Sunday, May 13, 2012

ফোনে ডাক্তারকে যৌন হয়রানির অভিযোগ

গাইনির ডাক্তার রজনী জগতাপকে যৌন হয়রানি করেছেন শিবসেনা নেতৃত্বাধীন শ্রমিক ইউনিয়ন মিউনিসিপ্যাল কর্মচারী কামগার সেনা’র সভাপতি সুনীল চিতনিস। এ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছে মুম্বইয়ের রাজাবতী হাসপাতাল। সেখানকার ডাক্তার, কর্মচারীরা এর প্রতিবাদে আন্দোলনে নেমেছেন। একই সঙ্গে ডাক্তার রজনী একটি অভিযোগ দিয়েছেন সাবিত্রি বাই ফুলে গেন্ডার রিসোর্স সেন্টারে। গতকাল এ খবর দিয়েছে ভারতের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড দৈনিক। এতে বলা হয়েছে, ডা. রজনী ওই হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ও অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ইন চার্জ। বুধবার তিনি যখন গাইনি ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করছিলেন, তখন সেই ওয়ার্ড ছিল রোগীতে ঠাসা। ওই সময় বাড়তি ১৫ জন রোগী আসে। তিনি বাধ্য হয়ে তাদের ৫ জনকে পুরুষদের বার্ন ওয়ার্ডের একটি খালি ওয়ার্ডে স্থানান্তর করেন। এর মধ্যে একজন ছিলেন হাসপাতালের রেডিওলজিস্ট অ্যাসিস্টেন্ট টেকনিশিয়ান ভগবান কদমের শাশুড়ি। তাকে পুরুষ ওয়ার্ডে পাঠানোয় ক্ষিপ্ত হন কদম। তিনি ফোন করে অভিযোগ দেন সুনীল চিতনিসকে। শ্রমিক নেতা সুনীল রাত ৪টার দিকে ফোন করেন ডাক্তার রজনীকে। এ সময় তাকে অশ্লীল কথা বলেন। ডাক্তার রজনী বলেছেন, তিনি আমাকে পতিতা বলে গালি দিয়েছেন। এমন কথা শুনেই আমি ফোন কেটে দিয়েছি। তিনি বলেন, আমি তো ওই ৫ রোগীকে পুরুষদের একটি খালি ওয়ার্ডে পাঠিয়েছি। তার আগে তাদের যথাযথ ওষুধ ও রাতের খাবার ব্যবস্থা করেছি। তাদের অবস্থা স্থিতিশীল ছিল বলে এমন ব্যবস্থা নিয়েছি। এ নিয়ে ভগবান কদম আমার সঙ্গে তর্কাতর্কি করেছে। আমি তাকে যতই বোঝাতে গিয়েছি কিছুতেই সে বুঝতে চেষ্টা করেনি। এ ঘটনায় হাসপাতালে যখন আন্দোলন শুরু হয়েছে তখন কদম বলেছে, আমার শাশুড়ির সমপ্রতি একটি অপারেশন হয়েছে। তিনি গাইনি ওয়ার্ডে ছিলেন। এ নিয়ে তাকে তিনবার ওয়ার্ড বদল করা হয়েছে। এ নিয়ে আমি ডাক্তার রজনীর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছি। কিন্তু তিনি আমার কথা শুনেই রেগে গিয়েছেন। কিছুক্ষণ পরেই আমার শাশুড়ির পেটে ব্যথা শুরু হয়। ফলে তিনি যা করেছেন তা ঠিক করেননি। এ বিষয়ে আমি সুনীলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলাম। কিন্তু তিনি ডাক্তার রজনীকে কি বলেছেন তা আমি জানি না। তবে সুনীল বলেছেন, আমি এ নিয়ে ডাক্তার রজনীর সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি অস্বীকৃতি জানান। তিনি যে অভিযোগ এনেছেন তা মিথ্যা। ওদিকে হাসপাতালের সুপারিনটেন্ডেন্ট ডাক্তার সুভাস পয়েকার বলেছেন, আমরা বিষয়টি অনুসন্ধান করে দেখছি।

No comments:

Post a Comment