Thursday, October 4, 2012

হেনরি কিসিঞ্জারের মন্তব্য: ২০২০ সালে ইসরাইলের অস্তিত্বই থাকবে না

যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী, কূটনীতিক হেনরি কিসিঞ্জার ও ১৬টি মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা মনে করে নিকট ভবিষ্যতে ইসরাইলের অস্তিত্ব থাকবে না। নিউ ইয়র্ক পোস্ট তাকে উদ্ধৃত করে সমপ্রতি জানিয়েছে যে, কিসিঞ্জার বলেছেন- আগামী ১০ বছর পর ইসরাইল বলতে কিছুই থাকবে না। অনলাইন প্রেস টিভি ডট আইআর এ খবর দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, কিসিঞ্জারের ওই মন্তব্য একেবারে সাদাসিধে। এর মধ্যে তিনি কোন কারণ উল্লেখ করেননি। তিনি বলেননি ইসরাইল বিপদের মধ্যে আছে। তিনি বলেছেন, তবে এ দেশটিকে টিকিয়ে রাখা যাবে যদি আমরা আরও ট্রিলিয়ন ডলার দিই। এর শত্রুদের আমরা নিশ্চিহ্ন করে দিই। তিনি বলেন নি যে, যদি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর পুরনো বন্ধু মিট রমনিকে নির্বাচিত করা হয় তাহলে তাতে ইসরাইল রক্ষা পাবে। তিনি বলেন নি, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানে বোমা হামলা চালায় তাতে ইসরাইল রক্ষা পাবে। এসব কিছু না বলে তিনি একটি সত্য কথা বলেছেন। তাহলো- ২০২২ সালে ইসরাইলের কোন অস্তিত্ব থাকবে না।  এ সম্পর্কে মার্কিন রাজনৈতিক ভাষ্যকার কেভিন ব্যারেট এক প্রবন্ধে বলেছেন, কিসিঞ্জারের এ মন্তব্য সোজাসাপ্টা ও নিষ্ঠুর। ব্যারেটের এ প্রবন্ধ ইরানের ইংরেজি ভাষার নিউজ চ্যানেল প্রেস টিভির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছে। মার্কিন ১৬টি গোয়েন্দা সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত স্টাডি কমিশনের তৈরি করা প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনিও কিসিঞ্জারের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। ‘প্রিপেয়ারিং ফর এ পোস্ট-ইসরাইল মিডল ইস্ট’ নামে গোয়েন্দা কমিশনের এ প্রতিবেদন এ বছরের প্রথমদিকে প্রণয়ন করা  হয়েছে। এতে ব্যারেট বলেন, আরব অঞ্চলে ইসলামী জাগরণের ফলে ফিলিস্তিনিদের আত্মাহুতি এবং ইসলামী ইরানের জেগে ওঠার ফলে ভবিষ্যৎ দিনগুলোতে ইসরাইল টিকতে পারবে না। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একশ’ কোটির বেশি মানুষের মতামতকে উপেক্ষা করে ইসরাইলকে অব্যাহত সমর্থন দেয়ার মতো সামরিক ও অর্থনৈতিক শক্তি আমেরিকার নেই। এর বিপরীতে মার্কিন সরকারকে তার নিজ স্বার্থ দেখতে হবে এবং ইসরাইলের লাগাম টেনে ধরা উচিত। যেসব কারণে ইসরাইলের পতন হবে তার মধ্যে আমেরিকায় বসবাসকারী ইহুদিদের মধ্যে ইসরাইল ইস্যুতে দিন দিন বেড়ে চলা অনৈক্য, ১/১১’র ঘটনায় ইসরাইল জড়িত বলে মানুষের মাঝে ধারণা বদ্ধমূল হওয়া এবং ইসরাইলের গোঁড়াবাদী নীতির প্রতি মার্কিন জনগণের বিরূপ ধারণা উল্লেখযোগ্য বলে ব্যারেট তার প্রবন্ধে উল্লেখ করেছেন। দীর্ঘ ওই প্রবন্ধের শেষদিকে তিনি বলেছেন, মার্কিন নীতি-নির্ধারকদের জন্য সহজ পথ হচ্ছে কিসিঞ্জারের বক্তব্য মেনে নেয়া- ইসরাইল তার আয়ুর শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে।’

No comments:

Post a Comment