইনগতভাবে এটির অস্তিত্ব গণনা করা হচে ২৫শে ডিসেম্বর থেকে। এতে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সহায়তা দেবে চীন। তাদের থাকবে ভোটাধিকার প্রয়োগের শতকরা ২৬ ভাগ অধিকার। এ ব্যাংকের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বৃহৎ অংশীদার হলো ভারত ও রাশিয়া। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এ ব্যাংক মহাসড়ক, বিদ্যুত গ্রিড, পানি ব্যবস্থাপনা ও এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা দিয়ে যাবে। এআইআইবি’র প্রথম প্রেসিডেন্ট বানানো হয়েছে জিন লিকুনকে। তিনি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেছেন, এ অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক অগ্রগতিতে কাজ করবে এ ব্যাংক। ব্যাংকের প্রথম পরিচালনা পরিষদ ও নির্বাহী পরিষদের বৈঠক বসবে আগামীকাল সোমবার।

Tuesday, January 12, 2016

পাকুন্দা থেকে নাসা : রুবাব খানের বিশেষ সাক্ষাৎকার

যে কোনো ক্ষেত্রে সফলতার জন্য চাই কঠোর পরিশ্রম। নাসায় অন্য অনেকের পাশে কাজ করার সুযোগ পেয়ে নিজেকে একজন বাংলাদেশি হিসেবে গর্বিত মনে করছি। কথাগুলো বললেন সূর্যের চেয়ে কয়েক শ গুণ বড় ৫টি নক্ষত্রের আবিষ্কারক রুবাব খান। বুধবার তিনি আমেরিকান অ্যাস্ট্রোনোমিক্যাল সোসাইটিতে গবেষণালব্ধ তথ্য তুলে ধরেন। এ বিষয়ে দৈনিক মানবজমিনকে ই-মেইলে দেয়া একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুবাব খান।

Details here. Click please: http://www.mzamin.com/details.php?mzamin=MTEwNTg3&s=Mg==

Monday, January 11, 2016

অন্য আলো

 http://www.golpokobita.com/golpokobita/article/11561/10617
মোহাম্মদ আবুল হোসেন
 কনকনে ঠাণডায় হিম হয়ে আছে চারদিক। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে প্রকৃতি। বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঠাণডা বাতাস হু হু করে বইছে। তাতে গায়ের কাঁথা যেন ভিজে উঠছে। একটু ওম পাওয়ার জন্য কাচুমাচু হয়ে, হাঁটু ভেঙে গোল হয়ে শুয়ে আছে রেজা, রেখা আর অন্তরা। তিন ভাইবোন। গরিব পিতামাতা করিম আর আয়েশার তিন সন্তান। তাদের এই কড়া শীতেও শীতের কাপড় জোটেনি। তাই যতক্ষণ এই কাঁথার ভিতর শরীরটাকে সেঁধিয়ে রাখা যায় ততক্ষণই স্বস্তি। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছে ওই প্রকৃতির ডাক। যত ঠাণডাই পড়ুক, যতই বাতাস প্রবাহিত হোক, যতই আধার থাকুক, এই ডাককে উপেক্ষা করার উপায় নেই কারো। তাই বাধ্য হয়েই কাঁথার ভিতর থেকে পপাই কার্টুনের মতো বহু কষ্টে নিজের শরীরটাকে বের করে রেজা। তড়িঘড়ি ছুটে যায় পালানে।
 বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন: http://www.golpokobita.com/golpokobita/article/11561/10617

Monday, January 4, 2016

বাংলাদেশী সুজনের আইএস কানেকশন, লাখ লাখ পাউন্ড পাচার, মধ্যস্থতায় বাংলাদেশের আইএস নেতা

আইসিস বা ইসলামিক স্টেট (আইএস) নেতা সাইফুল হক সুজন একজন বাংলাদেশী। পুলিশ সন্দেহ করছে, তিনি বৃটেনে অবস্থান করেই হাজার হাজার পাউন্ড পাচার করেছেন আইএসের কাছে। এক্ষেত্রে তিনি ও তার পরিবার জড়িত। শুধু এক ব্যবসায়ী সহযোগী আবদুল সামাদের মাধ্যমে বৃটেন থেকে প্রায় ৪ কোটি টাকা সিরিয়ায় আইসিস গোষ্ঠীর কাছে পাচার করেছেন। এতে বাংলাদেশে স্থানীয় এক আইএস নেতার মধ্যস্থতা নিয়েছেন তারা। এ ছাড়া বৃটিশ এক কিশোরীকে ‘জিহাদী ব্রাইড’ বানাতেও তাকে অর্থ দিয়েছেন সুজনের এই ব্যবসায়ী সহযোগী। গতকালও বৃটেনের প্রভাবশালী ডেইলি মেইল একটি প্রতিবেদনে এসব কথা বলেছে। এতে বলা হচ্ছে সুজনের এই আইএস কানেকশনে যুক্ত তার স্ত্রী সায়মা আকতার (২৮), পিতা আবুল হাসানাত (৭০), ভাই আহসানুল হক গালিব (১৫), ব্যবসায়ী সহযোগী আবদুল সামাদ (২৪)। গত ১০ই ডিসেম্বর সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় মারা যান সাইফুল হক সুজন। এর আগে সুজন অর্থ পাচারে বৈশ্বিক পর্যায়ে একটি চক্র গড়ে তোলেন আইএসের জন্য। তা করতে ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করেছেন বৃটিনকে। যখন সিরিয়ায় গিয়ে পুরোপুরিভাবে আইএসের হয়ে কাজ করেন তখন তিনি এ গোষ্ঠীর সাইবার অপারেশন দেখাশোনা করতেন। বিভিন্ন ওয়েবসাইট বা ইমেইল হ্যাক করতেন। সুজন যখন যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় সিরিয়ায় নিহত হন তখন বলা হয়েছিল, সুজন বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত একজন বৃটিশ নাগরিক। কিন্তু তিনি বৃটিশ নাগরিকত্ব পান নি। স্টুডেন্ট ভিসায় পড়াশোনা করতে গিয়েছিলেন সেখানে। ২০১৪ সালে তার ভিসা নবায়নের আবেদন প্রত্যাখ্যান করে বৃটেন। এরপরেই তিনি বাংলাদেশ হয়ে চলে যান তুরস্কে, তারপর সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়ায়। সেখানে তিনি মারা যাওয়ার পর আস্তে আস্তে বেরিয়ে আসছে ভয়াবহ সব কর্মকা-ের খবর। বলা হচ্ছে, সুজন সিরিয়ায় টাকা পাচার করার ক্ষেত্রে ঢাকায় তার পরিবারকে ব্যবহার করতেন। প্রথমে টাকা পাঠাতেন পরিবারের সদস্যদের কাছে। সেখান থেকে তা স্থানীয় আইএস নেতার মাধ্যমে চলে যেত সিরিয়ায় আইসিস বা আইএসের হাতে। বাংলাদেশের পুলিশ সন্দেহ করছে, সুজন ও তার পরিবার এভাবে হাজার হাজার পাউন্ড প্রথমে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় আইএস নেতাদের কাছে হস্তান্তর করতেন। সেই অর্থ পরে পাচার করা হতো সিরিয়ায়। ওদিকে যুক্তরাজ্যে সাউথ ওয়েলসের নিউপোর্টে সুজনের ২৪ বছর বয়সী ব্যবসায়ী সহযোগী আবদুল সামাদের বাড়ি গোয়েন্দারা ঘেরাও করে ১০ই ডিসেম্বর। উল্লেখ্য, সুজন ও তার স্ত্রী সায়মা আকতার যুক্তরাজ্যে ২০০৬ সালে ইব্যাকস নামে একটি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরিচালক করা হয় সামাদকে। পরে ইব্যাকসের নাম পাল্টে নতুন নাম দেয়া হয় ইব্যাকসটেল। এই সামাদকে আটক করে ম্যানচেস্টারে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা। কিভাবে ইব্যাকসটেল যুক্তরাজ্য থেকে ঢাকায় অর্থ পাঠাতো তা জানতে চেয়েছেন তারা। এ ছাড়া ১৫ বছর বয়সী একটি বৃটিশ কিশোরীকে আইএস নিয়ন্ত্রিত মধ্যপ্রাচ্যে নিতে তার বিমান ভাড়া বাবদ ইব্যাকসটেলের তহবিল থেকে ৫০০ পাউন্ড দিয়েছেন সামাদ । এ বিষয়েও গোয়েন্দারা জানতে চেয়েছে তার কাছে। ওই কিশোরীকে অর্থ দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যে নেয়া হয়েছে ‘জিহাদী ব্রাইড’ বা জিহাদীদের পাত্রী হিসেবে যোগান দেয়ার জন্য। অর্থ পেয়ে ওই কিশোরী প্রথমে তুরস্কের ফ্লাইটে ওঠে। এরপর একটি কোচে করে চলে যায় সিরিয়া সীমান্তে। গত মার্চে আবদুল সামাদকে জামিন দেয়া হয়। ওদিকে গত মাসে ঢাকায় বাংলাদেশী পুলিশ সুজনের পিতা আবুল হাসানাত (৭০) ও ভাই আহসানুল হক গালিব (১৫)কে গ্রেপ্তার করে। অভিযোগ আছে ইব্যাকসটেল থেকে আবুল হাসানাত ৩ লাখ ৩৩ হাজার পাউন্ড (প্রায় চার কোটি টাকা) পেয়েছেন। পুলিশ বিশ্বাস করছে এই অর্থ প্রথমে স্থানীয় একজন আইএস নেতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এই অর্থ সিরিয়ায় পাঠিয়ে দিয়েছে ওই আইএস নেতা। আবুল হাসানাত ও তার ছেলে আহসানুল হক গালিব জেলে রয়েছেন। আদালতের ডকুমেন্টে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে জন্মগ্রহণকারী সাইফুল হক সুজন স্টুডেন্ট ভিসায় ২০০৩ সালে বৃটেনে চলে যান। সেখানে গিয়ে কার্ডিফে থিতু হন। পরে ২০০৫ সালে স্ত্রী সায়মা আকতারকে নিয়ে যান নিজের কাছে। সুজন সেখানে সাউথ ওয়েলস ইউনিভার্সিতে একটি কম্পিউটার কোর্স করতে থাকেন। ২০০৬ সালে এই দম্পতি ইব্যাকস নামে একটি আইটি ফার্ম প্রতিষ্ঠা করেন। তারা কিভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তা যৌথভাবে তদন্ত করছে ওয়েলস এবং ম্যানচেস্টারের সন্ত্রাস বিরোধী কর্মকর্তারা। এক পর্যায়ে সুজন ও সায়মার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। তারা ভিসা নবায়নের আবেদন করেন। কিন্তু ২০১৪ সালের এপ্রিলে তাদের সেই আবেদন প্রত্যাখ্যাত হয়। ওই বছরই জুলাই মাসে তারা যুক্তরাজ্য ত্যাগ করেন। বন্ধুদের বলে আসেন যে, তারা বাংলাদেশে ফিরে আসছেন। কিন্তু ঢাকা পৌঁছার এক মাসের মধ্যে এই দম্পতি ও তাদের দুটি ছেলে ঢাকা ত্যাগ করেন। পরিবারের সদস্যদের বলেন যে, তারা যুক্তরাজ্যে ফিরে যাচ্ছেন। গোয়েন্দারা মনে করছেন ওই সময়েই তারা বিমানে করে তুরস্কে যান এবং সীমান্ত পেরিয়ে সিরিয়া পৌঁছেন। সেখানে জুনায়েদ হোসেন (২১) নামে এক বৃটিশ নাগরিক আগস্টে মারা যাওয়ার পর আইএসের সাইবার অপারেশনের দায়িত্ব পান সাইফুল হক সুজন। ওদিকে সুজনের পরিবার বলছে, সুজনের স্ত্রী সায়মা আকতার এখনও সিরিয়ার রাকায় অবস্থান করছেন। এই রাকাকে সিরিয়ায় আইএসের রাজধানী হিসেবে ধরা হয়। তাহলে আবদুল সামাদকে কেন গ্রেপ্তার করা হয়েছে? এমন প্রশ্নের হবাবে গ্রেটার ম্যানচেস্টার পুলিশ বলেছে, এটা ব্যাপক একটি সন্ত্রাস বিরোধী অনুসন্ধানের অংশ। এর বেশি মন্তব্য করতে পারবো না আমরা।

পাকিস্তানের কাndo

পাকিস্তানে সেন্সরের কবলে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। পত্রিকাটি বাংলাদেশের ব্লগারদের নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনের স্থানটি ফাঁকা রাখা হয়। এ খবর দিয়েছে যুক্তরাজ্যের দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট। এতে বলা হয়, নিউ ইয়র্ক টাইমসের শনিবারের আন্তর্জাতিক সংস্করণে বাংলাদেশের ব্লগারদের নিয়ে প্রতিবেদন বেরিয়েছিল। কিন্তু তা ছিল হাওয়া হয়ে যায় পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত পত্রিকাটির সংস্করণে। সেখানে প্রথম পৃষ্ঠার ওই অংশটি ফাঁকা রাখা হয়। এ ঘটনায় নিউ ইয়র্ক টাইমস বলেছে, প্রতিবেদনটি পাকিস্তানে আমাদের প্রকাশনার সহযোগী প্রতিষ্ঠানটি সরিয়ে ফেলেছে। সরিয়ে ফেলার বিষয়ে ইন্টারন্যাশনাল নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং এর সম্পাদকীয় বিভাগের কোনো ভূমিকা নেই। ‘বাংলাদেশের ব্লগাররা বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে’ শিরোনামে নিউ ইয়র্ক টাইমসের অন্যতম ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক জশুয়া হ্যামারের প্রতিবেদনটি পত্রিকাটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের প্রথম পৃষ্ঠার নিচের অংশে প্রকাশিত হয়। ইন্ডিপেন্ডেন্ট তাদের খবরের শিরোনাম করেছে, নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তান সংস্করণ ‘সেকুলার ব্লগারদের নৃশংস হত্যাকা-ের নিবন্ধটি সরিয়ে ফেলেছে; ফাঁকা রয়েছে পত্রিকাটির প্রথম ও দ্বিতীয় পৃষ্ঠা। নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাকিস্তানি প্রতিনিধি নিবন্ধটি ছাড়া ও নিবন্ধটিসহ পত্রিকাটির দুটি কপির ছবি নিয়ে টুইট করেছে। প্রতিবেদনে হ্যামার বাংলাদেশে ব্লগারের ওপর নৃশংস হামলা ও তাদের কয়েকজনকে হত্যার উপর আলোকপাত করেন; যারা লিঙ্গ সমতা, মানবাধিকার ও নাগরিক স্বাধীনতার পক্ষে লেখালেখি করছেন এবং ইসলামপন্থিদের সঙ্গে অনলাইনে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রতিবেদনে ব্লগার আসিফ মহীউদ্দীনকে তার মুক্ত চিন্তা, দৃষ্টিভঙ্গি ও সেকুলার ব্লগিংয়ের জন্য হুমকির মুখে দেশ ছাড়ার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানে ব্লাসফেমি আইন কার্যকর, ধর্ম নিন্দার যে কোনো ঘটনায় এই আইনে মৃত্যুদ-ের বিধান রয়েছে। আসিফ মহীউদ্দীনের উপর হামলার পর বাংলাদেশে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ২০১৩ সালে। এরপর দুই বছরে অভিজিৎ রায়, অনন্ত বিজয় দাশ, ওয়াশিকুর রহমান বাবু, নিলয় নীল এবং সবশেষ তিন মাস আগে প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এই সব হত্যাকা-ে কট্টরপন্থিরা জড়িত বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে উঠে এসেছে। গ্রেপ্তার কয়েকজন স্বীকারোক্তিতে বলেছেন, ব্লগারদের ‘ইসলামবিরোধী’ হিসেবে বিবেচনা করে তারা হত্যাকা-ে প্ররোচিত হয়েছিলেন। 

রাজনাথ সিং বললেন স্পর্শকাতর সীমান্ত বন্ধ করে দেবে ভারত

ভারত-বাংলাদেশের স্পর্শকাতর সীমান্ত বন্ধ করে দেবে ভারত। তা করা হবে এ বছরের মধ্যেই। গতকাল এ কথা বলেছেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি দু’দিনের জন্য আসাম সফরে গিয়েছেন। রোববার তিনি সেখানে পৌঁছার পর করিমগঞ্জ জেলার স্টিমারঘাত সীমান্ত পোস্ট (বিওপি) পরিদর্শন করেন। এখানে তিনি বলেন, স্পর্শকাতর সীমান্ত ২০১৬ সালের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হবে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা আইএএনএস। এতে বলা হয়, রাজনাথ সিং বলেছেনÑ স্পর্শকাতর সীমান্ত অনেক আগেই বন্ধ করে দেয়া উচিত ছিল। এ সফরে তার সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল, বিজেপির কিছু নেতা ও অল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন (এএএসইউ)-এর একটি প্রতিনিধি দল। সীমান্ত চৌকি পরিদর্শনের সময় তার সঙ্গে ছিলেন এএএসইউ-এর প্রধান উপদেষ্টা সমুজ্বল ভট্টাচার্য্য, সভাপতি দিপক নাথ ও সাধারণ সম্পাদক লুরিনজ্যোতি গগৈ। গত বছরের আগস্টে এএএসইউ-এর আয়োজনে নয়া দিল্লিতে একটি সেমিনারে অংশ নিয়েছিলেন রাজনাথ সিং। ওই সেমিনারটি ছিল আসাম চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে। সেখানে রাজনাথ সিং কথা দিয়েছিলেন যে, তিনি এএএসইউয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত পরিদর্শনে যাবেন। সীমান্ত এলাকা থেকে গোয়াহাটি ফিরে গতকালই করিমগঞ্জে একটি জনসভায় বক্তব্য দেয়ার কথা রাজনাথ সিংয়ের। সন্ধ্যায় গোয়াহাটিতে ব্রহ্মপুত্র স্টেট গেস্ট হাউজে রাজ্যের সুপরিচিত বুদ্ধিজীবীদের সঙ্গে তার সাক্ষাতে বসার কথা। আজ তিনি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের ধুবরি সেক্টর পরিদর্শনে যাবেন। সঙ্গে থাকবেন এএএসইউ-এর প্রতিনিধিরা। তারা সফরের সময় মন্ত্রীকে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করবেন। এরপর নয়া দিল্লিতে ফেরার আগে একটি জনসভায় তার বক্তব্য রাখার কথা। এএএসইউয়ের সভাপতি দিপক নাথ বলেন, গত বছর নয়া দিল্লিতে একটি সেমিনারে আন্তর্জাতিক সীমান্ত আমাদেরকে নিয়ে পরিদর্শনের কথা দিয়েছিলেন। তিনি সেই কথা রাখতে আসাম এসেছেন। আমরা করিমগঞ্জ জেলায় উন্মুক্ত আন্তর্জাতিক সীমান্ত তাকে দেখিয়েছি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমাদেরকে নিশ্চয়তা দিয়েছেন যে, এ বছরের মধ্যে স্পর্শকাতর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হবে। এ বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে জানানো হয়েছে।  

বাংলাদেশী অপহরণকারীর পরিকল্পনা নস্যাৎ মালয়েশিয়ায়

বাংলাদেশী দুই অপহরণকারীর পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। ধরা পড়ে তাদের একজন। বাংলাদেশী যে অপহরণকারীকে তারা আটক করেছে তাদের নাম, ঠিকানা প্রকাশ করা হয় নি। গতকাল এ খবর দিয়েছে মালয়েশিয়ার বার্তা সংস্থা বারনামা। এতে বলা হয়েছে, কোটা টিঙ্গি এলাকায় একটি সুপারমার্কেট থেকে ইসমাইল আইয়ুব খান নামে এক রোহিঙ্গাকে অপহরণ করে ওই দুই বাংলাদেশী। এরপর তারা মুক্তিপণ দাবি করে। এ বিষয়ে শুক্রবার কোটা টিঙ্গি পুলিশে অভিযোগ করা হয়। ফলে পুলিশও ছদ্মবেশ ধরে। তারা ট্যাক্সিচালক সেজে অভিযানে নামে। মুক্তিপণের ৫০০০ রিঙ্গিত ও স্বর্ণালংকার নিয়ে অপহৃত রোহিঙ্গার ১১ বছর বয়সী ছেলে একটি ট্যাক্সিতে চড়ে। এ সময় ট্যাক্সির চালক সাজেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আর একজন পুলিশ সদস্য ট্যাক্সির পিছনে সিটের আড়ালে লুকিয়ে থাকেন। রোহিঙ্গা ইসমাইল আইয়ুব খানের ছেলে অর্থ ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ঘটনাস্থলে গেলে দুই অপহরণকারী তাতে চড়ে বসে। এ সময় পুলিশ তাদের একজনকে ধরে ফেলে। পালিয়ে যায় আরেকজন। ওদিকে অপহরণের রাতে ইসমাইল আইয়ুব খান (৩৪) তার দোকান বন্ধ করেন রাত আটটার দিকে। এরপরই তার সামনে হাজির হয় বাংলাদেশী দুই ব্যক্তি। কোটা টিঙ্গি পুলিশ প্রধান রহমত ওথম্যান বলেন, দুই অপহরণকারীই ইসমাইলের কাছে মুক্তিপণ দাবি করে। তার ট্যাক্সিকে তামান পাসাক ইনডাহ পর্যন্ত চালিয়ে নিতে বাধ্য করে। যখন তারা একটি একটি পামওয়েল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছে তখন তারা ইসমাইলকে বেঁধে ফেলে। এরপর তারা ইসমাইলের স্ত্রীকে ফোন করে ১০ হাজার রিঙ্গিত মুক্তিপণ দাবি করে। কিন্তু ৫ হাজার রিঙ্গিতে সমঝোতা হয়। সঙ্গে স্বর্ণালংকারও দেয়ার কথা হয়। এরপর অপহরণকারীরা ইসমাইলের স্ত্রীকে বলে অর্থ ও স্বর্ণালংকার তার বড় ছেলের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে। যদি তা না হয় তাহলে তারা ইসমাইলকে হত্যার হুমকি দেয়। 

মানিক সরকার বললেন এখনও বাংলাদেশে ভারতীয় সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি রয়েছে

এখনও বাংলাদেশের ভেতরে বিদ্যমান রয়েছে ভারতীয় সন্ত্রাসীদের ক্যাম্প। এ অভিযোগ করেছেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার। তিনি বলেন, আমরা জানি যে, এখনও প্রতিবেশী বাংলাদেশে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিদের (মিলিট্যান্টস) ১৬ থেকে ১৯টি ক্যাম্প রয়েছে। তবে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার সেখানে এদেরকে উৎসাহিত করে না। উল্টো তারা পদক্ষেপ নিচ্ছে, যাতে এসব সন্ত্রাসী বাংলাদেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। গতকাল এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএনআই। এতে বলা হয়, আগরতলায় গতকাল এ বছরের পুলিশ সপ্তাহ উপলক্ষে পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন মানিক সরকার। এখানে তিনি আরও বলেন, সীমান্তের প্রত্যন্ত অঞ্চলে, বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর অনুপস্থিতির সুবিধা নিচ্ছে ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। আমরা এটা বলতে পারি না যে, আমাদের রাজ্য থেকে বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিদের পুরোপুরি নির্মূল করে দিতে সফল হয়েছি। এর কারণ, এখনও আমাদের রাজ্যে রয়েছে কিছু গোপন আস্তানা। মাঝে মাঝে বাংলাদেশের নিরাপত্তা রক্ষাকারী বাহিনীর চাপের কারণে এসব বিচ্ছিন্নতাবাদী বা জঙ্গিরা অস্থায়ীভাবে তাদের আস্তানা সরিয়ে নেয়। নিরাপত্তা রক্ষীরা সরে গেলে তারা আবার ফিরে যায় আগের অবস্থানে। এই লুকানো ও তাদেরকে ধরার চেষ্টা চলছেই। এ বিষয়টিতে আমরা অবগত। তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকা- এখন সারা বিশ্বে বাড়ছে। তারা অনেক জাতিকে টার্গেটে পরিণত করেছে। এর সর্বশেষটা দেখা গেছে প্যারিসে। এখন এই গোষ্ঠী সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ার চেষ্টা করছে। আমাদের রাজ্যে এ তৎপরতায় জড়িত কিছু যুবক, যাদেরকে সন্ত্রাসের ভুলপথে পরিচালিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমাদের নজরদারি করতে হবে। একই সময়ে আমরা জানি যে, এই সন্ত্রাসী গ্রুপগুলো শান্তি, উন্নয়ন ও এ রাজ্যের ঐক্য নষ্ট করতে পারবে না। এ জন্য নিরাপত্তা রক্ষাকারীদের আরও সজাগ হতে হবে।

ফায়ারিং স্কোয়াড সৌদি আরবে ১ দিনে ৪৭ মৃত্যুদ- কার্যকর

একই দিনে শিয়া মতাবলম্বী একজন ধর্মীয় নেতা সহ ৪৩ জনের শিরñেদ করা হয়েছে সৌদি আরবে। এ ছাড়া ওই দিনেই ফায়ারিং স্কোয়াডে মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয়েছে ৪ জনের। এ নিয়ে গতকাল শনিবার শিরñেদ ও ফায়ারিং স্কোয়াডে হত্যা করা হলো মোট ৪৭ জনকে। এর মধ্যে রয়েছে আল কায়েদার কয়েকজন সদস্য। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে ইরান। ইরানের শীর্ষ এক ধর্মীয় নেতা সতর্ক করে দিয়েছেন সৌদি আরবকে। তিনি বলেছেন, ইতিহাসের পাত থেকে মুছে দেয়া হবে ক্ষমতাসীন আল সাউদ পরিবারকে। ওদিকে ইয়েমেনের হুতি গ্রুপ নিমরকে ‘শহীদ’ বলে বর্ণনা করেছেন। লেবাননের যোদ্ধা গোষ্ঠী হেজবুল্লাহ বলেছে, এর মাধ্যমে রিয়াদ বড় একটি ভুল করেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর দিয়ে বলেছে, এর বেশির ভাগই সৌদি আরবে আল কায়েদার হামলায় জড়িত থাকার দায়ে অভিযুক্ত। তারা এক দশক আগে এ হামলা চালিয়েছিল। তবে এর মধ্যে শিয়া মতাবলম্বী ধর্মীয় নেতা নিমর আল নিমর সহ চারজন সাম্প্রতিক সময়ে সরকার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের ওপর গুলি করার দায়ে অভিযুক্ত। সৌদি আরবের ১২টি শহরে এসব শিরñেদ করা হয়। সেখানে চারজনকে ফায়ারিং স্কোয়ারে হত্যা করা হয়। বাকিদের করা হয় শিরñেদ। শরিয়া আইন অনুযায়ী, সবচেয়ে ভয়াবহ শাস্তি হিসেবে মৃতদেহগুলো ফাঁসিকাষ্ঠ থেকে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার পর পরই সৌদি আরবের প্রধান আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী ইরান নিন্দা জানিয়েছে। বিশেষ করে ধর্মীয় নেতা নিমরকে হত্যা করায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে তারা। ওদিকে, স্থানীয় অধিবাসীরা বলছেন, বড় ধরনের প্রতিবাদ বিক্ষোভের আশঙ্কায় শিয়া অধ্যুষিত প্রদেশগুলোতে সৌদি আরবের পুলিশ কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সৌদি আরবে একসঙ্গে এতগুলো মৃত্যুদ- কার্যকরের ঘটনা অনেক বছর ধরে ঘটে নি। এর আগে সর্বশেষ ১৯৮০ সালে হত্যা করা হয়েছিল ৬৩ জন কট্টরপন্থি বিদ্রোহীকে, তারা ১৯৭৯ সালে মক্কায় গ্রান্ড মসজিদ দখল করেছিল। গতকাল যে ৪৭ জনের মৃত্যুদ- কার্যকর করা হয় তার মধ্যে ৪৩ জন সুন্নি মতাবলম্বী কট্টরপন্থি। এর মধ্যে কিছু আছে আল কায়েদার পরিচিত নেতা। তারা ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে পশ্চিমা বিভিন্ন অফিস, সরকারি ভবন, কূটনৈতিক মিশনে হামলা চালিয়ে কয়েক শত মানুষকে হত্যা করেছিল। অন্যদিকে নিহতদের মধ্যে নিমর সহ চারজন শিয়া রয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা ২০১১ থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ প্রতিবাদের সময় কাতিফে গুলি ও পেট্রোল বোমা হামলা করে বেশ কিছু পুলিশকে হত্যা করেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইস্টার্ন প্রদেশের কাতিফ জেলায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে সৌদি আরব পুলিশ। ওদিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, নিমরের মৃত্যুদ- কার্যকর করার পর বেশ কিছু মানুষ বিক্ষোভ করেন বাহরাইনে। এ সময় বাহরাইনের পুলিশ তাদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। মৃত্যুদ- কার্যকর নিয়ে সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে একটি বিবৃতি দেয়া হয়। সরকারি অন্যান্য মিডিয়া, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় মৃত্যুদ- কার্যকর করা ব্যক্তিদের নাম ও তাদের অপরাধের ধরন প্রকাশ করে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিরাপত্তা বিশ্লেষণকারী মুস্তাফা আলানি বলেন, এসব ব্যক্তির শাস্তি কার্যকরের জন্য সরকারের ওপর বড় ধরনের চাপ ছিল।

Friday, January 1, 2016

অস্থির সময়, শূন্য ভালবাসা


  http://golpokobita.com/golpokobita/article/11561/10579
অস্থির সময়, শূন্য ভালবাসা
একবুক হাহাকার শূন্যতা চারদিক
এমনই শূন্যতায় কেটেছে কত যে শীত, ফাগুন
কত যে জ্বলেছে আগুন
কত যে বাণ ডেকেছিল মনে
কিছু তার ধরে রাখিনি।
(উপরের লিংকে ক্লিক করুন। ভোট দিন। মন্তব্য করুন।)

অন্য আলো (গল্প)

golpokobita.com/golpokobita/article/11561/10617 

 কনকনে ঠাণডায় হিম হয়ে আছে চারদিক। কুয়াশার চাদর মুড়ি দিয়ে ঘুমাচ্ছে প্রকৃতি। বেড়ার ফাঁক দিয়ে ঠাণডা বাতাস হু হু করে বইছে। তাতে গায়ের কাঁথা যেন ভিজে উঠছে। একটু ওম পাওয়ার জন্য কাচুমাচু হয়ে, হাঁটু ভেঙে গোল হয়ে শুয়ে আছে রেজা, রেখা আর অন্তরা। তিন ভাইবোন। গরিব পিতামাতা করিম আর আয়েশার তিন সন্তান। তাদের এই কড়া শীতেও শীতের কাপড় জোটেনি। তাই যতক্ষণ এই কাঁথার ভিতর শরীরটাকে সেঁধিয়ে রাখা যায় ততক্ষণই স্বস্তি। কিন্তু তাতে বাধ সেধেছে ওই প্রকৃতির ডাক। যত ঠাণডাই পড়ুক, যতই বাতাস প্রবাহিত হোক, যতই আধার থাকুক, এই ডাককে উপেক্ষা করার উপায় নেই কারো। তাই বাধ্য হয়েই কাঁথার ভিতর থেকে পপাই কার্টুনের মতো বহু কষ্টে নিজের শরীরটাকে বের করে রেজা। তড়িঘড়ি ছুটে যায় পালানে। সেখানে গিয়েই বসে পড়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই যেন স্বর্গসুখ ধরা দেয় তার কাছে। আহ! এত স্বস্তি। বাড়ি ফিরতে ফিরতে ঘুম থেকে উঠে পড়েছে রেখা, অন্তরা.....

(বিস্তারিত পড়তে ক্লিক করুন নিচের লিংকে। ভোট দিন। মন্তব্য করুন) 

golpokobita.com/golpokobita/article/11561/10617