Tuesday, October 2, 2012

গ্রিসে ভাল নেই অভিবাসীরা

বিদেশ মানেই অনেকের কাছে স্বর্গসুখ। এর কারণ, বিদেশে গেলেই অর্থ উপার্জন করা যায়। তাতে অভাব ঘোচে। তেমনি দুই বাংলাদেশীকে খুঁজে পাওয়া গেছে এথেন্সে। সেখানকার সিনতাগমা স্কোয়ারের কাছে ওই দু’ বাংলাদেশী ছেড়া কাগজ, ভাঙারি আর পুরাতন জিনিসপত্র সংগ্রহ করে তা নিয়ে যান ১০ কিলোমিটার দূরে। সেখানে বিক্রি করেন ওইসব পণ্য। তাতে একেকজনের আয় ১০ থেকে ১২ ইউরো। অনলাইন টুডেস জামান এ খবর দিয়ে রোববার একটি ফিচার রিপোর্ট প্রকাশ করে। তাতে ওই দু’বাংলাদেশীর নাম প্রকাশ করা হয়নি। তবে তাদের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ওই দু’বাংলাদেশী ভাঙা ভাঙা ইংরেজিতে কথা বলে। একদিন ওই অনলাইনটির এক প্রতিবেদকের সঙ্গে তাদের কথা হয়। তারা তাকে  জানিয়ে দেন, সেদিন তখনো তারা কোন পণ্য সংগ্রহ করতে পারেন নি। তারা যে হোস্টেলে থাকেন তার ভাড়া ৫ ইউরো। এই ভাড়া পরিশোধের অর্থ জমা করার পরে তাদের খাদ্যের চিন্তা করতে হয়। রিপোর্টে বলা হয়, তারা দু’জনেই শুধু নয়। এরকম অনেক অভিবাসী আছেন গ্রিসে ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে। এ দেশগুলোতে চলছে অর্থনৈতিক মন্দা। তার মাঝেই উন্নত জীবনের স্বপ্ন নিয়ে পাড়ি জমাচ্ছে বিভিন্ন দেশের বঞ্চিত মানুষ। সেখানে আছেন সেনেগালের অভিবাসী। আছেন সোমালি অভিবাসী। তুরস্কের অভিবাসী। সেনেগালের অভিবাসী সাঈদ বলেছেন, ৫ বছর আগেও গ্রিসে নির্মাণ কাজ ছিল অনেক। কিন্তু সেখানে এখন কোন নির্মাণ কাজ নেই। সেদেশের মানুষই তো কাজ পাচ্ছে না। বিদেশীরা কাজ পাবে কোথায়। এখন আমরা কি করব। সাঈদ তাই এখন হতাশার সাগরে নিমজ্জিত। তিনি নির্মাণ কাজ ছেড়ে বিক্রি করে বেড়ান চীনা খেলনা আর ফ্যান। তাতেও তিনি বিরক্ত। ফিরে যেতে চান দেশে। তাই তার আক্ষেপ, গ্রিস আমাদেরকে দেশে ফেরত পাঠাক। আমি কোন কাজ পাচ্ছি না। আমার কাছে কোন অর্থ নেই। গত এক দশকে গ্রিসে তুরস্কের সীমান্ত দিয়ে অনেক অভিবাসী পাড়ি জমিয়েছে। এই সীমান্ত দিয়ে এশিয়া, আফ্রিকা, ইরাক ও আফগানিস্তানের অভিবাসীরা সেখানে প্রবেশ করেছে। ২০১০ সালে যেসব অবৈধ অভিবাসী ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রবেশ করেছে তার শতকরা ৯০ ভাগই গিয়েছে গ্রিস হয়ে।

No comments:

Post a Comment